বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতি ও রঙহীন ভবিষ্যৎ - আবুবকর হানিপ
বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতি এক কঠিন বাস্তবতা এবং গভীর আবেগপূর্ণ বিষয় হিসেবে দাঁড়িয়েছে। সময়ের ব্যবধানে ছাত্ররাজনীতি আমাদের একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্বের আলো ম্লান করে দিয়েছে এবং তরুণদের ভবিষ্যেক ঠেলে দিয়েছে অনিশ্চয়তার মুখে। ছাত্ররাজনীতির ক্ষতিকর দিকগুলোই হয়ে উঠেছে প্রকট। আমরা যদি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জাপান, সৌদি আরব বা এমনকি ভারতের মতো দেশগুলোর দিকে তাকাই, এই বিষয়ে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের এক তীব্র বৈপরীত্য দেখতে পাই।ওই সব দেশে ছাত্ররাজনীতি নেই বললেই চলে। অথচ বাংলাদেশে তা শিক্ষাব্যবস্থার গভীরে প্রোথিত হয়ে রয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই কোমলমতি শিক্ষার্থীর মন ও হৃদয় রাজনীতির জালে জড়িয়ে পড়ে, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিপরীত মেরুর দিকে নিয়ে যায়। একসময়ে তা জাতীয় ঐক্যে আঘাত হানে আর ভেঙে দেয়।তখন সহপাঠী আর এক বেঞ্চিতে বসতে পারে না। এক পর্যায়ে এই বিভাজন কেবল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং এমন শত্রুতার বীজ বপন হয়, যা নাগরিক সমাজেও প্রতিফলিত হতে থাকে। ফলে একসময় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে থাকা মানুষের মাঝেও সৃষ্টি করে বিরোধ।বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হওয়ার পরপরই স্রেফ হলের আসন পাওয়ার মতো মৌলিক সুবিধা নিশ্চিত করতেই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রবল চাপে পড়ে যায়যারা কোনো রাজনৈতিক সম্পৃক্ততায় থাকে না, তারা ভালো আসন পেতে চরম বৈষম্যে পড়ে। বলা চলে, পায়ই না। বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন একটি পরিবেশ বিরাজ করে, যা মেধার চেয়ে রাজনৈতিক আনুগত্যকে বেশি গুরুত্ব দেয়। আর তা নিঃসন্দেহে শিক্ষার্থীর জন্য ক্ষতিকর।ছাত্ররাজনীতির সবচেয়ে মর্মন্তুদ দিকটি হলো শিক্ষার্থীর মেধার ওপর এর গভীর কালো ছায়া ফেলার ক্ষমতা।পুলিশ, সামরিক বাহিনী, শিক্ষকতা, চিকিৎসা এবং প্রকৌশল ক্ষেত্রের নিয়োগে সরকারি প্রভাব। বিশেষ করে বিসিএসের মতো গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক আনুগত্য প্রায়ই একাডেমিক মেধাকে ছাপিয়ে যায়। এই সমস্যা শুধু নিয়োগপ্রক্রিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি দেশের সামগ্রিক অগ্রগতির ওপরও গভীর প্রভাব ফেলছে। একাডেমিক বিষয়ে রাজনৈতিক গোষ্ঠীর, বিশেষত শাসকদলের সম্পৃক্ততা শিক্ষাজীবনের বাইরেও প্রভাব ফেলে। পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বের (উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য) নিয়োগে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ মেধাভিত্তিক নিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করছে, যার ফলে শিক্ষার গুণগত মানের অবনতি ঘটছে। নিয়োগপ্রক্রিয়ায় প্রায়ই রাজনৈতিক আনুগত্য একাডেমিক মেধাকে ছাপিয়ে যায়, যা বৈশ্বিক শিক্ষাগত র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশকে ক্রমাগত অধঃপতনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলোর ব্যাপক সম্পৃক্ততা ও প্রভাব ক্যাম্পাসে সহিংসতা এবং অনৈতিক কার্যকলাপের জন্ম দিয়েছে। এই সমস্যাগুলো শুধু একাডেমিক কার্যক্রমকেই ব্যাহত করছে তা নয়, শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক মঙ্গলকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। লক্ষ করা গেছে, শাসকদল যখন কাউকে গুরুদায়িত্ব দেয়, সেই দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির কাছে পদের গুরুত্বটি প্রায়ই অগ্রাধিকার হারায়, বরং সব প্রচেষ্টা থাকে পদ ধরে রাখার বা ব্যক্তিগত স্বার্থে নিজের আখের গোছানোর দিকে কেন্দ্রীভূত হয়, যা দেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। শিক্ষাব্যবস্থার ওপর এই রাজনৈতিক প্রভাব মেধার বিকাশকে রুদ্ধ করছে। ফলে মেধাবীরা যথাযথ স্বীকৃতি এবং সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এতে দেশের সবচেয়ে উজ্জ্বল মেধাবীরা হতাশায় ভুগতে শুরু করে এবং অনেকেই দেশের স্বপ্ন ছেড়ে বিদেশে পাড়ি দেয় কিংবা বেআইনি পথে পা বাড়ায়। মেধার যথাযথ মূল্যায়ন না হওয়ার কারণে জাতির ভবিষ্যৎ তরুণরা হতাশার গভীরে তলিয়ে যেতে থাকে, যা দেশের জন্য একটি গভীর সংকট তৈরি করছে। এহেন পরিস্থিতি স্পষ্ট করে দেয় যে যখন রাজনৈতিক আনুগত্যের কারণে প্রকৃত যোগ্যতার মূল্যায়ন উপেক্ষিত হয়, তখন একটি পুরো জাতির সম্ভাবনা ব্যাহত হয় এবং দেশের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়।যখন শিক্ষক নিয়োগ হয় তার রাজনৈতিক সংযোগের ভিত্তিতে এবং মেধার মূল্যায়ন উপেক্ষিত হয়, তখন এর প্রভাব শিক্ষার গুণগত মান এবং শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক শিক্ষাগত অভিজ্ঞতার ওপর গভীরভাবে পড়ে। এই মানসিকতা বাংলাদেশের অগ্রগতির পথে একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা এর মূল্য দিতে বাধ্য হচ্ছে। প্রমাণ মেলে যখন আমরা দেখি অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক মানে উন্নতি করছে, আর আমাদের রাষ্ট্রীয় এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে অনেক পিছিয়ে পড়ছে।উপযুক্ত পরিবেশ ও সহায়তা পেলে বাংলাদেশিরা বিশ্ব পর্যায়ে অনন্য অবদান রাখতে সক্ষম। উদাহরণস্বরূপ, বিদেশে অধ্যয়ন করা বাংলাদেশিরা; যেমন—নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস, মাইক্রোক্রেডিট এবং সামাজিক ব্যবসার পথিকৃৎ; ড. ফজলুর রহমান খান, উঁচু ভবনের জন্য ‘টিউবুলার ডিজাইনের জনক’, যিনি বিখ্যাত সিয়ার্স টাওয়ার ডিজাইন করেছিলেন এবং যাঁকে প্রায়ই ‘স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আইনস্টাইন’ এবং ‘বিংশ শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার’ বলা হয়; ড. মোহাম্মদ আতাউল করিম, একজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী; ইন্টেলের সাবেক চেয়ারম্যান ড. ওমর ইশরাক; সোনো আর্সেনিক ফিল্টারের উদ্ভাবক ড. আবুল হুসাম এবং টেভোজেন বায়োর সিইও ড. রায়ান সাদি বিশ্বব্যাপী যুগান্তকারী অবদান রেখে চলেছেন। তাঁদের এই অসামান্য সাফল্য আমাদের গর্বিত করে, যা আমাদের জাতির অসীম সম্ভাবনাকে তুলে ধরে। এ ছাড়া শিক্ষা, প্রকৌশল, চিকিৎসা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, আইটি, এমনকি ব্যবসাক্ষেত্রেও অসংখ্য বাংলাদেশি রয়েছেন, যাঁরা প্রবাসে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন, জাতি হিসেবে বাংলাদেশকে গর্বিত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশের স্থানীয় রাজনীতিতেও আমরা অনেক বাংলাদেশিকে দেখি তাঁদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে এগিয়ে যাচ্ছেন। এটিই মেধার বিকাশ। সঠিক পরিবেশই তাঁদের এই অগ্রগতিতে সহায়তা করেছে।অনস্বীকার্য যে বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের একটি গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৯৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের অসামান্য ও প্রশংসনীয় ভূমিকা ছিল। কিন্তু বর্তমানে ছাত্ররাজনীতিতে বিভাজন, সংঘাত, রাজনৈতিক নেতাদের আড়ালে চাঁদাবাজি, র্যাগিং, বুলিং, সহিংসতা, অসাধু ভর্তি বাণিজ্য এবং নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মাঝে ভয় সৃষ্টির মতো নেতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট। বর্তমান ছাত্ররাজনীতির ভয়াবহ থাবা শিক্ষার মূল লক্ষ্য—শিক্ষা, গবেষণা এবং উদ্ভাবন থেকে মনোযোগ সরিয়ে নিচ্ছে।জাপান, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরের মতো দেশগুলোতে ছাত্ররাজনীতি নেই বললেই চলে, যা তাদের শিক্ষাব্যবস্থা এবং সামগ্রিক অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে। এই দেশগুলো তাদের শিক্ষার্থীদের শক্তিকে একাডেমিক উত্কর্ষ, গবেষণা এবং উদ্ভাবনের দিকে ধাবিত করেছে রাজনৈতিক জটিলতায় জড়িয়ে না ফেলে। জাপানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার গুণমানকে অগ্রাধিকার দেয়, জার্মানির ছাত্রসংগঠনগুলো মূলত কল্যাণ ও প্রশাসনিক বিষয়ে কাজ করে। দক্ষিণ কোরিয়া, যা একসময় ছাত্র আন্দোলনের জন্য বিখ্যাত ছিল, এখন একাডেমিক বিষয়ে মনোনিবেশ করেছে। সিঙ্গাপুরে সরকারের কঠোর নিয়মাবলি শিক্ষাকে জাতীয় উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছে ছাত্ররাজনীতিকে দূরে রেখে।