post
নারী ও শিশু

প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ধূমপানের প্রভাবে নারী ও শিশু বেশি ক্ষতিগ্রস্ত

মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি জানিয়েছে তামাক বিরোধী মায়েদের ফোরাম। বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনষ্টিটিউট বাংলাদেশে ২০ জন মায়েদের নিয়ে নারী মৈত্রী আয়োজিত “তামাক বিরোধী মায়েদের ফোরাম” গঠন বিষয়ক সভায় এ দাবি জানান তারা। তামাক বিরোধী মায়েদের ফোরাম এর আহ্বায়ক ছিলেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর সাবেক অতিরিক্ত সচিব শিবানী ভট্টাচার্য্য। যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং একজন সফল সাংবাদিক মা শাহনাজ পলি ও একজন শিক্ষিকা মা আফসানা নওরিন।নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলির সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন মো. আব্দুস সালাম মিয়া,প্রোগ্রামস ম্যানেজার,ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশ।অনুষ্ঠানের মূল বিষয় উপস্থাপন করেন নারী মৈত্রীর প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর নাছরিন আকতার। তিনি বলেন,বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭৮ লাখ লোক তামাক ব্যবহার করে এবং তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রতিদিন ৪৪২ জন মানুষ মারা যায়। তাই জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশ করা প্রয়োজন। বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে এফসিটিসির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত খসড়ায় যে বিষয়গুলো প্রস্তাব করা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:অধূমপায়ীদের সুরক্ষার জন্য সব পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা; তামাক পণ্যের প্রচার বন্ধ করার জন্য বিক্রয় কেন্দ্রে তামাক পণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা; ই-সিগারেট বা ইমার্জিং হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট আমদানি, ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা; তামাক পণ্যের সব ধরনের খুচরা ও খোলা বিক্রয় বন্ধ করা; ও সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা। দেশকে তামাকের ভয়াবহ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আজকের এই তামাক বিরোধী মায়েদের ফোরাম কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেন যা তামাকমুক্ত সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করবে।তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ফোরামের সদস্যগণ যথাযথ ভূমিকা রাখবেন বলে মনে করেন ফোরাম এর আহ্বায়ক শিবানী ভট্টাচার্য্য। তিনি বলেন, ধূমপান না করেও পরোক্ষভাবে ধূমপানের শিকার হয় ৩ কোটি ৮৪ লাখ মানুষ। যার মধ্যে বেশি ক্ষতির শিকার হন নারী ও শিশুরা। পরোক্ষ ধূমপানের কারণে নারীদের অকালে গর্ভপাত, অপরিণত শিশুর জন্ম, স্বল্প ওজনের শিশু, গর্ভকালীন রক্তক্ষরণ, প্রসবের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, মৃত শিশুর জন্ম দেয়াসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।নারী ও শিশু স্বাস্থ্য রক্ষায় এই ফোরাম তামাক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবিতে নিরলস সমর্থন ও পরামর্শ দিবে। পাশাপাশি নিজের পরিবারকে তামাকের প্রভাবমুক্ত রাখবে এবং অন্যান্য মায়েদের সাথে এই বিষয়ে কথা বলবে। এছাড়া, তামাক কোম্পানির কূটকৌশল বা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে বাধাগ্রস্ত করার বিরুদ্ধে সক্রিয় অবস্থান গ্রহণ করবে বলে আশ্বাস জানান তিনি।যুব সমাজকে তামাকের ভয়াল ছোবল থেকে রক্ষায় মায়েরা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন আবদুস সালাম মিয়া। তিনি বলেন,"তামাকের প্রতি আসক্তি যুবসমাজকে ঠেলে দিচ্ছে অন্ধকার জগতে। গ্লোবাল ইয়ুথ টোব্যাকো জরিপ এ ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের মধ্যে পরিচালিত প্রতিবেদনে দেখা যায় ভারত,ইন্দোনেশিয়া এবং বাংলাদেশে ধূমপান আসক্ত কিশোর-কিশোরীর হার সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশে প্রায় ১২ শতাংশ কিশোর-কিশোরী নিয়মিত ধূমপানে আসক্ত।তাই প্রত্যেক মায়েদের এই বিষয়ে সোচ্চার এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাশের জন্য নিজ অবস্থান থেকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।এছাড়াও ফোরামের অন্যান্য সদস্যগণ তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী প্রস্তাব দ্রুত পাশের জোর দাবি জানান।এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, লেখক ও কলামিস্ট সপ্না রেজা,ভিউজ বাংলাদেশ এর নিউজ এডিটর মারিয়া সালাম, ইত্তেফাক এর সিনিয়ির রিপোর্টার রাবিয়া হোসেন বেবি এবং খেয়া মহিলা ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা এর প্রেসিডেন্ট ফারজানা শাম্মি সহ বিভিন্ন পেশার মায়েরা।

