post
এনআরবি প্রজন্ম

ওমানে শীতকালীন পিঠা উৎসব

ওমানের রাজধানী মাস্কাটে বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রাম সমিতি ওমানের মিলনমেলা, শীতকালীন পিঠা উৎসব ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া চট্টগ্রাম সমিতি ওমান প্রতিবারের মতো এবারও আয়োজন করেছে বার্ষিক মিলনমেলা ও পিঠা উৎসবের। পিঠা উৎসব ঘিরে প্রবাসীরা মেতে উঠেন অনন্দ উল্লাসে। চট্টগ্রাম সমিতি ওমানের সিনিয়র জয়েন্টে সেক্রেটারি জামাল চৌধুরী সঞ্চলনায়, অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, চট্টগ্রাম সমিতি ওমানের সভাপতি ইয়াছিন চৌধুরী সিআইপি। আয়োজক কমিটির আহবায়ক ছিলেন সহ-সভাপতি সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। ফিতা কেটে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন ওমান বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাবের চেয়ারম্যান সিরাজুল হক সিআইপি। এসময় অনুষ্ঠানে অংশ নেন ওমানের বৃহৎ আরেক সংগঠন ওমান বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাবের নেতৃবৃন্দ। ক্লাবের নেতৃবৃন্দকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন চট্টগ্রাম সমিতি ওমানের নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম সমিতি ওমান, বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব ওমান, বাংলাদেশ স্কুল মাস্কাট, বাংলাদেশ বিমান, ওমান আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পরে অনুষ্ঠানে ফ্রি চিকিৎসা সেবার আয়োজন করেন নিউ পাঞ্জা পলিক্লিনিক।

post
এনআরবি প্রজন্ম

আমিরাতে ভাষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস থেকে দূরে থাকছে শিশু কিশোররা

সংযুক্ত আরব আমিরাতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি। দেশটিতে রয়েছে দুইটি বাংলা স্কুল,যেখানে নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারছেন। তবে, বেশিরভাগ বাংলাদেশিদের মাঝে বাংলা ভাষার চর্চা নেই বললেই চলে। ফলে দেশের ভাষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস থেকে দূরে থাকছে এসব শিশু কিশোররা।সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রায় দশ লাখেরও বেশি প্রবাসীর বসবাস। এদের মধ্যে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন অনেকে। আর এসব বাংলাদেশিদের সন্তানরাও বড় হচ্ছেন ভিন্ন সংস্কৃতিতে। বাংলা ভাষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাবে ভিন দেশী স্কুল কলেজে লেখা পড়া করছেন তারা। আমিরাতে অবস্থানরত নতুন প্রজন্মকে মাতৃভাষা-সংস্কৃতি শেখাতে ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠাসহ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো এগিয়ে আসার আহবান জানান বাংলাদেশিরা। নতুন প্রজন্মের মাঝে মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্থাপন করার আশ্বাস দেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর। এসময় তিনি প্রবাসীর সন্তানদের মাঝে বাংলা ভাষা,সংস্কৃতি ও ইতিহাস পৌঁছে দিতে মা বাবাসহ পরিবারের সকলকে এগিয়ে আহবান জানান।

post
এনআরবি প্রজন্ম

কানাডায় ‘প্রবাসে মাতৃভাষার চর্চা ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা

কানাডার ক্যালগেরিতে ‘প্রবাসে মাতৃভাষার চর্চা ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার স্থানীয় সময় ক্যালগেরিতে নর্থ ইস্টের ৩২ নম্বর এভিনিউতে আলবার্টার প্রথম বাংলা অনলাইন পোর্টাল ‘প্রবাস বাংলা ভয়েস’- এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।বাংলা ভয়েসের প্রধান সম্পাদক আহসান রাজীব বুলবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালগেরি’র অধ্যাপক কাজী খালিদ হাসান, প্রধান বক্তা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী সুফল বৈরাগী, সাইফুল ইসলাম রিপন ও আব্দুল্লা রফিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী জেরিন তাজ ও রম্য লেখক বায়াজিদ গালিব।আলোচনায় অংশ নেন শুকরুজ্জামান তুহিন, রুপক দত্ত, কিরণ বনিক শংকর, এ্যনথনি জ্যাকব, মো. মাহমুদ হাসান, মৌ ইসলাম, ফারজানা হক, জাকিয়া বেগম ও সৌভিক সাদমান।বক্তারা বলেন, প্রবাসে মাতৃভাষা চর্চাকে আরও সূদৃঢ় করতে এবং মাতৃভূমির সঙ্গে পরবর্তী প্রজন্মের সেতুবন্ধন তৈরি করতে ভাষা শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও প্রবাসে বাংলা ভাষার প্রসারে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়। মাতৃভাষা আর বাংলা সংস্কৃতির অবমাননা কিভাবে জাতীয় প্রগতির অন্তরায় হতে পারে, সে বিষয়েও বিশদ আলোচনা হয়। এছাড়াও সর্বস্তরে বিশুদ্ধ বাংলা চর্চার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। দেশের সঙ্গে প্রবাসে বাংলা ভাষা চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তারা বলেন, মাতৃভূমির সঙ্গে পরবর্তী প্রজন্মের সেতুবন্ধন তৈরিতে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। বিদেশে আরও বেশি বাংলা গণমাধ্যমের বিস্তৃতি ঘটাতে হবে। যাতে পরবর্তী প্রজন্ম এসব গণমাধ্যমের পৃষ্ঠপোষকতায় এগিয়ে আসতে পারেন। সে ব্যাপারে এখন থেকেই সবার সচেষ্ট হওয়া উচিত। একুশের চেতনা, ইতিহাস আর সংস্কৃতিকে সযত্নে লালন করে কিভাবে একটি সুন্দর ভবিষ্যত প্রজন্ম গড়ে উঠতে পারে সে বিষয়েও জ্ঞানগর্ভ অভিমত দেন বক্তারা। বক্তারা আরও বলেন, ভাষার দাবির মধ্যেই নিহিত ছিল গণতন্ত্র, সাংস্কৃতিক স্বাধীকার জাতিসত্তা সম্পর্কে চেতনার উন্মেষ এবং জাতীয় আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার অর্জনের সংগ্রামের বীজ। প্রবাসে শুধু শহীদ মিনার নির্মাণ করলেই হবে না, একুশের চেতনা নতুন প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরতে হবে।আলোচনা শেষে ‘প্রবাস বাংলা ভয়েস’ এর পঞ্চম বর্ষপূর্তির প্রকাশনা বই উন্মোচন করা হয়।

post
এনআরবি প্রজন্ম

অস্ট্রেলিয়ায় নিজ উদ্যোগে ক্রিকেট ক্লাব গড়ে তুলেছেন কিছু তরুণ বাংলাদেশী

অভিবাসন বা উচ্চশিক্ষার জন্যে অস্ট্রেলিয়াতে পাড়ি জমিয়েছেন প্রায় লাখো বাংলাদেশি। তবে উন্নত বিশ্বের এ দেশটিতে কর্মব্যস্ততায় তারা হারিয়ে ফেলছেন নিজস্ব বিনোদন-সংস্কৃতি। তাই ব্যস্ত প্রবাসীদের জন্য কাজ করছেন কিছু তরুণ বাংলাদেশী। নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন কমিউনিটি ক্রিকেট ক্লাব। উদ্যোক্তাদের লক্ষ্য, ক্রিকেট পরাশক্তি দেশটিতে বাংলাদেশীদের ক্রিকেট উন্মাদনা ছড়ানো।শিক্ষা, সংস্কৃতি আর আধুনিক সভ্যতায় বিকশিত রাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়া। উন্নত বিশ্বের এই দেশটিতে অভিবাসন বা উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমিয়েছেন লাখোও বাংলাদেশী। তবে দেশটিতে কর্ম ব্যস্ততায় এই স্বপ্ন বিলাসীরা হারিয়ে ফেলছেন নিজস্ব সংস্কৃতি। এদিকে কর্মে বিভোর এই প্রবাসীদের জন্য কাজ করছেন কিছু তরুন বাংলাদেশী। নিজ উদ্যোগে এই সেচ্ছাসেবীরা গড়ে তুলেছেন ক্রিকেট ক্লাব সহ নানান কর্মকান্ড। প্রবাসী বাংলাদেশীদের খেলাধূলায় যুক্ত করার জন্যে এই আয়োজন বলছেন উদ্যোক্তারা। উদ্যোক্তাদের মূল লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশীদের একক প্লাটফর্মে যুক্ত করা। সেইসাথে ক্রিকেট পরাশক্তি দেশটিতে প্রবাসীদের মধ্যে ক্রিকেট উন্মাদনাসহ নিজস্ব বিনোদন ছড়িয়ে দেয়ার আশা করছেন এই বাংলাদেশী। অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ কমিউনিটি ক্রিকেটের মাধ্যমে বিশ্বমানের ক্রিকেটার সৃষ্টির প্রচেষ্টা উদ্যোক্তাদের। তাই নতুন প্রজন্মের প্রবাসী বাংলাদেশীদের ক্লাবটিতে আহবান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

