post
এনআরবি প্রজন্ম

কানাডায় উৎসবমুখর-বর্ণিল আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন

কানাডার ভ্যাঙ্কুভারের গ্রেটার ভ্যাঙ্কুভার বাংলাদেশ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) শিশু-কিশোরসহ সর্বস্তরের মানুষ দেশীয় বাহারি পোশাকে মেলায় উপস্থিত হন। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান শুরু হয়। মেলাতে ছিল নানারকম দেশীয় খাবার, পিঠা, শাড়ি-কাপড় ও গহনার দোকান। দিনব্যাপী জমকালো মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল স্থানীয় শিল্পীদের সুরেলা কন্ঠে গান। অতিথি শিল্পী ঋতুপর্ণা ব্যানার্জি এবং তার মধুর কন্ঠে মাতিয়ে রাখেন সবাইকে।অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশের সাংস্কৃতি ও খাবার উপভোগ করেন বিটিস কলম্বিয়া (কনসারভেটিভ) পার্টির লিডার জন রাষ্ট্রেড ও তার সহধর্মিণী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মো. ইমন। দিনব্যাপী প্রাণের মেলায় পদ্মা-যমুনা মিলনের মতই প্রবাসী বাঙালিদের পাশাপাশি বিদেশিরাও এ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে উপোভোগ করেন সকাল থেকে বিকেল অবধি। আনন্দের আবহে দুপুর থেকে বিকেল অবধি বাঙালি চিরাচরিত আড্ডা আর লোকে লোকারণ্যে মুখরিত গানের সুরে, কবিতার ছন্দে, নাচের মুদ্রায় আর উপস্থাপনায় কোথাও যেন ঘটেনি ছন্দপতন। সংগঠনের সভাপতি মো. ইমন সমকালকে বলেন, প্রবাসে থাকলেও আমাদের মন পড়ে থাকে বাংলাদেশে। সেই আদলেই আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে। আমরা চাই, আমাদের নতুন প্রজন্ম আমাদের সংস্কৃতির চর্চা করুক। বিশ্বের দরবারে আমাদের লাল সবুজের পতাকাকে তুলে ধরুক। দূরপ্রবাসে বাঙালি সংস্কৃতির এ উৎসব যেন এক মহামিলন। কর্মজীবনের পাশাপাশি সম্প্রীতির বন্ধনে এমনি করে বারবার মহামিলনে জেগে উঠুক নতুন প্রজন্ম– এমনটাই প্রত্যাশা কানাডায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের।

post
এনআরবি সাফল্য

কানাডার প্রাদেশিক আইনসভায় বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন

মহান স্বাধীনতা দিবসের প্রতি সম্মান রেখে প্রতিবছরের মতো এ বছরও কানাডার প্রাদেশিক আইনসভা (কুইন্স পার্কে) বাংলাদেশ সেন্টার অ্যান্ড কমিউনিটি সার্ভিসেস এর উদ্যোগে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। পতাকা উত্তোলনের বিশেষ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, প্রাদেশিক আইনসভা সংসদের স্পিকার টেড আর্নট, এনডিপি পার্টির এমপিপি ডলি বেগম, বিসিসিএস'র সভাপতি সেবু চৌধুরী, কনজারভেটিভ পার্টির এমপিপি লোগান কানাপাথি, লিবারেল পার্টির এমপিপি মেরী মার্গারেট, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ম্যাক আজাদসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নতুন প্রজন্মের রুবিনা ফারিন।সর্বস্তরের নারী পুরুষদের পদচারণায় মুখরিত ছিল পুরো কুইন্স পার্ক। পতাকা উত্তোলনের সময় জাতীয় সংগীতে সবাই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। প্রবাসী বাঙালিদের এই আয়োজনকে স্বাগত জানিয়েছেন বিদেশিরাও। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিশ্বের দরবারে আমাদের লাল-সবুজের পতাকা আমাদের বাংলাদেশি জাতীয়তাকে ধারণ করে। যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই লাল সবুজের পতাকা পেয়েছি তাদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা। আয়োজকরা জানান, আমাদের মহান স্বাধীনতার ইতিহাস ও সংস্কৃতির বলয়কে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই আমাদের এই আয়োজন।

