post
অভিবাসন

বিপুল বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ করবে গ্রিস

বাংলাদেশি পেশাজীবীরা পরিশ্রমী উল্লেখ করে গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ জেরাপেট্রাইটিস বলেছেন, গ্রিস আগামী দিনে তার কৃষি, পর্যটন, আতিথেয়তা এবং নির্মাণ খাতে প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ করবে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে গ্রিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে ‘আওয়ার ওশান কনফারেন্স’র নবম আসরে যোগদানের ফাঁকে বৈঠক করেন তারা। এথেন্সের ক্যালিথিয়ায় স্টাভরোস নিয়াকো ফাউন্ডেশন কালচারাল সেন্টারে আওয়ার ওশান কনফারেন্সের নবম আসরটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ঢাকায় গ্রিসের দূতাবাস স্থাপন, কৃষি খাতে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি, অভিবাসন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, নৌপরিবহন, জনশক্তি রপ্তানি, নবায়নযোগ্য এবং বিকল্প বিদ্যুৎ উৎপাদন অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির অঙ্গীকার করেন তারা। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা এবং চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন দুই মন্ত্রী। এ সময় গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানান হাছান মাহমুদ। তিনি তা গ্রহণ করেন এবং বলেন, ঢাকায় কূটনৈতিক মিশন খোলা গ্রিস সরকারের অগ্রাধিকারের অন্তর্ভুক্ত এবং ঢাকা সফর এই দূতাবাস উদ্বোধনের একটি ভালো সুযোগ হতে পারে। হাছান মাহমুদ গ্রিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে মানসম্পন্ন বাংলাদেশি পণ্য আমদানি সহজতর করা ও এ বিষয়ে গ্রিক ব্যবসায়ীদের উৎসাহদানের আহ্বান জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় অভিবাসন ও চলাচল বিষয়ে সমঝোতা স্মারকের আওতায় গ্রিসে ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশির বসবাসে বৈধতা প্রদানের জন্য গ্রিক সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং সমঝোতা স্মারকের দ্বিতীয় অংশ বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করেন ও উপযুক্ত কৌশল খোঁজার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। বাংলাদেশি পেশাজীবীরা পরিশ্রমী উল্লেখ করে গ্রিক মন্ত্রী বলেন, গ্রিস আগামী দিনে তার কৃষি, পর্যটন, আতিথেয়তা এবং নির্মাণ খাতে প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ করবে। পাশাপাশি নৌপরিবহন খাতে দুই দেশের মধ্যে অর্থপূর্ণ সহযোগিতা পরস্পরের পরিপূরক হিসেবে বর্ণনা করে সহযোগিতার জন্য প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো প্রণয়নেও একমত হন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

