post
যুক্তরাষ্ট্র

ওয়াশিংটনে ফোবানার ৩৫তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত

‘অদম্য বাংলাদেশ-অবাক পৃথিবী’ স্লোগানে ‘সবুজ জমিতে লাল বৃত্ত’ পরিবেশনার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং মুজিববর্ষকে প্রবাসেও মহিমান্বিত করার সংকল্পে ফোবানা’র সর্বস্তরে ইস্পাতদৃঢ় ঐক্যের ঘোষণা দেয়া হলো ৩১ আগস্ট শনিবার ‘মীট দ্য প্রেস’ থেকে।৩৫তম ফোবানা সম্মেলনের হোস্ট ‘আমেরিকান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি’ (এবিএফএস)র এ অনুষ্ঠানে জড়ো হয়েছিল ফোবানার বর্তমান কমিটির শীর্ষ কর্মকর্তা ছাড়াও সাবেক বেশ কয়েকজন চেয়ারম্যান। ছিলেন হোস্ট কমিটির সর্বস্তরের কর্মকর্তারাও। তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে থাকবে মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা ও সমাবেশ, বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সেমিনার, বাঙালির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্মশত বার্ষিকী-সমাবেশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উৎসব, বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে তথ্য-প্রযুক্তির অবদান, প্রবাস প্রজন্মের সমন্বয়ে সেমিনার, নৃত্য-নাট্য এবং সঙ্গীতানুষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার বিভিন্ন সিটি থেকে শতাধিক সংগঠন এতে অংশ নেবে বলে আয়োজকরা আশা করছেন। তবে সবটাই নির্ভর করবে করোনার গতি-প্রকৃতির উপর। কারণ, করোনা মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে গতবছরের ৩৪তম ফোবানা সম্মেলন হয়েছে ভার্চুয়ালে।উল্লেখ্য, করোনা মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে ফোবানার আসন্ন বাংলাদেশ সম্মেলন লেবার ডে উইকেন্ড (সেপ্টেম্বরের ৩-৫) থেকে পিছিয়ে থ্যাঙ্কস গীভিং উইকেন্ডে (২৬-২৮ নভেম্বর) নেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ফোবানার নির্বাহী কমিটির মধ্যে কিছুটা অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। সেই মনোভাবের শান্তিপূর্ণ পরিসমাপ্তির ব্যাপারটি দৃশ্যমান হয়েছে এই ‘মীট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে। অভূতপূর্ব এক সম্প্রীতির মধ্যে এই অনুষ্ঠানে কাঁধে কাঁধ হাতে হাত মিলিয়ে বহুজাতিক এ সমাজে বাঙালিদের ঐক্য জাগ্রত সুসংহত করার কথা বললেন সকলে। একইসাথে হোস্ট কমিটির পক্ষ থেকেও এ যাবতকালের সবচেয়ে উত্তম একটি সম্মেলন উপহার দেয়ার অভিপ্রায়ে গৃহিত কর্মসূচিরও আলোকপাত করা হয়। জানানো হয়, দেশ ও প্রবাসের গুণীজনেরা আসবেন। বিশুদ্ধ বাঙালি সংস্কৃতি পরিবেশনের মধ্যদিয়ে নতুন প্রজন্মকে মা-বাবার সংস্কৃতির প্রতি আন্তরিক আগ্রহ তৈরীর বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলেও বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়।হোস্ট কমিটির সদস্য-সচিব লেখক-সাংবাদিক শিব্বির আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে ফোবানার নির্বাহী চেয়ারপার্সন জাকারিয়া চৌধুরী বলেন, ৩৪ বছর আগে যেখান থেকে শুরু, সেই সিটিতেই বাংলাদেশের ঐতিহাসিক একটি মুহূর্তে ৩৫তম সম্মেলন হচ্ছে। সম্মেলনের প্রতিটি পরতে ধ্বনিত হবে বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তী, মুজিববর্ষ। তাই এটিকে সর্বাত্মকভাবে সফল করতে হাতে হাত রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সকলেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে হোস্ট কমিটিকে সহায়তা করবেন এই কামনা করছি। যারা সম্মেলনের স্পন্সর হতে চেয়েছেন, আইকন হয়েছেন এবং নানাভাবে সহযোগিতার অঙ্গিকার করেছেন-তারাও যেন তা অবিলম্বে পূরণ করে হোস্ট কমিটির কাজের গতি ত্বরান্বিত করেন। জাকারিয়া আরো বলেন, ফোবানা সম্মেলনকে প্রবাসীদের মহামিলনমেলা হিসেবে অভিহিত করা হয়। সে কারণে আমরা কাউকে মাইনাসে বিশ্বাসী নই। সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পর্যায়ে সংলাপ অব্যাহত রয়েছে। অনানুষ্ঠানিক বৈঠকও করেছি। সুতরাং থ্যাঙ্কসগীভিং উইকেন্ডের ফোবানার সাথে সকলেই সপরিবারে একিভূত হবেন এবং ফোবানার মূলচেতনা এগিয়ে নিতে আন্তরিক অর্থে সকলে সোচ্চার হবেন এ আশা করছি। ফোবানার নির্বাহী সচিব মাসুদ রব চৌধুরী বলেন, করোনা ভীতির মধ্যে অনেকেই স্বাচ্ছন্দে চলাফেরায় মনোনিবেশ করিনি। এতদসত্বেও ক্যালিফোর্নিয়া থেকে বিভিন্ন পথ ঘুরে উড়ে এসেছি এই অনুষ্ঠানে। কারণ হচ্ছে আমরা ফোবানাকে ভালবাসী, সবাই এক পরিবারের সদস্য ভাবি। আসন্ন সম্মেলনকেও এযাবতকালের সেরা সম্মেলন করতে আসুন সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি। সাবেক চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা, একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক নূরন্নবী বলেন, করোনার ভীতি সত্বেও স্বল্প সময়ের নোটিশে এই অনুষ্ঠানে এসেছি শুধুমাত্র সকলকে দেখানোর জন্যে যে, আমরা ঐক্যবদ্ধ এবং আসন্ন ফোবানা সম্মেলনকে সার্থক করতে বদ্ধ পরিকর। দেড় দশকেরও অধিক সময় যাবত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব চালিয়ে আসা ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুব রেজা রহিম বলেন, যে প্রত্যাশায় ফোবানার যাত্রা শুরু হয়েছে, তারই পরিপূরক বিভিন্ন কর্মসূচি দেখছি এই সম্মেলনে। ‘অদম্য বাংলাদেশ-অবাক পৃথিবী’ এবং ‘সবুজ জমিতে লাল নৃত্য’ দেখে নতুন প্রজন্ম আমাদের সংস্কৃতি ধারণ ও লালনে উৎসাহিত হবে-এটা বলা যায় নির্দ্বিধায়। সাবেক চেয়ারম্যান বেদারুল ইসলাম বাবলা বলেন, আমাদের সংস্কৃতি কিন্তু অনেক সমৃদ্ধ। তাই দীর্ঘ ৩৪ বছর থেকেই চেষ্টা করছি আমাদের বাঙালি সাহিত্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি নতুন প্রজন্মেরর চিন্তা-চেতনা-ভাবনা-মননে প্রবাহিত এবং প্রতিস্থাপিত করতে। সে আলোকেই আসন্ন সম্মেলনে নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এগুলোকে সাফল্যমন্ডিত করতে আমাদের মধ্যেকার টিমওয়ার্ক আরো জোরদার করতে হবে। সে অঙ্গিকারই করে গেলাম। ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ঐক্যবদ্ধ সম্মেলনের স্বার্থে সকলকেই কিছু না কিছু ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। সে মনোভাব থাকলেই ৩৫তম সম্মেলন সুন্দরভাবে অনুষ্ঠান করা সম্ভব। এক্ষেত্রে মিডিয়াসমূহকেও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা অব্যাহত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন মোহাম্মদ আলমগীর। ফোবানার নির্বাহী সদস্য গোলাম ফারুক ভূইয়া বলেন, এ আয়োজনে হোস্ট কমিটির আতিথেয়তায় আমরা গর্বিত, অভিভূত এবং অত্যন্ত আনন্দিত। এ থেকেই আমরা অনুমান করতে পারছি যে, ৩৫ তম সম্মেলনকে প্রবাসীদের মহামিলনমেলায় পরিণত করতে কতটা আন্তরিক ওয়াশিংটন মেট্রো এলাকার প্রবাসীরা। সাবেক চেয়ারম্যান নাহিদ চৌধুরী মামুন, ডা. মোহাম্মদ আলী, ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. আহসান চৌধুরী হীরু, কোষাধ্যক্ষ নাহিদুল এইচ খান, আউস্ট্যান্ডিং মেম্বার সাদেক খানও দৃঢ় অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন সর্বাত্মকভাবে সহায়তার। হোস্ট কমিটির প্রেসিডেন্ট ইনারা ইসলাম বলেন, ২০১৯ সালে নিউইয়র্ক সম্মেলনে ভোটের মাধ্যমে আমরা হোস্ট নির্বাচিত হয়েছি। এরপর বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের সময়েই করোনা মহামারির কবলে পড়েছি। পুরো একটি বছর ভীতির মধ্যে নিপতিত থাকায় কোন কাজই করা সম্ভব হয়নি। আর্থিকভাবে গোটা কমিউনিটি ক্ষত-বিক্ষত হওয়ায় সম্মেলনের বিশাল বাজেটের ধারে কাছেও যেতে পারিনি। করোনা থেকে জেগে উঠার প্রত্যয়েই আমরা সকলে এখন মাঠে নেমেছি। ইনারা ইসলাম বলেন, মহামারি থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি সকলের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, ওয়াশিংটন মেট্রো এলাকার প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচিত সকল সংগঠনই তাদের এই সম্মেলনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। তাই অনৈক্যের কোন প্রশ্নই উঠে না। হোস্ট কমিটির কনভেনর জি আই রাসেল বলেন, এর আগে আরো দুটি সম্মেলন করেছি। সে অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করেই এবারের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি। কারণ, ‘গ্যালর্ড রিসোর্ট এ্যান্ড ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারের ভাড়া বাবদ অনেক অর্থ লাগবে। কমিউনিটির সকলের আন্তরিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে আগের মত এই সম্মেলনকেও সাফল্যমন্ডিত করতে সক্ষম হবো। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরের খ্যাতনামা দুই শতাধিক ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অনেকেই ভিসা পেয়েছেন। পরিবর্তিত তারিখের মধ্যে অন্যেরাও ভিসা পেয়ে যাবেন বলে আশা করছি। অনুষ্ঠানের মধ্যেই বেশ কটি চেক গ্রহণ করে হোস্ট কমিটির কোষাধ্যক্ষ ড. ফাইজুল ইসলাম বলেন, সকলের চিত্ত উদার থাকলে কোন ভালো উদ্যোগই থমকে যায় না। এই ফোবানাও থামবে না। তিনি সকলের আন্তরিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকার কামনায় বিশেষ মোনাজাতে মিলিত হন। সম্মেলনের আইকন কবীর পাটোয়ারি এবং পারভিন পাটোয়ারি দম্পতি ছিলেন বেশ তৎপর। তারা নানাভাবে সকলকে উজ্জীবিত রাখেন গৃহিত কর্মসূচিকে চমৎকারভাবে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে। সমবেত সকলের জন্যে তারা বাসা থেকে নানা ধরনের খাবারও এনেছিলেন। মীট দ্য প্রেসে জড়ো হওয়া ফোবানার নেতৃবৃন্দ এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান হোস্ট সংগঠনের কর্মকর্তারা। আর এভাবেই ভার্জিনিয়ার ম্যানাসাসে উইনধ্যাম গার্ডেনের বলরুম বাঙালিদের উচ্ছ্বল পদচারনায় মুখরিত হয়েছিল। আয়োজকরা জানান, সম্মেলনে আগতদেরকেও প্রাণের সাথে প্রাণ মিলিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হবে। এ সময় সম্মেলনের প্রস্তুতি আলোকে আরো বক্তব্য রাখেন জসীমউদ্দিন, আকতার হোসেন, রেদওয়ান চৌধুরী, রোকেয়া হাসী, নাজিয়া জাহান, তুহিন ইসলাম, আবু সরকার, হাসান আলী, দেওয়ান জমীর পলাশ, শিরিন আকতার, সেলিম ইব্রাহিম, আইকন জেবা রাসেল, মাইনুদ্দিন দুলাল প্রমুখ। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর পর্বের আগে আসন্ন ফোবানার থিম সং-‘দ্য ব্রীজ’র অবমুক্ত করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরন্নবীসহ কর্মকর্তারা। এটি লিখেছেন সদস্য-সচিব শিব্বির আহমেদ এবং সুর দেন ইমতিয়াজ মজুমদার বিবেক। উল্লেখ্য, আসন্ন ফোবানার মিডিয়া পার্টনার হচ্ছে চ্যানেল আই, বাংলাদেশ প্রতিদিন, নিউজ টোয়েন্টিফোর, এনআরবি কানেক্ট, বিশ্ববাংলা টোয়েন্টিফোর, খবর ডটকম, সময় ইত্যাদি। 

