post
যুক্তরাষ্ট্র

বঙ্গমাতার জীবনাদর্শ হোক সকল নারীর অনুকরণীয় আদর্শ: রাবাব ফাতিমা

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। আলোচনা পর্বের শুরুতে মহীয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদযাপনকে জীবন ও কর্ম এবং দেশ ও জাতিগঠনে তার অসমান্য অবদানের নানা দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। দিবসটির প্রতিপাদ্য- ‘বঙ্গমাতা- সংকটে সংগ্রামে নির্ভিক সহযাত্রী’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটেছে এই প্রতিপাদ্যে। জাতির পিতার দীর্ঘ গৌরবময় সংগ্রামে, সকল সঙ্কটে অকুতোভয়, নির্ভিক সহযাত্রী ছিলেন বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব। সঙ্কটময় রাজনৈতিক জীবন ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজেও তিনি সব সময় বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে শক্তি যুগিয়েছেন। তাই বঙ্গমাতার জীবনাদর্শ ও মুল্যবোধ হোক সকল নারীর অনুকরণীয় আদর্শ। স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, আমরা যখন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ভাবি কিংবা তার সম্পর্কে কথা বলি তখন স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে বঙ্গমাতার কথা। জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য থেকে নানা উদ্বৃতি তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে -কীভাবে বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বঙ্গমাতা দলীয় কর্মকাণ্ড সচল রাখতে ভূমিকা রেখেছেন, কীভাবে অবলীলায় দলীয় কর্মী এবং দলের প্রয়োজনে তার সঞ্চিত অর্থ ব্যয় করেছেন; ৬ দফা, ৭ মার্চের কালজয়ী ভাষণসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে বঙ্গবন্ধুকে অটল থাকতে কীভাবে বঙ্গমাতা সাহস যুগিয়েছেন, অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করেও হাসিমুখে কীভাবে সংসার আগলে রেখেছেন, ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করে কিভাবে নির্লোভ ও সাধাসিধে জীবন যাপন করেছেন তার নানা দিক। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্ব, উদার-মানবিক হৃদয় এবং সাদামাঠা জীবন যাপনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘এমন মানবিক উদারতা ও দূরদর্শীতা বঙ্গমাতার আদর্শ থেকেই উৎসারিত হয়েছে। প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের শিশু কিশোররা যাতে বঙ্গমাতা সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে পারে সে বিষয়ে আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রয়াস গ্রহণ করতে হবে। বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৫ জন বিশিষ্ট নারীকে ‘বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক’ প্রদান করাকে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। আলোচনা পর্ব শেষে বঙ্গমাতাকে নিয়ে কবিতা পাঠ করেন মিশনের কর্মকর্তারা।

post
যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারের বিলবোর্ডে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের গল্প

জাতীয় শোক দিবসে নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারের আইকনিক বলড্রপ বিলবোর্ডে হবে বাঙালির মহানায়ক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের প্রদর্শনী। বিভিন্ন দেশের লাখো মানুষ এই টাইমস স্কয়ারে জড়ো হয় প্রতিদিন। এবার ১৫ আগস্টে বিলবোর্ডজুড়ে তারা দেখবেন বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের গল্প। নিউইয়র্কে ফাহিম ফিরোজ নামের এক প্রবাসীর উদ্যোগে এই প্রদর্শনী হবে। ফাহিম নিউইয়র্কভিত্তিক বিজ্ঞাপনী সংস্থা এনওয়াই ড্রিমস প্রোডাকশনের সিইও। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রবাসের বীর মুক্তিযোদ্ধারা। ফাহিম জানান, ১৫ আগস্ট প্রথম প্রহর থেকে এই প্রদর্শনী শুরু হবে। সেজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও শেষ হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় প্রতি ২ মিনিটে ১৫ সেকেন্ড করে পুরো বিলবোর্ডজুড়ে এই প্রদর্শনী চলবে। সব মিলিয়ে ৭২০ বারে এই প্রদর্শনী মোট তিন ঘণ্টা চলবে। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস গণমাধ্যমকে বলেন, এই প্রদর্শনীতে থাকবে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের অংশবিশেষসহ স্মরণীয় কিছু মুহূর্ত। এ ছাড়া জাতির পিতার আন্দোলন-সংগ্রামের নানা দিক নিয়ে ছবি আর ক্যাপশন থাকবে। তার ত্যাগ আর বীরত্বগাঁথা তুলে ধরা হবে।

