দই তৈরি হয় দুধ থেকে এবং এটি ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি-২, ভিটামিন বি -১২, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো বেশ কয়েকটি প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে ভরা। দইয়ের একটি সুবিধা হলো এটি হালকা এবং দুধের চেয়ে সহজে হজম হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক দই খাওয়ার উপকারিতা-
দই একটি দুর্দান্ত প্রোবায়োটিক । এই ভালো এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলো অন্ত্রের কার্যকলাপকে উন্নত করতে, স্ফীত পাচনতন্ত্রকে প্রশমিত করতে এবং পেট খারাপের সমস্যা দূর করতে পরিচিত।
দই খেলে তা রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং অন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখে। অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি দল দ্বারা পরিচালিত একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন ২০০ গ্রাম দই খেলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সাহায্য করে।
দই খেলে তা আমাদের ত্বকে ময়েশ্চারাইজিং প্রভাব ফেলে এবং এটি শুষ্ক ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে নিরাময় করে। কিছু নির্দিষ্ট গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার কারণে অনেকেই ব্রণের সমস্যায় ভোগেন। দই একটি অন্ত্রের কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে যা স্বাস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখে।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন (AHA) এর উচ্চ রক্তচাপ গবেষণা বৈজ্ঞানিক সেশনে উপস্থাপিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা বেশি চর্বিহীন দই খেয়েছেন তাদের উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় ৩১ শতাংশ কম। পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো পুষ্টির পাশাপাষি দইয়ের বিশেষ প্রোটিনগুলো উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং একটি স্বাস্থ্যকর হৃদপিণ্ডকে উন্নীত করতে সাহায্য করে।