post
অভিবাসন

ফ্রি ভিসায় সৌদি গিয়ে কর্মহীন বহু বাংলাদেশি

সৌদি আরবে গিয়ে কাজ পাচ্ছেন না প্রবাসীরা। মূলত তিনটি কারণে এ সঙ্কট। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিপদে আছেন যারা আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে পাওয়া ফ্রি ভিসায় সৌদি গেছেন। আবার যারা কাজ পাচ্ছেন তাদের বেতন এতোটাই কম যে জীবন যাপনই কঠিন হয়ে পড়েছে। জনশক্তি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক হাজার রিয়াল বা ৩৫ হাজার টাকার নিচে কোন কর্মীকে সৌদি পাঠানো ঠিক নয়। এই বিজ্ঞাপনে ৫০০ রিয়াল ১৭ হাজার টাকা বেতনে চাকরির জন্য সৌদিতে কর্মী খোজা হচ্ছে। কিন্তু একজন কর্মীর সৌদিতে নিজে থাকা খাওয়ার জন্য এই টাকা যথেষ্ট নয়। তারপরও অনেকেই ওভারটাইম ব্যক্তিগত সহায়তা এইসব বিষয়ের ওপর নির্ভর করে সৌদি যান। কিন্তু দিন শেষে নিজের বা পরিবারের জন্য কিছুই থাকে না। আবার কোম্পানি ভিসায় গিয়ে কাজ না পাবার অভিযোগ রয়েছে অনেক সৌদি প্রবাসীর। অথচ যাবার জন্য খরচ হয়েছে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা বায়রা'র সেক্রেটারি জেনারেল আলী হায়দার চৌধুরী, ৪০০ বা ৬০০ রিয়ালের বেতনে লোন না পাঠানো উচিত। ব্যক্তিগতভাবে পাঠানো ও ফ্রি ভিসা বন্ধ করা উচিত।মূলত সৌদি করন নীতির কারণে ১৬ পেশায় কাজ করতে পারে না বাংলাদেশিরা। কিন্তু বিষয়টি জেনেও প্রতিদিনই কয়েকশ কর্মী যাচ্ছে সৌদিতে। বায়রা'র জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ ফকরুল ইসলাম বলেন, কোম্পানিগুলো লোক নিয়ে তারা থার্ড পার্টির কাছে দেয়। এখন থার্ড পার্টির সাথে তাদের চুক্তি যদি সময়মতো না করতে পারে এবং সময়মতো লোক না দিতে পারে অথবা তাদের কাছে কাজ না থাকতে পারে, এই লোকগুলো নিয়েই মূলত সমস্যা হচ্ছে। জনশক্তি বিশেষজ্ঞ হাসান আহমেদ বলেন, আমাদের কর্মীরা আগে মোবাইলের দোকানে, কাপড়ের দোকানে এবং বিভিন্ন ছোট ছোট দোকানে কাজ করতে পারতো। সেখানে কিন্তু আমাদের কর্মীরা এখন কাজ করতে পারছে না। তারা যে আশা নিয়ে সৌদি যাচ্ছে, সে আশা দূরের কথা তারা যে অর্থ ব্যয় করে যাচ্ছে সে অর্থ তারা আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে তুলতে পারবে কিনা সেটিই চিন্তার জায়গা তৈরি করেছে। এই বছরের প্রথম দুই মাসে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে সর্বাধিক অভিযোগ করেছেন সৌদি প্রবাসীরা।

post
অভিবাসন

ফ্রান্সের আশ্রয় আদালতে সবচেয়ে বেশি আবেদন বাংলাদেশি অভিবাসীদের

