post
আন্তর্জাতিক

দ্রুত গতিতে হোয়াইট হাউজে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পর দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য হোয়াইট হাউজে যাওয়ার প্রস্তুতি দ্রুত গতিতেই সারছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ইতোমধ্যেই তিনি তার কাজ শুরু করে দিয়েছেন এবং এর অনেক কিছু ওয়াশিংটনসহ বিশ্বের অনেককেই বিস্মিত করছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম সপ্তাহে অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় এখানে আলোচনা করা হলো- বিশ্বস্ত টিম তৈরি নির্বাচনে জয়ের পর দ্রুতই ট্রাম্প তার টপ টিম বা প্রধান দল তৈরি করেছেন। মন্ত্রিসভার কয়েকজনের নাম চূড়ান্ত করেছেন তিনি যাদের জন্য সিনেটের অনুমোদন লাগবে। এছাড়া হোয়াইট হাউজের উপদেষ্টা ও কয়েকজন সিনিয়র সহযোগীকে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প।কিন্তু এটাই সব খবর নয়। যাদের পছন্দ করে নিয়োগ বা মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তা পরিষ্কার ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ট্রাম্প সরকারে একটি বড় ধরনের ঝাঁকুনি দিতে চাচ্ছেন। ট্রাম্প যাকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন তিনি এমন নীতি তৈরি করবেন বলে উল্লেখ করেছেন যার মাধ্যমে অনাকাঙ্ক্ষিত সামরিক কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়া হবে। তেমনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র বলেছেন, তিনি আমেরিকার হেলথ এজেন্সিগুলো থেকে দুর্নীতি দূর করবেন এবং ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কিছু বিভাগের পুরোটাই বাতিল করে দেবেন।উপদেষ্টা ইলন মাস্ক ও বিবেক রামাস্বামী ট্রাম্পের প্রতিশ্রুত ‘সরকারি দক্ষতা বিভাগের নেতৃত্ব’ দেবেন। ট্রাম্প বলেছেন, এটি সরকারের খরচ কমিয়ে আনার ওপর জোর দেবে। ‘বন্ধুত্বপূর্ণ কংগ্রেস’ পাচ্ছেন ট্রাম্প এবার রিপাবলিকানরাই নিয়ন্ত্রণ করছে হাউজ ও সিনেট। অন্তত আগামী দুবছরের জন্য কংগ্রেসের উভয় কক্ষে দলটির সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। এটা ট্রাম্পের এজেন্ডাগুলো বাস্তবায়নের জন্য সহায়ক হবে। কারণ এখন তিনি সহজেই তার পক্ষে আইন পাশ করিয়ে আনতে পারবেন এবং তার নীতিগুলো আইনে পরিণত করার পথ সহজ হবে। তিনি তার প্রথম মেয়াদের শেষ দিকে যেভাবে কংগ্রেসের তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন বারবার সেটা এবার এড়াতে সক্ষম হবেন। বিপুল সংখ্যক অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দেওয়া বা আমদানি শুল্ক বাড়ানোর মতো বিষয়গুলোতে তার প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের জন্য রিপাবলিক নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেস ভূমিকা রাখবে।সিনেটের নতুন নেতা নির্বাচনের মধ্য দিয়েই ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রভাবের একটা পরীক্ষা হয়ে যাবে চলতি সপ্তাহেই। তিনি এ বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা এর মধ্যেই কথা বলেছেন যেখানে এ পদের জন্য ট্রাম্পের অনুগত রিক স্কটের নাম এসেছিল। কিন্তু প্রথম রাউন্ডের ভোটেই তিনি হেরে গেছেন বরং রিপাবলিকানরা বেছে নিয়েছে জন থুনেকে। তার সাথে ট্রাম্পের সম্পর্ক খুব একটা সহজ নয়। ফলে সিনেটের অনুমোদনের জন্য ট্রাম্পের যেসব মনোনয়নগুলো আসবে সেগুলো কিছুটা পরীক্ষার মধ্যে পড়তে পারে। কিছু সিনেট রিপাবলিকান ইতোমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ট্রাম্প বিচার বিভাগের দায়িত্ব যাকে দিতে যাচ্ছে সেই ম্যাট গ্যায়েৎযের বিরোধিতা করবেন তারা।

post
আন্তর্জাতিক

ট্রাম্প দায়িত্ব নিলে শিগগিরই ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হবে: জেলেনস্কি

