post
অভিবাসন

মালয়েশিয়ায় মর্গে পড়ে আছে বাংলাদেশির মরদেহ, খোঁজ মিলছে না স্বজনদের

মালয়েশিয়ার পেরাক রাজ্যের ইপোহ শহরের রাজা মনজিৎ সিং ইপোহ হাসপাতাল মর্গে এক বাংলাদেশির মরদেহ পড়ে আছে। মৃতের হাতে লেখা পাসপোর্টে বিস্তারিত তথ্য না থাকায় এবং তার পরিবার ও স্বজনদের খুঁজে না পাওয়ায় মরদেহটি দেশে পাঠানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। পাসপোর্ট অনুযায়ী, ওই বাংলাদেশির নাম মো. আবদুল সোবহান (৪৯)। তিনি কুমিল্লা জেলার নুরের জামানের ছেলে।প্রবাসী ওই বাংলাদেশির বিস্তারিত পরিচয় নিশ্চিতে চেষ্টা করছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। মরদেহ শনাক্তে স্বজন বা অন্য পরিচিতজনদের হাইকমিশনে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। হাইকমিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, স্ট্রোকজনিত কারণে মো. আবদুল সোবহানকে ২০২২ সালে অপরিচিত এক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন। চলতি বছরের ১৭ মার্চ চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ হাইকমিশনকে জানালে হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ নেয় বাংলাদেশ হাইকমিশন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাতে লেখা একটি পাসপোর্ট ছাড়া নিহতের পরিচিত কারো কোনো তথ্য দিতে পারেনি। দাবিদার না পাওয়া পর্যন্ত মো. আবদুল সোবহানের মরদেহ দেশে পাঠানো সম্ভব নয়। পরিচিত বা স্বজনদের মরদেহ শনাক্তে হাইকমিশনের প্রথম সচিব (শ্রম) সুমন চন্দ্র দাসের সঙ্গে +৬০১২৪৩১৩১৫০ মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের জন্য হাইকমিশন থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

post
অভিবাসন

মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যে ৫ বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যে পাঁচ বাংলাদেশিসহ ৩৮ 'অবৈধ' অভিবাসীকে আটক করেছে অভিবাসন বিভাগ। গত সোম ও মঙ্গলবার রাজ্যের কয়েকটি জেলায় অভিযানে তাদের আটক করা হয়।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ বাংলাদেশি ছাড়াও আটকদের মধ্যে আছেন ১৭ ইন্দোনেশীয়, পাঁচ পাকিস্তানি, দুই ভারতীয় ও নয় মিয়ানমারের নাগরিক। যাদের আটক করা হয়েছে তাদের পাসপোর্ট ও কাজের অনুমতি ছিল না। গতকাল বুধবার অভিবাসন পরিচালক বাহারউদ্দিন তাহির সাংবাদিকদের বলেন, 'আটক অবৈধ অভিবাসীদের বয়স ২১ থেকে ৫৮ বছর। তাদেরকে রাজ্যের মুয়ার, বাতু পাহাত, মেরসিং ও সেগামত জেলা থেকে আটক করা হয়েছে।'আটকদের বিরুদ্ধে অভিবাসন আইন অনুযায়ী তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।

post
অভিবাসন

মালয়েশিয়ায় সাজা শেষে দেশে ফিরলো ৩৯ প্রবাসী

মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যের অভিবাসন বিভাগ ৩৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে। গতকাল বুধবার রাজ্যের জোহর বাহরু পেকান নেনাস ইমিগ্রেশন ডিপো থেকে তাদের সরাসরি কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়।সবাইকে ইমিগ্রেশন আইন-১৯৫৯/৬৩ ও ইমিগ্রেশন রেগুলেশন-১৯৬৩ এর পাশাপাশি অন্যান্য এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি আইনের অধীনে অপরাধের সাজা শেষে নিজ খরচে দেশে পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের ডিপার্টমেন্টের সিস্টেমে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অপরাধের মাত্রার ওপর নির্ভর করে তাদেরকে পাঁচ বছর বা চিরতরে মালয়েশিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

