post
বিশেষ প্রতিবেদন

ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১ মে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আজ ওয়াশিংটন ডিসিতে এসে পৌঁছেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ২৮ এপ্রিল বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে মিনিটে (স্থানীয় সময়) ওয়াশিংটন ডিসির ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান। ওয়াশিংটন ডিসিতে সাত দিনের সফর শেষ করে তিনি যুক্তরাজ্য ও কমনওয়েলথ রাজ্যের রাজা ও রানী হিসাবে তৃতীয় চার্লস এবং তার স্ত্রী ক্যামিলার রাজ্যাভিষেকে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ৪ মে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করবেন। এর আগে গত ২৫ এপ্রিল, প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ চার্টার্ড ভিভিআইপি ফ্লাইট (বিজি১৪০৩) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) টোকিওর হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর আগে একই দিনে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ চার্টার্ড ভিভিআইপি ফ্লাইট (বিজি১৪০৩) জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে তাঁর ১৫ দিনের সরকারি সফরের প্রথম ধাপে সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়। জাপানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সম্বর্ধনা জানানো হয় এবং বিমানবন্দরে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। তাঁর জাপান সফরকালে ঢাকা ও টোকির মধ্যে কৃষি, মেট্রো রেল, শিল্প উন্নয়ন, জাহাজ রিসাইক্লিং, শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়, মেধা সম্পদ, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আইসিটি ও সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা সহ আটটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । গত ২৬ এপ্রিল শেখ হাসিনা জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। একই দিনে, তিনি চুক্তি স্বাক্ষরের পর তার জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সাথে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেন। প্রধানমন্ত্রী গত ২৭ এপ্রিল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য চারজন জাপানি নাগরিককে ‘ফ্রেন্ডস অফ লিবারেশন ওয়ার অনার’ প্রদানের পাশাপাশি একটি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন এবং একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও যোগ দেন। টোকিও সফরকালে প্রধানমন্ত্রী জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশির সঙ্গে বৈঠক এবং জাইকা, জেট্রো, জেইবিআইসি, জেবিপিএফএল ও জেবিসিসিইসি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকসহ একাধিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দেন। শেখ হাসিনা জাপানের প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের স্ত্রী আকি আবে এবং একজন জাপানি স্থপতি তাদাও আন্দোর সাথেও বৈঠক করেছেন। বোন শেখ রেহানা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ সংশ্লিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। আগামী ৯ মে লন্ডন থেকে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

বিয়ের আসরে বর কনের অভিনব প্রতিবাদ

ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘোড়া কিংবা হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে করতে যাওয়ার দৃশ্য নতুন নয়। অনেকে আবার হেলিকপ্টারে করেও বিয়ে করতে যান। তবে ঝিনাইদহে অনুষ্ঠিত একটি বিয়েতে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। সেখানে নতুন জীবন শুরুর অনুষ্ঠানে নবদম্পতিকে দেখা যায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেপ্তার শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার মুক্তির দাবি জানাতে।এই নবদম্পতি হলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের দপ্তর সম্পাদক মাহমুদুল হাসান এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেত্রী সুমাইয়া আফরিন।পারিবারিকভাবে গতকাল মঙ্গলবার পূর্বপরিচিত মাহমুদুল ও সুমাইয়ার বিয়ে হয়। নবদম্পতির হাতে ‘অ্যাবলিস ডিএসএ’ (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করো) ও ‘ফ্রি খাদিজা’ (খাদিজাকে মুক্তি দাও) লেখা দুটি প্ল্যাকার্ড ছিল। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে কয়েকজন ‘ডিএসএর বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘খাদিজার মুক্তি চাই’, ‘ডিএসএ বাতিল করো’ স্লোগান দিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজার মুক্তির দাবি জানান।বর মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমাদের নতুন জীবনের শুরুটা আমরা করতে চেয়েছি এই নিবর্তনমূলক আইনের বাতিল ও খাদিজার দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়ে। সব ধরনের জুলুমের অবসানের মাধ্যমে গণমানুষের মুক্তির দাবিতে আমাদের বিয়েতে এমন প্রতিবাদের আয়োজন ছিল।’ তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় খাদিজাতুল কুবরা দীর্ঘ ৮ মাসের বেশি সময় কারাগারে। তিনি কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। অসংখ্যবার চেষ্টা করেও তাঁকে জামিনে মুক্ত করা যায়নি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি রাজনৈতিক কারণে ও ভিন্ন মত দমনে ক্ষমতাসীনেরা ব্যবহার করছেন।বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি ইমতিয়াজ অর্ণব বলেন, ‘বিয়ের আসরে নবদম্পতির অভিনব প্রতিবাদ আমাদের মনে করিয়ে দেয়, কোনো কিছুই রাজনীতির বাইরে নয়। দিনমজুরের আহাজারি থেকে শুরু করে বিয়ের আসর, প্রতিবাদের ভাষা চিরকালই বৈচিত্র্যময়। মানুষের মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকার যে দমিয়ে দেওয়া যায় না, মাহমুদ-সুমাইয়ার এই অভিনব প্রতিবাদ তার প্রমাণ।’

