post
আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ে চলেছে স্থুলকায় মানুষের সংখ্যা

বর্তমানে স্থুলতা বা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ওজন একটি গুরুতর সমস্যায় পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে এ সমস্যা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে স্থুলকায় বা মোটা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, লুইজিয়ানা ও ওকলাহোমা প্রদেশে সবচেয়ে বেশি স্থুলকায় মানুষ বসবাস করছে। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) অনুসারে, এই প্রদেশগুলিতে প্রায় ৪০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কের ‘বডি মাস ইন্ডেক্স’ বা বিএমআই ৪০ শতাংশ বা তার বেশি। রবার্ট উড জনসন ফাউন্ডেশনের স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত দাতব্য সংগঠনের জেমি বাসেল মন্তব্য করেছেন, “সিডিসি-র সাম্প্রতিক তথ্য ভয়ানক।” তিনি পরিসংখ্যা দেখিয়ে বলেন, এক দশক আগে কোনও প্রদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে স্থুলত্বের হার ৩৫ শতাংশ ছিল না, কিন্তু এখন এটি বাড়তির দিকে। অন্যান্য প্রদেশের মধ্যে যেগুলি স্থুলত্বের হার ৩৫ শতাংশ বা তার বেশি তা অ্যালাবামা, আরকানসা, ডেলাওয়্যার, জর্জিয়া ইত্যাদি। স্থুলত্বের প্রকোপ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি প্রকাশ পায়। কৃষ্ণকায়, হিস্পানিক, আদিবাসী আমেরিকান ও আলাস্কার মূলনিবাসীদের মধ্যে এ হার তুলনামূলকভাবে বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি প্রদেশেই স্থুলত্বের হার অন্তত ২০ শতাংশ ছিল। স্থুলতা প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য বাড়তি সাহায্যের বিষয়কে “জরুরি অগ্রাধিকার” বলে অভিহিত করেছে সিডিসি।

post
খেলা

বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের ইতিহাস গড়ে শ্রীলঙ্কা হারালো দক্ষিণ আফ্রিকা

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১০২ রানের জয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দিল্লিতে শনিবার তারা বিশ্বকাপ ইতিহাসের দলীয় সর্বোচ্চ ৪২৮ রানের পুঁজি গড়ে লঙ্কানদের আটকে দেয় ৩২৬ রানে। এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের নায়ক কয়েক জন। শুরুতে উইকেট হারানোর পর দুইশ রানের জুটি গড়ে ব্যক্তিগত শতকের দেখা পান কুইন্টন ডি কক ও রাসি ফন ডার ডাসেন। বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন এইডেন মারক্রাম। ৫৪ বলে ১৪ চার ও ৩ ছক্কায় ১০৬ রান করে ম্যাচের সেরা অবশ্য তিনিই। ওপেনার ডি কক ৮৪ বলে ১২ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ১০০ রান। ফন ডাসেনের ব্যাট থেকে ১১০ বলে ১০৮ রান আসে ১৩ চার ও ২ ছক্কার সুবাদে। তাদের হাত ধরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দুইশ রানের জুটি পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শ্রীলঙ্কার তিন জন পঞ্চাশ ছুঁলেও তিন অঙ্কে যেতে পারেননি কেউই। কুসাল মেন্ডিস ৪২ বলে ৭৬, চারিথ আসালাঙ্কা ৬৫ বলে ৭৯ ও অধিনায়ক দাসুন শানাকা ৬২ বলে করেন ৬৮ রান। দুই দল মিলে ম্যাচে রান হয়েছে মোট ৭৫৪, বিশ্বকাপের এক ম্যাচে যা সর্বোচ্চ। ২০১৯ আসরে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ম্যাচের ৭১৪ রান ছিল আগের সেরা। এই ম্যাচে চার ও ছক্কা হয়েছে মোট ১০৫টি, এটিও বিশ্বকাপে রেকর্ড। ২০১৫ আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-নিউ জিল্যান্ড ম্যাচের ৯৩ বাউন্ডারি ছিল আগের সর্বোচ্চ। এই সব রেকর্ডের পাশাপাশি বিশ্বকাপে এক ইনিংসে তিন শতকের দেখা মেলে প্রথমবার।

