post
বিশেষ প্রতিবেদন

ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপকে 'ম্যাজিক ম্যান' আখ্যা দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ওয়াশিংটন ইউনিভাসির্টি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর বাংলাদেশি-আমেরিকান সফল উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানপিকে 'ম্যাজিক ম্যান' বলে আখ্যায়িত করলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের আমন্ত্রিত সফরে থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে তিনি এ মন্তব্য করেন। উদ্বোধনের দু'বছর পর এসে বিশ্ববিদ্যালয়র শিক্ষা কার্যক্রমের উন্নতি ও ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা পাঁচগুন বৃদ্ধি দেখে তিনি বলেন আবুবকর হানিপ একটি সফলতার গল্পের নাম। আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে যে ল্যান্ড অব অপরচিউনিটি বলা হয় ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ তা প্রমাণ করিয়ে দেখিয়েছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি পূর্ণ সহযোগীতা থাকবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে পরিদর্শনে সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। প্রথম বারের মত ক্যাম্পাস পরিদর্শনে এসে ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন তিনিও। প্রথম কোন বাংলাদেশি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ২০২১ সালে একটি পূর্নাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব নেন ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। যার উদ্বোধন করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। দুই বছরে ব্যবধানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আবারো পেয়ে আবেগ আপ্লুত ডব্লিউইউএসটির চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ। অল্প সময়ের পথচলায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জনে যে সব নতুন পালক যোগ হয়েছে তিনি তা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন। জানান তিনশো থেকে ডব্লিউইউএসটির শিক্ষার্থীর সংখ্যা এখন প্রায় ১৫শ। তার মাঝে ৬শর মত বাংলাদেশি স্টুডেন্ট। জুলাই থেকে নিজেদের নতুন ক্যাম্পাসে শুরু হতে যাচ্ছে কার্যক্রম। যোগ হবে নার্সি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, ডেটাসায়েন্সসহ নতুন কিছু প্রোগাম। নিজেদের বক্তৃতার শেষে ড. মোমেন নামে এক লাখ ডলারের স্কলারশিপের ঘোষণা দেন আবুবকর হানিপ। অল্প সময়ের ব্যবধানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দ্বিতীয়বারের মতো পেয়ে নিজেদের ইচ্ছাস প্রকাশ করেন ডব্লিউইউএসটির প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক. প্রধান অর্থকর্মকর্তা ফারহানা হানিপ, ডিরেক্টর অব স্কুল অব বিজনেস ড. মার্ক এল রবিনসন। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ ও কর্মকর্তাগনকে আমন্ত্রিত অতিথীদের সাথে পরিচয় করিয়েদেন ডব্লিউইউএসটির প্রেসিডেন্ট। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এই সফরের জন্য তারা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ দূতাবাসের কনসূল্যার মিনিস্টার ব্রিগেডিয়ার মো: হাবিবুর রহমান, প্রেস মিনিস্টার এজেডএম সাজ্জাদ হোসেন ও ফার্স্ট সেক্টেটারি আতাউর রহমান। আয়োজনের শেষ ভাগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, অ্যাম্বাসিডর মোহাম্মদ ইমরানসহ আগত অতিথীদের হাতে উপহার তুলে দেয়া হয়। ফটোসেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় পররাষ্টমন্ত্রীর এই পরিদর্শন। যাবার আগে আশ্বাস দিয়ে যান নতুন ‌ক্যাম্পাসে যাত্রা শুরু হলে তিনি আবারও আসবেন।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

