post
লাইফ স্টাইল

ঠান্ডার সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়

ঠান্ডার সমস্যায় আমরা অনেকেই ওষুধের দিকে হাত বাড়াই। এতে দ্রুত আরাম পাওয়া যায় ঠিকই তবে দীর্ঘমেয়াদে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তবে এ ধরনের সমস্যার অনেক প্রাকৃতিক প্রতিকার রয়েছে যা উপসর্গগুলো উপশম করতে এবং নিরাময়কে উন্নীত করতে সাহায্য করতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাকৃতিক পদ্ধতি গ্রহণ করা এবং শরীরকে এটির মাধ্যমে কাজ করতে দেওয়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভালো।সর্দি-কাশি বা এ ধরনের সমস্যা দূর করার জন্য ওষুধ খাওয়ার পরিবর্তে শ্লেষ্মা মুক্ত করার চেষ্টা করুন। এই পদ্ধতিটি আপনার শরীরকে স্বাভাবিকভাবে শ্লেষ্মা এবং টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, ঠান্ডার সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়-১. বাষ্প শক্তি ব্যবহার কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল বা পুদিনা পাতা দিয়ে ভাপ দিলে তা শ্লেষ্মাকে তরল করতে এবং নিষ্কাশনে সাহায্য করতে পারে। এটি জমে থাকা কফ এবং অস্বস্তি থেকে দ্রুত মুক্তি দিতে পারে। তবে গরম পানির ভাপ নেওয়ার সময় সতর্ক থাকবেন যেন তা গায়ে না পড়ে। কারণ তাতে ত্বক পুড়ে যাওয়ার বা ফোসকা পড়ার ভয় থাকে।২. অতিরিক্ত পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন সর্দি হলে আপনার শরীরের কথা শোনা এবং অতিরিক্ত কার্যকলাপ এড়ানো অপরিহার্য। কঠোর ব্যায়াম করলে বা ঘামে ভিজে গেলে তা এ ধরনের সমস্যা আরও খারাপ করে তুলতে পারে এবং আরও জটিলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। ৩. গার্গল হালকা গরম পানি, হলুদ এবং লবণ দিয়ে গার্গল করলে তা গলা ব্যথা প্রশমিত করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এই সহজ প্রতিকারটি ঠান্ডার সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে খুব কার্যকরী হতে পারে। ৪. মধুর নিরাময় শক্তি মধু ঔষধি গুণাবলীতে সমৃদ্ধ একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার। কুচি করা আদা, গোলমরিচ, হলুদ এবং দারুচিনির সঙ্গে মধু খেলে তা ঠান্ডার উপসর্গ উপশম করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। মধু কাঁচা খাবেন এবং গরম পানি, চা বা কফির সঙ্গে মেশাবেন না। এটি গলা প্রশমিত করতে, কাশি কমাতে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আপনার শরীরকে শক্তির একটি প্রাকৃতিক উৎস সরবরাহ করে। ৫. হালকা গরম পানি পান করুন ঠান্ডার সময় প্রচুর পানি পান করা জরুরি। হালকা গরম পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে, শ্লেষ্মা বের করে দেয় এবং নিরাময় প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করে। সারাদিন হালকা গরম পানিতে চুমুক দিলে তা শুধু আপনাকে হাইড্রেটেডই রাখে না বরং শরীরের বিপাকীয় আগুন ধরে রাখতে সাহায্য করে, যা দ্রুত সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