post
খেলা

আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করলো বাংলাদেশ

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটের বড় জয় দিয়ে ২০২৩-ওয়ানডে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে বাংলাদেশ। শনিবার ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট এসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ৩৭ ওভার ২ বলে ১৫৬ রানে আফগানিস্তানকে বেধে ফেলে সাকিবের দল। সর্বোচ্চ ৪৭ রান এসেছে রহমানুল্লাহ গুরবাজের ব্যাট থেকে। ৩টি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজ। জবাবে খেলতে নেমে ৩৪ ওভার ৪ বল খেলে ৪ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা খারাপ হয়নি বাংলাদেশের। দেখে-শুনে খেলছিলেন দুই ওপেনার লিটন দাস-তানজিদ তামিম। কিন্তু ৫ম ওভারে নজিবুল্লাহ জাদরানের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হয়ে যান তামিম। এরপর দ্রুত সাজঘরে ফিরে যান লিটন দাসও। ফেরার আগে ১৮ বলে করেন ১৩ রান। দুই ওপেনারের আউট হয়ে যাবার পর হাল ধরেন মিরাজ আর শান্ত মিলে। জয়ের ভীত গড়ে দেয় এই জুটি। ৫৮ বলে দু'বার জীবন পাওয়া মিরাজ তুলে নেন ফিফটি। বাংলাদেশের জয় যখন এক প্রকার নিশ্চিত, তখন মিরাজ আউট হয়ে যান ৭৩ বলে ৫৭ রান করে। উইকেটে এসে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিতে গিয়ে অধিনায়ক সাকিব আউট হয়েছেন ১৪ রানে। তবে বাকি কাজটা মুশফিকুর রহিম আর শান্ত সেরেছেন সহজে। অপরাজিত ৫৯ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন নাজমুল হাসান শান্ত। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫ ওভারে বিনা উইকেটে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ছিলো ২৭ রান। ২২ রান করা ইব্রাহিমকে ফিরিয়ে আফগান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন সাকিব। শুরুর ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫০ রান তুলেছিল আফগানিস্তান। পরের দশ ওভারে কিছুটা হলেও রানের লাগাম টেনে ধরেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজ মিলে। ১১-২০ ওভারের মধ্যে আফগানিস্তান তুলেতে পেরেছে ৪৬ রান। ১৮ রান করা হাশমতউল্লাহ শাহিদিকে ফিরিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। কিন্তু ওপেনার গুরবাজ তখনো আগলে রেখেছেন উইকেটের আরেক প্রান্ত। অবশেষে ৪৭ রান করা গুরবাজকে ফেরান মুস্তাফিজর রহমান। আর সাকিব তার তৃতীয় উইকেট তুলে নেন ৫ রান করা নাজিবুল্লাহকে ফিরিয়ে। টপ অর্ডার ব্যাটারদের কল্যাণে ভালো শুরুই পেয়েছিল আফগানিস্তান। তবে মিডল অর্ডার ভেঙে যায় তাসের ঘরের মতোই। ১০ রানের ব্যবধানে ফিরে যান-হাশমতউল্লাহ-গুরবাজ-নাজিবুল্লাহ। ব্যর্থ হয়েছেন অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নাবি ও রশিদ খান। দলীয় ১৫৬ রানে আউট হয়েছেন ওমরজাই। সেই একই রানে পরের দুই উইকেটও হারিয়েছে আফগানিস্তান। ফলে ১৫৬ তেই আটকে যায় তারা।দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। 

post
আন্তর্জাতিক

ইলেকট্রন গতিবিদ্যা গবেষণায় পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী

এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। এবারের পদার্থে নোবেলজয়ী তিন বিজ্ঞানী হলেন, মার্কিন বিজ্ঞানী পিয়ের অ্যাগোস্টিনি, হাঙ্গেরীয় বিজ্ঞানী ফেরেন্স ক্রাউজ এবং ফরাসি বিজ্ঞানী অ্যান লিয়ের। পরমাণু এবং অণুর ভিতরে ইলেকট্রনের জগৎ নিয়ে পরীক্ষার জন্য তাদের এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।৩ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে পদার্থে নোবেল বিজয়ী হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করে সুইডেনের স্টকহোমে রয়্যাল সুইডিস অ্যাকাডেমি। এর আগে সোমবার ২০২৩ সালে চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে হাঙ্গেরিয়ান-আমেরিকান বিজ্ঞানী ক্যাটালিন কারিকো এবং আমেরিকান বিজ্ঞানী ড্রিউ উইসম্যানকে। কোভিড-১৯’র বিরুদ্ধে কার্যকর এমআরএনএ টিকার বিকাশে সহায়ক নিউক্লিওসাইড বেস পরিবর্তনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন তারা। এ বছর ২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ধাপে ধাপে ঘোষণা করা হচ্ছে নোবেল বিজয়ীদের নাম। ২ অক্টোবর চিকিৎসাবিজ্ঞানে, ৩ অক্টোবর পদার্থে, ৪ অক্টোবর রসায়নে, ৫ অক্টোবর সাহিত্যে এবং ৬ অক্টোবর শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম জানা যাবে। দুদিন বিরতি দিয়ে ৯ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে অর্থনীতিতে নোবেলজয়ীর নাম।

post
ক্যাম্পাস লাইফ

চার মাসের ব্যবধানে বছরের দ্বিতীয় পিকনিক উৎসব করলো ডব্লিউইউএসটির শিক্ষার্থীরা

বছরের সবচেয়ে আনন্দমুখর একটি দিন যেন কাটালো ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা। চার মাসের ব্যবধানে ১লা অক্টোবরের রবিবার বছরের দ্বিতীয় পিকনিকের আয়োজন করে ডব্লিউইউএসটির সু্ডেন্ট গর্ভামেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (এসজিএ)। চমৎকার আবহাওয়ায় ভার্জিনিয়ার রেস্টনের লেক ফেয়ারফ্যাক্সের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের মাঝে এদিন সবাই হেসে খেলে, গান গেয়ে আর মজাদার খাবার উপভোগের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে দিনটি কাটিয়েছেন সকলে।যেখানে জড় হয়েছে ডব্লিউইউএসটিতে পড়া বিশ্বের ২৯ টি দেশের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের কলরবে মুখরিত হয়ে উঠেছিল পিকনিক স্পট। যাদের মধে অনেকেই ছিলেন একবারে নতুন। যারা কিনা সবেমাত্র ফল কোয়ার্টারে ভর্তি হয়েছেন। পরিবার পরিজন রেখে বিদেশের মাটিতে পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীরা এমন উৎসব মুখর পরিবেশ পেয়ে আপ্লুত। তাদের চোখে মুখে ছিলো যেন এক রকম প্রশান্তি। অন্যদিকে পুরনো ছাত্রছাত্রীদের জন্যও দিনটি ছিলো আনন্দের। কারণ পরের দিন থেকে শুরু নতুন কোয়ার্টার।শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, তাদের সাথে আসা পরিবারের মানুষজনও বেশ উপভোগ করেছেন দিনটি। বাচ্চারা ছুটে বেড়িয়েছে সারাক্ষণ। একদিকে চলছিল খাবার পরিবেশনের প্রস্তুতি, অন্যদিকে সবুজ ঘাসের প্রান্তরে সঙ্গে আনা বিছানা চাদর পেতে, চেয়ার সাজিয়ে অনেকে বসে গল্পে মেতে উঠেন। ছবি তোলা, ভিডিও করা, ফেসবুকে লাইভ করা নিয়ে অন্য দল মেতে রইলেন। লেকের ধারে ঘুরে বেড়িয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। কেউ কেউ মাছ ধরায় ব্যস্ত হয়ে পরেন। এসবের মাঝে ছিলো মজাদার খাবারের বিশাল আয়াজন। তৃপ্তি ভরে খেয়েছেন সকলে। পিকনিক প্রাণবন্ত হয়ে উঠার আরেকটি উপললক্ষ্য ছিলো মজার খেলাধুলা পর্ব। কাপে বল ফেলা আর কোমড়ে রিং ঘুরানোসহ বেশ কয়েকটি গেইমের আয়োজন ছিলো। স্বত:স্ফূর্তভাবে এতে অংশ নেন সকলে। মজার ছলে হলওে কঠিন প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন সকলে। ডব্লিউইউএসটির প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক ও সিএফও ফারহানা হানিপ বিজয়ীদের হাতে প্রাইজমানি তুলে দেন । পিকনিকের সার্বিক আয়োজন নিয়ে সকলে এক বাক্যে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। পড়াশোনার ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে সবাইকে আনন্দ উপলক্ষ্য এনে দিতে পেরে খুশি ডব্লিউইউএসটির প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারার্বাক ও সিএফও ফারহানা হানিপ। আর সবাইকে সুন্দর একটি দিন উপরহার দেয়ার জন্য যারা গত দুই সপ্তাহ কঠিন পরিশ্রম করেছেন তাদের মুখে লেগে ছিলো হাসি। তারা বলেন, প্রথমবারের তুলনায় এই আয়োজন ছিলো সব দিকে ছিলো অনেক গোছানো।ফেরার সময় শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার সুডেন্ট গর্ভামেন্ট অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, যে সুন্দর দিন কাটালাম স্মৃতিতে অমলিন হয় থাকবে।