ফ্রান্সের আশ্রয় আদালতে সবচেয়ে বেশি আবেদন করেছে বাংলাদেশি অভিবাসীরা। সম্প্রতি ২০২৩ সালের পূর্ণাঙ্গ আশ্রয় পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে ফরাসি জাতীয় আশ্রয় আদালত-সিএনডিএ। দেশটিতে আশ্রয় পেতে মোট আট হাজার ১২১ জন বাংলাদেশি আদালতে আপিল দায়ের করেছিলেন বলে জানিয়েছে আদালতের জনসংযোগ বিভাগ। প্রতি বছরই ইউরোপ, উত্তর আমেরিকাসহ পশ্চিমের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন অনেক বাংলাদেশি নাগরিক। তবে ২০২৩ সালে ইউরোপে এমন আবেদনের সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। সম্প্রতি ২০২৩ সালের পূর্ণাঙ্গ আশ্রয় পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে ফরাসি জাতীয় আশ্রয় আদালত-সিএনডিএ। প্রাথমিকভাবে প্রত্যাখ্যাত আশ্রয় আবেদনের বিপরীতে মোট আট হাজার ১২১ জন বাংলাদেশি আশ্রয়প্রার্থী আশ্রয় আদালতে আপিল দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছে আদালতের জনসংযোগ বিভাগ। আদালত প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে আশ্রয় আদালতে মোট ৬৪ হাজার ৬৮৫টি আপিল আবেদন জমা হয়েছে, যা ২০২২ সালের তুলনায় পাঁচ শতাংশ বেশি। তবে একই সময়ে আদালত গত বছরের আবেদনসহ মোট ৬৬ হাজার ৩৫৮টি আবেদন নিষ্পত্তি করেছে। বিপুল সংখ্যক আবেদনের মধ্যে সর্বোচ্চ আট হাজার ১২৫টি আপিল আবেদন জমা করেছেন বাংলাদেশিরা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাত হাজার চারটি আবেদন করেছেন তুরস্কের আশ্রয়প্রার্থীরা। এছাড়া পাঁচ হাজার ৪৯৬টি আবেদন নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে আফগান আশ্রয়প্রার্থীরা। ২০২৩ সালে মোট ১৩ হাজার ৬০৬ জন ব্যক্তি জাতীয় আশ্রয় আদালত থেকে শরণার্থী মর্যাদা অথবা সাবসিডিয়ারি প্রটেকশন পেয়েছেন, যা সিদ্ধান্ত দেওয়া মোট আবেদনের প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ। আদালতে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত পাওয়ার দিক দিয়ে শীর্ষে আছে সিরিয়া, ইরান এবং ইউক্রেন থেকে আসা আশ্রয়প্রার্থীরা। এদিকে, গত বছর আট হাজার ১২৫ জন বাংলাদেশি আশ্রয়প্রার্থী সিএনডিএ তে আপিল আবেদন করলেও সিদ্ধান্ত পেয়েছেন ছয় হাজার ১৬৮ জন ব্যক্তি। আর তাদের মধ্যে সুরক্ষা পেয়েছেন ৬৯০ জন আশ্রয়প্রার্থী। অর্থাৎ মাত্র ১১ দশমিক ২ শতাংশ ব্যক্তি রিফিউজি স্ট্যাটাস অথবা সাবসিডিয়ারি প্রটেকশন পেয়েছেন।

