পার্বত্য অঞ্চলে বেকার যুবক-যুবতীদের ফ্রীল্যান্সিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পিপলএনটেক
চট্টগ্রাম পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় "তিন পার্বত্য জেলার বেকার যুবক-যুবতীদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন ও আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিকরণ শীর্ষক স্কিম" শীর্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ দিবেন অ্যামেরিকান ভিত্তিক প্রফেশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান পিপলএনটেক। গত ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মি. রিপান চাকমা। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এবং পিপলএনটেক লিমিটেডের চিফ অপারেটীং অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন (অর্থ), সুজন চৌধুরী (সদস্য), মোহাম্মদ মাহবুবুল করিম (সদস্য, বাস্তবায়ন ও অ্যাডমিনিস্ট্রেশন), এবং জাহিদ ইকবাল (সদস্য, পরিকল্পনা)। সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক মংছেনলাইন রাখাইন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বোর্ডের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও আইসিটি স্কিমের প্রকল্প সমন্বয়ক সাগর পাল।এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের ২০০ বেকার তরুণরা আইসিটি এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের জন্য সুযোগ পেয়েছেন। প্রশিক্ষণের বিষয়বস্তু বেসিক কম্পিউটার ও হার্ডওয়্যার, গ্রাফিক ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, অডিও, ভিডিও, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ফ্রিল্যান্সিং। অংশগ্রহণকারীরা দক্ষতার সঙ্গে এই প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে নিজেদের কর্মসংস্থান ও স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন।অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বলেন, “নিজেকে স্কিলড করে গড়ে তুলতে পারলে কম পারিশ্রমিকে বিদেশে যাওয়ার দরকার হবেনা, দেশে বসেই উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরী করা যাবে তখন আর চাকরি করা লাগবেনা নিজেই অনেককে চাকরি দিতে পারবেন। আবার নিজেরা ঘরে বসেই ফ্রীল্যান্সিং করে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।”অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ বলেন, "শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে পিপলএনটেক যেভাবে আমেরিকা থেকে শুরু করে বিশ্বে যেভাবে সুনামের সহিত কাজ করে যাচ্ছে, ঠিক একইভাবে তিন পার্বত্য জেলার বেকার যুবক-যুবতীদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ দিবেন যেন তারা প্রশিক্ষণ শেষে নিজেরা উদোক্তা হিসেবা বা ফ্রীল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে পারবে। এই উদ্যোগ পার্বত্য অঞ্চলের তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।"একজন শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম জানান, “আমি একটা কোম্পানি কাজ করি, কিন্তু আমি দেখলাম আমার কাজের চেয়ে আমি যদি এই কোর্স করি তাহলে আমি বেশি কাজ করতে পারবো। স্পেশালি ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কাজ শুরু করতে পারবো, তাই আমি এই কোর্সে যোগদান করেছি।”পার্বত্য অঞ্চলে বেকার যুবক-যুবতীদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য এই ধরনের আরো নেওয়া হচ্ছে, সেখানে কর্মসংস্থান তৈরী করা বা শিক্ষিত যুকব যুবতীরাই বেশি প্রধান্য পাবেন বলে জানান বক্তারা।