post
সংবাদ

বিএনপি-জামায়াতের হাজারো নেতাকর্মীর জামিন

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে নাশকতার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বিএনপি-জামায়াতের এক হাজারের বেশি নেতাকর্মীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন পাওয়া অন্যান্য নেতাদের মধ্যে রয়েছেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান ওরফে শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক সাইফুল আলম নীরব, দক্ষিণের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু, ১২ দলের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক এমএ সালাম ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।

post
সংবাদ

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হতে সম্মতি জানিয়েছেন ড. ইউনূস

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের গভীর রাতের ঘোষণার পর আজ মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হতে রাজি হয়েছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার কার্যালয় ইউনূস সেন্টার সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ডয়চে ভেলেকে ড. ইউনূসের একজন মুখপাত্র জানান, শিক্ষার্থীদের অনুরোধ রাখতে সম্মতি জানিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস। এর আগে, সোমবার গভীর রাতে এক ভিডিও বার্তায় ছাত্রনেতা নাহিদ ইসলাম ঘোষণা দেন, প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে অধ্যাপক ইউনূসকে চান তারা। তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূসের সঙ্গে ইতোমধ্যে আমাদের কথা হয়েছে এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় তিনি সম্মত হয়েছেন।’ এদিকে, অধ্যাপক ইউনূস প্যারিসে ‘মাইনর ট্রিটমেন্ট’ শেষে দ্রুতই দেশে ফিরে আসবেন বলেও জানিয়েছেন তার মুখপাত্র।

post
বাংলাদেশ

বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতি কোটা বিরোধী আন্দোলনের ছদ্মবেশে জঙ্গিবাদের বর্বরতা প্রত্যক্ষ করেছে। তিনি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই বলে তাঁর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান হবেনা। তাদের প্রধান শক্তি জামায়াতে ইসলাম ও শিবিরকে সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯-এর ১৮ ধারায় নিষিদ্ধ করা হবে।’ প্রধানমন্ত্রী আবারও জাতিসংঘ (ইউএন) এবং অন্যান্য দেশের কাছে তাদের দক্ষতার মাধ্যমে দেশব্যাপী তা-ব চলাকালীন প্রতিটি ঘটনার তদন্তে অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করার জন্য সহযোগিতা চেয়েছেন। আজ রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-এ স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি ও আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে বাংলাদেশ কৃষক লীগ এই কর্মসূচির আয়োজন করে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন, জামায়াত ও শিবির আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে এবং নিষিদ্ধ হওয়ার পর তাদের ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড চালিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘সবাইকে এ লক্ষ্যে সতর্ক থাকতে হবে এবং আমি দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের নির্মিত সম্পত্তি ধ্বংস করে দেশবাসীর ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা তা আর সহ্য করা হবে না।

post
বাংলাদেশ

জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, দলের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির ও তাদের সব অঙ্গসংগঠনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকাল ৪টার দিকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-২ থেকে জারি করা হয় প্রজ্ঞাপন। এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ কয়েকটি মামলার রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (পূর্বনাম জামায়াত-ই-ইসলামী/জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ) এবং এর অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির (পূর্বনাম ইসলামী ছাত্রসংঘ)-কে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ী হিসাবে গণ্য করা হয়েছে। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ রিট পিটিশনের রায়ে রাজনৈতিক দল হিসাবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এই দলের নিবন্ধন বাতিল করেছে এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগের ওই রায়কে বহাল রেখেছে। এছাড়া সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং এর অঙ্গসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির সাম্প্রতিককালে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সরাসরি এবং উসকানির মাধ্যমে জড়িত ছিল। সরকার বিশ্বাস করে, জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরসহ এর সব অঙ্গসংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত। এ কারণে সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৮(১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর সব অঙ্গসংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো।