post
আন্তর্জাতিক

করোনার টিকায় চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার পেলেন ক্যারিকো ও ওয়েইসম্যান

অত্যাধুনিক এমআরএনএ করোনা টিকা আবিষ্কারে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ২০২৩ সালে চিকিৎসা খাতে নোবেল পুরস্কার জয় করলেন ক্যাথিলন কারিকো এবং ড্রিউ ওয়েইসম্যান। ২ অক্টোবর সোমবার সুইডেনের নোবেল অ্যাসেম্বলি চিকিৎসায় চলতি বছরের নোবেলজয়ী হিসেবে এই দুই বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করেছে। করোনা টিকা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির নাম ম্যাসেঞ্জার আরএনএ বা এমআরএনএ। মার্কিন কোম্পানি ফাইজার ও মডার্নার করোনা টিকা এমআরএনএ প্রযুক্তির। এই প্রযুক্তিতে টিকা প্রস্তুতে মৃত বা বিশেষভাবে প্রক্রিয়াজাত জীবাণু ব্যবহার করা হয় না। বরং ব্যবহার করা হয় এক ধরনের প্রোটিন, যা দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর কোনো নির্দিষ্ট জীবাণুর বিরুদ্ধে মানবদেহের সহজাত প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে। এই এমআরএনএ প্রযুক্তিকে কার্যকর করতে মানবকোষের প্রধান অংশ নিউক্লিয়াসের অনুপুঙ্খ গবেষণা জরুরি ছিল। এই দুই বিজ্ঞানী সেই কাজটিই করেছেন। তাদের ‘নিউক্লিওসাইড বেইজড মডিফিকেশন’ গবেষণার সাফল্যই এমআরএনএ করোনা টিকার আগমনের পথ সুগম করে। পুরস্কার হিসেবে তারা দুজনে মিলে মোট ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রাউন বা ৯ লাখ ৮৬ হাজার ডলার ভাগাভাগি করবেন। এর পরিমাণ বর্তমান বিনিময় হার (১ ডলার সমান ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা) অনুযায়ী প্রায় ১০ কোটি ৮২ লাখ ১৮ হাজার টাকা। এবার নোবেল বিজয়ীদের পুরস্কারের অর্থ ১০ লাখ ক্রাউন বেড়েছে। সম্প্রতি পুরস্কারদাতা প্রতিষ্ঠান নোবেল ফাউন্ডেশন এ ঘোষণা দেয়। ১৯৯০ এর দশকের প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনির্ভার্সটি অব পেনসেলভেনিয়ায় একত্রে কাজ করতে শুরু করেন ক্যাথলিন কারিকো এবং ড্রিউ ওয়েইসম্যান। ২০০৫ সালে ‘নিউক্লিওসাইড বেইজড মডিফিকেশন’ গবেষণার ফল প্রকাশ করেন তারা। বিশ্বে এমআরএনএ প্রযুক্তির প্রথম করোনা টিকা আনে মার্কিন কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান কোম্পানি বায়োটেক। এ বছর ২ অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ধাপে ধাপে ঘোষণা করা হবে নোবেল বিজয়ীদের নাম। ৩ অক্টোবর পদার্থে, ৪ অক্টোবর রসায়নে নোবেল জয়ী/জয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। তারপর ৫ অক্টোবর সাহিত্যে এবং ৬ অক্টোবর শান্তিতে নোবেলজয়ীর নাম জানা যাবে। দুদিন বিরতি দিয়ে ৯ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে অর্থনীতিতে নোবেলজয়ীর নাম।