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নিলে শিগগিরই ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, এটা নিশ্চিত যে এখন যারা হোয়াইট হাউসকে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছে, তাদের নীতিমালা অনুযায়ী দ্রুতই যুদ্ধ শেষ হবে। এটি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি, তাদের নাগরিকদের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি। তিনি আরও বলেন, যুদ্ধ শেষ হবে, তবে আমরা এর নির্দিষ্ট দিন-তারিখ জানি না। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া

post
বাংলাদেশ

জুলাইয়ের ঐক্যবদ্ধ শক্তি ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করেছে : প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে যে কোনো অন্যায়, অবিচার মোকাবিলা করা যায়। শুধু তাই নয়, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করা যায়। যেটা আমরা জুলাই-আগস্ট মাসে দেখিয়েছি।আজ (শনিবার) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে দেশ–বিদেশের ৮০০ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবে। নোবেলজয়ী ড. ইউনূস বলেন, কোনো অন্যায়, দোষ না করেও এ দেশের মানুষ কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হয়েছে। অনেক বড় শক্তির মুখোমুখি হওয়াতে আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু আমরা এটাও জানি যে, যখন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই, যখন আমরা এক হয়ে কাজ করি, তখন আমাদের ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করার ক্ষমতা আছে, যেমনটি আমরা ১০০ দিন আগে বাংলাদেশে করেছি।ড. ইউনূস বলেন, মাত্র একশ দিন আগে একটি অনন্য রাজনৈতিক উত্থানের সম্মুখীন হয়েছিল বাংলাদেশ। গত ১৬ বছর ধরে চলা একটি ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন ঘটিয়েছে ছাত্ররা। আমি এই সম্মেলনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অতিথিদের একটি সদ্য উদীয়মান দেশে স্বাগত জানাই। জুলাই বিপ্লবে প্রায় ১,৫০০ ছাত্র জনতা নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ২০ হাজার আহত হয়েছে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা তাদের সকলকে শ্রদ্ধা জানাই যারা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, যারা সারা জীবনের জন্য তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, চোখ এবং অনেক শারীরিক সক্ষমতা হারিয়েছে, তাদের প্রতি সমবেদনা জানাই।‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশনের উদ্বোধন করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। এই সময়ে এ ধরনের এই সমাবেশের আয়োজন করার জন্য সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজকে ধন্যবাদ জানাই। এই সম্মেলন মনের মিলনের চেয়েও বেশি। এর মাধ্যমে অনেক কিছু নিজেদের মধ্যে ভাগ করা যাবে।’ সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিদেশিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ঠিক এক’শ দিন আগে এই শহরে যা ঘটে ঘটে গেছে তা আপনার নিজ চোখে দেখে যান। জুলাই বিপ্লবের সময় তরুণদের আবেগ এবং আকাঙ্ক্ষাকে প্রকাশ করে রঙিন চিত্রে আঁকা রাস্তার দেয়ালগুলো দেখুন। দেখতে পারবেন কীভাবে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। একই সঙ্গে তরুণ প্রজন্মে কী চায়, তাদের অভিব্যক্তি দেখে যে কেউ অবাক না হয়ে পারবেন না। এই ঐতিহাসিক সুযোগ হাতছাড়া না করার জন্য অনুরোধ করছি। তিনি আরও বলেন, এই বিপ্লবের কোনো ডিজাইনার ছিল না, কোনো কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা ছিল না এবং কোনো সংস্থা এটিকে অর্থায়ন করেনি। তরুণরা তাদের নিজের শক্তিতে করেছে। সম্মেলনের বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, আমাদের অঞ্চল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রথম সারিতে রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রতি বছর, উপকূলীয় জেলার মানুষগুলো নানা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এই সংকট মোকাবেলায় অবিলম্বে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপের প্রয়োজন। 

