post
আন্তর্জাতিক

ইউএসএ-তে পড়তে আসা? জানুন কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ আপনার নিরাপত্তা ও সাফল্যের জন্য।

বর্তমান ট্রাম্প অ্যাডমিনেস্ট্রেসন এর অভিবাসন নীতি ও আইস ( United States Immigration and Customs Enforcement ) এর ধরপাকড়ে অনেকেই অনেক ভীত। প্রতদিন শত সহস্র মানুষকে ধরে ধরে দেশে পাঠান হচ্ছে, তবে ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীরা যদিও এই ধরপাকড়ের বাইরে, তথাপি, কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় থকে কয়েকজন শিক্ষার্থীকেও দেশে চলে যেতে হয়েছে, স্টুডেন্ট ভিসার শর্ত অমান্য করার অপরাধে। একজন শিক্ষক হিসেবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান এবং চ্যান্সেলর হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার অভিজ্ঞতার আলোকে, আমি কিছু পরামর্শ শেয়ার করবো, যাতে আপনি নিরাপদ, আইনগতভাবে সঠিক, এবং সফলভাবে এগিয়ে যেতে পারেন। আপনার সমস্ত ইন-পার্সন ক্লাসে অংশ নিন
শারীরিকভাবে ক্লাসে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক। স্কুল যদি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমতি না দেয়, তাহলে শুধু অনলাইনে অংশ নেওয়া যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি থাকুন। অন্য স্টেটে থেকে প্রতিদিন আসা-যাওয়া করবেন না। এটি আপনার ভিসার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ভালো গ্রেড বজায় রাখুন। অনেক স্কুল শুরুতে স্কলারশিপ দেয়, কিন্তু তা ধরে রাখতে হলে প্রথম টার্মের পর ভালো ফলাফল করতে হবে। ফুল-টাইম স্টুডেন্ট হিসেবে থাকুন
আন্ডারগ্র্যাড হলে কমপক্ষে ১২ ক্রেডিট এবং গ্র্যাজুয়েট হলে ৯ ক্রেডিট নিতে হবে। এর কম হলে ভিসা সমস্যায় পড়বে। ইমেইল, টেক্সট, এবং ক্লাস প্ল্যাটফর্ম (যেমন Canvas) প্রতিদিন চেক করুন। স্কুলের বার্তাগুলোর উত্তর দিন এবং কেউ ফোন করলে ধরুন। যুক্তরাষ্ট্রের আইন এবং আপনার স্কুলের নিয়ম মেনে চলুন। অপ্রাপ্তবয়স্কদের মদ পান, চুরি, মাদক-এইসব ছোট খাটো কাজও বড় সমস্যায় ফেলতে পারে এবং ইমিগ্রেশন ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। ঠিকানা, ফোন নম্বর বা ভিসা সম্পর্কিত কিছু পরিবর্তন হলে স্কুলকে জানান। সাধারণত ১০ দিনের মধ্যে জানাতে হয়। স্কুলের অনুমতি ছাড়া কাজ করবেন না। অন-ক্যাম্পাস কাজ বা CPT/OPT ইন্টার্নশিপের জন্য অনুমতি নিতে হবে। বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট অ্যাডভাইজরের (DSO) সাথে কথা বলুন। আপনি কাজ করতে চান, ভ্রমণে যেতে চান, বা ছুটি নিতে চান—আগে জিজ্ঞাসা করুন। বন্ধু তৈরি করুন এবং নিজের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলুন। এখানে যাদের সঙ্গে পরিচয় হচ্ছে—সহপাঠী, শিক্ষক, মেন্টর—তারা আপনার ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে। মনে রাখবেন: আপনার