লেবু, শশা, বেগুনে আগুন

রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুন প্রতি কেজি ১০০ টাকা, যা আগে ছিল ৮০ টাকা পটল প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, টমেটো প্রতি কেজি ৪০ টাকা; অথচ কয়েক দিন আগে ছিল ৩০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকা; অথচ কয়েক দিন আগেই ছিল ৬০ টাকা, , বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, সিম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, যা আগে ছিল ৩০ টাকা, লেবু প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা অথচ কয়েক দিন আগে ছিল ২০-৩০ টাকা, মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৪০ টাকা, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা, যা আগে ছিল ৩০ টাকা, আদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, যা আগে ছিল ১০০ টাকা।এদিকে কয়েক মাস ধরে গরু ও খাসির মাংস ছোঁয়াই যাচ্ছে না, পোয়ায় (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে। এমতাবস্থায় মুরগির মাংস দিয়ে প্রোটিনের স্বাদ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ। মুরগির দাম বাড়তে বাড়তে রমজান সামনে রেখে রেকর্ড গড়েছে। দেশের ইতিহাসে এতো দামে মুরগি বিক্রির নজির নেই। শুধু তাই নয়, মাছের দামও নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। সবজির বাজারেও আগুন। মাংসের পর সবজি ও মাছের এ অসহীয় মূল্যে নাজেহাল নিম্ন আয়ের মানুষ। রাজধানীর মাংসবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকা, অথচ কয়েক দিন আগেও ছিল ২৭০ টাকা। ব্রয়লার ২৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা কয়েক দিন আগে ছিল ২৪০-২৫০ টাকা কেজি। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা, যা কয়েক দিন আগে ছিল ৭০০ টাকা। খাসির মাংস ১ হাজার ২৫০ টাকা, যা আগে ছিল ১ হাজার টাকা। মাছের বাজার গিয়ে দেখা গেছে, মাঝারি আকৃতির রুই মাছ প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে; অথচ কয়েক দিন আগেও ছিল ২৬০ টাকা। জাপানি মাছ প্রতি কেজি ২৩০ টাকা, যা আগে ছিল ১৯০ টাকা। মৃগেল মাছ ২৫০ টাকা, যা আগে ছিল ২১০ টাকা। কই মাছ কেজি প্রতি ৩০০ টাকা, যা আগে ছিল ২১০ টাকা। মাঝারি গলদা চিংড়ি মাছ ৬০০ টাকা, যা আগে ছিল ৫৫০ টাকা। তেলাপিয়া প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা, যা আগে ছিল ১৮০ টাকা। গরিবের মাছ বলে পরিচিত পাঙাশও বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ১৮০ টাকা। পাবদা বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায় যা আগে ছিল ৪০০ টাকা। সুরমা মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা, যা আগে ছিল ২০০ টাকা। অন্যদিকে দেশি কই মাছ প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, যা আগে ছিল ৪০০ টাকা। চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, যা আগে ছিল ৬০০ টাকা। শোল মাছ প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, যা আগে ছিল ৫০০ টাকা। ট্যাংরা প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, যা আগে ছিল ৩৫০ টাকা। এদিকে শুধু মাছ ও মাংসের দাম বাড়েনি। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডিমের দামও। বর্তমানে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, যা কয়েক দিন আগেও ছিল ৪০ টাকা। এ ছাড়া পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, যা আগে ছিল ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৪০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৬০ টাকা যা আগে ছিল ৪০ টাকা এবং কাঁচাকলা প্রতি হালি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছ। শুধু সবজি বাজারে নয়, ফল বাজার অধিকাংশই ফলেরও দাম বেড়েছে। বিশেষ করে রমজান উপলক্ষ্যে দাবাস খেজুর ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে অথচ কয়েক দিন আগে ২৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছিল। মরিয়ম খেজুর ১২০০ টাকা, যা আগে ছিল ১ হাজার টাকা। আজোয়া খেজুর প্রতি কেজি ৯০০ টাকা, যা আগে বিক্রি হতো ৭০০ টাকা, আপেল ৩২০ টাকা, যা আগে ছিল ২০০ টাকা, কমলা ২৪০ টাকা, যা আগে ছিল ২০০ টাকা। এদিকে ঊর্ধ্বগতির বাজারে কয়েকটি সবজির দাম বৃদ্ধি পায়নি। লাউ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর রোজার আগে প্রতিকেজি বুটের বেসন বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। ইসবগুলের ভুসি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা, যা আগে ৯০০ টাকা ছিল। ২০০ গ্রামের ট্যাং বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা, যা আগে ১৬০ টাকা ছিল। প্রতিলিটার রুহ আফজা বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকা, যা আগে ৩০০ টাকা ছিল। বাজারে যে ছোলা প্রতিকেজি ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, সেই একই মানের ছোলা গত বছর ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দেশি চিনি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, যা আগে ১০০ টাকা ছিল। প্রতিকেজি খেজুরের গুড় বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা, যা আগে ২২০ টাকা ছিল। মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, যা আগে ৬০ টাকা ছিল। বেড়েছে সবজি মধ্যে বেগুনের দামও বেড়েছে। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্চে ৮০-১০০ টাকা, যা গত বছর একই সময় ৭০ টাকা ছিল। সবজির দাম কেন বাড়তি- এ বিষয়ে একই বাজারের সবজি বিক্রেতা সবুজ আলী যুগান্তরকে বলেন, শীতের মৌসুম শেষে সবজির দাম বাড়তি থাকবে এটা স্বাভাবিক। কারণ এ সময় শীতের সবজির মৌসুম শেষে সিজনাল সবজিগুলো আর হচ্ছে না। তাতে আবার রমজানে সবজির চাহিদাও একটু বেশি হয়। এ জন্য সবজির দামও কিছুটা বাড়তি হতে পারে। বৃহস্পতিবার বাজার করতে এসেছিলেন সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। বর্তমান বাজার কেমন এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুগান্তরকে বলেন, কী আর বলব, যেটাতেই হাত দেই সেটারই দাম বেড়েছে। অল্প কিছু টাকা মাইনে পাই, সেটা দিয়ে কোনোভাবে বেঁচে থাকি। যেভাবে বাজারের দাম ঊর্ধ্বগতি এভাবে বাড়তে থাকলে পথে পথে ভিক্ষা করতে হবে মনে হয়। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, আমাদের দেশে কোনো জিনিসের দাম বাড়লে পরে আর তা কমে না। যতই দিন যায়, ততই বাড়তেই থাকে। রাজধানীর কাঁঠালবাজারে বাজার করতে এসেছিলেন রাকিব হোসাইন, তিনি পেশায় একজন চাকুরীজিবি। তিনি জানান, মাংস কেনা তো মুশকিল আবার মাছের বাজারও চড়া। তবে আগে তেলাপিয়া, পাঙাশ, চাষের কই এমন জাতীয় মাছ কিনে খাওয়া যেত; কিন্তু এখন আর এগুলোর কম দাম নেই। এসবের দামও অনেক বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে আয়-ব্যয়ের হিসাব এখন মেলানো যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, বাজারের প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে কিন্তু আমাদের আয় বাড়েনি। এ বেতনে পরিবার চালানো খুব কঠিন। যে হারে সবকিছুর দাম বাড়ছে, সেটা দিয়ে চলা অসম্ভব। পরিবারের সদস্যদের চাহিদাও পূরণ হয় না। সন্তানদের আকুতি দেখলে নীরবেই কাঁদি। আর কিছু করার নেই। এজে/

post
বিশেষ প্রতিবেদন

এবারও সুখী দেশ ফিনল্যান্ড, বাংলাদেশের অবস্থান ১১৮তম

এবারও সবচেয়ে সুখী দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে ফিনল্যান্ড। এ নিয়ে পরপর ছয়বার দেশটি সুখী দেশের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে। অন্যদিকে এবারের সুখী দেশের তালিকায় তলানিতে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের নাম। আর ১৩৭ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৮তম। ২০২২ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯৪। আজ সোমবার (২০ মার্চ) আন্তর্জাতিক সুখ দিবস। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ২০১২ সালের ১২ জুলাই এই দিনকে সুখ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। সুখ এবং ভালো থাকাকে একটি সর্বজনীন লক্ষ্য ও প্রত্যাশা নিয়েই দিবসটির উৎপত্তি। প্রতিবছর ২০ মার্চ সুখ দিবসের প্রাক্কালে সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করে জাতিসংঘ। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। প্রকাশ করা হয়েছে ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৩। তালিকায় ১৩৭টি দেশের মধ্যে টানা ষষ্ঠবারের মতো শীর্ষে রয়েছে ফিনল্যান্ড। সুখী দেশের তালিকায় ফিনল্যান্ডের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ড। চতুর্থ ইসরায়েল ও পঞ্চম নেদারল্যান্ডস। সেরা ১০টি সুখী দেশের মধ্যে এরপর রয়েছে সুইডেন (ষষ্ঠ), নরওয়ে (সপ্তম), সুইজারল্যান্ড (অষ্টম), লুক্সেমবার্গ (নবম) ও নিউজিল্যান্ড (দশম)। এবারের সুখী দেশের তালিকায় কানাডা ১৩, যুক্তরাষ্ট্র ১৫ ও যুক্তরাজ্য ১৯তম অবস্থানে রয়েছে। যুদ্ধকবলিত ইউক্রেন রয়েছে ৯২তম অবস্থানে। আর রাশিয়া রয়েছে ৭০তম অবস্থানে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নেপালের অবস্থান ৭৮। পাকিস্তান ১০৮, শ্রীলঙ্কা ১১২, ভারত ১২৬তম অবস্থানে রয়েছে। আর বাংলাদেশের অবস্থান ১১৮তম। অন্যদিকে সুখী দেশের তালিকায় এবার সবচেয়ে নিচে রয়েছে আফগানিস্তানের নাম। আগের বছরও এই তালিকায় সবার নিচে ছিল আফগানিস্তান। সুখী দেশের তালিকা করার ক্ষেত্রে মানুষের সুখের নিজস্ব মূল্যায়ন, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে শূন্য থেকে ১০ সূচকে নম্বর পরিমাপ করা হয়। পাশাপাশি প্রতিটি দেশের মানুষের ব্যক্তিগত সুস্থতার অনুভূতি, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, জিডিপি ও দুর্নীতির মাত্রা বিবেচনায় নেওয়া হয়।২০২২ সালের সুখী দেশের তালিকা করতে গিয়ে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে করোনা মহামারিকে। করোনা সারা বিশ্বকে এক ভয়াবহ অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কোভিড ১৯ মানুষের ভালো থাকার খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে সেই সঙ্গে বেড়েছে বেকারত্ব। এর প্রভাব পড়েছে সূচকেও। এ ছাড়া করোনা মহামারির ধাক্কা সামলাতে না সামলাতে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধ সারা বিশ্বকে এক ভয়াবহ সমস্যার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে বেকারত্ব ও মূল্যস্ফীতি। দেশে দেশে বেড়েছে খাবার-জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম। এবারের সুখের সূচকে ইউক্রেন যুদ্ধেরও প্রতিফলন দেখা গেছে।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ

আজ বুধবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারীর সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯১৪ সাল থেকে বিভিন্ন দেশ দিবসটি পালন করে আসছে। ১৯৭৫ সাল থেকে জাতিসংঘ দিনটি ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’- হিসেবে পালন করছে।সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হবে। প্রতি বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে নানা আয়োজন করা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন : জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’।দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা বিশ্বের সব নারীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ উপলক্ষে আজ বেলা আড়াইটায় এক শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে। শোভাযাত্রাটি কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে এসে শেষ হবে।দিবসটি উপলক্ষে বিনামূল্যে নারীদের ‘স্তন ও জরায়ুমুখের ক্যান্সার’ পরীক্ষা ও সচেতনতামূলক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতাল। বুধবার বেলা সাড় ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পান্থপথে হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে এটি অনুষ্ঠিত হবে।ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ৯ মার্চ দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১০টায় শোভাযাত্রা, নারী দিবসের বার্ষিক সংকলন ‘কন্ঠস্বর’ এর মোড়ক উন্মোচন এবং বেলা ১১ টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

শুরু ৬ হাজার দিয়ে বর্তমানে বিক্রি আড়াই লাখ টাকা

মাত্র ছয় হাজার টাকা দিয়ে অর্গানিক পণ্য গ্রাহকের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার যে প্রত্যয় নিয়েছিলেন উদ্যোক্তা উম্মে তামিমা নুপুর আজ সেটা পূরণ হয়েছে। বর্তমানে তার ‘কোকোনাট অয়েল কেয়ার বিডি’ প্রতি মাসে বিক্রি করছে কমপক্ষে আড়াই লাখ টাকার পণ্য।উদ্যোক্তা উম্মে তামিমার অর্গানিক সকল পণ্য বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) অনুমোদনপ্রাপ্ত। খুব শীগগিরই নিজেদের নিজস্ব শোরুম করার ইচ্ছা। রাজধানীসহ চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশালে তার শোরুম রয়েছে।তামিমা নুপুরের দ্বীপজেলা ভোলায় জন্ম ও বেড়ে উঠা ভোলায়। বাবা মায়ের খুব আদরের মেয়ে আর ছোট দুই ভাইয়ের খুব আদরের ছোটবোন। বাবা সাব রেজিস্টার আর মা গৃহিণী।নারিকেল তেল নিয়ে কাজ করার ইচ্ছার কথা জানতে চাইলে তামিমা বলেন, ‘ভোলায় প্রচুর নারিকেল গাছ আছে।আর মা ছোটবেলা থেকেই উদ্যোক্তা নুপুরের খুব চুলের যত্ন নিতেন।মায়ের হাতে বানানো নারিকেল তেল যেটা পরিবারের মেয়েদের চুলের যত্নে মা ব্যবহার করতেন।সেই সাথে সাথে স্পেশাল হেয়ার প্যাক। এভাবেই হেয়ার প্যাক নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা তৈরি হয়।’অর্গানিক পণ্য তৈরি করার কোন কোর্স করা ছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে উদ্যোক্তা বলেন, ‘আমার বাবার ভোলাতে একটা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ছিল।সেখানে উদ্যোক্তার প্যারা মেডিকেল কোর্স করার পর ল্যাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়।ল্যাবে কাজ করার এই অভিজ্ঞতা আমাকে অর্গানিক পণ্য তৈরিতে আগ্রহী করে তোলে।’২০১৫ সালে একটা ফেসবুকে পেজ খুলে শুধু একটা পোস্ট দিতেই ১০ বোতল তেল সেল হয়ে যায়।তখন উদ্যোক্তা মনে করলেন খাঁটি পণ্য যেহেতু অনেকে খুব পছন্দ করছেন তাই তার সেভাবে এগিয়ে যাওয়া দরকার। নতুন করে ফেইসবুক পেইজ খুললেন যার নাম দিলেন ‘কোকোনাট অয়েল কেয়ার বিডি’।তিনি বলেন, ‘‘প্রথম দিকে তিনটি পণ্য ছিল শুধু অর্গানিক কোকোনাট হেয়ার অয়েল, মিরাকেল হারবাল অয়েল, হেয়ার প্রোটিন প্যাক। মিরাকেল হারবাল অয়েল সবাই অনেক বেশী পছন্দ করছেন। এখন নতুন করে যুক্ত হয়েছে আরও কিছু পণ্য হারবাল শ্যাম্পু, ফেইসপ্যাক, রোজ ওয়াটার, লিপ বাম, হেয়ার স্পা, বডি গ্লো প্যাক। সবগুলো পণ্য ক্রেতারা খুব পছন্দ করছেন।’’মাত্র ছয় হাজার টাকা নিয়ে যাত্রা শুরু যে উদ্যোগের সেখানে বর্তমানে প্রতি মাসে বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার পণ্য।উদ্যোক্তা তামিমা বলেন, ‘শুরুতে আমি ও আমার স্বামী নারিকেল কোড়ানো থেকে শুরু করে তেল বানানো, প্যাকেজিং সব নিজে হাতে করতাম। কিন্তু চাহিদা এখন অনেক বেশী তাই মহাখালীর অফিসে দুইটা মেশিন বসিয়েছেন এবং পাঁচ জন কর্মী নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ক্রেতাদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছেন।’উদ্যোক্তা জানালেন, উদ্যোক্তা হবার পথে তিনি শ্বশুরবাড়ির সকলের সুবিধা পেয়েছেন পাশাপাশি কাজের সহায়ক ছিলেন স্বামী।নতুন উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যে কাজটা শুরু করবেন অবশ্যই পিছপা হওয়া যাবে না। সেটা নিয়েই এগিয়ে যাওয়া উচিত।’

post
বিশেষ প্রতিবেদন

অ্যাক্রেডিটেশন হারিয়েছে আসা কলেজ, নতুন ভর্তি বাতিল, বিভ্রান্তির জন্য লক্ষ ডলার জরিমানা

