ট্রেন্ডিং
শীর্ষ খবর
সর্বশেষ খবর
সাম্প্রতিক খবর
এনআরবি লাইফ
ওজন কমাতে চাইলে যে ভুল নয়
- ০৯ মে ২০২৪
আমিরাতে সফল চট্টগ্রামের খোরশেদ
- ০৯ মে ২০২৪
দই খাওয়ার উপকারিতা
- ০৭ মে ২০২৪
ক্যান্সার থেকে বাঁচতে সচেতন হওয়ার তাগিদ
- ০৩ মে ২০২৪
এনআরবি সাফল্য

এনআরবিসি টিভির আলোচনায় যা বললেন স্কটিশ পার্লামেন্টের শ্যাডো মিনিস্টার ফয়সল চৌধুরী!
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
১৭ অক্টোবর থেকে পিপলএনটেকের সেলেনিয়ামের নতুন ব্যাচের ক্লাস শুরু
১৩ অক্টোবর ২০২৩
নাটকের পর তামিমকে ছাড়াই বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল
০৫ অক্টোবর ২০২৩
একাত্তর ফাউন্ডেশনের লাইভ কনসার্টে ভার্জিনিয়ার দর্শকদের মাতিয় গেলেন ইমরান-কনা ও মিতালী মুখার্জী
০৫ অক্টোবর ২০২৩
একাত্তর ফাউন্ডেশনের লাইভ কনসার্টে ভার্জিনিয়ার দর্শকদের মাতিয় গেলেন ইমরান-কনা ও মিতালী মুখার্জী
০৫ অক্টোবর ২০২৩
সফলতার নতুন রেকর্ড গড়লো ডালাস ফোবানা-২০২৩ II FOBANA-2023
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ধ্রুপদের আয়োজনে চমৎকার এক সঙ্গীত সন্ধ্যা উপভোগ করলো ডিএমভিবাসী!
২২ আগস্ট ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রে ট্যাক্সফাইল কিভাবে করবেন? এনআরবিসি বিজনেস অনুষ্ঠানে কাজী ইসলাম দিয়েছেন সব উত্তর!
২২ আগস্ট ২০২৩
আনুষ্ঠানকিভাবে নেইমার এখন আল হিলালের
২২ আগস্ট ২০২৩
ডব্লিউইউএসটির সমাবর্তনে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের শুভেচ্ছা বার্তা
২২ জুন ২০২৩
পা দিয়ে লিখেই পরিবারের দুঃখ ঘোচাতে চায় দুখু মিয়া
২২ জুন ২০২৩
পিকনিক করে উৎসবমুখর এক দিন কাটালো ডব্লিউইউএসটির ছাত্রছাত্রীরা
২২ জুন ২০২৩আরো খবর
ঠান্ডার সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়
ঠান্ডার সমস্যায় আমরা অনেকেই ওষুধের দিকে হাত বাড়াই। এতে দ্রুত আরাম পাওয়া যায় ঠিকই তবে দীর্ঘমেয়াদে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তবে এ ধরনের সমস্যার অনেক প্রাকৃতিক প্রতিকার রয়েছে যা উপসর্গগুলো উপশম করতে এবং নিরাময়কে উন্নীত করতে সাহায্য করতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাকৃতিক পদ্ধতি গ্রহণ করা এবং শরীরকে এটির মাধ্যমে কাজ করতে দেওয়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভালো।সর্দি-কাশি বা এ ধরনের সমস্যা দূর করার জন্য ওষুধ খাওয়ার পরিবর্তে শ্লেষ্মা মুক্ত করার চেষ্টা করুন। এই পদ্ধতিটি আপনার শরীরকে স্বাভাবিকভাবে শ্লেষ্মা এবং টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, ঠান্ডার সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়-১. বাষ্প শক্তি ব্যবহার কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল বা পুদিনা পাতা দিয়ে ভাপ দিলে তা শ্লেষ্মাকে তরল করতে এবং নিষ্কাশনে সাহায্য করতে পারে। এটি জমে থাকা কফ এবং অস্বস্তি থেকে দ্রুত মুক্তি দিতে পারে। তবে গরম পানির ভাপ নেওয়ার সময় সতর্ক থাকবেন যেন তা গায়ে না পড়ে। কারণ তাতে ত্বক পুড়ে যাওয়ার বা ফোসকা পড়ার ভয় থাকে।