post
এনআরবি সাফল্য

দেশে বাড়তে শুরু করেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ

রেমিট্যান্সে সরকারী প্রণোদনা বাড়ানোর পর থেকে দেশে বাড়তে শুরু করেছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। এতে বিভিন্ন দেশের মতো খুশি জার্মান প্রবাসী বাংলাদেশীরাও। তবে হুন্ডি বন্ধ না হলে, রেসিট্যান্স প্রবাহে গতি বাড়বে না বলে মনে করেন তারা। এছাড়া, রিজার্ভ বৃদ্ধির জন্য দেশে প্রবাসী বিনিয়োগের পথ সহজ করারও আহবান বাংলাদেশীরা। দেশে হঠাৎ করেই কমতে শুরু করে বৈধ পথে পাঠানো প্রবাসীদের অর্থের পরিমাণ। তাই রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে পূর্ব নির্ধারিত ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনাকে দ্বিগুন করে সরকার। রেমিট্যান্সে ৫ শতাংশ প্রণোদনা কার্যকরের পর থেকে ফের বাড়তে শুরু করেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।প্রণোদনা বাড়ায় টানা পাঁচ মাস পর, ডিসেম্বরে কিছুটা বাড়ে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচকটি। নতুন বছরের প্রথম মাসে সেই গতি আরও বাড়ায় খুশি প্রবাসীরা। তবে রেমিট্যান্স বাড়াতে, বৈধ পথে অর্থ পাঠাতে প্রবাসীদের উৎসাহিত করার আহবান কমিউনিটির।এদিকে রিজার্ভ বৃদ্ধির জন্যে প্রবাসীদের অর্থ গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন জার্মান প্রবাসীরা। তাই হুন্ডি বন্ধ করে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর জন্যে, সরকারী নীতিমালা পরিবর্তনেরও আহবান জানিয়েছেন এই বাংলাদেশী।মাতৃভূমিতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী প্রবাসী বাংলাদেশীরা। কিন্তু নেতিবাচক অভিজ্ঞতার কারণে অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

post
এনআরবি সাফল্য

রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ৬ মাসে এলো এক হাজার ৮০ কোটি ডলার

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে এক হাজার ৭৯ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল এক হাজার ৪৯ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে ৩০ কোটি ৫২ লাখ ডলার বেশি এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসী আয় আসে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। পরের মাস আগস্টে এসেছিল প্রায় ১৬০ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরে আসে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ লাখ ডলার। অক্টোবরে আসে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি ডলার এবং সবশেষ ডিসেম্বর মাসে আসে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার।

post
এনআরবি লাইফ

দক্ষ পেশাজীবী তৈরির প্রত্যয় নিয়ে দুবাইতে হয়ে গেলো দুই দিনব্যাপী ‘গ্লোবাল বিজনেস কনফারেন্স-২০২৩

