post
যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রে ঈদুল ফিতর পালিত

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন রাজ্যে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমেরিকার বিভিন্ন শহর ও মসজিদ্গুলোতে সকাল থেকে বিভিন্ন ইসলামিক সেন্টারগুলোতে স্থানীয়দের সাথে প্রবাসী মুসল্লিরা ঈদের জামাতে অংশ নেন। কুইন্সের সানিসাইড মুসলিম সেন্টারে ঈদের নামাজ পড়ান শায়েখ ইউসুফ রেজা চৌধুরী। এসময় মসজিদ কমিটির সভাপতি পারভেজুর রহমান ও আলতাফ হোসেনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

post
যুক্তরাষ্ট্র

গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় ১৯ শতকের গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতে যাচ্ছে৷ ১৮৬৪ সালের এক আইনে গর্ভপাতে সহায়তা করা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুয়োগ রয়েছে৷ অ্যারিজোনা রাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে জানিয়েছে, রাজ্যটি গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার জন্য ১৮৬৪ সালের এই আইন পুনরায় কার্যকর করতে পারে৷ আইনটি কার্যকর হলে গর্ভপাতে সহায়তাকারী চিকিৎসকদের বিচারের মুখোমুখি করার আশঙ্কা বেড়ে যাবে৷ অ্যারিজোনা রাজ্যের বিদ্যমান আইন অনুসারে ধর্ষণ অথবা অনিচ্ছাকৃত ঘটনায়ও গর্ভপাত নিষেধ৷ শুধু মায়ের জীবনের আশঙ্কা থাকলে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হবে৷ আইনটিতে গর্ভপাতের ক্ষেত্রে সহায়তা করার জন্য, দুই থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে৷

post
যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তার উদ্যোগে ডব্লিউইউএসটি ফাউন্ডেশন

পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে এবং ঈদ উল ফিতর সামনে রেখে নিউইয়র্কের কুইন্সে নিম্নআয়ের তিন শতাধিক পরিবারের জন্য খাদ্য সহায়তার উদ্যোগ নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে ডব্লিউএসটি ফাউন্ডেশনসহ কয়েকটি সংগঠন-প্রতিষ্ঠান।পরিবারগুলোর মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের একটি মহতী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে গত রবিবার ৭ এপ্রিল। জীবনযুদ্ধে অব্যহত লড়াই চালিয়ে যাওয়া মানুষগুলোর দিকে সামান্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে এবং ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতেই এই উদ্যোগ।ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’র উদ্যোগে গড়ে তোলা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ডব্লিউএসটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কমিউনিটির সুবিধাবনচিত মানুষের পাশে থাকছে। নিউইয়র্কে সেইভ দ্য পিপল ও মুনা সোশ্যাল সার্ভিসেস নামের দুটি সংগঠনের সাথে যৌথভাবে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করলো ডব্লিউইউএসটি।এইদিন সকাল থেকেই কুইন্সের জামাইকায় নিম্নআয়ের মানুষগুলো জড়ো হতে থাকেন। আগেই তাদের এই খাদ্য সহায়তার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিলো মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে। পরে তা সংগ্রহ করতে তিন শতাধিক মানুষ জড়ো হয়। তাদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে একের পর এক তুলে দেওয়া হয় নানা ধরনের খাদ্যপণ্য। আয়োজকরা জানান, বিশ ধরনের খাদ্যপণ্য দিয়ে একেকটি থলে তৈরি করে তা বিতরণ করা হয়। আর সহায়তা যারা পেলেন তাদের একজন জানালেন, পর্যাপ্ত পরিমান খাদ্য সহায়তা তারা পেয়েছেন। যা দিয়ে একটি ছোট পরিবারের এক মাসের খোড়াক হয়ে যাবে। আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে সহায়তাপ্রাপ্ত একাধিকজন বলেছেন, তারা খুশি। খুশি ছিলো সহায়তা নিতে আসা ছোট শিশুরাও। কারণ খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে তাদের প্রিয় আইটেমও রয়েছে। নানা বয়সের নারীপুরুষ এসেছিলো খাদ্য সহায়তা নিতে। তারা সকলেই সহায়তা পেয়েছেন। অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে এই খাদ্য সহায়তা বিচরণ করা হয়। আর সে কাজে নিয়োজিত ছিলেন এক ডজনেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবকের একটি দল। করেমসূচির প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন সেভ দ্য পিপল এর কর্ণধার মাওলানা মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এমন অনেক মানুষ আছেন যাদের আয় কম। ফলে এই মানুষগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার পান না। এমন অনেকে আছেন যাদের আয়-ব্যয়ের হিসাবেই আটকে থাকে জীবন। ভালো কিছু খাবার খেতে পারেন না। কমিউনিটির এসব অসহায় মানুষ ও নতুন যারা আমেরিকায় আসেন, প্রবাসী বাঙালি সবার কথা চিন্তা করেই এই সহযোগিতার উদ্যোগ।  এই উদ্যোগের পাশে থেকে সহযোগিতা করার জন্য ডব্লিউইউএসটি ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই সহায়তার কারণে অনেক পরিবারের মুখে ফুটেছে হাসি। জীবন হয়েছে সহজ। রমজানের পরেও প্রতি মাসে এই কর্মসূচি চলবে বলে জানান আয়োজকরা। একই সঙ্গে সামাজিক এই মহৎ উদ্যোগে অবদান রাখায় ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (ডব্লিউইউএসটি) চ্যান্সেলর ও ডব্লিউইউএসটি ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী আবুবকর হানিপসহ অন্যান্য দাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এর মধ্য দিয়ে নিউইয়র্কের নিম্ন আয়ের মানুষ, নব্য অধিবাসীরা কিছুটা হলেও খাদ্যচিন্তামুক্ত থাকবে। ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন গ্রোসারি আইটেমের ২০টির বেশি খাদ্যপন্ন বিতরণ করা হলে। আর যারা এই সহায়তা পাওয়ার যোগ্য সেই অসহায় মানুষগুলোকেই তালিকাভূক্ত করে এই সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। শুধু কুইন্স নয়, ব্রুকলিন, ম্যানহাটনসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে তিন শতাধিক পরিবার এখানে খাবার নিতে আসে। খাদ্যপণ্যের মধ্যে ছিলো দুধ, তেল, আলু-পেঁয়াজসন অন্যান্য গ্রোসারি আইটেম। ছিলো ফলসহ নানা ধরনের উপাদেয় খাবার। খাবার নিতে আসা মানুষের প্রবাসী বাঙালি পরিবারও ছিলো। আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তারা বলেন, এমন সাহায্য পেয়ে তারা খুবই আনন্দিত। বিতরণ করা খাবারের মান ও পরিমাণেও তারা খুশি। খাদ্য বিতরণের এই কর্মসূচিতে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করেন শর্শিনার হুজুর শাহ মুহম্মদ শফিউল্লাহ সিদ্দিকী, সেভ দ্য পিপল এর উপদেষ্টা আনিসুল কবির জাসির, পিস সেন্টার অব ইউএসএ’র ভেরোনিকা হোসেইন, কুইনস পাওয়ার এর উম্মা সিদ্দিকা, দারুস সালাম মসজিদের ইমাম আবদুল মুকিত, নিউইয়র্ক সিটির ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টেশনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক কেনি আর প্লেসিনসিও, নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের উপদেষ্টা ফরহাদ সোলায়নান, সেফেস্ট এর প্রেসিডেন্ট মাজেদা উদ্দিন, ফার্মাসিস্ট কায়সার সজীব, ইউএনও-ইউএসএ’র প্রতিনিধি শারমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জুবায়ের আবদুল্লাহ এবং এনওয়াইসি ডিপার্টমেন্ট অব বিল্ডিং এর ফয়সল আহমেদ।

post
যুক্তরাষ্ট্র

সম্পর্কের নতুন অধ্যায় নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে মার্কিন প্রতিনিধি দলের বিস্তারিত আলোচনা

বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কে নতুন অধ্যায় শুরু নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধি দলের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।আজ বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী হাছানের সঙ্গে এক ঘন্টাব্যাপী বৈঠকে বাংলাদেশ সফররত এ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র ডিরেক্টর আইলিন লবাখার। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পত্রের উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর লেখা পত্রের একটি কপি মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী  লবাখারকে হস্তান্তর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের একটি বড় উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্র। দু'দেশের সম্পর্কে নতুন অধ্যায় শুরু নিয়ে, এই সম্পর্ককে কিভাবে আরও গভীর করা যায়, সে সব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে একমাত্র সমাধান হিসেবে বিবেচনা করেছে। তারাও চায় রোহিঙ্গারা সসম্মানে নিজ দেশে ফিরে যাক। সেই সাথে তাদেরকে সাময়িক আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে উদারতা দেখিয়েছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেছে মার্কিন প্রতিনিধিরা। হাছান বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধসহ যে কোনো যুদ্ধের বিরুদ্ধে ও শান্তির পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেছি। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক রাশেদ চৌধুরীকে দেশে আনার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তাদের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট এটি দেখছে।  র‌্যাপিড একশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব)  ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র পাঁচটি পর্যবেক্ষণ (অবজারভেশন) দিচ্ছে, যে সব বিষয়ে বাংলাদেশ তার গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরবে। পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, নিরাপত্তা সহযোগিতা, শ্রম পরিবেশ উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ইউএসএইডের সহযোগিতা আলোচনায় স্থান পায়, উল্লেখ করেন মন্ত্রী।সফররত ইউএসএইডের এশিয়া ব্যুরোর এসিস্ট্যান্ট এডমিনিস্ট্রেটর মাইকেল শিফার এবং ডিপার্টমেন্ট অভ স্টেটের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার ডেপুটি এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার বৈঠকে অংশ নেন। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম এবং অন্যান্য কর্মকর্তাগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।এর আগে প্রতিনিধিদলের একাংশ পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের সাথে এক বৈঠকে মিলিত হয়।এ দিন দুপুরে মন্ত্রণালয়ে আসিয়ান দেশগুলোর ঢাকায় নিযুক্ত হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। মন্ত্রী জানান,  আসিয়ানের পর্যবেক্ষক হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি ও এই জোটভুক্ত দেশগুলোর সাথে বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা বৈঠকে অংশ নেন।

post
যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন অভ্যন্তরীণ বিষয় : যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করতে চায় না, কারণ তারা এই নির্বাচনকে 'অভ্যন্তরীণ, ঘরোয়া নির্বাচন' হিসেবে উল্লেখ করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, 'অভ্যন্তরীণ, ঘরোয়া নির্বাচন হওয়ায় এর বাইরে আমার আর কিছু বলার নেই।'বাংলাদেশে অন্য একটি দল জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং পরে এটিকে 'অন্যায্য ও অন্যায় নির্বাচন' বলে দাবি করতে পারে এমন পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে মোকাবিলা করবে তা জানতে চাইলে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্যাটেল বলেন, যেহেতু এটি নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই যুক্তরাষ্ট্র চায় যে তা অবাধ ও সুষ্ঠু হোক এবং বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হোক। সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'তবে আমি বিস্তৃতভাবে বলব যে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ গত বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করেছে এবং আমরা এই সম্পর্ককে আরও গভীর করার অপেক্ষায় রয়েছি।' প্যাটেল বলেন, ঢাকা ও ওয়াশিংটনের বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে তাদের ব্যাপক সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততার সম্ভাবনা রয়েছে - তা জলবায়ু পরিবর্তন হোক, অর্থনীতি হোক, মানবিক সংকট মোকাবিলা এবং অন্যান্য বিষয়ও হোক।

post
যুক্তরাষ্ট্র

ভ্রমণকারীদের জন্য করোনার টিকার বিধি তুলে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