post
লাইফ স্টাইল

ঠান্ডার সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়

ঠান্ডার সমস্যায় আমরা অনেকেই ওষুধের দিকে হাত বাড়াই। এতে দ্রুত আরাম পাওয়া যায় ঠিকই তবে দীর্ঘমেয়াদে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তবে এ ধরনের সমস্যার অনেক প্রাকৃতিক প্রতিকার রয়েছে যা উপসর্গগুলো উপশম করতে এবং নিরাময়কে উন্নীত করতে সাহায্য করতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাকৃতিক পদ্ধতি গ্রহণ করা এবং শরীরকে এটির মাধ্যমে কাজ করতে দেওয়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভালো।সর্দি-কাশি বা এ ধরনের সমস্যা দূর করার জন্য ওষুধ খাওয়ার পরিবর্তে শ্লেষ্মা মুক্ত করার চেষ্টা করুন। এই পদ্ধতিটি আপনার শরীরকে স্বাভাবিকভাবে শ্লেষ্মা এবং টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, ঠান্ডার সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়-১. বাষ্প শক্তি ব্যবহার কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল বা পুদিনা পাতা দিয়ে ভাপ দিলে তা শ্লেষ্মাকে তরল করতে এবং নিষ্কাশনে সাহায্য করতে পারে। এটি জমে থাকা কফ এবং অস্বস্তি থেকে দ্রুত মুক্তি দিতে পারে। তবে গরম পানির ভাপ নেওয়ার সময় সতর্ক থাকবেন যেন তা গায়ে না পড়ে। কারণ তাতে ত্বক পুড়ে যাওয়ার বা ফোসকা পড়ার ভয় থাকে।২. অতিরিক্ত পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন সর্দি হলে আপনার শরীরের কথা শোনা এবং অতিরিক্ত কার্যকলাপ এড়ানো অপরিহার্য। কঠোর ব্যায়াম করলে বা ঘামে ভিজে গেলে তা এ ধরনের সমস্যা আরও খারাপ করে তুলতে পারে এবং আরও জটিলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। ৩. গার্গল হালকা গরম পানি, হলুদ এবং লবণ দিয়ে গার্গল করলে তা গলা ব্যথা প্রশমিত করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এই সহজ প্রতিকারটি ঠান্ডার সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে খুব কার্যকরী হতে পারে। ৪. মধুর নিরাময় শক্তি মধু ঔষধি গুণাবলীতে সমৃদ্ধ একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার। কুচি করা আদা, গোলমরিচ, হলুদ এবং দারুচিনির সঙ্গে মধু খেলে তা ঠান্ডার উপসর্গ উপশম করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। মধু কাঁচা খাবেন এবং গরম পানি, চা বা কফির সঙ্গে মেশাবেন না। এটি গলা প্রশমিত করতে, কাশি কমাতে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আপনার শরীরকে শক্তির একটি প্রাকৃতিক উৎস সরবরাহ করে। ৫. হালকা গরম পানি পান করুন ঠান্ডার সময় প্রচুর পানি পান করা জরুরি। হালকা গরম পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে, শ্লেষ্মা বের করে দেয় এবং নিরাময় প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করে। সারাদিন হালকা গরম পানিতে চুমুক দিলে তা শুধু আপনাকে হাইড্রেটেডই রাখে না বরং শরীরের বিপাকীয় আগুন ধরে রাখতে সাহায্য করে, যা দ্রুত সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