post
নারী ও শিশু

তরুণ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অনুপ্রেরণা এবং সহযোগিতার এক অনন্য সভা

একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ক্ষমতায়ন অপরিহার্য। ন্যায়পরায়ণ সমাজের জন্য নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়ন নিয়ে সবসময় কাজ করে যাচ্ছে নারী মৈত্রী। সেই প্রেক্ষাপটে ‘স্পিকার সেশন অন এমপাওয়ারিং উইমেন এন্টারপ্রেনার্স ফর এন ইকুইটেবল সোসাইটি’ শীর্ষক এক বিশেষ বক্তৃতা অধিবেশন আয়োজন করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নারী মৈত্রী ও লেডিস অব লিবার্টি অ্যালায়েন্স (ললা)। শনিবার (১৩ জুলাই) সকাল ১১ টায় রাজধানীর আগারগাঁও নারী মৈত্রীর প্রধান কার্যালয়ের প্রফেসর লতিফা আকন্দ মিটিং রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই ও বিশেষ কর্মসূচি বিভাগের যুগ্ম পরিচালক শাহরিয়ার নাসরিন ও জয়িতা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র উদ্যোক্তা মোছা: ফারজানা নাজনিন শাম্মি এবং অনুষ্ঠানের বিষয় বস্তু উপস্থাপন করেন লোলা ঢাকা বাংলাদেশের চ্যাপ্টার লিডার জেড বি নিশাত ।শাহীন আকতার ডলি বলেন “আমাদের আজকের এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য নারীদের উদ্যোক্তা সম্পর্কিত উদ্যোগ এবং নেতৃত্বের ভূমিকা অনুসরণ করতে অনুপ্রাণিত করা, উদ্যোক্তাদের চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রম করার জন্য ব্যবহারিক পরামর্শ এবং কৌশল প্রদান করা, পারস্পরিক সমর্থন এবং সহযোগিতার জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং প্রতিষ্ঠিত নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে সংযোগ সহজতর করা। নারী মৈত্রী সবসময়ই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে এবং একটি ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনে তরুন নারী উদ্যোক্তাদের পাশে সর্বদা থাকার আশ্বাস দেন তিনি।  ফারজানা নাজনিন শাম্মি বলেন ‘বর্তমান যুগে নারীরা কোনভাবে পিছিয়ে নেই। পুরুষদের সাথে তাল মিলিয়ে তারাও বিভিন্নভাবে সফলতা অর্জন করছে এবং এগিয়ে যাচ্ছে। একজন নারী উদ্যোক্তা হওয়ার অনেক উপায় আছে যা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে সফলতা নিশ্চিত। নারী উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য নিজের লক্ষ্য ও দক্ষতা শনাক্ত করা, নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলা, ব্যবসার পূর্ব পরিকল্পনা করা, দক্ষতা অর্জন করা, নেটওয়ার্কিং বৃদ্ধি করা এবং নিজের পরিচয় তৈরি করতে বিশেষ পরামর্শ দেন তিনি। নারী মৈত্রী এবং ললার উদ্দ্যেশে তরুণ নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়ন নিয়ে এই বিশেষ আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই ও বিশেষ কর্মসূচি বিভাগের যুগ্ম পরিচালক শাহরিয়ার নাসরিন। তরুণ নারী উদ্যোক্তাদের অনুপ্রেরণার জন্য তিনি বলেন- এই ডিজিটাল যুগে হাজার হাজার সম্ভাবনা নিয়ে বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে এক একজন নারী উদ্যোক্তা এবং বৃদ্ধি পাচ্ছে নারীর ক্ষমতায়ন। দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে নারী উদ্যোক্তারা বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। ফলে সরকার নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং তা বাস্তবায়ন করছে। নারী উদ্যোক্তারা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিকভাবেও ব্যবসা করার সুযোগ পাচ্ছে যা খুবই প্রশংসনীয়। আমি আশা রাখি আজকের তরুন উদ্যোক্তারাই একদিন আমাদের দেশে সুনাম বয়ে নিয়ে আসবে।“ পাশাপাশি তিনি জানান বাংলাদেশ ব্যাংক এ রয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা তহবিল যেখানে সুদ মাত্র ৫%। এছাড়াও আর্থিক সাক্ষরতার বিষয়ে ট্রেইনিং প্রদান করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে রয়েছে নারী উদ্যোক্তা ইউনিট যেখানে নারী উদ্যোক্তারা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরতে পারবে।