post
আন্তর্জাতিক

ইসলামকে ‘মহান ধর্মের’ স্বীকৃতি দিতে মার্কিন কংগ্রেসে প্রস্তাব!

ইসলাম ধর্মকে মহান ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাষ্ট্রের আইন পরিষদের নিম্নকক্ষ কংগ্রেসে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। টেক্সাসের প্রতিনিধি আল গ্রিন এই প্রস্তাবটি দিয়েছেন। এতে সম্মতি জানিয়েছেন ইলহান ওমর, রাশিদা তাইয়িব এবং আন্দ্রে কারসন। দ্য ডন। কংগ্রেসে এমন সময় এ প্রস্তাব উত্থাপন করা হলো- যখন ইসলামকে বিশ্বব্যাপী নতুন করে আবারো উগ্র ধর্ম হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই প্রস্তাব গত কয়েক দিন ধরে পশ্চিমা বিশ্বে কুরআন অবমাননাসহ যেসব ইসলামবিরোধী কার্যক্রম হচ্ছে- সেগুলো বন্ধ হতে সহায়ক হবে। টেক্সাসের আইনপ্রণেতা গ্রিন কংগ্রেসে পাকিস্তান রাজনৈতিক সমিতিরও একজন সদস্য। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম দেশগুলোর শরণার্থীদের প্রবেশে নিষেধজ্ঞা দিতে চেয়েছিলেন। ট্রাম্পের এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন গ্রিন। এ ছাড়া ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামকে একটি উগ্র ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। এটির বিরোধিতাও করেছিলেন তিনি। গ্রিনের এই প্রস্তাবটি গত ২৮ জুলাই গ্রহণ করে কংগ্রেস। প্রস্তাবটির লক্ষ্য হলো আমেরিকান সমাজে ইসলামের মাহাত্ম্য তুলে ধরা। প্রস্তাবটি পরবর্তীতে হাউজ কমিটির ফরেন অ্যাফেয়ার্সে পাঠানো হয়। প্রস্তাবে ইসলাম ও মুসলিমদের সাধারণ রীতিনীতি, আচার-আচরণ তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া বলা হয়েছে ইসলামের অর্থ হলো ‘সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজেকে সমর্পণ করা’ এবং ‘শান্তি।’ এ ছাড়া প্রস্তাবে কুরআনকে ইসলামের প্রধান ধর্মগ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে মুসলিমরা এটিকে ঐশ্বরিক নির্দেশিকা হিসেবে বিবেচনা করেন। এ ছাড়া এ প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ইসলাম বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ এবং দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম। বিশ্বের ২০০ কোটি মানুষ ইসলাম ধর্ম পালন করেন এবং শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে তিন কোটি ৫০ লাখ মুসলিম বসবাস করেন।

