post
বিশেষ প্রতিবেদন

ভালো চিকিৎসক তৈরিতে কোনো আপস নয়

কোয়ালিটিফুল চিকিৎসক তৈরিতে কোনো আপস করা হবে না বলে উল্লেখ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক। তিনি বলেন, কোয়ালিটিফুল চিকিৎসক তৈরিতে আমরা কোনো আপস করবো না। ভবিষ্যতের জন্য চিকিৎসক তৈরিতে মানের দিক থেকে কোনো ছাড় না দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি। রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক বৈজ্ঞানিক অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ। বাংলাদেশ কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ ফাউন্ডেশন এই অধিবেশনের আয়োজন করে। বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৪ হাজার ৮০৭ জন রেসিডেন্ট চিকিৎসক আছেন। এরমধ্যে ১০০ জন বিদেশি রেসিডেন্ট। তাদের ডিগ্রিটা যেন ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেওয়া হয়। আমরা তাদের পরীক্ষার ব্যাপারে কোনো ছাড় দেবো না। দীন মো. নূরুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাকে এনে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি এখানকার দায়িত্ব চেয়ে নেইনি। আমার ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভরসার পাশাপাশি আমার প্রতি ওনার কিছু চাওয়াও আছে। আমি চেষ্টা করবো এই বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা, চিকিৎসা ও গবেষণায় বিশ্বে একটি অনুকরণীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়তে।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

আল্লাহর ক্ষমা পেতে সত্য কথা বলুন

১৮ রমজান দিবাগত রাতে ইশার পর ১৯তম দিনের তারাবিহ নামাজে আমাদের দেশের মসজিদগুলোতে কোরআনের ২২ নং পারা তিলাওয়াত করা হবে। এ পারায় রয়েছে সুরা আহজাবের শেষাংশ, সুরা সাবা, সুরা ফাতির ও সুরা ইয়াসিনের কিছু অংশ।পবিত্র কোরআনের এ অংশে আমাদের দৈনন্দিন জীবন সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ যে শিক্ষা ও দিক-নির্দেশনা রয়েছে:১. মুমিন হিসেবে আমাদের কর্তব্য আল্লাহকে ভয় করে সঠিক কথা বলা, সত্য ও ন্যায় কথা বলা, সরল কথা বলা। ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে কথা বলে মানুষকে ধোঁকা দেওয়া, অন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো মুমিনের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। সত্য ও ন্যায় কথা বললে আল্লাহ রহমত বর্ষিত হয়, আল্লাহ আমাদের কাজ ত্রুটিমুক্ত করেন এবং পাপ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সঠিক কথা বল। তাহলে তিনি তোমাদের কাজকে ক্রটিমুক্ত করবেন এবং তোমাদের পাপ ক্ষমা করবেন। যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে তারা অবশ্যই মহাসাফল্য অর্জন করবে। (সুরা আহজাব: ৭০, ৭১)২. বেশি বেশি আল্লাহর জিকির করুন। আল্লাহর জিকিরে মুমিনের অন্তর প্রশান্ত হয়। ইমান জাগরুক হয়। শয়তান দূরে সরে যায়। শয়তানের ধোঁকা থেকে বেঁচে থাকা যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর এবং সকাল সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর। (সুরা আহজাব: ৪১, ৪২)৩. আল্লাহর রাসুলের জন্য দরুদ পড়া, দোয়া করা তার উম্মত ও মুমিন হিসেবে আমাদের কর্তব্য। দরুদ পাঠ অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। নবিজির জন্য দরুদ পড়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ (ঊর্ধ্ব জগতে ফেরেশতাদের মধ্যে) নবির প্রশংসা করেন এবং তার ফেরেশতাগণ নবির জন্য দোয়া করে। হে মুমিনগণ, তোমরাও নবির ওপর দরুদ পাঠ কর এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও। (সুরা আহজাব: ৫৬)

