post
বিশেষ প্রতিবেদন

সুষ্ঠু অবাধ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলক নির্বাচন দেখতে চান নতুন ভোটাররা; উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দক্ষ নেতৃত্ব দাবী

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৭ জানুয়ারি।এ নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠার শেষ নেই। বাংলাদেশে  ভোট মানে উৎসব,আনন্দঘন পরিবেশ।রাজনৈতিক দলগুলো ভোটের আগে বিভিন্ন কলেবরে, বিভিন্ন রঙে-ঢঙে তাদের নির্বাচনি ইশতেহার সাজায়, নানা রকম প্রতিশ্রুতি দেয়। এই ইশতেহারের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন বয়সের জন্য আলাদা আলাদা অঙ্গীকার থাকে।কিন্তু এবারের নির্বাচনে নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে আওয়ামী লীগসহ ২৯টি দল অংশ নিলেও বিএনপিসহ সমমনা ১৫টি দল অংশ নিচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে  নির্বাচন, ভোটাধিকার নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন রয়েছে। তাদের  প্রত্যাশা জানতে কথা বলা চেষ্টা করেছি আমরা। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলছেন, সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন তাদের প্রত্যাশা। কারন নতুন ভোটার হিসেবে দেশকে সম্মৃদ্ধ করতে ভূমিকা রাখার আগ্রহ তাদের। তারা বলেন, দেশের মোট ভোটারের  চার ভাগের এক ভাগ তরুণ। এই জেনারেশন অনেকটাই রাজনীতি বিমুখ এদেরকে রাজনীতিমুখী করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে তরুণদের সমস্যা গুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে বেকারত্বের সমস্যা। দেশে বেকারত্বের সমস্যা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে বেকারের সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ। এর মাঝে উচ্চশিক্ষিত বেশি। যারা তরুণদের বেকারত্ব সমস্যা নিয়ে কাজ করবে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ও তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতি করার সুষ্ঠ পরিবেশ নিশ্চিত করে দিতে পারবে তরুণ্যের প্রথম ভোট তাদের পক্ষে যাবে। নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি আস্থা ফেরাতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব ভূমিকা পালনের আহবান জানান প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকুরী করা, এবারের নতুন ভোটার নাফিস বুলবুল। আর সকল দলের অংশ ছাড়া নির্বাচনকে খাপ ছাড়া বললেন রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম। নির্বাচনই পারে জণগণের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পরিপূর্ণ সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে  ত্বরান্বিত করতে। তাই বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের নাগরিক হিসেবে স্বচ্ছ এবং গঠণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমেই কেবল বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখা সম্ভব বলে মন্তব্য নতুন ভোটারদের। এদিকে, ক্ষমতাসীন সরকারের যে সাফল্যের জোয়ার ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে শুরু হয়েছে তা ধরে রাখতে একজন দক্ষ নেতৃত্ব প্রয়োজন বলে মত দেন অনেক সাধারণ মানুষ। সকলের ভোটের অধিকার এবং মতামত প্রদানের অধিকারকে অক্ষুণ্ণ রেখে, জণগণের চাহিদার পরিস্ফুটন ঘটিয়েই পরিপূর্ণ সরকার ব্যবস্থার জন্ম হবে বলেই বিশ্বাস খেটে খাওয়া শ্রমজীবী জনগনের।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

‘আওয়ামীলীগ বনাম আওয়ামীলীগ’ নির্বাচন ;দল বলছে প্রতিদ্বন্দিতা,সহিংসতার শংকা বিশ্লেষকদের