post
অভিবাসন

২৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যের অভিবাসন বিভাগ ২৯ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। বুধবার রাজ্যের জোহর বাহরু পেকান নেনাস ইমিগ্রেশন ডিপো থেকে তাদের সরাসরি কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। সবাইকে ইমিগ্রেশন আইন ও ইমিগ্রেশন রেগুলেশন এর পাশাপাশি অন্যান্য এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি আইনের অধীনে অপরাধের সাজা শেষে নিজ খরচে দেশে পাঠানো হয়। এর আগে ২০ মার্চ সাজা শেষে নিজ খরচে,একই ইমিগ্রেশন ডিপো থেকে ৩৯ প্রবাসী বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে রাজ্যের ইমিগ্রেশন বিভাগ। ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে, ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অপরাধের মাত্রার ওপর নির্ভর করে তাদের পাঁচ বছর বা স্থায়ীভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

post
অভিবাসন

লিবিয়া থেকে গ্রিসে এক হাজার ১৮০ অভিবাসী

চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে মার্চ পর্যন্ত লিবিয়া উপকূল থেকে গ্রিসের গাভদোস দ্বীপে পৌঁছেছেন এক হাজার ১৮০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী। তারা বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও মিশরের নাগরিক বলে নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার-ইউএনএইচসিআর। একই সময় গত বছরে দ্বীপটিতে আসা অভিবাসীদের সংখ্যা ছিল শূন্য। ছোট্ট দ্বীপ গাবদোস হঠাৎ করে সমুদ্র পথে আসা অনিয়মিত অভিবাসীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যেখানে বছরজুড়ে বাস করা স্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যা মাত্র ৭০ জন। অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি হয়ত গ্রিসের লাম্পেদুসা হয়ে উঠতে পারে। লিবিয়ার তব্রুক শহর থেকে এই ইউরোপীয় দ্বীপের দূরত্ব মাত্র ১৮০ কিলোমিটার। দ্বীপটির প্রধান চ্যালেঞ্জ আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কোনো অভ্যর্থনা অবকাঠামো নেই। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে এক হাজার ১৮৬ জন মিশরীয়, পাকিস্তানি এবং বাংলাদেশি এই ছোট্ট দ্বীপটিতে এসেছেন।

post
অভিবাসন

কাতারে ফেনী সমিতির ইফতার

কাতারে রোজাদার প্রবাসীদের সম্মানে ইফতার মাহফিল করেছে ‘ফেনী সমিতি কাতার’।দেশটির রাজধানী দোহার ফিরোজ আবদুল আজিজ ঘরোয়া রেস্টুরেন্টে এ আয়োজন করা হয়। সংগঠনের সভাপতি শহীদুল্লাহ হায়দারের সভাপতিতে অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন আহবায়ক এবিএম দিদারুল আলম আরজু। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো:নজরুল ইসলাম। তৌহিদুল ইসলাম রাসেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিসিকিউর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইন্জিনিয়ার আনোয়ার হোসেন আকন,কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব এসএম ফরিদুল হক,বিমান কান্ট্রি ম্যানেজার কামাল উদ্দিন ও সি.আই.পি জালাল আহমেদসহ অনেকে।