নতুন প্রজন্মকে দক্ষ পেশাজীবী হিসেবে তৈরির করার প্রত্যয় নিয়ে দুবাইতে হয়ে গেলো দুই দিনব্যাপী ‘গ্লোবাল বিজনেস কনফারেন্স- ২০২৩। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশী প্রবাসীদের সবচেয়ে বৃহৎ সংগঠন এনআরবি ওয়ার্ল্ড এবং যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ম্যাগাজিন বিজনেস আমেরিকা যৌথভাবে দুবাইয়ের বিখ্যাত হোটেল মিলেনিয়াম প্লাজা ডাউন টাউনে গত ২২-২৪ ডিসেম্বরে এ কনফারেন্সের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিয়োজিত বাংলাদেশের মাননীয় রাষ্টদূত মোহাম্মদ আবু জাফর, গেস্ট অব অনার হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এনআরবি ওয়ার্ল্ডের চিফ অ্যাডভাইজার এবং কেপিসি গ্রুপের চেয়ারম্যান অ্যান্ড ফাউন্ডার ড. কালি প্রদীপ চৌধুরি এবং দুবাইয়ের আল মাতিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও জুমা মাদানী, ।বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, স্কটিশ মেম্বার অব পার্লামেন্টি ও শ্যাডো মিনিস্টার অব কালচার ফয়সাল চৌধুরী, জর্জিয়া স্টেটের সিনেট শেখ রহমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতেরর বাংলাদেশি কনস্যুলেট জেনারেল বি এম জামাল হোসেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে ২৫টি দেশের প্রায় ৫০০ বিশ্বখ্যাত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, তাদের কর্ণধার ও প্রফেশনালসরা উপস্থিত ছিলেন। ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর দুদিনব্যাপী এই কনফারেন্সে বৈধে পথে রেমিট্যান্সের প্রেরণ, উদ্ভাবন, ব্র্যান্ডিং, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন ও সরকারের ২০৪১ সালের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, বাংলাদেশের শিক্ষা খাত, তথ্যপ্রযুক্তি ও স্কিল ডেভেলপ বিষয়ে একাধিক মতবিনিময় হয়।উদ্বোধনী বক্তব্যে ভয়েস অব আমেরিকার প্রখ্যাত সাংবাদিক, এনআরবি ওয়ার্ল্ডের উপদেষ্টা এবং বিজনেস আমেরিকা ম্যাগাজিনের চিফ এডিটর রকেয়া হায়দার বলেন, 'আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি একে অপরের সাথে যোগাযোগ ও সম্পর্ক স্থাপনের জন্য।'কনফারেন্সে আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবু জাফর বলেন, 'বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ীরা যদি দেশে বিনিয়োগে বেশি বেশি আগ্রহ দেখান, তাহলে দেশ আরও এগিয়ে যেতে বেশি সময় লাগবে না৷ তিনি আরও বলেন, গ্লোবাল বিজনেস কনফারেন্সের মাধ্যমে নতুন নতুন পরিকল্পনা ও ব্যবসার সুযোগ তৈরি হবে৷'আমেরিকার সফল ব্যবসায়ী ড. কালী প্রদীপ চৌধুরী বলেন, 'বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে৷ দেশের ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের আন্তরিক হতে হবে।'গ্লোবাল বিজনেস কনফারেন্সে এনআরবি ওয়ার্ল্ডের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ শাহিদুজ্জামান বলেন, 'বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এবং বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে উপস্থাপন করতে আমরা ঐক্যমতে পৌঁছেছি৷'সেক্রেটারি জেনেরাল- এনআরবি ওয়ার্ল্ড, মোহাম্মদ আইয়ুব আলী তার বক্তব্যে বলেন, দেশে বৈধ পথে টাকা পাঠাতে সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে একটি সুষ্ঠ চ্যানেল তৈরি করতে সরকারকে অনুরোধ জানান।যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের সিনেটর শেখ রহমান তার বক্তব্যে বলেন, 'এখন বিজয়ের মাস, বাংলাদেশ জন্ম না হলে আমিও আজকে ইউএসএ’র সিনেটর হতে পারতাম না।'কোডারস ট্রাস্ট-এর কর্ণধার আজিজ আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, 'আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। সবাই এগিয়ে আসলেই এনআরবি ওয়ার্ল্ড নামের এই সংগঠনটি এগিয়ে যাবে।'কনফারেন্সে ডিজিটাল ইন্টেলের প্রতিষ্ঠাতা লিটন বাউলের নেতৃত্বে ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট’ বিষয়ক একটি প্যানেলও ছিল। ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট’ বিষয়ক আলোচনায় ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জন এবং গতিশীল পেশাদার মাইলফলক এর সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। প্যানেলিস্ট দের মধ্যে ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান সবুর খান; ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ, বিএসবি-ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এলএন.এম.কে. বাশার, পিপলএনটেকের প্রেসিডেন্ট ফারহানা হানিপ। গ্লোবাল বিজনেস কনফারেন্স-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সহবিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশী উদ্যোক্তা ব্যাবসায়ীদের সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রায় শতাধিক প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তা ব্যক্তিত্বকে ‘ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্র্ড-২০২৩’ প্রদান করা হয়।  এবার যারা প্রেস্টিজিয়াস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তারা হলেন:লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন- ড.কালি প্রদীপ চৌধুরি, চেয়ারম্যান অ্যান্ড ফাউন্ডার, কে পি সি গ্রুপ, বেস্ট ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস লিডার অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড- ইকবাল আহমেদ ওবিই ডিবিএ, চেয়ারম্যান ইউকে বি সি আই, চেয়ারম্যান এন্ড চিফ এক্সিকিউটিভ, সি মার্ক গ্রুপ অব কোম্পানিজ, বেস্ট পারফিউম কোম্পানি অব দ্য ইয়ার- মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান (নাসির), চেয়ারম্যান এন্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টও, আল হারমাইন পারফিউমস গ্রুপ অব কোম্পানিজ, চেয়ারম্যান ,এন আর বি ব্যাংক লিমিটেড, বেস্ট ইননোভেটিভ ডিজিটাল স্কিলস অ্যাওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার-আজিজ আহমেদ, কো-ফাউন্ডার, কোডারস ট্রাস্ট, সিইও, ইউটিসি এসোসিয়েটস, বেস্ট এভিয়েশন কোম্পানি অব দ্য ইয়ার-মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান, ম্যানেজিং ডিরেক্টও, শহীদ ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস প্রাইভেট লিমিটেড, বেস্ট ফ্রাগরেন্স কোম্পানি অব দ্য ইয়ার জিএফবি গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, ইউএসএ, চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক ভূইয়াঁ, আউটস্ট্যান্ডিং এডুকেটর অব দ্য ইয়ার-ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ডব্লিউইউএসটি), মোস্ট ইমপ্যাক্টফুল কোম্পানি অব দ্য ইয়ার ড. এম জি মাওলা মিয়া।অনুষ্ঠানে অতিথিরা বিজনেস আমেরিকা ম্যাগাজিন ২০২৩-এর বিশেষ স্মারক সংখ্যা উন্মোচন করেন এবং এনআরবি ওয়ার্ল্ড এর ওয়েবসাইট উন্মোচন করেন।