post
নারী ও শিশু

মার্চে দেশে ৫৩ নারীর আত্মহত্যা, রহস্য কী?

সদ্য সমাপ্ত মার্চ মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫৩ নারী আত্মহত্যা করেছেন। পাশাপাশি ২৪৭টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্চ মাসে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ৪২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একই সময়ে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ২৪৭টি। রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি। মার্চে ২৪৭টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে সংগঠনটি বলছে, এর মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ৩৮টি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ৯টি, ধর্ষণের পরে হত্যার ঘটনা একটি ও ১৪টি ধর্ষণচেষ্টা। এ মাসে এক নারী অ্যাসিড নিক্ষেপের শিকার হয়েছেন। এমএসএফ জানায়, উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা। গত ফেব্রুয়ারিতে ৩৪টি অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহ উদ্ধার হয়েছিল। এসব মরদেহের অধিকাংশই ডোবা খাল, নদীতে ভাসমান, বস্তাবন্দি, মহাসড়কের পাশে, ব্রিজ ও রেললাইনের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মার্চ মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়েছে। আলোচ্য সময়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ৪০ জন সাংবাদিক নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। এতে আরও বলা হয়, মার্চ মাসে কারা হেফাজতে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাত গণপিটুনির ঘটনায় ৯ জন ও সীমান্তে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ মাসে ২১টি রাজনৈতিক সহিংসতায় ৯৩ জন গ্রেফতার হয়েছেন।

post
নারী ও শিশু

শিশুর চোখে ঘুম নেই?

শিশুর ঘুম যদি কমে যায় তাহলে তার খাবারের দিকে নজর দিন। শিশুকে খেতে দিন এমন খাবার যেগুলো ঘুমে সহায়তা করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক- ডুমুর একটি অত্যন্ত উপকারী ফল। কিন্তু এটি এখনকার বেশিরভাগ মানুষেরই খাবারের তালিকায় থাকে না। পুষ্টিকর এই ফলে থাকে আয়রন, পটশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম। এই উপাদানগুলো মাসলকে রিলাক্স হতে সাহায্য করে। কলা তো আমাদের প্রায় সবার বাড়িতেই খাওয়া হয়, শিশুর পাতে নিয়মিত কলা দিচ্ছেন তো? শিশুর ঘুম যদি কমে যায় তবে তাকে প্রতিদিন কলা খেতে দিন। কারণ কলায় থাকে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের যা পেশিকে বিশ্রাম নিতে সাহায্য করে। এতে আরও থাকে ট্রিপটোফ্যান নামক একটি উপাদানের যা শরীরে সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ায়। মিষ্টি আলুর উপকারিতা সম্পর্কে জানা আছে কি? আপনার শিশুর প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখুন অত্যন্ত উপকারী এই খাবার। নিয়মিত মিষ্টি আলু খেতে দিলে তা শিশুর শরীরে ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি মেটাতে কাজ করবে। সেইসঙ্গে এতে থাকা আরও অনেক উপকারী উপাদান শিশুর চোখে ঘুম নিয়ে আসবে। বাদামের গুণ রয়েছে অনেক। এটি আপনার শিশুর চোখে ঘুম এনে দিতেও কাজ করে। তাই শিশুকে নিয়মিত বাদাম খেতে দিতে হবে। বাদামে থাকা পর্যাপ্ত খনিজ পেশির বিভিন্ন ব্যথা দূর করতে কাজ করে। সেইসঙ্গে এতে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডও শিশুর জন্য উপকারী।

