post
অভিবাসন

মার্কিন নাগরিকদের অবৈধ অভিবাসী স্বামী বা স্ত্রীরা পাচ্ছেন কাজের অনুমতি

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের অবৈধ অভিবাসী স্বামী বা স্ত্রীদের কাজের অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসন। আগামী নভেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে ডেমোক্র্যাটরা এই সাহসী পদক্ষেপের পরিকল্পনা নিয়েছে। হোয়াইট হাউস মার্কিন নাগরিকদের সঙ্গে বিবাহিত অবৈধ অভিবাসীদের অস্থায়ী আইনি মর্যাদা এবং কাজের অনুমতি দেওয়ার বিষয়গুলো বিবেচনা করছে বলে সোমবার (২২ এপ্রিল) মার্কিন গণমাধ্যমগুলো এ খবর জানিয়েছে।ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতা এবং অ্যাডভোকেসি গ্রুপগুলো প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অবৈধ সীমান্ত ক্রসিং হ্রাস করার জন্য নির্বাহী পদক্ষেপগুলো বিবেচনা করার সঙ্গে সঙ্গে এ পদক্ষেপ নিতে চাপ দিচ্ছে। আগামী নির্বাচনে অভিবাসন সমস্যা একটি গুরুক্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। কারণ গত নির্বাচনের আগে বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি ইমিগ্রেশন সমস্যার সমাধান করবেন। কিন্তু রিপাবলিকানদের বিরোধিতার কারণে তিনি কিছুই করতে পারেননি। নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প বলেন, বাইডেনের কম বিধিনিষেধমূলক নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসন বেড়েছে। হোয়াইট হাউস সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসীদের প্রবেশ থামানোর জন্য নির্বাহী পদক্ষেপের সম্ভাবনা বিবেচনা করেছে কিন্তু বাস্তবায়ন করছে না। বাইডেন প্রশাসন মার্কিন নাগরিকদের স্ত্রীদের জন্য ‘প্যারোল ইন প্লেস’-এর সম্ভাব্য ব্যবহারও পরীক্ষা করেছে বলে সূত্র জানিয়েছে। কেউ কেউ এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনার অনুরোধ জানিয়েছে। অনেকেই বলেছেন, অস্থায়ী আইনি মর্যাদা, ওয়ার্ক পারমিটের অ্যাক্সেস নাগরিকত্বের সম্ভাব্য পথ প্রদান করবে। হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র বলেন, প্রশাসন সম্ভাব্য নীতির বিকল্পগুলো ক্রমাগত মূল্যায়ন করছে, তবে নির্দিষ্ট পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা নিশ্চিত করতে অস্বীকার করেছে। মুখপাত্র আরও বলেন, যারা প্যারোল ইন প্লেস পাওয়ার যোগ্য তারা এটি দ্রুত পাবেন। বাইডেন প্রশাসন একটি অভিবাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা ন্যায্য এবং আরও মানবিক। ইমিগ্রেশন অ্যাডভোকেসি সংস্থার তথ্য অনুসারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আনুমানিক ১ দশমিক ১ মিলিয়ন অবৈধ অভিবাসী মার্কিন নাগরিকে বিয়ে করেছেন। ৮৬ জন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা গত বছর প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি আলেজান্দ্রো মেয়রকাসের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল, যাতে তারা মার্কিন নাগরিকদের স্ত্রীদের রক্ষা করতে এবং বিদেশে বসবাসকারী মার্কিন নাগরিকদের স্ত্রীদের জন্য একটি পারিবারিক পুনর্মিলন প্রক্রিয়া তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছিল।

post
অভিবাসন

মোতালিব সিআইপিকে মক্কায় সংবর্ধনা

চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য ও বনফুল গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ মোতালিব সিআইপিকে সৌদি আরবের মক্কায় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। মক্কা আওয়ামী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে স্থানীয় একটি হোটেলে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়। সংগঠনের সভাপতি মোঃ মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারন সম্পাদক বেলাল হোসাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, মক্কা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি হাবীব উল্লাহ সওদাগর ও সৌদি আরব কৃষক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান জুয়েল। এসময়ে রেমিটেন্সযোদ্ধা এম এ মোতালিব বলেন, প্রবাসীরা বাংলাদেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি। তাই তাদের দুঃখ দুর্দশা সরকারকেই দেখতে হবে।