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের এএসএ কলেজের (আসা কলেজ নামে বেশি পরিচিত) অ্যাক্রেডিটেশন বাতিল করা হয়েছে। অ্যাক্রেডিটর মিডল স্টেটস কমিশন অন হায়ার এডুকেশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে এখানকার সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে।অ্যাডভান্সড সফটওয়্যার অ্যানালিসিস- এএসএ ১৯৮৫ সালে ম্যানহাটনে একটি ছোট্ট ক্লাসরুমে যাত্রা শুরু করে পরে বৃহৎ কলেজে রূপ নিলেও ব্যবসাভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি শেষ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের অ্যাক্রেডিটেশন ধরে রাখতে ব্যর্থ হলো। অ্যাক্রেডিটর কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কলেজটি এখন থেকে ফেডারেল স্টুডেন্ট এইডের সুবিধা পাবেনা। অথচ এই শিক্ষার্থীদের ভর্তি থেকে প্রতিষ্ঠানটির মোট রেভিনিউর দুই-তৃতীয়াংশ আসতো বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। গত ১১ নভেম্বর মিডল স্টেটের পাঠানো একটি চিঠিতে আসা কলেজকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষ বলেছে, শর্তগুলো না মানতে পারলে আগামী ১ মার্চ ২০২৩ এর পর অ্যাক্রেডিটেশন আর থাকবে না। নিউইয়র্কের ম্যানহাটন ও ব্রুকলিনে আসা কলেজের দুটি ক্যাম্পাস রয়েছে। এছাড়া ফ্লোরিডার হিয়ালিতেও রয়েছে একটি ক্যাম্পাস। প্রতিষ্ঠানটি নার্সিং, হেলথ কেয়ার, ইনফরমেশন টেকনোলজি, বিজনেস ও ক্রিমানাল জাস্টিসে ডিগ্রি অফার করে আসছে। সূত্রের বরাতে খবরে বলা হয়েছে ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি ৫২ মিলিয়ন ডলার রেভিনিউ আয় করেছে যার মধ্যে ৩৩.৬ মিলিয়ন ডলারই ছিলো যুক্তরাষ্ট্রে ট্যাক্সপেয়ারদের অর্থ। যা স্টুডেন্ট গ্র্যান্ট ও লোনের মাধ্যমেই আসতো। সরকারের এই বিপুল অংকের অর্থ পাওয়ার পরেও আসা'য় নিয়ম নীতির বালাই ছিলো না। মুনাফালোভী প্রতিষ্ঠানটি মনকাড়া বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে শিক্ষার্থী সংগ্রহে ও অর্থ আয়ে ব্যস্ত ছিলো। নিউইয়র্কের সাবওয়েগুলোতে এমন বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের জন্য নিউইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষ এবছর ১ লাখ ১২ হাজার ডলার জরিমানা করে এই প্রতিষ্ঠানকে। নিউইয়র্ক লিগ্যাল এসিস্ট্যান্স গ্রুপ তথা সাবওয়েতে ওঠা সাধারণ মানুষও এ বিষয়ে অভিযোগ আনে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আসা কলেজ তার বিজ্ঞাপন তুলে নিতে বাধ্য হয়। এবং জরিমানা দেয়। মিডল স্টেটস অ্যাক্রেডিটর কমিশন বলেছে, আসা তার শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং তাদের কাছে কোনো কার্যকর টিচ-আউট প্ল্যানও নেই। কমিশনের তরফ থেকে আরও বলা হয়েছে, ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশন আসা কলেজকে তার পে-রোল বাধ্যবাধকতা মানতে ব্যর্থ হওয়ার কারলে এইচসিএম২ স্ট্যাটাস বাতিল করেছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি তার বন্দোবস্ত চুক্তির শর্তগুলো মানতে পারেনি। আরও খবর হচ্ছে, কমিশনকে না জানিয়ে কলেজটির ফ্লোরিডার ক্যাম্পাস এরই মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুর্ব অনুমোদন ছাড়া এভাবে ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়া ও স্টেট কর্তৃপক্ষ থেকে লাইসেন্স নবায়ন না করাটিও অন্যায় বলে জানিয়েছে মিডল স্টেট। স্থানীয় সরকার এজেন্সিগুলোর তরফ থেকেও মিডল স্টেটের কাছে কলেজটির বিরুদ্ধে কনজুমার প্রোটেকশন আইনগুলো না মানার অভিযোগ এসেছে। এ অবস্থায় মিডল স্টেটস এরই মধ্যে আসা কলেজকে যথাযথ টিচ-আউট প্ল্যান দাখিল করতে বলেছে এবং তাদের অ্যাক্রেডিটেশন যে বাতিল করা হয়েছে তা সকল শিক্ষার্থীকে যথাযথভাবে জানিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়াও নতুন কোনো শিক্ষার্থী যাতে এই কলেজে আর ভর্তি করা না হয় সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আরও গুরুতর বিষয় হচ্ছে এই কলেজের মালিক অ্যালেক্স শেগলের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ। যে কারণে তিন বছর আগে কলেজ বোর্ড তাকে সরিয়ে দেয়। এরপর গেলো বছর শেগল নিজেই স্কুল বোর্ড সদস্যদের অধিকাংশকে সরিয়ে দেন এবং ফের এর নিয়ন্ত্রণ নেন। গত ডিসেম্বর থেকে তিনি স্কুলের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে আর নেই। তবে স্কুলের সত্ত্বাধিকারী হিসেবে রয়ে গেছেন। তবে, অবাক করার বিষয় হচ্ছে, বিষয়গুলো বেমালুম চেপে যাচ্ছে আসা কর্তৃপক্ষ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আসা কলেজের ওয়েবসাইটে এই অ্যাক্রেডিটেশন বাতিল বিষয়ক কোনো তথ্যই দেওয়া হয়নি। বরং এতে এখনো ঝুলে রয়েছে অনেকগুলো নজরকাড়া ভর্তির বিজ্ঞাপন।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

