post
বাংলাদেশ

বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৪ টাকা বাড়ল

বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৪ টাকা বাড়ল। আর খোলা তেলের দাম লিটারে ২ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি জানান, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে পাঁচ লিটার বোতলের দাম ১৮ টাকা বাড়িয়ে ৮১৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে দুই টাকা কমিয়ে,১৪৭ টাকা করা হয়েছে। আর পাম ওয়েলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৫ টাকা। তাৎক্ষণিকভাবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন,আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে,সয়াবিন তেলের যৌক্তিক মূল্য ঠিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

post
এনআরবি বিশ্ব

বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠানোর আহবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদের

গ্রিসে অবস্থানরত প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠাতে আহবান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ। দেশটির রাজধানী এথেন্সে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস’ আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহবান জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের যে ভাষণ মুক্তিযুদ্ধের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেই ৭ মার্চও বিএনপি পালন করে না। এ থেকেই স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধে বিএনপি কতটুকু বিশ্বাস করে তা প্রমাণ হয় বলে অভিযোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের চার্জ দা এফেয়ার্স মোহাম্মদ খালিদ, কাউন্সিলর বিশ্বজিত কুমার পল ,দ্বিতীয় সচিব রাবেয়া বেগমসহ উপস্থিত ছিলেন গ্রীস আওয়ামী লীগের সভাপতি মান্নান মাতব্বর ,সাধারণ সম্পাদক বাবুল হাওলাদার ,সিনিয়র সহ -সভাপতি শেখ আলামিন সিআইপি, গ্রীস যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ।

post
বাংলাদেশ

১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো বিদেশি ঋণ

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিদেশি ঋণের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সাল শেষে সামগ্রিক বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০০ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে) এ ঋণের পরিমাণ ১১ লাখ ৭ হাজার ৪০ কোটি টাকা। এসব ঋণের ৭৯ শতাংশই নিয়েছে সরকার এবং বাকি ২১ শতাংশ ঋণ নিয়েছে বেসরকারি খাত। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি ঋণের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, ১৫ বছর আগে ২০০৮ সাল শেষে ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। অর্থাৎ গত ১৫ বছরে দেশের বিদেশি ঋণ বেড়েছে ৭৭ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৩৪২ শতাংশ। এতে দেখা যায়, ২০২৩ সালের শেষ তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) দেশের বিদেশি ঋণ ৪ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। এ সময়ে সরকারের বিদেশি ঋণ বেড়েছে ৪ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। সরকারের বাড়লেও বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ ৩৩ কোটি ডলার কমেছে। গত ডিসেম্বর শেষে সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ৭৯ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার। আর বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণের পরিমাণ ২০ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছর শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪১ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে তা দাঁড়ায় ৯৮ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলারে। এর মানে গত ৮ বছরে দেশের বিদেশি ঋণ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৮ সালের পর বিদেশি ঋণ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ৬৮ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৮১ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলারে। ২০২১-২২ অর্থবছরে এ ঋণের পরিমাণ ৯৫ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ৯৮ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। আর গত বছর শেষে এ ঋণের পরিমাণ ছাড়িয়েছে ১০০ বিলিয়ন ডলার। বিদেশি এসব ঋণ এসেছে সরকারি বিভিন্ন মেগা প্রকল্প নির্মাণের জন্য। এর মধ্যে সর্বোচ্চ এসেছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণে ১১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে রাশিয়া। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ২ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেওয়া হয়েছে চীন থেকে। আর রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দিয়েছে ভারত। এছাড়া মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অন্যান্য প্রকল্প ঘিরে জাপান থেকে ৪৩ হাজার ৯২১ কোটি টাকা ঋণসহায়তা নেওয়া হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও বিদেশি বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নিচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদেশি ঋণের পরিমাণ এখন ১১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। জনশুমারি ও গৃহগণনা শুমারির সর্বশেষ উপাত্ত অনুসারে, দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ। সেই হিসাবে গত ডিসেম্বরের পরে মাথাপিছু বিদেশি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৫৯২ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৬৫ হাজার টাকা। তবে গত জুনের হিসাবে তা ছিল ৫৭৪ ডলার। ৮ বছর আগে যা ছিল ২৫৭ ডলারের কিছু বেশি।