আওয়ামী লীগের নতুন কৌশল “স্বতন্ত্র প্রার্থী”বাংলাদেশের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনাদের বর্জনের মুখে নির্বাচনের আগে থেকেই আলোচনায় ‘আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ ভোট যুদ্ধ। সারাদেশে এমন আসনের সংখ্যা শতাধিক, যেখানে এরই মধ্যে নৌকার প্রার্থী নিজ দলের ভেতরেই স্থানীয় পর্যায়ে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছেন। এই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে কেউ বর্তমান সংসদের সদস্য, কেউ সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য, কেউ উপজেলা চেয়ারম্যান বা পৌরসভার মেয়রের পদ ছেড়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। ফলে নির্বাচন করার অতীত অভিজ্ঞতা তাদের আছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার যাচাইবাচাইয়ে বাদ পড়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতাদের একটি অংশ আপিলেও প্রার্থিতা ফিরে পাচ্ছেন। ফলে শেষ পর্যন্ত কত আসনে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে লড়াই হয়, তা জানার জন্য মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। এদিকে,জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির ভোট সারা দেশে সমানভাবে নেই। বৃহত্তর রংপুর ও সিলেট বিভাগে এক সময় তাদের আধিপত্য থাকলেও তা কমেছে। নতুন দল তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম বা বিএসপির শক্তিও পরীক্ষিত নয়, ধর্মভিত্তিক দলগুলো কোনো আসনে কখনও একক শক্তিতে আওয়ামী লীগকে হারিয়ে দেওয়ার মত অবস্থানে যেতে পারেনি।এর মধ্যেও এবার নির্বাচন নিয়ে আসনে আসনে ভোটারদের মধ্যে নানা হিসাব নিকাশের কারণ হল, শুরু থেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতাদের তৎপরতা। এবার আওয়ামী লীগের শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থীকে মাঠে থাকতে উৎসাহ দেওয়া স্পষ্টতই ভোটের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি এবং কেন্দ্রে ভোটার বাড়াতে ক্ষমতাসীন দলের কৌশল। এমনটাই মনে করেন আওয়ামীলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক।  আওয়ামী লীগ নেতারা ঢালাওভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে সহিংসতার আশঙ্কাও করছেন নির্বাচন ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ,সুশাসনের জন্য নাগরিক  সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন,অনেক জায়গায় স্বতন্ত্র বা আওয়ামী লীগের প্রার্থী হার মেনে নিতে চাইবে না। সেক্ষেত্রে সংঘাতের একটা শঙ্কা তো থেকেই যায়।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

আবদুল গাফফার চৌধুরীর ৮৯তম জন্মদিন আজ

কিংবদন্তী সাংবাদিক, কলামিস্ট, সাহিত্যিক এবং অমর একুশে গানের রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরীর ৮৯তম জন্মদিন আজ। বরিশালের উলানিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মেধা, মনন আর যোগ্যতায় যিনি হয়ে উঠেছিলেন দেশের সাংবাদিকতার অন্যতম কান্ডারি। ২০২২ সালের ১৯মে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান দেশবরেণ্য এই মানুষটি।অমর একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা শহীদেরকে নিয়ে লেখা এই গানটি বাঙালীর চেতনার গহীনে গেঁথে আছে। গানটির রচয়িতা প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী। সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি হলেও বাংলার সাহিত্য থেকে রাজনীতি সব জায়গাতেই ছিলো তাঁর বিশদ বিচরণ। ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল গাফফার চৌধুরী। ১৯৫০ সালে ম্যাট্রিক পাস করে ভর্তি হন ঢাকা কলেজে। সেখানে ১৯৫৩ সালে ইন্টারমিডিয়েট, এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৮ সালে অনার্স শেষ করেন তিনি। শিক্ষাজীবনের মতো আবদুল গাফফার চৌধুরীর কর্মজীবনও ছিল বর্ণাঢ্যময়। ১৯৪৭ সালে কংগ্রেস হিতৈষী পত্রিকা দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এরপর সওগাত, দৈনিক সংবাদ, মাসিক সওগাত এবং দৈনিক জেহাদের মত জনপ্রিয় পত্রিকায় কাজ করেন তিনি। দেশের জন্য ‍দায়িত্বশীল অবদানের স্বীকৃতিও পেছেছেন কিংবদন্তী এই ব্যক্তিত্ব।  আবদুল গাফফার চৌধুরী ইউনেস্কো পুরস্কার, বাংলা একাডেমী পুরস্কার, একুশে পদক, বঙ্গবন্ধু পুরস্কারসহ অর্জন করেন দেশি-বিদেশি অসংখ্য সম্মাননা।শেষ জীবনের বেশিরভাগ সময়টাই তিনি কাটিয়েছেন ইংল্যান্ডে। ২০২২ সালের ১৯ মে সেখানকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়, না ফেরার দেশে পাড়ি জমান আবদুল গাফফার চৌধুরী।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে বাঁধা কোথায় ? জনমনের মিশ্রভাবনা ও বিশ্লেষকদের প্রতিক্রিয়া