post
আন্তর্জাতিক

আনন্দঘন ঈদ ভোজন ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা

এলামী মোঃ কাউসার, কায়রো, মিশরগত ২৮ জুন বুধবার সন্ধ্যায় পবিত্র ঈদুল আদহা উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন,মিশর’ এর উদ্যোগে কায়রো শহরের সুপ্রসিদ্ধ তাইসির হলে উদযাপিত হয় আনন্দঘন ঈদুল আদহা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। লাল সবুজের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ থেকে, ছয় হাজার কিলোমিটার দূরে, পরিবারের প্রিয়জনদের রেখে, নীলনদ আর পিরামিডের দেশে, শিক্ষার্থীদের একাকীত্বের ঈদ, আনন্দমুখর করার লক্ষ্যেই এই আয়োজন। ঈদের সন্ধ্যায় মহাগ্রন্থ আল-কুরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। সাধারণ সম্পাদক, জনাব সাইমুম আল-মাহদী ও শিক্ষা-সংস্কৃতি সম্পাদক আবদুর রহমানের যৌথ উপস্থাপনায়, অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ইত্তেহাদের ২০২২-২৩ সেশনের কার্যকরী পরিষদের সভাপতি জনাব নাজিব শাওকি। সভাপতি মহোদয় উদ্ভোধনী বক্তব্যে বলেন, বিদেশের মাটিতে সকল বাংলাদেশী শিক্ষার্থী যেন মিলেমিশে আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করতে পারে ঈদের আমেজ সেই লক্ষেই এ মিলনমেলা ও জাঁকজমকপূর্ণ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। তিনি সকলকে কুরবানীর আত্মত্যাগের শিক্ষাকে হৃদয়ে ধারণ করার মাধ্যমে, সত্যিকারের মানুষ রুপে নিজেকে গড়ে তুলার আহ্বান‌ও জানান। সভাপতির উদ্ভোধনী বক্তব্যের পর ‘ইত্তেহাদ সাংস্কৃতিক ফোরাম’ এর শিল্পীবৃন্দ মন মাতানো সুরের মূর্সনায় উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রী ও শিশু-কিশোরসহ সকলকে‌ই উপহার দেয় এক স্মরনীয় মুগ্ধ প্রহর। অনুষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে সিনিয়র শিক্ষার্থীদের মধ্য হতে সকলের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন, মো. তাজদীদ বিন ওয়াদুদ ও জনাব মাজহারুল ইসলাম। সর্বশেষ দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বের সমাপ্তি ঘোষনা করেন উপদেষ্টা প্রধান শিহাব উদ্দীন। এরপর শুরু হয় ঈদ ভোজন পর্ব। ইত্তেহাদের পক্ষ থেকে কুরবানীকৃত গরুর ভুনা গোশতের মৌ মৌ ঘ্রাণ পূর্ণতা এনে দেয় সকল শিক্ষার্থীর ঈদ আনন্দে। সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও ঈদ ভোজনসহ বাহারি আয়োজন উপভোগ করে উপস্থিত পাঁচশত শিক্ষার্থীর মুখে যখন আনন্দের হাসি ফুটে উঠে তখন আড়ালে ঘাম ঝরানো দায়িত্বশীলগণের হৃদয়‌ও পুলকিত হয়ে উঠে ত্যাগ ও কুরবানীর আমেজে।