post
লাইফ স্টাইল

সংসারের খরচ কমানোর ১৫ উপায়

আমরা কম-বেশি সবাই সংসারের খরচ কমাতে চাই। কিন্তু, সঠিক পরিকল্পনার অভাবে সম্ভব হয় না। তাই যারা দীর্ঘদিন ধরে সংসারের খরচ কমাতে চাচ্ছেন তাদের জন্য থাকছে কিছু টিপস। সব খরচের তালিকা আপনি হয়তো প্রতিদিন একাধিকবার ১০০ টাকা খরচ করছেন। কিন্তু, ভাবেন 'মাত্র ১০০ টাকা, খুব বেশি নয়'। তবে, আপনার ধারণা পাল্টে যাবে যদি আপনি এই কৌশলটি অবলম্বন করেন। প্রতিদিন যতবার ১০০ টাকা খরচ করছেন তা লিখে রাখুন। পুরো মাসজুড়ে এটি করুন। তারপর মাস শেষে একবার পুরো খরচ যোগ করে দেখুন, আপনি অবাক হয়ে যাবেন। কারণ, মাস শেষে আপনার মাত্র ১০০ টাকা খরচের যোগফল কিন্তু বেশ বড়ই হবে। এই বিষয়টি আপনাকে অনেক খরচ কমাতে সহায়তা করবে। আপনি অদরকারি খরচের খাত চিহ্নিত করতে পারবেন।বাইরের কফি বাদ আপনি হয়তো নিয়মিত বাইরে কফি পান করেন। কিন্তু, এটা বাদ দিতে পারেন। তাহলে আপনার খরচ কমে যাবে। প্রয়োজনে বাসায় কফি বানান। তারপর তা একটি ফ্লাস্কে ভরে কর্মস্থলে নিয়ে যান। আপনি যদি সত্যিই ব্যয় কমাতে চান তাহলে এই অভ্যাসটি খুবই জরুরি। এতে প্রতিমাসে আপনার খরচ কমবে। সাইকেলে বা হেঁটে কর্মস্থলে যাওয়া আপনার কর্মস্থল যদি বাসার কাছাকাছি হয়। তাহলে হেঁটে বা সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যেতে পারেন। এই অভ্যাস খরচ কমানোর জন্য খুবই কার্যকরী উপায়। আবার একইসঙ্গে আপনার জন্য ব্যায়ামও হয়ে যাবে, আপনি ফিট থাকবেন। ব্র্যান্ডের পণ্য এড়িয়ে চলা সংসারের প্রয়োজনীয় অনেক জিনিস আমরা ব্রান্ড থেকে কিনে থাকি। কিন্তু, খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রে ব্রান্ডের পণ্য আর সাধারণ পণ্যের স্বাদে খুব বেশি পার্থক্য নেই। তাই ব্র্যান্ডিংয়ে প্রলুব্ধ হবেন না। আপনি হয়তো ব্রান্ডের জুস বা প্রক্রিয়াজাত অন্যান্য খাবার কিনছেন। অথচ চাইলেই এগুলো বাসাতে বানানো যায়। তাহলে শুধু শুধু এজন্য কেন অতিরিক্ত টাকা খরচ করবেন? বাসার খাবার খাওয়া আমরা অনেক সময় বাইরের খাবার খাই। কিংবা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ব্যয়বহুল কোনো রেস্টুরেন্টে খেতে যাই। কিন্তু, কখনো ভেবে দেখেছেন এজন্য প্রতিমাসে আপনাকে অতিরিক্ত কতগুলো টাকা খরচ করতে হয়। তাই এই অভ্যাস এড়িয়ে চলুন। কোনো বিশেষ কিছু খেতে ইচ্ছে হলে চেষ্টা করুন বাসায় রান্না করে খাওয়ার। এতে খরচ সাশ্রয় হবে আবার পরিবারের সবার সঙ্গে সম্পর্কটাও মজবুত হবে। গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতনতা আমার অনেকেই গ্যাস ও বিদ্যুতের ব্যবহার নিয়ে সচেতন না। অথচ আমাদের সংসারের প্রতিমাসের নিয়মিত খরচের দুটি খাত গ্যাস ও বিদ্যুৎ। তাই গ্যাস ও বিদ্যুতের ব্যবহারে খুব সচেতন হতে হবে। তাহলে এখান থেকেও সংসারের কিছু খরচ কমাতে পারবেন। দামি পানীয় এড়িয়ে চলা দামি কোল্ড ড্রিংকস ও সফট ড্রিংকস পান করা অনেকের নিয়মিত অভ্যাস। অথচ, এগুলোর কার্যত কোনো উপকার নেই। সহজ কথায় বলতে গেলে এগুলো এক ধরনের অপচয়। তাই এই অভ্যাস বাদ দিতে হবে। তাহলে এই খাত থেকেও বেশ কিছু খরচ কমানো সম্ভব হবে। আসল কথা, যে জিনিসের কোনো সুবিধা নেই তার পেছনে অর্থ ব্যয় করার কোনো মানে হয় না। কয়েন সংগ্রহ প্রতি মাসেই আমাদের হাতে অনেকগুলো কয়েন আসে। যার কোনো হিসাব থাকে না। সেগুলো হারিয়ে গেলেও আমরা জানতে পারি না। এক্ষেত্রে একটি