post
বাংলাদেশ

‘ফখরুলের ঐক্যের আহ্বান স্বাধীনতার মূল্যবোধবিরোধী’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জাতীয় ঐক্যের আহ্বান হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার মূল্যবোধবিরোধী এবং দেশবিরোধী অপশক্তির ঐক্য বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।শনিবার (২৭ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যের ডাক দিয়ে বিএনপি আবার প্রমাণ করলো জামায়াত-বিএনপির সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিই বিএনপির দোসর। এই ঐক্যের ডাক এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য মিথ্যা, বানোয়াট, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তার এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান তিনি। তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সন্ত্রাস, সহিংসতা ও হত্যার দায় এড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রবঞ্চনামূলক অপকৌশল গ্রহণ করেছেন। বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা সশস্ত্র রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ ও পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড নজিরবিহীন এবং তা জনসাধারণের মনে ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। বিএনপি-জামায়াত ও তার দোসররা কোনোভাবেই এর দায় এড়াতে পারে না। তাদের সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী হত্যাযজ্ঞ চালানোর গভীর চক্রান্ত নিয়ে মাঠে নেমেছিল।

post
বাংলাদেশ

সব দলকে নিয়ে ‘জাতীয় ঐক্যের’ ডাক বিএনপির

ন্যূনতম একদফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের সব শরীকদল ও জোট, বাম-ডান দল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ধর্মভিত্তিক ও সব ইসলামী রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনের প্রতি জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে বিএনপি।শুক্রবার দলটির মাহসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঐক্যের আহ্বান জানানো হয়। এতে বলা হয়, অবৈধ, ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতনের দাবিতে সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য ‘জাতীয় ঐক্যের’ আহ্বান জানানো হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে, লুন্ঠিত গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, অধিকারহীন জনগণের ও জাতির মুক্তির লক্ষ্যে আমরা ন্যুনতম একদফার ভিত্তিতে এবং দাবিতে দেশের সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, ব্যক্তি ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি বিএনপি’র নেতৃত্বে ‘জাতীয় ঐক্য’ গঠনের আহ্বান জানাচ্ছি। বিভিন্ন দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, সময় ও যোগাযোগের প্রতিবন্ধকতার কারণে বিবৃতির মাধ্যমে সম্মতি প্রদান করা যেতে পারে। শীঘ্রই সম্মতিপ্রাপ্ত সবার স্বাক্ষরে যৌথ বিবৃতি প্রদান করা হবে। জাতীয় ঐক্যের এই ঐতিহাসিক ঘোষণা ও দলিল দেশ ও জাতির মুক্তি ত্বরান্বিত করবে।

post
বাংলাদেশ

ছাত্রলীগের ওপর হামলার নিন্দা কাদেরের

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে বিনা উসকানিতে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ছাত্রলীগের ওপর নির্বিচারে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এই আন্দোলনকারীদের একটা অংশ রাজাকারের পক্ষে কথা বলছে। এটা স্পষ্ট এর পেছনে রয়েছে বিএনপি-জামায়াত।মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ টার্গেট করে যে আন্দোলন তা প্রতিহত করা হবে। ধৈর্য ধারণ করা মানে নীরবতা নয়, সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেতুমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনের পেছনে একটি মতলবি মহল আছে। অতীতেও সড়ক আন্দোলন কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে আন্দোলনের ফসল ঘরে তুলতে চেয়েছিল বিএনপি। অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। কিন্তু সে আন্দোলনে তারা সাড়া পায়নি। জনগণের শক্ত অবস্থানের কাছে পরাস্ত হয়। ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ যে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলছে, এ আন্দোলনেরও নেতৃত্ব নিয়েছে তারেক রহমান। তার দল বিএনপি প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছে। একটা অরাজনৈতিক ইস্যু রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিণত করতে চক্রান্ত করছে। একটা অপশক্তিকে এর পেছনে লেলিয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কোটা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটাকে বিকৃত করে উপস্থাপন করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপ্রয়াস চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কোটা আন্দোলনের কাউকে উদ্দেশ্য করে রাজাকার শব্দ ব্যবহার করেননি।