post
বিশেষ প্রতিবেদন

মালয়েশিয়া সহ সাত দেশে ঈদের তারিখ ঘোষণা

মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, জাপান, ব্রুনেই ও অস্ট্রেলিয়ায় আগামী শনিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হবে। আজ বৃহস্পতিবার এসব দেশের কোথাও পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই এসব দেশে আগামী শনিবার ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কবে ঈদ উদ্‌যাপিত হবে, তা এখনো জানা যায়নি। এসব দেশের চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখতে মুসলমানদের আহ্বান জানিয়েছে আরব আমিরাতের চাঁদ দেখা কমিটি। কেউ চাঁদ দেখতে পেলে সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী আদালতের নম্বরে ফোন করে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।এক বিবৃতিতে আবুধাবিভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সেন্টার (আইএসি) টুইট করে জানিয়েছে, জ্যোতির্বিজ্ঞানের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার সৌদি আরবসহ মুসলিম বিশ্বের দেশগুলো থেকে খালি চোখে এবং আরব বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে টেলিস্কোপের মাধ্যমে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদের দেখা পাওয়া বেশ কঠিন। লিবিয়াসহ পশ্চিম আফ্রিকার কিছু দেশে চাঁদ দেখা যেতে পারে। তবে আরব বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে শুক্রবার নয়, বরং শনিবার ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হতে পারে।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপকে 'ম্যাজিক ম্যান' আখ্যা দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ওয়াশিংটন ইউনিভাসির্টি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর বাংলাদেশি-আমেরিকান সফল উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানপিকে 'ম্যাজিক ম্যান' বলে আখ্যায়িত করলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের আমন্ত্রিত সফরে থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে তিনি এ মন্তব্য করেন। উদ্বোধনের দু'বছর পর এসে বিশ্ববিদ্যালয়র শিক্ষা কার্যক্রমের উন্নতি ও ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা পাঁচগুন বৃদ্ধি দেখে তিনি বলেন আবুবকর হানিপ একটি সফলতার গল্পের নাম। আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে যে ল্যান্ড অব অপরচিউনিটি বলা হয় ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ তা প্রমাণ করিয়ে দেখিয়েছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি পূর্ণ সহযোগীতা থাকবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে পরিদর্শনে সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। প্রথম বারের মত ক্যাম্পাস পরিদর্শনে এসে ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন তিনিও। প্রথম কোন বাংলাদেশি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ২০২১ সালে একটি পূর্নাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব নেন ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। যার উদ্বোধন করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। দুই বছরে ব্যবধানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আবারো পেয়ে আবেগ আপ্লুত ডব্লিউইউএসটির চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ। অল্প সময়ের পথচলায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জনে যে সব নতুন পালক যোগ হয়েছে তিনি তা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন। জানান তিনশো থেকে ডব্লিউইউএসটির শিক্ষার্থীর সংখ্যা এখন প্রায় ১৫শ। তার মাঝে ৬শর মত বাংলাদেশি স্টুডেন্ট। জুলাই থেকে নিজেদের নতুন ক্যাম্পাসে শুরু হতে যাচ্ছে কার্যক্রম। যোগ হবে নার্সি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, ডেটাসায়েন্সসহ নতুন কিছু প্রোগাম। নিজেদের বক্তৃতার শেষে ড. মোমেন নামে এক লাখ ডলারের স্কলারশিপের ঘোষণা দেন আবুবকর হানিপ। অল্প সময়ের ব্যবধানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দ্বিতীয়বারের মতো পেয়ে নিজেদের ইচ্ছাস প্রকাশ করেন ডব্লিউইউএসটির প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক. প্রধান অর্থকর্মকর্তা ফারহানা হানিপ, ডিরেক্টর অব স্কুল অব বিজনেস ড. মার্ক এল রবিনসন। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ ও কর্মকর্তাগনকে আমন্ত্রিত অতিথীদের সাথে পরিচয় করিয়েদেন ডব্লিউইউএসটির প্রেসিডেন্ট। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এই সফরের জন্য তারা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ দূতাবাসের কনসূল্যার মিনিস্টার ব্রিগেডিয়ার মো: হাবিবুর রহমান, প্রেস মিনিস্টার এজেডএম সাজ্জাদ হোসেন ও ফার্স্ট সেক্টেটারি আতাউর রহমান। আয়োজনের শেষ ভাগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, অ্যাম্বাসিডর মোহাম্মদ ইমরানসহ আগত অতিথীদের হাতে উপহার তুলে দেয়া হয়। ফটোসেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় পররাষ্টমন্ত্রীর এই পরিদর্শন। যাবার আগে আশ্বাস দিয়ে যান নতুন ‌ক্যাম্পাসে যাত্রা শুরু হলে তিনি আবারও আসবেন।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