post
অভিবাসন

অভিবাসী প্রত্যাবর্তন নিয়ে আগ্রহ নেই

অভিবাসী প্রত্যাবর্তন নিয়ে আইরিশ সরকারের সাথে কোন চুক্তির বিষয়ে তার সরকারের কোন আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। এদিকে,সাম্প্রতিক সময়ে আয়ারল্যান্ডের এসাইলাম আবেদনকারীর প্রায় ৮০ শতাংশ যুক্তরাজ্য থেকে নর্দান আয়ারল্যান্ড হয়ে আয়ারল্যান্ড এ প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন আইরিশ বিচারমন্ত্রী হেলেন ম্যাক্এন্টি। তার সরকার এসব এসাইলাম আবেদনকারীদের যুক্তরাজ্যে ফেরত পাঠাতে এ সপ্তাহের মধ্যে একটি আইনি খসড়া প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছেন বিচারমন্ত্রী। ঋষি সুনাক বলেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ ফ্রান্স হয়ে যে সকল অভিবাসী বেআইনি পন্থায় যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করে, ইউরোপ কখনো তাদের ফেরত নেয়নি। তাই তার দেশ যুক্তরাজ্য কখনো ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরেক সদস্য দেশ রিপাবলিক অফ আয়ারল্যান্ড থেকে যুক্তরাজ্য হতে বেআইনি পন্থায় আয়ারল্যান্ড প্রবেশকারীদের ফেরত নেবার বিষয়ে আগ্রহী নয়। বৃটিশ হোম সেক্রেটারি জেমস্ ক্লেভার্লির সাথে আইরিশ বিচারমন্ত্রী হেলেন ম্যাক্এন্টির সাথে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে বৃটিশ সরকারের পক্ষ হতে বৈঠকটি বাতিল করা হয়। এর জেরে আইরিশ বিচারমন্ত্রী হেলেন ম্যাক্এন্টি লন্ডনে অনুষ্ঠিত বৃটিশ আইরিশ ইন্টারগভর্নমেন্টাল কনফারেন্স থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন।

post
অভিবাসন

শিঘ্রই রুয়ান্ডায় যাচ্ছে অভিবাসন প্রত্যাশিরা

কয়েক দিনের মধ্যেই অভিবাসন প্রত্যাশিদের নিয়ে প্রথম উড়োজাহাজ রুয়ান্ডায় যাত্রা করবে বলে জানিয়েছে বৃটেনের হোম অফিস। রুয়ান্ডা নিয়ে যাওয়ার জন্য কিছু অভিবাসন প্রত্যাশীকে ডিটেনশন সেন্টারে নেয়া হয়েছে- এমন খবর প্রকাশের পর হোম অফিস থেকে এর সত্যতা স্বীকার করেছে। জানিয়েছে, ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ব্রিটেনে আসা অভিবাসন প্রত্যাশিদের রুয়ান্ডা পাঠানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। গ্লাসগো ভিত্তিক আইনজীবি আমের আনোয়ার বলেছেন, সোমবার থেকে অভিবাসন প্রত্যাশিদের ডিটেনশন সেন্টারে নেয়া হবে বলে তাকে জানানো হয়েছে। গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছিলেন, দশ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে অভিবাসন প্রত্যাশিদের রুয়ান্ডা পাঠানো শুরু হবে। এ বিষয়ে নিজের দৃঢ় অবস্থানের কথাও জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। হোম অফিসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারই ধারাবাহিকতায় ডিটেনশন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। তিনি বললেন, এ মুহুর্তে সামগ্রিক কর্ম অগ্রগতি সম্পর্কে না বলাই ভালো।

post
অভিবাসন

পাঁচ অভিবাসী নিহত: তিন ব্যক্তি আটক

মঙ্গলবার ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা থেকে পরে পাঁচ অভিবাসন প্রত্যাশি নিহত হওয়ার ঘটনায় তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইউকে ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে। মানব পাচারের সাথে জড়িত এক ব্যক্তি ডিটেনসনে নিয়ে জিজ্ঞাবাদ করেছে পুলিশ। বাকি তিনজনকেও জিজ্ঞাবাদ করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। জানা যায়, ফ্রান্সের কেলি থেকে নৌকাযোগে প্রায় ১১২ জন অভিবাসন প্রত্যাশি ইংলিশ চ্যানেলে নেমে পড়লে, সাত বছর বয়সী এক মেয়েসহ পাঁচ জন নিহত হন। গ্রেফতারকৃতরা এ ঘটনার সাথে যুক্ত ছিলো বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেই আভাস পাওয়ার তথ্যও জানিয়েছে পুলিশ।

post
অভিবাসন

ইউরোপের সবথেকে সহজ অভিবাসনের সুযোগ পর্তুগালে

ইউরোপের সবথেকে সহজ অভিবাসনের সুযোগ পর্তুগালে। অন্যান্য দেশের তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি কম থাকায় পছন্দের তালিকায় শীর্ষে স্থান পেয়েছে দেশটি। বর্তমানে পর্তুগালে ব্যবসাখাতে তৈরী হচ্ছে বাংলাদেশি উদ্যোক্তা। এদিকে, দেশটিতে যেতে প্রতারিত হওয়ার সংখ্যাও কম নয়। অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সোস্যাল মিডিয়ায় ভূল তথ্যের কারণে এ সংখ্যা বাড়ছে।ইউরোপের সবচেয়ে পুরনো দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম পর্তুগাল। দেশটিতে বৈধ অবৈধ মিলিয়ে বসবাস করছেন প্রায় ৬০ হাজার বাংলাদেশি। বর্তমানে অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে পাল্লা দিয়ে শিক্ষার্থী বাড়ছে পর্তুগালে। টিউশন ফি কম হওয়ায় আগ্রহটাও বাড়ছে উচ্চ শিক্ষায়। দেশটিতে বৈধ হোক আর অবৈধ হোক, সবার জন্যই সুযোগ রয়েছে। ব্যবসা খাতে বাড়ছে বাংলাদেশি নতুন উদ্যক্তা। সম্প্রতি পর্তুগালে যেতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেক বাংলাদেশি। অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সোস্যাল মিডিয়ার ভূল তথ্যের কারণে এ সংকট তৈরী হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির সরকারী ওয়েবসাইটে তথ্য নিয়ে নিজে নিজে ভিসার জন্য আবেদনের পরামর্শ তাদের।