আকাশপথে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে ইচ্ছুক বিদেশিদের জন্য করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার বিধি উঠে যাচ্ছে। গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়, আকাশপথে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য করোনার টিকার বিধিটি ১১ মে শেষ হবে। মার্কিন কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী ও ঠিকাদারদের জন্য টিকা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার বিধিও একই দিন শেষ হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।এ ছাড়া একই দিন (১১ মে) যুক্তরাষ্ট্রে করোনা-সংক্রান্ত জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থাও শেষ হবে। যুক্তরাষ্ট্রে ১০ লাখের বেশি মানুষ করোনায় মারা গেছেন। হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা মহামারি প্রায় শেষ। করোনা মহামারির জেরে যুক্তরাষ্ট্র সরকার নানা ধরনের বিধিনিষেধ জারি করে। করোনা নিয়ন্ত্রণে আসার পরিপ্রেক্ষিতে তারা ধীরে ধীরে বিধিনিষেধগুলো তুলে নিতে থাকে। হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে করোনায় মৃত্যু ৯৫ শতাংশ কমেছে। হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা কমেছে প্রায় ৯১ শতাংশ। অন্যদিকে, বিশ্বে করোনায় মৃত্যু এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। হোয়াইট হাউস বলেছে, বাধ্যবাধকতার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রে করোনার টিকাদানকে জোরদার করেছে। ব্যাপকভিত্তিক টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।

post
যুক্তরাষ্ট্র

ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালিত

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে আজ (মঙ্গলবার) ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালিত হয়েছে।সকালে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান কর্তৃক দূতাবাস প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দূতাবাসের দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।পরে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্নারে অবস্থিত জাতির পিতার আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান মিনিস্টার (পলিটিক্যাল-1) ও দূতালয় প্রধান দেওয়ান আলী আশরাফ এবং কাউন্সেলর (পলিটিক্যাল-3) শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি। পরে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের উপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে পরে বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত ইমরান ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং বঙ্গবন্ধুর মহাকাব্যিক ভাষণের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।তিনি ৭ই মার্চকে বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু সেই গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ প্রদানের মাধ্যমে কার্যত স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দেন।তিনি বলেন, 'ঐতিহাসিক এই ভাষণের গুরুত্ব অনুধাবন করে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) এর বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্যের তালিকা ‌‍‍‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল’ রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করেছে'। রাষ্ট্রদূত ইমরান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার এবং নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার অনুরোধ জানান।বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে এক বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শেষ হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ফার্স্ট সেক্রেটারি মোঃ আতাউর রহমান।

post
যুক্তরাষ্ট্র

ডিসি একুশে অ্যালায়েন্সের আয়োজনে ভার্জিনিয়ায় উদযাপিত হলো অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