লেবু, শশা, বেগুনে আগুন

রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুন প্রতি কেজি ১০০ টাকা, যা আগে ছিল ৮০ টাকা পটল প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, টমেটো প্রতি কেজি ৪০ টাকা; অথচ কয়েক দিন আগে ছিল ৩০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকা; অথচ কয়েক দিন আগেই ছিল ৬০ টাকা, , বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, সিম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, যা আগে ছিল ৩০ টাকা, লেবু প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা অথচ কয়েক দিন আগে ছিল ২০-৩০ টাকা, মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৪০ টাকা, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা, যা আগে ছিল ৩০ টাকা, আদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, যা আগে ছিল ১০০ টাকা।এদিকে কয়েক মাস ধরে গরু ও খাসির মাংস ছোঁয়াই যাচ্ছে না, পোয়ায় (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে। এমতাবস্থায় মুরগির মাংস দিয়ে প্রোটিনের স্বাদ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ। মুরগির দাম বাড়তে বাড়তে রমজান সামনে রেখে রেকর্ড গড়েছে। দেশের ইতিহাসে এতো দামে মুরগি বিক্রির নজির নেই। শুধু তাই নয়, মাছের দামও নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। সবজির বাজারেও আগুন। মাংসের পর সবজি ও মাছের এ অসহীয় মূল্যে নাজেহাল নিম্ন আয়ের মানুষ। রাজধানীর মাংসবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকা, অথচ কয়েক দিন আগেও ছিল ২৭০ টাকা। ব্রয়লার ২৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা কয়েক দিন আগে ছিল ২৪০-২৫০ টাকা কেজি। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা, যা কয়েক দিন আগে ছিল ৭০০ টাকা। খাসির মাংস ১ হাজার ২৫০ টাকা, যা আগে ছিল ১ হাজার টাকা। মাছের বাজার গিয়ে দেখা গেছে, মাঝারি আকৃতির রুই মাছ প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে; অথচ কয়েক দিন আগেও ছিল ২৬০ টাকা। জাপানি মাছ প্রতি কেজি ২৩০ টাকা, যা আগে ছিল ১৯০ টাকা। মৃগেল মাছ ২৫০ টাকা, যা আগে ছিল ২১০ টাকা। কই মাছ কেজি প্রতি ৩০০ টাকা, যা আগে ছিল ২১০ টাকা। মাঝারি গলদা চিংড়ি মাছ ৬০০ টাকা, যা আগে ছিল ৫৫০ টাকা। তেলাপিয়া প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা, যা আগে ছিল ১৮০ টাকা। গরিবের মাছ বলে পরিচিত পাঙাশও বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ১৮০ টাকা। পাবদা বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায় যা আগে ছিল ৪০০ টাকা। সুরমা মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা, যা আগে ছিল ২০০ টাকা। অন্যদিকে দেশি কই মাছ প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, যা আগে ছিল ৪০০ টাকা। চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, যা আগে ছিল ৬০০ টাকা। শোল মাছ প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, যা আগে ছিল ৫০০ টাকা। ট্যাংরা প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, যা আগে ছিল ৩৫০ টাকা। এদিকে শুধু মাছ ও মাংসের দাম বাড়েনি। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডিমের দামও। বর্তমানে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, যা কয়েক দিন আগেও ছিল ৪০ টাকা। এ ছাড়া পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, যা আগে ছিল ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৪০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৬০ টাকা যা আগে ছিল ৪০ টাকা এবং কাঁচাকলা প্রতি হালি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছ। শুধু সবজি বাজারে নয়, ফল বাজার অধিকাংশই ফলেরও দাম বেড়েছে। বিশেষ করে রমজান উপলক্ষ্যে দাবাস খেজুর ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে অথচ কয়েক দিন আগে ২৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছিল। মরিয়ম খেজুর ১২০০ টাকা, যা আগে ছিল ১ হাজার টাকা। আজোয়া খেজুর প্রতি কেজি ৯০০ টাকা, যা আগে বিক্রি হতো ৭০০ টাকা, আপেল ৩২০ টাকা, যা আগে ছিল ২০০ টাকা, কমলা ২৪০ টাকা, যা আগে ছিল ২০০ টাকা। এদিকে ঊর্ধ্বগতির বাজারে কয়েকটি সবজির দাম বৃদ্ধি পায়নি। লাউ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর রোজার আগে প্রতিকেজি বুটের বেসন বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। ইসবগুলের ভুসি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা, যা আগে ৯০০ টাকা ছিল। ২০০ গ্রামের ট্যাং বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা, যা আগে ১৬০ টাকা ছিল। প্রতিলিটার রুহ আফজা বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকা, যা আগে ৩০০ টাকা ছিল। বাজারে যে ছোলা প্রতিকেজি ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, সেই একই মানের ছোলা গত বছর ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দেশি চিনি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, যা আগে ১০০ টাকা ছিল। প্রতিকেজি খেজুরের গুড় বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা, যা আগে ২২০ টাকা ছিল। মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, যা আগে ৬০ টাকা ছিল। বেড়েছে সবজি মধ্যে বেগুনের দামও বেড়েছে। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্চে ৮০-১০০ টাকা, যা গত বছর একই সময় ৭০ টাকা ছিল। সবজির দাম কেন বাড়তি- এ বিষয়ে একই বাজারের সবজি বিক্রেতা সবুজ আলী যুগান্তরকে বলেন, শীতের মৌসুম শেষে সবজির দাম বাড়তি থাকবে এটা স্বাভাবিক। কারণ এ সময় শীতের সবজির মৌসুম শেষে সিজনাল সবজিগুলো আর হচ্ছে না। তাতে আবার রমজানে সবজির চাহিদাও একটু বেশি হয়। এ জন্য সবজির দামও কিছুটা বাড়তি হতে পারে। বৃহস্পতিবার বাজার করতে এসেছিলেন সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। বর্তমান বাজার কেমন এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুগান্তরকে বলেন, কী আর বলব, যেটাতেই হাত দেই সেটারই দাম বেড়েছে। অল্প কিছু টাকা মাইনে পাই, সেটা দিয়ে কোনোভাবে বেঁচে থাকি। যেভাবে বাজারের দাম ঊর্ধ্বগতি এভাবে বাড়তে থাকলে পথে পথে ভিক্ষা করতে হবে মনে হয়। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, আমাদের দেশে কোনো জিনিসের দাম বাড়লে পরে আর তা কমে না। যতই দিন যায়, ততই বাড়তেই থাকে। রাজধানীর কাঁঠালবাজারে বাজার করতে এসেছিলেন রাকিব হোসাইন, তিনি পেশায় একজন চাকুরীজিবি। তিনি জানান, মাংস কেনা তো মুশকিল আবার মাছের বাজারও চড়া। তবে আগে তেলাপিয়া, পাঙাশ, চাষের কই এমন জাতীয় মাছ কিনে খাওয়া যেত; কিন্তু এখন আর এগুলোর কম দাম নেই। এসবের দামও অনেক বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে আয়-ব্যয়ের হিসাব এখন মেলানো যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, বাজারের প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে কিন্তু আমাদের আয় বাড়েনি। এ বেতনে পরিবার চালানো খুব কঠিন। যে হারে সবকিছুর দাম বাড়ছে, সেটা দিয়ে চলা অসম্ভব। পরিবারের সদস্যদের চাহিদাও পূরণ হয় না। সন্তানদের আকুতি দেখলে নীরবেই কাঁদি। আর কিছু করার নেই। এজে/