post
অভিবাসন

কানাডা তিন বছরে অস্থায়ী বাসিন্দা ৫ শতাংশ কমাতে চায়

স্থায়ী অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে কানাডা আগামী তিন বছরে অস্থায়ী বাসিন্দা ৫ শতাংশ কমিয়ে আনতে চায়। বর্তমানে কানাডার মোট জনসংখ্যার ৬.২ শতাংশ হচ্ছে অস্থায়ী বাসিন্দা। তাদের স্থায়ীভাবে বসবাস করার কোনো অনুমোদন নেই কিন্তু অস্থায়ীভাবে কাজ করার অনুমোদন রয়েছে। অস্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ২.৬ শতাংশ অর্থাৎ ২.৫ মিলিয়ন। আগামী তিন বছরে এটিকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নিয়ে আসা হলে ২০২৭ সালের মধ্যে অস্থায়ী বাসিন্দা পাঁচ লাখ কমে যাবে। কানাডার রাজধানী অটোয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মার্ক মিলার। কানাডার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেশে অস্থায়ী বাসিন্দা কমানো এবং এবং স্থায়ী অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে কানাডার কেন্দ্রীয় সরকার।মন্ত্রী জানান, অস্থায়ী বাসিন্দাদের ২.৬ শতাংশের মধ্যে ৪২ শতাংশ হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট, ৯ শতাংশ অস্থায়ী বিদেশি কর্মী আন্ডার টেম্পোরারি ফরেন ওয়ার্কার প্রোগ্রাম, ৪৪ শতাংশ টেম্পরারি ওয়ার্কার আন্ডার ইন্টারন্যাশনাল মবিলিটি প্রোগ্রাম, ২৬ শতাংশ পোস্ট গ্যাজুয়েট ওয়ার্ক পারমিট হোল্ডার এবং ৯ শতাংশ হচ্ছে স্পাউস অব স্টুডেন্ট। ১০ শতাংশ বিনিময় চুক্তি এবং ১২ শতাংশ হচ্ছে স্পাউজ অফ স্কিল ওয়ার্কার, ২৬ শতাংশ বিভিন্ন হিউম্যানিটি প্রোগ্রাম এবং ৫ শতাংশ অ্যাসাইলাম প্রোগ্রাম। সংবাদ সম্মেলনে মিলার জানান, বর্তমানে কানাডায় অস্থায়ী বাসিন্দা রয়েছেন ২৫ লাখ। গত ২০২৩ সালে তাদের মধ্য থেকে শতকরা ৬ দশমিক ৫ শতাংশকে কমানো হয়েছে, আগামী ৩ বছরও এই ধারা অব্যাহত থাকবে এবং প্রতি বছর ৫ শতাংশ করে কমানো হবে অস্থায়ী বাসিন্দাদের সংখ্যা। স্থায়ী অভিবাসনের জন্য আবেদনের অনুমোদনেও নিয়ন্ত্রণ আসবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন মার্ক মিলার। তবে এই নিয়ন্ত্রণের হার কেমন হবে— সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি মন্ত্রী। তবে তিনি বলেছেন, সরকারের প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুসারে আগামী ২০২৫ সাল পর্যন্ত থাকবে এই নিয়ন্ত্রণ। প্রসঙ্গত, উন্নত জীবনযাত্রা ও সহজ অভিবাসন নিয়ম-কানুনের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিবাসনপ্রত্যাশীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে কানাডা। দেশটির সরকারও সবসময় অভিবাসীদের স্বাগত জানিয়ে আসছে। কিন্তু গত কয়েক বছরে রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসী এসেছে দেশটিতে। এতে ব্যাপক সংকট শুরু হয়েছে দেশটির আবাসন ও নাগরিক পরিষেবা খাতে। দিন দিন এই সংকট তীব্র হচ্ছে, ফলে চাপ বাড়ছে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং তার নেতৃত্বাধীন সরকারের ওপর। সংবাদ সম্মেলনে মার্ক মিলার বলেন, ‘আমরা দেশে অভিবাসীদের আগমন সহনীয় মাত্রায় রাখতে চাই। আবাসন ও অন্যান্য পরিষেবা ইস্যুতে নাগরিকদের যে ভোগান্তি শুরু হয়েছে- তার নিরসন চাই। এ কারণেই এ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী মে মাস থেকে এটির বাস্তবায়ন শুরু হবে।’ এর আগে জানুয়ারি মাসে বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং স্নাতক শেষ হয়ে যাওয়ার পরও যেসব শিক্ষার্থী কানাডায় অবস্থান করছেন, তাদের ওয়ার্ক পারমিট বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিল কানাডার কেন্দ্রীয় সরকার। অভিবাসন মন্ত্রীর এ ঘোষণার পর অনেক অস্থায়ী বাসিন্দাদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই শঙ্কায় রয়েছেন কখন তাদের চলে যেতে হয়। অন্যদিকে ভিজিটর ভিসায় এসে যারা অ্যাসাইলাম প্রোগ্রামে আবেদন করেছেন তাঁরাও এক ধরনের উৎকণ্ঠায় দিনযাপন করছেন। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগেরিতে মাস্টার্সে অধ্যায়নরত বাংলাদেশি ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট নাঈম উল হাসান এ সম্পর্কে সমকালকে বলেন, সম্প্রতি আবাসন সংকট প্রকট আকার ধারণ করার পাশাপাশি জীবনযাত্রার মান ও টিউশন ফি বেড়ে যাওয়ায় ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে যাচ্ছে। এর মাঝে কানাডিয়ান সরকারের এমন সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে কানাডাতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী নতুন শিক্ষার্থীদের নিরুৎসাহিত করবে। 