post
অভিবাসন

কালো তালিকাভুক্ত হয়ে দেশে ফিরলেন ৩৯ প্রবাসী

মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যের অভিবাসন বিভাগ ৩৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে। গতকাল বুধবার রাজ্যের জোহর বাহরু পেকান নেনাস ইমিগ্রেশন ডিপো থেকে তাদের সরাসরি কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়।সবাইকে ইমিগ্রেশন আইন-১৯৫৯/৬৩ ও ইমিগ্রেশন রেগুলেশন-১৯৬৩ এর পাশাপাশি অন্যান্য এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি আইনের অধীনে অপরাধের সাজা শেষে নিজ খরচে দেশে পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের ডিপার্টমেন্টের সিস্টেমে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অপরাধের মাত্রার ওপর নির্ভর করে তাদেরকে পাঁচ বছর বা চিরতরে মালয়েশিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

post
অভিবাসন

কানাডা তিন বছরে অস্থায়ী বাসিন্দা ৫ শতাংশ কমাতে চায়

স্থায়ী অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে কানাডা আগামী তিন বছরে অস্থায়ী বাসিন্দা ৫ শতাংশ কমিয়ে আনতে চায়। বর্তমানে কানাডার মোট জনসংখ্যার ৬.২ শতাংশ হচ্ছে অস্থায়ী বাসিন্দা। তাদের স্থায়ীভাবে বসবাস করার কোনো অনুমোদন নেই কিন্তু অস্থায়ীভাবে কাজ করার অনুমোদন রয়েছে। অস্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ২.৬ শতাংশ অর্থাৎ ২.৫ মিলিয়ন। আগামী তিন বছরে এটিকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নিয়ে আসা হলে ২০২৭ সালের মধ্যে অস্থায়ী বাসিন্দা পাঁচ লাখ কমে যাবে। কানাডার রাজধানী অটোয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মার্ক মিলার। কানাডার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেশে অস্থায়ী বাসিন্দা কমানো এবং এবং স্থায়ী অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে কানাডার কেন্দ্রীয় সরকার।মন্ত্রী জানান, অস্থায়ী বাসিন্দাদের ২.৬ শতাংশের মধ্যে ৪২ শতাংশ হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট, ৯ শতাংশ অস্থায়ী বিদেশি কর্মী আন্ডার টেম্পোরারি ফরেন ওয়ার্কার প্রোগ্রাম, ৪৪ শতাংশ টেম্পরারি ওয়ার্কার আন্ডার ইন্টারন্যাশনাল মবিলিটি প্রোগ্রাম, ২৬ শতাংশ পোস্ট গ্যাজুয়েট ওয়ার্ক পারমিট হোল্ডার এবং ৯ শতাংশ হচ্ছে স্পাউস অব স্টুডেন্ট। ১০ শতাংশ বিনিময় চুক্তি এবং ১২ শতাংশ হচ্ছে স্পাউজ অফ স্কিল ওয়ার্কার, ২৬ শতাংশ বিভিন্ন হিউম্যানিটি প্রোগ্রাম এবং ৫ শতাংশ অ্যাসাইলাম প্রোগ্রাম। সংবাদ সম্মেলনে মিলার জানান, বর্তমানে কানাডায় অস্থায়ী বাসিন্দা রয়েছেন ২৫ লাখ। গত ২০২৩ সালে তাদের মধ্য থেকে শতকরা ৬ দশমিক ৫ শতাংশকে কমানো হয়েছে, আগামী ৩ বছরও এই ধারা অব্যাহত থাকবে এবং প্রতি বছর ৫ শতাংশ করে কমানো হবে অস্থায়ী বাসিন্দাদের সংখ্যা। স্থায়ী অভিবাসনের জন্য আবেদনের অনুমোদনেও নিয়ন্ত্রণ আসবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন মার্ক মিলার। তবে এই নিয়ন্ত্রণের হার কেমন হবে— সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি মন্ত্রী। তবে তিনি বলেছেন, সরকারের প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুসারে আগামী ২০২৫ সাল পর্যন্ত থাকবে এই নিয়ন্ত্রণ। প্রসঙ্গত, উন্নত জীবনযাত্রা ও সহজ অভিবাসন নিয়ম-কানুনের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিবাসনপ্রত্যাশীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে কানাডা। দেশটির সরকারও সবসময় অভিবাসীদের স্বাগত জানিয়ে আসছে। কিন্তু গত কয়েক বছরে রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসী এসেছে দেশটিতে। এতে ব্যাপক সংকট শুরু হয়েছে দেশটির আবাসন ও নাগরিক পরিষেবা খাতে। দিন দিন এই সংকট তীব্র হচ্ছে, ফলে চাপ বাড়ছে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং তার নেতৃত্বাধীন সরকারের ওপর। সংবাদ সম্মেলনে মার্ক মিলার বলেন, ‘আমরা দেশে অভিবাসীদের আগমন সহনীয় মাত্রায় রাখতে চাই। আবাসন ও অন্যান্য পরিষেবা ইস্যুতে নাগরিকদের যে ভোগান্তি শুরু হয়েছে- তার নিরসন চাই। এ কারণেই এ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী মে মাস থেকে এটির বাস্তবায়ন শুরু হবে।’ এর আগে জানুয়ারি মাসে বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং স্নাতক শেষ হয়ে যাওয়ার পরও যেসব শিক্ষার্থী কানাডায় অবস্থান করছেন, তাদের ওয়ার্ক পারমিট বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিল কানাডার কেন্দ্রীয় সরকার। অভিবাসন মন্ত্রীর এ ঘোষণার পর অনেক অস্থায়ী বাসিন্দাদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই শঙ্কায় রয়েছেন কখন তাদের চলে যেতে হয়। অন্যদিকে ভিজিটর ভিসায় এসে যারা অ্যাসাইলাম প্রোগ্রামে আবেদন করেছেন তাঁরাও এক ধরনের উৎকণ্ঠায় দিনযাপন করছেন। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগেরিতে মাস্টার্সে অধ্যায়নরত বাংলাদেশি ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট নাঈম উল হাসান এ সম্পর্কে সমকালকে বলেন, সম্প্রতি আবাসন সংকট প্রকট আকার ধারণ করার পাশাপাশি জীবনযাত্রার মান ও টিউশন ফি বেড়ে যাওয়ায় ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে যাচ্ছে। এর মাঝে কানাডিয়ান সরকারের এমন সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে কানাডাতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী নতুন শিক্ষার্থীদের নিরুৎসাহিত করবে। 