post
অভিবাসন

আমিরাতে জনশক্তি রপ্তানী বাড়বে

সংযুক্ত আরব আমিরাতে জনশক্তি রপ্তানী বাড়বে বাংলাদেশের। এমনটা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।মঙ্গলবার ঢাকায় নিযুক্ত আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আল হামুদির সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে একথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী । তিনি বলেন, দুবাই ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্য শহরগুলোতে এমপ্লয়মেন্ট ভিসা চালুর ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে। সহজে ও স্বল্প খরচে কি ভাবে শ্রমশক্তি রপ্তানি করা যায়, সেই বিষয়েও কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ড. হাছান মাহমুদ।

post
অভিবাসন

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ১৫৮ অভিবাসী আটক

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ১৫৮ অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।শনিবার ভোরে অভিযান চালিয়ে ওই অভিবাসীদের আটক করা হয়। দেশটির পেরাক রাজ্যের ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর মেওর হিজবুল্লাহ মেওর আবদ মালিক এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, পেরাক বার্চাম ফ্ল্যাটে অভিযানের সময় ৩৫৮ অভিবাসীর কাগজপত্র যাচাই করা হয়।তারমধ্যে ১৫৮ জনকে বৈধ ভিসা বা পারমিট ছাড়াই দেশটিতে বসবাস এবং তাদের অনুমোদিত সময়সীমা অতিক্রম করায় আটক করা হয়। বাংলাদেশি ছাড়াও আটকদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, মায়ানমার, চীন, পাকিস্তান, শ্রীলংকা এবং ভিয়েতনামের নাগরিক রয়েছে।

post
অভিবাসন

রুয়ান্ডা: ৩ হাজার পাউন্ড দেয়ার ঘোষণা

যেসব অভিবাসন প্রত্যাশির এসাইলাম আবেদন টেকেনি তারা যাতে সেচ্ছায় রুয়ান্ডায় যেতে চায়, সেজন্য ৩ হাজার পাউন্ড দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। আগে এ ঘোষণা ছিলো এসলাইম আবেদনকারীর নিজে দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য। সরকার বলছে যেসব এসাইলাম আবেদনকারী নিজ দেশে ফেরত যেতে পারবে না, তাদের রুয়ান্ডা যাওয়ার জন্য তিন হাজার পাউন্ড দেয়া হবে। বিজেনেস মিনিস্টার কেভিন হেলিনরেক এ প্রকল্পকে ইতিবাচক বলেও মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ট্যাক্স দাতাদের অর্থ ভালো একটি খাতে ব্যয় করা হবে। তা না হলে প্রতিটি এসাইলাম আবেদনকারীর পেছনে সরকারকে আরো বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে। সরকারের রুয়ান্ডা পরিকল্পনা পদে পদে বাঁধা গ্রস্থ হওয়ার মধ্যে নতুন এ প্রস্তাব দেয়া হলো। তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সরকারের এ পরিকল্পনাও বাস্তবের মুখ দেখবে না। কারণ কোন এসাইলাম আবেদনকারী ৩ হাজার পাউন্ডের জন্য অনিশ্চিত গন্তব্য রুয়ান্ডায় যেতে রাজি হবে না।