এখানে বাড়িগুলো ছিলো ভুতের দখলে

এখানে বাড়িগুলো ছিলো ভুতের দখলে। বাড়ির আঙিনা, দরজাপাট, দেয়াল সবখানে ভুতের বিস্তার। আঙিনার গাছে ভুত-ভুতুনিরা হল্লায় মেতেছিলো। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে দেখা গেলো, কেউ হয়তো ব্যালকনিতে দোলনা পেতে দোল খাচ্ছে। কেউ সেঁটে আছে দেয়ালে। শুধুই কি মানুষ ভুত। আছে কুকুর ভুতও। মরেছে কোনকালে কে জানে? এখন দেখা যাচ্ছে বাড়ির আঙিনায় কংকাল দেহে ফিরে এসেছে ভুত কুকুর হয়ে। কোনো কোনো বাড়ির আঙিনাই হয়ে উঠেছিলো গ্রেভইয়ার্ড। সেখানে এপিটাফ গুলোয় লেখা প্রয়াতদের নাম। দেখা গেলো কালো বেড়াল ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই গ্রেভইয়ার্ডে। আর একধারে গাছের ডালে নিজেকে পেঁচিয়ে মরে পড়ে আছে দাঁতাল ভালুক। একজনকে দেখা গেলো বাড়ির আরেক ভুতের পরিচর্যায় ব্যস্ত। সেই ভুত স্থান করে নেয় ঘরের চালে। আকর্ণ বিস্তৃত তার হা করে মস্তকে শিংওয়ালা সেই দাতাল দানবের গায়ে মাখানো হচ্ছিলো লাল রঙ। এক বাড়িতে দেখা গেলো ভুত-ভুতনির পাশাপাশি বড় বড় মাকরসা জাল বিস্তার করে বাড়িগুলোকে পোড়ো বাড়িতে পরিণত করেছে। গাছের ডালে ডালে ঝুলছে ভুতের কংকাল। হুডি পড়া বৃহৎ এক কংকাল হাসছে দাতাল হাসি। তার ভয়াল নখরগুলো ছড়াচ্ছে ভীষণ ভয়। এটাই হ্যালোইন। পশ্চিমা বিশ্বের অগ্রসরতার পাশে এক ভীষণ প্রাচীণ কু-সংস্কার। শুধু কি সাজানো ভুত? অনেক তরুণ-তরুণী ছেলে বুড়োও সাজে এই ভুত ভুতনীর সাজে। আর ঘুড়ে বেড়ায় সাবওয়ে স্টেশনগুলোতে। কেউ কেউ নেয় রক্তখেকো ভয়ঙ্কর রূপ। যেনো কারো রক্ত চুষে নিয়েছে আর তাতে রক্তাক্ত হয়েছে তার গায়ের সফেদ পোশাক। কেউ আবার ওরা মুখে সাদা রঙ মেখে ঘুরে বেড়ায় দিন ভর। যোগ দেয় ভুত-প্রেতের মিছিলে। এরা সব ভুত-ভুতনী-ডাইনি-পিশাচের দল। এভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সড়কগুলোও ভুত-প্রেতের দখলে চলে যায়। বিশেষ করে সন্ধ্যা যখন নেমে আসে তার আগেই এরা নেমে আসে শহরে। কেউ বড় ভূত, কেউ ছোট ভূত, কেউ বুড়ো ভূত, কেউ কুঁজো ভূত, কেউ লাঠির মতো সটান ভূত। কেউ আবার রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ার। মুখের দুই দিক দিয়ে রক্ত বেয়ে নামছে। কারো দাঁত দুপাটি আকর্ণ বিস্তৃত। কারও মুখের হা নাসিকার উপর থেকে থুতনির নিচ পর্যন্ত ছড়িয়ে। এখানেই শেষ নয়, কেউ সাজে ডাইনোসর কেউ বা গডজিলা। কেউ অতিকায় ভয়ঙ্কর আরও কোনও প্রাণী। সবমিলিয়ে ভূত-প্রেতের আনাগোনায় ভীতির জনপদ হয়ে ওঠে নগর-নগরী। মূলত হ্যালোস' ইভনি- অর্থাৎ ভূত প্রেতের সন্ধ্যা এটাই হ্যালোইনের মূল কথা। প্রতিবছর ৩১ অক্টোবর দিনটি উদযাপন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রই কেবল নয় আরও কিছু দেশের নগরে নগরে এই সন্ধ্যাটি হয়ে ওঠে ভূত-প্রেতদের। এটি একটি বার্ষিক উদযাপন। মূলত শিশুদের উদযাপন। শিশুরাই সাজে এইসব ভূত-প্রেতের সাজ। বড়রাও অবশ্য কম যায় না। তারাও সাজে শিশুদের সাথে পাল্লা দিয়ে। প্রাচীন কেলটিক ফেসটিভাল থেকেই এই উৎসবের জন্ম। প্রায় দুই হাজার বছর আগে বর্তমান আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও উত্তর ফ্রান্সে ছিলো এই কেলটিক জাতির বাস। অক্টোবরের শেষ দিনের সন্ধ্যাটিকে তারা মনে করতো সবচেয়ে খারাপ সময়। এ সময় সব প্রেতাত্মা ও অতৃপ্ত আত্মা ধরাধামে নেমে আসে। এই ভূত-প্রেতরা মানুষের ক্ষতি করতে পারে। সে কারণে তাদের হটিয়ে দিতে মানুষরা নিজেরই নানা রকম ভূতের মুখোশ ও ভূতের কাপড় পরে থাকতো। পরে ধীরে ধীরে বিষয়টি উৎসবে পরিণত হয়। এই দিন সকাল থেকেই ছোট ছোট শিশুরা হ্যালোইনের কস্টিউম পরে নানা ধরনের ভূত-প্রেত সেজে ঘুরতে থাকে। আর ঘরে ঘরে, দোকান-পাটে গিয়ে হানা দেয়। বলে ট্রিক অর ট্রিট। হয় আমাকে কৌশলে ধরো নয়তো খেতে দাও। এসময় শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ক্যান্ডি। দিনভর ঘুরে ঘুরে ক্যান্ডি তুলে ঝুড়ি ভরে ফেলে শিশুরা। আর সন্ধ্যায় তারা নামে ভূত-প্রেতাত্মার মিছিলে। ইউরোপ-আমেরিকা ছাড়াও দিনটি উদযাপিত হয় জাপান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডে। একটি তথ্য বলছে, দিনটি এমনকি ঘটা করে পালন করে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)ও। এদিন ভূত সেজে ট্রিক অর ট্রিট করে যে ক্যান্ডি তোলে শিশুরা সেগুলো পরে বিতরণ করা হয় অসহায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে। তবে এদিন আসলে মজা করে ক্যান্ডি খাওয়ার দিন। এই দিন নেই বাবা-মায়ের মানা। ফলে হ্যালোইনের মিছিলে শিশুদের দেখা গেলো ক্যান্ডি চিবুচ্ছে আর ভয় দেখিয়ে বেড়াচ্ছে। এক সময় কু-সংস্কার থেকে করা হলেও এখন হ্যালোইন স্রেফ এক উৎসব। যে উৎসব হয়ে গেলো ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতেও। হ্যালোইনের দিনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সাজানো হয়েছিলো ডাইনি-পিশাচ আর মাকরসার জালে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ, প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক, সিএফও ফারহানা হানিপ এতে অংশ নেন। চলে মমি সাজানোর প্রতিযোগিতা। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা সেজে ছিলো ভূত-প্রেতের সাজে। সেরা সাজের পুরস্কার পায় কিনানা। তাকে পুরস্কার তুলে দেয়ার পর চলে পিজা উৎসব। সকলে মজা করে পিজা খেয়ে হ্যালোইন উৎসব শেষ করে।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