post
বিশেষ প্রতিবেদন

গুণ থাকলে আপনি বুদ্ধিমান

যে গুণগুলো নিজের ভেতরে আয়ত্ব করতে পারলে আপনিও হয়ে উঠবেন বুদ্ধিমান একজন । চলুন জেনে নেওয়া যাক-বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা পড়াকে তাদের দৈনন্দিন রুটিনের একটি অপরিহার্য অংশ করে তোলে। তথ্য শোষণ এবং ধরে রাখার ক্ষমতার কারণে পড়ার অভ্যাস বুদ্ধিমত্তার বিকাশে সাহায্য করে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, বিশেষ করে একা একা পড়ার অভ্যাস মস্তিষ্কের সংযোগ উন্নত করতে সাহায্য করে। অনেক বেশি কৌতূহল থাকলে মানুষ আরও অনুসন্ধানী হয়ে ওঠে। ফলস্বরূপ তারা যখন সঠিক গবেষণা পরিচালনা করে বা একটি নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে তখন তারা আরও জ্ঞান অর্জন করে। যখন কেউ কৌতূহলী হয়, তখন সে আরও মৌলিক ধারণা লাভ করে, যা সৃজনশীলতার দিকে নিয়ে যায়। সবচেয়ে বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা সব ধরনের প্রত্যাশাকে অতিক্রম করে এবং বিশ্বের দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন করে তাদের ব্যক্তিগত উৎপাদনশীলতা আয়ত্ত করেছে। তারা তাদের মূল্যবোধ এবং নির্দিষ্ট চাহিদার ভিত্তিতে সমগ্র জীবন পরিকল্পনা করেছে। একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তির এই উৎপাদনশীলতার বৈশিষ্ট্য থাকে। বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা নিজেকে প্রতিনিয়ত সমৃদ্ধ করে। তারা প্রতিটি সমস্যাকে শেখার সুযোগ হিসাবে দেখে এবং তারা তাদের পরিস্থিতি নিয়ে অজুহাত দেয় না। তাদের জন্য কোনো ব্যর্থ পরীক্ষা বা প্রচেষ্টা কেবল নতুন তথ্য। কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিগুলোকে শেখার সুযোগ হিসাবে দেখার জন্য মানসিকতা পরিবর্তন করার অভ্যাসই সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যায়।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

বাহরাইনে বরিশাল জনকল্যাণ সমিতির ইফতার

বৃহত্তর বরিশাল জনকল্যাণ সমিতি বাহরাইনের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।রাজধানী মানামা ইয়াতিম সেন্টারের আল ওসরা রেষ্টুরেন্টে এ আয়োজন করা হয়। সংগঠনের সভাপতি শাহ মো. আব্দুল হকের সভাপতিত্বে মাহফিল পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম সচিব মাহফুজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ সমাজের সভাপতি মন্জুর আহমেদ, মো. শাহ জালাল, সাবের আহমেদ, কায়েছ আহমেদ, মজিবুর রহমান, কালাম মজুমদার, সেলিম চৌধুরী, কামাল হোসেন, কাজী আলী হায়দারসহ অনেকে।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

‘টিলটেপেক’ যে গ্রামের মানুষ, পশু সবাই দৃষ্টিহীন!