post
এনআরবি সাফল্য

কানাডার পার্লামেন্টে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শায়লা আনোয়ার

কানাডার টপ ব্যুরোক্রেসিতে এই প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শায়লা আনোয়ার কানাডার হাউস অব কমন্স ও সিনেটের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। ক্লার্ক অব দা সিনেট অ্যান্ড ক্লার্ক অব দা পার্লামেন্ট- এই পদে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে তিনি হাউজ অব কমন্সে পার্লামেন্ট ও সিনেটে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তিনি পালন করে আসছেন। কানাডার হয়ে তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ক্লার্ক অব দা সিনেট এবং ক্লার্ক অব দা পার্লামেন্ট এর কাজ হচ্ছে পুরো সংসদের দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিচালনা করা এবং দেখভাল করা। এই নিয়োগটি হয় কানাডিয়ান  পাবলিক সার্ভিস এমপ্লয়মেন্ট অ্যাক্ট এর আওতায়। এ পদের সুপারিশটি আসে কেবিনেট থেকে। অর্থাৎ পুরো মন্ত্রীসভার অনুমোদনক্রমেই কাউকে নিয়োগের জন্য পাঠানো হয়। এরপর গভর্নরস ইন কাউন্সিল এই নিয়োগ দেয়। শায়লা আনোয়ারের ক্ষেত্রেও তার যোগ্যতা দক্ষতা বিবেচনা করে কেবিনেট তাকে তাকে এই পদে সুপারিশ করেছে।কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো শায়লা আনোয়ারের নিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, সিনেটের কর্ম প্রক্রিয়া এবং আইন প্রণয়ন সম্পর্কিত বিষয়ে অগাধ জ্ঞানের অধিকারী শায়লা আনোয়ার কানাডার ব্যুরোক্রেসির একজন ব্যতিক্রমী কর্মকর্তা। তিনি তার মেধা, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা দিয়ে কানাডার পার্লামেন্ট ব্যবস্থাকে জনগণের জন্য কার্যকর করে তুলবেন বলে আশা প্রকাশ করেন ট্রুডো। এই নিয়োগ আগামী ৬  মে, ২০২৪ থেকে কার্যকর হবে।উল্লেখ্য ঢাকার মেয়ে শায়লা আনোয়ার। তবে তিনি কানাডার অটোয়াতে বড় হয়েছেন। অটোয়ার কালর্টন ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার্স এবং রাজনীতি বিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