post
যুক্তরাষ্ট্র

ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় শোক দিবস পালিত

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস রোববার যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী স্মরণে জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের এ দিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যরা নির্মমভাবে নিহত হন। দূতাবাসের কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের নিহত সদস্যদের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। প্রধান অতিথি হিসেবে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, এমপি এবং বিশ্ব ব্যাংকে বাংলাদেশের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শফিউল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম সহিদুল ইসলাম কর্তৃক জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। অতঃপর রাষ্ট্রদূত সহিদুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি, মোহাম্মদ শফিউল আলম এবং দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিয়ে জাতির পিতার আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন। এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। রাষ্ট্রদূতের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত এম সহিদুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সমুন্নত রাখার এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়াতে নিরলসভাবে কাজ করার মাধ্যমে শোককে শক্তিতে রূপান্তরের আহ্বান জানান। তিনি বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে সম্মানিত সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃষ্টিভঙ্গির কথা তুলে ধরেন এবং জাতির অগ্রগতি বিপন্নকারী স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি কর্তৃক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার এ জঘন্য কাজের নিন্দা জানান। ১৯৬৬ সালে ছয় দফা আন্দোলনের সময় ছাত্রনেতা হিসেবে নিজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে উল্লেখ করে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি, তার বক্তব্যে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান লক্ষ্যনীয়ভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে কাজ করতে পেরে তিনি গর্বিত এবং শেষ দিন পর্যন্ত জাতির প্রতি তার দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অনুষ্ঠানে বিশ্ব ব্যাংকে বাংলাদেশের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শফিউল আলম বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে তার অনুভূতি ও দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। বাংলাদেশের মতো একটি নব্য স্বাধীন দেশকে পরিচালিত করতে এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর দৃঢ় নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বেশিরভাগ আইন, বিধি এবং প্রতিষ্ঠান নির্মাণের কাজটি বঙ্গবন্ধু তার রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনার চার বছরেরও কম সময়ের মধ্যে হয় সম্পন্ন করেছিলেন নতুবা সূচনা করেছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। ১৫ আগস্টের সকল শহীদ এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীরদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে একটি বিশেষ প্রার্থনাও অনুষ্ঠিত হয়।

post
যুক্তরাষ্ট্র

বঙ্গবন্ধুর খুনী রাশেদকে যুক্তরাষ্ট্র ফেরত দিবে বলে আশাবাদী বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ঢাকা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট হত্যাযজ্ঞের ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দিবে বলে প্রত্যাশা করছে। কারণ এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়াগুলো শেষ করার কাজ চলছে। লোটে রয়্যাল হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মঙ্গলবারের সার্বিক কর্মসূচির ওপর মিডিয়া ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, ‘ আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনবো বলে আশা করছি।’ বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত এই খুনীকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার ফলাফল সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, এর আগে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়ে সাজাপ্রাপ্ত ১২ আসামীর একজনকে ফিরিয়ে দেয়ায় ঢাকা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাশেদ চৌধুরীকেও ফিরে পাওয়ার আশা করছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বিএনপি ও তার ঘনিস্ট মিত্র জামায়াত বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশে জনসমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়ে অসৎ উদ্দেশে তারা বিদেশে অপপ্রচারের পথ বেছে নিয়েছে। শাহরিয়ার বলেন, কিন্তু তাদের এ প্রচেষ্টা অতীতে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানেও ব্যর্থ হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও ব্যর্থ হবে...তাদের দাবি মোকাবেলা করার জন্যে আমাদের কাছে অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকার প্রধানত গণতন্ত্রকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার পাশপাশি সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে জাতিসংঘের আইন ও নীতিমালার অনুমোদন করছে। হোটেল লোটে নিউইয়র্ক প্যালেসের এই ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস

post
যুক্তরাষ্ট্র

২৫ সেপ্টেম্বর জ্যাকসন হাইটসে পালিত হবে 'বাংলাদেশী ইমিগ্রান্ট ডে'