পিপলএনটেক এক ভাগ্য পরিবর্তনের সিঁড়ি, অ্যালামনাই সামিটে বললেন বক্তারা

সন্ধ্যাটি ছিলো পিপলএনটেকের প্রাক্তনদের। তারা সকলে এসেছিলেন তাদের এগিয়ে চলার ও সাফল্যের গল্প শোনাতে। শুনিয়েছেন মাত্র চার মাসের একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি কিভাবে তাদের জীবনকে বদলে দিয়েছে। তারা বলেছেন তাদের নিজেদের কেবল নয়, বদলে গেছে তাদের পরিবারের চালচিত্র। আর সর্বোপরি তারা গড়ে তুলতে পারছেন একটি যোগ্য ভবিষ্যত প্রজন্ম। যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারায় তারা একেকজন এখন দক্ষ আইটি প্রফেশনালস। তাদের কেউ আইটি প্রজেক্ট ম্যানেজার কেউ বা প্রজেক্ট লিড। আবার কেউ কেউ নিজেই এখন প্রশিক্ষক-শিক্ষক। আয়োজনটি ছিলো পিপলএনটেকের অ্যালামনাই সামিট ২০২২। নিউইয়র্কের কুইন্সে একটি পার্টি হলে মিলনমেলা বসেছিলো এই অ্যালামদের । আয়োজনের মধ্যমনি হয়ে ছিলেন পিপলএনটেকের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এবং বর্তমানে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর ও চেয়ারম্যান আবুবকর হানিপ। ছিলেন পিপলএনটেকের প্রেসিডেন্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএফও ফারহানা হানিপ। আর তাদের ঘিরে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির নিউইয়র্ক, ভার্জিনিয়া, নিউজার্সি কার্যালয়ের সকল কর্মকর্তা। তবে আয়োজনের মূল আকর্ষণ ছিলেন সেইসব অ্যালাম যাদের গল্পগুলো মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনেছেন উপস্থিত সকলে। নিউইয়র্কের বিশিষ্টজনেরা এতে নিমন্ত্রিত ছিলেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে আরটিভি'র সিইও সৈয়দ আশিকুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রধানরা। সফল অ্যালামরা তাদের গল্প শোনালেন। এর একেকটি গল্পই ছিলো ইউনিক। তারা যেমন নিজেদের এগিয়ে চলার কথা শুনিয়েছেন তেমনি শুনিয়েছেন, পিপলএনটেক তাদের জীবন গড়ে দিতে ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। পিপলএনটেক-কে তারা উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের সিঁড়ি হিসেবে। আর প্রত্যেকের মুখেই বারবার উচ্চারিত হচ্ছিলো এই ভাগ্য পরিবর্তনের কারিগর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপের কথা। তারা বলছিলেন প্রশিক্ষকদের কথা। যাদের প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা নিজেরাই এখন একেকজন প্রশিক্ষক। তারা বলছিলেন পিপলএনটেকের প্রেসিডেন্ট ফারহানা হানিপের কথা। যিনি সকল প্রচেষ্টায় পিপলএনটেককে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। আর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ তাদের শোনান তার নিজের জীবনের গল্পটিও। দেশে স্বনামধন্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে এদেশে পড়তে এসে কিভাবে একটি সংগ্রামময় সময় পার করে নিজেকে এই আইটি খাতে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। আবুবকর হানিপের সে গল্প সকলের জন্যই অনুপ্রেরণার। আবুবকর হানিপ বলেন, নিজে টু হান্ড্রেড থাউজেন্ড প্লাস মাইনের চাকরি করতেন যুক্তরাষ্ট্রে তথা বিশ্বে সুপ্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে কিন্তু ভেবেছিলেন একার উন্নতি শুধু নয়, আরও মানুষ যাতে এই ভাবে তাদের জীবনটিকে পাল্টে দিতে পারে সেই প্রচেষ্টাই তাকে নিতে হবে। আর সেই ভাবনা থেকেই পিপলএনটেক প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। তিনি জানান, বাংলাদেশি কমিউনিটির মানুষগুলোকে এদেশে সংগ্রামের জীবন থেকে বের করে এনে সুন্দর জীবন দেওয়ার ব্রত তিনি নিয়েছিলেন আজ থেকে ১৮ বছর আগে ২০০৪ সালে। গড়ে তুলেছিলেন পিপলএনটেক। শুরুটা হয় মাত্র একজন ছাত্রকে দিয়ে। তিনি যখন পেয়ে গেলেন মূলধারায় বড় মাইনের চাকরি... এরপর আরও ছাত্র আসতে থাকে। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। আর এই সময়ের মধ্যে ৭ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে আইটি প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত করে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ধারায় কাজ পাইয়ে দিয়েছে পিপলএনটেক। যারা এখন স্বাচ্ছন্দের জীবন যাপন করছেন। আর গড়ে তুলছেন নিজেদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে। রেমিট্যান্স পাঠিয়ে ভূমিকা রাখতে পারছেন বাংলাদেশের অগ্রগতিতেও।বক্তৃতায় আবুবকর হানিপ বর্তমানে তার পরিচালিত ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কথা তুলে ধরে বলেন, এটি পিপলএনটেকেরই একটি ধারাবাহিকতা এবং তার দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্নপূরণ। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কমিউনিটিকে মূলধারায় এগিয়ে নিতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি একটি দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে পরিচালিত। এখানকার শিক্ষকরা একাধারে স্কলার ও ইন্ডাস্ট্রি থেকে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। ইন্ডাস্ট্রি থেকে তাদের লব্দ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা তারা নিয়ে আসেন শ্রেণিকক্ষে। এবং তার মাধ্যমে শিক্ষাদানের কারণে শিক্ষার্থীরা দক্ষ হয়েই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কর্মজগতের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। ডব্লিউইউএসটির শিক্ষার্থীরাও পিপলএনটেকের প্রশিক্ষণার্থীদের মতো মূলধারায় বড় বড় কাজে যোগ দিতে শুরু করেছেন। একসময় ডব্লিউইউএসটির অ্যালামরা এদেশের ফরচুন হান্ড্রেড কোম্পানির উচ্চপদে আসীন হবে এই প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। এবং বলেন, এটাই তার লক্ষ্য। পিপলএনটেকের প্রেসিডেন্ট ফারহানা হানিপ বলেন, আজ আমরা আমাদের এলামদের সাফল্যকেই উদযাপন করতে চাই। অ্যালামরা এখন আর ক্যাম্পাসে নেই কিন্তু তারা সকলেই আমাদের অন্তরে রয়েছেন। কেউ কেউ এখন উচ্চ পর্যায়ে উঠেছেন, তাদের এই অর্জনে আমরা গর্বিত। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিকে সফল করে তুলতে পিপলএনটেকের অ্যালামদের পাশে থাকার আহবান জানান তিনি। কমিউনিটির পক্ষ থেকে পাওয়া অব্যহত সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান ফারহানা হানিপ। পিপলএনটেকের সফল অ্যালামদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান অতিথি ড. মনিরুল ইসলাম বলেন, আপনাদের সাফল্য আমাদের মুগ্ধ করে এবং একজন বাংলাদেশকে গৌরবান্বিত করে। আবুবকর হানিপ একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন এমনটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি মানুষকে দিতে পছন্দ করেন। তিনি মানুষকের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন, শিক্ষাদান করছেন এবং একই সঙ্গে তাদের কাজ দিতে সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন। অপরকে দেওয়ার এই মানসিকতাই তাকে এমন একটি উচ্চতায় নিয়ে গেছে যে সকলেই তার জন্য গৌরব বোধ করে। বাংলাদেশি ডায়াসপোরার অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রে তাদের পদচিহ্ন রাখতে সক্ষম হয়েছেন। আবুবকর হানিপ তাদের অন্যতমদের একজন, বলেন ড. মনিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি সৈয়দ আশিকুর রহমান পিপলএনটকের এই সাফল্যের প্রশংসা করে বলেন এমন একটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিকে সামনে এগিয়ে নিতে আবুবকর হানিপ ও ফারহানা হানিপ যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তা অনুসরনীয়। অতিথিদের মধ্যে এটর্নি এন মজুমদারসহ অন্যরা শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। আর ফাঁকে ফাঁকে চলতে থাকে সফল অ্যালামদের সাফল্যের গল্প। বক্তব্য রাখেন পিপলএনটেকের কর্তা ব্যক্তিরাও। পরে সফল অ্যালামদের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে ক্রেস্ট ও ফুলের তোড়া উপহার দেওয়া হয়। এরপর পিপলএনটেকের সকল কর্মকর্তাকেও তুলে দেওয়া হয় ক্রেস্ট ও ফুলের তোড়া। আবুবকর হানিপ ও ফারহানা হানিপকেও জানানো হয় বিশেষ সম্মাননা। আর সবশেষে বিশেষ অতিথি ও প্রধান অতিথিকে ক্রেস্ট তুলে দেন ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। এরপর গ্রুপ ছবি তোলা হয়। আর সবশেষে মজাদার নৈশভোজের মধ্য দিয়ে শেষ হয় পিপলএনটেকের ২০২২ সালের অ্যালামনাই সামিট।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো আবিয়া'র ৩ দিনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন, দেওয়ার-নেওয়ার, মিলিবার-মেলাবার এক দারুণ সুযোগ