post
নারী ও শিশু

শিশু জন্মদানে সরকারি উদ্যোগের আহ্বান

গর্ভকালীন সময়ে ও শিশু জন্মদানের সময় মায়েদের নানা ঝুঁকি থাকে। মাতৃমৃত্যু ও শিশুর মৃত্যু রোধে এবং মা-শিশুকে সুস্থ রাখতে হাসপাতালে যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে শিশু জন্মদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে এ বিষয়ে সঠিক জ্ঞান না থাকায় কোনো স্বাস্থ্যসেবা ছাড়াই ঘরেই সাধারণভাবে শিশু জন্মদানের চেষ্টা করানো হয়। তাদের মাঝে গর্ভকালীন সময়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং হাসপাতালে ডেলিভারি করানোর বিষয়ে সঠিক জ্ঞান থাকেনা। ধর্মীয় গোঁড়ামিও অনেকটা বাধাগ্রস্ত করে হাসপাতালে শিশুর জন্মদান। সোমবার রাজধানীর গুলশান ২ এর একটি হোটেলে আয়োজিত দ্বীপ এলাকায় মিডওয়াফ পরিচালিত স্বাস্থ্য সেবা প্রধান শীর্ষক জাতীয় পর্যায়ে জ্ঞান আদান-প্রধান ওয়ার্কশপে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা সরকারিভাবে গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের সেবাদানে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পার্টনার্স ইন হেলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (পিএইচডি) ও কনসার্ন ওয়ার্লওয়াডের যৌথ প্রকল্পে দেশের দ্বীপ এলাকায় পরিচালিত হচ্ছে মিডওয়াইফ ভিত্তিক স্বাস্থ্য সেবা প্রজেক্ট। এই প্রকল্প ভোলা জেলার চরফ্যাশন এবং মনপুরা উপজেলায় পরিচালিত হয়। এই প্রকল্পে মাধ্যমে মিডওয়াইফদের মাধ্যমে হাসপাতালে প্রায় ৬০০ শিশুর জন্ম হয়েছে। দ্বীপ এলাকায় মাঠপর্যায়ে কাজ করে ও নানাভাবে বুঝিয়ে হাসপাতালে শিশু জন্মদানে উৎসাহিত করতে কাজ করেছেন মিডওয়াফ ইতি আক্তার। তিনি বলেন, গ্রামাঞ্চলে মানুষদের হাসপাতালে নিয়ে আসা অনেক কষ্টকর। পরিবার থেকে শ্বশুর শ্বাশুড়িরা রাজী হতে চায়না। তারা চায় বউয়ের ডেলিভারি ঘরেই হোক।