আরও একটি মিলনমেলা। গত ১৩ বছর ধরে এভাবেই হয়ে আসছে। বছর জুড়ে সবাই যেন অপেক্ষায় থাকে এই একটি দিনের। ফুলের তোড়া হাতে শনিবার বিকেল দলে দলে এভাবে জড়ো হতে থাকে আর্লিংটনের কেনমোড় মিডল স্কুলে। উদ্দেশ্য সবাই মিলে মানবজাতির জন্য বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে শ্রদ্ধাভরে উদযাপন করা। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি, মেরিল্যান্ড ও ভার্জিনিয়ার বাংঙ্গালী কমিউনিটির ২৫টি সংগঠনের মিলিত এক নাম ডিসি একুশে অ্যালায়েন্স। এদের মধ্য থেকে প্রতিবছর যে কোন একটি সংগঠন প্রতিবছর সব বাঙালী হৃদয়কে এক মঞ্চে এক করার দায়িত্বটি পালন করে থাকে। এবার ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলামনাই ফোরাম ডুয়াফি পেয়েছিলো সে দায়িত্ব। তাদের ব্যাবস্থাপনায় এবং আর্লিংটন আর্টস ও আর্টিলিংটন কাউন্টির সহযোগিতায় হয়ে গেলো পরিপূর্ণ এক আয়োজন। শনিবার বিকেল সাড়ে পাচটায় নির্ধারিত সময়ের আগে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মুল আনুষ্ঠানিকতা। এরপর সবাই মিলে গাইলেন একুশের প্রথম প্রহবের প্রভাতফেরীর সেই গান-আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি। শুধু গানই নয় ফাকে ফাকে চলতে থাকে মহান একুশ নিয়ে অসাধারণ সব কবিতার আবৃত্তি। 'রক্তে প্রলয় দোলা' শিরোনামে শিল্পীরা গান গাইলেন সালাম সালাম হাজার সালাম সকল শহীদ স্মরণে। মৃত্যুঞ্জয়ী শিরোনামে ছিলো আবৃত্তি জানেন দাদা আমার ছেলের বাংলাটা ঠিক আসে না। এই পর্ব শেষে মঞ্চে উঠে আসেন এই আয়োজনকে সফল করে তোলা ২৫টি সংগঠনের কর্তব্যাক্তিরা। যেখানে সবার মাঝে উপস্থিত ছিলেন ওয়াশিংটন ইউনির্ভাসিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ও পিপলএনটেকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। আয়োজনের পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ জানানো হয়। পরের পর্বটি ছিলো অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষনীয় অংশ। আমেরিকার মাটিতে জন্ম নিয়ে বেড়ে উঠা শিশুরা গাইলো আমি একবার দেখি বারবার দেখি বাংলার মুখ। পুরো অডিটোরিয়ামে শুনশান নিরবতা। সবাই গাইলেন তাদের সাথে। তুমুল করতালির মধ্য দিয়ে তাদেরকে উৎসাহিত করলো উপস্থিত সকলে। কারণে এই শিশুরা এই বিদেশী সংস্কৃতি পরিবেশের মধ্যে বড় হয়েও বাংলা ভাষাটাকে যেভাবে লালন করছে তা সত্যিই এক মুগ্ধতার বিষয়।  অডিটোরিয়ামের বাইরে ঠিক তখনই চলছিলো শিশু কিশোরদের নিয়ে আরেকটি ইভেন্ট, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগী। তিনটি গ্রুপের পঞ্চাশ জনের মতো প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিলেন সেখানে। প্রতিযোগীতা শেষে তাদের চর্চাা আর প্রতিভা দেখে মুগ্ধ বিচারকরা। মুগ্ধ করেছেন একুশ নিয়ে লেখার প্রতিযোগিরাও। দুই বিভাগের সেরাদের পুরস্কৃত করা হয় মঞ্চে। কিংবদন্তী নৃত্যশীল্পী লায়লা হাসানের দল পরিবেশন করে নৃত্যনাট্য 'একুশ আমার অহঙ্কার'। ভাষা সংগ্রামের ইতিহাস ও মাতৃভাষার গুরুত্ব নিয়ে বক্তব্য রাখেন আয়োজনের প্রধান অতিথী যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমরান হোসেন। তিনি বলেন ভাষার অধিকার রক্ষার জন্য ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে যে আত্মদানের গৌরবোজ্জল ঘটনা ঘটেছিলো তা সারা বিশ্বে