২. অতিরিক্ত পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন সর্দি হলে আপনার শরীরের কথা শোনা এবং অতিরিক্ত কার্যকলাপ এড়ানো অপরিহার্য। কঠোর ব্যায়াম করলে বা ঘামে ভিজে গেলে তা এ ধরনের সমস্যা আরও খারাপ করে তুলতে পারে এবং আরও জটিলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। ৩. গার্গল হালকা গরম পানি, হলুদ এবং লবণ দিয়ে গার্গল করলে তা গলা ব্যথা প্রশমিত করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এই সহজ প্রতিকারটি ঠান্ডার সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে খুব কার্যকরী হতে পারে। ৪. মধুর নিরাময় শক্তি মধু ঔষধি গুণাবলীতে সমৃদ্ধ একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার। কুচি করা আদা, গোলমরিচ, হলুদ এবং দারুচিনির সঙ্গে মধু খেলে তা ঠান্ডার উপসর্গ উপশম করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। মধু কাঁচা খাবেন এবং গরম পানি, চা বা কফির সঙ্গে মেশাবেন না। এটি গলা প্রশমিত করতে, কাশি কমাতে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আপনার শরীরকে শক্তির একটি প্রাকৃতিক উৎস সরবরাহ করে। ৫. হালকা গরম পানি পান করুন ঠান্ডার সময় প্রচুর পানি পান করা জরুরি। হালকা গরম পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে, শ্লেষ্মা বের করে দেয় এবং নিরাময় প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করে। সারাদিন হালকা গরম পানিতে চুমুক দিলে তা শুধু আপনাকে হাইড্রেটেডই রাখে না বরং শরীরের বিপাকীয় আগুন ধরে রাখতে সাহায্য করে, যা দ্রুত সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- ১৬ নভেম্বর ২০২৪
মুখের কোণে ঘা? জেনে নিন দূর করার ঘরোয়া উপায়
মুখের কোণে ঘা হলে খাওয়া, কথা বলা এবং এমনকি হাসিও কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। মানসিক চাপ, ছোটখাটো আঘাত বা কিছু খাবারের কারণে এই ঘা দেখা দেয়। যদিও এই সমস্যা সাধারণত এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে নিজে থেকেই নিরাময় হয়, তবে কিছু প্রাকৃতিক প্রতিকার নিরাময় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে এবং অস্বস্তি কমাতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, মুখের কোণে ঘা হলে তা দূর করার ঘরোয়া উপায়-নারিকেল দুধ দিয়ে ধুয়ে ফেলুন নারিকেল দুধ শুধু তরকারি এবং স্মুদির জন্যই দারুণ নয়; এটি মুখের আলসারের জন্যও বিস্ময়কর কাজ করতে পারে! ফাইটোথেরাপি রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, নারিকেলের দুধ আলসারে শক্তিশালী সুরক্ষা দেয়। এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য ব্যথা এবং ফোলা কমাতে সাহায্য করে, এর প্রাকৃতিক শীতল প্রভাব কালশিটে জায়গাটিকে প্রশমিত করে।পানির সঙ্গে গ্রেট করা নারিকেল ব্লেন্ড করে এবং ছেঁকে নিয়ে নারিকেলের দুধ বের করুন। দিনে ২-৩ বার ৩০ সেকেন্ডের জন্য আপনার মুখের চারপাশে দুধ ঘষুন।মধু ও হলুদের মিশ্রণ মধু হলো একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট, এদিকে হলুদে থাকে কারকিউমিন, এটি একটি যৌগ যা এর প্রদাহ বিরোধী এবং নিরাময় বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এই দুই উপাদান একসঙ্গে মিশ্রিত হলে তা মুখের আলসার বা ঘায়ের জন্য একটি শক্তিশালী প্রতিকার তৈরি করে। কীভাবে ব্যবহার করবেন ১ চা চামচ মধুর সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। আক্রান্ত স্থানে পেস্টটি ঘষুন এবং ১৫ মিনিট রেখে দিন। হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। অ্যালোভেরা জেল অ্যালোভেরা তার ত্বক-নিরাময় বৈশিষ্ট্যের জন্য সুপরিচিত, কিন্তু আপনি কি জানেন যে এটি মুখের আলসারের জন্যও সমানভাবে কার্যকর? এর প্রশান্তিদায়ক এবং প্রদাহ বিরোধী গুণাবলী তাৎক্ষণিক পরিত্রাণ দিতে পারে এবং দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করতে পারে। কীভাবে ব্যবহার করবেন একটি তাজা অ্যালোভেরার পাতা কেটে জেল বের করে নিন। এবার একটি পরিষ্কার তুলো ব্যবহার করে সরাসরি আক্রান্ত স্থানে জেলটি প্রয়োগ করুন। দ্রুত ফলাফলের জন্য দিনে ২-৩ বার ব্যবহার করুন।