post
যুক্তরাষ্ট্র

ওয়াশিংটন ডিসিতে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী পালিত

ওয়াশিংটন ডিসিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। দিবসটি উপলক্ষে পরিবার, দেশ এবং জাতির জন্য বঙ্গমাতার আত্মত্যাগ স্মরণ করে গত ৮ আগস্ট দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ।অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান যথাক্রমে দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার মেহেদী হাসান এবং প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ম‌ঈনুল হাসান। রাষ্ট্রদূত এম সহিদুল ইসলাম তার বক্তব্যে নিজ পরিবারের প্রতি বঙ্গমাতার অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধুর জীবনে তাঁর প্রভাব এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের গতিপথ নির্ধারণে পর্দার অন্তরালে থেকেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত সহিদুল ইসলাম বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা বঙ্গবন্ধুর কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণে বঙ্গমাতা যেভাবে ভূমিকা রেখেছিলেন তা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিবের জীবন ও কর্মের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নারকীয় হামলায় শহীদ হওয়া সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে একটি বিশেষ প্রার্থনা পরিচালিত হয়।

post
যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ওয়াশিংটনে ঢাকা দূতাবাসের শ্রদ্ধাঞ্জলি

অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে যথাযোগ্য মর্যাদায় ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।স্থানীয় সময় সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রথম প্রহরে দূতাবাস প্রাঙ্গণে বসানো শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলামসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা। সেখানে তারা এক মিনিট নিরবে দাঁড়িয়ে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর তারা দূতাবাস ভবনে বঙ্গবন্ধু কর্নারে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ মূর্তির সামনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এর আগে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে একটি আলোচনা সভায় অংশ নেন তারা। এসময় অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওযা বাণি পড়ে শোনানো হয়। এছাড়াও পাঠ করা হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের পাঠানো বাণি। ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রূহের মাগফিরাত ও বাংলাদেশের অব্যহত উন্নয়ন কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয় এ সময়। রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম তার বক্তৃতায় ১৯৫২ সালের ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। এসময় তিনি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করেন ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা। ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে সেই আন্দোলনকে যেভাবে বেগবান করে ধীরে ধীরে জাতিকে স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতার পথে এগিয়ে নিয়ে যান বঙ্গবন্ধু, তা উঠে আসে এম শহীদুল ইসলামের বক্তৃতায়। বিশ্ব মানবতায় শিক্ষা, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে বিশ্বের সকল মানুষের মাতৃভাষার সুরক্ষায় জোর দেন রাষ্ট্রদূত। "প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের সকলকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত, শান্তিময় ও সম্মৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে," বলেন এম শহীদুল ইসলাম। পরে একুশে ফেব্রুয়ারি সকালে রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে দূতাবাস ভবনের সামনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখেন। 

post
যুক্তরাষ্ট্র

আবার বরফাচ্ছন্ন ভার্জিনিয়া, মেরিল্যান্ড, ডিসি

গত চারদিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি, ভার্জিনিয়া এবং মেরিল্যান্ডের আবহাওয়া ছিলো রোদ্রজ্জল। শুক্রবারের আকাশ ছিলো চোখে পড়ার মতো নীল আর ঝকঝকে। কিন্তু কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে প্রকৃতির চেহারা একেবারে পাল্টে গেলো। শনিবার বরফে ঢেকে গেছে ওয়াশিংটন ও উত্তর ভার্জিনিয়া ও মেরিল্যান্ড। যানবাহন আটকে আছে রাস্তায়। ঝড়ো বাতাসসহ সাথে তুষার ঝড়ের আবহাওয়ার পূর্ভাবাস ছিলো আগে থেকেই। সে পূর্বাভাস পুরোপুরি মিলে গেছে। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে তুষার পাত আর সাথে দমকা বাতাসে। স্থানীয় সময় শনিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া তুষার ঝড় চলে দুপুর পর্যন্ত। প্রবল তুষারপাত সাথে প্রচন্ড বাতাস। চার ইঞ্চি পরিমান বরফে ঢেকে গেছে সব কিছু। চলাচল ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠায় রাস্তায় কমে আসে গাড়ির সংখ্যা। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হননি লোকজন। দুর্ঘটনা এড়াতে রাস্তায় বের হতে নিষেধ করে আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ নানা বার্তা দেয় টেলিভিশন, রেডিও, মোবাইল ম্যাসেজে। পরিস্কার রাখতে বলা হয়েছে রাস্তাঘাট। এ পরিস্তিতির ফলে সাপ্তাহিক ছুটির দিনটা ঘরে বসেই কাটাতে হয়েছে সবাইকে। এরই মধ্যে ডিসি, উত্তর ভার্জিনিয়া ও মেরিল্যান্ডের বেশ কিছু এলাকার প্রায় তিন হাজার ঘর বাড়ীতে বিদুৎ সংযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। সমস্যা সমাধানে জরুরী সেবায় এরই মধ্যে কাজে নেমে পড়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা। ঘরির কাটায় বেলা তিনটায় সময় র্সূযের দেখা মিললেও তাপমাত্রা মাইনাস থ্রি। অনুভূতিতে যা মাইনাস নাইন। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে তুষাপাত থেমে গেলেও বাতাস চলতে থাকবে রাত ১টা পর্যন্ত। যে কারণে তাপমাত্রা নেমে আসবে আরো নীচে। এ সপ্তাহে তাপমাত্রায় খূব একটা পরিবর্তন হবে না বলছে আবহাওয়া বার্তা। তবে আসছে সপ্তাহ থেকে আকাশ আবার রোদ ছড়াবে বলা হচ্ছে। তুষার পাতের এই প্রভাব থাকবে সপ্তাহব্যাপী। জমাট স্নো ক্রমে রুপ নিবে বরফে। তা কাটতে কাটতে এ সপ্তাহ লেগেে যাবে। জন সাধারণকে, ততোদিন সাবধানে চলাচল করার পরামর্শ দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

post
যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রে ঈদুল ফিতর উদযাপন, মসজিদে মসজিদে বিশ্ব মানবতার সুখ-সমৃদ্ধি কামনা

যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের সর্ববৃহৎ আনন্দ উদযাপন ঈদ-উল ফিতরে মসজিদে মসজিদে হলো ঈদের জামায়াত। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে মুসলমানরা আদায় করেন ঈদের নামাজ। একই সঙ্গে তারা সম্মৃদ্ধ হলেন পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধে। ওয়াশিংটন ডিসিতে ইসলামিক সেন্টারে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয় ঈদের জামাত। ভার্জিনিয়ায় অ্যাডামস সেন্টার, মেনাসাস উইনড্যাম গার্ডেনে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। এসব জামায়াতে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশ নেন। যাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিরাও ছিলেন।  দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করেই বিপুলসংখ্যক মুসল্লির অংশগ্রহণে নিউইয়র্ক অঞ্চলের মসজিদসমূহে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২ মে সোমবার প্রতিটি মসজিদের ভেতরে দুয়ের অধিক জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতে বিশ্ব মানবতার কল্যাণে পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ কামনা করা হয়। ওয়াশিংটন মেট্র, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, মিশিগান, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া, টেক্সাস, লসএঞ্জেলেস, ফিনিক্স, বস্টন, কানেকটিকাট, ওহাইয়ো, শিকাগো থেকে যথাযথ মর্যাদায় ঈদ উদযাপনের সংবাদ পাওয়া গেছে। নিউইয়র্কে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার, এলমহার্স্টে মসজিদ আল তৌফিক, বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টার, আল আমান মসজিদ, মসজিদ মারজান, আল আমিন মসজিদ, বেলাল মসজিদ, ব্রুকলীন ইসলামিক সেন্টার, পার্কচেস্টার জামে মসজিদে বড় আকারের একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, বৃষ্টি থাকায় এবার জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের উদ্যোগে সর্ববৃৎ ঈদ জামাত এলাকার খোলা মাঠে করা সম্ভব না হলেও জামাতের প্রস্তুতি লগ্নে বৃষ্টির তাণ্ডব কমলে মসজিদের বাইরের রাস্তাতেও মুসল্লিরা দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেন। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষ্যে মুসলমানদের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আর উল্লেখ করেছেন, তার প্রশাসন ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। মুসলিম আমেরিকানসহ সারাবিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়কে ‘ঈদ মুবারক’ জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনী ব্লিঙ্কেন ২ এপ্রিল সোমবার প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেছেন, এ মাসের শেষার্ধে স্টেট ডিপার্টমেন্টে ঈদ-উৎসবের আয়োজন করা হবে। সেখানে মুসলিম দেশসমূহের সকল কূটনীতিক ছাড়াও মুসলিম আমেরিকানদের প্রতিনিধিত্বকারি বিশিষ্টজনরাও থাকবেন। উল্লেখ্য, ঈদের দিনই হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় ঈদ-উৎসব। যুক্তরাষ্ট্রে ঈদের প্রতিটি জামাতেই করোনা থেকে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পরম করুণাময়ের দয়া প্রার্থনার পাশাপাশি বিশ্বকে যুদ্ধ-বিগ্রহ থেকে মুক্ত থাকার জন্যেও সৃষ্টিকর্তার করুণা কামনা করা হয়। জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ঈদ জামাতে মূলধারার নেতৃবৃন্দ, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল ড. মুনিরুল ইসলামসহ কম্যুনিটির বিশিষ্টজনের আধিক্য ছিল বলে জানান সাংবাদিক শাহ ফারুক। নতুন প্রজন্মের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলীনে বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টারে ৫ হাজারের অধিক মুসল্লী একত্রে ঈদ জামাতে অংশ নেন।

post
যুক্তরাষ্ট্র

বৃহত্তর ওয়াশিংটন ডিসিতে তৃতীয় বইমেলা আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু

আগামী ২৯-৩০শে অক্টোবর বৃহত্তর ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠেয় তৃতীয় বইমেলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার আয়োজক কমিটির সদস্যসহ শুভাকাঙ্খীদের প্রথম প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বইমেলা আয়োজনের বিস্তারিত বিষয়ে উঠে আসে।সভায় বইমেলা সফলভাবে আয়োজনের কর্মকৌশল নির্ধারণ ও বিভিন্ন কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা করা হয়। এবারের বইমেলায় বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালকসহ লেখক, সাহিত্যিক, কবি, শিশু সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিত্বগণ উপস্থিত থাকবেন বলে সভায় জানানো হয়। সভায় জানানো হয়, এবারের বইমেলার অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে - বইমেলায় আগতরা প্রখ্যাত কবি, সাহিত্যিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে আলাপচারিতার সুযোগ। এছাড়া, পাঠ উন্মোচন, কিশোর-কিশোরীদের চিত্রাংকন, বিশেষ নৃত্য, গানের ছোঁয়ায় কবিতা, শর্ট ফিল্ম ইত্যাদি থাকছে এবারের বই মেলায়। আয়োজকরা জানান, পারিবারিক ছুটিতে বইমেলা উপভোগের পাশাপশি রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি’র আশেপাশের ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শণের সুযোগ গ্রহণ করতে ডিসকাউন্ট মূল্যে ভার্জিনিয়ার স্প্রিংফিল্ডের হলিডে ইন এক্সপ্রেস হোটেলে অবস্থানের সুবিধা পাওয়া যাবে।  সভায় আয়োজক কমিটির আহবায়ক দস্তগীর জাহাঙ্গীরের উপস্থাপনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বইমেলার প্রধান উপদেষ্টা ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা বিভাগের প্রাক্তন প্রধান রোকেয়া হায়দার। মেলার প্রধান পৃষ্টপোষক মাজহারুল হক, উপদেষ্টা ড. নজরুল ইসলাম ও ড. আরিফুল ইসলাম, প্রধান সমন্ময়ক আতিয়া মাহজাবীন নীতু, গত বইমেলার প্রধান সমন্ময়ক সামিনা আমিন, শিল্পী মনি দিনা ও মেরিনা রহমান, ম্যাগাজিন কমিটির প্রধান রায়হান আহমেদ, চিত্রকর ইফতেখার সিদ্দিক, সমন্ময়ক মনি রিয়াদ, রিয়াদ, রাশেদ, হাসনাত সানী, আসিফ ও তারেক মেহেদী উপস্থিত ছিলেন।

post
যুক্তরাষ্ট্র

নিম্নআয়ের ক্ষেত্রে ২০০০০ ডলার শিক্ষাঋণ মওকুফ করলেন বাইডেন, উচ্চ আয়ের ক্ষেত্রে মওকুফ ১০০০০ ডলার

