post
অভিবাসন

মালয়েশিয়ার ‘মিনি ঢাকা’য় বাংলাদেশিসহ ৫ শতাধিক আটক

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের ‘মিনি ঢাকা’ খ্যাত কতোরায়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশিসহ ৫ শতাধিক বিদেশিকে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।বৃহস্পতিবার দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১ এক হাজার সদস্য অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। ‘মিনি ঢাকা’ খ্যাত কতোরায়ায় ব্যবসা পরিচালনাকারীরা স্থানীয়দের মতো ক্ষমতা দেখিয়ে প্রভাব বিস্তার করে- এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বিদেশিদের ওপর অভিযান চালানোর জন্য বেলা ১১টা থেকে এলাকাটি ঘিরে রাখে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী। পরে দুপুর ১টা পর্যন্ত অন্তত ৫০০ বিদেশিকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ, নেপাল ও মিয়ানমারসহ অনেক দেশের নাগরিক রয়েছেন। আকস্মিক অবরোধের কারণে পালাতে ব্যর্থ হন এসব বিদেশি নাগরিক। আটক সব বিদেশিকে ডকুমেন্ট পর্যালোচনার জন্য কুয়ালালামপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার-পুলাপোল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে যাচাই শেষে দোষীদের আদালতে প্রেরণ করা হবে। বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হবে।

post
অভিবাসন

রোমানিয়ায় বাংলাদেশীসহ ১০৭ অভিবাসী আটক

অবৈধভাবে হাঙ্গেরিতে প্রবেশের সময় রোমানিয়া সীমান্ত থেকে চার দিনে ১০৭ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির সীমান্ত পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে বাংলাদেশ, সিরিয়া, মিশর, ইরাক, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের নাগরিক রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, রোমানিয়ায় আসা নিয়মিত ও অনিয়মিত অভিবাসীরা পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে হাঙ্গেরিতে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ কারণে সবগুলো সীমান্তে কড়া নজরদারি রেখেছে ইউরোপের অবাধ চলাচলের অঞ্চল শেঙ্গেন জোনে প্রবেশে ইচ্ছুক দেশটি। এরই ধারাবাহিকতায় ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিচালিত বেশ কয়েকটি অভিযানে বিভিন্ন দেশের ১০৭ জন অভিবাসীর হাঙ্গেরিতে বেআইনি প্রবেশ ঠেকিয়ে দিয়েছে রোমানিয়া বর্ডার পুলিশ। সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার চেষ্টারত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়ে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

post
অভিবাসন

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশীসহ ৫৬ অভিবাসী আটক

মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যে একটি নির্মাণ সাইটে অভিযান চালিয়ে ১২ বাংলাদেশিসহ ৫৬ জন অভিবাসী কর্মীকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন বিভাগ। গতকাল বৃহস্পতিবার অপস মাহির নামে চালানো অভিযানে এসব প্রবাসী শ্রমিকদের আটক করা হয়। জোহর রাজ্যের ইমিগ্রেশন পরিচালক বাহারউদ্দিন তাহির জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযানে ৩১৮ জন দেশি-বিদেশি ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৫৬ জন অভিবাসী কর্মীকে আটক করা হয়েছে।শুক্রবার এক বিবৃতিতে তাহির বলেন, বৈধ পারমিট বা পাসপোর্ট ছাড়াই বিদেশি নাগরিকদের উপস্থিতির বিষয়ে স্থানীয় জনগণের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। আটকদের মধ্যে ১৩ জন চীনা নাগরিক, ১২ জন পাকিস্তানি, ১২ জন বাংলাদেশি, আটজন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক, সাতজন মিয়ানমারের নাগরিক, তিনজন ভারতীয় এবং একজন নেপালি। যাদের বয়স ২১ থেকে ৪৮ বছর। আটকরা অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৬(১)(সি) এবং ধারা ১৫(১) এর অধীনে প্রবিধান লঙ্ঘন করেছেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আটকদের সেটিয়া ট্রপিকা ইমিগ্রেশন ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানান তাহির।