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রথমবারের মত সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাংলায় ভাষণ দেয়ার দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রবাসী বাংলাদেশীরা এই প্রস্তাব দিয়েছিল। দিনটি উপলক্ষে নিউইয়র্কের মূলধারায় বাংলাদেশী সমাজ বিনির্মাণে যাদের অবদান রয়েছে তাঁদের উপস্থিতিতে ২৫ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেল ৫ টায় জ্যাকসন হাইটেসের জুইশ সেন্টারে দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে মুক্তধারা।এতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ থেকে আগত সংসদ সদস্য ও সাবেক এফবিসিআই সভাপতি এমডি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন, বর্তমান এফবিসিসিআই সভাপতি এমডি জসিম উদ্দীন, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সোবহান গোলাপ, মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ. জিয়াউদ্দীন আহমেদ, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. নজরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইমাম, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়, সাংবাদিক লেখক সুভাষ সিংহ রায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। উপস্থিত থাকবেন নিউ ইয়র্ক স্টেট সেনেটর, কাউন্সিলম্যান, আমেরিকার মূলধারায় নব-নির্বাচিত বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত শাহানা হানিফ, সোমা সাঈদ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেদিন জাতিসংঘে ভাষণ দিয়েছিলেন সেই ২৫ সেপ্টেম্বরকে ২০২১ সালের জন্য ধারাবাহিকভাবে তৃতীয় বছরের মত ‘বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ ঘোষণা করা হয়েছে। আমেরিকার মূলধারায় জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের মুক্তধারার বিভিন্ন কর্মকান্ডের মধ্যে আরেকটি যোগ হলো তৃতীয়বারের মত নিউইয়র্ক স্টেট সিনেট এই বিলটি পাশ করা। গত ২১ জানুয়ারী মুক্তধারার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও বিশ্বজিত সাহা সিনেটর স্টেভেস্কি দিয়ে বিলটি নিউ ইয়র্ক স্টেটের আইন পরিষদে উত্থাপন করেন। ২৬ জানুয়ারী সর্বসন্মতভাবে বিলটি পাশ হয়। সিনেট রেজ্যুলেশন নম্বর জে ০০১৯৭। 

post
যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কের কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরিতে ‘বাংলা কর্নার’ স্থাপন

মুজিব বর্ষ’ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরিতে ‘বাংলা কর্নার’ স্থাপন করা হয়েছে। নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের উদ্যোগে ও কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরির সহযোগিতায় এই কর্নার স্থাপন করা হয়। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন কর্নারের উদ্বোধন করেন। তিনি এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কমিউনিটির সর্ববৃহৎ আবাসস্থল নিউইয়র্কের কুইন্স বরো। সেখানে ইংরেজি, স্প্যানিশ ও চাইনিজ ভাষার পরে বাংলা চতুর্থ বৃহৎ ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ কারণে কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরিতে ‘বাংলা কর্নার’ স্থাপন বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। বাংলা কর্নারটিতে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে ৩০৯টি বই প্রদান করা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, ‘২০২১ সাল বিভিন্ন দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এ বছর আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও আজ (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্ম দিন। সে কারণে এ বছরের এদিনে বাংলা কর্নারের শুভ উদ্বোধন বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।’ পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বাংলা কর্নারটি বাংলাদেশি-আমেরিকান কমিউনিটির জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি আশা প্রকাশ করেন, কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরিসহ অন্যান্য মূলধারার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কনস্যুলেটের যোগাযোগ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।