পাত্র ঠিক করতে পারেন। তারপর সেই পাত্রে কয়েনগুলো জমাতে পারেন। মাস শেষে কয়েনের পরিমাণ দেখে আপনি হয়তো অবাক হবেন। কারণ, সেখানে জমানো কয়েনের টাকার অঙ্কটা বেশ বড়ই হবে। পুরনো জিনিস বিক্রি সংসারে এমন অনেক জিনিস থাকে যেগুলো কাজে লাগে না। ঘরের এক কোণে পড়ে থাকে। পুরনো হয়ে যাওয়ায় এই জিনিসগুলো ব্যবহার করা হয়ে ওঠে না। কিংবা হয়তো ব্যবহারের দরকার হয় না। কিন্তু, যে জিনিসটা আপনার জন্য অদরকারি, সেটা অন্য কারো কাছে বেশ দরকারি হতে পারে। তাই পুরনো অদরকারি জিনিসগুলো বিক্রি করে দিন। তাহলে সেখান থেকে কিছু অর্থ আসবে। আজকাল পুরনো জিনিস অহরহ বিক্রি হচ্ছে। পুরনো জিনিস কেনাবেচার অনেকগুলো অনলাইন প্লাটফর্মও আছে। অনলাইন সাবসক্রিপশন কমানো আধুনিক সময়ে আমরা বিনোদনের জন্য অনেকে অনলাইন প্লাটফর্মের সাবসক্রিপশন নিয়ে থাকি। কিন্তু, সেসব প্লাটফর্মে মুভি, ড্রামা বা অন্যকিছু দেখা হয় না। তাই এসব প্লাটফর্ম আনসাবসক্রাইব করে নিন। তাহলে এখান থেকে প্রতিমাসে কিছু টাকা কমাতে পারবেন। যা আপনার সংসার খরচ যোগাতে সহায়ক হবে। ব্যয়বহুল ক্লিনিং পণ্যের ব্যবহার কমানো চাইলেই বাসাতে অনেক পরিষ্কারপণ্য তৈরি করা সম্ভব। যেমন- ড্রেন পরিষ্কার করতে ভিনেগার ও বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন। আবার সাধারণ দাগ, ফ্রিজ বা জানালার গ্লাস পরিষ্কার করতে লেবুর রস ব্যবহার করা যায়। তাহলে এসবের জন্য শুধু শুধু বিলাসবহুল পরিষ্কারপণ্য ব্যবহার করার দরকার নেই। এখান থেকে সংসারের খরচ কিছুটা হলেও কমবে। বিলাসবহুল সৌন্দর্যপণ্য এড়িয়ে চলা ত্বকের বলিরেখা থেকে মুক্তি পেতে এবং ত্বক সুন্দর রাখতে আমরা দামি ক্রিম ব্যবহারে প্রলুব্ধ হয়ে থাকি। কিন্তু, বাস্তবে ত্বকের প্রয়োজন হলো একটি ভালো ডায়েট। দরকার প্রচুর পরিমাণে পানি ও হাইড্রেশন। এজন্য ব্যয়বহুল ক্রিমের পরিবর্তে বাদাম বা নারকেল তেল ব্যবহার করুন। এতে ত্বক ভালো থাকবে আবার সংসারের খরচও কমবে। জিমের সদস্যপদ বাতিল করা ব্যায়াম বা ওয়ার্কআউটের জন্য জিমে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। জিমের পরিবর্তে সাইকেল চালিয়ে, পার্কে হেঁটে ও দৌড়িয়ে কিংবা বাড়িতে ভারোত্তোলন করে ব্যায়াম করতে পারেন। আবার যারা জিম ছাড়তে চান, তাদের নিয়ে একটি গ্রুপ গঠন করতে পারেন। তারপর তাদের সঙ্গে বাইরে নিয়মিত ওয়ার্কআউট সেশন করতে পারেন। তাহলে ফিট থাকার জন্য অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হবে না। কার্ডে নয়, নগদ লেনদেন প্রতি সপ্তাহে খরচের জন্য নির্দিষ্ট অর্থ বরাদ্দ করুন এবং শুধু সেই পরিমাণ অর্থ ব্যয় করুন। তবে, অবশ্যই নগদ টাকা খরচ করবেন। কারণ কার্ডে লেনদেন করলে আপনি নিজেও জানতে পারবেন না কত টাকা খরচ করে ফেলছেন। তাই কার্ড নয় নগদ লেনদের করুন। তাহলে সহজে বুঝতে পারবেন কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে। যা আপনাকে খরচের ব্যাপারে সাবধানী হতে সহায়তা করবে। সঞ্চয় নিয়ে কৃতজ্ঞ থাকা অর্থের প্রতি নিজের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনুন। পর্যাপ্ত আয় না করা বা পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থ না থাকার জন্য নিজেরে প্রতি অভিযোগ করবেন না। এর পরিবর্তে আপনার যা আছে তাই নিয়ে কৃতজ্ঞ থাকুন। মনোভাবের এই বদল ব্যয় কমাতে কতটা সহায়তা করতে পারে তা দেখে আপনি অবাক হবেন।