post
নারী ও শিশু

দেশে পুরুষের তুলনায় নারী বেশি

জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর ভিত্তিতে ১ জানুয়ারি ২০২৪ সালে প্রাক্কলিত বাংলাদেশের জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার। যেখানে নারী ৮ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার এবং পুরুষ ৮ কোটি ৪২ লাখ। অর্থাৎ দেশের পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা ৩১ লাখ ৯০ হাজার বেশি।গুগল নিউজে ফলো করুন আরটিভি অনলাইনরোববার (২৪ মার্চ) পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২৩ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব অডিটোরিয়ামে প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।বিবিএসের মতে, বর্তমানে বাংলাদেশে মোট নারী ৮ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার এবং পুরুষ ৮ কোটি ৪২ লাখ। অর্থাৎ দেশে পুরুষের চেয়ে নারী সংখ্যায় প্রায় ৩২ লাখ বেশি।এসডিআরএস ইন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম প্রকল্পের আওতায় ২০১২টি নমুনা এলাকা থেকে সংগৃহীত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২৩-এর গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, এক বছরের ব্যবধানে দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে। ২০২৩ সালে জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার ১.৩৩ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ১.৪০ শতাংশ।এ সময় প্রতি হাজার জনসংখ্যায় স্থূল মৃত্যুহার ৬.১, যা ২০২২ সালে ছিল ৫.৮। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ৩৩ এবং প্রতি লাখ জীবিত জন্ম শিশুর বিপরীতে মাতৃমৃত্যুর অনুপাত ১৩৬ জন, যা ২০২২ সালে ছিল ১৫৩ জন।২০২৩ সালে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০২২ সালের (৬৩.৩%) তুলনায় কিছুটা হ্রাস পেয়ে ২০২৩ সালে হয়েছে ৬২.১ শতাংশ। জন্ম নিয়ন্ত্রণের অপূর্ণ চাহিদা ২০২২ সালের (১৬.৬২%) তুলনায় হ্রাস পেয়ে ২০২৩ সালে ১৫.৫৭ শতাংশ হয়েছে। খানার আকার ২০২২ সালের ন্যায় ২০২৩ সালেও অপরিবর্তিত রয়েছে যা ৪.২ জন। তবে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে নারী খানাপ্রধানের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালে এটি ছিল ১৭.৪%, যা ২০১৩ সালে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৮.৯%।এছাড়া, শিক্ষা, কর্মে কিংবা প্রশিক্ষণে নেই এমন তরুণের সংখ্যা ২০২২ সালের (৪০.৬৭%) তুলনায় হ্রাস পেয়ে ২০২৩ সালে ৩৯.৮৮ শতাংশ হয়েছে। ৫+ বয়সী মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী জনসংখ্যার হার ২০২৩ সালে হয়েছে ৫৯,৯ শতাংশ। তবে, ১৫+ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এ হার ২০২২ সালের (৭৩.৮) তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৪.২ শতাংশ। ২০২৩ সালে ১৫+ বছর বয়সীদের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হার ৫০.১ শতাংশ।পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, সর্বশেষ ২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯৮ লাখ। সেই হিসেবে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশের জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ১৫ লাখ। তবে ২০১১ সালের আদমশুমারি ভিত্তিতে দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩৫ লাখ।সংস্থাটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে সর্বশেষ চূড়ান্ত জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। ফলে দেশে নতুন করে দেশে জনসংখ্যা বেড়েছে ১৭ লাখ ৬১ হাজার ৮৯ জন।অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন ও পরিসংখ্যান অধিদপ্তারের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু।

post
নারী ও শিশু

বিশ্বের সংকটাপন্ন শিশুদের রক্ষায় বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান

প্যালেস্টাইনের গাজা, সিরিয়া, ইয়েমেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভারত, গায়ানাসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সংকটাপন্ন শিশুদের রক্ষায় সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। গতকাল ভার্জিনিয়ার ফেয়ার ফ্যাক্সে অনুষ্ঠিত ‘হার্ট ইউনাইটেড: এ নাইট ফর অরফান্ড চিলড্রেন ইন ক্রাইসিস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তারা এ আহ্বান জানান। হিউম্যান কনসার্ন ইউএসএ ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।হিউম্যান কনসার্ন ইউএসএ'র প্রধান নির্বাহী মাসুম মাহবুব তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, তার প্রতিষ্ঠান প্যালেস্টাইনের গাজায় জরুরি খাদ্য, বস্ত্র আর চিকিৎসা সহায়তায় ম্যাকগ্লোবালের এইচসিআই ক্লিনিকের সঙ্গে অংশীদারিত্বে প্রতিদিন আটশ রোগীর চিকিৎসা প্রদান করছে। এছাড়াও হিউম্যান কনসার্ন ইউএসএ সিরিয়া, ইয়েমেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভারত ও গায়ানায় সাত হাজার শিশুকে খাবার, কাপড়, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও শিক্ষা প্রদান করে আসছে। সামাজিক মাধ্যমে বিশ্বের অন্যতম প্রভাব বিস্তারকারী ইসলামী বক্তা মারিয়ম মাসুদ বলেন, রমজানে রোজা রেখে আমরা প্রকৃতপক্ষে চেতনা, সহানুভূতি এবং তৃপ্তি অর্জন করি। সচেতনতার জন্য আমরা যখন উপবাস করি তখন আমরা বুঝতে পারি যে দরিদ্র ও অভাবী মানুষরা প্রতিদিন খাবারসহ অন্যান্য সামান্য কিছু নিয়ে কেমন অনুভব করে। বিষয়টি আমাদের হৃদয়কে নরম করে। আমরা গরীব এবং এতিমদের প্রতি সহানুভূতি বোধ করি এবং আল্লাহ আমাদেরকে যে নিয়ামত দিয়েছেন তা থেকে আমরা তাদের দান করি। তিনি বলেন, চেতনা ও করুণা লাভের মাধ্যমে আমরা আমাদের অন্তরে তৃপ্তি ও সুখ গড়ে তুলি। এতে আমাদের বিশ্বাস এবং সবকিছু ইতিবাচক দিকে যেতে শুরু করে। আমরা আরও ভালো কাজ করতে চাই যাতে আমরা আল্লাহকে খুশি করতে পারি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপর প্রভাব বিস্তারকারী বক্তা ইসরা চাকার বলেন, প্যালেস্টাইনের গাজায় চলমান গণহত্যার বিষয়টি আমাদের সবার জানা। এখানে উপস্থিত আমাদের সকলের হৃদয়-মন গাজার ভাই-বোন আর এতিমদের সাথেই রয়েছে। আমাদের ক্ষুদ্র সহায়তা গাজাসহ বিশ্বের সকল প্রান্তের এতিমদের জীবনে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিশা এনে দিতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। পরে প্রখ্যাত মানবতাবাদী রেপার ওমর অফেনডাম আরবি পদ্য ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, সিরিয়া, প্যালেস্টাইনেরসহ বিভিন্ন দেশের শতাধিক আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন।

