post
এনআরবি বিশ্ব

পর্তুগালে বাংলাদেশি অধ্যুষিত লিসবনে সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, উৎসাহ উদ্দীপনায় পর্তুগালে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। দেশটির রাজধানী লিসবন, ওডিভিলাস, কাসকাইস, দামাইয়া, বাণিজ্যিক বন্দর নগরী পোর্তো, পর্যটন নগরী আলগার্ভ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহর কোইমব্রা, কৃষি শহর ওডিমিরায় সহ সারা দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা দিনটি উদযাপন করেছেন।বাংলাদেশি অধ্যুষিত পর্তুগালের লিসবনের মাতৃ মনিজ পার্কের মাঠে দেশটির সর্ব বৃহৎ ঈদের জামাত সকাল আটটায় অনুষ্ঠিত হয়। লিসবন বায়তুল মোকারম মসজিদের খতিব অধ্যাপক মাওলানা আবু সায়িদ ঈদুল ফিতরের জামাত পরিচালনা করেন। নামাজ পূর্বে ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য নিয়ে বয়ান করেন মাওলানা আলাউদ্দিন এবং কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন জুবায়ের আহমেদ। পর্তুগালের নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্টদূত তারিক আহসান, দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব কনসুলেট প্রধান আবদুল্লাহ আল রাজি, দূতালয় প্রধান আলমগীর হোসেনসহ দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং পর্তুগাল কমিউনিটির বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন। এছাড়াও বন্দর নগরী ও বাণিজ্যিক শহর পোর্তোর বাঙ্গালী অধ্যুষিত রুয়া দে লউরেইরোর হযরত হামজা (র.) মসজিদে ঈদের দুইটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পোর্তোর বাংলাদেশ কমিনিটির নেতৃবৃন্দসহ ঈদের জামাতগুলোতে বাংলাদেশিদের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, মধ্যে এশিয়া, আফ্রিকা এবং পশ্চিমা বিশ্বের বিভন্ন দেশের অন্যান্য কমিউনিটির ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মুসলিম অংশ নেন।করোনা মহামারি কাটিয়ে পর্তুগালের জীবনযাত্রার মান স্বাভাবিক হওয়াতে এবারের ঈদে শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত অংশগ্রহন ছিল লক্ষণীয়। সেই সাথে ঈদের জামাতের পর ইসলামিক প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী মুসল্লীরা কোলাকুলি এবং কুশল বিনিময় করে। তবে লিসবনের বাংলাদেশীদের দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পাজামা পাঞ্জাবিতে বাংলাদেশীদের ঈদের ময়দানের দিকে ছুটে চলা যেন বাংলাদেশের কথাই মনে করিয়ে দিলো পর্তুগালের লিসবনের মাতৃ মনিজ পার্কের ঈদগাহ ময়দান প্রবাসের বুকে যেন এক খণ্ড বাংলাদেশ মনে হলো। এছাড়া লিসবনের সেন্ট্রাল জামে মসজিদ ও পোর্তোর হযরত বেলাল (রাঃ) জামে মসজিদে দুইটি করে, ওডিভিলাস ঈদগাঁও, দামাইয়া, আমাদোরা, রিবাইরালো, মিলপন্তেস, আলবুফেইরা, লংগাইরা, আলগ্রাব, ফারো, কাসকাইস, ওডিমিয়ারা খেলার মাঠ, কোইমব্রা জামে মসজিদে একটি করে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

post
এনআরবি বিশ্ব

ফ্রান্সে যেমন ছিলো বাংলাদেশিদের ঈদ উদযাপন

ফ্রান্সের স্থানীয় মসজিদগুলোতে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় উদযাপিত হয়েছে মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইতালি, ফ্রান্সসহ ইউরোপের মুসলিম বসবাসকারী প্রায় সব দেশগুলোতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।ঈদ উপলক্ষে ফ্রান্সে বাংলাদেশ কমিউনিটি মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার-ইস্তায় ৫টি জামাত, ওভারভিলিয়েস্থ বাংলাদেশ জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে দুপুর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি জামাত, গ্রান্ড মস্ক দূ পন্তায় দুইটি জামাত এবং জাতীয় মসজিদ গ্রান্ডমস্ক দূ প্যারিসে সকাল ৮টায় ও ৮ টা ৪৫ মিনিটে ২টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ফজরের নামাজের পরপরই ঈদের জামাতে অংশ নিতে স্থানীয় মসজিদগুলোতে জড়ো হন বিভিন্ন দেশের নাগরিক, প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সকল দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। নামাজ শেষে বিশ্বের মানুষের শান্তি কামনায় ও করোনাভাইরাসের প্রতিরোধে দোয়া করা হয়। নামাজ শেষে দেশে থাকা স্বজনদের কথা মনে করে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।রাজধানী প্যারিস ছাড়াও ফ্রান্সের অন্যান্য প্রধান শহর তুলুজ, মার্সেই, লিল সহ বেশ কয়েকটি শহরেও বাংলাদেশি প্রবাসীরা উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদ উদযাপন করেছে।