post
সংবাদ

কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা নিত্যপণ্যের বাজার

কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা নিত্যপণ্যের বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও বেড়েছে দেশীয় আদা,পেঁয়াজ ও শুকনো মরিচের দাম। এদিকে, ভরামৌসুমেও কমেনি শীতকালীন সবজি দাম। হঠাৎ করে আবার বেড়েছে রসুনের দাম। খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন,সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি। নিত্যপণ্যের বাজার যেন পাগলা ঘোড়া। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে আদা, রসুন ও শুকনো মরিচ সহ অনেক পণ্যের দাম। দেশীয় রসুন কেজিপ্রতি বেড়েছে ৬০-৮০ টাকা পরযন্ত।আর নতুন আলু ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় দাম কমানো যাচ্ছে না। তাই,প্রতিদিনের খাবার তালিকা থেকে পুষ্টি বঞ্চিত হচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। এদিকে চিনির সংকট এখনও কাটেনি। প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা দরে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে তেল,আটা ও ময়দার দাম। বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়লেও,দাম অপরিবর্তিত। ফলে অসহায় আত্মসমর্পণ করছেন ক্রেতারা।শীতকালীন সবজি বাজারে থাকাতে ,সবজির দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে । তবে বেড়েছে আদা রসুনের দাম। সুষ্ঠু বাজার মনিটরিংয়েন মাধ্যেমে বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখার দাবি ভোক্তাদের।