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনআগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরগরম রাজনীতির মাঠ। নানা অনিশ্চয়তা থাকলেও নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে বারবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে সরকার ও ক্ষমতাসীন দল। যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নও চায় সুষ্ঠু নির্বাচন। প্রতিবেশী ভারত দীর্ঘদিন নীরব থাকলেও সম্প্রতি দেশটি জানিয়েছে বাংলাদেশে অবাধ ও সংঘাতমুক্ত ভোট চায় তারা। মাঠের বিরোধী দল বিএনপি একই দাবিতে সমমনা দল নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করছে। দেশের সুশীল সমাজ, সচেতন মহলসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের চাওয়াও একই। তাহলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বাঁধা কোথায়-ঘুরেফিরে সর্বত্র এমন আলোচনাই চলছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক, রাজনৈতিক দল, পেশাজীবীসহ নানা শ্রেণির মানুষের সঙ্গে কথা বলে এ প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করা হয়। সবাই প্রায় অভিন্ন সুরে জানান, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বড় বাধা হচ্ছে সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার অভাব। এরই মধ্যে তফসিল ঘোষনা করে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মনোনয়ন পত্র দাখিল ও বাতিল হওয়াদের আপীল শুনানীও করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে মাঠ পর্যায়ে বিএনপি ও সমমনা কিছু রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থার সংকট তীব্র থাকায় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না তারা। কিন্তু সাধারণ মানুষের এবিষয়ে রয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া। নির্বাচন কমিশনের  নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি বেশিরভাগ দল ও মানুষের ভরসা নেই বলেও দাবী অনেকের। যদিও  নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নিয়েছে বলে বারবার জানাচ্ছে গণমাধ্যমকে।সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন,সবার মুখেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু সেটা নিশ্চিত করতে বহু বাধা রয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে আন্তরিকতার অভাব। অতীতে একই প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও তা রক্ষা করা হয়নি। সাবেক কূটনীতিক তৌহিদুল হক বলছেন,আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে ক্ষমতা দখলের প্রতিযোগিতা থেকে সরে আসতে হবে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান বাধাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। কারন বিদেশী হস্তক্ষেপে কখনো দেশের সংকট সমাধান হবে না, ভাবনাটাও সুখকর নয়।  এজন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সমঝোতা। রাজনৈতিক দলগুলোর একে অপরের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস এবং সর্বোপরি তাদের সদিচ্ছা ছাড়া এ বাধা কখনো দূর করা যাবে না। উলটো সংকট আরও ঘণীভূত হবে। যার ইঙ্গিত ইতোমধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নির্বাচন প্রশ্নে বড় দুটি দল নিজ নিজ অবস্থানে অনড়। চলছে রাজপথ দখলের লড়াই। তা রূপ নিচ্ছে সহিংসতায়।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

নানামুখী উন্নয়নের ছোঁয়ায় নারায়ণগঞ্জ, পাল্টে গেছে মানুষের জীবনযাত্রা;