post
বাংলাদেশ

যুগপৎ আন্দোলনে রাজপথ গরম রাখার চেষ্টায় বিএনপি

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ও পেনশন স্কিম নিয়ে ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলনে এই মুহূর্তে উত্তপ্ত রাজপথ। রাজপথের এই তেজ থাকতেই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারের পতন ঘটাতে যুগপৎ আন্দোলনের নতুন ছক কষছে বিএনপি ও তার শরিকেরা। এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনাও করছে তারা। এই অবস্থায় দাবি পূরণ হলেও সরকার পতনের জন্য আন্দোলনরত ছাত্র-শিক্ষকদের মাঠে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি ও শরিক দলগুলোর নেতারা।রাজধানীতে গতকাল শনিবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ছাত্রসমাজকে বলব, মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রসমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। আশা করি কোটা আন্দোলন সফল হলে তোমাদের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে রাজপথে লড়াই করতে হবে। আমরা তোমাদের সঙ্গে থাকব।’ সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, যুগপৎ আন্দোলনকে মাঠে নিতে শরিকদের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার থেকে সিরিজ বৈঠক করছে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। এ পর্যন্ত অন্তত ৯টি দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। শনিবার গণঅধিকার পরিষদ ও লিবারেল মোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে বৈঠক হয়। এসব বৈঠকে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু অংশ নেন। গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক শেষে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই অবৈধ, দখলদার সরকারকে সরানোর যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সেই আন্দোলনে আরও গতি ঞ্চার করে সফল সমাপ্তির পথে নিতে আমরা আলোচনা করেছি। এদিন লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে আন্দোলনরত ছাত্র-শিক্ষকদের ঘরে না ফেরার আহ্বান জানান লিবারেল মোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট অলি আহমদও। তাঁদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শুধু কোটা নয়, সমগ্র বাংলাদেশকে মুক্ত করা আপনাদের দায়িত্ব। কারণ, আপনারা যুবক। আমরা যখন যুবক ছিলাম, তখন এ দেশকে স্বাধীন করেছি। এখন আপনারা এই সরকারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করেন। সমস্যা সমাধানের পরই আপনারা ঘরে ফিরে যাবেন না। আপনাদের উচিত হবে এই দেশকে স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্ত করা। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। এর আগে গত শুক্রবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় কোটা আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমি কোটা আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের প্রতি একটু অনুরোধ করব, তারা যেভাবে কোটার জন্য লড়াই করছে, তাদের ভোটের জন্য এভাবে লড়াই করতে হবে, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য এভাবে লড়াই করতে হবে। লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠকের আলোচনা প্রসঙ্গে অলি আহমদ বলেন, আমাদের সঙ্গে বিএনপির মিটিং চলছে। অতীতের বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। আগামী দিনে কর্মসূচি কী হবে, সেই বিষয়গুলো নিয়েও আলোকপাত করা হয়েছে। আলোচনা-পর্যালোচনার পর নতুন কর্মসূচি প্রণয়ন করা হবে।

post
বাংলাদেশ

‘অরাজনৈতিক আন্দোলনকে কেন রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সরকার একটি অরাজনৈতিক আন্দোলনকে কেন রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে? কোটাবিরোধী আন্দোলন রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই।’রোববার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। এতে ‘বিএনপিসহ একটি চিহ্নিত মহলের ষড়যন্ত্র ও অপকৌশলের বিরুদ্ধে’ সাধারণ শিক্ষার্থী ও দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানান সেতুমন্ত্রী। বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসররা এই আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে বিএনপি নেতারা বক্তৃতা-বিবৃতির মাধ্যমে উসকানি দিচ্ছেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে কোটার বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। এখানে সরকারের কিছু করার নেই। তাই কারও উসকানিতে পড়ে সরকারবিরোধী বক্তব্য না দিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়—এমন কর্মসূচি পরিহার করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। চূড়ান্ত শুনানিতে আদালত সব পক্ষের বক্তব্য এবং যুক্তিতর্ক আমলে নিয়ে চূড়ান্ত রায় দেবেন। আমরা আশা করি, অচিরেই এ বিষয়ে সমাধান হবে।

post
বাংলাদেশ

কোটা আন্দোলনে বিএনপিকে জড়িয়ে সরকার ভিন্ন চক্রান্ত করছে

কোটা আন্দোলনে বিএনপিকে জড়িয়ে সরকার ভিন্ন চক্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ।শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি। মির্জা আব্বাস বলেন শিক্ষার্থীদের কোটা সংষ্কারের আন্দোলন যৌক্তিক ও ন্যায্য। সরকার এর সাথে বিএনপিকে জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন পণ্ড করার চক্রান্ত করছে জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, কোটা আন্দোলন নস্যাৎ করতে পেছন থেকে সরকার কিছু করছে কি না তা নিয়ে শঙ্কা আছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়নি বরং সরকার আন্দোলনকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করছে। সরকার পতন ঘটানোই বিএনপির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানান মির্জা আব্বাস।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.