post
নারী ও শিশু

মিজৌরি স্টেট ইউনিভার্সিটির কোর্সে ‘সুলতানা’স ড্রিম’

যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হচ্ছে বেগম রোকেয়ার লেখা ‘সুলতানা’স ড্রিম’ গল্প। চলতি সেমিস্টারে একটি কোর্সে গল্পটি যুক্ত করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশি তাসনুভা তাবাসসুম। তিনি বর্তমানে মিজৌরি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজি বিভাগে মাস্টার্সে পড়াশোনা করছেন ও একইসঙ্গে গ্র্যাজুয়েট অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবেও কাজ করছেন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি এক ফেসবুক পোস্টে তাসনুভা জানান, ‘অনুভূতিটা ঠিক কেমন হচ্ছে সেটা নিজেও বুঝতে পারছি না, পেটের ভেতরে হাজার প্রজাপতি উড়ে বেড়ানোর মতো অনেকটা। ঘটনাটা হয়তো তেমন কিছুই না, কিন্তু আমার কাছে অনেক কিছু। যখন আমি গত সেমিস্টারে আমার গবেষণার বিষয় নির্ধারণ করলাম, তখন আমার প্রফেসরদের কাছে গিয়ে গিয়ে বলছিলাম– কীভাবে বেগম রোকেয়ার একশ বছর আগের ‘সুলতানা'স ড্রিম’ আজকের দিনের ‘বারবি’ সিনেমার সাথে ভীষণভাবে মিলে যায়। যেহেতু এখানে কেউই আগে বেগম রোকেয়ার নাম শোনেননি, তাই আমাকে প্রতিজনের কাছে প্রতিবার বেগম রোকেয়াকে এবং ‘সুলতানা'স ড্রিম’-এর কাহিনি কী এটা নিয়ে বারবার বলতে হয়েছে। তাদেরকে আমার কাছে থাকা বইটাও ধার দিয়েছিলাম পড়ে দেখবার জন্যে। তারা বইটা শুধু পড়েনই নাই, মুগ্ধ হয়ে খুঁজে খুঁজে এই বই কিনেছেন!’‘আমি এতেই অত্যন্ত খুশি ছিলাম যে আমার আমেরিকান প্রফেসররা বেগম রোকেয়ার ভূয়সী প্রশংসা করছেন এবং তারা ভেবেছিলেন জিলম্যানের ‘হারল্যান্ড’ বুঝি প্রথম ফেমিনিস্ট ইউটোপিয়ান সায়েন্স ফিকশন যা ১৯১৫ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। যখন দেখলেন ‘সুলতানা'স ড্রিম’ আরও আগে ১৯০৫ সালে প্রকাশিত হয়েছিল, তারা যারপরনাই অবাক হলেন!’ এরপরই তার সফল হওয়ার কথা জানিয়ে পোস্টে লিখেছেন, ‘এখানেই ঘটনার শেষ? আমাকে অবাক করে দিয়ে ঘটনা সেখানে শেষ হয়নি। আমার সুপারভাইজার এই সেমিস্টারে একটা নতুন কোর্স ডিজাইন করেছেন যেখানে তিনি সিলেবাসে বেগম রোকেয়ার ‘সুলতানা’স ড্রিম!’ পড়াচ্ছেন কয়েকদিন আগে আমি যখন দেখা করতে গিয়েছিলাম উনার সাথে, তিনি আমাকে সিলেবাস দেখিয়ে বললেন আমার ছাত্ররা এখন ‘সুলতানা’স ড্রিম’ পড়ছে এবং সবাই এই টেক্সট অসম্ভব পছন্দ করেছে! আমি কিছুক্ষণ অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তার কম্পিউটার স্ক্রিনের সিলেবাসের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। মুখ দিয়ে একটা শব্দই বেরিয়েছে ‘সিরিয়াসলি?’ ডক্টর উডেন মিষ্টি হাসি দিয়ে বললেন- থ্যাঙ্কস টু ইউ ফর ইন্ট্রোডিউসিং মি উইথ হোসেইন’ (বেগম রোকেয়ার নাম লেখক হিসেবে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন লিখা বইতে, তাই নামের শেষাংশ বলেছেন)। তিনি বেগম রোকেয়ার সমসাময়িক পরিবেশ, সমাজ নিয়ে আরও জানতে আগ্রহী। আমার মাথায় আর কিছুই ঢুকছিল না, আমি শুধু ভাবছিলাম আমেরিকার মিজৌরি নামক রাজ্যের একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্ররা বেগম রোকেয়ার কথা জানবে, তার লিখা বই পড়বে.. আমার মতো তুচ্ছ-ক্ষুদ্র একটা মানুষ যে বেগম রোকেয়ার সিলেবাসে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যম হতে পেরেছে এই আনন্দ আমি কোথায় রাখব বুঝতে পারছিলাম না। এই নিয়ে গণমাধ্যমকে তাসনুভা জানান, আমি আসলে নিজের মাস্টার্সের থিসিসের বিষয় হিসেবে বেগম রোকেয়ার সুলতানা’স ড্রিম এবং বারবি সিনেমাকে বেছে নিয়েছিলাম ও এ জন্যই আমার প্রফেসরদের সঙ্গে সুলতানা'স ড্রিম এবং বেগম রোকেয়া বিষয়ে কথা বলতে হয়েছে। বারবি সিনেমা দেখার সময় বারবার এর সঙ্গে সুলতানা'স ড্রিমের থিমের মিল চোখে পড়ছিল। তখন মনে হয়েছিল একশ বছরেরও বেশি সময় আগে বেগম রোকেয়া যেভাবে ভেবেছেন, হলিউড সেভাবে ভাবছে একশ বছর পরে, বিষয়টা বেশ ইন্টারেস্টিং। তিনি বলেন, আমি চেষ্টা করি যেন আমার দেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে আমার পড়াশোনার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পারি। আমি জানি না কেন এ রকম চিন্তা কাজ করে ভেতরে, হয়তো দেশ থেকে এতদূরে আছি বলেই কোনো না কোনো উপায়ে দেশকে নিজের সঙ্গে জড়িয়ে রাখতে ইচ্ছা করে। আর এর ফল হলো, তার সুপারভাইজার এই সেমিস্টারে একটা নতুন কোর্স ডিজাইন করেছেন যেখানে তিনি সিলেবাসে বেগম রোকেয়ার ‘সুলতানা'স ড্রিম’ পড়াচ্ছেন। সেই অধ্যাপক জানিয়েছেন, ছাত্ররা এখন "সুলতানা'স ড্রিম" পড়ছে এবং সবাই এই টেক্সট অসম্ভব পছন্দ করেছে! খবরটা শোনার পরের অনুভূতি জানাতে তাসনুভা লেখেন, আমার মাথায় আর কিছুই ঢুকছিল না, আমি শুধু ভাবছিলাম আমেরিকার মিজৌরি নামক রাজ্যের একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্ররা বেগম রোকেয়ার কথা জানবে, তার লিখা বই পড়বে.. আমার মতো তুচ্ছ-ক্ষুদ্র একটা মানুষ যে বেগম রোকেয়ার সিলেবাসে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যম হতে পেরেছে এই আনন্দ আমি কোথায় রাখবো বুঝতে পারছিলাম না। যার জন্যে আমি আজকে পড়াশোনা করতে পারছি, এতদূরে পড়াশোনার হাত ধরে এসে দাঁড়িয়েছি, তার ঋণ তো বাঙালি নারী হিসেবে কোনোদিন শোধ করতে পারব না.. এইটুকু পরিচয় করিয়ে দিতে পেরে স্বস্তি পাচ্ছি যে তাকে ভিনদেশি ছাত্ররা চিনবে, জানবে।