বিরল। মাতৃভাষার জন্য জীবনদানের মাধ্যমে আমাদের ভাষা শহীদরা পৃথিবীর ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব নজির সৃষ্টি করেছিলেন। মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে এরপর মঞ্চে উঠে একসাথে কথা বলেন আরলিংটন কাউন্টি বোর্ডের চেয়ার ক্রিস্টিয়ান ডরসি, আরলিংটন বোর্ড মেম্বার কে টি ক্রিস্টাল এবং টাকিস কেরানটোনিস, ইউ এস সিনেটর মার্ক ওয়ার্নারের অফিসের রিজিওনাল ডিরেক্টর টানিয়া টেলেন্টো। তারা বলেন, বাঙালি জাতিকে স্বতন্ত্র মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে অমর একুশের রয়েছে অসামান্য অবদান। একুশের চেতনায় উজ্জীবিত আজ সারাবিশ্ব। একুশ একটি চেতনা, বৈশ্বিক প্রতীক ও একটি মহান বিপ্লবের নাম। ১৯৫২ সালের এই দিনে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার্থে বাঙালির জীবন উৎসর্গের ঘটনা বিশ্বের বুকে এক অনন্য ইতিহাস। রাষ্ট্রদূত মো: ইমরানের নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী মিনারে ফুলের তোড়া দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সবাই।  আয়োজনের পরের অংশে ছিলো একটি নাটিকা। নতুন সংস্কৃতি কি করে বাংলা ভাষাকে তার গৌরবের স্থান থেকে সরিয়ে দিয়েছে তারই প্রেক্ষাপটে বিবেকের জাগরণ ও চেতনাবোধের পুনর্বিকাশকে ফুটিয়ে তোলা হয় নাটকে । নাটকের রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন শফিকুল ইসলাম। এবারেও ছিলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে অন্য দেশের সদস্যদের পরিবেশনা। ভারতীয় গ্রুপ তা থৈ এর পরিবেশন করে- দুই মায়ের সন্তান। আরও বলিভিয়ান গ্রুপ ফার্দিনান্দ কালচারাল পাচামামা গ্রুপের উপস্থাপনায় ছিলো টিঙ্কু ২০২৩ নামে একটি গীতিনাট্য।আর সবশেষে ছিলো অমর একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপনের মূল অংশ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন। ২৫টি সংগঠনের সবাই অস্থায়ী শহিদ মিনারের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। ব্যাক্তিগতভাবেও অনেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। স্পিকারে বাজতে থাকা সেই অমর কথামালায় অমর গানখানি, সাথে ফুল হাতে থাকা মানুষগুলোও গাইতে থাকেন ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি। আমেরিকা থেকে আফ্রিকা এবং ইউরোপ থেকে এশিয়া প্রতিটি দেশে, প্রতিটি রাজধানী ও শহরে ২১শে ফেব্রুয়ারিতে বাঙালি জাতির জয়গান গাওয়া হচ্ছে। বাঙালি জাতির ২১শে ফেব্রুয়ারির সুমহান গৌরবে গৌরবান্বিত হয়ে উঠেন এই আয়োজনে আসা প্রতিটি মানুষ। বাঙালি জাতির সংগ্রাম ও বিজয়ের কথা শিশু-কিশোরদের পৌছে দেবার চেষ্টা করে যাচ্ছেন বাবা মারা। আর প্রতি বছর এমন আয়োজনের মাধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির ২১শে ফেব্রুয়ারির আত্মদানের ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে আরও উজ্জীবিত করবে এমনটা এ প্রজন্মের বিশ্বাস।  আর বিদেশের মাটিতে এমন সব আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ববাসী জানতে পারবে এখান থেকে হাজার হাজার মাইল দূর এশিয়ার একটি ছোট্ট দেশ বাংলাদেশের মানুষ আজ থেকে ৬৭ বছর আগে সারা বিশ্ববাসীর মাতৃভাষার স্বীকৃতির জন্য হাসিমুখে জীবন দিয়েছেন। এ সত্যি এক অন্যরকম অনুভূতি। বিষন ভালো লাগার, গৌরবের।