post
লাইফ স্টাইল

মুখের কোণে ঘা? জেনে নিন দূর করার ঘরোয়া উপায়

মুখের কোণে ঘা হলে খাওয়া, কথা বলা এবং এমনকি হাসিও কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। মানসিক চাপ, ছোটখাটো আঘাত বা কিছু খাবারের কারণে এই ঘা দেখা দেয়। যদিও এই সমস্যা সাধারণত এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে নিজে থেকেই নিরাময় হয়, তবে কিছু প্রাকৃতিক প্রতিকার নিরাময় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে এবং অস্বস্তি কমাতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, মুখের কোণে ঘা হলে তা দূর করার ঘরোয়া উপায়-নারিকেল দুধ দিয়ে ধুয়ে ফেলুন নারিকেল দুধ শুধু তরকারি এবং স্মুদির জন্যই দারুণ নয়; এটি মুখের আলসারের জন্যও বিস্ময়কর কাজ করতে পারে! ফাইটোথেরাপি রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, নারিকেলের দুধ আলসারে শক্তিশালী সুরক্ষা দেয়। এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য ব্যথা এবং ফোলা কমাতে সাহায্য করে, এর প্রাকৃতিক শীতল প্রভাব কালশিটে জায়গাটিকে প্রশমিত করে।পানির সঙ্গে গ্রেট করা নারিকেল ব্লেন্ড করে এবং ছেঁকে নিয়ে নারিকেলের দুধ বের করুন। দিনে ২-৩ বার ৩০ সেকেন্ডের জন্য আপনার মুখের চারপাশে দুধ ঘষুন।মধু ও হলুদের মিশ্রণ মধু হলো একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট, এদিকে হলুদে থাকে কারকিউমিন, এটি একটি যৌগ যা এর প্রদাহ বিরোধী এবং নিরাময় বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এই দুই উপাদান একসঙ্গে মিশ্রিত হলে তা মুখের আলসার বা ঘায়ের জন্য একটি শক্তিশালী প্রতিকার তৈরি করে। কীভাবে ব্যবহার করবেন ১ চা চামচ মধুর সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। আক্রান্ত স্থানে পেস্টটি ঘষুন এবং ১৫ মিনিট রেখে দিন। হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। অ্যালোভেরা জেল অ্যালোভেরা তার ত্বক-নিরাময় বৈশিষ্ট্যের জন্য সুপরিচিত, কিন্তু আপনি কি জানেন যে এটি মুখের আলসারের জন্যও সমানভাবে কার্যকর? এর প্রশান্তিদায়ক এবং প্রদাহ বিরোধী গুণাবলী তাৎক্ষণিক পরিত্রাণ দিতে পারে এবং দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করতে পারে। কীভাবে ব্যবহার করবেন একটি তাজা অ্যালোভেরার পাতা কেটে জেল বের করে নিন। এবার একটি পরিষ্কার তুলো ব্যবহার করে সরাসরি আক্রান্ত স্থানে জেলটি প্রয়োগ করুন। দ্রুত ফলাফলের জন্য দিনে ২-৩ বার ব্যবহার করুন।

post
বাংলাদেশ

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে-মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‌‘গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত তিন মাসে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে। তারা অনেকগুলো কাজ করেছে।’ আজ বৃহস্পতিবার শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এ শ্রদ্ধা জানানো হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, সবাই যদি তাদেরকে (অন্তর্বর্তী সরকার) সহযোগিতা করি এবং উপযুক্ত ও যৌক্তিক সময়ে তারা একটি নির্বাচন দিতে সক্ষম হলে জাতির সামনে যে চ্যালেঞ্জ আছে, তা পূরণে সক্ষম হবে।’ তিনি বলেন, ‘আজকে শপথ নিয়েছি-জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আধিপত্যবাদকে রুখে দিয়ে স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখব, সংগ্রাম ও আন্দোলন চালিয়ে যাব।’ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বিএনপিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছিল উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৭ শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম-খুন করেছে। ৬০ লাখের বেশি মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে তারা।’ বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তারা একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চেয়েছিল, কিন্তু আল্লাহর রহমতে ৫ আগস্ট তৃতীয়বারের মতো এই ফ্যাসিস্ট সরকার ও তাদের আধিপত্যবাদকে পরাজিত করতে পেরেছি।’ এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ডা. জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।