post
এনআরবি বিশ্ব

স্পেনে বাংলাদেশিদের উদ্যোগে খোলা ময়দানে ঈদের জামাত

ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো স্পেনেও সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে গত দুই বছর স্পেনের মাদ্রিদে খোলা ময়দানে ঈদের নামাজ আদায়ের অনুমতি ছিল না। তবে করোনা পরিস্থিতি স্বস্তিদায়ক হওয়ায় বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা লাভাপিয়েস সংলগ্ন ক্যাসিনো পার্কের খোলা ময়দানে দুইটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। দুই জামাতেই ছিল প্রবাসী মুসলমান বাংলাদেশিদের উপচে পড়া উপস্থিতি।এছাড়াও পর্যটন নগরী বার্সেলোনা ও কানারিয়াস দ্বীপপুঞ্জসহ বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা নামাজ শেষে একে অপরের সাথে কুশলাদি বিনিময় করে ঈদের দিনকে আনন্দময় করার চেষ্টা করেন।স্পেনের সবচেয়ে বৃহৎ মসজিদ ‘সেন্ত্র কুলতুরাল ইসলামিকো দে মাদ্রিদ’ (‘এমে তেরেন্তা’) মসজিদে দেশটির বৃহত্তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সকাল ৮টায়। বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা লাভাপিয়েস সংলগ্ন ক্যাসিনো পার্কের খোলা ময়দানে বাংলাদেশিদের দ্বারা পরিচালিত বায়তুল মুকাররম মসজিদ কর্তৃপক্ষের আয়োজনে ঈদের নামাজের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।সকাল ৮টা ও ৯টায় অনুষ্ঠিত জামাত দুইটিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশাপাশি অন্যান্য দেশের অভিবাসী মুসলমানরাও অংশগ্রহণ করেন। প্রথম জামাতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারীরা নামাজ আদায় করেন। প্রথম জামাতে উপস্থিত ছিলেন স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারোয়ার মাহমুদ, মাদ্রিদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের দূতালয় প্রধান আব্দুর রউফ মণ্ডলসহ স্থানীয় বাংলাদেশি বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।নামাজ আদায় শেষে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারোয়ার মাহমুদ স্পেনে প্রবাসী সকল বাংলাদেশিকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। বায়তুল মুকাররম জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলম মজুমদার সুষ্ঠুভাবে ঈদের নামাজ আদায় করায় অংশগ্রহণকারী সকল মুসল্লিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।এছাড়া পর্যটন নগরী বার্সেলোনায় বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকাগুলোর বাংলাদেশি পরিচালনাধীন মসজিদগুলোতেও ঈদুল ফিতরের নামাজের বেশ কয়েকটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে প্রবাসী মুসলমান বাংলাদেশিরা নিজেদের মধ্যেই ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।স্থানীয় শাহ জালাল জামে মসজিদ কর্তৃপক্ষের আয়োজনে মসজিদের অভ্যন্তরে সকাল ৭টা ও ৮টা ৪৫ মিনিটে এবং মসজিদের সামনে খোলা ময়দানে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে ঈদের মোট ৩টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও বার্সেলোনা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কর্তৃপক্ষের আয়োজনে সকাল ৭টা ৩০ ও ১০টায় মসজিদে এবং প্লাসা মাকবায় খোলা ময়দানে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ঈদের ৩টি জামাত, লতিফিয়া ফুলতলী জামে মসজিদে সকাল ৭টা ১৫, ৮টা ও ৮টা ৩০ মিনিটে ৩টি জামাত এবং প্লাজা তেরেনসির খোলা ময়দানে সকাল ৮টা ও ৮টা ৪৫ মিনিটে ২টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।জামাতগুলোতে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশের অভিবাসীরা নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে খুতবায় বিশ্বের সকল নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য শান্তি কামনা করা হয়।