post
লাইফ স্টাইল

মুখের কোণে ঘা? জেনে নিন দূর করার ঘরোয়া উপায়

মুখের কোণে ঘা হলে খাওয়া, কথা বলা এবং এমনকি হাসিও কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। মানসিক চাপ, ছোটখাটো আঘাত বা কিছু খাবারের কারণে এই ঘা দেখা দেয়। যদিও এই সমস্যা সাধারণত এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে নিজে থেকেই নিরাময় হয়, তবে কিছু প্রাকৃতিক প্রতিকার নিরাময় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে এবং অস্বস্তি কমাতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, মুখের কোণে ঘা হলে তা দূর করার ঘরোয়া উপায়-নারিকেল দুধ দিয়ে ধুয়ে ফেলুন নারিকেল দুধ শুধু তরকারি এবং স্মুদির জন্যই দারুণ নয়; এটি মুখের আলসারের জন্যও বিস্ময়কর কাজ করতে পারে! ফাইটোথেরাপি রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, নারিকেলের দুধ আলসারে শক্তিশালী সুরক্ষা দেয়। এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য ব্যথা এবং ফোলা কমাতে সাহায্য করে, এর প্রাকৃতিক শীতল প্রভাব কালশিটে জায়গাটিকে প্রশমিত করে।পানির সঙ্গে গ্রেট করা নারিকেল ব্লেন্ড করে এবং ছেঁকে নিয়ে নারিকেলের দুধ বের করুন। দিনে ২-৩ বার ৩০ সেকেন্ডের জন্য আপনার মুখের চারপাশে দুধ ঘষুন।মধু ও হলুদের মিশ্রণ মধু হলো একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট, এদিকে হলুদে থাকে কারকিউমিন, এটি একটি যৌগ যা এর প্রদাহ বিরোধী এবং নিরাময় বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এই দুই উপাদান একসঙ্গে মিশ্রিত হলে তা মুখের আলসার বা ঘায়ের জন্য একটি শক্তিশালী প্রতিকার তৈরি করে। কীভাবে ব্যবহার করবেন ১ চা চামচ মধুর সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। আক্রান্ত স্থানে পেস্টটি ঘষুন এবং ১৫ মিনিট রেখে দিন। হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। অ্যালোভেরা জেল অ্যালোভেরা তার ত্বক-নিরাময় বৈশিষ্ট্যের জন্য সুপরিচিত, কিন্তু আপনি কি জানেন যে এটি মুখের আলসারের জন্যও সমানভাবে কার্যকর? এর প্রশান্তিদায়ক এবং প্রদাহ বিরোধী গুণাবলী তাৎক্ষণিক পরিত্রাণ দিতে পারে এবং দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করতে পারে। কীভাবে ব্যবহার করবেন একটি তাজা অ্যালোভেরার পাতা কেটে জেল বের করে নিন। এবার একটি পরিষ্কার তুলো ব্যবহার করে সরাসরি আক্রান্ত স্থানে জেলটি প্রয়োগ করুন। দ্রুত ফলাফলের জন্য দিনে ২-৩ বার ব্যবহার করুন।

post
লাইফ স্টাইল

"তামাকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে তরুণ সমাজ"

বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রান হারাচ্ছেন ১ লক্ষ ৬১ হাজার জন মানুষ। প্রাণঘাতী এই নেশাদ্রব্যের হাত থেকে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার দাবি জানান তরুণ সমাজ। আজ শনিবার (২১ সেপ্টেবর) বিকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বেসরকারী নারী উন্নয়ন সংস্থা ‘নারী মৈত্রী’র আয়োজনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪০ জন তরুণ শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে “তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তরুণদের করণীয়’ শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তরুণ সদস্যরা বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার দাবি তুলে ধরেন। নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলির সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) ডঃ গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন তনুশ্রী হালদার,সহযোগী অধ্যাপক, জেনেটিক্স এন্ড প্লান্ট ব্রিডিং ডিপার্টমেন্ট, শেরে-ই- বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার চ্যানেল আই এর উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের (সিটিএফকে) প্রোগ্রামস ম্যানেজার জনাব মোঃ আব্দুস সালাম মিয়া, কমিউনিকেশনস ম্যানেজার হুমায়রা সুলতানা এবং আতাউর রহমান, এডভোকেসি ম্যানেজার সিটিএফকে। অনুষ্ঠানের মূল বিষয় উপস্থাপন করেন নারী মৈত্রীর প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর নাছরিন আকতার। তিনি বলেন,বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭৮ লাখ লোক তামাক ব্যবহার করে এবং তামাক ব্যবহার জনিতরোগে প্রতিদিন ৪৪২ জন মানুষ মারা যায়। তাই জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশ করা প্রয়োজন। বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে এফসিটিসির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত খসড়ায় যে বিষয়গুলো প্রস্তাব করা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো :অধূমপায়ীদের সুরক্ষার জন্য সব পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা; তামাক পণ্যের প্রচার বন্ধ করার জন্য বিক্রয় কেন্দ্রে তামাক পণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা; ই-সিগারেট বা ইমার্জিং হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট আমদানি, ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা; তামাক পণ্যের সব ধরনের খুচরা ও খোলা বিক্রয় বন্ধ করা; ও সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা। দেশকে তামাকের ভয়াবহ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আজকের এই তরুণ সমাজ কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেন যা তামাকমুক্ত সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করবে। সভাপতির বক্তব্যে শাহীন আকতার ডলি বলেন, “সুস্থ প্রজন্ম বাংলাদেশ গড়তে হলে দেশকে অবশ্যই তামাকমুক্ত করতে হবে। বাংলাদেশে তামাক এবং তামাকজাত পণ্যের বিস্তার হয়েছে ভয়াবহভাবে। দেশে ১৫ বছরের ওপরে ধূমপায়ীর সংখ্যা শতকরা ৩৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং এর নিচে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ শিশুই ধূমপায়ী। এই বিপুল জনগোষ্ঠীকে রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করা জরুরি। সে ক্ষেত্রে কিশোর-তরুণদের নিজ অবস্থান থেকে তামাকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি”  তনুশ্রী হালদার বলেন, “দেশে ব্যাপকহারে ই-সিগারের ব্যবহার শুরু হয়েছে। বিশেষ করে ভেপিং এর ব্যবহা্রের প্রবণতা তরুণদের মাঝে বেশি দেখা যায়। যা দেশের জন্য অশনিসংকেত। বিশ্বের প্রায় ৪০টি দেশে এরইমধ্যে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ হয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রক্ষায় বাংলাদেশেও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা জরুরি” মোঃ আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক অন টোব্যাকো কন্ট্রোল—এফসিটিসি’তে স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশ। তামাকের মহামারী সম্পর্কিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ধুমপানমুক্ত পরিবেশ এবং তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রণোদনা নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে এখনও সর্বোত্তম মান অর্জন করতে পারেনি। 