মেক্সিকোয় টিলটেপেক এক আজব গ্রাম। যে গ্রামের সবাই দৃষ্টিহীন, এমনকী গৃহপালিত পশুরাও। যে শিশুরা ভূমিষ্ঠ হয় তাদের প্রথম দৃষ্টিশক্তি থাকলেও, বড়ো হয়ে ওঠার পর তাদেরও দৃষ্টিশক্তি চলে যায়। কিন্তু কেন ঘটে এমন আজব ঘটনা! কী এমন অভিশাপ লুকিয়ে রয়েছে এই গ্রামে! দেখলে আর পাঁচটা গ্রামের মতোই লাগে এই গ্রাম। সাজানো গোছানো ঘর রয়েছে, রয়েছে সবুজ গাছগাছালি। বেশ মনোরম পরিবেশ, তবু কেন এই প্রতিবন্ধকতা? গ্রামটিতে বাস করেন তিনশো জনের মতো মানুষ। ঘর রয়েছে ৭০টি। স্বাভাবিক পরিবেশ থাকলেও তারা কেউই স্বাভাবিক জীবনে নেই। প্রত্যেকের জীবনে অন্ধত্বের অভিশাপ লেগে রয়েছে। গ্রামটিতে যে শিশু জন্মগ্রহণ করে, সেও কিছুদিন পর দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে। এভাবেই চলছে বছরের পর বছর। প্রজন্মের পর প্রজন্ম। সুন্দর পৃথিবীর মনোরম দৃশ্য তারা দেখতে পান না। এই দৃষ্টিহীনদের গ্রাম মেক্সিকোয়। গ্রামটির নাম টিলটেপেক। এই গ্রামের কথা জানার পর বহু বিজ্ঞানীও চেষ্টা করছেন তাদের পরিবর্তন ঘটানোর। কিন্তু কী কারণে এমনটি ঘটে সেই রহস্যেরই সমাধান করতে পারেননি তারা। গ্রামের বাসিন্দারা মনে করেন, এ এক অভিশাপ। যারা এ গ্রামে জন্মায় তারা অভিশাপ মাথায় নিয়েই জন্মায়। কিন্তু একজন শিশু তো যখন জন্মায় তখন তার দৃষ্টিশক্তি থাকে? গ্রামে প্রচলিত রয়েছে, এ গ্রামে এমন একটি গাছ রয়েছে, যার দিকে তাকালেই দৃষ্টিশক্তি চলে যায়! গ্রামে আরও প্রচলিত রয়েছে, ওই গাছ কাটাও ভয়ের। গাছ কাটতে গেলে আরও বড়ো ক্ষতি হতে পারে বলে বিশ্বাস গ্রামবাসীদের। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এমনটি মনে করেন না। তারা মনে করেন, এই গ্রামের বাসিন্দাদের দৃষ্টিশক্তি হারানোর পিছনে রয়েছে এক ধরনের মাছি। জঙ্গলে ঘেরা এই গ্রামে বিষাক্ত মাছির উপদ্রব রয়েছে। যা কামড়ালে যেকোনো প্রাণী দৃষ্টিশক্তি হারায়। এই মাছির বিষেই অন্ধকার নেমে এসেছে গ্রামে। মানুষের পাশাপাশি গৃহপালিত পশু বা অন্যান্য প্রাণীও এ গ্রামে দৃষ্টিশক্তিহীন। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া

post
বিশেষ প্রতিবেদন

স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে প্রবাসের ২৭ বীর মুক্তিযোদ্ধার গল্প