post
এনআরবি বিশ্ব

প্যারিসে বাংলাদেশিদের আনন্দপূর্ণ ঈদ উৎসব

ফ্রান্স প্রবাসী বাংলাদেশিদের সন্মানে প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ঈদ ফেস্টিভ্যাল। আয়োজনটি করেছে ফ্রান্সের জনপ্রিয় সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন ফ্রান্স (বিসিএফ) । এ নিয়ে তৃতীয় বার আয়োজন করা হলো এই উৎসবের।প্যারিসের পার্ক দো লা ভিলের সুবিশাল সবুজ চত্বরটিতে পাঁচ হাজারের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি জড়ো হন এই উৎসব উপলক্ষে। শিশু কিশোর ও পরিবারগুলো দলে দলে ভাগ হয়ে চাদর বিছিয়ে গল্প জুড়ে দেয়, তরুন-যুবকেরা মেতে থাকে গান, নাচ আর হৈ-হুল্লোড়ে।অন্যদিকে, শিশুদের দৌড়, পুরুষদের মোরগ লড়াই, নারীদের বালিশ খেলা, ফুড চ্যাম্পিয়নশিপ (রান্না) প্রতিযোগিতা, নাচ-গান আর খাবারের আয়োজন করা হয় ।অনুষ্ঠানে প্রতিযোগীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন বিডি বসের স্বত্ত্বাধিকারী আইয়ুব হাসান, সরুফ সোদিওল, ফারুক খান, আশরাফুল ইসলাম, দাতো ইবাদত হোসেন, এমডি নুর, মোসিওঁ জেরেমি, রাব্বানী খান, লুৎফুর রহমান বাবু, ফেরদৌস করিম আখঞ্জী, নয়ন মামুন প্রমুখ।

