post
সংবাদ

গাজীপুরে পোষাককর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে একজন নিহত

নতুন বেতন ঘোষণায় পোশাক কারখানার শ্রমিকদের অনেকেই কাজে যোগ দিলেও, অপর একটি অংশ তা প্রত্যাখান করে এখনও বিক্ষোভে সরব। গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় একজনের নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। পোশাক কারখানার নিরাপত্তা জোরদারে ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বেতন বাড়ানোর দাবিতে টানা আন্দোলনের মুখে মঙ্গলবার পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণের পর, বুধবার থেকে কাজে যোগ দিয়েছেন তৈরি পোশাক কারখানার একাংশের শ্রমিকরা। এতে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরের কারখানাগুলোতে।তবে, পোশাক শ্রমিকদের একটি বড় অংশ তা প্রত্যাখান করে সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনার দাবি জানিয়ে সকাল থেকে গাজীপুরের কোনাবাড়ী, বাইমাইল ও জরুনসহ কয়েকটি এলাকায় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন ও বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। এসময় যানবাহন ভাঙচুর ও সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ করেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একপর্যায়ে ফাঁকাগুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। এদিকে, ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় পোশাক কারখানার নিরাপত্তা জোরদারে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

post
সংবাদ

২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ছাড়াবে ১০০ বিলিয়ন ডলার : বাণিজ্যমন্ত্রী

২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।তবে শুধুমাত্র গার্মেন্টস খাতের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে অন্যান্য খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। বুধবার বিকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০২০-২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, আইসিটি,লেদার,প্লাস্টিক,ফার্মাসিউটিক্যালস,মেশিনারিজ,জুট প্রোডাক্ট থেকে ২ কিম্বা ৩ বিলিয়ন করতে পারে তাহলে গার্মেন্টস খাত মিলিয়ে ১০০ বিলিয়ন করা খুব বেশি কঠিন তা কিন্তু নয়। সে লক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে।

post
বাংলাদেশ

আলু-পেঁয়াজের দাম কমবে মাসখানেকের মধ্যে: বাণিজ্য সচিব

ডিসেম্বরের আগে আলু-পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দামের বিষয়ে সুফল মিলছে না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানিয়েছেন, এক মাস হয়তো চাপের মধ্যে থাকতে হবে।মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। সিনিয়র সচিব বলেন,‘এটা ঠিক যে মূল্যস্ফীতির যে হিসাব করা হয় সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় যে পণ্যগুলো, সেগুলোর কিন্তু ওয়েটেজটা বেশি। যেহেতু এখানে ওয়েটেজ বেশি যেহেতু অক্টোবর মাসে কয়েকটা পণ্যের দাম বেশি হয়ে গেছে, বিশেষ করে পেঁয়াজ, আলু ও ডিম। এটা শুধু আমাদের কারণে নয়। যেমন পেঁয়াজ কিন্তু রপ্তানি বন্ধের কারণে, ইন্ডিয়া থেকে আসছে না। আলুটা যেমন আমদানি বন্ধ ছিল, এখন আমরা ওপেন (আমদানি) করে দিয়েছি। অনেকগুলো বিষয় এখানে সম্পৃক্ত।’ ‘আশা করি এটা আগামী মাস থেকে কমে আসবে। তবে ডিসেম্বরের শেষে ভালো ফল পাওয়া যাবে আমি আশা করি। আগামী একমাস হয়তো আমাদের একটু চাপের মধ্যে থাকতে হবে, যেহেতু কৃষিপণ্য এটাকে জোর করে ইয়ে (উৎপাদন) করার সুযোগ নেই। হয় উৎপাদন না হয় বিদেশ থেকে আমদানি।’

post
বাংলাদেশ

আন্দোলন সংগ্রামে গার্মেন্টস কর্মীদের নূত্যতম মজুরি হল সাড়ে ১২ হাজার; একাংশের প্রত্যাখান , শুক্রবার সমাবেশ

৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে মজুরি ঘোষণা করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।এরআগে দুপুরে সেগুনবাগিচায় তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণী ষষ্ঠ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে মজুরি বোর্ডের সভাকক্ষে রুদ্ধদার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তখন মজুরি বোর্ডের সামনে অধিকার আদায়ে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেলেন আন্দোলনরত শ্রমিকরা। এদিকে, বিকেলে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা করার ঘোষণার বিষয়ে মুখ খুলেছেন জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারী লীগের সভাপতি ও মজুরি বোর্ডে থাকা শ্রমিক প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা খুশি নয়, তবে রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন পরিস্থিতি মিলিয়ে তারা এটা মেনে নিয়েছেন। অনেকগুলো দাবি আছে, গেজেট হওয়ার সময় সেগুলো পরিষ্কার হওয়া যাবে। তবে এ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছেন শ্রমিকরা। ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার দাবি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। যৌক্তিক পরিমাণে মজুরি বৃদ্ধি না করার প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিক নেতারা। মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। এদিকে পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও মজুরি বোর্ডে থাকা মালিকপক্ষের প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মালিকপক্ষ সবসময় সহনশীল। মালিকপক্ষের সামনে দিয়ে যখন শ্রমিকরা ভাঙচুর করে, আমরা কিন্তু কখনো আমাদের শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাই না। গত ক’দিন ধরেই ঢাকার মিরপুর ও সাভারের আশুলিয়াতেও মজুরী বৃদ্ধির দাবী বিক্ষোভ ভাংচুর করেছে গার্মেন্টস শ্রমিকরা। আজও গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী ও এর আশপাশের বিভিন্ন কারখানার বেতন বাড়ানোর দাবিতে আবারও বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা। এসময় বিক্ষোভকারী শ্রমিকরা দুটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে। শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করর্যব। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে পুলিশ ও র্যা ব সদস্যরা। ##

post
বাংলাদেশ

মেট্রোরেলের প্রথম বাণিজ্যিক ট্রিপ চালু হলো রোববার

উদ্বোধনের আজ রোববার থেকে মেট্রোরেলের বানিজ্যিক চলাচল শুরু হয়েছে রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল রুটে। মেট্রোরেলে চড়ে উত্তরা-থেকে মতিঝিল,মতিঝিল থেকে উত্তরা আসা-যাওয়া করতে পারছেন নরগারবাসী। প্রথমদিনেই ব্যাপক যাত্রীর উপস্থিতি দেখা গেছে প্রতিটি স্টেশনে । রাজধানী ঢাকার যানজট এড়িয়ে কম সময়ে মেট্রোরেলে চড়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারায়,খুশি যাত্রীরা। গতকাল শনিবার মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর রোববার থেকে যাত্রীরা উত্তরা-মতিঝিল রুটে মেট্রোরেলে চলাচল শুরু করেছেন। উত্তরা-মতিঝিল মেট্রোরেল চলাচলের প্রথমদিনেই, বিপুলসংখ্যক যাত্রীর উপস্থিতি দেখা গেছে। তবে উত্তরা থেকে মতিঝিলগামী ট্রেনে ভিড় ছিল বেশ।বেশিরভাগ যাত্রী ছিলেন অফিসগামী।চিরাচরিত ঢাকার যানজট থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পেয়ে, উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। অফিসগামী যাত্রিরা নির্ধারিত সময়ে স্বল্প ব্যয়ে,কম সময়ে গন্তব্যে যেতে পেরে আনন্দিত। এর আগে,রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় মতিঝিল থেকে আগারগাঁওয়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়, প্রথম ট্রেনটি।সকাল ৭টা থেকেই ট্রেনে উঠতে যাত্রীদের লম্বা লাইনে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। প্রায় তিনকোটি বাসিন্দার এই ব্যস্ত নগরীতে মেট্রোরেল নগরপরিবহনে স্বাস্থ্যন্দ ফেরাবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষনা বিভাগের সাবেক পরিচালক ড. শামসুল হক। আর এমআরটি কে আরো বেশি জনবান্ধব করতে সরকারের উদ্যোগের কথা জানান ডিএমটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক।

post
বাংলাদেশ

নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ শিকারে নেমেছেন জেলেরা

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে, চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনায় ইলিশ শিকারে নেমেছেন জেলেরা।বৃহস্পতিবার রাতেই নদীতে নেমে পড়েন, চাঁদপুরের অর্ধলক্ষাধিক জেলে। ইলিশ আহরণ শেষে শুক্রবার ভোর থেকেই, চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে ফিরতে শুরু করেন তারা। তবে জেলেদের দাবি, কাঙ্খিত ইলিশের দেখা মিলছে না নদীতে। এদিকে, দীর্ঘদিন পর চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য। জেলে,ক্রেতা ও বিক্রেতার হাকডাকে সরগরম মাছ ঘাট। যদিও প্রথম দিনে ইলিশের দাম অনেক বেশি বলে দাবি ক্রেতাদের। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে, ইলিশের সরবরাহ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন আড়তদাররা।