নেটওয়ার্ক হলো আপনার নেট ওয়ার্থ । গবেষণার কাজে যুক্ত হন এবং একাডেমিক পেপার প্রকাশ করুন। এটি আপনার রেজ্যুমে শক্তিশালী করে, চাকরি পাওয়ায় সহায়তা করে, ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে, এমনকি ভবিষ্যতে পিএইচডি করার পথও তৈরি করে। পড়াশোনার পাশাপাশি প্র্যাকটিক্যাল স্কিল তৈরি করুন। ডিগ্রি ভালো, কিন্তু চাকরির বাজারে স্কিল আরও জরুরি। স্কিল থাকলে CPT, OPT, এমনকি H1B-র মত ভিসার জন্যও সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সবাইকে শ্রদ্ধা করুন এবং সদয় থাকুন
আপনি একটি আন্তর্জাতিক পরিবেশের অংশ। যেকোনো ধর্ম, জাতি বা বিশ্বাসের মানুষ—সবাই সম্মান পাওয়ার যোগ্য।কাউকে কখনো মারবেন না, হেনস্থা করবেন না, বা আঘাত করবেন না—শারীরিক, মৌখিক বা অনলাইনে। বিশেষ করে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স বা যৌন নিপীড়ন—এসব অপরাধ আমেরিকায় গুরুতর এবং এর পরিণতিতে গ্রেফতার ও ডিপোর্ট হতে পারেন। এখানে কোনো ছাড় নেই।
পরিষ্কার সম্মতি ছাড়া কাউকে স্পর্শ করবেন না। মানুষের ব্যক্তিগত সীমা ও স্পেসকে সম্মান করুন
মিথ্যা বলবেন না বা জাল কাগজপত্র ব্যবহার করবেন না। ক্লাস, চাকরি, বা ইমিগ্রেশন যেকোনো কিছুর জন্য সততা অপরিহার্য। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে সাবধান থাকুন। কী পোস্ট করছেন তা ভেবে করুন—স্মার্ট, শ্রদ্ধাশীল এবং দায়িত্বশীল থাকুন। শুধু টাকা আয়ের চিন্তায় পড়াশোনা থেকে বিচ্যুত হবেন না। আপনার শিক্ষা আপনার সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ—তুচ্ছ আয়ের লোভে সবকিছু ঝুঁকির মধ্যে ফেলবেন না। স্কুলের আচরণবিধি অনুসরণ করুন। শ্রদ্ধাশীল, পেশাদার এবং সৎ আচরণ করুন—শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতর এবং বাইরে দুটোতেই।
সহায়তা প্রয়োজন হলে সাহায্য চেয়ে নিন। সমস্যা বাড়ার আগেই কারো কাছে যান—স্কুলে অনেক সাপোর্ট সিস্টেম আছে। আপনি একা নন। আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, যুক্তরাষ্ট্রে আপনি উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্যে আবেদন করেছিলেন এখানে থাকাকালীন সময়ে কতিপয় নিয়ম মেনে চলবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেবার পর। বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ গুলোও তাদের শিক্ষার্থীদের কর্মকাণ্ডের জন্যে ফেডারেল সরকারের কাছে নিয়মিত জবাবদিহি করতে হয়। আপনি কোনও বিপদে পড়লে বা আপনার শিক্ষার্থী ভিসা প্রশ্নের সম্মুখীন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ই সবার আগে আপনার পাশে এসে দাঁড়াবে। সেক্ষেত্রে, বিশ্ববিদ্যালয়কেও আপনার গতিবিধি ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত রাখাটা আপনার জন্যেই অধিক মঙ্গল। বিস্তারিত আরও জানার থাকলে আমাকে সরাসরি লিখতে পারেন এখানে- [email protected]