post
এনআরবি বিশ্ব

লন্ডনে আলোচনা, আবেদন করে মুক্তিযোদ্ধার সনদ পেতে চাননি গাফফার চৌধুরী

মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার জন্য নিজে আবেদন করবেন না বলে জানিয়েছিলেন কিংবদন্তী লেখক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী। মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভূক্তির জন্য সরকার নির্ধারিত নিয়মে আবেদনের অনুরোধের পরও গাফফার চৌধুরীকে রাজী করানো যায়নি বলে জানালেন ১৯৭১ সালের যুক্তরাজ্যে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ইউকের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মোজাম্মেল আলী। অমর একুশের গানের রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরী স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ইউকের স্মরণ সভায় একথা বলেন তিনি। শনিবার যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাইদের সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে ইউকের ভার্চুয়াল স্মরণ সভা 'আমি কি ভূলিতে পারি' শীর্ষক আলোচনায় স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে একথা বলেন প্রয়াত গাফফার চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সহচর সৈয়দ মোজাম্মেল আলী। ভার্চুয়াল আলোচনায় ভিডিও বার্তায় গাফফার চৌধুরীর কন্যা ড. তনিমা চৌধুরী বলেন, বাবা ছিলেন তাদের জীবনে বট গাছের মতো, ছোট বেলায় তিনি বাবার কাঁধে বসে থাকতেন। যদিও গাফফার চৌধুরী বাঙালি জাতীর একজন আইকন, কিন্তু তার কাছে শুধুই একজন বাবা। 'পিতা হিসেবে তিনি ছিলেন আমাদের অনুপ্রেরণা, সিদ্ধান্ত গ্রহণে সব সময় তিনি আমাদের সহযোগিতা করতেন। তবে মৃত্যুর ৩৫ দিন আগে বিনিতার মৃত্যুতে তিনি সবচেয়ে বেশী ভেঙ্গে পড়েছিলেন। দুইজন দুই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন, ডাক্তারদের অনুমতি পাওয়া না যাওয়ায় পিতা-কন্যার শেষ দেখা হয়নি'। ড. তনিমা বলেন, তার বোন বিনিতা আবদুল গাফফার চৌধুরীকে বলেছিলে,' বাবা আমি যদি তোমার আগে যাই আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করবো, তুমি আমার আগে গেলে আমার জন্য অপেক্ষা করো'। গাফফার চৌধুরী বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুকে এতটাই ভালোবাসতেন যে ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর বাবাকে তিনি প্রথম কাঁদতে দেখেছিলেন বলে বলেন ড. তনিমা। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ শরীফ অপর এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ১৫ আগষ্টের কষ্ট আর বেদনাকে সাথে নিয়ে মূঢ় হয়ে থাকেন নাই আবদুল গাফফার চৌধুরী। তিনি সাথে সাথে প্রতিবাদ শুরু করেছেন। ব্রিটেন থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক জনমত পত্রিকায় বঙ্গবন্ধুর খুনিদের প্রতি ঘৃণা জানিয়ে, তিরস্কার করে বিশ্ব পরিমলন্ডে প্রথম লেখাটি লিখেছিলেন আবদুল গাফফার চৌধুরী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ইউকে'র ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য ও অনুষ্ঠানের চেয়ার বিধান গোস্বামী আবদুল গাফফার চৌধুরীর স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাফফার চৌধুরী চেয়ার স্থাপনের দাবী জানান। অনুষ্ঠানের মডারেটর সাংবাদিক তানভীর আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য আবদুল গাফফার চৌধুরী নামে ফেলোশিপ প্রবর্তনের প্রস্তাব দেন। ভার্চুয়াল আলোচনায় আবদুল গাফফার চৌধুরীর সাথে ব্যক্তিগত জীবনের স্মৃতিচারণ করে বক্তৃতা করেন ব্যরিস্টার চৌধুরী হাফিজুর রহমান, ব্যরিস্টার কাজী আশিকুর রহমান, লিংকনস ইন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, জার্মানে নিযুক্ত বাংলাদেশের সম্মানিত কনসাল জেনারেল ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য পলি জাহান ও শওকত আলী বেনু।অনুষ্ঠানে সিনিয়র এ্যালামনাই ও ম্যানেজমেন্টের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ব্যরিস্টার অজয় রায় রতন, সোনালী ব্যাংক ইউকের সাবেক সহকারী প্রধান নির্বাহী আমীরুল ইসলাম, প্রদীপ মজুমদার, ঝুমুর দত্ত, পুস্পদেব, ফাতেমা লিলি, চিত্রকর মাসুদ মিজান, মোকাররম হোসেন, সাংবাদিক জুনায়েদ জিলানী, আরিফুর রহমান, সুলতানা রশীদ নাসরিন সহ অন্যরা।অনুষ্ঠানের শুরুতে গাফফার চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন ও অমর একুশের সঙ্গীত রচনার প্রেক্ষাপটের উপর ধারণ করা একাত্তর টেলিভিশনে প্রচারিত আবদুল গাফফার চৌধুরীর শেষ টেলিভিশন সাক্ষাতকার ' রক্তে রাঙানো একুশের সত্তর' এর ধারণকৃত অংশ প্রচার করা হয়। 

post
এনআরবি বিশ্ব

জাবির ৫০ বছর পূর্তি: লন্ডনে জুয়াকের আন্তর্জাতিক উৎসব

লন্ডনের একটি অভিজাত হলে গত ১৬-১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও একমাত্র পূর্ণাঙ্গ আবাসিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রথম আন্তর্জাতিক উৎসব। জাহাঙ্গীরনগর এলামনাই এসোসিয়েশন ইন ইউকের (জুয়াক) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই উদযাপন উৎসবে যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তিন শতাধিক প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী যোগ দেন। প্রথমে প্রাক্তনদের অভ্যর্থনা জানান রোজিনা হাফিজ।উৎসবের শুরুতেই শতাধিক প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে জাহানারা আখতার শিমলার নেতৃত্বে ছিল এক এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। বেলুন উড়িয়ে উৎসবের শুভ সূচনা করেন উৎযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান ড. উয়াছিউল ইসলাম, সদস্য সচিব জুবায়ের বাবু এবং বাংলাদেশ থেকে আগত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও মাওলানা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। দুপুরের পর পর কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে পরে ইম্প্রেশন হল। মোর্শেদ আকতার বাদলের প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় স্মৃতিচারণা করেন প্রাক্তনরা। দুপুরের খাবারের পর পর শুরু হয় যুক্তরাজ্যে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জুয়াকের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাসুদ হাসান খানের সভাপতিত্বে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় এলামনাই এসোসিয়েশন এবং জুয়াকের যৌথ আলোচনা অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন জুয়াকের সাধারণ সম্পাদক ফারুক খান। প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ৪র্থ ব্যাচের অর্থনীতির প্রাক্তন ছাত্র এবং ইউনিভার্সিটি অব কেন্টের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হাসান শিবলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত, জাবি’র সিনেট সদস্য ও কেন্দ্রীয় এলামনাইর প্রথম যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শেখ মনোয়ার হোসেন, নরওয়ে থেকে সাদিক হাসান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোজাম্মেল হক দুলাল, অস্ট্রেলিয়া থেকে খালেদা কায়সার মিনি, জার্মানি থেকে আনিসুল হক এবং যুক্তরাজ্য থেকে গোলাম সারওয়ার। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নুরুল মঈন, আনিসুল হক, সামিনা আখতার কাঞ্চন, জালাল উদ্দিন, শাহিদুন নবী, মিশকাত চৌধুরী ও প্রফেসর ড. আলমগীর কবির। ড. উয়াছিউল ইসলামের সভাপতিত্বে সুবর্ণ জয়ন্তীর মূল অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জুবায়ের বাবু। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার পলিটিকাল এ এফ এম জাহিদুল ইসলাম, এস এম পাটোয়ারী, রেজাউল করিম রাজু, জাকির হোসেন ও মাসুদ হাসান খান।