post
বিশেষ প্রতিবেদন

এবারও সুখী দেশ ফিনল্যান্ড, বাংলাদেশের অবস্থান ১১৮তম

এবারও সবচেয়ে সুখী দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে ফিনল্যান্ড। এ নিয়ে পরপর ছয়বার দেশটি সুখী দেশের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে। অন্যদিকে এবারের সুখী দেশের তালিকায় তলানিতে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের নাম। আর ১৩৭ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৮তম। ২০২২ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯৪। আজ সোমবার (২০ মার্চ) আন্তর্জাতিক সুখ দিবস। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ২০১২ সালের ১২ জুলাই এই দিনকে সুখ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। সুখ এবং ভালো থাকাকে একটি সর্বজনীন লক্ষ্য ও প্রত্যাশা নিয়েই দিবসটির উৎপত্তি। প্রতিবছর ২০ মার্চ সুখ দিবসের প্রাক্কালে সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করে জাতিসংঘ। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। প্রকাশ করা হয়েছে ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৩। তালিকায় ১৩৭টি দেশের মধ্যে টানা ষষ্ঠবারের মতো শীর্ষে রয়েছে ফিনল্যান্ড। সুখী দেশের তালিকায় ফিনল্যান্ডের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ড। চতুর্থ ইসরায়েল ও পঞ্চম নেদারল্যান্ডস। সেরা ১০টি সুখী দেশের মধ্যে এরপর রয়েছে সুইডেন (ষষ্ঠ), নরওয়ে (সপ্তম), সুইজারল্যান্ড (অষ্টম), লুক্সেমবার্গ (নবম) ও নিউজিল্যান্ড (দশম)। এবারের সুখী দেশের তালিকায় কানাডা ১৩, যুক্তরাষ্ট্র ১৫ ও যুক্তরাজ্য ১৯তম অবস্থানে রয়েছে। যুদ্ধকবলিত ইউক্রেন রয়েছে ৯২তম অবস্থানে। আর রাশিয়া রয়েছে ৭০তম অবস্থানে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নেপালের অবস্থান ৭৮। পাকিস্তান ১০৮, শ্রীলঙ্কা ১১২, ভারত ১২৬তম অবস্থানে রয়েছে। আর বাংলাদেশের অবস্থান ১১৮তম। অন্যদিকে সুখী দেশের তালিকায় এবার সবচেয়ে নিচে রয়েছে আফগানিস্তানের নাম। আগের বছরও এই তালিকায় সবার নিচে ছিল আফগানিস্তান। সুখী দেশের তালিকা করার ক্ষেত্রে মানুষের সুখের নিজস্ব মূল্যায়ন, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে শূন্য থেকে ১০ সূচকে নম্বর পরিমাপ করা হয়। পাশাপাশি প্রতিটি দেশের মানুষের ব্যক্তিগত সুস্থতার অনুভূতি, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, জিডিপি ও দুর্নীতির মাত্রা বিবেচনায় নেওয়া হয়।২০২২ সালের সুখী দেশের তালিকা করতে গিয়ে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে করোনা মহামারিকে। করোনা সারা বিশ্বকে এক ভয়াবহ অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কোভিড ১৯ মানুষের ভালো থাকার খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে সেই সঙ্গে বেড়েছে বেকারত্ব। এর প্রভাব পড়েছে সূচকেও। এ ছাড়া করোনা মহামারির ধাক্কা সামলাতে না সামলাতে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধ সারা বিশ্বকে এক ভয়াবহ সমস্যার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে বেকারত্ব ও মূল্যস্ফীতি। দেশে দেশে বেড়েছে খাবার-জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম। এবারের সুখের সূচকে ইউক্রেন যুদ্ধেরও প্রতিফলন দেখা গেছে।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ