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেছেন এদেশের শিক্ষা ঋণের বোঝা যারা বইছে, তা কিছুটা লাঘব করা হবে। এখন যাদের আয় বছরে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলারের কম তাদের প্রত্যেকের ঋণের বোঝা থেকে ১০ হাজার ডলার করে মওকুফ করা হবে। আর যারা নিম্ন আয়ের কারণে পেল-গ্র্যান্টস পাচ্ছেন তারা মওকুফ পাবেন ২০ হাজার ডলার করে।ডেমোক্র্যাটরা দীর্ঘ সময় ধরে এই ঋণ মওকুফের ব্যাপারে চাপ দিয়ে আসছিলেন। তাদের প্রত্যাশার কিংবা দাবির চেয়ে মওকুফের অংক কম হলেও মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে আসা এই ঘোষণাকে অনেকেই ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। এর মধ্য দিয়ে মানুষগুলো ঋণের পাহাড় থেকে কিছুটা হলেও সস্তির জায়গায় পৌঁছাবে, বলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক মন্তব্যে তিনি বলেন, এই মানুষগুলো এখন হয়তো একটি বাড়ি কেনার কথা, কিংবা পারিবারিক জীবন শুরুর কথা কিংবা একটি ব্যবসা শুরুর কথা ভাবতে পারবেন। বাইডেন এসময় কোভিড-১৯ অতিমারির সময়ে শিক্ষাঋণের কিস্তি স্থগিত রাখার কথা উল্লেখ করেন, যা ২০২০ সালের মার্চ থেকে কার্যকর করা হয় এবং সে বছরের শেষ মাস অবধি চলে। সেন্ট লুইসের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শিক্ষার্থীদের ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ দশমিক ৭৫ ট্রিলিয়ন (১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি) ডলার; ২০০৬ সালে যা ছিল ৪৮১ বিলিয়ন (৪৮ হাজার ১০০ কোটি) ডলার। মার্কিন শিক্ষার্থীদের এ ঋণের পরিমাণ বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। ‘দ্য এডুকেশন ডেটা ইনিশিয়েটিভ’ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চার বছর মেয়াদি কোর্স করার টিউশন ফি ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। গবেষণা গ্রুপ ‘দ্য এডুকেশন ডেটা ইনিশিয়েটিভ’ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চার বছর মেয়াদি কোর্স করার টিউশন ফি ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। যদিও অনেক দেশ যেমন: জার্মানি, আইসল্যান্ড ও সুইডেনে টিউশন ফি হয় নির্ধারিত, না হয় সম্পূর্ণ ফ্রি। যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চার বছরের কোর্স করতে বছরে একজন শিক্ষার্থীর খরচ হয় গড়ে ৩৫ হাজার ৫৫১ ডলার। খরচের খাতের মধ্যে আছে টিউশন, বিবিধ ফি, আবাসিক হল ফি, বই, অন্যান্য খরচ—বলছে ন্যাশনাল সেন্টার ফর এডুকেশন স্ট্যাটিসটিকস। যুক্তরাষ্ট্রে একজন শিক্ষার্থী যে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আবেদন করে, সে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার কতটুকু উপযুক্ত, সেটি নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ তাঁর পড়াশোনার ব্যয় বহনের ব্যক্তিগত সক্ষমতা, পরিবারের সামর্থ্য ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে থাকে। পরে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী ফেডারেল অনুদান, ভর্তুকিতে ঋণ, কাজের সুযোগ পাওয়ার যোগ্য হতে পারেন। এরপরই পড়াশোনার অবশিষ্ট খরচ মেটাতে ঋণের আবেদন করতে পারেন শিক্ষার্থী। নিউইয়র্কভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘মুডিস’–এর অর্থনীতিবিদ ক্রিশ্চিয়ান ডেরিটিসের ভাষায়, ‘আমার মনে হয় তরুণ–তরুণীরা আসলেই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে আছেন। তাঁদের অনেকেরই ঋণের বোঝা আসলে কেমন ও স্নাতক শেষে কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে ছয় অঙ্কের বেতনের স্বপ্ন কতটা বাস্তবসম্মত, সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নেই।’ সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়জীবন শেষে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা মনে করেন, প্রথম চাকরিতে তাঁরা বছরে মোটামুটি ১ লাখ ৩ হাজার ৮৮০ ডলার বেতন পাবেন। তবে প্রকৃত চিত্র ভিন্ন। দেখা গেছে, স্নাতক শেষে চাকরিতে ঢোকার পর বছরে একজন গড়ে ৫৫ হাজার ২৬০ ডলার বেতন পেয়ে থাকেন। নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের হিসাব বলছে, পকেটে টান পড়লে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দাদের নির্ভরশীলতা দিন দিন বাড়ছে। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসে দেশটিতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের লেনদেন হয়েছে। দেশটিতে মূল্যস্ফীতিও বেড়েছে। মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস বলছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে করোনার সময় জমানো অর্থে হাত দিয়েছে মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে খুব শিগগির ঋণখেলাপি বাড়বে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ক্রিশ্চিয়ান ডেরিটিস। তাঁর ভাষ্যমতে, সরকার যখন শিক্ষাঋণ পরিশোধ স্থগিত করল, তখনই অনেক ঋণগ্রহীতা সমস্যার মধ্যে ছিলেন। ভবিষ্যতে তাঁদের ঋণখেলাপি হওয়ার আশঙ্কা আছে।

post
যুক্তরাষ্ট্র

ছেলের হত্যায় মা গ্রেপ্তার জর্জিয়ায়

২০ মাস বয়সী শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছিলো না গত অক্টোবর থেকে। জর্জিয়ার সাভানাতে নিজ বাড়ি থেকেই শিশুটি হারিয়ে যায়। আর তা পুলিশে রিপোর্ট করে তার মা। এর মাসাধিক কাল পর পুলিশ শিশু ছেলেটির দেহাবশেষ খুঁজে পায় জর্জিয়ার একটি ভরাটকৃত জমিতে। এখন পুলিশ এই ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করেছে তার মাকেই।পুলিশ বলেছে, শিশুটির মা লিলানি সিমনকেগত সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। একই সঙ্গে মরদেহ গুম ও পুলিশে মিথ্যা রিপোর্ট করার মতো অপরাধের অভিযোগও আনা হয়েছে লিলানির বিরুদ্ধে। চাথাম কাউন্টি পুলিশের প্রধান জেফরি হ্যাডলি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ২২ বছর বয়সী এই মা তার ছেলে কুইনটন সিমন হারিয়ে যাওয়ার খবর জানিয়ে পুলিশে রিপোর্ট করেন গত ৫ অক্টোবর। তখনই পুলিশ বিষয়টি নিয়ে একটি টুইট করে। মি. জেফরি বলেন, "ছোট্ট কুইনটনের হারিয়ে যাওয়ার এই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ঝড় তোলে। লাখ লাখ মানুষ বিষয়টিতে তাদের উদ্বেগ জানায়। এবং এর একটি সুরাহার অপেক্ষায় ছিলো।" ছেলেটির মাকে চাথাম কাউন্টি কারাগারে রাখা হয়েছে। আর এই ঘটনায় অন্য কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। পুলিশ জানায়, ছেলেটির হারিয়ে যাওয়ার রিপোর্টের পরপরই এফবিআই'র এজেন্টরা ঘটনাস্থলে যান। এছাড়াও বিভিন্ন তদন্ত সংস্থা ছেলেটিকে খুঁজে বের করার কাজে লেগে পড়ে। পরে ১২ অক্টোবরেই পুলিশ ঘোষণা করে, তারা ধারণা করছে কুইনটনকে হত্যা করা হয়েছে। এবং তার মাকেই রাখা হয়েছে সন্দেহভাজনদের তালিকার শীর্ষে। এরপর গত শুক্রবার পুলিশ জানায়, চাথাম কাউন্টির একটি আবর্জনা ভরাট করা জমিতে শিশুটির লাশ থাকতে পারে এমনটা তারা অনেকাংশেই নিশ্চিত হয়। এরপর সেখানে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। এফবিআই'র এজেন্টরা ও জর্জিয়া ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাচারাল রিসোর্সেস এর কর্মকর্তারা গত ত্রিশ দিন ধরে ফেলা রাখা ১.২ মিলিয়ন পাউন্ড আবর্জনা সরিয়ে কিছু দেহাবশেষ খুঁজে পায়। এরপর সেই দেহাবশেষ ভার্জিনিয়ার কোয়াটিকো ল্যাবে পাঠানো হয়। এছাড়াও দেহাবশেষগুলোর ডিএনএ পরীক্ষা করার উদ্যোগ নেয় এফবিআই। তবে সেই রিপোর্ট আসার আগেই, পুলিশ অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গ্রেপ্তার করে ছেলেটির মা লিলানি সিমনকে। 