'তামাকমুক্ত বাংলাদেশ'অর্জনের লক্ষ্য পূরণে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশ এবং শক্তিশালী করা অতি জরুরী। অল্পবয়সীদেরকে নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডে আসক্ত করতে কোম্পানিগুলো নানা ধরনের কূটকৌশলের আশ্রয় নেয়। শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে বা সামনের দোকানগুলোতে তামাকপণ্য সহজলভ্য করে তোলা হচ্ছে। বিশেষত,শিশুদের পছন্দের খাবার যেমন-ক্যান্ডি, চিপস ইত্যাদির কাছাকাছি তামাক পণ্যগুলো সাজানো এবং বিক্রেতাদের বিভিন্ন বিপণন সরঞ্জাম প্রদর্শন করা হচ্ছে। তাই সংশোধীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করতে তামাক কোম্পানির কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা বা সিএসআর কার্যক্রমে অংশগ্রহণ সম্পূর্ন নিষিদ্ধ করতে হবে” হুমায়রা সুলতানা বলেন, “নারী ও শিশুদের পরোক্ষ ধূমপানের হাত থেকে রক্ষা করা জরুরি উল্লেখ করে বলেন, দেশে প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লাখ মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার। গর্ভবতী নারী ও শিশুরা ধূমপান না করেও প্রতিনিয়ত তামাকজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই পাবলিক প্লেস, গণপরিবহনে ও রেস্তোরাঁয় ধূমপান যাতে কেও না করে সেই বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে তরুণদের সোচ্চার হওয়ার জন্য বলেন তিনি। তরুণ ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়াতে তামাকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য সকলকে আহ্বান করেন উপস্থাপিকা, দীপ্তি চৌধুরী। নারী মৈত্রীর আয়োজনের প্রশংসা করে তিনি বলেন “ বর্তমান যুগে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সোশ্যাল মিডিয়া এক বড় ভূমিকা পালন করে। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তামাকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সময় এখনই”এসময় তরুন সমাজকে ধুমপান ও তামাক গ্রহণ না করার আহ্বান জানিয়ে তামকের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভুমিকা রাখার আহবান জানান দীপ্তি চৌধুরী।এছাড়াও তামাক বিরোধী সকল কার্যক্রমে নারী মৈত্রীর পাশে থাকার এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তামাকের বিরুদ্ধে নিজ অবস্থান থেকে রুখে দাঁড়ানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।“তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তরুণ সমাজ যথাযথ ভূমিকা রাখবেন বলে মনে করেন প্রধান অতিথি-যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডঃ গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান । তিনি বলেন, "তামাকের কারণে প্রতিদিন ৪৪২ জন মানুষের প্রাণ ঝরছে। মৃত্যুর এই মিছিল ঠেকাতে তরুণেরা তামাক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবিতে তাদের কন্ঠস্বরকে জোড়ালো করবে। পাশাপাশি নিজের পরিবারকে তামাকের প্রভাবমুক্ত রাখবে এবং অন্যান্যদের সাথে এই বিষয়ে কথা বলবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যাতে মন্ত্রীসভায় সংশোধিত আইনটি দ্রুত উত্থাপন করেন সে লক্ষ্যে সহযোগিতা করা এবং অনুমোদনের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জোরালো দাবি জানানোর জন্য এই তরুণ সমাজকে কাজ করে যাবার জন্য তিনি আহবান জানান।’’ ।  এছাড়াও তামাকের বিরুদ্ধে সংশোধিত আইন বাস্তবায়নে রাষ্ট্রীয় ভাবে উপস্থাপন করার আশ্বাসও দেন তিনি।এই কর্মশালায় ১৬টি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তামাকের বিরুদ্ধে নিরলস কাজ করে যাবে বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়।  এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন এবং তামাক বিরোধী সকল কার্যক্রমে এগিয়ে আসার জন্য শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা জাগান তারা। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও সমাপনী বক্তব্য রাখেন নারী মৈত্রী’র প্রোগ্রাম ডিরেক্টর,খালেদ-বিন-ইউছুফ।