আজ বুধবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারীর সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯১৪ সাল থেকে বিভিন্ন দেশ দিবসটি পালন করে আসছে। ১৯৭৫ সাল থেকে জাতিসংঘ দিনটি ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’- হিসেবে পালন করছে।সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হবে। প্রতি বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে নানা আয়োজন করা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন : জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’।দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা বিশ্বের সব নারীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ উপলক্ষে আজ বেলা আড়াইটায় এক শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে। শোভাযাত্রাটি কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে এসে শেষ হবে।দিবসটি উপলক্ষে বিনামূল্যে নারীদের ‘স্তন ও জরায়ুমুখের ক্যান্সার’ পরীক্ষা ও সচেতনতামূলক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতাল। বুধবার বেলা সাড় ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পান্থপথে হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে এটি অনুষ্ঠিত হবে।ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ৯ মার্চ দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১০টায় শোভাযাত্রা, নারী দিবসের বার্ষিক সংকলন ‘কন্ঠস্বর’ এর মোড়ক উন্মোচন এবং বেলা ১১ টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

শুরু ৬ হাজার দিয়ে বর্তমানে বিক্রি আড়াই লাখ টাকা

মাত্র ছয় হাজার টাকা দিয়ে অর্গানিক পণ্য গ্রাহকের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার যে প্রত্যয় নিয়েছিলেন উদ্যোক্তা উম্মে তামিমা নুপুর আজ সেটা পূরণ হয়েছে। বর্তমানে তার ‘কোকোনাট অয়েল কেয়ার বিডি’ প্রতি মাসে বিক্রি করছে কমপক্ষে আড়াই লাখ টাকার পণ্য।উদ্যোক্তা উম্মে তামিমার অর্গানিক সকল পণ্য বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) অনুমোদনপ্রাপ্ত। খুব শীগগিরই নিজেদের নিজস্ব শোরুম করার ইচ্ছা। রাজধানীসহ চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশালে তার শোরুম রয়েছে।তামিমা নুপুরের দ্বীপজেলা ভোলায় জন্ম ও বেড়ে উঠা ভোলায়। বাবা মায়ের খুব আদরের মেয়ে আর ছোট দুই ভাইয়ের খুব আদরের ছোটবোন। বাবা সাব রেজিস্টার আর মা গৃহিণী।নারিকেল তেল নিয়ে কাজ করার ইচ্ছার কথা জানতে চাইলে তামিমা বলেন, ‘ভোলায় প্রচুর নারিকেল গাছ আছে।আর মা ছোটবেলা থেকেই উদ্যোক্তা নুপুরের খুব চুলের যত্ন নিতেন।মায়ের হাতে বানানো নারিকেল তেল যেটা পরিবারের মেয়েদের চুলের যত্নে মা ব্যবহার করতেন।সেই সাথে সাথে স্পেশাল হেয়ার প্যাক। এভাবেই হেয়ার প্যাক নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা তৈরি হয়।’অর্গানিক পণ্য তৈরি করার কোন কোর্স করা ছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে উদ্যোক্তা বলেন, ‘আমার বাবার ভোলাতে একটা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ছিল।সেখানে উদ্যোক্তার প্যারা মেডিকেল কোর্স করার পর ল্যাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়।ল্যাবে কাজ করার এই অভিজ্ঞতা আমাকে অর্গানিক পণ্য তৈরিতে আগ্রহী করে তোলে।’২০১৫ সালে একটা ফেসবুকে পেজ খুলে শুধু একটা পোস্ট দিতেই ১০ বোতল তেল সেল হয়ে যায়।তখন উদ্যোক্তা মনে করলেন খাঁটি পণ্য যেহেতু অনেকে খুব পছন্দ করছেন তাই তার সেভাবে এগিয়ে যাওয়া দরকার। নতুন করে ফেইসবুক পেইজ খুললেন যার নাম দিলেন ‘কোকোনাট অয়েল কেয়ার বিডি’।তিনি বলেন, ‘‘প্রথম দিকে তিনটি পণ্য ছিল শুধু অর্গানিক কোকোনাট হেয়ার অয়েল, মিরাকেল হারবাল অয়েল, হেয়ার প্রোটিন প্যাক। মিরাকেল হারবাল অয়েল সবাই অনেক বেশী পছন্দ করছেন। এখন নতুন করে যুক্ত হয়েছে আরও কিছু পণ্য হারবাল শ্যাম্পু, ফেইসপ্যাক, রোজ ওয়াটার, লিপ বাম, হেয়ার স্পা, বডি গ্লো প্যাক। সবগুলো পণ্য ক্রেতারা খুব পছন্দ করছেন।’’মাত্র ছয় হাজার টাকা নিয়ে যাত্রা শুরু যে উদ্যোগের সেখানে বর্তমানে প্রতি মাসে বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার পণ্য।উদ্যোক্তা তামিমা বলেন, ‘শুরুতে আমি ও আমার স্বামী নারিকেল কোড়ানো থেকে শুরু করে তেল বানানো, প্যাকেজিং সব নিজে হাতে করতাম। কিন্তু চাহিদা এখন অনেক বেশী তাই মহাখালীর অফিসে দুইটা মেশিন বসিয়েছেন এবং পাঁচ জন কর্মী নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ক্রেতাদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছেন।’উদ্যোক্তা জানালেন, উদ্যোক্তা হবার পথে তিনি শ্বশুরবাড়ির সকলের সুবিধা পেয়েছেন পাশাপাশি কাজের সহায়ক ছিলেন স্বামী।নতুন উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যে কাজটা শুরু করবেন অবশ্যই পিছপা হওয়া যাবে না। সেটা নিয়েই এগিয়ে যাওয়া উচিত।’