বাঙালির স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকী আসছে ২৬ মার্চ। অর্থাৎ সেদিন ৫৪তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবেন প্রবাস ও বাংলাদেশের বাঙালিরা। ৫৩ বছর আগে বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে দামাল ছেলেরা কীভাবে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে লিপ্ত হয়েছিলেন, কীভাবে হায়েনাদের কবল থেকে বাংলার মানুষ আর মাটিকে মুক্ত করেছেন, কী ছিল সেই উজ্জীবনী শক্তি ইত্যাদি অবলিলায় বিবৃত করেছেন আমেরিকায় বসবাসরত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। প্রকৃতির নিয়মেই অনেকে ইন্তেকাল করেছেন এবং অনেকেই নানাবিধ রোগে আক্রান্ত। তাই ইচ্ছা সত্বেও হাতে লিখতে অথবা টাইপ করতে সক্ষম হননা অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় সেসব দিনগুলোর কথা। এ অবস্থায় বীর যোদ্ধাগণের বিরত্বের অবিশ্বাস্য ঘটনাবলি কী হারিয়ে যাবে? ভবিষ্যত প্রজন্ম এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরের বাঙালিরা কী ভুলে যাবে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকারের তথ্য? একাত্তরের ৭ মার্চ ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (আজকের সোহরাওয়ার্দি উদ্যান) লাখো জনতার উত্তাল সমুদ্রে মাত্র ১৮ মিনিটের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর সেই যাদুকরি বক্তব্য কী ভবিষ্যত প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা, মুক্তিকামি মানুষের লড়াইয়ে উৎসাহিত করার ভূমিকা রাখবে না? এসব বিষয় সামনে রেখেই বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের রনাঙ্গনের দিনগুলোর কথা ভিডিওতে ধারণের এ উদ্যোগ নেয়া হয়। বাংলাদেশ প্রতিদিন উত্তর আমেরিকা সংস্করণের নির্বাহী সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসারের এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে পাশে দাঁড়ান বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. কাদের মিয়া, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১ এর যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মো. ফজলুল হক এবং ডা. সায়েরা হক দম্পতি, ওয়াশিংটন ইউনিভাসিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর এবং সিইও ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ, বিশ্ববাংলা টোয়েন্টিফোর টিভির সিইও আলিম খান আকাশ এবং ব্লিং শু লিমিটেডের কর্ণধার হাসানুজ্জামান। মুক্তিযোদ্ধাগণের গল্প ভিডিওতে ধারণের কার্যক্রম শুরু হয় গত বছর। অর্ধ শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধার গল্প ধারণে সর্বাত্মক সহায়তা দেন এনআরবি কানেক্ট টিভির আরিফুল ইসলাম, মো. নাঈম হাসান, জলি আহমেদ, সাংবাদিক আলমগীর কবির। সম্পাদনা করেছে ঢাকার লায়নিক মাল্টি মিডিয়া। এরমধ্য থেকে ২৭ জনের গল্প প্রথম পর্বে প্রকাশিত হচ্ছে। এরপর এই আমেরিকার আরো ক’জনের ভিডিও ধারণ করে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশের ইচ্ছা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। প্রথম পর্বে রয়েছেন বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এম এ মালেক, বীরপ্রতিক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব:) ডা. সিতারা রহমান, বীরপ্রতিক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব:) সৈয়দ মঈনুদ্দিন আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবিদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ফজলুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান নান্নু, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার চুন্নু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের ভূ’ইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নাজিমউদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শামসুল আলম চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নান্নু আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, বীর মুক্তিযোদ্ধা গুলজার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. লুৎফর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলী হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমির আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোজাম্মেল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়লা হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমির হোসাইন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আনোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রাণ গোবিন্দ কুন্ডু। এই ২৭ বীর মুক্তিযোদ্ধার গল্পের পরিধি ১ ঘন্টা ১০ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে বন্দি করা হলেও ভবিষ্যতে বাংলার স্বাধীনতা, বাঙালির বীরত্বগাথা এবং সংগঠক থেকে ব্ঙ্গবন্ধু ও পরবর্তীতে শেখ মুজিবুর রহমানের জাতিরপিতা হয়ে উঠা নিয়ে যারা গবেষণা করবেন, ইতিহাসের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণের প্রয়াস চালাবেন-তাদের কাছে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের এই বিবরণী কিছুটা হলেও সহায়ক হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