post
লাইফ স্টাইল

সহজ উপকরণ দিয়ে দাঁত কীভাবে ঝকঝকে সাদা করবেন

আকর্ষণীয় হাসির জন্য ঝকঝকে সাদা দাঁতের বিকল্প নেই। ঝকঝকে দাঁত ব্যক্তিত্বে আনে বলিষ্ঠতা। চাইলেই কিন্তু হাতের কাছে থাকা উপকরণ দিয়ে দাঁত ঝকঝকে সাদা করে ফেলতে পারেন। এতে বাড়তি খরচের হ্যাপাও নেই। জেনে রাখুন বিস্তারিত।বেকিং সোডা বেকিং সোডা বা সোডিয়াম বাইকার্বনেটে আছে পরিষ্কারক গুণাবলি। এটি দাঁত থেকে চা–কফির দাগ দূর করতে বেশ কার্যকর। হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক হিসেবে বেশ পরিচিত। এ ছাড়া দাঁত সাদা করতেও ব্যবহার করা হয়। হাউড্রোজেন পার–অক্সাইডে ব্যাকটেরিয়া–গুণও আছে। তাই এটি দিয়ে গরগরা করলে গলাব্যথা দূর হয়। মাড়ির প্রদাহ দূর করতেও কার্যকর। তবে এটি ব্যবহারে সতর্কতা জরুরি, ব্যবহারের সময় গিলে ফেলা যাবে।দাঁত সাদা করতে যেভাবে বেকিং সোডা ও হাইড্রোজেন পার–অক্সাইড একসঙ্গে ব্যবহার করবেন উপকরণ ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা ২ টেবিল চামচ হাইড্রোজেন পার–অক্সাইডের ৩ শতাংশ দ্রবণ মিশ্রণ তৈরির জন্য ১টি গামলা বা বাটি ১টি টুথব্রাশ মিশ্রণ তৈরি ২ টেবিল চামচ হাইড্রোজেন পার–অক্সাইডের ৩ শতাংশ দ্রবণ একটি গামলা বা বাটিতে নিয়ে তাতে ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা যোগ করুন। এরপর পেস্টের মতো যৌগ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত মাখাতে থাকুন। যদি মনে হয়, মিশ্রণটি বেশ পাতলা হয়ে গেছে, তাহলে তাতে আরও বেকিং সোডা যোগ করুন। এভাবে একটি পেস্টের মতো মিশ্রণ তৈরি করুন। ব্রাশ করুন পেস্টের মতো মিশ্রণটি টুথব্রাশে লাগিয়ে ব্রাশ করুন। তবে খুব বেশি জোর খাটিয়ে ব্রাশ করবেন না। ধীরে ধীরে কবজি বৃত্তাকার ঘুরিয়ে ব্রাশ করুন। বেকিং সোডা এমনিতেই পরিষ্কারক, তাই জোরে ব্রাশ করার প্রয়োজন হবে না। কুলকুচি করুন দুই মিনিট ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করে পর্যাপ্ত পানি দিয়ে কুলকুচি করুন। মুখের ভেতরে যেন পেস্টটি থেকে না যায়। এরপর ভালোভাবে টুথব্রাশটিও ধুয়ে ফেলুন। ধারাবাহিকতা ধরে রাখুন সপ্তাহে কমপক্ষে দু–তিনবার এভাবে ব্রাশ করুন। এতেই উপকার পাবেন। তবে খুব বেশি করতে যাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবে। মাড়ির প্রদাহ হতে পারে।