post
দূতাবাস খবর

কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার খলিলুর রহমানকে অব্যাহতি

কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. মো. খলিলুর রহমানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তাকে অবিলম্বে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ড. মো. খলিলুর রহমান অটোয়া থেকে ঢাকায় ফিরছেন। এর আগে গত বছরের ২১ আগস্ট আগের চুক্তির ধারাবাহিকতা ও একই শর্তে ৩১ অক্টোবর থেকে ড. মো. খলিলুর রহমানকে ছয় মাসের জন্য একই পদে চুক্তিতে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ড. খলিলুর রহমান বিসিএসের ১৯৮৫ ব্যাচের পররাষ্ট্র বিভাগের ক্যাডার। পেশাদার কূটনীতিক হিসেবে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ও নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে কাজ করেছেন।রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করার পর খলিলুর রহমান প্যারিসের সরবোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কূটনীতির ওপর মাস্টার্স ও এমফিল করেন। তিনি জনস্বাস্থ্যের ওপর নতুন দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন।

post
এনআরবি প্রজন্ম

কানাডায় ‘প্রবাসে মাতৃভাষার চর্চা ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা

কানাডার ক্যালগেরিতে ‘প্রবাসে মাতৃভাষার চর্চা ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার স্থানীয় সময় ক্যালগেরিতে নর্থ ইস্টের ৩২ নম্বর এভিনিউতে আলবার্টার প্রথম বাংলা অনলাইন পোর্টাল ‘প্রবাস বাংলা ভয়েস’- এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।বাংলা ভয়েসের প্রধান সম্পাদক আহসান রাজীব বুলবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালগেরি’র অধ্যাপক কাজী খালিদ হাসান, প্রধান বক্তা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী সুফল বৈরাগী, সাইফুল ইসলাম রিপন ও আব্দুল্লা রফিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী জেরিন তাজ ও রম্য লেখক বায়াজিদ গালিব।আলোচনায় অংশ নেন শুকরুজ্জামান তুহিন, রুপক দত্ত, কিরণ বনিক শংকর, এ্যনথনি জ্যাকব, মো. মাহমুদ হাসান, মৌ ইসলাম, ফারজানা হক, জাকিয়া বেগম ও সৌভিক সাদমান।বক্তারা বলেন, প্রবাসে মাতৃভাষা চর্চাকে আরও সূদৃঢ় করতে এবং মাতৃভূমির সঙ্গে পরবর্তী প্রজন্মের সেতুবন্ধন তৈরি করতে ভাষা শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও প্রবাসে বাংলা ভাষার প্রসারে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়। মাতৃভাষা আর বাংলা সংস্কৃতির অবমাননা কিভাবে জাতীয় প্রগতির অন্তরায় হতে পারে, সে বিষয়েও বিশদ আলোচনা হয়। এছাড়াও সর্বস্তরে বিশুদ্ধ বাংলা চর্চার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। দেশের সঙ্গে প্রবাসে বাংলা ভাষা চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তারা বলেন, মাতৃভূমির সঙ্গে পরবর্তী প্রজন্মের সেতুবন্ধন তৈরিতে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। বিদেশে আরও বেশি বাংলা গণমাধ্যমের বিস্তৃতি ঘটাতে হবে। যাতে পরবর্তী প্রজন্ম এসব গণমাধ্যমের পৃষ্ঠপোষকতায় এগিয়ে আসতে পারেন। সে ব্যাপারে এখন থেকেই সবার সচেষ্ট হওয়া উচিত। একুশের চেতনা, ইতিহাস আর সংস্কৃতিকে সযত্নে লালন করে কিভাবে একটি সুন্দর ভবিষ্যত প্রজন্ম গড়ে উঠতে পারে সে বিষয়েও জ্ঞানগর্ভ অভিমত দেন বক্তারা। বক্তারা আরও বলেন, ভাষার দাবির মধ্যেই নিহিত ছিল গণতন্ত্র, সাংস্কৃতিক স্বাধীকার জাতিসত্তা সম্পর্কে চেতনার উন্মেষ এবং জাতীয় আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার অর্জনের সংগ্রামের বীজ। প্রবাসে শুধু শহীদ মিনার নির্মাণ করলেই হবে না, একুশের চেতনা নতুন প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরতে হবে।আলোচনা শেষে ‘প্রবাস বাংলা ভয়েস’ এর পঞ্চম বর্ষপূর্তির প্রকাশনা বই উন্মোচন করা হয়।

post
এনআরবি বিশ্ব

বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চেয়ে টরন্টোতে পিডিআইয়ের সম্মেলন