post
আন্তর্জাতিক

ঢাকা-কায়রো রুটে ইজিপ্টএয়ারের সরাসরি ফ্লাইট শুরু ১৪ মে

এলামী মোঃ কাউসার, কায়রো, মিশরমিশরের কায়রো থেকে ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে দেশটির সরকারি মালিকানাধীন এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান ইজিপ্ট এয়ার। সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুমতি পায় তারা।বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইজিপ্ট এয়ার। তারা জানায়, আগামী ১৪ মে এ রুটে প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা করবে প্রতিষ্ঠানটি। ইতোমধ্যে ফ্লাইটের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।মার্চের ২৯ তারিখে বেবিচকের সহকারী পরিচালক (এয়ার ট্রান্সপোর্ট) মো. ওয়াহিদুজ্জামান ওই অনুমতি পত্রে সই করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইজিপ্টএয়ারের একজন কর্মকর্তা বলেন, ইজিপ্টএয়ার ঢাকা-কায়রো রুটে প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে দু’টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এয়ারলাইন্সটি এই রুটে যাত্রী বহনে বোয়িং ৭৮৭-৯ মডেলের একটি এয়ারক্রাফট ব্যবহার করবে।এছাড়া ওই রুটে ফ্লাইট সংখ্যা আরও বাড়ানোর জন্য বেবিচকের কাছে অনুমতি চাইবে এয়ারলাইন্সটি।এভিয়েশন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই রুটে ফ্লাইট চালু শুরু হলে সেটি এভিয়েশন খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে। সেই সঙ্গে দেশের আকাশ পথের সংযোগ সীমাও বৃদ্ধি পাবে। পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশ এবং মিশর এ দু’দেশের মধ্যে ২০১৯ সালে মোট ১৭৩২০ জন্য টু-ওয়ে যাত্রী যাতায়াত করে, যার মধ্যে কায়রো-ঢাকা শহরের যাত্রী ছিল ৭৫ শতাংশ। এই সময়ে সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় প্রায় ৩৫ শতাংশ যাত্রী দুবাই হয়ে কায়রোতে এক-স্টপেজ রুটে যাত্রা করেন।বর্তমানে ইজিপ্টএয়ার আফ্রিকা, ইউরোপ, এশিয়া এবং আমেরিকার ৮১টি গন্তব্যে যাত্রী ও মালবাহী পরিষেবা পরিচালনা