post
সংবাদ

পোশাকশ্রমিকদের মজুরির চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ

পোশাক শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে নিম্নতম মজুরি বোর্ড। বুধবার পোশাকশ্রমিক ও কর্মচারীদের চারটি করে গ্রেডে মজুরি নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। গত ১২ নভেম্বর ন্যূনতম মজুরির খসড়া গেজেট প্রকাশ করে সরকার। খসড়া গেজেটে বলা হয়েছে, ন্যূনতম মজুরি সমন্বয় করে এক বছর কর্মরত থাকার পর শ্রমিক-কর্মচারীরা মূল মজুরির পাঁচ শতাংশ হারে বার্ষিক ভিত্তিতে মজুরি বৃদ্ধি পাবে। পরবর্তী বছরে ক্রমবর্ধমান হারে পুনরায় মূল মজুরির পাঁচ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে। সোয়েটারসহ অন্যান্য গার্মেন্টস শিল্প সেক্টরে ফুরন ভিত্তিক মজুরিতে কর্মরত শ্রমিকরাও বার্ষিক ভিত্তিতে মূল মজুরির পাঁচ শতাংশ হারে মজুরি বৃদ্ধির সুবিধা পাবেন।শ্রমিক-কর্মচারীদের কর্মঘণ্টা বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ এর সংশ্লিষ্ট ধারা ও বিধি অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। শ্রমিক-কর্মচারীরা বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫ এর সংশ্লিষ্ট ধারা ও বিধি অনুযায়ী ভাতাদি এবং অন্যান্য সুবিধাদি পাবেন। পোশাকশ্রমিকদের শিক্ষানবিশকাল হবে তিন মাস। শিক্ষানবিশ কাল সন্তোষজনকভাবে শেষ হওয়ার পর শিক্ষানবিশ শ্রমিক সংশ্লিষ্ট গ্রেডের স্থায়ী শ্রমিক হিসেবে নিযুক্ত হবেন। শিক্ষানবিশ শ্রমিক মাসিক সর্বসাকুল্যে ৯ হাজার ৮৭৫ টাকা মজুরি পাবেন বলে গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে।গেজেটের তথ্য অনুযায়ী, গ্রেড-১ এর শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হবে ১৫ হাজার ৩৫ টাকা। এর মধ্যে মূল মজুরি ৮ হাজার ৩৯০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ৪ হাজার ১৯৫ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৭৫০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ৪৫০ টাকা এবং খাদ্য ভাতা ১ হাজার ২৫০ টাকা। খসড়া গেজেটে মোট মজুরি ছিল ১৪ হাজার ৭৫০ টাকা। এর মধ্যে মূল মজুরি ৮ হাজার ২০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ৪ হাজার ১০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৭৫০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ৪৫০ টাকা এবং খাদ্য ভাতা ১ হাজার ২৫০ টাকা।গ্রেড-২ এর শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হবে ১৪ হাজার ২৭৩ টাকা। এর মধ্যে মূল মজুরি ৭ হাজার ৮৮২ টাকা, বাড়ি ভাড়া ৩ হাজার ৯৪১ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৭৫০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ৪৫০ টাকা এবং খাদ্য ভাতা ১ হাজার ২৫০ টাকা। খসড়া গেজেটে এ গ্রেডে ন্যূনতম মজুরি ছিল ১৪ হাজার ১৫০ টাকা। এর মধ্যে মূল মজুরি ৭ হাজার ৮০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ৩ হাজার ৯০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৭৫০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ৪৫০ টাকা এবং খাদ্য ভাতা ১ হাজার ২৫০ টাকা।গ্রেড-৩ এর শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হবে ১৩ হাজার ৫৫০ টাকা। এর মধ্যে মূল মজুরি ৭ হাজার ৪০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ৩ হাজার ৭০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৭৫০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ৪৫০ টাকা এবং খাদ্য ভাতা ১ হাজার ২৫০ টাকা। খসড়াতে একই ছিল। খসড়া গেজেটে গ্রেড-৪ এর শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ছিল ১৩ হাজার ২৫ টাকা। এর মধ্যে মূল মজুরি ৭ হাজার ৫০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ৩ হাজার ৫২৫ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৭৫০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ৪৫০ টাকা এবং খাদ্য ভাতা ১ হাজার ২৫০ টাকা। চূড়ান্ত গেজেটে এ গ্রেডটি বাদ দেওয়া হয়েছে।চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী গ্রেড-৪ এর শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হবে ১২ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে মূল মজুরি ৬ হাজার ৭০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ৩ হাজার ৩৫০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৭৫০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ৪৫০ টাকা এবং খাদ্য ভাতা ১ হাজার ২৫০ টাকা। এটি খসড়া গেজেটের গ্রেড-৫ ছিল।