post
অভিবাসন

১৭ বাংলাদেশি বন্দিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া

বিভিন্ন সময় আটক করা ১৭ বাংলাদেশি বন্দিকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। সাজা শেষ হওয়ার পর তাদের দেশে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির জোহর রাজ্যের অভিবাসন বিভাগ। রাজ্যের অভিবাসন বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, পেকান নেনাস অভিবাসন বিভাগের বন্দিশিবির থেকে ২১ এপ্রিল সরাসরি কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বন্দি ১৭ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত ১৮ এপ্রিল ভারত, ফিলিপিন ও পাকিস্তানের আরও ২৫ জনকে একইভাবে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়। সেই সঙ্গে তারা যেন ফের মালয়েশিয়ায় প্রবেশে করতে না পারে সেজন্য তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হয়।

post
অভিবাসন

অভিবাসন নিয়ে কোনো অভিযোগ এলেই ব্যবস্থা: শফিকুর রহমান চৌধুরী

অভিবাসন নিয়ে কোনো অভিযোগ এলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন,যেখানেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে,তা সমাধানে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। বিপদগ্রস্ত প্রবাসীদের সুবিধা নিশ্চিত করতে তৎপরতা অব্যাহত আছে। এসময় তিনি মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের অভিযোগ নিয়ে বলেন, সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং তা পর্যালোচনা করছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। রোববার মন্ত্রনালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

post
অভিবাসন

মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশিসহ ৪৯ জন অবৈধ অভিবাসী আটক

মালয়েশিয়ার পার্লিসে ৪৫ বাংলাদেশিসহ ৪৯ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে রাজ্যের অভিবাসন বিভাগ। দেশটির বুকিত চাবাং, মুকিম টিটি টিংগি, পাদাং বেসার এবং পার্লিসের একটি স্পোর্টস স্কুলের নির্মাণ সাইটে অভিযান চালিয়ে এসব অভিবাসীদের আটক করা হয়। আটক বাংলাদেশি প্রবাসীদের মধ্যে ৪৪ জন পুরুষ ও একজন নারী। এছাড়া তিনজন ইন্দোনেশিয়ার ও একজন ভারতীয় নাগরিকও আটক করেছে পুলিশ। গভীর রাতে অভিযানের সময় জঙ্গলে ও খাটের নিচে লুকিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি অবৈধ অভিবাসীদের। ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক খায়রুল আমিন বিন তালিব এক বিবৃতিতে বলেন, ইমিগ্রেশন অ্যাকশন ইউনিট, পার্লিস জিআইএম এনফোর্সমেন্ট ডিভিশনের পর্যবেক্ষণ এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। এসময় ১০১ জন বিদেশির কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই এবং মালয়েশিয়ায় অতিরিক্ত সময় অবস্থান করে আসছিলেন এমন ৪৯ জনকে আটক করা হয়।

post
অভিবাসন

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের শোষণের অভিযোগ জাতিসংঘের

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের অবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। জেনেভা থেকে শুক্রবার সংস্থাটির পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, কর্মসংস্থানের আশায় সরকারি নিয়ম মেনে দেশটিতে গিয়ে তারা এখন চরম দুরবস্থায় রয়েছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত কয়েক মাস ধরেই দেশটিতে বাংলাদেশি অভিবাসীরা অসম্মানজনক অবস্থায় বসবাস করছেন। এ জন্য দেশটির সরকারের প্রতি ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং তাদের শোষণসহ অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বেশির ভাগ অভিবাসী মালয়েশিয়ায় পৌঁছে দেখেন, তাদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে, সেই কর্মসংস্থান নেই। এমন অবস্থায় প্রায়ই তাদের সেখানে থাকতে বাধ্য করা হয়। এতে তারা গ্রেপ্তার, আটক, দুর্ব্যবহার এবং নির্বাসনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন। তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে পরিচালিত অপরাধমূলক নেটওয়ার্কগুলো অভিবাসী শ্রমিকদের প্রতারণামূলক নিয়োগের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে। অভিবাসীরা প্রতারিত হচ্ছেন, প্রায়ই ভুয়া প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ এবং অতিরিক্ত ফি দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আমরা তথ্য পেয়েছি, উভয় সরকারের কিছু উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এ ধরনের কার্যক্রম অগ্রহণযোগ্য এবং শেষ হওয়া দরকার। এই শোষণমূলক নিয়োগের অপরাধীদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। তারা উভয় দেশকে বিষয়টি তদন্ত করে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেন, মালয়েশিয়াকে অবশ্যই পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে শ্রম অভিবাসনকে আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে এর আগে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। 

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.