post
বাংলাদেশ

সবজিতে স্বস্তি মিললেও,অস্থিরতা কাটেনি পেঁয়াজ ও আলুর বাজারে

বিএনপি ও তাদের মিত্রদের ডাকা হরতাল ও অবরোধের তেমন প্রভাব পড়েনি নিত্যপণ্যের বাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কমেছে কেজিতে ২৫ থেকে ৩০ টাকা পরযন্ত।আলু আমদানির খবরে পাইকারি বাজারে দাম কিছুটা কমলেও, খুচরা বাজারে চিত্র ভিন্ন। পেঁয়াজের দাম আবারো বেড়েছে। দাম বাড়ার পেছনে সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। সরবরাহ ভালো থাকায় বাজারে শীতকালীন সবজির দাম অনেকটাই কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে সবজির দাম কেজিতে কমেছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। আলু আমদানি অনুমোদনের পর,পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ৪২ থেকে ৪৪ টাকা বিক্রি হলেও, খুচরা বাজারে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা। অন্যদিকে,সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। ভোক্তা পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজ ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। আর ভারতীয় পেঁয়াজ ১০৫ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে,অপরিবর্তিত রয়েছে চাল,ডাল ও ভোজ্যতেল সহ বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম।

post
এনআরবি বিশ্ব

ওয়ার্ল্ড ফেয়ার অ্যান্ড ফিস্ট-২০২৩ এ বিশেষ সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড পেলেন রথীন্দ্রনাথ রায় ও কাজী মারুফ!