post
আন্তর্জাতিক

Collaborate, Change: WUST’s Hackathon Unites 200+ Innovators Worldwide

On May 25, the virtual hallways of the Washington Hackathon 2025 were buzzing— not with idle chatter, but with the electric hum of code compiling, ideas colliding, and dreams taking digital shape. Hosted by the Washington University of Science and Technology (WUST), the two-day, fully virtual hackathon brought together over 200 innovators from across the globe. Themed “Innovate, Code, Transform,” the event showcased a new generation of thinkers building sustainable solutions to some of the planet’s most pressing challenges. From eco-efficient energy systems to AI-powered disaster response, teams turned their screens into command centers for change. The event wasn’t just about competition—it was a call to action. Inaugural remarks were made by Engr. Abubokor Hanip, Chairman and Chancellor of WUST, who underscored the university’s dedication to creating a launchpad for technological innovation and nurturing the next wave of tech leadership. “This hackathon embodies everything we stand for- Creativity, collaboration, and a commitment to making the world a better place through technology,” said Abubokor Hanip. “Hackathons like this are incubators of imagination,” said Dr. Hasan Karaburk, President of WUST. “Here we see a glimpse of a better tomorrow, built by the hands of those who dare to dream differently,” he added. “The energy and cleverness on display at the Washington Hackathon 2025 were truly inspiring,” said Professor Dr.Touhid Bhuiyan, the lead organizer of the Hackathon. “We witnessed technology’s potential not just as a tool, but as a force for good, he added.” The opening session was moderated by Professor Mahmood Menon Khan of WUST, while Dr. Sandeep Kumar, Professor of Computer Science and Engineering at Christ University in India, provided an in-depth overview of the program to the virtual audience. Virtual Walls, Real-World Impact Despite being held online, the event buzzed with synergy. Participants collaborated seamlessly across time zones, exchanging ideas and crafting solutions under the mentorship of over 60 judges, advisors, and thought leaders. Among them were Prof. Mohammad Shorif Uddin and Dr. Amalisha Sabie-Aridi, who provided invaluable feedback on both technical execution and real-world relevance. Teams explored a broad range of domains—from healthcare and education to urban intelligence and disaster resilience—all through the lens of sustainability and innovation. “Every submission reflected a serious commitment to innovation. It wasn’t just about building something cool—it was about building something that matters," one judge noted. And the Winners Are… After intense evaluation, the Hackathon Champions emerged: Med Bot – AI & Robotics for Disaster Management: A pioneering system using AI-driven robots for emergency response. CareBridge – HealthCare Connect – Open Innovation: Seamlessly bridging healthcare access gaps through smart tech. MindHaven – Mental Health Support – Open Innovation: A platform focused on digital mental wellness tools. NextGen Neural – AI-Integrated Wearable for Real-Time Health Monitoring: Smart healthcare meets wearable AI. First Runners-Up included: MediNova AI, DiagnoSmart AI, and PrioritiZen—each pushing the boundaries of AI in healthcare, diagnostics, and productivity. Second Runners-Up spotlighted innovation in broader areas: EduNova’s immersive digital classroom, FactWise’s AI fact-checking for urban governance, and FioriNext’s cutting-edge enterprise UX for smart operations. A Movement, Not Just a Moment For WUST, this was more than an event—it was a testament to its mission. As the virtual applause faded, what remained was a strong sense of momentum. From Alexandria to across the globe, Washington Hackathon 2025 proved that borders don’t limit bold ideas—and that even in 48 hours, the seeds of sustainable solutions can be planted.

post
অভিবাসন

কেরানীগঞ্জে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হয়ে গেল বিতর্ক কর্মশালা

কেরানীগঞ্জ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (কেএসএ) এর আয়োজনে ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় প্রথমবারের মত বিতর্ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২১, ডিসেম্বার, ২০২৪, শনিবার ঢাকার কেরানীগঞ্জ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সম্মেলন কক্ষে বিতর্ক কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার শিক্ষার্থীদের স্কিল ডেভলপমেন্টের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠিত "কেরানীগঞ্জ স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন (কেএসএ)" এখানকার কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বিতর্ক কর্মশালার আয়োজন করেন৷ কেরানীগঞ্জ উপজেলায় এর পূর্বে কোন বিতর্ক কর্মশালার আয়োজন করা হয়নি৷ এই কর্মশালায় কেরানীগঞ্জ উপজেলার ১৩ টি কলেজের মোট ৪০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এই কর্মশালাটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ এবং সমাজসেবক মোঃ রায়হানউদ্দিন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ বিলকিস খন্দকার। এছাড়াও কর্মশালাটিতে উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার বিজয়ী শহিদুল ইসলাম রাজু। বিতর্ক কর্মশালাটিতে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের বিতর্কের প্রশিক্ষক মোমেন তাজোয়ার মমিত। কর্মশালাটির বিষয়ে বিশেষ অতিথি অধ্যক্ষ বিলকিস খন্দকার বলেন, "কেরানীগঞ্জে এরকম উদ্দ্যোগ খুবই প্রশংসার দাবিদার। আমি কেরানীগঞ্জ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (কেএসএ)-এর সদস্যদের কেরানীগঞ্জ উপজেলায় এরকম স্কিল ডেভলপমেন্ট নিয়ে আরও অনেকগুলো কর্মশালা আয়োজনের আহ্বান করছি। কেরানীগঞ্জ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (কেএসএ) পূর্বেও কেরানীগঞ্জের শিক্ষার্থীদের স্কিল ডেভলপমেন্টের জন্য চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা ও চিত্রাঙ্গন প্রদর্শনি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল৷ তারা অতি শীঘ্রই এখানকার শিক্ষার্থীদের জন্য পাবলিক স্পিকিং কর্মশালা, আবৃত্তি কর্মশালা এবং উপস্থিত বক্তৃতা কর্মশালা আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