post
অভিবাসন

ইউরোপে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর রোডম্যাপ তৈরি হচ্ছে

ইউরোপের চারটি দেশ প্রায় ১০টি খাতে বাংলাদেশ থেকে লোক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত ওই দেশগুলোতে বৈধপথে দক্ষ জনশক্তি পাঠানোর জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করছে সরকার। সবকিছু ঠিক থাকলে দুইপক্ষের সম্মতিতে দুই মাসের মধ্যে রোডম্যাপটি প্রকাশ করা হবে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা প্রায় দুই বছর ধরে বৈধপথে দক্ষ জনশক্তি পাঠানোর জন্য আলোচনা করছি। গত সপ্তাহেও ব্রাসেলসে এক বৈঠকে এটি নিয়ে আলোচনায় রোডম্যাপ দ্রুত শেষ করার বিষয়ে একমত হয় দুইপক্ষ।’ বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে জার্মানি, ইতালি, গ্রিস ও রুমানিয়া লোক নিতে আগ্রহী। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যে খাতগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে আইসিটি, কেয়ারগিভিং, নির্মাণশিল্প, ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি, কৃষি ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত, জাহাজ নির্মাণ ও তৈরি পোশাকশিল্প। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের এপ্রিলে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম ঘোষণা করেছে। এর মাধ্যমে ইইউভুক্ত দেশগুলোর বাইরে বাংলাদেশসহ সাতটি দেশকে বিবেচনায় নিয়েছে, যেখান থেকে ইইউ দেশগুলো দক্ষ শ্রমিক নিতে চায়। সেই হিসাবে বৈধপথে ইউরোপে বাংলাদেশি পাঠানোর সুযোগ আরও বাড়বে। ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ কী ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ প্রোগ্রামের অধীনে ইইউভুক্ত দেশগুলো তাদের নিজ নিজ চাহিদা ইউরোপিয়ান কমিশনকে জানাবে। কমিশনে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থার অধীনে একটি ডাটাবেজ তৈরি করা হবে এবং প্রোগ্রাম অন্তর্ভুক্ত সাতটি দেশকে এ বিষয়ে অবহিত করা হবে। ম্যাচমেকিং হওয়ার পরে অভিবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে। এটি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য হবে। মেয়াদ শেষে অভিবাসীরা দেশে ফেরত আসবে। এ বিষয়ে আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘ওই চারটি দেশের ভিন্ন ভিন্ন চাহিদা। যেমন ইতালি উচ্চমূল্যের তৈরি পোশাক বানায় এবং সে ধরনের দক্ষ শ্রমিক চাইছে তারা। আবার জাহাজ নির্মাণ শিল্পেও শ্রমিক নিতে তারা আগ্রহী।’ রুমানিয়া নির্মাণশিল্পে লোক চায়। আবার গ্রিস ও ইতালি কৃষি খাতের জন্য লোক খুঁজছে। অন্যদিকে জার্মানি কেয়ারগিভার ও হসপিটালিটি খাতে দক্ষ শ্রমিক নিতে আগ্রহী বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে গ্রিসের মাইগ্রেশন ও মবিলিটি চুক্তির অধীনে প্রতি বছর চার হাজার লোক পাঠানোর কথা রয়েছে। এছাড়া সেখানে অবৈধভাবে অবস্থানকারী ২০ হাজারের মধ্যে ১২ হাজার লোককে গ্রিস বৈধতা দিয়েছে।’ অন্যদিকে ইউরোপের বাইরে থেকে ইতালি ১ লাখ ৩৬ হাজার বিদেশি শ্রমিক নেবে বলে জানায় এবং এর মধ্যে তারা বাংলাদেশসহ ৩৫টি দেশ থেকে বিভিন্ন খাতে ২৫ হাজার শ্রমিক নেওয়ার কোটা ঘোষণা করেছে। কিন্তু গত বছর তারা বাংলাদেশের সঙ্গে এক বৈঠকে জানায়, ওই ২৫ হাজারের প্রায় ৪৭ শতাংশ তারা বাংলাদেশ থেকে নিয়েছে। রোডম্যাপে কী থাকবে মাইগ্রেশন ও মবিলিটি রোডম্যাপে চাহিদার বিভিন্ন খাত, যেতে ইচ্ছুক শ্রমিকদের ডাটাবেস তৈরি, প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ মডিউল নির্ধারণ, প্রশিক্ষণের পরে সার্টিফিকেট প্রদান, ভাষা শিক্ষা এবং শ্রমিকরা বাংলাদেশে ফেরত আসার পরে সমাজে আত্তীকরণসহ বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ থাকবে। এ বিষয়ে একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা যেটি চাই সেটি হচ্ছে শুধু দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে এবং সেখানে যেন কোনও অদক্ষ লোক না যেতে পারে সেটির জন্য একটি ব্যবস্থা করা।’ রোডম্যাপ কবে নাগাদ শেষ হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করবো দুই মাসের মধ্যে এটি শেষ করে ফেলতে।’ মেগা প্রজেক্টের দক্ষ জনশক্তি বাংলাদেশে একাধিক মেগা প্রজেক্টে অন্তত ৪০ হাজার শ্রমিক কাজ করেছে এবং করছে। পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেল বা এ ধরনের প্রকল্পে কাজ করার জন্য বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন হয় এবং সেটি তারা অর্জন করেছে। কিন্তু তাদের কোনও প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট নেই। এ বিষয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বিশেষভাবে দক্ষ ওই শ্রমিকদের বিভিন্ন দেশে কাজের সুযোগ আছে। কিন্তু সার্টিফিকেট না থাকায় তাদের চাকরির বাজার অত্যন্ত সীমিত।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ইউরোপের সঙ্গে আলোচনা করছি তাদের কাজ করার স্বীকৃতির বিষয়ে। ওই শ্রমিকদের কোনও সার্টিফিকেট নেই, এটি যেন তাদের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা না হয়ে দাঁড়ায় সেজন্য আমরা ইউরোপকে অনুরোধ করেছি।’ এক্ষেত্রে মেগা প্রজেক্টে কাজ করেছে এমন প্রকৌশলীদের পাঠানো সহজ, কারণ তাদের সার্টিফিকেট আছে, তিনি উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে কারও আগ্রহ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে হাঙ্গেরি রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরত প্রকৌশলী ও শ্রমিকদের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কীভাবে পাঠানো হবে শ্রমিক বাংলাদেশে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর গাফিলতির কারণে অনেক সময় চাকরিপ্রার্থীরা প্রতারিত হন। ইউরোপে যারা যাবেন তারা যেন প্রতারিত না হন সে বিষয়ে আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশে দুটি মডেল অত্যন্ত চমৎকারভাবে কাজ করছে। একটি হচ্ছে এসএসডব্লিউ (স্পেসিফায়েড স্কিলড ওয়ার্কার) মডেল, যার অধীনে জাপানে লোক পাঠানো হয়। অন্যটি হচ্ছে ইপিএস (এমপ্লয়মেন্ট পারমিট স্কিম) মডেল, যেটি দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য প্রযোজ্য। ইউরোপের ক্ষেত্রে এ দুটি মডেলের অনুরূপ বা ভিন্ন একটি মডেল তৈরি করা সম্ভব। তবে যে মডেলই ব্যবহার করা হোক, রিক্রুটিং করার এখতিয়ার ইউরোপের হাতেই থাকবে।’