সরকারের ধারাবাকিতায় ডিজিটালের হাত ধরে এবার স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন!সরকারের নানামুখী উন্নয়নের নারায়ণগঞ্জ এখন ডিজিটাল শহরে রুপান্তরিত হয়েছে। অভূতপূর্ব উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হওয়ায় এই জনপদের মানুষের জীবনযাত্রা এসেছে নতুন গতি। বর্তমান সরকারের একের পর উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে নারায়ণগঞ্জবাসী স্বপ্ন দেখেন স্মার্ট বাংলাদেশের। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নারায়ণগঞ্জে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন প্রকল্প ডিএনডি প্রজেক্ট। যা সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের নেতৃত্বে বাস্তবায়ন হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে যে অঞ্চলটি পানিতে তলিয়ে যেত,দূর্ভোগ পোহাতেন লাখ লাখ মানুষ। সেই আশাহত,ভাগ্যাহত মানুষের আশার আলো জ্বালিয়েছেন তিনি। এছাড়াও রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কালভাট, মসজিদ,মাদ্রাসা,মন্দির থেকে শুরু করে কোনকিছুই বর্তমান সরকারের  উন্নয়ন থেকে বাদ পড়েনি। যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে শিক্ষা,স্বাস্থ্য ও তথ্য প্রযুক্তি ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ডাবল রেললাইন’সহ ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এখানে। এক সময়ের উন্নয়নবঞ্চিত নারায়ণগঞ্জ ডিজিটাল শহরে রুপান্তরিত হয়েছে। শতভাগ বিদ্যুতায়ন,বিশুদ্ধ পানি,উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ বাড়ির পাশে ছোট্ট পাকা সড়কটিও বদলে গেছে বলে জানিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগ সভাপতি মতিউর রহমান মতি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে লাল সবুজের বাংলাদেশ।  নারায়ণগঞ্জ হবে দেশের সকল জেলার উন্নয়ণের রোল মডেল এমন প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

দাম কমেছে গরুর মাংশের,পেছনে ৪ কারণ বলছেন ক্রেতারা; জোর দাবী বাজার মনিটরিংয়ের

দীর্ঘ দুই বছর পর স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে গরুর মাংসের দামে। কদিন আগেও কেজিপ্রতি ৮৫০ টাকার মাংস এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়।হঠাৎ করে এভাবে মাংসের দাম কমায় খুশি,নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। বাঙ্গালির রসনা বিলাসীদের খাবারের তালিকার বড় একটা জায়গা জুড়ে রয়েছে,গরুর মাংসের চাহিদা।বিগত কয়েক বছর ধরে অতিমাত্রায় বাড়তে থাকে এ মাংসের দাম। সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যায় আমিষে ভরা স্বাদের এই খাবার। কিন্তু এখন হাঁকডাক দিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে গরুর মাংস, আর সেই মাংস কিনতে দোকানে দোকানে ক্রেতাদের সারি। কদিন আগেও যে মাংস কেজি ৮০০ টাকায় বিক্রি হতো, এখন তা ৬০০ টাকায় কিনছেন ক্রেতারা। বাজারে হঠাৎ করে গরুর মাংসের দাম কমল কেন—এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকের মনে। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খামারি থেকে শুরু করে মাংস বিক্রেতা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে মোটাদাগে চারটি কারণের কথা জানা গেছে। কারণগুলো সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, বাড়তি দামের কারণে সীমিত আয়ের মানুষেরা গরুর মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় বিক্রিও কমে গেছে। তাই দাম কমিয়ে ক্রেতা আকর্ষণের উদ্যোগ নিয়েছেন মাংস বিক্রেতারা। আরেকটি কারণ হলো খামারিদের উদ্যোগ। খামারিদের অনেকেই এখন মধ্যস্বত্বভোগী ঠেকাতে গরুর পরিবর্তনে মাংস বিক্রি করছেন। হাটেও কমেছে গরুর দাম। এ ছাড়া দাম কমার পেছনে চোরাই পথে ভারতীয় গরু ও মাংস আসার কথাও বলা হচ্ছে। অন্যদিকে, ভোক্তারা জানিয়েছেন, মাংসে হাড় ও চর্বির পরিমাণ বাড়িয়ে দিচ্ছেন বিক্রেতা। এটাও দাম কম রাখার একটি কারণ।সম্প্রতি ৫৯৫ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি শুরু করেন,রাজধানীর কিছু  ব্যবসায়ী । তার দেখাদেখি রাজধানীর বেশিরভাগ বাজারে শুরু হয় কম দামে মাংস বিক্রি ।মাংসের দাম কমায় খুশি নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ ।তবে বাজার ভেদে গরুর মাংশের দামের এখনো রয়েছে ভিন্নতা। তাতে ক্ষুদ্ধ ক্রেতারা। এমন পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং চেয়েছেন ভোক্তারা।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