post
আন্তর্জাতিক

আবার কীভাবে জিতলেন ট্রাম্প

আট বছর আগে প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখন ট্রাম্পের বিজয়কে ‘সংকীর্ণ’ হিসেবে বর্ণনা করাটা সহজ ছিল। এমনকি সেই বিজয়কে ‘অপ্রত্যাশিত’ সাফল্য হিসেবে অভিহিত করারও সুযোগ ছিল। কিন্তু এবার আর ট্রাম্পের বিজয়ের ক্ষেত্রে এসব কথা প্রযোজ্য নয়। ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনের কাছ পরাজিত হয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু তিনি নির্বাচনে জালিয়াতির ভুয়া অভিযোগ তোলেন। ট্রাম্পের উসকানিতে তাঁর উগ্র সমর্থকেরা ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন কংগ্রেস ভবনে (ক্যাপিটল হিল) রক্তক্ষয়ী হামলা চালিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা হয়। এমনকি একটি ফৌজদারি মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত পর্যন্ত হন। এত কিছু সত্ত্বেও ট্রাম্প এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে স্পষ্ট বিজয় অর্জন করেছেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি দোদুল্যমান হিসেবে পরিচিত সাতটির মধ্যে পাঁচটি অঙ্গরাজ্যেই জয়ী হয়েছেন। ফলাফল এখনো ঘোষণা না হওয়া বাকি দুটিতেও তিনি জয়ের পথে।এবারের নির্বাচনে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি প্রান্তে তাঁর সমর্থন বাড়িয়েছেন। এমনকি প্রায় প্রতিটি জনগোষ্ঠীর মধ্যে তাঁর সমর্থন এবার বাড়তে দেখা গেছে। ২০২০ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের ফলাফলের মধ্যে যদি তুলনা করা হয়, তাহলে নির্বাচনী মানচিত্র ‘লাল’ রঙের (রিপাবলিকান) ছেয়ে যাওয়ার দৃশ্য চোখে পড়বে। নিউইয়র্ক টাইমসের অনুমিত হিসাব অনুযায়ী, ট্রাম্প গত ২০ বছরের মধ্যে প্রথম কোনো রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী, যিনি জাতীয় সাধারণ ভোটেও (পপুলার ভোট) জয়ী হতে যাচ্ছেন। তবে একই সময়ে এ কথাও বলতে হয়, ট্রাম্পের এই জয়ের মাত্রাকে অতিরঞ্জিত করে দেখা উচিত নয়। কারণ, এটি কোনো ভূমিধস জয় নয়।যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় পপুলার ভোটের ক্ষেত্রে কোনো প্রার্থীর এক বা দুই শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে বিজয় অর্জন অস্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়। আবার প্রায় ৩১২টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেয়ে কোনো প্রার্থীর জয়ী হওয়াটাও বিরল কিছু নয়। ট্রাম্পের এবারের জয় ২০১২ সালে ডেমোক্র্যাটপ্রার্থী বারাক ওবামার ‘পরিমিত’ বিজয়ের মতো অতটা বড় কিছু নয়। পরিবর্তনের ডাক দিয়ে ওবামা ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রথমবার জয়ী হন। একইভাবে আরেক ডেমোক্র্যাটপ্রার্থী বিল ক্লিনটন পরিবর্তনের ডাক দিয়ে ১৯৯২ সালের নির্বাচনী জয়ী হয়েছিলেন। এই দুই নির্বাচনে জয়ী দুই প্রার্থীর (ওবামা ও ক্লিনটন) চেয়েও ভালো করতে পারেননি ট্রাম্প। বরং এ ক্ষেত্রে তিনি অনেকটা পিছিয়ে আছেন।তবে যে বিষয়টি উল্লেখযোগ্য, তা হলো ট্রাম্প কোনো সাধারণ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নন। ফলে তাঁর সাদামাটা জয়ও নিয়ে অনেক চর্চা হচ্ছে। ট্রাম্প আদালত ঘোষিত রায় অনুযায়ী একজন অপরাধী। তিনি ২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ফলাফল উল্টে দিতে চেয়েছিলেন। সে জন্য তিনি নানান অপতৎপরতা চালিয়েছিলেন। এসব দিক বিবেচনায় ট্রাম্পকে সাধারণভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘কার্যকর’ প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল না। তবে বাস্তবিক ক্ষেত্রে দেখা গেল, ট্রাম্প কেবল কার্যকর প্রার্থীই ছিলেন না, তিনি সন্তোষজনকভাবে জিতে গেছেন। ট্রাম্প নির্বাচনে জয়ী হওয়া সত্ত্বেও বেশির ভাগ ভোটার তাঁকে একজন ‘অপ্রীতিকর’ প্রার্থী হিসেবে দেখছেন।সিএনএনের বুথফেরত জরিপে (এক্সিট পোল) দেখা গেছে, ট্রাম্পের প্রতি অনুকূল দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করা ভোটারের হার মাত্র ৪৪ শতাংশ। অন্যদিকে, ট্রাম্পের প্রতি প্রতিকূল দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করা ভোটারের হার ৫৪ শতাংশ। বেশির ভাগ ভোটার (৫৫ শতাংশ) বলেছেন, ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই চরম। তবে এই ব্যাপারটি স্পষ্ট যে ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্পের বিষয়ে আবেদন থাকার ক্ষেত্রে এমন অনেক দিক আছে, যা জরিপের সহজ প্রশ্নে উঠে আসে না। কিন্তু ট্রাম্পের এই বিজয় ডেমোক্র্যাটদের অবস্থা সম্পর্কে অনেক বিষয়ের ব্যাখ্যা দিতে পারে। আবার মার্কিন জনসাধারণের মধ্যে পরিবর্তনের যে আকাঙ্ক্ষা, সে বিষয় সম্পর্কেও ধারণা দিতে পারে। সেই প্রেক্ষাপটে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তি ট্রাম্পের ভূমিকা মুখ্য নয়। সর্বোপরি কাগজে-কলমে ডেমোক্র্যাটরা এই নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য উপযুক্ত অবস্থানে ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রে কোনো প্রেসিডেন্টের জনসমর্থন যখন তলানিতে চলে যায়, তখন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর নির্বাচনে জয়ী হয়ে হোয়াইট হাউসে যাওয়ার ইতিহাস নেই। আবার অনেক আমেরিকান যখন মনে করেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্বে দেশ ভুল পথে রয়েছে, তখনো সেই দলের প্রার্থীর জয়ী হওয়ার নজির নেই।