post
এনআরবি বিশ্ব

কুয়েতে ভিসা জটিলতায় প্রতিনিয়ত বিপাকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা

মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার কুয়েত। দেশটিতে কাজের ধরন অনুযায়ী ভিসার ধরনেও রয়েছে ভিন্নতা ও আলাদা নিয়ম-কানুন। অথচ এসব বিষয়ে না জেনে দালালের খপ্পরে পড়ে কুয়েতে আসার পর বিপাকে পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশি শ্রমিকদের। কুয়েতে অন্য দেশ থেকে ২০ নম্বর খাদেম (গৃহকর্মী) এবং ১৮ নম্বর (শোন কোম্পানি) দুই ধরনের ভিসায় শ্রমিকরা আসে। খাদেম ভিসার মধ্যে রয়েছে ড্রাইভার, বাবুর্চি ও গৃহকর্মের সহযোগী এই তিন ধরনের ভিসা। এসব শ্রমিক মালিকের অনুমতি নিয়ে অন্য বাসায় কিছু সময় কাজ করতে পারে। এছাড়া অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও অন্য কোথাও ভালো সুযোগ-সুবিধা পেলে ভিসা পরিবর্তনে সুযোগ পান না খাদেম আকামাধারীরা।শোন ভিসা কয়েক ধরনের রয়েছে, এগুলোর মধ্যে মাজরা শোন ভিসা (বাগানের কৃষি কাজ), রায় গানাম শোন ভিসা (খামারের পশু-পাখি দেখাশোনা করা), মাসনা শোন ভিসা (বিভিন্ন ধরণের পণ্য উৎপাদনকারী কারখানার কাজ) রয়েছে। এছাড়া মাসুরা সাগীরা (ছোট কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান), আখুদ হুকুমা ভিসা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের দেওয়া হয়। কোম্পানি লাইসেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নিয়ে আসে দেশটির বিভিন্ন অফিস, আদালত, শপিং মহল, রাস্তাঘাট, মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে। সাধারণত আট ঘণ্টা ডিউটিতে ৭৫ দিনার বেতন, খাওয়া নিজের, থাকা মালিকের এমনটিই নিয়ম।এই কয়েক ধরনের ভিসায় বাংলাদেশি শ্রমিকরা এসে থাকেন। এসব ভিসায় আসা শ্রমিকরা কোম্পানির অনুমতি নিয়ে একই ভিসায় একই ধরনের অন্য আরেকটি কোম্পানিতে আকাম পরিবর্তন করতে পারেন। ভিন্ন ধরনের ভিন্ন কোম্পানিতে ভালো সুযোগ-সুবিধা থাকলেও ভিসা পরিবর্তন করা সুযোগ নেই। তবে ১৮ নম্বর শোন ভিসার মধ্যে আহালি নামে এক ধরনের ভিসা রয়েছে, এই ভিসায় আসা শ্রমিকরা নিজের পছন্দ মতো কাজ ও কোম্পানিতে আকামা পরিবর্তন করতে পারেন। ভিসাগুলো কয়েক হাত ঘুরে আসার ফলে বাংলাদেশিদের ভিসার মূল্য দিতে হয় ৬ লাখ টাকা থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত। একই ভিসায় ভারত ও নেপালের শ্রমিকদের আসতে খরচ ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে দেশটিতে ২ লাখ ৫০ হাজারের মতো বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছে।শোন ভিসা নিয়ে দেশটিতে সাত বছর আগে আসা চট্টগ্রামের শাহজাহান বলেন, আমি মোবাইল মেরামতের কাজ জানি। দোকান বিক্রি করে দালালের মাধ্যমে ৮ লাখ টাকা দিয়ে ভিসা কিনি। দালাল বলেছিল আহালি ভিসা যেকোনো জায়গায় আকামা পরিবর্তন করতে পারব। আসার পরে দেখে ক্লিনিং কোম্পানিতে কাজ। এই কাজ ছাড়া অন্য কোম্পানিতে ভিসা পরিবর্তনে সুযোগ নেই। কোম্পানির ডিউটি শেষে একটি মোবাইল দোকানে পার্ট টাইম কাজ করি। আমার মতো অনেকেই করছে, যেটা স্থানীয় আইনে অবৈধ। চেকে ধরা পড়লে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কুয়েত প্রবাসী সমাজকর্মী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি এক ল’ ফার্মে কাজ করা সুবাদে দেখেছি গত কয়েক বছরে দেশ থেকে অনেক শিক্ষিত বিভিন্ন কাজে দক্ষ তরুণরা শুধু ভিসা পরিবর্তন করার সুযোগ না থাকার কারণে তাদের দক্ষতা কাজে লাগাতে পারছেন না। যার ফলে অনেককেই দেখা যায় কোম্পানিতে ডবল ডিউটি করতে হচ্ছে, কিন্তু সেই পরিমাণ বেতন পাচ্ছে না। কেউ আবার দক্ষতা অনুযায়ী অন্য জায়গায় পার্ট টাইম কাজ করেন, যেটা স্থানীয় আইনে অবৈধ। নানামুখী ছাপে প্রবাসীরা হতাশায় ভুগে অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রবাসে যারা মারা যান তার বেশিভাগেরই স্ট্রোকে মৃত্যু।