post
নারী ও শিশু

জাপানিজ দুস্থ শিশুদের মাঝে হালাল দেশীয় খাবার বিতরন

জাপানে প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্যোগে জাপানিজ দুস্থ শিশুদের মাঝে হালাল দেশীয় খাবার বিতরন করা হয়। দেশীয় খাবারের মধ্যে বিরিয়ানি, গরুর রেজালা, পোলাও ও ডালসহ বিভিন্ন রকমের স্বুস্বাদু সব খাবার। দুস্থ: শিশুরা ছাড়াও সাধারন জাপানিজরাও অংশগ্রহন করে উপভোগ করেন বাংলাদেশী খাবার এবং সংস্কৃতি। জাপানের চিবা প্রেফাক্সারের চ্যারিটি অরগানাইজেসন “মিনামি নাগারেয়ামা কিডস ক্যাফেটেরিয়া” সপ্তাহান্তে জাপানিজ দুস্থ শিশুদের জন্য নিয়োমিত ভাবে খাবারের আয়োজন এবং বিতরন করে থাকে। এরই অংশ হিসেবে প্রবাসী বাংলাদেশীরা জাপানিজ শিশুদের মধ্যে প্রথমবারের মত দেশীয় হালাল খাবার বিতরন এবং দেশীয় সংস্কৃতি উপস্থাপন করেন । দেশীয় খাবারের মধ্যে বিরিয়ানি গরুর রেজালা পোলাও ডাল সহ বিভিন্ন রকমের খাবারের আয়োজন ছিলো। জাপানিজ শিশুরা ছাড়াও সাধারন জাপানিজরাও অংশগ্রহন করে বেশ উপভোগ করেন বাংলাদেশী খাবার এবং সংস্কৃতি। মিতসুবিসি ব্যাংক জাপানের আইটি ডিপার্টমেন্ট এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর, জাপান প্রবাসী রনি পারভেজ তালুকদার এবং চ্যারিটি অরগানাইজেসনের কর্ণধার সাতোমি কানাগাওয়া সহ প্রবাসী অন্যান্য আয়োজকবৃন্দ উপস্থিত থেকে খাবার বিতরন এবং অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন ।

post
নারী ও শিশু

ছেলের উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে পরীমণি

টানা কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরেও সুস্থ না হওয়ায় ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমণির ছেলে পদ্মকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বুধবার বিকেল ৫টার ফ্লাইটে সন্তানকে নিয়ে কলকাতায় গেছেন পরী।এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে এক পোস্টে পরী জানান, বরিশাল থেকে ফেরার পথে একটা ফলের দোকান থেকে কিছু ফল কিনেছিলাম। বাসায় ফল খাওয়ার আগে রেগুলার যেভাবে ক্লিন করা হয় সেভাবে না করেই শুধু মিনারেল ওয়াটার দিয়ে ধুয়ে খেয়েছিলাম। বাবু খুবই অল্প পরিমাণ মানে দুই একটা বাইট নিয়েছিল। ব্যস! বাচ্চা, আমি, আমার গাড়িচালকসহ আমার বাসার মোট পাঁচ জন ফুড পয়জনিং নিয়ে ১১ তারিখ রাত থেকে হসপিটালে। সবাই মোটামুটি রিকোভার করলেও পুণ্য (রাজ্য) এখনও হসপিটালাইজড! বরিশাল থেকে ফিরেই নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন পরীমণি। এমনটাই পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই পরিকল্পনাও জলে ভেসে গেছে। এই নায়িকা বললেন, নানুবাড়ি থেকে ভীষণ রকম গুড এনার্জি নিয়ে ফিরেছিলাম। জমে থাকা কাজগুলো একটানা শেষ করব ভাবছিলাম। শনিবার আমার ওয়েব ফিল্ম কাগজের বউর প্রেস মিট ও প্রিমিয়ার ছিল এফডিসিতে। থাকতে পারিনি। সবশেষ ভক্তদের সাবধান করে পরী বলেন, শীতকালে সবাই খাবার-দাবার বুঝে খাবেন। বিশেষ করে বাইরের খাবার। এত ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস শীতের সময় এসব থেকে সেফ থাকা মুশকিল।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.