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দুর্নীতিমুক্ত, বৈষম্যহীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের দাবিতে টরন্টোতে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক উদ্যোগ (পিডিআই) কানাডার প্রথম সম্মেলন। সম্মেলনে আজফার সাঈদ ফেরদৌসকে সভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা মনির জামান রাজুকে সাধারণ সম্পাদক এবং নাট্যকর্মী রোমান চৌধুরীকে কোষাধ্যক্ষ করে ২৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।সম্মেলনের শুরুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন সোলায়মান তালুত রবিন। সম্মেলনের প্রথম পর্বে ছিল কাউন্সিল অধিবেশন ও দ্বিতীয় পর্বে উন্মুক্ত অধিবেশন। কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন আজিজুল মালিক এবং পরিচালনায় ছিলেন মনির জামান রাজু। উন্মুক্ত অধিবেশন পর্বে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুৎরঞ্জন দে এবং পরিচালনায় ছিলেন মাহবুব আলম। সম্মেলনে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মাশুক মিয়া, ডাকসুর সাবেক এজিএস নাসির উদ দুজা, সাবেক ছাত্রনেতা সৌমেন সাহা, উদীচী কানাডা সংসদের সাধারণ সম্পাদক মিনারা বেগম, লেখিকা ও অনুবাদক ফারহানা আজিম শিউলী, টরন্টো বাঙালি কমিউনিটির সক্রিয় কর্মী শিবু চৌধুরী, সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আসমা আহমেদ, টরন্টো ফিল্ম ফোরাম সভাপতি এনায়েত করিম বাবুল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সফিউদ্দিন আহমেদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হোসেন মনা। সম্মেলন শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনা সংগীত হিসেবে গান পরিবেশন করেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী শাহজাহান কামাল। বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কানাডা গন সংগীত পরিবেশন করে। কবিতা আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী শেখর গোমেজ, রেজা অনিরুদ্ধ ও রওশন জাহান উর্মি। 

post
এনআরবি বিশ্ব

অভিনেতা ইনাম আহমেদ স্মরণে টরন্টোতে আলোচনা ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী

কানাডায় টরন্টো ফিল্ম ফোরামের আয়োজনে টরন্টোর ৩০০০ ড্যানফোর্থ এভিনিউ’র ‘মাল্টিকালচারাল ফিল্ম স্ক্রিনিং সেন্টার’-এ বাংলাদেশের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র অভিনেতা ইনাম আহমেদের ১০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডে নির্মিত প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্য কাহিনী চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়কারী ইনাম আহমেদ ১৯২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কুচাই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।অনুষ্ঠানের শুরুতে অভিনেতা ইনাম আহমেদ অভিনীত কয়েকটি চলচ্চিত্রের অংশ বিশেষ নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাতা এনায়েত করিম বাবুল সম্পাদিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। ৫০ মিনিটের এই প্রামাণ্যচিত্রে ইনাম আহমেদ উপস্থিত দর্শকদের সামনে অনেকটা মূর্তমান হয়ে ওঠেন। প্রামাণ্যচিত্রের প্রদর্শনীর পর ইনাম আহমেদের জীবন ও কর্ম নিয়ে মূল আলোচনা করেন মুক্তিযোদ্ধা ও নাট্যকার আকতার হোসেন, বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী সুলতানা হায়দার, সাংবাদিক ও লেখক সুব্রত নন্দী ও চলচ্চিত্র লেখক ও সমালোচক ইকবাল করিম হাসনু। অভিনেতা ইনাম আহমেদের জন্মদিনের শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কানাডা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি আমিন মিয়া, ব্যারিস্টার শামিম আরা, রাজনীতিবিদ মোহসীন ভূঁইয়া, সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর, আবৃত্তি শিল্পী হিমাদ্রী রয়, রাজনীতিবিদ ফায়জুল করিম, কবি রেজা অনিরুদ্ধ, টরন্টো বাংলা বইমেলার আহবায়ক সাদী আহমেদ, নাট্য অভিনেতা ম্যাক আজাদ, কবি জিন্না চৌধুরী, সংস্কৃতিসেবী এম এ কাদের মিলু, টরন্টো ফিল্ম ফোরামের কার্যনির্বাহী সদস্য শেখ শাহনওয়াজ, সামাজিক সংগঠক শিবু চৌধুরী ও নাট্য নির্দেশক সুব্রত পুরু। স্মরণ অনুষ্ঠানে অভিনেতা ইনাম আহমেদ সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করেন টরন্টো প্রবাসী ইনাম আহমেদের কন্যা গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নারী উন্নয়ন কর্মী আসমা আহমেদ মাসুদ এবং ইনাম আহমেদের দৌহিত্র মাশরুর ইশরাক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের শুরুর সময়ের কিছু অজানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন টরন্টো ফিল্ম ফোরামের সভাপতি এনায়েত করিম বাবুল। স্মরণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন টরন্টো ফিল্ম ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনিস রফিক। উল্লেখ্য, মাত্র ৮ বছর বয়সে নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে ইনাম আহমেদের অভিনয় জীবন শুরু হয়। ১৯৩১ সালে ভারতের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘আলম আরা’ দেখার পর তাঁর চলচ্চিত্রে অভিনয়ের আগ্রহ জন্মে। তাঁর বাবা তদানিন্তন পূর্ব বাংলার শিক্ষা পরিদর্শক ছিলেন। ইনাম আহমেদ কোলকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করে বাটা সু কোম্পানিতে কয়েক বছর চাকরি করেন। ১৯৪৩ সালে প্রেমেন্দ্র মিত্র পরিচালিত ‘সমাধান’ নামে কলকাতার একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তাঁর চলচ্চিত্রে অভিনয় জীবন শুরু হয়৷ রূপালী পর্দায় তখন তাঁর নাম ছিল ‘অরুণ কুমার’। ১৯৫০ সালে ইনাম আহমেদ ঢাকায় চলে আসেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর পাশাপাশি তিনি ঢাকায় বেতার ও মঞ্চে অভিনয় ও বেতারে সংবাদ পাঠ করতেন। নাটক করতে গিয়েই তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তানে নির্মিত প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের কাহিনী চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ এর পরিচালক আব্দুল জব্বার খানের সাথে তাঁর পরিচয় হয়। ১৯৫১ সালে ইনাম আহমেদ ‘রূপশ্রী’ নাট্য দলের সদস্য হিসেবে শংকরের লেখা ‘দুই পুরুষ’ নাটকে অভিনয় করেন এবং নাটকটি ‘রূপমহল’ সিনেমা হলে মঞ্চস্থ হয়। ইনাম আহমেদ ঐ নাটকে ‘কালী বাদশী’ চরিত্রে অভিনয় করেন। এই নাটকে তাঁর অভিনয় দক্ষতা দেখে আব্দুল জব্বার খান তাঁর নাট্যদল ‘কমলাপুর ড্রামা সার্কেল’ এর ‘মাটির মানুষ’ নাটকে ‘কালু সর্দার’ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানান। এই নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি একজন শক্তিমান অভিনেতা হিসেবে দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ১৯৫২ সালে ‘কমলাপুর ড্রামা সার্কেল’ এর পরবর্তী নাটক ‘শমশের ডাকাত’ এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে তাঁকে মনোনীত করা হয়। কিন্তু নাটকটি মঞ্চস্থ হয় নি। ১৯৫৪ সালে এই নাটকটি নিয়ে আব্দুল জব্বার খান ‘মুখ ও মুখোশ’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ শুরু করলে ইনাম আহমেদ এই চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৫৬ সালে ‘মুখ ও মুখোশ’ মুক্তি লাভ করলে চলচ্চিত্রটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করে ইনাম আহমেদ চলচ্চিত্রপ্রেমীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এরপর ইনাম আহমেদ পশ্চিম পাকিস্তানের লাহোরে যান উর্দূ চলচ্চিত্র ‘আখেরি নিশান’ এ অভিনয় করার জন্য ৷ পশ্চিম পাকিস্তানে থাকা কালে তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি করাচী বেতারে বাংলা সংবাদ পাঠ করতেন। বাংলা ছাড়াও তিনি উর্দূ, ফারসী ও ইংরেজী ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। ১৯৬০ সালে তিনি লাহোর থেকে ঢাকায় ফিরে আসেন। তারপর ১৯৬১ সালে ‘যে নদী মরু পথে’ ছবিতে খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করে তোলপাড় সৃষ্টি করেন। ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে, হারানো দিন (১৯৬১), সূর্য ম্নান (১৯৬২), সোনার কাজল (১৯৬২), জোয়ার এলো (১৯৬২), নতুন সুর (১৯৬২), চান্দা (১৯৬২), কাঁচের দেয়াল (১৯৬৩), সুতরাং (১৯৬৪), দুই দিগন্ত (১৯৬৪), মিনার (১৯৬৫), রূপবান (১৯৬৫), ময়নামতি (১৯৬৮) প্রভৃতি। তাঁর অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ হচ্ছে, নাচের পুতুল (১৯৭১), চন্দ্রনাথ (১৯৮৪), শুভ দা (১৯৮৬), এখনও অনেক রাত (১৯৯৭), নিশান, গুনাহগার, আসামী হাজির, তুফান, পদ্মাবতী, নসীব, চন্দ্রনাথ, শিরী ফরহাদ, শুভ দা, গৃহ বিবাদ ইত্যাদি। ইনাম আহমেদ দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এক সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় চলচ্চিত্র বিষয়ক পত্রিকা ‘ঝিনুক’ এ তিনি ‘আমার শিল্পী জীবন’ শিরোনামে অত্যন্ত পাঠকপ্রিয় একটি ধারাবাহিক লেখা একটানা বহু বছর লিখে গেছেন। ইনাম আহমেদ ২০০৩ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর সাত সন্তানের মধ্যে এক পুত্র মুক্তিযোদ্ধা ও আর্টিস্ট মারুফ আহমদ জার্মানী এবং কন্যা গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আসমা আহমদ মাসুদ কানাডার টরন্টোতে বসবাস করছেন। 