post
আন্তর্জাতিক

শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী প্রচারে কমলা ও ট্রাম্প কী বললেন

ভোটের আগের দিন গতকাল সোমবার পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপালিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। উভয়ই নিজের জয় নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এবারের মার্কিন নির্বাচনের প্রচারণায় মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনী সমাবেশ চলাকালে রিপালিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্পের ওপর দুবার গুলি চলেছে। গুরুতর ফৌজদারি অপরাধে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারের মাঝপথে হঠাৎ করেই সামনে চলে আসেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা। নিজ দলের ভেতর থেকে চাপের মুখে ৮১ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবারের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। বাইডেন সরে দাঁড়ালে তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট সামনে চলে আসেন।অ্যানালিটিকস ফার্ম অ্যাডইমপ্যাক্টের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, মার্চ থেকে নির্বাচনী প্রচারে ২৬০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ ব্যয় হয়েছে। অধিকাংশ জনমত জরিপে কমলা (৬০) ও ট্রাম্পের (৭৮) মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার ভোটের দিনই তাই ভোটের ফলাফল পাওয়া না–ও যেতে পারে। যদিও ট্রাম্প এরই মধ্যে আভাস দিয়েছেন, তিনি নিজের পরাজয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত। উভয় প্রার্থী গতকাল পেনসিলভানিয়ায় সমাবেশে ভোটের দিন সমর্থকদের ভোট দিতে যেতে বলেছেন। মঙ্গলবার ভোট হলেও কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আগাম ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে গেছে। তবে যাঁরা এখনো ভোট দিতে যাননি, তাঁদের ভোট দিতে যেতে বলেছেন কমলা ও ট্রাম্প।যে সাত অঙ্গরাজ্যকে নির্বাচনী যুদ্ধক্ষেত্র বলা হয়, তার একটি পেনসিলভানিয়া। এই সাত রাজ্যের মধ্যে পেনসিলভানিয়ায় ইলেকটোরাল কলেজ ভোট সবচেয়ে বেশি। ভোট শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে পিটসবার্গে বিশাল এক নির্বাচনী সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা চার বছর ধরে এর জন্য অপেক্ষা করছি।’ প্রতিদ্বন্দ্বী কমলাকে আক্রমণ করতে গিয়ে এদিন তিনি আরও বলেন, কমলা জিতলে সঙ্গে করে অর্থনৈতিক দুর্দশা নিয়ে আসবেন। ট্রাম্প বলেন, ‘ট্রাম্পকে একটি ভোট দেওয়ার অর্থ আপনাদের নিত্যপণ্যের দাম কমবে, আপনাদের বেতন বাড়বে, আপনাদের সড়ক অধিক নিরাপদ হবে, জাতি হিসেবে আপনারা আরও সমৃদ্ধ হবেন এবং আগের তুলনায় আপনার ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হবে।’ অ্যালেনটাউনে সমাবেশে কমলা নিজের জয় নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি ‘সব আমেরিকানের’ প্রেসিডেন্ট হয়ে ওঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