post
যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেলকে সংবর্ধনা

নিউইয়র্কে বাংলাদেশের বিদায়ী কনসাল জেনারেলকে সংবর্ধনা দিয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন যুক্তরাষ্ট্র শাখা।শনিবার জ্যাকসন হাইটসে একটি রেস্টুরেন্টের মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কমিউনিকেশন্স ডাইরেক্টর বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসারের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ।শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ, পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সব শহীদ ও ৩ নভেম্বরের জেলহত্যা শহীদ স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ছিলেন আবুল বাশার চুন্নু, মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, খুরশেদ আনোয়ার বাবলু, এনামুল হক, আব্দুর রহমান, শহীদ হাসান, গুলজার হোসেন, বিল্লাল হোসেন, নাজিমউদ্দিন, নূরল ইসলাম, এমদাদুল হক, আবুল বাশার ভূইয়া, মকবুল হোসেন তালুকদার, মিজানুর রহমান চৌধুরী, রুহুল আমিন ভূইয়া, আশরাফ আলী, এম এ আওয়াল ও জাকির হোসেন হিরু।সমাবেশ থেকে কমিউনিটি সার্ভিসে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া নিউ ইয়র্কের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসাকে আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্মাননা পদক দেওয়া হয়।বক্তব্য দেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব, যুক্তরাষ্ট্র শাখার সেক্রেটারি বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারি, বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার ভেটারন্স ইউএস-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের অন্যতম সহ-সভাপতি রানা ফেরদৌস চৌধুরী।

post
যুক্তরাষ্ট্র

বাফেলোতে পিপলএনটেকের ক্যাম্পাস খোলার আহ্বান মেয়রের

নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের বাফেলো শহরে স্বনামধন্য আইটি প্রতিষ্ঠান পিপলএনটেকের একটি নতুন শাখা উদ্বোধনের আহ্বান জানিয়েছেন শহরটির মেয়র বাইরন ব্রাউন। গতকাল শুক্রবার আইটি প্রতিষ্ঠান পিপলএনটেকের সিইও এবং আই গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর আবু বকর হানিপ বাফেলো শহরে অবস্থিত বিআইসিসি মসজিদ পরিদর্শন করেন। মসজিদ পরিদর্শন শেষে চ্যান্সেলর হানিপ মেয়র বাইরন ব্রাউনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাফেলো বাংলা পত্রিকার সম্পাদক নিয়াজ মাকদুম। এ সময় মেয়র ব্রাউন বলেন, দেড় দশকের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে আইটি প্রতিষ্ঠান পিপলএনটেক প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য কাজ করছে এবং তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রের মেইন স্ট্রিমে চাকুরী প্রদান করেছে। যদি বাফেলো শহরে পিপলএনটেকের একটি শাখা করা হয় তাহলে এখানকার অনেক বাংলাদেশীরা উপকৃত হবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ২০০৫ সাল থেকে বাফেলো শহরের নির্বাচিত মেয়র মি. ব্রাউন তাকে আগামী নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত করার জন্য সেখানকার জনগনের প্রতি আহ্বান জানান। মি. ব্রাউন বলেন গত ষোল বছরে তিনি বাফেলো শহরের উন্নয়নের জন্য অনেক কাজ করেছেন। ‘আমি আজ আপনাদের সামনে এসেছি—আগামী নির্বাচনে আপনারা ভোট দিয়ে আমাকে পুনরায় নির্বাচিত করবেন এই আহ্বান জানাতে। সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষ যাতে এখানে নিরাপদ এবং আস্থার সাথে ব্যাবসা-বাণিজ্য করতে পারে সে জন্য আমি কাজ করে যাব,’ তিনি যোগ করেন। এ সময় ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপ মেয়রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ইতোমধ্যে ভার্জিনিয়া থেকে নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া পর্যন্ত আমাদের পিপলএনটেকের ক্যাম্পাসের বিস্তার ঘটেছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাফেলো শহরে একটি ক্যাম্পাস তৈরি করার পরিকল্পনা করছি। ‘আমি আশা করি পিপলএনটেকের মাধ্যমে এখানকার বাঙ্গালী কমিনিটি উপকৃত হবেন। যদি তারা পিপলএনটেক থেকে সঠিকভাবে আইটি প্রশিক্ষণ নেয়, তবে তাদের আর অড জব করতে হবে না। তারা অনেক ভালো বেতনে এই দেশের মেইন স্ট্রিমে চাকুরী করতে পারবেন,’ যোগ করেন তিনি। এদিকে বাফেলো বাংলা পত্রিকার সম্পাদক নিয়াজ মাকদুম বলেন এই শহরে প্রায় পঞ্চাশ হাজারের মত বাংলাদেশী বাস করেন যাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ খুবই কম। সুতারাং যদি পিপলএনটেকের মত একটি স্বনামধন্য আইটি প্রতিষ্ঠান এখানে শাখা উদ্বোধন করে তাহলে এখানকার বাংলাদেশীরাসহ অন্যান্যরাও উপকৃত হবেন বলে তিনি মনে করেন। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে যাত্রা শুরু করে পিপলএনটেক’র ক্যাম্পাস বাংলাদেশসহ ভার্জিনিয়া থেকে নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়ায় বিস্তৃত হয়েছে। অনলাইনেও ক্লাস নিচ্ছে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ভারতসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশের ছাত্র-ছাত্রীরা। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে মোমেন ২০১৯ সালে নিউইয়র্কে ক্যাম্পাস পরিদর্শনকালে প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রায় সাত হাজার বাংলাদেশীদের উচ্চ বেতনে চাকুরী প্রদানে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য পিপলএনটেকের প্রচেষ্টাকে ‘বৈপ্লবিক উদ্যোগ’ বলে উল্লেখ করেন। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা আবুবকর হানিপকে একজন ‘ম্যাজিকম্যান’ উপাধি দিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেন।