post
এনআরবি বিশ্ব

জমকালো আয়োজনে নিউইয়র্ক মাতালো এনআরবিসি টিভি নিউ ইয়ার সেলিব্রেশন ডিনার নাইট

গত ২১ই জানুয়ারি রবিবার জ্যাকসন হাইট উডসাইডের কুইন্স প্যালেসে জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এনআরবিসি টিভি নিউ ইয়ার সেলিব্রেশন ডিনার নাইট। অনুষ্ঠানটির আয়োজনে ছিলো এনওয়াই মিউজিক। অনুষ্ঠানের চিফ গেষ্ট ছিলেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর ও পিপলএনটেকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং এনআরবিসি টিভির সিইও ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কে বসবাসরত সকল শ্রেনীপেশার প্রবাসী বাঙ্গালী, কমিউনিটি লিডার, বিদেশী হাই আফিসিয়াল সহ কমিউনিটির জনপ্রিয় সব মুখ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ছিলো মুখরোচক বাঙ্গালী খাবারের আয়োজন। ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ বলেন, "এনআরবিসি টিভি হলো বিশ্বব্যাপী অনাবাসিক বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য একটি উন্মুক্ত সংবাদ প্ল্যাটফর্ম এবং টেলি ভিডিও বিনোদনের একটি প্ল্যাটফর্ম যা কোনো ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি ছাড়াই বাঙ্গালি সম্প্রদায়ের কাছে খবর পৌঁছে দিতে নিবেদিত ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।" অনুষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন -বিশিষ্ট ব্যবসায়ি শাহনেওয়াজ, গিয়াস আহমেদ, নূরুল আজিম, ডেমোক্রেটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লীডার এটর্নী মঈন চৌধুরী, ডা. সারয়ার হাসান, ডা. বানালী হাসান, ইন্জিনিয়র খালেক, আব্দুর রশিদ বাবু, শিরিন আক্তার ও ইসতিয়াক রুমি। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা আহমেদ শরীফ, নাসির আলী খান পল, লিটন চৌধুরী, কাজী আজম, রহমান মালিক, রওনক আহমেদ, আহসান হাবীব সহ অনেকেই । বিদেশী হাই আফিসিয়াল ও কমিউনিটি এক্টিভিষ্টদের মধ্যে ছিলেন সাগির খান, ভেন্ডি লি, জগজিত সিং প্রমুখ । বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহনেওয়াজ বলেন - সংস্কৃতি ও মেধা চর্চার জন্য এই রকম অনুষ্ঠান দরকার আঁছে ,যাতে করে সংস্কৃতি ও আনন্দ দু'টোই হতে পারে। গিয়াস আহমেদ, নুরুল আজীম, ডা. হাসান সহ সকলেই আয়োজনের ভূয়সী প্রসংসা করেন ও কমিউনিটি বিনির্মান এ এনআরবিসি টিভির পথচলাকে সাধুবাদ জানান। জমজমাট মন মাতানো গান দিয়ে দর্শকের মন আকৃষ্ট করে রাখে স্থানীয় শিল্পী নাজু, রানু নেওয়াজ, কৃষনা তিথি প্রেমা, অনব , রিয়া , জনি, কাজল, অনিক রাজ ও পারভেজ সোহেল । এছাড়াও কবিতা আবৃত্তি করেন জামান বাবু । পুরো আয়োজনটি প্রাণবন্ত করে রাখেন সঞ্চালক নওসিন এবং তাকে সহযোগীতা করেন শান্তনো। বিগত বছরে এনআরবিসি টিভির কার্যক্রম নিয়ে একটি প্রমান্য চিত্র দেখানো হয়। এই অনুষ্ঠানের অন্যতম প্রধান আয়োজক জলি আহমেদের মিডিয়ায় পথচলার উপর একটি বয়োগ্রাফি প্রদর্শন করা হয় । এনআরবিসি টিভি এবং তার মিডিয়া জীবন সম্পর্কে জলি আহমেদ বলেন "কঠোর পরিশ্রম ও সততার সঙ্গে কাজের প্রাপ্তি সকলের ভালোবাসা।” পুরো অনুষ্ঠান আয়োজনে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তারা হলে এজাজুল ইসলাম নাইম, জলি আহমেদ ও আরিফুল ইসলাম আরিফ । মনমাতানো গানের মুছনায় আর বাহারী বাঙ্গালীয়ানা খাবারের ডিনার শেষে সবাই খুব সুন্দর একটি সন্ধায় কাটিয়ে বাড়ি ফিরেন ।

post
এনআরবি চাকুরী

কর্মীর দক্ষতার প্রশ্নে কোন ছাড় দেয়া হবে না-প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

সহজ পদ্ধতিতে বিদেশে কর্মসংস্থান করতে চায় সরকার। একই সাথে সঠিক প্রশিক্ষণসহ অন্যান সমস্যার সমাধান করার বিষয়েও উদ্যোগ নিচ্ছেন নয়া প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান। এসব বিষয়ে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতেই মঙ্গলবার বৈঠক করেছেন বায়রা নেতৃবৃন্দ ও বোয়েসেলে’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে।সংশ্লিষ্টরা জানান,মঙ্গলবার সকালে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে প্রথমেই বায়রা নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান। মতবিনিময়ে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস-বায়রা নেতারা তুলে ধরেন সেক্টরের বিভিন্ন সমস্যার কথা। এসময়ে প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন,দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদেশে কর্মী পাঠাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে তার সরকার। তবে দক্ষতার প্রশ্নে কোন ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে দুপুরে বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেড-বোয়েসেল এর কর্যক্রম নিয়ে কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী। কর্মী পাঠানো সহজ করতে তাদের বেশ কিছু নির্দেশনা দেন তিনি। এসময়ে বিদেশে দক্ষ কর্মী পাঠাতে ও ভোগান্তি মুক্ত শ্রমশক্তি রপ্তানীতে সবার সহযোগিতা চান নতুন প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.