post
বাংলাদেশ

রমজানে বেড়েছে রেমিট্যান্স

প্রতি বছর রমজান মাসে অন্যান্য সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স বেশি আসে। এর ব্যতিক্রম নয় এবারও। চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১০২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১১ হাজার ২০৮ কোটি টাকা।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, মার্চের প্রথম ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০১ কোটি ৮৯ লাখ মার্কিন ডলার। তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১২ কোটি ৮২ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এক কোটি ৫৫ লাখ মার্কিন ডলার,বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৮৭ কোটি ২০ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এর আগে, চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি মার্কিন ডলার,আর ফেব্রুয়া‌রি‌তে আসে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার।

post
বাংলাদেশ

উন্নয়ন কর্মসূচি কমলো ১৮ হাজার কোটি

সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি কমেছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। প্রতিবারের মতো এবারও মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ পাওয়া অর্থ ব্যয় করতে না পারায়, কাটছাঁট করতে হয় সংশোধিত এডিপি।কাটছাঁটের ফলে আরএডিপির আকার দাঁড়ালো ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। যা ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। সকালে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ-এনইসি সভায় সংশোধিত এডিপি অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মোট সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি-আরএডিপি সর্বোচ্চ ২৫ দশমিক ৮২ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে। যা টাকার অঙ্কে ৬৩ হাজার ২৬৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এরপরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। যা টাকার অঙ্কে ৩৭ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা।