post
অভিবাসন

মালয়েশিয়ায় বন্ধুকযুদ্ধে বাংলাদেশিসহ নিহত তিন

মালয়েশিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক বাংলাদেশিসহ তিনজন নিহত হয়েছে, যাদেরকে দেশটির সেন্ট্রো গ্যাংয়ের সদস্য বলছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, সম্প্রতি সোনার দোকানে ডাকাতি, ছিনতাই ও ভাংচুরে সঙ্গে এই সেন্ট্রো গ্যাং সদস্যরা জড়িত। গত সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পেকান-কুয়ান্তান বাইপাসে এ বন্দুকযুদ্ধ হয়। নিহত একজন বাংলাদেশি এবং দুইজনের বাড়ি ইন্দোনেশিয়া। তাদের বয়স ৩৬, ৪৪ ও ৩৮ বছর। একটি প্রাইভেটকারের মধ্য থেকেই এই তিনজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে ওই ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন পুলিশ। পাহাং পুলিশ প্রধান দাতুক সেরি ইয়াহিয়া ওথমান বলেন, নিহতদের ব্যবহার করা একটি প্রোটন ওয়াজা গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া সাত রাউন্ড গুলিসহ একটি গ্লক-১৭ টাইপ পিস্তল এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত দুটি ম্যাচেট ব্লেডসহ আরো কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বন্ধুকযুদ্ধের বর্ণনা দিয়ে পাহাং পুলিশ প্রধান বলেন, গাড়ির আরোহীদের অনুসরণ করছিলো পুলিশের একটি গোপন দল। পেকানে পাহাং রাজ্য উন্নয়ন বোর্ড এলাকায় তাদেরকে সন্দেহজনক আচরণ করতে দেখা যায়। তিনি বলেন, পুলিশ গাড়ি থামানোর নির্দেশ দিলেও চালক দ্রুত গতিতে বাইপাসের দিকে চলে যায়। এরপর পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে তারা গাড়ির গতি প্রচণ্ড বাড়িয়ে দেয় এবং পুলিশের টহল গাড়ির পিছনে ধাক্কা দেয়। গাড়ির ভেতর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে চালানো হয়।আর পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য পালটা গুলি চালালে হতাহতের এ ঘটনা বলে জানান পাহাং পুলিশ প্রধান দাতুক সেরি। বলেন, পেকান এলাকায় আবারো কোনো অপরাধের পরিকল্পনা করেছিলো সন্ত্রাসীরা। পুলিশ বলছে, সেন্ট্রো গ্যাংয়ের সদস্যরা গত বছরের জুন থেকে সেলাঙ্গর, নেগেরি সেম্বিলান, পেরাক এবং পাহাংয়ের বেশ কয়েকটি সোনার দোকানে চুরি ডাকাতি করেছে। এছাড়া তারা মানুষের ওপর ও ছিনতাইয়েও জড়িত। 

post
অভিবাসন

মন্ত্রণালয় প্রবাসীদের কল্যাণেও কাজ করছে

প্রবাসী কলাণ মন্ত্রণালয় শুধুমাত্র প্রবাসীদের বিদেশে পাঠায় না,তাদের কল্যাণেও কাজ করছে বলে জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন,প্রবাসীদের ছেলে মেয়ে ও তাদের পরিবারের সহযোগিতায় বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সোমবার বিকেলে ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডের আয়োজনে প্রবাসী কর্মীর মেধাবী সন্তানদের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। এসময় প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বৈধপথে বিদেশ গেলে কি কি সুবিধা পাবেন তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বৈধপথে বিদেশ যাওয়ায় তাদের পরিবার ও সন্তানদের চিকিৎসা,কর্মসংস্থান, শিক্ষাবৃত্তিসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করে যাচ্ছে মন্ত্রণালয়। ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডের মহপরিচালক হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে এ আয়োজন করা হয়।

post
অভিবাসন

মালয়েশিয়ায় নিহত দুই বাংলাদেশির পরিচয় শনাক্ত

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের অদূরে কাজাং এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত দুই বাংলাদেশির পরিচয় শনাক্ত হয়েছে।রোববার দেশটির স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে কাজাং এলাকার কেটিএম পুনকাক উতামা জেড হিল ট্র্যাকে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদ সংস্থা। নিহতদের মধ্যে দুজন বাংলাদেশি ও অপরজন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক। নিহত দুই বাংলাদেশি সম্প্রতি কলিং ভিসায় মালয়েশিয়ায় যান। তারা কাজ না পেয়ে একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতেন। কাজ শেষে মেসে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত দুজনের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে মো. কামরুল হোসেন ও একই এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. দুলাল মিয়া। এ ঘটনায় দুই বাংলাদেশির গ্রামের বাড়িতে বইছে শোকের ছায়া।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.