post
এনআরবি বিশ্ব

মিলান কনস্যুলেটে ই-পাসপোর্ট সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, মিলান-এ ২৪ আগস্ট ২০২৩, উত্তর ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিদের বহুল প্রত্যাশিত ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়েছে।অনুষ্ঠানের শুরুতে কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাবেদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি বলেন যে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন প্রবাসীবান্ধব সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মিলান কনস্যুলেট প্রবাসী বাংলাদেশিদের দোরগোড়ায় সব নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে বদ্ধ পরিকর। এক্ষেত্রে উত্তর ইতালিতে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম চালু একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে তিনি উল্লেখ করেন। এসময় মিলান কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম এবং ই-পাসপোর্টের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাদাত হোসেনসহ মিলান কনস্যুলেটে ই-পাসপোর্ট প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলকে ধন্যবাদ জানানো হয়। মিলান কনস্যুলেটে বিপুল সংখ্যক প্রবাসীদের উপস্থিতিতে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান ই-পাসপোর্টের শুভ উদ্বোধন করেন। মান্যবর রাষ্ট্রদূত এ সময় উপস্থিত প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন এবং তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশ সরকার ইতালিতে এনআইডি কার্যক্রম চালু করার প্রক্রিয়া চালু করবে। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে মান্যবর রাষ্ট্রদূত চার জন প্রবাসীর হাতে প্রথমবারের মতো নতুন ই-পাসপোর্ট তুলে দেন। এছাড়া, পরে আরো ছয় আবেদনকারীকে পাসপোর্ট জমা দেওয়ার রিসিট দেওয়া হয়। গত ২৫ জুলাই ইতালি সফরকালে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালিতে ই-পাসপোর্টের যাত্রা শুরু করার ঘোষণা দেন। এর ধারবাহিকতায় মিলানে ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ায় প্রবাসীরা সন্তোষ প্রকাশ করেন। বহির্গমন এবং বাংলাদেশের প্রবেশের ক্ষেত্রে সময় সাশ্রয় সহ অনেক ধরণের সুবিধা হবে বলে প্রবাসীরা জানান। মিলানের মতো বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্রে ই-পাসপোর্ট চালুর মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে বল মনে করেন তারা।

post
এনআরবি বিশ্ব

জালনথিতে আবেদনে আইনী জটিলতার শংকা,গ্রীস প্রবাসীদের;সতর্ক থাকার আহবান রাষ্ট্রদূতের