post
এনআরবি লাইফ

স্পেনে বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সভা

বার্সেলোনা প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন এর সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বার্সেলোনার স্হানীয় একটি রেষ্টুরেন্টে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শিপলু আহমেদ নিয়াজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ও সহ সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমদ। সভায় উপস্হিত ছিলেন উপদেষ্ঠা আপ্তাব নজরুল ইসলাম, আফাজ জনি, আমিন আলী রফিক, শফিউল আলম, জাহাঙ্গীর আলম, সহ সভাপতি ইকবাল বকসি ও সদস্য করিম ওয়াহিদসহ সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

post
বাংলাদেশ

রেমিটেন্স আসলো ২১৬ কো‌টি মার্কিন ডলার

চলতি বছরের ফেব্রুয়া‌রি‌ মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিটেন্স দেশে পা‌ঠিয়েছেন। স্থানীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৩ হাজার ৮০০ কো‌টি টাকা। ফেব্রুয়া‌রি‌তে আসা প্রবাসীদের এ আয় গত ৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।এর আগে গত জুন মা‌সে রে‌মি‌ট‌্যান্স এসে‌ছিল ২২০ কো‌টি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে গড়ে প্রতিদিন এসেছে সাত কোটি ৭৩ লাখ ৫৭ হাজার ১৪৩ মার্কিন ডলার। আগের বছর একই সময়ে গড়ে দিনে প্রবাসী আয় আসে পাঁচ কোটি ৫৭ লাখ ৩১ হাজার ৪২৮ ডলার।

post
সংবাদ

স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে জ্বালানির মূল্য নির্ধারণ কাল

দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে মিল রেখে প্রতি মাসে এ দাম নির্ধারণ করা হবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) থেকেই নতুন এ প্রদ্ধতি কার্যকর হতে যাচ্ছে। জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।বুধবার (৬ মার্চ) চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ঢাকা-চট্টগ্রাম জ্বালানি পাইপ লাইন প্রকল্পের ডেচপাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। নসরুল হামিদ বলেন, “আমরা সাশ্রয়ী মূল্যে রিলায়েবল জ্বালানি দিতে চাই। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ক্ষেত্রে একই কথা। আগামীকাল থেকে বাংলাদেশের জ্বালানি তেলের দামে বিরাট পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে।” এসময়ে তেলের দাম আরও কমার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, “প্রতিমাসের প্রথম সপ্তাহে দাম নির্ধারণ শুরু করছি। স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা চালু করতে পারলে সেখানেও খরচ সাশ্রয় হবে। বিশ্ববাজারে যদি কোনো পরিবর্তন না হয়, তাহলে তেলের ক্ষেত্রে দাম আরও কমে আসবে।” এর আগে মঙ্গলবার ডিসি সম্মেলনে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, জ্বালানি তেলের দাম কমানোর প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সায় দিয়েছেন। জ্বালানির দাম পুনঃনির্ধারণ করে চলতি সপ্তাহেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। তার আগে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ করবে সরকার। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৩০ আগস্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমানে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা, পেট্রোল ১২৫ টাকা এবং অকটেন ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

post
সংবাদ

হতাশার কিছু নেই: অর্থমন্ত্রী

অর্থনীতির সব সূচক বাড়ছে,ফলে অনিশ্চয়তা বা হতাশার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়নে,জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের অধিবেশন শেষে একথা বলেন অর্থমন্ত্রী। মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমানে যেখানে উন্নয়নের সূচকগুলো বাড়ছে,সেখানে মূল্যস্ফীতি মূল উদ্বেগ হতে পারে না। এসময় দেশের অর্থনীতি নিয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া সরকারের উন্নয়নের সঠিক চিত্র দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরতে, জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.