যুক্তরাজ্যে ভিসা টেকাতে নির্যাতনের মুখেও নীরব অভিবাসী সেবাকর্মীরা

যুক্তরাজ্যে সেবাকর্মীর ভিসায় যাওয়া অভিবাসীরা ধর্ষণ ও শোষণের শিকার হয়েও চাকরি টিকিয়ে রাখতে চুপ থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম দ্য ব্যুরো ফর ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম (টিবিআইজি) ও আইনি সহায়তা দানকারী সংগঠন সিটিজেনস অ্যাডভাইস দেড় শতাধিক অভিবাসীর কাছ থেকে এমন তথ্য সংগ্রহ করেছে। ভুক্তভোগীর প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে ধারণা তাদের।ব্রিটেনে স্বাস্থ্য ও সেবাকর্মীর ভিসায় আসা ৮০টি প্রতিষ্ঠানের ১৭৫ জনের স্বাক্ষ্য নিয়েছে টিবিআইজি এবং সিটিজেনস অ্যাডভাইস। নিপীড়নের নানা অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছেন তারা। ক্যারিবিয়ান দ্বীপ থেকে যাওয়া বার্নিস নামের একজন অভিবাসী বলেন, তিনি যে বাড়িতে কাজ করেন তার মালিকের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। অপর একজন বলেছেন, তাকে ২০ ঘণ্টা কাজ করানো হয়। নিয়োগদাতার কাছে অভিযোগ করার পর তার ভিসা প্রত্যাহারের হুমকি দেওয়া হয়। নিয়োগদাতার হাতে একাধিকবার ধর্ষিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন আফ্রিকা থেকে আসা আবেনা। তিনি এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে সহায়তাও চাননি। এক পর্যায়ে পেশাদার সম্পর্ক বজায় রাখতে বলায় নিয়োগদাতা তাকে কাজ দেওয়াই বন্ধ করে দেন।সিটিজেনস অ্যাডভাইস জানিয়েছে, গত বছর তাদের কাছে স্বাস্থ্য ও সেবা খাতের কর্মীদের সহায়তা চাওয়ার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেড়েছে। সিটিজেনস অ্যাডভাইস ও টিবিআইজে তাদের সাক্ষাৎকারে যেসব অভিযোগ পেয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো, মজুরি চুরি করা, কাজ দেওয়ার জন্য অবৈধভাবে ৩০ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত নেওয়া, কর্মঘণ্টার প্রতিশ্রুতি বজায় না রাখা, প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করতে ও শোচনীয় পরিস্থিতির মধ্যে তাদের থাকতে বাধ্য করা। তাদের অনেকে এরইমধ্যে খাবার, বাড়িভাড়া ও অন্যান্য বিল পরিশোধের জন্য ঋণ করতেও বাধ্য হয়েছেন। অন্যদিকে ভিসার শর্তের কারণে বিপদে পড়া এই অভিবাসীরা সরকারি ভাতা বা বাসস্থানের সুবিধাটুকুও পান না।• নিয়োগদাতার মর্জির ওপর নির্ভরতা অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ভিসা ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে স্বাস্থ্য ও সেবাকর্মীরা সম্পূর্ণ তাদের নিয়োগদাতার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। ২০২২ সালে যুক্তরাজ্য সরকার দেশটির স্বাস্থ্যকর্মীর ঘাটতি মোকাবিলায় এই ভিসা পদ্ধতি চালু করে। এর আওতায় চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য খাতের পেশাজীবী কিংবা বয়স্কদের সেবাদাতারা যুক্তরাজ্যে যাওয়ার সুযোগ পান। যুক্তরাজ্য সরকারের হিসাবে ২০২৩ সালে এক লাখ ২১ হাজার ২৯০ জনকে স্বাস্থ্য ও সেবাকর্মীর ভিসা দেওয়া হয়েছে; যা তার আগের বছরের প্রায় তিনগুণ বেশি। ২০২২ সালে সংখ্যা ছিল ৪৭ হাজার ১৯৪ জন। আগতদের মধ্যে ওপরের দিকে আছেন ভারত, নাইজেরিয়া, জিম্বাবুয়ে, ঘানা, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নাগরিকরা। দেশটির হেলথ ফাউন্ডেশনের হিসাবে চাহিদা পূরণে ২০৩০ সালের মধ্যে আরও এক লাখ ২২ হাজার সেবাকর্মীর প্রয়োজন। এই ভিসা পাওয়ার শর্ত হিসেবে আবেদনকারীর কাছে অবশ্যই অনুমোদিত কোনও নিয়োগদাতার পাঠানো চাকরির প্রস্তাব থাকতে হবে; যারা মূলত স্পন্সর নামে পরিচিত। শর্ত অনুযায়ী, নিয়োগদাতা যুক্তরাজ্য পৌঁছানো মাত্রই তার কাজের ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু ভিসা টিকিয়ে রাখতে গিয়ে তারা পুরোপুরি স্পন্সরকারীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। ওয়ার্কার রাইটস সেন্টার নামের একটি সংস্থার প্রধান নির্বাহী ডোরা অলিভিয়া ভিকল জানান, এই ব্যবস্থাটির কারণে বিপদে পড়ার ভয়ে নিপীড়নের বিষয়ে কর্মীরা কর্তৃপক্ষের কাছেও অভিযোগ করার সাহস পান না। • চারদিক থেকে তারা বন্দি ভিসাবিধির কারণে নানা জটিলতায় পড়েন স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা। চাকরি ছাড়লে সরকারি কোনও ভাতা তাদের মেলে না। বরং চাকরি ছাড়ার মাত্র ৬০ দিনের মধ্যে নতুন কাজ যোগাড় করতে হয়। বাসস্থানের জন্যও তাদের নিয়োগদাতার ওপর নির্ভর করতে হয়। কিছুক্ষেত্রে চাকরি থেকে ইস্তফা দিলে নিয়োগ ব্যয় পরিশোধেও তারা চুক্তিবদ্ধ থাকেন। সিটিজেনস অ্যাডভাইসের নীতিবিষয়ক পরিচালক কাইলে হিগনেল বলেন, ‘‘এই ব্যবস্থায় আনুমানিক কয়েক হাজার মানুষ আটকা পড়েছেন যারা নিপীড়ন, হুমকির মুখে ঝুঁকির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন, যাদের অভিযোগ জানানোর ক্ষমতা নেই এবং অনেক সময় কয়েক হাজার পাউন্ড লোকসানে পড়েন।’’ ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে তিনি বলেন, ‌‌‘‘এই মানুষেরা দক্ষ পেশাজীবী যারা আমাদের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাটি চালু রাখছেন অথচ বিপদের সময় তাদেরই কোনো নিরাপত্তা নেই।’’ • পরিরবারের সদস্য আনতে মানা এদিকে সোমবার ব্রিটিশ সরকার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, অপব্যবহারের কারণে এখন থেকে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা তাদের ভিসার আওতায় পরিবারের সদস্য বা নির্ভরশীলদের যুক্তরাজ্যে আনতে পারবেন না। এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, গত বছর এক লাখ ২০ হাজার ভিসার বিপরীতে তারা এক লাখ জনকে যুক্তরাজ্যে এনেছেন। এটিকে অস্বাভাবিক উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বলেছেন, ‘‘সেবাকর্মীরা আমাদের সমাজে অসামান্য অবদান রাখেন, প্রয়োজনের সময়ে আমাদের প্রিয়জনদের যত্ন নেন।’’ কিন্তু এই ভিসার ‘স্পষ্ট অপব্যবহার ও কারসাজি’ হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি তা চলতে দেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা কোনও অভিবাসীকে স্পন্সর করতে চাইলে তাদের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা কেয়ার কোয়ালিটি কমিশনে নিবন্ধন করতে হবে। ইনফোমাইগ্রেন্টস।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