post
অভিবাসন

প্রবাসীদের সচেতন করতে ব্যবস্থা নিচ্ছে মালদ্বীপ দূতাবাস

প্রবাসীদের সচেতন করতে নানা ব্যবস্থা নিচ্ছে মালদ্বীপ দূতাবাস। বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্স পাঠানোসহ নানা ইস্যুতে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।রোববার মালদ্বীপে নিযুক্ত হাইকমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল দেশটির কয়েকটি দ্বীপ এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় প্রবাসী কর্মীদের মধ্যে তথ্য সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়। সেইসঙ্গে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। এসময়ে তারা বেশি কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য ও নির্দেশনা দেন  প্রবাসীদের। প্রতিনিধি দলে মিশনের কাউন্সেলর ও হেড অব চেন্সারি মো. সোহেল পারভেজ,তৃতীয় সচিব চন্দন কুমার সাহা ও কল্যাণ সহকারী আল মামুন পাঠান সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। হাইকমিশনের প্রতিনিধি দলটি আড্ডু শহরের আশপাশের বাংলাদেশিদের বসবাসরত  আইল্যান্ডগুলো পরিদর্শন করে। এছাড়াও সফরকালে আড্ডু আইল্যান্ডে অবস্থিত আড্ডু ইকুয়াটোরিয়াল হাসপাতাল পরিদর্শন করে প্রতিনিধি দলটি। পরে হাসপাতালের পরিচালক ও সেখানে কর্মরত বাংলাদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করেন তারা।

post
অভিবাসন

মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার সময় বাকি ১৯ দিন

মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার সময় বাকি আর মাত্র ১৯ দিন। চলতি মাসের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে আবেদন। এর মধ্যেই বৈধতার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।দেশটির সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে বলা হয়েছে,যারা অবৈধ বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ দিচ্ছেন এবং নথিভুক্ত নিশ্চিত করতে প্রোগ্রামের সঙ্গে নিবন্ধন করার জন্য এগিয়ে আসবেন সেসব নিয়োগকর্তাদের জন্য ওয়ার্কফোর্স রিক্যালিব্রেশন কর্মসূচি একটি সুযোগ। ১২ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাসিক অধিবেশন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মালয়েশীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন। যারা নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন, তাদের নিয়োগকর্তাদের ইমিগ্রেশন কাউন্টারে কর্মীদের যাচাই প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন। এর আগে, মালয়েশিয়ার অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে গত ২৭ জানুয়ারি থেকে রিক্যালিব্রেশন কর্মসূচি শুরু হয়।

post
অভিবাসন

চলতি বছর ৩৬ হাজার অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া;জানা যায়নি বাংলাদেশীদের সংখ্যা

চলতি বছর প্রায় ৩৬ হাজার অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। তবে এদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি রয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।রাজধানী কুয়ালালামপুরের কোতারায়া কমপ্লেক্সে অভিযানকালে এ তথ্য জানান অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ। জুসোহ বলেন, এ বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৮০২ জন অবৈধ অভিবাসীকে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এছাড়া একই সময়ে দেশটিতে পরিচালিত ৯ হাজার ১৬৪টি অভিযানের মাধ্যমে এক লাখ তিন হাজার ১২৪ অভিবাসীর কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ৫৮ হাজার ৭৭৪ বিদেশি ও ২৮৯ নিয়োগকর্তাকে আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, পাকিস্তান, ফিলিপাইন ও চীনের শিশুসহ ২১৫ নারী ও ১১৫ পুরুষ রয়েছেন। আটক অনেকেই অস্থায়ী ভিজিট পাস ব্যবহার করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।

post
অভিবাসন

ভূমধ্যসাগরে অভিযানে দুর্দশাগ্রস্ত নৌকা থেকে ১৭৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার

ভূমধ্যসাগরে পৃথক তিনটি অভিযানে দুর্দশাগ্রস্ত নৌকা থেকে ১৭৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে বেসরকারি অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী সংস্থা এসওএস হিউম্যানিটির উদ্ধারকারী জাহাজ হিউম্যানিটি-১।ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় এই উদ্ধার অভিযানগুলো পরিচালনা করে সংস্থাটি। এদিন সন্ধ্যায় পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগরে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে আসা একটি ছোট কাঠের নৌকা দেখতে পায় উদ্ধারকারী জাহাজ হিউম্যানিটি-১৷ দুর্দশাগ্রস্ত ওই নৌকাটিতে ৪০ অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন। এটি ছিল, একই দিনে হিউম্যানিটি-১ এর তৃতীয় উদ্ধার অভিযান। এসওএস হিউম্যানিটি জানিয়েছে, সমুদ্রে বিপদগ্রস্ত ওই নৌকাটিতে ছিল না কোনো লাইফজ্যাকেট। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অনেকে হাইপোথার্মিয়ায় ভুগছিলেন। অনেকের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এর আগের দিন সাগরে একটি রাবারের ডিঙ্গি নৌকা থেকে ৯০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে নিরাপদে নিয়ে আসা হয় জাহাজে। এছাড়া একই সময় হিউম্যানিটি-১ এর দেখা পেয়ে ৪৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী নৌকা থেকে লাফিয়ে পড়েন ভূমধ্যসাগরে। পরে তাদের সবাইকে উদ্ধার করেন হিউম্যানিটি-১ এর নাবিকেরা। এসকল অভিবসান প্রত্যাশীদের মধ্যে কোন বাংলাদেশী আছে কিনা তা এখনো জানা যায়নি।

post
অভিবাসন

কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষ; গুলিতে নিহত ৪

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে দুই পক্ষের  সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন চার রোহিঙ্গা। মঙ্গলবার রাত ২টায় উখিয়া ১৭ নম্বর মধুর ছড়া ও জামতলি ১৫ নম্বর ক্যাম্পে পৃথকভাবে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় চার জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই বিষয়ে উখিয়া থানার ওসি তদন্ত নাছির উদ্দীন মজুমদার জানিয়েছেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাতে উখিয়া উখিয়া ১৭ নম্বর মধুর ছড়া ও জামতলি ১৫ নম্বর ক্যাম্পে মিয়ানমারের সংগঠন আরসা ও আরএসও  অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) সন্ত্রাসীদের গুলিতে (রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন- আরএসও সদস্য) ওই ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. আলীর ছেলে মো. জোবায়ের (১৬) ঘটনাস্থলে নিহত হন। ১৫ নম্বর ক্যাম্পের জি/৬ মো. শফির ছেলে আনোয়ার সাদেক (২৭) (আরএসও সদস্য), জি/৩ ব্লক এলাকার বাসিন্দা কামাল উদ্দিনের ছেলে জয়নাল উদ্দিন (২৮) ও জি/৭ সৈয়দুল বশরের ছেলে আয়াছ (১৮) গুলিবিদ্ধ হন। পরে আশপাশের রোহিঙ্গারা আহতদের উদ্ধার করে ক্যাম্পে থাকা এমএসএফ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আনোয়ার সাদেকের (২৭) মৃত্যু হয়। বাকিদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সন্ত্রাসীদের ধরতে চলছে পুলিশের অভিযান।

post
অভিবাসন

মালয়েশীয়ায় অনিয়মিতদের বৈধ হওয়ার শেষসময়, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর

মালয়েশিয়ায় অনিয়মিতদের বৈধতার আওতায় নিতে রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম শেষ হবে চলতি মাসের ৩১ ডিসেম্বর। এরই ধারাবাহিকতায় প্রবাসীদের দ্রুত পাসপোর্ট দিতে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় বিতরণের ঘোষণা দিয়েছে দেশটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। পাসপোর্ট ডেলিভারির জন্য পোস্ট অফিসের পাশাপাশি কুয়ালালামপুরের সিবিএল মানি ট্রান্সফার রেমিট্যান্স হাউস থেকে সরাসরি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা। মালয়েশিয়ায় বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পাঁচ দিন পাসপোর্ট বিতরণ করবে কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন। দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ সেবাদানের প্রতিশ্রুতি নিয়ে এ উদ্যোগ নিয়েছে মিশনের পাসপোর্ট বিভাগ। দূতাবাস সূত্রে জানা যায়,মালয়েশিয়ায় চলতি মাসে শেষ হচ্ছে অনিয়মিত অভিবাসীদের বৈধতার সুযোগ। চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া অবৈধ অভিবাসীদের বৈধকরণ কর্মসূচি ‘রিক্যালিব্রেশন টু পয়েন্ট জিরো শেষ হবে চলতি মাসের ৩১ ডিসেম্বর। এসময়ের মধ্যে যাতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের নাম নিবন্ধন করতে পারেন বা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন সেই লক্ষ্যে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পাসপোর্ট বিতরণ করা হবে। হাইকমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৭, ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর তিন দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কুয়ালালামপুরের সিবিএল মানি ট্রান্সফার রেমিট্যান্স হাউস থেকেও, সরাসরি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা। সরাসরি পাসপোর্ট সংগ্রহকারীদের আগামী ১২ থেকে ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এছাড়া ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের পাসপোর্ট সার্ভিস সেন্টার থেকে সরাসরি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা। এজন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে। এদিকে, পাসপোর্ট ডেলিভারির জন্য পোস্ট অফিসের সার্ভিসটিও একই সঙ্গে চালু থাকবে। তবে একই সঙ্গে দুই প্রকার সার্ভিসে অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে প্রবাসীদের অনুরোধ জানিয়েছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

post
অভিবাসন

প্রতি বছর ২ লাখ ৮০ হাজার অভিবাসী কর্মীর নেবে ইতালি

ইতালির শ্রমবাজারে ঘাটতি মেটানোর জন্য ২০৫০ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর অন্তত ২ লাখ ৮০ হাজার অভিবাসী কর্মীর প্রয়োজন হবে। এ তথ্য সম্প্রতি জানিয়েছে গবেষণা সংস্থা আইডিওএস সেন্টার অব স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ। সংস্থাটির জানানো অনুযায়ী, বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলে শ্রমবাজারে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। বিদেশি কর্মীদের বিষয়ে ইতালি সরকারের একগুঁয়েমি নীতির কারণে গত ১২ বছর ধরে অভিবাসীদের প্রবেশের পথ বন্ধ ছিল যা অর্থনীতিতে ঘাটতি সৃষ্টি করেছে। তবে ২০০৪-২০০৬ সালের মধ্যে বিদেশি নাগরিকদের ইতালির শ্রমবাজারে কাজ করার সুযোগ দিতে যে নীতি প্রণয়ন করেছিল সরকার, তার প্রশংসা করেছে আইডিওএস। নতুন নীতি অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ১ লাখ ৩৬ হাজার, ২০২৪ সালে ১ লাখ ৫১ হাজার এবং ২০২৫ সালে ১ লাখ ৬৫ হাজার অভিবাসীকে নিয়মিতভাবে ইতালি প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে। সংস্থাটি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অভিবাসীদের ইতালির সমাজে সমন্বয় করার জন্য। অনেক অভিবাসী কর্মী কম বেতনে ও ক্লান্তিকর কাজে নিয়োজিত হওয়া এবং ইতালীয় কর্মীদের তুলনায় তাদের দক্ষতা ও আয়ে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। আইডিওএস সেন্টার অব স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চের প্রেসিডেন্ট লুসা ডি সিউলোর মন্তব্য করেছেন, অভ্যন্তরীণ চাহিদা অনুযায়ী অভিবাসী কর্মীদের শ্রমবাজারে প্রবেশ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.