post
যুক্তরাষ্ট্র

ডুলেস এয়ারপোর্টের কাছে গাড়ি দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন-ডুলেস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কাছে ২৫ বছরের এক যুবক নিজের গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। লাউডেন কাউন্টির স্টার্লিং এলাকায় গত রাত পৌনে তিনটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।জ্যাসন রেসিনোস-ফিউনেস নামের ওই যুবক তার ডজ চার্জার গাড়িটি নিয়ে দুটি পার্ক করা গাড়িতে আঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

post
যুক্তরাষ্ট্র

ল্যাবরেটরিতে তৈরি হবে সূর্যের শক্তি, নতুন মাইলফলক রচনা

সূর্যের সমশক্তি এখন ল্যবরেটরিতে উৎপাদন করা সম্ভব। ঠিক এমনই একটি ঘোষণা দিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার লরেন্স লিভারমোর ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা। কয়েক দশক ধরে বিজ্ঞানীরা এই গবেষণা চালিয়ে আসছিলেন।তারা বলে আসছিলেন পরমানু বিক্রিয়া থেকেই গ্রহপুঞ্জে আলো জ্বলে। আর এই বিক্রিয়া ল্যবরেটরিতে সম্ভব হলে তা হতে পারে বিপুল শক্তির উৎস। এই বিষয়টিই এখন চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত হলো ল্যাবরেটরিতে। মঙ্গলবার এই গবেষণায় নতুন মাইলফলক তৈরি হলো। বিজ্ঞানীরা তাদের ঘোষণায় বলেছেন, তারা গবেষণাগারে প্রথম ফিউশন রিঅ্যাকশনটি ঘটিয়েছেন যার মধ্য দিয়ে একটি বিক্রিয়া সৃষ্টির জন্য যতটুকু শক্তির প্রয়োজন তার চেয়েও বেশি শক্তি তার উৎপাদন করতে পেরেছেন। বিজ্ঞান গবেষণার এক মাইলফলক আমরা রচনা করতে পেরেছি। আর এর মধ্য দিয়ে বিশুদ্ধ শক্তি উৎপাদনে আমাদের আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হলো, বলছিলেন হোয়াইট হাউজের সায়েন্স অ্যাডভাইজার আরতি প্রভাকর। মঙ্গলবার সকালে ওয়াশিংটন ডিসিতে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। পরিবেশ ভাবনা থেকে এমন নিউক্লীয় ফিউশনের একটা বড় আবেদন রয়েছে। সূর্য ও তারকারাজির মাঝে এমন নিউক্লিয়াস ফিউসন সারাক্ষণই ঘটতে থাকে। যার মাধ্যমে হাইড্রোজেন অনুগুলো হিলিয়ামের ভেতরে ঢুকতে থাকে এবং সূর্যালোক সৃষ্টি হয়। আর সৃষ্টি হয় তাপ ও উষ্ণতা। যা গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে ছড়িয়ে পড়ে। ল্যাবরেটরিতে এমন শক্তি সৃষ্টি করার এই আবিষ্কার পৃথবীর জন্য এক নতুন শক্তির উৎস হয়ে উঠবে যা পরিবেশ দূষণকারী জ্বালানির চাপ থেকে ধরিত্রীকে রক্ষা করবে, এমনটাই প্রত্যাশা করছেন বিজ্ঞানীরা।  

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.