post
এনআরবি বিশ্ব

মিশরে, বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশনের ইফতার মাহফিল।

এলামী মোঃ কাউসার। কায়রো,মিশর।নীলনদ ও পিরামিডের দেশ, মিশরের আল-আযহার সহ সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশী ছাত্রদের একমাত্র সংগঠন, বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন হল। আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয় সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০০ জন বাংলাদেশী ছাত্র ছাত্রী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেছিলেন এই ইফাতার আয়োজনে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মিশরস্থ রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম সহ দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীগণ। এবং অন্যান্য দেশের অর্গানাইজেশনের ছাত্র প্রতিনিধিরা। মিশরীয় সময় বিকেল চারটায় অনুষ্ঠান শুরু হয়ে চলে মাগরিবের আযানের আগ পর্যন্ত। ১৬ ই রমাজানুল মোবারকে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আলাদা দুইটি অডিটরিয়াম বুকিং করা হয়। যেন অর্গানাইজেশনের মহিলা সদস্যরা পর্দার সাথে ইফতারী আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে পারেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশনের সভাপতি মো. নাজিব শাওকী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারি জেনারেল, সাইমুম আল-মাহদী। ইফতার প্রোগ্রামে, অর্গানাইজেশনের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্যগণ ও সিনিয়রদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, জনাব শোয়াইব হোসাইন আল-আযহারী, জনাব তাজদিদ বিন অদুদ এবং মো. শিহাবউদ্দীন আল-আযহারী। এবং সমাপনী বক্তব্য ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন, অর্গানাইজেশনের সহ সভাপতি, শাহেদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, অর্গানাইজেশনের সভাপতি এবং তিনি, ছাত্রদেরকে মতানৈক্য ভুলে ইসলামের সুমহান আদর্শের ছায়াতলে, একতার বন্ধনে অটুট থাকার জোড় তাগিদ দেন। অনুষ্ঠানে বক্তরা, গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে বাংলাদেশে ফিরে গিয়ে আপামর জনতার আত্ম শুদ্ধির লক্ষ্যে ইসলামের সঠিক দাওয়াত পৌছে দেওয়ার আহ্বান জানান। উক্ত অর্গানাইজেশনের নয় সদস্যের কার্যকরী কমিটির অক্লান্ত পরিশ্রমে আয়োজিত মনজ্ঞ অনুষ্ঠানে, কুরআন তেলওয়াত, রমাজান নাশিদ, অর্গানাইজেশনের থিম সং সহ ইসলামী সাংস্কৃতির নানান কার্যক্রম উপস্থাপিত হয়। অর্গানাইজেশনের সাংস্কৃতিক ফোরামের সদস্যগণ পারফরম্যান্স করেন। মনোমুগ্ধকর এই আয়োজনে সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন, রেজাউর রহমান, সাজিদুল ইসলাম, কাওসার হাবিব, নেওয়াজ জুলকারনাইন। ইফতারের আয়োজনেও ছিলো, বাংলাদেশী খাবারের ছোঁয়া। ছাত্রদের নিজ হাতে রান্না করা, বিফ বিরিয়ানি। যা বাঙালির ঐতিহ্যকে প্রোস্ফুটিত করে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্টদূত জনাব মনিরুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদের কল্যাণের জন্য দূতাবাস সর্বদা বদ্ধপরিকর। অর্গানাইজেশনের সমস্ত প্রোগ্রাম, শিক্ষা ও বিনোদন কার্যক্রমে তিনি অংশগ্রহণ করেন। স্কলারশিপ বৃদ্ধি করণে আল-আযহারের গ্রান্ড ইমাম (প্রেসিডেন্ট ওব আযহার) এর সাথে তিনি সাক্ষাৎ করেছিলেন। এবং তেনার দাবির প্রেক্ষিতে, বাংলাদেশী ছাত্রদের জন্য প্রতি বছর ৫০টি স্কলারশিপের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন, শাইখুল আযহার। তাছাড়া,বাংলাদেশের স্টুডেন্টদের ভিসা জটিলতা ও মিশরে উচ্চ শিক্ষায় আগত ছাত্রদের কার্যক্রম সহজ করার জন্য, অর্গানাইজেশনের প্রতিনিধি নিয়ে, তিনি মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে মান্যবর মন্ত্রী মহোদয়ের দেখা করেছিলেন। মিশরে ছাত্রদের জন্য নিবেদিত প্রাণ, মান্যবর রাষ্ট্রদূত স্যার। বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন, সবার আস্থার প্রতিক। মিশরের রাষ্ট্রীয় সাংস্কৃতিক প্রোগ্রাম থেকে শুরু করে, এম্বাসী আয়োজিত বাংলাদেশের প্রতিটি জাতীয় দিবসে, অর্গানাইজেশনটি সতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে থাকে। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশী ছাত্রদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশ ও সুস্থ বিনোদনের লক্ষ্যে, নানাবিধ কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি। যেমন, ক্রিকেট, ফুটবল টুর্নামেন্টে, বাৎসরিক শিক্ষা সফর, সাংস্কৃতিক নানা প্রতিযোগিতা, শিক্ষা মূলক কর্মসূচি, নানান দিবস কেন্দ্রীক প্রোগ্রাম সহ ইত্যাদি আয়োজন করে থাকে। মিশরের বুকে বাংলাদেশী ছাত্ররা উচ্চশিক্ষায় অসামান্য অবদান রেখে যাচ্ছে। আল-আযহারের কলেজ লেভেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে, সারা বিশ্বের ছাত্রদের মাঝে, প্রথম থেকে দশ জনের মেধা তালিকার সিংহভাগ বাংলাদেশী ছাত্ররা অর্জন করে থাকে। যা বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। ছাত্রদের রেজাল্ট ও পড়াশোনা কেন্দ্রীক উৎসাহ প্রদান ও কার্যকরী পদক্ষেপের জন্য অর্গানাইজেশন সত্যিই বিদেশের মাটিতে একটি রোল মডেল। দল মত নির্বিশেষে এই সংগঠন একটি ঐক্যমতের প্রতিক। যেখানে বাংলাদেশের সমস্ত মতাদর্শের ছাত্রগণ নিজেদের দূরত্ব ভুলে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেন। ইসলামের অনন্য সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে এ সংগঠনের মাধ্যমে। বর্তমান কার্যকরী কমিটির সেশনে, নয় সদস্যের মাঝে আরো রয়েছেন, অর্থ সম্পাদক, সাইফুর রহমান ও শরীফ মো. কাওসার হোসাইন। শিক্ষা সম্পাদক, আব্দুর রহমান। অফিস সম্পাদক, সাইফুল ইসলাম। সাংস্কৃতিক সম্পাদক, ইয়াসিন আরাফাত। এবং মিডিয়া ও প্রেস সম্পাদক, আল আমিন সরকার।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.