post
বিশেষ প্রতিবেদন

অ্যাক্রেডিটেশন হারিয়েছে আসা কলেজ, নতুন ভর্তি বাতিল, বিভ্রান্তির জন্য লক্ষ ডলার জরিমানা

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের এএসএ কলেজের (আসা কলেজ নামে বেশি পরিচিত) অ্যাক্রেডিটেশন বাতিল করা হয়েছে। অ্যাক্রেডিটর মিডল স্টেটস কমিশন অন হায়ার এডুকেশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে এখানকার সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে।অ্যাডভান্সড সফটওয়্যার অ্যানালিসিস- এএসএ ১৯৮৫ সালে ম্যানহাটনে একটি ছোট্ট ক্লাসরুমে যাত্রা শুরু করে পরে বৃহৎ কলেজে রূপ নিলেও ব্যবসাভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি শেষ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের অ্যাক্রেডিটেশন ধরে রাখতে ব্যর্থ হলো। অ্যাক্রেডিটর কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কলেজটি এখন থেকে ফেডারেল স্টুডেন্ট এইডের সুবিধা পাবেনা। অথচ এই শিক্ষার্থীদের ভর্তি থেকে প্রতিষ্ঠানটির মোট রেভিনিউর দুই-তৃতীয়াংশ আসতো বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। গত ১১ নভেম্বর মিডল স্টেটের পাঠানো একটি চিঠিতে আসা কলেজকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষ বলেছে, শর্তগুলো না মানতে পারলে আগামী ১ মার্চ ২০২৩ এর পর অ্যাক্রেডিটেশন আর থাকবে না। নিউইয়র্কের ম্যানহাটন ও ব্রুকলিনে আসা কলেজের দুটি ক্যাম্পাস রয়েছে। এছাড়া ফ্লোরিডার হিয়ালিতেও রয়েছে একটি ক্যাম্পাস। প্রতিষ্ঠানটি নার্সিং, হেলথ কেয়ার, ইনফরমেশন টেকনোলজি, বিজনেস ও ক্রিমানাল জাস্টিসে ডিগ্রি অফার করে আসছে। সূত্রের বরাতে খবরে বলা হয়েছে ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি ৫২ মিলিয়ন ডলার রেভিনিউ আয় করেছে যার মধ্যে ৩৩.৬ মিলিয়ন ডলারই ছিলো যুক্তরাষ্ট্রে ট্যাক্সপেয়ারদের অর্থ। যা স্টুডেন্ট গ্র্যান্ট ও লোনের মাধ্যমেই আসতো। সরকারের এই বিপুল অংকের অর্থ পাওয়ার পরেও আসা'য় নিয়ম নীতির বালাই ছিলো না। মুনাফালোভী প্রতিষ্ঠানটি মনকাড়া বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে শিক্ষার্থী সংগ্রহে ও অর্থ আয়ে ব্যস্ত ছিলো। নিউইয়র্কের সাবওয়েগুলোতে এমন বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের জন্য নিউইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষ এবছর ১ লাখ ১২ হাজার ডলার জরিমানা করে এই প্রতিষ্ঠানকে। নিউইয়র্ক লিগ্যাল এসিস্ট্যান্স গ্রুপ তথা সাবওয়েতে ওঠা সাধারণ মানুষও এ বিষয়ে অভিযোগ আনে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আসা কলেজ তার বিজ্ঞাপন তুলে নিতে বাধ্য হয়। এবং জরিমানা দেয়। মিডল স্টেটস অ্যাক্রেডিটর কমিশন বলেছে, আসা তার শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং তাদের কাছে কোনো কার্যকর টিচ-আউট প্ল্যানও নেই। কমিশনের তরফ থেকে আরও বলা হয়েছে, ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশন আসা কলেজকে তার পে-রোল বাধ্যবাধকতা মানতে ব্যর্থ হওয়ার কারলে এইচসিএম২ স্ট্যাটাস বাতিল করেছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি তার বন্দোবস্ত চুক্তির শর্তগুলো মানতে পারেনি। আরও খবর হচ্ছে, কমিশনকে না জানিয়ে কলেজটির ফ্লোরিডার ক্যাম্পাস এরই মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুর্ব অনুমোদন ছাড়া এভাবে ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়া ও স্টেট কর্তৃপক্ষ থেকে লাইসেন্স নবায়ন না করাটিও অন্যায় বলে জানিয়েছে মিডল স্টেট। স্থানীয় সরকার এজেন্সিগুলোর তরফ থেকেও মিডল স্টেটের কাছে কলেজটির বিরুদ্ধে কনজুমার প্রোটেকশন আইনগুলো না মানার অভিযোগ এসেছে। এ অবস্থায় মিডল স্টেটস এরই মধ্যে আসা কলেজকে যথাযথ টিচ-আউট প্ল্যান দাখিল করতে বলেছে এবং তাদের অ্যাক্রেডিটেশন যে বাতিল করা হয়েছে তা সকল শিক্ষার্থীকে যথাযথভাবে জানিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়াও নতুন কোনো শিক্ষার্থী যাতে এই কলেজে আর ভর্তি করা না হয় সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আরও গুরুতর বিষয় হচ্ছে এই কলেজের মালিক অ্যালেক্স শেগলের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ। যে কারণে তিন বছর আগে কলেজ বোর্ড তাকে সরিয়ে দেয়। এরপর গেলো বছর শেগল নিজেই স্কুল বোর্ড সদস্যদের অধিকাংশকে সরিয়ে দেন এবং ফের এর নিয়ন্ত্রণ নেন। গত ডিসেম্বর থেকে তিনি স্কুলের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে আর নেই। তবে স্কুলের সত্ত্বাধিকারী হিসেবে রয়ে গেছেন। তবে, অবাক করার বিষয় হচ্ছে, বিষয়গুলো বেমালুম চেপে যাচ্ছে আসা কর্তৃপক্ষ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আসা কলেজের ওয়েবসাইটে এই অ্যাক্রেডিটেশন বাতিল বিষয়ক কোনো তথ্যই দেওয়া হয়নি। বরং এতে এখনো ঝুলে রয়েছে অনেকগুলো নজরকাড়া ভর্তির বিজ্ঞাপন।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