post
এনআরবি প্রজন্ম

প্রবাসের বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের পাশের হার শতভাগ হলেও, কমেছে জিপিএ ফাইভ

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাহরাইন থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৪৯ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ২ জন জিপিএ ৫সহ শতভাগ ছাত্র-ছাত্রী পাস করেছে। শতভাগ ফলাফল পেয়ে উচ্ছ্বসিত প্রবাসী এ শিক্ষার্থীরা।বাংলাদেশ দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে রাজধানী মানামার বাংলাদেশ স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে তারা পরিক্ষায় অংশ নেয়। বাংলাদেশের সাথে মিল রেখে একই সময়ে অনুষ্ঠিত হয় পরীক্ষা। ফলাফলও প্রকাশ করা হয় একই দিনে। সন্তানদের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত প্রবাসের অভিভাবকরাও। বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স একেএম মহিউদ্দিন কায়েস, ছাত্র-ছাত্রীদের এমন সাফল্য প্রাপ্তিতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো ফলাফলে খুশি স্কুল কর্তৃপক্ষও। ২০১৫ সাল থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।এসব তথ্য গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল সাহিদা বেগম।

post
এনআরবি প্রজন্ম

ড. ইউনূসের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর ৪০ বিশ্বনেতার চিঠি

শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের আচরণের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন ৪০ বিশ্বনেতা। এ বিষয়ে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি খোলাচিঠি দিয়েছেন।গতকাল মঙ্গলবার রাজনীতি, কূটনীতি, ব্যবসা, শিল্পকলা ও শিক্ষাক্ষেত্রের ৪০ বিশ্বনেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই খোলাচিঠি দিয়েছেন। চিঠিটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় পূর্ণ পাতাজুড়ে বিজ্ঞাপন হিসেবেও প্রকাশিত হয়েছে।৪০ বিশ্বনেতার মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, দেশটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন, প্রয়াত মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডির ছেলে টেড কেনেডি জুনিয়রের মতো আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব।ইংরেজিতে লেখা চিঠিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে।চিঠিতে লেখা হয়েছে,‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমরা বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে আপনাকে লিখছি, যাঁরা আপনার দেশের জনগণের সাহস ও উদ্ভাবনী দক্ষতার প্রশংসা করে। আমাদের মধ্যে সরকারি কর্মচারী, ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজের নেতা ও সমাজসেবক আছেন। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের মতো আমরাও বাংলাদেশে উদ্ভাবিত ও সারা বিশ্বে গৃহীত উদ্ভাবনগুলো দ্বারা অনুপ্রাণিত। আপনার দেশের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা থেকেই আমরা আপনাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকদের একজন, শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মহান অবদানকে সমর্থন ও স্বীকৃতি দিতে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে আপনাকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লিখছি।‘ড. ইউনূসের ভালো থাকা, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে মানবিক উন্নয়নে তিনি যে অবদান রেখে চলছেন, তা অব্যাহত রাখতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে আমাদের গভীর উদ্বেগ রয়েছে। আমরা নিশ্চিত, আপনি জানেন যে বাংলাদেশে মুহাম্মদ ইউনূসের অবদান, বিশেষ করে অতিদরিদ্র ও সবচেয়ে বিপদাপন্ন মানুষের জন্য তাঁর অবদান বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ও সম্মানিত।‘উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, অধ্যাপক ইউনূস ইতিহাসের সাত ব্যক্তির মধ্যে একজন, যিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম ও কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল পেয়েছেন। এই সাতজনের মধ্যে নেলসন ম্যান্ডেলা, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র, মাদার তেরেসা ও এলি উইজেলের মতো ব্যক্তিরা আছেন।‘তিনি ১৯৭৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। একে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন। যার ঋণগ্রহীতা ৯০ লাখ, তাঁদের ৯৭ শতাংশ নারী। প্রতিষ্ঠানটি লাখো মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে এনেছে। সারা বিশ্বের অন্যান্য ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির জন্য একটি মডেল তৈরি করেছে।‘গত শতকের আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে গ্রামীণ ব্যাংক ২০০-৫০০ মার্কিন ডলারের গৃহনির্মাণ ঋণ দেওয়া শুরু করে। এর মাধ্যমে সাড়ে সাত লাখের বেশি পরিবার গ্রামীণ বাড়ি তৈরি করেছে।‘অধ্যাপক ইউনূস গ্রামীণ শক্তি প্রতিষ্ঠা করেন, নেতৃত্ব দেন। এই গ্রামীণ শক্তি ১৮ লাখের বেশি বাড়িতে সোলার হোম সিস্টেম চালু করেছে। হাজারো গ্রামীণ নারীকে এই সোলার সিস্টেম ইনস্টল ও মেরামতের প্রশিক্ষণ দিয়েছে।‘ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ টেলিকমের গ্রামীণফোনে করা বিনিয়োগটি দূরদৃষ্টিসম্পন্ন বিনিয়োগ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। যা সারা দেশে সামাজিক উদ্ভাবন বিস্তারের সুযোগ করে দিয়েছে। যেমন গ্রামীণ ক্যালেডোনিয়ান কলেজ অব নার্সিং দেশের অন্যতম বেসরকারি নার্সিং কলেজ, দেশের দরিদ্রদের জন্য চারটি চক্ষু হাসপাতাল, ১৫০টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিকসহ আরও অনেক কিছু আছে।‘২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে নিম্ন আয়ের জনগণকে ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের জন্য অধ্যাপক ইউনূস গ্রামীণ আমেরিকা প্রতিষ্ঠা করেন। এর বেশির ভাগ ঋণই ২ হাজার ৫০০ ডলারের নিচে। এটি ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণের মাইলফলক অতিক্রম করতে চলেছে। এসব ঋণের পরিশোধের হার ৯৯।‘মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ টেলিকম বা গ্রামীণফোন থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হননি। বরং তিনি যেসব সংগঠন গড়ে তুলেছেন, সেগুলোর মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন কার্যক্রমে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। তিনি ঢাকায় সাদামাটাভাবে বসবাস করছেন। মুহাম্মদ ইউনূসের মতো একজন অনবদ্য পরিশুদ্ধ মানুষ ও তাঁর কার্যক্রমগুলো আপনার সরকারের অন্যায় আক্রমণের শিকার হচ্ছে। বারবার হয়রানি ও তদন্তের মধ্যে পড়ছে। এমনটা দেখতে পাওয়া বেদনাদায়ক।‘আমরা বিশ্বাস করি, সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হলো, এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা, যেখানে চিরায়ত ও সামাজিক উদ্যোক্তারা প্রস্ফুটিত হতে পারেন।‘আমরা আশা করি, টেকসই অগ্রগতি নিশ্চিতে কীভাবে একটি প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজকে লালন করা যেতে পারে, সে বিষয়ে অন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি মডেল হিসেবে বাংলাদেশ তার ভূমিকায় ফিরে আসবে। এ ক্ষেত্রে প্রথম একটি ভালো উদ্যোগ হওয়া উচিত, অধ্যাপক ইউনূসের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া। তাঁকে নিজ নিরাপত্তায় ব্যস্ত রাখার পরিবর্তে দেশ ও বিশ্বের জন্য আরও ভালো কিছু করতে তাঁর শক্তিকে কাজে লাগানোর সুযোগ করে দেওয়া।‘আমরা ও বিশ্বের কোটি মানুষ আশা করি, আপনি আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করবেন।’