একুশে পদক পাচ্ছেন দই বিক্রেতা জিয়াউল হক জিয়া

২০২৪ সালের একুশে পদক পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। ২১ বিভাগে ২১ বিশিষ্টজন এবার এই পুরস্কার পাচ্ছেন। রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক এই সম্মাননা পেয়েছেন দই বিক্রেতা জিয়াউল হক জিয়া। সমাজ সেবাই বিশেষ অবদানের জন্য তাকে এ পদক দেওয়া হবে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সংস্কৃতবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করে।চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাটের বটতলা গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারে জিয়াউল হক জিয়া ১৯৩৪ সালের ২৬ জুন জন্মগ্রহণ করেন। অর্থের অভাবে ১৯৫৫ সালে পঞ্চম শ্রেণি পাস করার পর আর পড়াশোনা করতে পারেননি তিনি। তার বাবা ছিলেন একজন গোয়ালা। বাবার পরামর্শে তিনি দ‌ই বিক্রির কাজ শুরু করেন। অর্থের অভাবে যেন তার মতো আর কারও পড়াশোনা বন্ধ না হয়, সেজন্য দরিদ্র শিখশার্থীদের তিনি সহায়তা করছেন। দ‌ই বিক্রির লাভের টাকার অংশ বিশেষ জমিয়ে ব‌ই কিনে পড়তে দিতেন। এভাবেই তিনি এলাকার দরিদ্র ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ান। একজনের ব‌ই পড়া শেষ হলে ব‌ই নিয়ে গিয়ে দিতেন আরেকজনকে পড়তে। দিনে দিনে তার ঘরে ব‌ইয়ের সংগ্রহ বাড়তে থাকে। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই দিয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন পাঠাগার। বর্তমানে পাঠাগারের বইয়ের সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। সরকার বিনামূল্যে স্কুল পর্যায়ে বই বিতরণ শুরু করলে তিনি কলেজ শিক্ষার্থীদের ব‌ই কিনে দিতেন এবং পড়াশোনার খরচে অর্থ সহায়তা শুরু করেন। তার এই উদ্যোগ সফল করতে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার বিত্তবানসহ প্রবাসীরা তাকে অর্থসহায়তা করেন। তাদের অনুদান ও নিজের আয় থেকে শিক্ষা সহায়তার পাশাপাশি এলাকার দরিদ্র মানুষদের গৃহ নির্মাণ, নলকূপ স্থাপন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অর্থদান ও ঈদ উপলক্ষে নতুন জামা কাপড় দিয়ে সমাজসেবায় রেখেছেন অনন্য অবদান। একুশে পদকের মনোনয়ন ঘোষণার পরের দিনেও দই বিক্রি করতে যান বাড়ি থেকে ১০ কিমি দূরে রহনপুর বাজারে। তার এই পদক প্রাপ্তিতে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় পীরগাছা দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মজিবুর রহমান জানান, আমি তার দেওয়া বই পড়ে শিক্ষক হতে পেরেছি। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ, তার দীর্ঘায়ু কামনা করি। মুশরীভুজা ইউসুফ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজগার আলী বলেন, তার কলেজের অনেক দরিদ্র ছাত্রছাত্রী জিয়াউল হক জিয়ার কিনে দেওয়া বই ও অর্থ সহায়তায় পড়াশোনা করছে। এমনকি তার সহায়তায় পড়াশোনা করা দুজন ছাত্র এখন এই কলেজের শিক্ষক হয়ে আছেন। ভোলাহাট উপজেলা চেয়ারম্যান রাব্বুল হোসেন অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, জিয়াউল হক আমাদের গর্ব। তাকে একুশে পদক দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তে সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। জিয়াউল হকের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪৫) জানান, আমার স্বামী একুশে পদক পেয়েছে শুনে আমি অনেক আনন্দিত। খুব খুশি হয়েছি। আমি ধন্য এমন স্বামী পেয়েছি। আমার কপাল ভালো এমন স্বামী পেয়েছি। জিয়াউল হকের ছেলে মহব্বত হক (১৮) বলেন, সমাজসেবা ক্যাটাগরিতে একুশে পদকের জন্য আমার বাবাকে মনোনীত করার জন্য আমি অনেক আনন্দিত। একুশে পদকে মনোনীত হওয়ার অনুভূতি জানিয়ে জিয়াউল হক জিয়া বলেন, আমি কোনোদিন ভাবতে পারিনি যে, আমাকে একুশে পদকের জন্য মনোনীত করা হবে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে যা করবেন