post
বাংলাদেশ

ডিএনসিসির সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম গ্রেফতার

রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস এলাকা থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।বুধবার (১৬ অক্টোবর) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান  নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, মোহাম্মদপুর থানায় দায়েকৃত তিন পৃথক হত্যা মামলার আসামি আতিকুল ইসলাম। ৫ আগস্ট পরবর্তীতে বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া একাধিক মামলায়ও তার নাম রয়েছে।

post
বাংলাদেশ

সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

ব্যাংকিং খাতে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি আর লুটপাটের অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দু-একদিনের মধ্যে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কমিশন বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংস্থাটির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন সালমান এফ রহমান। 'দরবেশখ্যাত' এই ব্যক্তির নামে গত ১৫ বছরে আর্থিক খাতে নজিরবিহীন দুর্নীতি, লুটপাট, জালিয়াতি ও টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ফেরত না দেওয়ার পাশাপাশি পণ্য রপ্তানি করে দেশে টাকা না আনার অভিযোগও রয়েছে তার মালিকানাধীন বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে। এভাবে নানা অনিয়ম করে হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করেছেন সালমান এফ রহমান। তিনি কত টাকার মালিক তার প্রকৃত হিসাব কারো কাছে নেই।২০০৬-২০০৭ সালে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ঋণখেলাপিসহ নানা অভিযোগে জেলে গিয়েছিলেন সালমান এফ রহমান। এরপর জেল থেকে বের হয়ে নাম জড়ান ২০১০-১১ সালের শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারিতে। এতকিছুর পরও তাকে স্পর্শ করার সাহস হয়নি কারও। গত ১৫ বছরে আর্থিক খাতে নজিরবিহীন দুর্নীতি, লুটপাট, জালিয়াতি ও টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে। ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে তার প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে একটি ব্যাংক থেকেই নেওয়া হয়েছে ২২ হাজার কোটি টাকা। পণ্য রপ্তানি করে সেই অর্থ দেশে না আনার অভিযোগও রয়েছে তার প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে। বিশ্বস্ত সূত্র আর নির্ভরযোগ্য প্রমাণের ভিত্তিতে জানা গেছে- গেল ৩১ বছরে শেয়ারবাজারের প্রত্যেকটি বড় কেলেঙ্কারিতে সালমান এফ রহমান জড়িত। গেল ৩ বছরে তিনি দৃশ্যমানভাবেই বাজার থেকে নিয়েছেন ৬৬০০ কোটি টাকা। আর অদৃশ্যভাবে হাতিয়ে নিয়েছেন ২০ হাজার কোটি টাকা। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বেপরোয়া হয়ে ওঠেন সালমান এফ রহমান। শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক, ব্যবসায়ী নেতার পর ২০১৮ সালে এমপি ও টানা দুইবার প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হন তিনি। হাজারো ব্যবসায়ীকে পথে বসানো শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির এক অবিচ্ছেদ্য নাম সালমান এফ রহমান।

post
অভিবাসন

তুরস্কের উপকূল থেকে ৯৪ অভিবাসনপ্রত্যাশী উদ্ধার

তুরস্কের ইজমির শহরের সমুদ্র উপকূল থেকে ৯৪ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্টগার্ড। তবে,তাদের মধ্যে কোন বাংলাদেশি আছে কিনা তা এখনো যায়নি।এক বিবৃতিতে কোস্টর্গাড জানায়,অভিবাসনপ্রত্যাশীদের একটি নৌকা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় সেজমি উপকূলের সমুদ্রে ভাসছিল। খবর পেয়ে কোস্টগার্ডের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং নৌকা থেকে তাদের উদ্ধার করে। কোস্টগার্ডের দাবি, গ্রিক কর্তৃপক্ষ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের এই নৌকাটিকে তুরস্কের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এদিকে আরেক পৃথক অভিযানে সমুদ্রে সেফেরিহিশার উপকূল থেকে ২৮ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্টর্গাড। উদ্ধার হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।