post
এনআরবি প্রজন্ম

ফুটবল বিশ্বকাপকে সামনে রেখে কাতারে বাংলাদেশি গণমাধ্যম কর্মীদের প্রস্তুতি সভা

ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপকে সামনে রেখে কাতারে বাংলাদেশি গণমাধ্যম কর্মীদের করণীয় সম্পর্কিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।স্থানীয় সময় শুক্রবার জুমার নামাজের পরে কাতারের রাজধানী দোহা নাজমা আল আসিফা রেস্টুরেন্টে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার সমন্বয়কারী ছিলেন সময় টিভির কাতার প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন মামুন ও জি টিভির কাতার প্রতিনিধি এম এ সালাম। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, এনটিভি কাতার প্রতিনিধি অধ্যাপক আমিনুল হক কাজল, একাত্তর টিভি কাতার প্রতিনিধি গোলাম মাওলা হাজারী, বাংলা ভিশন টিভির কাতার প্রতিনিধি ইউসুফ পাটোয়ারী লিংকন, জি টিভির কাতার প্রতিনিধি এম এ সালাম, বাংলা টিভির কাতার প্রতিনিধি আকবর হোসেন বাচ্চু, চ্যানেল ২৪-এর কাতার প্রতিনিধি কাজী মোহাম্মদ শামীম, নিউজ ২৪-এর কাতার প্রতিনিধি মামুনুর রশীদ, এস এ টিভির কাতার প্রতিনিধি আহসান উল্লাহ সজীব, পল্লী টিভির কাতার প্রতিনিধি মোশারফ হোসেন জনী, শাহারা টিভির কাতার প্রতিনিধি নুরে আলম জাহাঙ্গীর প্রমুখ। চলতি বছরের ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া কাতার ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ সফল ও স্বার্থক করার লক্ষ্যে কাতার প্রবাসী বাংলাদেশি গণমাধ্যম কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন।

post
এনআরবি প্রজন্ম

কানাডায় নতুন প্রজন্মকে যুক্ত করে অমর একুশে উদযাপনের প্রস্তুতি

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান একুশের চেতনাকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে নানা আয়োজন চলছে কানাডায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে। প্রতিবারের মতো এবারও বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে ‘বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্যালগেরি’।সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন করে এবারের একুশের অনুষ্ঠানে কী কী থাকছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানান আয়োজকরা। এ সময় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানমালা তুলে ধরেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত বসু। তিনি জানান, এবারের একুশের অনুষ্ঠানে থাকছে শহীদ মিনারের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ক্যালগেরির বিশিষ্ট লেখকদের প্রকাশিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, শিশু কিশোর ও ক্যালগেরির স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই সময়ে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্যালগেরির সভাপতি মো. রশিদ রিপন, সহ-সভাপতি মোঃ কাদির ও মোঃ নজরুল ইসলাম এবং যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক তাসফিন হোসেন। রশিদ রিপন এসময় জানান, প্রবাসে বাংলা ভাষার চর্চা ও নতুন প্রজন্মের মাঝে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের চেতনা তুলে ধরতে এবারও শহীদ মিনার বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। তিনি বলেন, 'নানা প্রতিবন্ধকতার মাঝেও যেন বাংলা ভাষার চর্চা অব্যাহত থাকে সেদিকে অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে।' প্রবাসে যেকোনো মূল্যে মাতৃভাষার মর্যাদা কে সমুন্নত রাখার আহ্বানও জানিয়েছেন। বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্যালগেরির সহ-সভাপতি মো. কাদির বলেন, বাংলাদেশি কমিউনিটির সকলকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্যালগেরির সহ-সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আসুন আমরা সবাই একমত হয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে সম্মান জানাই ও বাঙালি চেতনায় উদ্বুদ্ধ হই।’ বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্যালগেরির যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক তাসফিন হোসেন আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। সুদুর কানাডায় বসেও এই দিবস উদযাপন করতে পারছি সেটি গর্বকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।  

post
এনআরবি প্রজন্ম

জেদ্দায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট সেলিব্রেশন, নাচে-গানে মাতলো ছেলে-মেয়েরা