post
লাইফ স্টাইল

পরোক্ষ ধূমপানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে শিশুরা

তামাক প্রাণঘাতি দ্রব্য। তামাকের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ উভয় প্রভাবেই প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে,প্রতি বছর পৃথিবী জুড়ে ৮০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় শুধুমাত্র তামাক গ্রহণের কারণে। এর মধ্যে ১২ লাখ মানুষই পরোক্ষ ধূমপানের শিকার। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড থেকে প্রকাশিত নিকোটিন অ্যান্ড টোব্যাকো রিসার্চ সাময়িকীর এক প্রবন্ধে উঠে এসেছে পরোক্ষ ধূমপানে শিশুরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে। পরোক্ষ ধূমপানের হাত থেকে শিশু রক্ষায় সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাসের দাবি জানিয়েছে নারী মৈত্রীর নারী নেত্রীরা। বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নারী মৈত্রীর প্রধান কার্যালয়ে “২০৪০ সালের মধ্যে তামাক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নারীর কণ্ঠস্বর বলিষ্ঠ” করণ শির্ষক প্রশিক্ষণের শেষে এ দাবি জানান তারা। ২০ জন নেত্রীর সমন্বয়ে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলির সভাপতিত্বয়ে প্রশিক্ষণের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোহাম্মদ আবদুস সালাম মিয়া, প্রোগ্রামস ম্যানেজার, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশ। প্রশিক্ষণে তামাকের ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে নারী নেত্রীদের সামনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নারী মৈত্রীর প্রোজেক্ট কোঅর্ডিনেটর নাসরিন আকতার। তিনি জানান, তামাক ব্যবহারের দিক থেকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে। বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন এবং কর্মক্ষেত্র, পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন লাখো মানুষ। বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক অন টোব্যাকো কন্ট্রোল-এফসিটিসি’তে স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশ। তামাকের মহামারী সম্পর্কিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ধুমপানমুক্ত পরিবেশ এবং তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রণোদনা নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে এখনও সর্বোত্তম মান অর্জন করতে পারেনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত প্রস্তাবিত সংশোধনীটি পাশ হলে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দুর্বলতাগুলো দূর হবে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসি’র সুপারিশসমূহের কার্যকর বাস্তবায়ন এবং বৈশ্বিক সর্বোৎকৃষ্ট অনুশীলনের আলোকে বাংলাদেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি বৈশ্বিক মানদন্ডে উপনীত হবে।বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে এফসিটিসির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত খসড়ায় যে বিষয়গুলো প্রস্তাব করা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- অধূমপায়ীদের সুরক্ষার জন্য সব পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা,তামাক পণ্যের প্রচার বন্ধ করার জন্য বিক্রয় কেন্দ্রে তামাক পণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা,তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা,ই-সিগারেট বা ইমার্জিং হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট আমদানি,উৎপাদন,ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা,তামাক পণ্যের সব প্রকার খুচরা ও খোলা বিক্রয় বন্ধ করা ও সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা।শিশুর পাশাপাশি নারী স্বাস্থ্যের জন্যও তামাক অত্যন্ত ক্ষতিকর। শাহীন আকতার ডলি বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লাখ মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন। যেখানে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।আর তামাকের কারণে প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছেন ৪৪২ জন মানুষ। এই অকাল মৃত্যু রোধ করতে এবং পরোক্ষ ধূমপানের হাত থেকে নারী-শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাশ করা অত্যন্ত জরুরী। পরোক্ষ ধূমপানের কারণে নারীর প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস,গর্ভপাত এবং সন্তান জন্মদানে মা ও শিশু উভয়ই মৃত্যুর মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই নারী ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাসের জন্য আমাদের সবার দাবির কণ্ঠস্বর বলিষ্ঠ হতে হবে। আবদুস সালাম মিয়া বলেন,"শিশুরা অনুকরণপ্রিয়। বিশেষ করে জন্ম থেকেই সংস্পর্শে আসা মানুষগুলোর ভাষা থেকে শুরু করে আচার-ব্যবহারই তারা অনুকরণ করে। শিশুরা যা দেখে তাই শিখে বড় হয়। তাই বাবা,বড় ভাই, চাচা, মামা কিংবা অন্য কেউ ধূমপান করলে সেই শিশুটিও ধূমপানে আকৃষ্ট হয়। তাই এখনি সময় সচেতন হওয়ার।"এছাড়াও ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাশের তাগিদ জানান নারী নেত্রীরা। পাশাপাশি তামাকবিরোধী সকল কাজে নারী মৈত্রীর পাশে সর্বদা থাকার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন তারা।

post
লাইফ স্টাইল

বেগুন দিয়ে লইট্টা শুঁটকি ভুনা

যা লাগবে: বেগুন- ২০০ গ্রাম, লইট্টা শুঁটকি- ১৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি- ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা- ২ টেবিল চামচ, রসুন কুচি- ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা- ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ বাটা- ২ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচ- ৪টি, শুকনা মরিচের গুঁড়া- ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া- ১ চা চামচ, লবণ- স্বাদমতো ও তেল- পরিমাণমতো। যেভাবে করবেন: প্রথমে শুঁটকি ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে তেলে হাল্কা করে ভেজে নিতে হবে। বেগুন ধুয়ে কেটে নিতে হবে। একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভেজে নিতে হবে। অতঃপর তাতে পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা, কাঁচামরিচ বাটা, শুকনা মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, লবণ, অল্প পানি দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে বেগুন ও লইট্টা শুঁটকি দিয়ে নেড়েচেড়ে ঢেকে দিতে হবে। অন্য একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে রসুন কুচি ও শুকনা মরিচ ভেজে এর ওপর ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার বেগুন দিয়ে লইট্টা শুঁটকি ভুনা।

post
লাইফ স্টাইল

বেশিরভাগ পুরুষ দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করেন, এর ফলে যা হয়