এখানে বাড়িগুলো ছিলো ভুতের দখলে

এখানে বাড়িগুলো ছিলো ভুতের দখলে। বাড়ির আঙিনা, দরজাপাট, দেয়াল সবখানে ভুতের বিস্তার। আঙিনার গাছে ভুত-ভুতুনিরা হল্লায় মেতেছিলো। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে দেখা গেলো, কেউ হয়তো ব্যালকনিতে দোলনা পেতে দোল খাচ্ছে। কেউ সেঁটে আছে দেয়ালে। শুধুই কি মানুষ ভুত। আছে কুকুর ভুতও। মরেছে কোনকালে কে জানে? এখন দেখা যাচ্ছে বাড়ির আঙিনায় কংকাল দেহে ফিরে এসেছে ভুত কুকুর হয়ে। কোনো কোনো বাড়ির আঙিনাই হয়ে উঠেছিলো গ্রেভইয়ার্ড। সেখানে এপিটাফ গুলোয় লেখা প্রয়াতদের নাম। দেখা গেলো কালো বেড়াল ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই গ্রেভইয়ার্ডে। আর একধারে গাছের ডালে নিজেকে পেঁচিয়ে মরে পড়ে আছে দাঁতাল ভালুক। একজনকে দেখা গেলো বাড়ির আরেক ভুতের পরিচর্যায় ব্যস্ত। সেই ভুত স্থান করে নেয় ঘরের চালে। আকর্ণ বিস্তৃত তার হা করে মস্তকে শিংওয়ালা সেই দাতাল দানবের গায়ে মাখানো হচ্ছিলো লাল রঙ। এক বাড়িতে দেখা গেলো ভুত-ভুতনির পাশাপাশি বড় বড় মাকরসা জাল বিস্তার করে বাড়িগুলোকে পোড়ো বাড়িতে পরিণত করেছে। গাছের ডালে ডালে ঝুলছে ভুতের কংকাল। হুডি পড়া বৃহৎ এক কংকাল হাসছে দাতাল হাসি। তার ভয়াল নখরগুলো ছড়াচ্ছে ভীষণ ভয়। এটাই হ্যালোইন। পশ্চিমা বিশ্বের অগ্রসরতার পাশে এক ভীষণ প্রাচীণ কু-সংস্কার। শুধু কি সাজানো ভুত? অনেক তরুণ-তরুণী ছেলে বুড়োও সাজে এই ভুত ভুতনীর সাজে। আর ঘুড়ে বেড়ায় সাবওয়ে স্টেশনগুলোতে। কেউ কেউ নেয় রক্তখেকো ভয়ঙ্কর রূপ। যেনো কারো রক্ত চুষে নিয়েছে আর তাতে রক্তাক্ত হয়েছে তার গায়ের সফেদ পোশাক। কেউ আবার ওরা মুখে সাদা রঙ মেখে ঘুরে বেড়ায় দিন ভর। যোগ দেয় ভুত-প্রেতের মিছিলে। এরা সব ভুত-ভুতনী-ডাইনি-পিশাচের দল। এভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সড়কগুলোও ভুত-প্রেতের দখলে চলে যায়। বিশেষ করে সন্ধ্যা যখন নেমে আসে তার আগেই এরা নেমে আসে শহরে। কেউ বড় ভূত, কেউ ছোট ভূত, কেউ বুড়ো ভূত, কেউ কুঁজো ভূত, কেউ লাঠির মতো সটান ভূত। কেউ আবার রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ার। মুখের দুই দিক দিয়ে রক্ত বেয়ে নামছে। কারো দাঁত দুপাটি আকর্ণ বিস্তৃত। কারও মুখের হা নাসিকার উপর থেকে থুতনির নিচ পর্যন্ত ছড়িয়ে। এখানেই শেষ নয়, কেউ সাজে ডাইনোসর কেউ বা গডজিলা। কেউ অতিকায় ভয়ঙ্কর আরও কোনও প্রাণী। সবমিলিয়ে ভূত-প্রেতের আনাগোনায় ভীতির জনপদ হয়ে ওঠে নগর-নগরী। মূলত হ্যালোস' ইভনি- অর্থাৎ ভূত প্রেতের সন্ধ্যা এটাই হ্যালোইনের মূল কথা। প্রতিবছর ৩১ অক্টোবর দিনটি উদযাপন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রই