post
অভিবাসন

টেক্সাসে অভিবাসী আইন শীতলীকরণ আদালতের

অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী সীমান্ত পারাপারকে অবৈধ ও কারাভোগের মতো অপরাধ। এই আইন আধুনিক যুগে মার্কিন সিনেটে পাস হওয়া সবচেয়ে কঠোর অভিবাসী আইনটি শীতলীকরণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আপিল আদালত। টেক্সাসে অবৈধভাবে প্রবেশের ঢেউ ঠেকাতে গত বছর টেক্সাসের আইনসভা দ্বারা পাস করা হয়েছিল এসবি৪ নামক এই আইন। আইনটি জাতিগত সংক্ষিপ্তকরণের দিকে ঠেলে দেবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। অবৈধ অভিবাসন বৃদ্ধি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিষয়টি কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করছেন, তা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই উক্ত আইন প্রণয়নের খবর সামনে আসে। টেক্সাসের নতুন এই পদক্ষেপ কিছুটা বিতর্কিত। কারণ এর আগে মার্কিন আদালত এক রায়ে জানিয়েছিলেন, শুধু যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারই অভিবাসন আইন প্রয়োগ করতে পারবে। এসবি৪ অনুমোদন দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর আপিল শুনানিতে এমন রায় দেওয়া হয়। এসবি৪ নামের আইনটির মাধ্যমে যেসব অভিবাসী আনঅথোরাইজড বা অনুমোদনহীন তাদের আটক ও বিচার করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল টেক্সাসের কর্মকর্তাদের। এই আইনের অধীনে যেসব অভিবাসীকে বের করে দেওয়া হয়েছে তাদের গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে মেক্সিকো। আইনটিকে অসাংবিধানিক আখ্যায়িত করে এর বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়া ফেডারেল অপরাধ। তবে এই অপরাধ বর্তমানে অভিবাসন আদালত ব্যবস্থায় দেওয়ানি মামলা হিসেবে পরিচালিত হয়। আগামী বছরের মার্চ থেকে এই আইন কার্যকর হবে। এ বছরের নভেম্বরে টেক্সাসের রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন আইনসভার উভয় হাউসেই এই আইন পাস হয়। যদি এই আইনটি কার্যকর হতো তাহলে কিভাবে অভিবাসী বিষয়ক আইন প্রয়োগ করা হতো এবং তাতে বড়রকমের একটি পরিবর্তন দেখা দিত। এর আগে আদালত রায়ে বলেন, শুধু কেন্দ্রীয় সরকারই দেশে অভিবাসন বিষয়ক আইন প্রয়োগ করতে পারে। সেটা কোনো রাজ্য নিজেরা করতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত বেআইনিভাবে অতিক্রম করা একটি ফেডারেল অপরাধ হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু যারা সীমান্ত অতিক্রম করে ফেলেন বা এ নিয়ম লঙ্ঘন করেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিবাসন বিষয়ক আদালতের মাধ্যমে দেওয়ানি বা সিভিল মামলা হয়। কিন্তু এসবি৪-এর অধীনে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে টেক্সাসে প্রবেশের কারণে ২০ বছর পর্যন্ত জেলের বিধান রাখা হয়। আইনটি অল্প সময়ের জন্য কার্যকর হয়েছিল। এখন আদালতের আদেশে তা বন্ধ হয়ে গেছে। ওদিকে এসবি৪ এর অধীনে টেক্সাস যেসব অভিবাসীকে বের করে দেবে, তাদের গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে মেক্সিকো। এর আগে এসবি৪ আইনকে অভিবাসীবিরোধী আখ্যায়িত করে এর কড়া সমালোচনা করে মেক্সিকোর কর্মকর্তারা। তারা সতর্ক করেন- এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক জটিল করে তুলতে পারে। একই কথার প্রতিধ্বনি তোলে যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য। এসবি৪ আইন রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে অননুমোদিত অভিবাসনকে অপরাধী করে তোলে। ইতিমধ্যেই এ আইনকে ফেডারেল অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এটি অবৈধদের পুনঃপ্রবেশের জন্য একটি রাষ্ট্রীয় অপরাধমূলক অভিযোগও তৈরি করেছে।

post
অভিবাসন

মালয়েশিয়ায় ১৯ বাংলাদেশিসহ আটক ১৩৭

মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ দেশটির জোহর বারু এলাকায় নির্মাণাধীন একটি স্থাপনায় অভিযান চালিয়ে ১৯ বাংলাদেশিসহ ১৩৭ জন বিভিন্ন দেশের অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে। ওই এলাকায় অনেক অভিবাসীর উপস্থিতি সম্পর্কে জনসাধারণের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছে অভিবাসন বিভাগ। ২২ মার্চ (শুক্রবার) দেশটির ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য স্টারের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। জোহর বারুর অভিবাসন বিভাগের পরিচালক বাহারুদ্দিন তাহির বলেছেন, মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় শুক্রবার ১২টা ৩৮ মিনিটের দিকে জায়া পুত্র এলাকায় অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে বাহারুদ্দিন তাহির বলেছেন, এই অভিবাসীরা ১২টি ‘‘রুমাহ কংসির’’ ভেতরে বসবাস করছিলেন; যেখানে ২০০টি কক্ষ রয়েছে। আমাদের আইন প্রয়োগকারী কর্মীরা এসব কক্ষে তল্লাশি চালিয়েছে। তিনি বলেন, সেখানে অভিযানের সময় ২১৯ জনের মতো অভিবাসী ও একজন স্থানীয় বাসিন্দাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের মধ্যে ১৩৭ জন অভিবাসন সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। বাহারুদ্দিন তাহির আরও বলেন, আটককৃতদের মধ্যে ৯৮ জন ইন্দোনেশীয়, ১৭ জন বাংলাদেশি, ১৬ জন মিয়ানমারের, দুই ভিয়েতনামি ও দুই পাকিস্তানি নাগরিক রয়েছেন। তিনি বলেছেন, অবৈধ এই অভিবাসীদের মধ্যে ২০ জন নারী। আটককৃতদের সবার বয়স ১৮ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে। বিস্তারিত তদন্তের জন্য এই অভিবাসীদের বর্তমানে সেটিয়া ট্রপিকা ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.