post
আন্তর্জাতিক

মার্কিন নির্বাচন কেন নভেম্বরের প্রথম মঙ্গলবার হয়

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ওই দিন মঙ্গলবার। ১৮৪৫ সাল থেকে নভেম্বরের প্রথম সোমবারের পরদিন মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু এই ভোট গ্রহণ কেন নভেম্বর মাসে, আর কেনই–বা প্রথম সোমবারের পরদিন মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়! এর পেছনে রয়েছে ইতিহাস। যে কারণে নভেম্বরে ভোট ১৮৪০ সালের আগে যুক্তরাষ্ট্রে ভোটের জন্য কোনো আলাদা দিন নির্ধারিত ছিল না। এ সময় নির্বাচনের তারিখ অঙ্গরাজ্যগুলো ঠিক করত। এতে একেক অঙ্গরাজ্যে একেক দিন ভোট হতো। তবে বেশির ভাগ অঙ্গরাজ্যই ভোট গ্রহণের জন্য নভেম্বর মাসকে বেছে নিত। এতে নানা ধরনের সংকটের সৃষ্টি হতো। এসব সংকট কাটাতে ১৮৪৫ সালে দেশে একটি নির্দিষ্ট দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইন পাস হয়। শুরুর দিকে শুধু প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নির্দিষ্ট তারিখ মেনে চললেও পরে সব ধরনের নির্বাচনেই এই আইনের প্রয়োগ শুরু হয়। নভেম্বরে ভোট দেওয়ার কারণ বেশ সহজ। শুরুতে ফেডারেল আইনের অধীনে ইলেকটোরাল কলেজের নির্বাচকদের ডিসেম্বরের প্রথম বুধবার পৃথক রাজ্যে মিলিত হওয়ার রীতি ছিল। ১৭৯২ সালের ফেডারেল আইন অনুসারে, রাজ্যগুলোর নির্বাচন (যাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন, এমন নির্বাচকদের ভোট) সেই দিনের আগে ৩৪ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার নিয়ম চালু হয়। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার তথ্য অনুযায়ী, ১৮৪৫ সালে যখন নতুন এ আইন পাস হয়, তখন যুক্তরাষ্ট্রে কৃষিভিত্তিক সমাজ ছিল। এ কারণে দেশটির শ্রমশক্তির সবচেয়ে বড় অংশ কৃষকদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ভোট গ্রহণের দিন নির্ধারণে বড় ভূমিকা রেখেছে। বছরের অধিকাংশ সময় কৃষকেরা কৃষিকাজে ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু নভেম্বরের শুরুতে কৃষকের ঘরে ফসল উঠে যায়। সময়টা কৃষকদের জন্য অবসর থাকে। আর আবহাওয়াও বেশ অনুকূল থাকে। এ কারণে কৃষকের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নভেম্বরকে বেছে নেওয়া হয়। নতুন এই আইনের আগে রাজ্যে বিভিন্ন দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতো। তখন যোগাযোগব্যবস্থা এত উন্নত ছিল না। নির্বাচনের ফলাফলের জন্য কয়েক দিন বা সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হতো। নিউ জার্সিতে ভোটদানকারী লোকেরা মেইন বা জর্জিয়ার ভোটে কে জিতেছেন, তা জেনে প্রভাবিত হতে পারতেন না। কিন্তু ১৮৪০ সালের দিকে সবকিছু বদলে যেতে লাগল। রেলপথ নির্মাণের কারণে ডাক ও সংবাদপত্র পরিবহন অনেক দ্রুততর হয়ে ওঠে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে যেটা সমাজকে বদলে দিয়েছে, তা হলো টেলিগ্রাফ। কয়েক মিনিটের মধ্যে শহরের যেকোনো খবর পাওয়া সম্ভব হয়ে উঠল। এর ফলে একটি রাজ্যের নির্বাচনের ফল অন্য রাজ্যের ভোটকে প্রভাবিত করতে শুরু করল। এতে একটা সমস্যার সৃষ্টি হয়। ভোটাররা রাজ্য থেকে রাজ্যে