- ১৬ নভেম্বর ২০২৪
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে-মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত তিন মাসে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে। তারা অনেকগুলো কাজ করেছে।’ আজ বৃহস্পতিবার শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এ শ্রদ্ধা জানানো হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, সবাই যদি তাদেরকে (অন্তর্বর্তী সরকার) সহযোগিতা করি এবং উপযুক্ত ও যৌক্তিক সময়ে তারা একটি নির্বাচন দিতে সক্ষম হলে জাতির সামনে যে চ্যালেঞ্জ আছে, তা পূরণে সক্ষম হবে।’ তিনি বলেন, ‘আজকে শপথ নিয়েছি-জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আধিপত্যবাদকে রুখে দিয়ে স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখব, সংগ্রাম ও আন্দোলন চালিয়ে যাব।’ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বিএনপিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছিল উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৭ শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম-খুন করেছে। ৬০ লাখের বেশি মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে তারা।’ বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তারা একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চেয়েছিল, কিন্তু আল্লাহর রহমতে ৫ আগস্ট তৃতীয়বারের মতো এই ফ্যাসিস্ট সরকার ও তাদের আধিপত্যবাদকে পরাজিত করতে পেরেছি।’ এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ডা. জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।
- ০৭ নভেম্বর ২০২৪
আবার কীভাবে জিতলেন ট্রাম্প
আট বছর আগে প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখন ট্রাম্পের বিজয়কে ‘সংকীর্ণ’ হিসেবে বর্ণনা করাটা সহজ ছিল। এমনকি সেই বিজয়কে ‘অপ্রত্যাশিত’ সাফল্য হিসেবে অভিহিত করারও সুযোগ ছিল। কিন্তু এবার আর ট্রাম্পের বিজয়ের ক্ষেত্রে এসব কথা প্রযোজ্য নয়। ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনের কাছ পরাজিত হয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু তিনি নির্বাচনে জালিয়াতির ভুয়া অভিযোগ তোলেন। ট্রাম্পের উসকানিতে তাঁর উগ্র সমর্থকেরা ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন কংগ্রেস ভবনে (ক্যাপিটল হিল) রক্তক্ষয়ী হামলা চালিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা হয়। এমনকি একটি ফৌজদারি মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত পর্যন্ত হন। এত কিছু সত্ত্বেও ট্রাম্প এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে স্পষ্ট বিজয় অর্জন করেছেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি দোদুল্যমান হিসেবে পরিচিত সাতটির মধ্যে পাঁচটি অঙ্গরাজ্যেই জয়ী হয়েছেন। ফলাফল এখনো ঘোষণা না হওয়া বাকি দুটিতেও তিনি জয়ের পথে।এবারের নির্বাচনে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি প্রান্তে তাঁর সমর্থন বাড়িয়েছেন। এমনকি প্রায় প্রতিটি জনগোষ্ঠীর মধ্যে তাঁর সমর্থন এবার বাড়তে দেখা গেছে। ২০২০ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের ফলাফলের মধ্যে যদি তুলনা করা হয়, তাহলে নির্বাচনী মানচিত্র ‘লাল’ রঙের (রিপাবলিকান) ছেয়ে যাওয়ার দৃশ্য চোখে পড়বে। নিউইয়র্ক টাইমসের অনুমিত হিসাব অনুযায়ী, ট্রাম্প গত ২০ বছরের মধ্যে প্রথম কোনো রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী, যিনি জাতীয় সাধারণ ভোটেও (পপুলার ভোট) জয়ী হতে যাচ্ছেন। তবে একই সময়ে এ কথাও বলতে হয়, ট্রাম্পের এই জয়ের মাত্রাকে অতিরঞ্জিত করে দেখা উচিত নয়। কারণ, এটি কোনো ভূমিধস জয় নয়।যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় পপুলার ভোটের ক্ষেত্রে কোনো প্রার্থীর এক বা দুই শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে বিজয় অর্জন অস্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়। আবার প্রায় ৩১২টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেয়ে কোনো প্রার্থীর জয়ী হওয়াটাও বিরল কিছু নয়। ট্রাম্পের এবারের জয় ২০১২ সালে ডেমোক্র্যাটপ্রার্থী বারাক ওবামার ‘পরিমিত’ বিজয়ের মতো অতটা বড় কিছু নয়। পরিবর্তনের ডাক দিয়ে ওবামা ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রথমবার জয়ী হন। একইভাবে আরেক ডেমোক্র্যাটপ্রার্থী বিল ক্লিনটন পরিবর্তনের ডাক দিয়ে ১৯৯২ সালের নির্বাচনী জয়ী হয়েছিলেন। এই দুই নির্বাচনে জয়ী দুই প্রার্থীর (ওবামা ও ক্লিনটন) চেয়েও ভালো করতে পারেননি ট্রাম্প। বরং এ ক্ষেত্রে তিনি অনেকটা পিছিয়ে আছেন।তবে যে বিষয়টি উল্লেখযোগ্য, তা হলো ট্রাম্প কোনো সাধারণ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নন। ফলে তাঁর সাদামাটা জয়ও নিয়ে অনেক চর্চা হচ্ছে। ট্রাম্প আদালত ঘোষিত রায় অনুযায়ী একজন অপরাধী। তিনি ২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ফলাফল উল্টে দিতে চেয়েছিলেন। সে জন্য তিনি নানান অপতৎপরতা চালিয়েছিলেন। এসব দিক বিবেচনায় ট্রাম্পকে সাধারণভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘কার্যকর’ প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল না। তবে বাস্তবিক ক্ষেত্রে দেখা গেল, ট্রাম্প কেবল কার্যকর প্রার্থীই ছিলেন না, তিনি সন্তোষজনকভাবে জিতে গেছেন। ট্রাম্প নির্বাচনে জয়ী হওয়া সত্ত্বেও বেশির ভাগ ভোটার তাঁকে একজন ‘অপ্রীতিকর’ প্রার্থী হিসেবে দেখছেন।সিএনএনের বুথফেরত জরিপে (এক্সিট পোল) দেখা গেছে, ট্রাম্পের প্রতি অনুকূল দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করা ভোটারের হার মাত্র ৪৪ শতাংশ। অন্যদিকে, ট্রাম্পের প্রতি প্রতিকূল দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করা ভোটারের হার ৫৪ শতাংশ। বেশির ভাগ ভোটার (৫৫ শতাংশ) বলেছেন, ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই চরম। তবে এই ব্যাপারটি স্পষ্ট যে ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্পের বিষয়ে আবেদন থাকার ক্ষেত্রে এমন অনেক দিক আছে, যা জরিপের সহজ প্রশ্নে উঠে আসে না। কিন্তু ট্রাম্পের এই বিজয় ডেমোক্র্যাটদের অবস্থা সম্পর্কে অনেক বিষয়ের ব্যাখ্যা দিতে পারে। আবার মার্কিন জনসাধারণের মধ্যে পরিবর্তনের যে আকাঙ্ক্ষা, সে বিষয় সম্পর্কেও ধারণা দিতে পারে। সেই প্রেক্ষাপটে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তি ট্রাম্পের ভূমিকা মুখ্য নয়। সর্বোপরি কাগজে-কলমে ডেমোক্র্যাটরা এই নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য উপযুক্ত অবস্থানে ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রে কোনো প্রেসিডেন্টের জনসমর্থন যখন তলানিতে চলে যায়, তখন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর নির্বাচনে জয়ী হয়ে হোয়াইট হাউসে যাওয়ার ইতিহাস নেই। আবার অনেক আমেরিকান যখন মনে করেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্বে দেশ ভুল পথে রয়েছে, তখনো সেই দলের প্রার্থীর জয়ী হওয়ার নজির নেই।
- ০৭ নভেম্বর ২০২৪