গ্রিসে জাল নথি দিয়ে বৈধতার জন্য আবেদনকারী বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি আইনি জটিলতায় পড়তে পারেন বলে জানিয়েছেন গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ। তিনি বলেন,বৈধতার প্রক্রিয়ায় কোন বাংলাদেশি কোনো ধরনের জাল নথি যুক্ত করলে তারা আর বৈধ হতে পারবেন না। এ পরিস্থিতিতে সকল প্রবাসীকে সতর্ক থাকার আহবান জানান রাষ্ট্রদূত। গ্রিসে বর্তমানে অনিয়মিত অভিবাসীরা দুটি প্রক্রিয়ায় বৈধতার জন্য আবেদন করেন। প্রথমটি হচ্ছে ২০১৪ সালের আইনে সাত বছর গ্রিসে বসবাসের প্রমাণপত্র দিয়ে আবেদন। দ্বিতীয়টি হচ্ছে বাংলাদেশ ও গ্রিসের সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী, ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারির আগে গ্রিসে বসবাস করছেন এমন প্রমাণ দেখাতে পারলেই বৈধতার জন্য আবেদন করা যায়। এছাড়াও প্রয়োজন হয় বিভিন্ন ডকুমেন্টসের। এ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে জাল নথি দিয়ে আবেদন করার অভিযোগ আসে। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, গ্রিস কর্তৃপক্ষের কাছে বর্তমানে বিভিন্ন দেশের চার হাজার ভুয়া নথি সংযুক্ত আবেদন রয়েছে। এ অবস্থায় ভুয়া নথি দিয়ে আবেদনকারীদের ধরতে গ্রিস সরকার কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।গ্রিক সরকারের নতুন আইন অনুযায়ী জাল নথী প্রদানকারী অভিবাসী পাঁচ বছরের জন্য গ্রিসে বসবাসে নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারেন। প্রয়োজনে জোরপূর্বক নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থাও গ্রহন করতে পারে। এসব জাল নথি তৈরীর মূল হোতা হিসেবে দুই বাংলাদেশিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে গ্রিসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসও সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এ বিষয়ে আলাপকালে গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ বলেন, বৈধতার যে প্রক্রিয়া চলছে, এতে কোনো প্রবাসী বাংলাদেশি যেন কোনো ধরনের জাল নথি যুক্ত না করেন। জাল কাগজপত্র দাখিল করলে, হিতে বিপরিত হতে পারে।এমন পরিস্থিতিতে সকল প্রবাসী বাংলাদেশিকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহবান জানান রাষ্ট্রদূত। স্থানীয় দূতাবাস গ্রিক সরকারের সাথে দফায় দফায় বৈঠক শেষে জানায়,সঠিক ব্যক্তি যেন ভোগান্তিতে না পড়েন এবং সুবিধা বঞ্চিত না হন সে ব্যাপারে সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে।

post
এনআরবি বিশ্ব

ইতালিতে বাংলাদেশীসহ ৫৭৩ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

ইতালির দক্ষিণের দ্বীপ লাম্পেদুসায় পৌঁছেছেন বাংলাদেশিসহ ৫৭৩ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী। ২৭ নভেম্বর একটি মাছ ধরার নৌকা নিয়ে ইতালির উপকূলে পৌঁছায় তারা। এরপর তাদের উদ্ধার করে লাম্পেদুসায় নিয়ে যায় দেশটির উপকূলরক্ষীদের টহল নৌকা।ইতালির বার্তা সংস্থা আনসা জানিয়েছে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে আসা মাছ ধরার নৌকাটি লিবিয়ার উপকূল ছেড়ে এসেছে। নৌকায় থাকা অভিবাসনপ্রত্যাশীরা সিরিয়া, মিশর, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং ইথিওপিয়ার নাগরিক। তবে কোন দেশের কতজন নাগরিক ছিলেন, সেই বিষয়ে কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। ইউরোপে অভিবাসনের আশায় তারা নিজ নিজ দেশ থেকে লিবিয়ায় জড়ো হয়েছিলেন বলে জানা গেছে। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সবাইকে লাম্পেদুসার হটস্পটে রাখা হয়েছে।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.