অনেক পুরুষ দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশে ছেলেদেরকে শিশুবেলা থেকেই দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা শেখানো হয়। দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা একটি ব্রিটিশ পদ্ধতি। আমাদের দেশের আধুনিক অফিসগুলোতে পুরুষদের দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার ব্যবস্থা রাখা হয়। এই পদ্ধতি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয় বলে মত দিয়েছেন গবেষকেরা। একটি গবেষণায় দেখা গেছে— দীর্ঘদিন দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে দিনে দিনে প্রস্রাবের বেগ বা গতি কমে আসে। এতে পেলভিক পেশির ক্ষতি হয়। নিয়মিত দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার ফলে প্রস্টেট গ্রন্থি বাড়তে থাকে। এর ফলে নানারকম রোগ হতে পারে। তা ছাড়া দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে মূত্রথলির মধ্যে জমা দূষিত পদার্থগুলো নীচের দিকে চলে যাওয়ায় শরীর থেকে বের হতে পারে না। দিনে দিনে সেগুলো জমে। ফলে প্রস্রাব করার সময় মূত্রথলিতে চাপ অনুভব হতে পারে। দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার ফলে পুরুষের অস্থিরতা বাড়তে পারে। হতে পারে রক্তচাপ। এ ছাড়া হৃদস্পন্দনের অস্বাভাবিক গতি বৃদ্ধি পেতে পারে। দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার আরও অনেক ক্ষতি আছে। সেগুলো হলো কিডনিতে পাথর হতে পারে। এমনকি এই অভ্যাসের ফলে ডায়াবেটিস এবং জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। চিকিৎসকেরা বলেন, অফিসে আধুনিক ব্যবস্থা থাকলেও বসে প্রস্রাব করার ব্যবস্থাও থাকে। বসে প্রস্রাব করার অভ্যাস একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। পুরুষদের উচিত এই অভ্যাস রপ্ত করা।

post
লাইফ স্টাইল

পানির বোতল প্রতিদিন পরিষ্কার করা জরুরি যে ৩ কারণে

হাইড্রেটেড থাকা স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। তাই পানি পান করার বোতল প্রতিদিন পরিষ্কার রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি অতিরিক্ত কাজ বলে মনে হতে পারে, তবে প্রতিদিন আপনার পানির বোতল ধোয়ার অভ্যাস সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করা থেকে শুরু করে অপ্রীতিকর গন্ধ এড়ানো পর্যন্ত, প্রতিদিন ধোয়ার অভ্যাস আপনার বোতলটিকে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর রাখে। প্রতিদিন আপনার পানির বোতল ধোয়ার প্রাথমিক উপকারিতার মধ্যে একটি হলো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি রোধ করা। চলতি বছরের একটি সমীক্ষা অনুসারে, পানির জৈবিক দূষকগুলোর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, প্রোটোজোয়া, ছত্রাক এবং তাদের বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে যা গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসের মতো পানিবাহিত রোগের কারণ হতে পারে। ধীরে ধীরে পানির বোতল ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে, বিশেষ করে যদি তা নিয়মিত পরিষ্কার না করা হয়। ব্যাকটেরিয়া, যেমন ই. কোলাই এবং সালমোনেলা উষ্ণ, আর্দ্র পরিবেশে বৃদ্ধি পেতে পারে। প্রতিদিন ডিশ ওয়াশার দিয়ে পানির বোতল পরিষ্কার করলে এই ক্ষতিকারক অণুজীব দূর করতে সাহায্য করে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। আপনি কি জানেন যে নিয়মিত পরিষ্কার না করা হলে পানির বোতলের ভেতরে ছত্রাক দ্রুত বিকাশ লাভ করতে পারে? এই ছত্রাকগুলো স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে বেড়ে ওঠে। সেই পানি খাওয়া হলে কটু গন্ধ পাওয়া যায় এবং স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। অপরিষ্কার পানির বোতল থেকে পান করলে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগ হতে পারে। যেমন বমি বমি ভাব, বমি এবং ডায়রিয়া। একটি নোংরা বোতলে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক পানিকে দূষিত করতে পারে, যা কখনও কখনও গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যাগুর কারণ হতে পারে।

post
লাইফ স্টাইল

নাকের দুপাশে দাগ দূর করবেন যেভাবে?