সৈয়দ আহমেদ ভুঁইয়া, সৌদিআরব থেকে: সৌদিআরবে যে বাংলাদেশিরা রয়েছেন তাদের অনেকেরই সন্তান লেখাপড়া করে এখানকার বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে। এই স্কুলের ইংরেজি শাখা, জেদ্দা থেকে ২০২০ ও ২০২১ সালে যে সব বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ইন্টারন্যাশনাল জেনারেল সার্টিফিকেট অব সেকেন্ডারি এডুকেশন- আইজিসিএসই তে সেরা কৃতিত্ব দেখিয়েছে তাদের রেজাল্ট সেলিব্রেশন হয়ে গেলো শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি)।  উল্লেখ্য বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল সৌদি আরবে আইজিসিএসই'র শীর্ষ ২৫ স্কুলের তালিকায় স্থান পাওয়া একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।জেদ্দা শহরের অদূরে "দ্য রিভা রাহমানিয়া রেস্ট প্লেস" নামের একটি ভিলায় মনোরম পরিবেশে এক বর্ণাঢ্য উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এই স্কুল কর্তৃপক্ষ। অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয় মধ্যাহ্নভোজে। স্কুল পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মেসবাহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, জেদ্দার কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, জেদ্দার শ্রম বিষয়ক কাউন্সেলর আমিনুল ইসলাম। দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা ও স্কুলে অধ্যক্ষ অতিথিদের বরণ করেন। এরপরেই মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। পরে বিকেল নামলে আসরের নামাজের পর শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানে তেলাওয়াত করে শোনায় স্কুলের ছাত্র আনাস আব্দুল মতিন। স্বাগত বক্তব্য দেন স্কুল অধ্যক্ষ এস এম মিজানুর রহমান। ছাত্রছাত্রীদের মধ্য থেকে বক্তৃতায় অংশ নেয় সাউদ, সাওদা আরিফুল ইসলাম, সাজিদ উল হক, রুওয়াইদা আব্দুর রহিম। শিক্ষকদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন আনিস মোহাম্মেদ।এরপর ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে সম্মাননা সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট বিতরণ করেন প্রধান অতিথি জনাব মো. নাজমুল হক ও স্কুল পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মেসবাহউদ্দিন আহমেদ। কনসাল জেনারেলের মোঃ নাজমুল হক এর সহধর্মিনী ড.রওনক জাহান খান ও সন্মানিত কাউন্সেলর জনাব আমিনুল ইসলামের সহধর্মিনী মিসেস আসমা হাসনাইন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তারা দু'জন স্কুলের কৃতি ছাত্রীদের মধ্যে সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট বিতরণ করেন। এসময় ছাত্র-ছাত্রীদের স্মৃতি রোমন্থনের এক চমৎকার ভিডিও ক্লিপ প্রদর্শিত হয়। এছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে পরিবেশিত হয় চিত্তাকর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। নেচে-গেয়ে তারা সকলকে মাতিয়ে রাখে। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে স্কুল পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মেসবাহউদ্দিন আহমেদ স্কুলের অভিভাবকদের সাথে নিয়ে কেক কাটেন। স্কুল পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সদস্যগণ ও স্কুল অধ্যক্ষ এতে অংশ নেন। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন স্কুল পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মোহাম্মদ জাবেদ হোসেন। এছাড়াও ও সন্মানিত অভিভাবকবৃন্দ, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। সকলে মিলে একটি আনন্দঘন সময় পার করেন এই আয়োজনে। 

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.