post
এনআরবি সাফল্য

১৫ দিনে এসেছে প্রায় ১০৭ কোটি ডলার

বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে আইএমএফের লোনের দ্বিতীয় কিস্তি আর এডিবির লোন পাওয়ার সঙ্গে রিজার্ভও কিছুটা বেড়েছে। পাশাপাশি আশা জাগাচ্ছে রেমিট্যান্সও। বিজয়ের মাসে বেশ ইতিবাচক হয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার অন্যতম আয়ের উৎসটি। চলতি মাস ডিসেম্বরের প্রথম ১৫ দিনে এসেছে প্রায় ১০৭ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আসার এ ধারা অব্যাহত থাকলে বিজয়ের মাসে দুই বিলয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে রেমিট্যান্স। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, ডিসেম্বরের প্রথম ১৫ দিনে এসেছে ১০৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা। আর দিনে আসছে ৭ কোটি ১৩ লাখ ডলার বা ৭৮২ কোটি ৫১ লাখ টাকা করে। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১০ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৯২ কোটি ১৬ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২২ লাখ ৭০ হাজার ডলার।আলোচিত ১৫ দিনে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ১০টি। এর মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ব্যাংক, বিদেশি খাতের ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।অন্যদিকে সদ্যবিদায়ী নভেম্বর মাসে মোট ১৯৩ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় ২১ হাজার ১৮১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এটি আগের মাস অক্টোবরের চেয়ে প্রায় ৫ কোটি ডলার কম এসেছে। অক্টোবর মাসে এসেছিল প্রায় ১৬০ কোটি ডলার। তবে গত বছরের একই মাসের চেয়ে ৩৩ কোটে ডলার বেশি এসেছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে এসেছিল প্রায় ১৬০ কোটি ডলার।খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ সংখ্যক রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।

post
সংবাদ

দেশে আবারও বাড়লো সোনার দাম

সোনার দাম বাড়া‌নোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন-বাজুস। ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১৬৭ টাকা বাড়া‌নো হয়েছে। এর ফলে এ ক্যাটাগরির প্রতি ভরি সোনার নতুন মূল্য হবে ১ লাখ  ৯ হাজার ২৯২ টাকা। সোমবার পর্যন্ত দাম ছিল ১ লাখ ৮ হাজার ১২৫ টাকা।এদিন বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে। নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৯ হাজার ২৯২ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪ হাজার ৩৩৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৮৯ হাজার ৪০৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ৭৪ হাজার ৫৩৩ টাকায় বিক্রি করা হবে।সোনার দাম বাড়া‌নো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রুপার দাম‌ ভরি ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১০৫০ টাকা। সোমবার সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৮ হাজার ১২৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৩ হাজার ২২৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৮৮ হাজার ৪৭১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ৭৩ হাজার ৭১৬ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে।