সব সময়ে চশমা পরার কারণে নাকের দুপাশে চাপ পড়ে। এক সময়ে সেই স্থানে কালচে ছোপ প্রকট হয়। এমন দাগ ঢাকতে কনসিলার ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। সেক্ষেত্রে ঘরোয়া কিছু প্রতিকার বেছে নিতে পারেন। ঘরোয়া উপায়ে সমাধান ১. কমলালেবুর খোসার পাউডারও এক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী। এই পাউডারের সঙ্গে সামান্য পরিমাণে দুধের সর মিশিয়ে দাগের উপরে লাগান। ভালো কাজ হবে। ২. অ্যালোভেরা জেল নাকের দুপাশের কালচে দাগ দূর করতে বেশ কার্যকরী। তাই আপনি নাকের দুপাশে এই জেল লাগিয়ে ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করুন। উপকার পাবেন। ৩. কড়া দাগ মলিন করতে আলুর রসের জুড়ি মেলা ভার। তাই নাকের দুপাশে চশমার দাগ মুছতে অল্প পরিমাণে আলুর রসে তুলো ভিজিয়ে সেই স্থানে লাগাতে পারেন। উপকার পাবেন। ৪. শসার রস লাগাতে পারেন নাকের দুপাশে। এটি আপনার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখবে এবং কালচে ছোপ মলিন করতে সাহায্য করবে।

post
লাইফ স্টাইল

খিচুড়ির সঙ্গে যা খাবেন?

বৃষ্টির দিন খিচুড়ি ছাড়া কী জমে? তবে মাংস বা মাছ যদি বাসায় না থাকে, তাহলে খিচুড়ির সঙ্গে কী খাওয়া যায়? বাসায় পটল থাকলে ছুরি দিয়ে বাইরের অংশ সামান্য চেঁছে নিন। খোসা ছাড়ানোর প্রয়োজন নেই। চেঁছে নেওয়া হলে মাঝখান দিয়ে অর্ধেক করে লবণ, হলুদের গুঁড়া ও মরিচের গুঁড়া মেখে তেলে ভেজে নিন। পেঁয়াজের বেরেস্তা ছিটিয়ে নিন ভাজা পটলের উপরে। বেগুন চাকা করে কেটে লবণ ও হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে ভেজে নিন তেলে। ঝটপট তৈরি করে ফেলা যায় মজার এই বেগুন ভাজা। খিচুড়ির সঙ্গে খেতেও লাগে দুর্দান্ত। ভর্তা খেতেও দারুণ লাগে খিচুড়ির সঙ্গে। রসুন ভর্তা, মরিচ ভর্তা, টমেটো ভর্তা, পেঁয়াজ-মরিচের ভর্তা, চিংড়ি ভর্তা কিংবা যেকোনো সবজির ভর্তা পরিবেশন করতে পারেন খিচুড়ির সঙ্গে। টমেটো বেগুনের মতো চাকা করে কেটে অল্প তেলে পোড়া পোড়া করে ভেজে নিন। গরম গরম খিচুড়ির সঙ্গে পরিবেশন করুন। টমেটো, গাজর ও শসা কুচি করে পেঁয়াজ ও মরিচ কুচি দিয়ে মেখে পরিবেশন করুন খিচুড়ির সঙ্গে। টক আচার বা টক-মিষ্টি থাকলে সেটাও সাজিয়ে নিন খাবার টেবিলে বসার আগে। খিচুড়ির স্বাদ বেড়ে যাবে অনেক গুণ। খাওয়ার আগে এক চামচ ঘি ছড়িয়ে নিন খিচুড়ির উপরে। দুর্দান্ত স্বাদ উপভোগ করুন বৃষ্টির এই দিনে।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.