সংসদ নির্বাচনের হাওয়া দেশ ছেড়ে প্রবাসে

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া লেগেছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে। পোস্টাল ভোটের পাশাপাশি অনেকে আবার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে দেশেও ফিরছেন। তবে প্রবাসীদের অধিকার আদায়ে সংসদে প্রবাসী প্রতিনিধিত্বের দাবি জানিয়েছেন তারা। এছাড়াও দেশের রাজনৈতিক সহিংসতা দূর করে উৎসবমুখর নির্বাচনের আহবান এ রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের। কুয়েত থেকে আ হ জুবেদের উপস্থাপনায় বাংলা টিভির নিয়মিত আয়োজন প্রবাসে বাংলার মুখ অনুষ্ঠানে উঠে আসে এসব তথ্য। আগামী ৭ই জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে দেশে-বিদেশেও চলছে নানা আলোচনা। চায়ের আড্ডা থেকে  কর্মস্থল, সব যায়গায় একই গল্প বাংলাদেশীদের মধ্যে। সরকার গঠনের এ নির্বাচন ঘিরে উৎসাহ উদ্দীপনা বেড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতেও। পছন্দের প্রার্থীর পাশে থাকতে অনেক বাংলাদেশী আবার দেশেও ফিরছেন।তবে প্রবাসীদের অধিকার আদায়ে প্রবাসীবান্ধব সরকার ব্যবস্থার প্রত্যাশা বাংলাদেশীদের। এ জন্যে সংসদে প্রবাসী প্রতিনিধিত্বেরও দাবি জানিয়েছেন এ রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাস করছেন প্রায় দেড় কোটি বাংলাদেশী।প্রবাসী এ বাংলাদেশীদের জন্য ভোট ব্যবস্থা সহজ করার আহবান  কমিউনিটি নেতাদের।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

অবকাঠামো উন্নয়ন,সড়ক যোগাযোগ ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতে,পাল্টে গেছে পার্বত্যাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা

চারপাশে বিস্তীর্ণ পাহাড়ের সারি আর তুলোর মতো মেঘ,এরই মধ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে নৈসর্গিক সাজেক। এক দশক আগেও সেখানে যেতেন কিছু হাতেগোণা পর্যটক। পাহাড়,ঝর্ণা এবং রহস্যময় গুহাসহ, বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র বাড়িয়ে দিয়েছে ওই এলাকার আকর্ষণ। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে পাহাড়ে অবকাঠামোগত উন্নয়ন,সড়ক যোগাযোগ,বিদ্যুৎ,মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং নিরাপত্তার কারণে পর্যটনের জনপ্রিয়তা দিনদিন বাড়ছে। সাজেক শব্দটা মনে এলেই প্রকৃতিপ্রেমী মানুষজনের চোখের সামনে ভেসে ওঠে মেঘ ও পাহাড়ের মিতালীময় এক অপরূপ ছবি। প্রকৃতি এখানে ক্ষণে ক্ষণে তার রূপ বদলায়। চোখের পলকেই চারপাশে নিকষ কালো মেঘ জমে,হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয় কিংবা প্রচন্ড ঠান্ডা!  বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাজানো গোছানো  মনমুগ্ধকর এই পর্যটন স্পট যেনো স্বপ্নিল রাজ্য। এখানে মেঘমালার মিতালী দেখতে, যে কোনো মৌসুম ছাড়াই হাজার হাজার পর্যটক ভিড় করেন।  সাজেক ভ্যালী,আলুটিলা ও নীলগীরির মতো আরো পর্যটন স্পট বাড়ানো এবং ইকো ট্যুরিজমকে উৎসাহী করতে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হচ্ছে, নতুন নতুন উদ্যোগ। এমনটা জানালেন,খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহীদুজ্জামান। খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেছেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষনিক কাজ করে যাচ্ছে সমন্বিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সাজেকের অবস্থান রাঙ্গামাটি জেলায় হলেও, খাগড়াছড়ি থেকে সেখানে যাতায়াত অনেক সুবিধাজনক।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে তৈরী হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা মনুমেন্ট