post
যুক্তরাষ্ট্র

বৈরি আবহাওয়ায় ২৯০০ ফ্লাইট বাতিল, যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ভোগান্তি

ছুটির মওসুমে হাজার হাজার ভ্রমণেচ্ছু যাত্রী আটকা পড়ে আছেন বিমানবন্দরগুলোতে। ভয়াবহ শীতকালীন ঝড়ের পর যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ২৯০০ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ফলে ছুটি শেষে যারা বাড়ি ফিরছিলেন তারা বিপাকে পড়েছেন।এয়ারলাইন্স কাউন্টারগুলোতে ভির করে আছেন কিন্তু ফ্লাইটের সিডিউল মিলছে না। খবরে বলা হচ্ছে, ছুটির শেষদিকের গোটা সপ্তাহ জুড়েই বিমানবন্দরগুলোতে এমন পরিস্থিতি চলতে থাকবে। বিমানবন্দরগুলোতে দেখা গেছে ঘরফেরতা মানুষগুলো মেঝেতে ঘুমুচ্ছেন। কাস্টোমার সার্ভিসে লাইন ধরে আছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে। ফ্লাইট-ট্র্যাকিং সার্ভিস ফ্লাইট অ্যাওয়ার এর তথ্য মতে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ৯০০টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ১৬০০টির বেশি ফ্লাইট বিলম্বিত। বাতিলকৃত ফ্লাইটের মধ্যে ২৫০০টিরও বেশি ফ্লাইটই সাউথ-ওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের। এই কোম্পানির ৬০ শতাংশ ফ্লাইট বাতিলের আওতায় পড়েছে। গত সোমবার অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ৪০০০ ফ্লাইট বাতিল ও ৮৫০০ ফ্লাইট বিলম্বিত ছিলো। সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্স সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, পরিস্থিতি অনেকাংশেই অসহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। এ জন্য আমাদের দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। সোমবার থেকে শুরু করে মঙ্গলবার সকালেও সাউথওয়েস্ট ক্ষতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে যাত্রীরা টুইটারে তাদের ক্ষুব্ধ হতাশা ব্যক্ত করছে। আর এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে বারবার ক্ষমা প্রার্থণা করা হচ্ছে। তবে তা দিয়ে সবাইকে শান্ত করা যাচ্ছে না। 

post
যুক্তরাষ্ট্র

পশ্চিম নিউইয়র্ক ঢাকা পড়েছে বরফে, জীবন বিপর্যস্ত

যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে শীতকালীন ঝড়-বৃষ্টি ও বরফে ঢাকা পড়েছে বিভিন্ন অঞ্চল। বিশেষ করে নিউইয়র্কের পশ্চিমাঞ্চলের বাফেলো শহরের গাছপালা-দালান কোঠাও বরফে আচ্ছাদিত হয়ে পড়েছে। গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তুষারপাতের রেকর্ড করা হয়েছে এই অঞ্চলে। ঠান্ডার মাত্রা হিমাঙ্কের অনেক নিচে নেমে গেছে। অনেক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাড়িগুলোতে আটকা পড়েছেন বাসিন্দারা। অনেক সড়কে যানবাহন আটকা পড়ে, গাড়িতেই অবস্থান করতে হচ্ছে আরোহীদের। আর উদ্ধারকারী সদস্যদের পক্ষেও অনেক স্থানে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। বাফেলোতে এমন তুষার-ঝড় কয়েক দশকেও দেখা যায়নি। সেখানে বাতাস ৭০ মাইল বেগে বইছে। কখনো কখনো তার চেয়েও বেশি। শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল থেকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে শুরু করে। যা রোববারেও অব্যহত থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনেক স্থান ছয় ফুট পর্যন্ত তুষারে ঢাকা পড়েছে। অনেক গাড়ি তুষারের নিচে চাপা পড়ে আছে। গাছগুলোও তুষারে ঢাকা। আর ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ। পুরো অঞ্চলই এখন অচল। সরকারি দফতর থেকে সতর্ক করা হয়েছে রবিবার রাত পর্যন্ত পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। 

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.