৬ আগষ্ট রোববার নিউইয়র্কের উডসাইটের গুলশান ট্যারেসে হয়ে গেলে ওয়ার্ল্ড ফেয়ার এন্ড ফিস্ট-২০২৩। অনুষ্ঠানটির আয়োজক অ্যাসোসিয়েশন অব ওয়ার্ল্ড ফেয়ার অ্যান্ড ফিস্ট ইউএসও ইনক। তারা কাজ করে বিভিন্ন পেশাজিবীদের মাঝে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, প্রচার, প্রদর্শন এবং বিভিন্ন ধরনের পণ্য ও পরিষেবা অন্য দেশগুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে। সন্ধ্যা সাতটায় ফিতা ফ্যাস্টিভলের উদ্বোধন করেন আয়োজনের আহ্ববায়ক মেহজাবিন মেহা, প্রধান উপদেষ্টা মো: আতিকুর রহমান ও সভাপতি তারেক মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল চৌধুরী, লেস্টার চ্যাং, মার্ক মেয়ার অ্যাপেল ও কে সি রায়। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মুলে আনিষ্ঠানিকতা।  বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন পেশার নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ অংশ নেন এই আয়োজনে। একে অপরের ভাবনা শেয়ার করেন মঞ্চে। ফাকে ফাকে চলে বিশেষদের সম্মান জানানো ও বিশিষ্ট অতিথীদের পরিচিতি পর্ব। সেখানে আয়োজক ও আমন্ত্রিত অতিথীরা পুরস্কার তুলে দেন বিশেষ ক্ষেত্রে অবদান রাখা ১২ জন ব্যাক্তিবর্গকে। পুরস্কার পাওয়া ব্যাক্তিরা হলেন অভিনেতা কাজী মারুফ, রথীন্দ্র নাথ রায়, তমালিকা করমোকার, ইরফান খান। পুরস্কার দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়েছে আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথীদেরও। পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন লেস্টার চ্যাং, প্রতিষ্ঠাতা বিএমএপিসি মার্ক মেয়ার অ্যাপল, কে সি রায়, মার্সিডিজ নার্সিস, মার্ক মেয়ার অ্যাপল, অ্যাল্ডার অ্যাম্বার, ডাঃ সিমা কারেতনয়া এবং ফাহাদ সুলাইমান পুরস্কার পেয়েছেন।এরপর মার্ক মেয়ার আপেল নিউইয়র্ক সিটি ও স্টেট ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে সার্টিফিকেট গ্রহন করেন আয়োজনের আহ্বায়ক মেহাজাবিন মেহা এবং প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। এরপর তাদের হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মডলে মোনালিসা। আমন্ত্রিত নগর কর্মকর্তাদের সামনে মঞ্চে ডেকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার পাশাপাশি বিশেষ সম্মান জানানো হয় অনুষ্ঠানের রাষ্ট্রদূত সগীর খানকে, বাংলাদেশ আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদর্ক প্রিন্স আলম, বাপার দ্বিতীয় সহ-সভাপতি আলী চৌধুরী, সিডব্লিউ লোকাল ১১৮২'র সভাপতি সৈয়দ রহিম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইসলাম ও সহ-সভাপতি সাদিক প্রমুখকে। অনুষ্ঠানে শেষ অংশে ছিলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৌশ ভোজ। খাবার গ্রহনের পাশাপাশি আমন্ত্রিত অতিথীরা উপভোগ করেছেন জমকালো সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান। যেখানে পারফর্ম করে বাংলা ব্যান্ড। গান গেয়ে দর্শকদের মাতান রেশমী মির্জা, হীরা, মার্শাল টিটো, শামীম সিদ্দিক, অউনিক ও আহবায়ক নিজেও। সবশেষে পারফর্ম করেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় প্লেব্যাক সিঙ্গার রিজিয়া পারভিন। রাত ১২টায় শেষ হয় ওয়ার্ল্ড ফিস্ট অ্যান্ড ফেয়ারের দ্বিতীয় আসরের আয়োজন। সংগঠনের কার্যক্রম ও পুরো আয়োজনকে সফল করতে যারা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তারা হলেন সহ-আহ্বায়ক মার্শাল টিটো, সহ-সভাপতি সাংস্কৃতিক কমিটির সদস্য মাহমুদুল হাসান অণিক, অনুষ্ঠান কমিটির সদস্য হীরা, নিলুফার ইয়াসমিন, নাসরিন ঝুমুর, ডা. রফিক, ডা. মোক্তার, ড. কামরুল, প্রধান সমন্বয়ক মিন্টু কুমার রায় ও সদস্য সচিব দীপক দাস। অনুষ্ঠানটির পরিচালনা করে আনিকা চৌধুরী। ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠা পাওয়া সংগঠনটি ২০২২ সালে ওরলেন্ডুতে করিছেলা তাদের প্রথম ওয়ার্ল্ড ফেয়ার অ্যান্ড ফ্যাস্টিবল। গতবারের আয়োজনে অংশ নিয়েছিলো বিশ্বের ছয়টি দেশের প্রতিনিধগণ। এবার আয়োজনে উপস্থিত হয়েছিলেন দশটি দেশের বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা। 

post
বাংলাদেশ

৭,৬১,৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট পেশ; রাজস্ব আদায়ে বড় চ্যালেঞ্জ; চাপে পড়বে অর্থনীতি

চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে নেতিবাচক অবস্থা বিরাজ করছে রাজস্ব আদায়ে। এর মধ্যেই এই খাতে আগামী বাজেটে নির্ধারণ করা হয়েছে মোটা অঙ্কের লক্ষ্যমাত্রা, যা বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। আইএমএফ-এর শর্ত পূরণ করতে গিয়েই মূলত সৃষ্টি হয়েছে এমন পরিস্থিতি। যদি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় কম হয়, সেক্ষেত্রে ব্যয় মেটাতে বেড়ে যাবে সরকারের ব্যাংক ঋণ।এছাড়া আগামী দিনে মূল্যস্ফীতি, বড় অঙ্কের ভর্তুকি ও সুদ পরিশোধ ব্যয় অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। কারণ, আয় কমে যাওয়ায় একধরনের অর্থ সংকটে ভুগছে সরকার। এসব প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেই অর্থমন্ত্রী আজ ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করবেন। আগামী (২০২৩-২৪) অর্থবছরের এই বাজেটে মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। আর ঘাটতি (অনুদানসহ) ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি এবং (অনুদান ছাড়া) ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বেলা ৩টায় বাজেট পেশ করার আগে দিনের প্রথমার্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এর অনুমোদন দেওয়া হবে। এটি হবে বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদের পঞ্চম এবং শেষ বাজেট। একই সঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পঞ্চম বাজেট। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এবারের বাজেটের মূল দর্শন হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’। স্মার্ট বাংলাদেশ চারটি মূল স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত হবে। এগুলো হচ্ছে-স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট ইকোনমি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটটি হবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে প্রথম বাজেট। এর মধ্য দিয়ে ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে স্মার্ট যুগে নেওয়ার স্বপ্ন দেখাবেন অর্থমন্ত্রী। যদিও সেখানে পৌঁছতে রয়েছে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবন্ধকতা। আগামী বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে এ খাতে ১০০ কোটি টাকার একটি তহবিল রাখা হচ্ছে। এবারের বাজেটে স্বাস্থ্য, কৃষি, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনাকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে মূল্যস্ফীতির প্রাক্কলন করা হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অর্থবছরের পুরো সময় থাকবে সরকারের নানা ধরনের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং বাড়ানো হয়েছে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা। এছাড়া মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতনভাতা সমন্বয়ের ঘোষণা থাকতে পারে। তবে বেতনভাতা বাড়ানোর কাজ শুরু হবে বাজেটের পর। ধারণা করা হচ্ছে, ওই সময় সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বেতন বাড়তে পারে, যা কার্যকরের সম্ভাবনা রয়েছে পহেলা জুলাই থেকে। কিন্তু এরপরও সাধারণ মানুষের বড় অংশই মূল্যস্ফীতির জাঁতাকলে আরও পিষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। কারণ, এখনো সহনীয় মাত্রায় পৌঁছায়নি নিত্যপণ্যের দাম। আগামী বাজেটে সবচেয়ে বড় চাপ আইএমএফ-এর ঋণ শর্ত। এই শর্ত পালন করতে গিয়ে ৬৫ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত কর আদায় করতে হবে জনগণের কাছ থেকে। এজন্য চালু করা হবে সর্বজনীন কর-ব্যবস্থা। অর্থাৎ, কমপক্ষে দুই হাজার টাকা কর প্রত্যেককে গুনতে হবে। স্বাভাবিক জীবনযাপনে ৪৪ ধরনের সেবা পেতে এই কর দিতে হবে। সরকারের আয় বাড়াতে করপোরেট কর কমানো হচ্ছে না এবার। তবে মূল্যস্ফীতি থেকে লাঘব দিতে ব্যক্তি আয়করসীমা তিন লাখ থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা ধার্য করার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া প্লট, ফ্ল্যাট ও গাড়ি কেনার খরচ বাড়বে। শঙ্কার জায়গা হচ্ছে, চলতি অর্থবছরে জুলাই থেকে এপ্রিল-এই সময়ে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমেছে। এই নেতিবাচক ধারার মধ্যে আগামী অর্থবছরে কর রাজস্ব ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি চলতি অর্থবছরের তুলনায় ৬২ হাজার কোটি টাকা বেশি। কিন্তু কোনো কারণে সেটি আদায় সম্ভব না হলে সরকারের ব্যয় মেটাতে ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়বে। আর ঋণ বেশি নেওয়া হলে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কম হবে। কারণ, ঋণপ্রবাহ কমবে বেসরকারি খাতে। এতে বিরূপ প্রভাব পড়বে কর্মসংস্থানের ওপর। এদিকে রাজস্ব আয়ের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আগামী বাজেটে করহার ব্যাপকভাবে বাড়ানো হচ্ছে। বিশেষ করে নিত্যব্যবহার্যসামগ্রী যেমন: প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্র, টয়লেট টিসু, কলম, মোবাইল ফোন উৎপাদনে ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়া ডলার সাশ্রয়ে এবং শুল্ক ফাঁকি রোধে কাজুবাদাম, খেজুরের মতো খাদ্যসামগ্রীর আমদানি শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়া গৃহস্থালিসামগ্রীর ক্ষেত্রে বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের তৈরি সব ধরনের টেবিলওয়্যার, কিচেনওয়্যার, গৃহস্থালিসামগ্রী উৎপাদনে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হচ্ছে। একই হারে অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি গৃহস্থালিসামগ্রী ও তৈজসপত্রের (হাঁড়িপাতিল, থালাবাসন) ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে। কিচেন টাওয়াল, টয়লেট টিসু, ন্যাপকিন টিসু, ফেসিয়াল টিসু/পকেট টিসু ও পেপার টাওয়াল উৎপাদনে ৫ শতাংশ ভ্যাট আছে, এটি বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে টিসু পেপারের