এই দেশগুলো তাদের ছাত্রদের গঠনমূলক বিকাশ এবং জাতীয় উন্নয়নের জন্য কাজে লাগিয়ে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশও এই উদাহরণগুলো থেকে শিক্ষা নিতে পারে। যদি আমরা সত্যি আমাদের দেশের উন্নতি চাই, তবে আমাদেরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি নিরুৎসাহ করে মেধা এবং একাডেমিক উত্কর্ষের ওপর জোর দিতে হবে। বাংলাদেশ তার শিক্ষার্থীদের সেই নেতৃত্বের দিকে ধাবিত করতে পারে, যা শিক্ষা, উদ্ভাবন এবং জাতি গঠনে প্রধান ভূমিকা রাখবে, রাজনৈতিক বিভাজনের খেলায় নয়।এখনই সময় বাংলাদেশ এই সফল দেশগুলোর পথ অনুসরণ করে শিক্ষায় মেধার বিকাশ এবং শিক্ষার্থীদের সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। ছাত্ররাজনীতির ওপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা চরমপন্থা মনে হতে পারে, কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় শিক্ষা এবং মেধাতন্ত্রকে প্রাধান্য দেওয়ার এক জরুরি আহ্বান জানাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব, গবেষণা এবং উদ্ভাবনের দিকে অনুপ্রাণিত করার মানেই হচ্ছে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য পথ প্রশস্ত করা। বর্তমান ছাত্ররাজনীতি চর্চার পরিবর্তে আমি প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘ছাত্রসংসদ’ নামে পরিচিত স্টুডেন্ট গভর্নমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (এসজিএ) কার্যক্রম চালুর প্রস্তাব করছি। তবে এই সংস্থাগুলো অবশ্যই সম্পূর্ণভাবে অরাজনৈতিক থাকতে হবে। এসজিএগুলো প্রাতিষ্ঠানিক ও সামাজিক উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে পারে, এমনকি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে মতামত প্রকাশের জন্য শিক্ষার্থীদের আবেগকে চালিত করতে পারে। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, মুক্তচিন্তা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার চেতনা জাগিয়ে তুলতেও এরা ভূমিকা রাখতে পারে।ছাত্রশক্তিকে একত্র করতে যে ছাত্রদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে না তার প্রমাণ আমরা সম্প্রতি বিশ্বপরিমণ্ডলে পেয়েছি গাজা যুদ্ধ ইস্যুতে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিক্ষার্থীদের সোচ্চার হতে দেখেছি একটি অন্যায় যুদ্ধের বিরুদ্ধে তথা মানবতার বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে। আর বাংলাদেশে আমরা দেখেছি শিক্ষার্থীদের জাগরণ। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তারা সোচ্চার হয়ে নিশ্চিত করেছে তাদের বিজয়। আমরা একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি। বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতির বর্তমান জটিলতা জাতীয় বিভাজন, মেধাতন্ত্রের ক্ষয় এবং শিক্ষার অঙ্গীকারের হ্রাস ঘটিয়েছে। ছাত্ররাজনীতি যেখানে কম প্রভাব রাখে এমন দেশের সঙ্গে এই বাস্তবতার বৈপরীত্য আমাদের জন্য একটি জাগরণী হিসেবে কাজ করা উচিত। এখন সময় এসেছে দেশপ্রেমিক এবং সচেতন মানুষের একত্র কণ্ঠে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার।আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় ছাত্ররাজনীতির ভূমিকা পুনর্বিবেচনা করা জরুরি, যাতে আমরা শিক্ষিত, উদ্ভাবনী এবং ঐক্যবদ্ধ মানুষের একটি প্রজন্ম গড়ে তুলতে পারি, যারা জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আশাভরা হৃদয়ে আমাদের তরুণদের মাঝে নতুন সম্ভাবনার আগুন প্রজ্বালিত করতে হবে, তাদের দ্রুত উত্থিত হওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।লেখক : চ্যান্সেলর ও চেয়ারম্যান, ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ভার্জিনিয়া, যুক্তরাষ্ট্র (www.wust.edu) এবং প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, পিপলএনটেক (www.peoplentech.com)