post
যুক্তরাষ্ট্র

আইজিইউ’র শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

সাদিয়া ইসলাম: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ‘আই গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি’র (আইজিইউ) মাস্টার অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) সহ বিএসআইটি, এমএস সিএস, এমএসআইটি কোর্সে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ২৩ অক্টোবর শনিবার নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে নবাগতদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ভার্জিনিয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবের উজ্জ্বল ইতিহাস শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন। তারা বলেন, বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অসংখ্য শিক্ষার্থীর মধ্যে এখানে যারা ভর্তির সুযোগ পেয়েছে তারা নিঃসন্দেহে মেধাবী। প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কে বার্ক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়টির চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ নবাগত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকবৃন্দ অনেক অভিজ্ঞ। আপনাদের যে কোন সমস্যা তাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। তাদের অভিজ্ঞতা আপনাদের অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। শিক্ষার্থীদেরকে স্কিল ডেভেলপমেন্টের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ বলেন, সরকার প্রতি বছর ৮৫ হাজার দক্ষ কর্মী বিদেশ থেকে নিয়ে আসে ইউএসএতে। অথচ ইউএসএতে পড়ালেখা শেষ করে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদেরকে শুধুমাত্র একাডেমিকাল নলেজ নিয়ে ফিরে যেতে হয় নিজ দেশে। এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে প্রযুক্তিগত শিক্ষা সংমিশ্রণের অভাবকে। এখানে আসা স্টুডেন্টদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে প্রযুক্তিগত শিক্ষার সংমিশ্রণের মাধ্যমে ইউএসএ'র জব মার্কেটের জন্য যোগ্য করে গড়ে তোলাই আই গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি মূল লক্ষ্য বলে জানান তিনি। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য ইউনিভার্সিটি প্রযুক্তিগত শিক্ষায় দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ করেছেন এবং আশা করছেন তাদের এই চেষ্টার ব্যাপক সফলতা তারা পাবেন। তিনি আরো বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় সকল শিক্ষার্থীকে প্রাতিষ্ঠানিক ও কারিগরি শিক্ষা দিয়ে আসছে। যা যুক্তরাষ্ট্রে আর কোন বিশ্ববিদ্যালয় এখনো চালু করেনি। এটাই আমাদের বিশেষত্ব এবং ইতিমধ্যেই সে স্বীকৃতি আমরা পেয়েছি নিরপেক্ষ একটি সংস্থা পরিচালিত জরিপে। আইগ্লোবাল ইউনিভার্সিটির MBA প্রোগ্রামটির পরপর দ্বিতীয় বছরের জন্য Intelligent.com দ্বারা দেশব্যাপি প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য ১ নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে। Intelligent.com উচ্চ শিক্ষা পরিকল্পনাকারী একটি সংস্থা, শীর্ষ বিবিএ এবং এমবিএ প্রোগ্রামগুলো নির্ধারণের জন্য দেশের ১৭৭ টি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় মূল্যায়ন করেছে। প্রতিটি প্রোগ্রাম পাঠ্যক্রমের গুণগতমান, স্নাতকের হার, খ্যাতি এবং স্নাতকোত্তর কর্মসংস্থানের উপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করা হয়েছিল। সেরা ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায়ও এক নম্বর। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়টির সিএফও ফারহানা হানিপ নতুন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আই গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা এ দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে অনেক কম খরচে ও সুন্দর মনোরম পরিবেশে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে।ফারহানা হানিপ আরও বলেন, পিপলএনটেক আই গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। সেখানে আমি ১৬ বছর কাজ করেছি। সেহেতু স্কিল ডেভেলপমেন্টের অভিজ্ঞতাকেও আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারবো। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট (অপারেশন এ্যান্ড রেজিস্টার) ড. শান চো, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ডিস্ট্যান্ট এডুকেশন) ড. জেফরী জি পিরিম, আইটি স্কুলের পরিচালক এ্যাপোস্টোলস ইলিওপোলাস, পরিচালক (স্কুল অব বিজনেস) ড. মার্ক এল রবিনসন, ফাইবার এ্যাট হোম লিমিটিডে, বাংলাদেশের সিইও এবং ভার্জিনিয়াস্থ ক্রিকেট পয়েন্টের সিইও কাজী জামান, ওয়েস্টার্ন ইলিনয় ইউনিভার্সিটির এলামনাই এবং বিজনেস এনালিস্ট মো. আবুবকর সিদ্দিক, মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. সালমান এলবেদুরসহ বিভিন্ন কোর্সের শিক্ষকবৃন্দ। উল্লেখ্য, ১২ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই ইউনিভার্সিটির পুরো মালিকানা ক্রয় করেছেন আবুবকর হানিপ। এবং মার্কিন মুল্লুকে বাংলাদেশি আমেরিকানের মালিকানাধীন এটিই হচ্ছে এখন পর্যন্ত একমাত্র পূর্ণাঙ্গ একটি ইউনিভার্সিটি।

post
যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে ইতিবাচক ভাবে তুলে ধরার আহ্বান

বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে ইতিবাচক ভাবে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান আজাদুল হক বলেন, বাংলাদেশের গল্প গল্পগুলো আমরা সঠিক ভাবে তুলে ধরতে পারি না। সুতরাং বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে ব্রান্ড করতে আমাদের গল্পগুলো সঠিক ভাবে তুলে ধরতে হবে। তাহলে বিশ্ববাসী জানতে পারবে বাংলাদেশ সম্পর্কে।অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, অনেক ইনটিলিজেন্স ডিভাইস বাংলাদেশেই তৈরি করা সম্ভব। গত ৩০ অক্টোবর শনিবার এক নৈশ ভোজের আয়োজনের মধ্যে ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান আজাদুল হককে সংবর্ধনা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসীরা। ব্রিজ টু বাংলাদেশ এবং ম্যাক্স গ্রুপের সিইও আজাদুল হককে এ সংবর্ধনা দেয় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী প্রকৌশলীরা। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন আইগ্লোবাল ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপ।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.