যুক্তরাষ্ট্রে তারা সকলেই সক্রিয়, সফল এবং সদা ব্যস্ত। তারা এখানে প্রকৌশলী, স্থপতি কিংবা তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। কেউ রয়েছেন এখানকার সরকারের উচ্চ কোনো পদে। কেউ রয়েছেন বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তি হিসেবে। আবার কেউ নিজস্ব প্রতিষ্ঠান গড়ে হয়েছেন বড় ব্যবসায়ী- উদ্যোক্তা।তাদেরই একটি সংগঠন- নাম আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ারস অ্যান্ড আর্কিটেক্টস। সংক্ষেপে আবিয়া। প্রকৌশলী, স্থপতি, উদ্ভাবকদের সংগঠনটি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার তথা বিশ্বের আরও দেশের নন রেসিডেন্সিয়াল বাংলাদেশিদের নিয়ে গঠিত এই সংগঠন।আবিয়ার দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ২০২২ হয়ে গেল গত ৭, ৮ ও ৯ অক্টোবর। যুক্তরাষ্ট্রের মেরিলান্ডে পোটোম্যাক নদীর তীর ঘেঁষা মনোরম পরিবেশে সাত তারকা বিশিষ্ট হোটেল গেলর্ডে আবাসিক এই সম্মেলনে টানা তিন দিন হোটেলে অবস্থান করে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিলেন এর সদস্যরা। তাতে তারা সেমিনার সিম্পোজিয়াম করে সংগঠনের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে আরো কি করা যায় সে ব্যাপারে আলোচনা করলেন, সিদ্ধান্ত নিলেন। যার কেন্দ্রে ছিলো বাংলাদেশ। অর্থাৎ দেশের উন্নয়নের জন্য, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তারা কে কি করতে পারেন স বিষয়েই আলোচনা। আর একইসঙ্গে সময়টিকে তারা উপভোগ করলেন নানা আনন্দ আয়োজনের মধ্যে দিয়ে। যাতে ছিলো নাচ-গান-আবৃতি। আর ছিলো নৌভ্রমণ। গোটা তিন দিন ধরে চলছিলো এক মিলন মেলা। সে মিলন মেলায় তারা যোগ দিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। তবে এবারের সম্মেলন ছিলো আরও বেশি অন্যরকম কারণ বাংলাদেশ থেকেও এসেছিলেন কয়েকজন প্রকৌশলী, স্থপতি তথা আইটি উদ্যোক্তা। যারা স্রেফ দেখতে আসেননি, এসেছিলেন বাংলাদেশে তাদের সাফল্যের গল্প শোনাতে। আর এখান থেকে সাফল্যের কথাগুলো জানতে।দেওয়ার-নেওয়ার, মিলিবার-মেলাবার এক দারুণ সুযোগ তৈরি হয়েছিলো এখানে।শুক্রবার ছিলো সম্মেলনের প্রথম দিন। এই দিন সন্ধ্যায় ছিলো সোশ্যালাইজেশন ডিনার। আর মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।বিকেলের মধ্যেই অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হয়ে যান অংশগ্রহণকারীদের অনেকে। কারণ পারস্পরিক যোগাযোগ-দেখাশোনার এই সুযোগ তারা মিস করতে চাননি। হয়েছও তাই। মধ্যরাত পেরিয়ে সেখানে চলে গান-উৎসব আর মতবিনিময়। আর এখানে ওখানে দাঁড়িয়ে আলাপ-পরিচয়। ছবি তোলা সেলফি সেসবতো ছিলোই।সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি চলতে থাকে একের পর এক সেমিনার। তাতে     - ন্যানোটেকনোলজি ফর দি এডভান্সড টারশিয়ারি ওয়েষ্টওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্রসেস,     - এ স্মার্ট এপ্রিলের মনিটরিং সিস্টেম ফর ইন্টারনেট অব থিংস(আইওটি) এপ্লিকেশন ইন বাংলাদেশ,    - দি ট্রান্সপোর্ট প্রোটকল ইভোলুশন ইন দি ইন্টারনেট এন্ড চেঞ্জ অব ট্রাফিক প্যাটার্ন,     - বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং নারীর ক্ষমতায়ন,     - চ্যালেঞ্জেজ অব টার্শিয়ারি এডুকেশন ইন বাংলাদেশ এন্ড রোল অব এলামনাই অ্যাট হোম এন্ড অ্যাবরোড,    - কনস্সট্রাকন অব পদ্মা ব্রিজ:চ্যালেঞ্জেজ এন্ড সোলিউশনস    - দি ইকোনমিকস এন্ড ইম্পিলিকেশনস অব দি পদ্মা ব্রিজ    - হাউ টু ডিজাইন ওয়াটার ফ্রন্ট স্ট্রাকচার সিম্পল এন্ড সেইফ    - স্টুডেন্ট লোন ক্রাইসিস এন্ড দি ফিউচার অব ইয়াং আমেরিকান    - ডেভেলপমেন্ট অব স্পেস প্রোগ্রাম ইন বাংলাদেশ    - সেমিকনডাক্টর ফোরাম: মিনিংফুল কোলাবোরেশন বিটুইন বাংলাদেশ, ইউএসএ এন্ড আদার স্টেকহোল্ডার্স    - সিস্টেম সিমুলেশন গাইডিং ইনোভেশন টুয়ার্ডস অ্যাচিভিং নেয়ার-জিরো ইমিশনস ভেহিকলস    - জিডিপি পার-কেপিটা - এ হিস্টোরিক পার্সপেকটিভ অব ইকোনমিক গ্রোথ এন্ড মানিটরি ইকোনমিকস- বাংলাদেশ,     ইন্ডিয়া, পাকিস্তান এন্ড ভিয়েতনাম    - ডিজিটাল ক্লাউড ট্রান্সফরমেশন এন্ড ডেভসেকঅপস ইন ফিন্যানসিয়াল টেকনোলজি    - বাংলাদেশ-দি রাইজিং টাইগার: অ্যান ইনফ্রাস্ট্রাকচারাল এক্সপেডিশন    - পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ইন ঢাকা - প্রেজেন্ট ইস্যুজ/ডিরেকশনস এন্ড পোটেনশিয়াল সোলিউশনস/ইম্প্রুভমেন্টস    - ইট্রোডাকশন টু কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এন্ড হাউ ইট ক্যান বেনিফিট আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সআলোচনার বিষয়বস্তুগুলোই বলে দেয় পৃথিবীর ঠিক উল্টো পাশে বসে দেশ নিয়ে কতটা আগ্রহ, আন্তরিকতা ও গুরুত্বের সাথে তারা ভেবেছেন নিজের দেশ সম্পর্কে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পথ ও প্রক্রিয়া সম্পর্ক।কি-নোট স্পিকারদের একের পর এক উপস্থাপনা হলভর্তি দর্শকদের জন্য তৈরি করে নানা-কিছু জানা ও শোনার সুযোগ। অন্যান্যের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অন্যতম সফল আইটি বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষা উদ্যোক্তা ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি- ডব্লিউইউএসটি'র চ্যান্সেলর ও বোর্ড চেয়ারম্যান আবুবকর হানিপও এতে তার কি-নোট উপস্থাপন করেন। তিনি তুলে ধরেন শিক্ষাভিত্তিক সমাজের এই দেশে বাংলাদেশি আমেরিকানদের দক্ষতা-ভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্ব ও নানা দিক।ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (আই-ট্রিপল-ই)-এর প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ও ভার্জিনিয়া টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান বলেন, এ ধরণের সম্মেলনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা এ দেশে বসবাসরত অনেকের উদ্ভাবনী জ্ঞান ও দক্ষতা সম্পর্কে দেখার ও জানার সুযোগ পায় এবং বাংলাদেশের প্রকৌশল ও তথ্য প্রযুক্তির পেশার সাথে সম্পর্কিত পেশাজীবীদের সাথে ঐ জ্ঞান ও দক্ষতা বিনিময়ের সূত্রপাত ঘটে।দিনটি আরও সম্মৃদ্ধ ছিলো শিশুদের জন্য আয়োজিত বিজ্ঞান মেলা, ম্যাথ কুইজ ও ট্রিভিয়া দিয়ে। এদেশে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোররা নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলো তাতের তৈরি বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রকল্প নিয়ে। ছিলো চাকুরি মেলা ও চাকুরি প্রদান, নেটওয়ার্কিং সেশন। ও ইয়ুথ ফোরামের প্যানেল ডিসকাশন। দিন শেষে রাত নামলে অনুষ্ঠান জমে ওঠে আনন্দ আয়োজনে। তাতে ছিলো গান নাচ কবিতা আবৃত্তি। ইন্ডিয়ান আইডলের রক কুইন ও সারে গা মা পা-খ্যাত শিল্পী মনীশা কর্মকার, আধুনিক বাংলা গানের প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী এলিটা করিম ও অনিলা চৌধুরী প্রখ্যাত কবিতা আবৃত্তিকার প্রজ্ঞা লাবনীসহ আন্তর্জাতিক শিল্পীরা এতে পারফর্ম করেন। ছিলো স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনাও।আর অনন্য নৃত্য উপস্থাপন করে এখানকার নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের নিয়ে অসাধারণ এক নৃত্যানুষ্ঠান। যা তুলে ধরে এক অগ্রসরমান বাংলাদেশকে। পরে প্রখ্যাত অভিনেতা ও শিল্পী তাহসান খান যখন মঞ্চে ওঠেন তখন প্রায় মধ্যরাত। তার পরিবেশনায় একের পর এক গান দর্শকদের মুগ্ধ করে। গানের তালে নেচে ওঠেন এমন দর্শকের সংখ্যাও নেহায়েত কম ছিলো না।  আয়োজনের তৃতীয় দিনে ছিলো যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশি টেক কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্রেকআউট সেশন। পরে আবিয়া'র সংবিধান ও বাই-লজ নিয়ে আলোচনার পর সংগঠনটির এজিম সম্মন্ন হয়। এবং দুপুরে অত্যাধুনিক ইয়াটে সকলে যোগ দেন নৌভ্রমণে। পোটোম্যাক নদীতে সে ভ্রমণ সকলের মধ্যে যোগাযোগ ও আড্ডার মধ্য দিয়ে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি করে। পোটোম্যাক নদীর দুই তীরে প্রকৃতি ও আধুনিক সব ভবনে সৃষ্ট মনোরম দৃশ্য দেখে সময় কেটে যায়। আর ইয়াটে মধ্যাহ্নভোজ সম্পন্ন করে সকলে নেমে আসেন। আর ফিরে যান যে যার গন্তব্যে। একটি মিলন মেলা ভাঙ্গে ঠিকই। কিন্তু এখানেই শুরু হয় আরও সম্মিলিত হওয়ার আরও একসঙ্গে কাজ করার নতুন সুযোগ। যা সংগঠনকে যেমন এগিয়ে নেবে। তেমনি এগিয়ে নেবে বাংলাদেশকে। যা নিশ্চিত করার অঙ্গীকারই সকলে গ্রহণ করেছেন আবিয়ার এই তিন দিনের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ

শেষ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পুণ্য স্মৃতিময় দিন আজ ১২ রবিউল আউয়াল রোববার। সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) একটি বিশেষ মর্যাদার দিন। বাংলাদেশেও অত্যন্ত মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদ্‌যাপিত হয়। সৌদি আরবের মক্কা নগরে বিখ্যাত কুরাইশ বংশে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের একই দিনে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বাবা আবদুল্লাহ ও মা আমিনা। জন্মের আগেই রাসুল (সা.) তাঁর বাবাকে হারান এবং ছয় বছর বয়সে তিনি মাতৃহারা হন। সমগ্র আরব জাহান যখন পৌত্তলিকতা ও অনাচারের অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল, সেই আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগে মহান আল্লাহ সত্য, ন্যায়, কল্যাণ ও একত্ববাদের প্রতিষ্ঠায় তাঁর প্রিয় হাবিবকে অপার রহমত হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন। এ কারণে রাসুল (সা.)-কে সম্মান জানিয়ে রাহমাতুল্লিল আলামিন হিসেবেও সম্বোধন করেছেন মহান আল্লাহ। বিনয়, সহিষ্ণুতা, দয়া, সহমর্মিতাসহ সব মানবিক সদ্‌গুণের সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটেছিল তাঁর মধ্যে। শ্রেষ্ঠ মানবিক গুণাবলির অধিকারী হিসেবে তিনি ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়নির্বিশেষে সর্বকালে সর্বজনস্বীকৃত। ন্যায়পরায়ণতা ও সত্যবাদিতার জন্য শৈশবেই তিনি ‘আল আমিন’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। সব নবী ও রাসুলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মহানবী (সা.)–এর ৪০ বছর বয়সে নবুওয়াত প্রকাশিত হয়। এরপর ২৩ বছর তিনি তৌহিদের বাণী প্রচার করেছেন। আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনে এবং সমাজে শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা দিনটিতে নফল রোজা রাখেন। বেশি বেশি দরুদ পাঠ, কোরআন শরিফ তিলাওয়াত, দান-খয়রাতসহ নফল ইবাদতের মধ্য দিয়ে দিনটি অতিবাহিত করেন। এ ছাড়া মিলাদ এবং রাসুল (সা.)-এর জীবনী নিয়েও আলোচনার আয়োজন থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদ্‌যাপনের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত রয়েছে।পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহকে শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেছেন, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন। মহান আল্লাহ তাআলা হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে সমগ্র বিশ্বজগতের রহমত হিসেবে প্রেরণ করেন। হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর আদর্শ, প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা বর্তমান বিশ্বে জাতিতে জাতিতে সংঘাত-সংঘর্ষ নিরসনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, ‘আমার দৃঢ়বিশ্বাস, মহানবী (সা.)-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ অনুসরণের মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে।’

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.