কেবল নয় আরও কিছু দেশের নগরে নগরে এই সন্ধ্যাটি হয়ে ওঠে ভূত-প্রেতদের। এটি একটি বার্ষিক উদযাপন। মূলত শিশুদের উদযাপন। শিশুরাই সাজে এইসব ভূত-প্রেতের সাজ। বড়রাও অবশ্য কম যায় না। তারাও সাজে শিশুদের সাথে পাল্লা দিয়ে। প্রাচীন কেলটিক ফেসটিভাল থেকেই এই উৎসবের জন্ম। প্রায় দুই হাজার বছর আগে বর্তমান আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও উত্তর ফ্রান্সে ছিলো এই কেলটিক জাতির বাস। অক্টোবরের শেষ দিনের সন্ধ্যাটিকে তারা মনে করতো সবচেয়ে খারাপ সময়। এ সময় সব প্রেতাত্মা ও অতৃপ্ত আত্মা ধরাধামে নেমে আসে। এই ভূত-প্রেতরা মানুষের ক্ষতি করতে পারে। সে কারণে তাদের হটিয়ে দিতে মানুষরা নিজেরই নানা রকম ভূতের মুখোশ ও ভূতের কাপড় পরে থাকতো। পরে ধীরে ধীরে বিষয়টি উৎসবে পরিণত হয়। এই দিন সকাল থেকেই ছোট ছোট শিশুরা হ্যালোইনের কস্টিউম পরে নানা ধরনের ভূত-প্রেত সেজে ঘুরতে থাকে। আর ঘরে ঘরে, দোকান-পাটে গিয়ে হানা দেয়। বলে ট্রিক অর ট্রিট। হয় আমাকে কৌশলে ধরো নয়তো খেতে দাও। এসময় শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ক্যান্ডি। দিনভর ঘুরে ঘুরে ক্যান্ডি তুলে ঝুড়ি ভরে ফেলে শিশুরা। আর সন্ধ্যায় তারা নামে ভূত-প্রেতাত্মার মিছিলে। ইউরোপ-আমেরিকা ছাড়াও দিনটি উদযাপিত হয় জাপান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডে। একটি তথ্য বলছে, দিনটি এমনকি ঘটা করে পালন করে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)ও। এদিন ভূত সেজে ট্রিক অর ট্রিট করে যে ক্যান্ডি তোলে শিশুরা সেগুলো পরে বিতরণ করা হয় অসহায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে। তবে এদিন আসলে মজা করে ক্যান্ডি খাওয়ার দিন। এই দিন নেই বাবা-মায়ের মানা। ফলে হ্যালোইনের মিছিলে শিশুদের দেখা গেলো ক্যান্ডি চিবুচ্ছে আর ভয় দেখিয়ে বেড়াচ্ছে। এক সময় কু-সংস্কার থেকে করা হলেও এখন হ্যালোইন স্রেফ এক উৎসব। যে উৎসব হয়ে গেলো ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতেও। হ্যালোইনের দিনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সাজানো হয়েছিলো ডাইনি-পিশাচ আর মাকরসার জালে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ, প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক, সিএফও ফারহানা হানিপ এতে অংশ নেন। চলে মমি সাজানোর প্রতিযোগিতা। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা সেজে ছিলো ভূত-প্রেতের সাজে। সেরা সাজের পুরস্কার পায় কিনানা। তাকে পুরস্কার তুলে দেয়ার পর চলে পিজা উৎসব। সকলে মজা করে পিজা খেয়ে হ্যালোইন উৎসব শেষ করে।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.