দাম বাড়তে পারে। শহরে বেশির ভাগ মধ্যবিত্ত বাড়িতে খাবার গরম করতে মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহার করে থাকে। শুল্ক ফাঁকি রোধে বাজেটে সব ধরনের ওভেন আমদানির শুল্ক ৩০ শতাংশ বাড়াচ্ছে, মোট করভার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ করছে। এতে বিদেশি ওভেনের দাম বাড়তে পারে। সিলিন্ডার উৎপাদনে ব্যবহৃত স্টিল ও ওয়েল্ডিং ওয়্যার আমদানিতে শুল্ক আরোপ এবং উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে। এতে বাজারে সিলিন্ডারের দাম বাড়তে পারে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবিএম মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, আগামী অর্থবছরের জন্য যে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, সেটি বাস্তবসম্মত নয়। এটি অর্জন কঠিন হবে। তবে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, জিডিপির অনুপাতে কর আহরণ বিশ্বের সর্বনিম্ন দেশের তালিকায় বাংলাদেশ। পার্শ্ববর্তী নেপালের চেয়েও কম আদায় হয়। অথচ নেপালের মাথাপিছু আয় আমাদের চেয়েও কম। আইএমএফ বলেছে, প্রতি অর্থবছরে জিডিপির দশমিক ৫ শতাংশ কর আহরণ বাড়াতে হবে। এজন্য আমাদেরও চেষ্টা থাকতে হবে কর আদায় বৃদ্ধির জন্য। এদিকে আইএমএফ-এর ঋণের শর্ত পূরণ করতে গিয়ে আগামী অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ কম নেবে সরকার। চলতি অর্থবছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকার ঋণের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আগামী বছর এ খাত থেকে নেওয়া হবে ১৮ হাজার কোটি টাকা। যদিও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সরকার নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। সর্বশেষ বুধবার কৃচ্ছ সাধনের কর্মসূচির অংশ হিসাবে আকাশপথে প্রথম শ্রেণিতে বিদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ হচ্ছে। এছাড়া মূল্যস্ফীতির প্রভাব মোকাবিলায় সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সব ধরনের ভাতা ও আওতা বাড়ছে। এ খাতে বরাদ্দ থাকছে সম্ভাব্য ১ লাখ ২৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা। তবে নতুন হচ্ছে-জুলাই থেকে সীমিত আকারে সর্বজনীন পেনশন চালু করা হবে। প্রবাসী, চাকরিজীবী, সাধারণ মানুষসহ কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করে সীমিত আকারে তা করা হবে-এমনটি ঘোষণা থাকবে বাজেটে। বর্তমানে বৈশ্বিক সংকট চালমান। এর প্রভাবে একধরনের সংকট বিরাজ করছে অভ্যন্তরীণ পর্যায়েও। এর আগে গেছে কোভিড-১৯ মহামারি। ফলে অর্থনীতি থেকে পুরোপুরি কালো মেঘ কাটেনি। এরপরও আগামী অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জিডিপির প্রত্যাশা করা হচ্ছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। যদিও চলতি অর্থবছরে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে-এমনটি ধরে নিচ্ছে অর্থ বিভাগ। মোট ব্যয় : ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় হচ্ছে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ২৮১ কোটি এবং মূলধনি ব্যয় ৩৯ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। পরিচালন ব্যয়ের মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি, বিদেশি ঋণ পরিশোধে ১২ হাজার ৩৭৬ কোটি, অভ্যন্তরীণ ঋণ শোধে ৮২ হাজার কোটি, ঋণ ও অগ্রিম খাতে ৮ হাজার ৪২০ কোটি, বিশেষ প্রকল্পে ৭ হাজার ৯৮৬ কোটি, কাবিখাতে ২ হাজার ৮২৮ কোটি, স্কিমে ৩ হাজার ৭৬৮ কোটি এবং অন্যান্য খাতে বরাদ্দ আছে ৫৫ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা। আয় খাত : মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে কর রাজস্ব ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং কর ব্যতীত প্রাপ্তি ৫০ হাজার এবং বৈদেশিক অনুদান ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। মোট করের মধ্যে এনবিআর কর হচ্ছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি এবং নন এনবিআর ২০ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি : মোট ঘাটতি (অনুদানসহ) ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি এবং (অনুদান ছাড়া) ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এই ঘাটতি পূরণে বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হবে ১ লাখ ২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। এছাড়া অভ্যন্তরীণ খাত থেকে নেওয়া হবে ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। এই অভ্যন্তীরণ খাতের ঋণ আসবে ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি, সঞ্চয়পত্র থেকে ১৮ হাজার এবং অন্যান্য খাত থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা। জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান যুগান্তরকে বলেন, আইএমএফ-এর ঋণের অনেকগুলো সংস্কার কর্মসূচির শর্ত বাংলাদেশকে মানতে হচ্ছে। কিন্তু এসব সংস্কারের কথা বিশেষজ্ঞমহল অনেকদিন থেকেই বলে আসছে। গত কয়েকটি বাজেটেও সরকার এসব সংস্কারের অঙ্গীকার করেছে। শর্তগুলো বাস্তবায়নের জন্য বাড়তি রাজস্ব আহরণের প্রস্তাব বাজেটের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হতে পারে। এজন্য শক্ত উদ্যোগ নিলে বাড়তি রাজস্ব আদায় সম্ভব। আর এনবিআরকে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারে আরও দক্ষ হতে হবে। সরকার ও সমাজের প্রতিটি অংশের তাদের কাছে প্রাপ্য কর ও ফি পরিশোধে পুরোপুরি অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। কর ও ভ্যাট সম্পর্কিত সব বকেয়া মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ভালো আইনজীবী নিয়োগ এবং অনানুষ্ঠানিক মামলা নিষ্পত্তি বা এডিআর কার্যক্রম নিষ্ঠার সঙ্গে পরিচালনা করতে হবে। এবার বাজেটকে অধিকতর অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইট www.mof.gov.bd-এ বাজেটের সব তথ্যাদি ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাঠ ও ডাউনলোড করতে পারবেন। এজে/