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মুক্তিযোদ্ধা মনুমেন্ট ও বিশ্রামাগার পরিদর্শনে আগ্রহ বেড়েছে দর্শনার্থীদের। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কর্তৃক নির্মীত ৯০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত মনুমেন্ট ও বিশ্রামাগারটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের মুকুন্দপুরে নির্মিত হয়। এই প্রথম বিজয়নগরে মনুমেন্ট পরিদর্শনের পাশাপাশি, পরিবার নিয়ে থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে। এতে খুশি দর্শনার্থীরা। এছাড়াও মনুমেন্টের পাশে রয়েছে ২৫ বিজিবির ক্যাম্প।  মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনা নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের মুকুন্দপুরে তৈরী করা হয়েছে,মুক্তিযোদ্ধা মনুমেন্ট। এর পাশেই রয়েছে দূর থেকে আসা দর্শনার্থীদের জন্য বিশ্রামাগ্রার। এখানে লিপিবদ্ধ রয়েছে,শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা। মনুমেন্টটি মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলার একটি কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে বলে জানান দর্শনার্থীরা।এদিকে,মুক্তিযোদ্ধা মনুমেন্ট ও বিশ্রামাগ্রারটি তৈরী করায়,সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধা মনুমেন্ট ও বিশ্রামাগারটি পরিদর্শন করে, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আগামী প্রজন্ম অনেক তথ্য জানতে পারবে বলে জানান,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ। এটি উদ্বোধন করেন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। প্রাকৃতিক পরিবেশ ও পাহাড় ঘেড়া পরিবেশে অবস্থিত মনুমেন্টটি মন কেড়েছে দর্শনার্থীদের।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

দুর্গম পাহাড়ে তৈরি হচ্ছে দেশের সবচেয়ে উঁচু সীমান্ত সড়ক;মেগা প্রকল্পে বদলে যাচ্ছে,তিন পার্বত্য জেলা

দুর্গম পাহাড়ের বুক চিড়ে তৈরি হচ্ছে দেশের সবচেয়ে উঁচু সীমান্ত সড়ক। এক হাজার ৩৬ কিলোমিটারের এই পথ ধরে,হাতছানি দিচ্ছে ব্যবসা বাণিজ্যের অপার সম্ভাবনা।শান্তিচুক্তির ২৬ বছরে পার্বত্যাঞ্চলে উন্মোচিত হচ্ছে উন্নয়নের নানা সম্ভাবনার দুয়ার। আর এই সীমান্ত সড়ক নির্মাণে অসম্ভবকে সম্ভব করছে,বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সরকারের চ্যালেঞ্জিং এই মেগা প্রজেক্ট বদলে দিচ্ছে,তিন পার্বত্য জেলা বান্দরবান,খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিকে। সীমান্ত সড়ক প্রকল্পটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২ হাজার ৮শ ফুট উঁচু। এ সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৩৬ কিলোমিটার। প্রকল্পটির কাজ তিনটি পেইজে ভাগ করা হয়েছে। পুরো প্রকল্পের কাজ ২০৩৬ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। এখন পর্যন্ত প্রথম ধাপে ২০৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ শেষ হয়েছে। পুরো কাজ শেষ হলে এটি হবে,দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উঁচু সড়ক নেটওয়ার্ক। ইতোমধ্যে খাগড়াছড়ির বেতলিং,রাঙ্গামাটির মাঝিরপাড়া ও সাই চলে পাহাড়ের কোল ঘেঁষে, সীমান্ত সড়ক নির্মাণ শেষ হয়েছে।  একটা সময় পাহাড়ে বাসবাসরত বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের কেউ অসুস্থ হলে ১৫-২০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে রোগীকে সদর হাসপাতালে নিতে হতো। পাহাড়ের সেই দৃশ্যপট এখন পাল্টে গেছে। প্রকল্পে পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান এবং সড়কের পাশে স্কুল কলেজ হাসপাতালের কথা মাথায় রেখেই,কাজ করছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।  এমনটা জানিয়েছেন সীমান্ত সড়ক প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর এইচ এম ইকরামুল হক।এছাড়া শান্তিচুক্তির পর তিন পার্বত্যাঞ্চলে পাকা রাস্তা নির্মিত হয়েছে, ১হাজার ২১২ কিলোমিটার।কাঁচা সড়ক ৭শ কিলোমিটার,সড়ক সংস্কার ৬১৪ কিলোমিটার,ব্রিজ নির্মাণ ৯ হাজার ৮৩৯ মিটার এবং কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে ১৪১টি।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.