post
এনআরবি বিশ্ব

রেমিট্যান্স বাড়তে শুরু করেছে

দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে শুরু করেছে। চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে প্রবাসীরা বৈধ পথে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১০৭ কোটি মার্কিন ডলার। সে হিসাবে দৈনিক রেমিট্যান্স আসছে ৭ কোটি ১৩ লাখ ডলার। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে ব্যাংকগুলোতে ১০৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৯২ কোটি ১৬ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২২ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার।রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত মার্চের পর থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু তাতে সংকট আরও প্রকট হয়। পরে গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন-অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন এর উপর। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় তারা সভা করে ডলারের রেট নির্ধারণ করে আসছে।গত ১৩ ডিসেম্বর দেশের মুদ্রা বাজারে ডলারের স্থিতিশীলতা তৈরি হওয়ায় মুদ্রাটির দাম তৃতীয় দফায় কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় সংগঠনগুলো। ভবিষ্যতে ডলারের দাম আরও কমবে। সবশেষ ব্যাংকগুলোর ঘোষণা অনুযায়ী, প্রবাসী ও রপ্তানি আয় কেনার ক্ষেত্রে ডলারের ঘোষিত দাম ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। আর বিক্রি দর ১১০ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আজকে আন্তঃব্যাংকে ডলার লেনদেন হচ্ছে ১১০ টাকা ২৫ পয়সা। কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে নগদ এক ডলার কিনতে গ্রাহকদের গুণতে হচ্ছে ১২২ টাকা। চিকিৎসা, শিক্ষা বা ভ্রমণের জন্য যারা বিদেশে যাচ্ছেন তাদের নগদ প্রতি ডলার কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ১২২ টাকা পর্যন্ত।২০২৩-২৪ অর্থবছরের  প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবর মাসে এসেছে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং নভেম্বর মাসে এসেছে ১৯৩ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।

post
বাংলাদেশ

স্বস্তি ফিরছে না নিত্যপণ্যের বাজারে

স্বস্তি ফিরছে না নিত্যপণ্যের বাজারে;পেঁয়াজের ঝাঁজ কমলেও বেড়েছে আদা রসুনের দাম;অসাধূ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর হবার তাগিদ- ভোক্তাদেরকোনভাবেই স্বস্তি ফিরছে না নিত্যপণ্যের বাজারে। পেঁয়াজের বাজার নিম্নমুখী হতে না হতেই বাড়তে শুরু করেছে,আদা রসুনের দাম। প্রচুর সরবরাহ থাকলেও নিম্নবিত্তের নাগালে আসছে না শীতকালিন সবজির দাম।এসবের পেছনে বরাবরের মত সিন্ডিকেটকেই দায়ী করছেন ক্রেতারা। লাগাম টানতে, শুধু নামমাত্র অভিযান নয়,অসাধূ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর হবার তাগিদ ভোক্তাদের। পেঁয়াজের দাম কিছুটা নিম্নমুখী হলেও বাড়তে শুরু করেছে আদা রসুনের দাম। ক্রেতাদের অভিযোগ বেড়েছে ডিম,ব্রয়লার মুরগী ও শীতকালিন সবজির দামও।গত তিন-চারদিনের ব্যবধানে ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি আদা ৩০ থেকে ৪০ টাকা ও রসুনের কেজি ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ডিমের দাম বেড়েছে ডজনে ১০ থেকে ১৫ টাকা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, যেখানে চার দিন আগে রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হয়েছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা, সেই রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা দরে। ভোক্তা পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হলেও, নতুন মুরিকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হোচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকায় । বাজারে শীতকালিন সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে ক্রেতাদের। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ ও গরুর মাংস সহ বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম।

post
বাংলাদেশ

৩০ লাখ ৬৫ হাজার টন জ্বালানি তেল কিনবে সরকার

২০২৪ সালের জন্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মাধ্যমে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১৫ লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কিনবে সরকার। এতে খরচ হবে ১২ হাজার ২১৫ কোটি ৮৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে ১৫ লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে খরচ হবে ১৩ হাজার ৫৯৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান। তিনি জানান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) কর্তৃক সৌদি আরবের সৌদি আরামকো থেকে ২০২৪ সালের জন্য ৮ লাখ মেট্রিক টন এরাবিয়ান লাইট ক্রুড (এএলসি) অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে। এ বাবদ ৬ হাজার ৪০৭ কোটি ৩৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন কর্তৃক সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবির এডিএনওসি থেকে ২০২৪ সালের জন্য ৭ লাখ মেট্রিক টন মারবান গ্রেডের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (ক্রুড অয়েল) আমদানি করা হবে। এতে খরচ ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৮০৮ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.