post
আন্তর্জাতিক

মালয়েশিয়ার জোহরে বাংলাদেশিসহ আটক ১১০

মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যে তিন দিনে বাংলাদেশিসহ ১১০ অভিবাসীকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন বিভাগ।দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ বলছে,রাজ্যে বৈধ অনুমতি ছাড়াই অবস্থান করা ১১০ বিদেশিকে আটক করা হয়। পাশাপাশি একজন স্থানীয় নিয়োগ কর্তাকেও আটক করে ‍পুলিশ। এদের মধ্যে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, পাকিস্তান, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, ভারত ও নেপালের নাগরিক রয়েছেন। প্রবেশের জন্য বিশেষ অনুমতি না থাকা, অতিরিক্ত অবস্থান করা এবং সামাজিক ভিজিট পাসের অপব্যবহার করার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে। জিআইএম জোহরের পরিচালক মোহাম্মদ রুশদি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, অভিযানের সময় মোট ৭৯১ জন বিদেশির কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। এসময় ১৩ জনকে অফিসে হাজির হওয়ার নোটিশও জারি করা হয়।

post
বাংলাদেশ

‘সমন্বয়করা ঝুঁকিমুক্ত মনে হলে ছেড়ে দেওয়া হবে’

কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাঁচ সমন্বয়ককে গ্রেপ্তার করা হয়নি জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘তারা ঝুঁকিমুক্ত, পুলিশ এটা মনে করলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।’ রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ বিফিংয়ে মন্ত্রী এ কথা জানিয়েছেন।পাঁচজন সমন্বয়ককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের কবে নাগাদ পরিবারের কাছে ফিরে যেতে দেওয়া হবে- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেখুন, তারা নিজেরাই বলছিল যে, তারা ঝুঁকিতে আছেন। সেজন্য আমরা তাদের নিরাপত্তার জন্য নিয়ে এসেছি।’ তিনি বলেন, তাদের জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, কোন কোন রাজনৈতিক দল কিংবা কারা তাদের প্ররোচনা দিয়েছে। পরবর্তীতে যে আন্দোলন সহিংস রূপ নিল সেগুলো আমরা তাদের জিজ্ঞাসা করছি। এগুলোর উত্তরও তারা দিচ্ছেন।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা এখনও তাদের গ্রেপ্তার করিনি। আমাদের হেফাজতে আছে। আমরা চিন্তা করছি তাদের ঝুঁকিটা যদি মুক্ত হয়ে যায় তাহলে আমরা তাদের ছেড়ে দিতে পারবো কিনা, সেটি হিসাব-নিকাশ করছি। পুলিশ যদি মনে করে তারা ঝুঁকিমুক্ত তাহলে তখনই তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। আমরা তাদের গ্রেপ্তার করিনি।

post
আন্তর্জাতিক

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ১৯৫ অভিবাসী আটক

মালয়েশিয়ার দুই রাজ্যে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশিসহ ১৯৫ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। দুই রাজ্যের অভিবাসন বিভাগের পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।দক্ষিণ ক্লাং জেলা পুলিশ প্রধান ও সহকারী কমিশনার চা হুং ফং বলেন, সেলাঙ্গর রাজ্যের দক্ষিণ ক্লাং এ অপারেশন বেরসেপাদু নামের অভিযানে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ৭২ বিদেশিকে আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, জনসাধারণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে, ৩০৫ জন পুরুষ এবং ১১২ জন নারীসহ মোট ৩১৭ জন বিদেশিকে আইপিডি ক্লাং সেলাতানে নেওয়া হয়েছে। কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর এর মধ্যে মিয়ানমার, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফ্রিকার ৫৬ জন পুরুষ এবং ১৫ জন নারীসহ মোট ৭২ জনের বৈধ ভ্রমণ নথি না থাকার কারণে তাদের আটক করা হয়। তবে এ সংখ্যায় কতজন বাংলাদেশি রয়েছেন তা উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া, একই দিনে মালয়েশিয়া জোহর রাজ্যের কুলাইয়ের একটি সুপার মার্কেটে অভিযান চালিয়ে ৭ বাংলাদেশিসহ ১২৩ অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়।

post
আন্তর্জাতিক

ইমরানের পিটিআই নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত

ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ-পিটিআই নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। সোমবার ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সরকার মামলা করবে। এরপর দেশটির সুপ্রিম কোর্ট পিটিআইকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, সংবিধানের ১৭ নম্বর আর্টিকেলে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার অধিকার দেওয়া হয়েছে সরকারকে। ফলে বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টে যাবে।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.