post
বাংলাদেশ

বাংলাদেশের ব্যবহার যোগ্য রিজার্ভ সাত বছরে সর্বনিম্ন

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধ করায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে আরও ১১৮ কোটি ডলার বা ১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার কমেছে। এতে রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারে, যা গত সাত বছরে সর্বনিম্ন। যদিও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের মানদণ্ড অনুযায়ী ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের অঙ্ক আরও ৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার কম হবে। সংস্থাটির হিসেবে বাংলাদেশের ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইএমএফ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। আকু হলো একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তানের মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। এ ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর সুদসহ আমদানির অর্থ পরিশোধ করে। ইরানের রাজধানী তেহরানে আকুর সদর দপ্তর। দায় পরিশোধের মতো রিজার্ভ না থাকায় গত বছরের অক্টোবরে আকু থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে চরম আর্থিক সংকটে থাকা শ্রীলংকা। ব্যাংকারদের মতে, বৈশ্বিক মুদ্রাবাজারে স্বস্তি ফেরাতে আমদানি দায় কমানোর উদ্যোগের মধ্যেও সংকট কাটেনি। নতুন এলসি কমলেও আগের দায় পরিশোধের চাপ রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে। এ কারণে সংকট কাটছে না অর্থনীতিতে। পাশাপাশি রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স কমে যাওয়ায় চাপ আরও বেড়েছে। তবে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নানা উদ্যোগের কারণে দ্রুত সময়ের মধ্যে ডলার সংকট কেটে যাবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে রিজার্ভ। ওই অর্থবছরের শেষে রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। ৭ বছর পর আবারও ২৯ বিলিয়নের ঘরে নেমে এসেছে রিজার্ভ। ২০১৭ সালের ২২ জুন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। করোনার আগ পর্যন্ত ৩২ থেকে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘরে ওঠানামা করেছিল রিজার্ভ। কিন্তু করোনার প্রভাব শুরু হলে বিশ্ববাজারে সুদহার অনেক কমে আসে। তখন বিশ্বের অনেক দেশ বৈদেশিক ঋণ কমালেও বাংলাদেশ ব্যাংক বাড়ানোর সুযোগ করে দেয়। মূলত, ২০২১ সালের মধ্যে রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে এমন পথ বেছে নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২০২১ সালের আগস্টে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছিল। তবে করোনা-পরবর্তী বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বেশির ভাগ জিনিসের দাম বেড়েছে। এরপর রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরের শেষে রিজার্ভ ছিল ৪৬ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন ডলার। ২০২২ সালের জুন শেষে ৪১ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার। গত এক বছরে ১৩ বিলিয়নের বেশি কমে বর্তমানে এ পর্যায়ে নেমে এসেছে।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.