ভ্রমণ করে একাধিক নির্বাচনে অংশ নিতে শুরু করেন। নির্বাচনে কারচুপির আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই ১৮৪০ দশকের শুরুর দিকে কংগ্রেস সারা দেশে নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য একটি একক দিন নির্ধারণ করে। কেন প্রথম সোমবারের পরের মঙ্গলবার? ১৮৪৫ সালে কংগ্রেস আইন পাস করে যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রতি চার বছর পর নভেম্বরের প্রথম সোমবারের পর প্রথম মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম সোমবারের পর প্রথম মঙ্গলবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া মানে ভোট কখনোই ১ নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে না। কারণ, ১ নভেম্বর খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা ‘অল সেইন্টস ডে’ পালন করে। এটি ক্যাথলিক অনুসারীদের একটি পবিত্র দিন। এ ছাড়া ওই দিন ব্যবসায়ীরা আগের মাসের হিসাব মেলানোর কাজ করেন। দিনটি ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক কর্মচঞ্চল ও গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে ভোট গ্রহণ হলে ব্যবসার ক্ষতি হবে ভেবে তা বাদ দেওয়া হয়। নতুন এই আইনে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৪৮ সালের ৭ নভেম্বর। মঙ্গলবার যে কারণে এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার তথ্য বলছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য দুই দিন বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু শুরুতেই তা বাতিল করা হয়। কারণ, অধিকাংশ আমেরিকানই রোববারকে উপাসনার দিন হিসেবে আলাদা করে রাখেন। অনেক স্থানে বুধবার ছিল বাজারের দিন। এদিন কৃষকেরা তাঁদের ফসল নিয়ে শহরে বিক্রি করতে যান। এ ছাড়া গ্রামীণ এলাকায় নিকটতম ভোটকেন্দ্র কয়েক মাইল দূরে থাকত। সেখানে পৌঁছাতে অনেক সময় লেগে যেত। তাই, ভ্রমণের জন্য রোববার ও বুধবার এড়িয়ে সোমবার করা হয়। যাতে তাঁরা নির্বিঘ্নে মঙ্গলবারে ভোট দিতে পারেন। এর পর থেকেই চার বছর পরপর নভেম্বরের প্রথম সোমবারের পর মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জন্য ভোট দেওয়ার দিনের ঐতিহ্য ১৮৪৮ সাল থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত রয়েছে। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা, থট কো, হিস্টোরি ডটকম ও সিএনবিসি অবলম্বনে সুজন সুপান্থ

post
বাংলাদেশ

শপথ নিলেন চসিকের নতুন মেয়র ডা. শাহাদাত

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডা. শাহাদাত হোসেন।রোববার (৩ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকার স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও মুখপাত্র সালাহ উদ্দিন আহমেদ, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।ডা. শাহাদাত হোসেনের একান্ত সচিব মারুফুল হক চৌধুরী বলেন, শপথগ্রহণ শেষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারতে যাবেন চসিক মেয়র।আগামী ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম ফিরে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.