নিপাহ ভাইরাস হচ্ছে বাদুড়ের মাধ্যমে সংক্রমিত একটি ভাইরাস। এর সংক্রমণের ফলে মৃত্যুহার ৪০-৭০ শতাংশ হয়ে থাকে। এটি হেনিপা ভাইরাসের অন্তর্গত একটি আরএনএ ভাইরাস। সংক্রমিত বাদুড়ের লালা ও মূত্রে ভাইরাসটি পাওয়া যায়। মানবদেহ ও শূকরের দেহে ভাইরাসটির সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া গেছে।বাংলাদেশে খেজুরের রস খাওয়ার মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাস ছড়ানোর আতঙ্ক সবার মনেই আছে। বিগত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাই জেনে নেওয়া উচিত, কীভাবে প্রতিরোধ করা যায় এই ভাইরাস। কীভাবে ছড়ায় নিপাহ ভাইরাস বাদুড় আর শূকরের দেহ থেকে মানবদেহে ছড়ায়। এছাড়া অসুস্থ ব্যক্তির শরীর থেকে সুস্থ ব্যক্তির শরীরে রক্ত, প্রস্রাব আর সর্দির মাধ্যমে ছড়াতে পারে। তবে ৪-১৪ দিন বা সর্বোচ্চ ৪৫ দিন পর্যন্ত সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে। রোগের লক্ষণ এই রোগের কারণে শরীরে জ্বর, মাথাব্যথা, কাশি, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, গায়ে ব্যথা, বমি, আচ্ছন্নতা, ঝিমুনি ভাব, সংজ্ঞাহীনতা, নিউমোনিয়া, মস্তিষ্কের প্রদাহ এবং কোমা দেখা দিতে পারে। নির্ণয়ের উপায় এই রোগের লক্ষণ দেখা দিলে গলার সোয়াব, রক্ত, সিএসএফ ও প্রস্রাবের আরটি-পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে ভাইরাস শনাক্ত করতে হবে। এছাড়া রক্তের ওমে আর আইজিএম পরীক্ষা এবং মৃত ব্যক্তির নির্দিষ্ট টিস্যুর অটোপ্সির মাধ্যমে Immunohistochemistry পরীক্ষা করা যেতে পারে। প্রতিরোধে করণীয় ১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ২. আক্রান্ত মানুষ, বাদুড় ও শূকরের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। ৩. শীতকাল বা অন্য যে কোনো সময়ে কাঁচা খেজুরের রস পান করা থেকে বিরত থাকা। ৪. হিমায়িত খেজুরের রস পান করা থেকে বিরত থাকা। ৫. বাদুড়ের আংশিক খাওয়া বা কামড়ানো ফল খাওয়া যাবে না। ৬. বাদুড় বসবাস করা কূপের পানি ব্যবহার করা যাবে না। ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি এই ক্ষেত্রে হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী, আক্রান্ত শূকরের খামারি, সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা সুস্থ ব্যক্তি থেকে দূরে থাকতে হবে। এমনকি যারা শীতকালে কাঁচা খেজুরের রস পান করেন, বাদুড়ের আংশিক খাওয়া ফল খান, যাতে বাদুড়ের লালা লেগে থাকে কিংবা যারা বাদুড়ের বাস করা কূপের পানি পান বা ব্যবহার করেন। চিকিৎসা ও জটিলতা নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে সুনির্দিষ্ট ও কার্যকরী কোনো ওষুধ বা টিকা এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। তাই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাই উত্তম। তবে সুস্থ হওয়ার পরও বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে। এ ব্যাপারে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। মৃত্যুঝুঁকি রোধে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

ব্যস্ত সময় পার করছেন মাশরাফি

নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে,ততই ব্যস্ত সময় পার করছেন নড়াইল-২ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোতুর্জা।সকালে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গনসংযোগ ও পথ সভা  করেন তিনি। এ সময় তাকে দেখতে হাজার হাজার নারী-পুরুষ হাজির হয়, তারা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন । এসব পথসভায় মাশরাফি বিন মোর্তজা আগামী ৭ জানুয়ারী ভোটারদেরকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দানের জন্য আহবান জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। নড়াইলেরও উন্নয়ন হচ্ছে। উন্নয়নের বাকী কাজ আগামীতে করা হবে। আপনারা আমাকে ভোট দিলে কেন্দ্রে যাবেন না দিলো ও কেন্দ্র যাবেন। আগামী ৭ জানুয়ারি আমার দায়িত্ব¡ আপনারা নিবেন। নির্বাচনের পরে  আমি আপনাদের দায়িত্ব নেব। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মসিয়ূর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন ইতিসহ জেলা -উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মিরাসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশর মানুষ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.