post
দূতাবাস খবর

টরন্টোতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল টরন্টোতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নুরুল আনোয়ার এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. খাইরুল কবির মেনন।ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক পরিকল্পনার ধারাবাহিকতার একটি মাইলফলক। দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে পাসপোর্ট কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে উপস্থিত সবাইকে ধারণা দেন মহাপরিচালক। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথি কিছু আবেদনকারীকেও পাসপোর্ট এনরোলমেন্ট স্লিপ হস্তান্তর করেন। এসময় অনুষ্ঠানে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা ও ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের কারিগরি দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

post
এনআরবি সাফল্য

‘মেডেল অব গুড সিটিজেনশিপ’ অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন বাংলাদেশি আমিনুল

ব্রিটিশ কলম্বিয়া সরকারের সম্মানজনক ‘মেডেল অব গুড সিটিজেনশিপ’ অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমিনুল ইসলাম। নিজ নিজ কমিউনিটিতে বিশেষ অবদানের জন্য প্রতিবছর এ অ্যাওয়ার্ড দিয়ে থাকে ব্রিটিশ কলম্বিয়া সরকার। এবার ২১ জন এ পদকের মনোনীত হয়েছেন। আগামী ২৫ জানুয়ারি তাদের হাতে পদক তুলে দেওয়া হবে। প্রথম কোনো বাংলাদেশি হিসেবে সম্মানজনক এ পদক পাচ্ছেন আমিনুল ইসলাম।কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া সরকার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের সারে শহরের বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাতৃভাষা চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন আমিনুল ইসলাম। তার উদ্ভাবিত ‘ব্রিটিশ কলম্বিয়া’ মডেলের মাধ্যমে সারে শহরের শিক্ষার্থীরা ১৭২টি মাতৃভাষা চর্চায় সম্পৃক্ত হতে পেরেছে। তার মডেলটি সারে শহরের বাইরের স্কুলগুলোতেও জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এমনকি ইউনেস্কোর এডুকেশন ফের্মওয়ার্ক-২০৩০ এর জন্যও মডেলটি গৃহীত হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের বাইরে প্রথম দেশ হিসেবে ২০২৩ সালে কানাডা ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়েছে। এক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন মো. আমিনুল ইসলাম। এ ছাড়া বিভিন্ন মাতৃভাষা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে তার উদ্যোগে ২০১৩ সাল থেকে কানাডায় ‘মাতৃভাষা উৎসব’ পালিত হচ্ছে। মাতৃভাষার বৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধা হিসেবে তার উদ্যোগে ২০০৯ সালে কানাডার প্রথম মাতৃভাষা স্মৃতিস্তম্ভ ‘লিংগুয়া অ্যাকুয়া’ স্থাপিত হয়।

post
এনআরবি বিশ্ব

সাস্কাচুয়ানে চবি প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী সমিতির আত্মপ্রকাশ

কানাডার সাস্কাচুয়ানে যাত্রা শুরু করল সাস্কাচুয়ান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী সমিতি। গত ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সাস্কাটুন শহরের প্রসিদ্ধ ‘স্পাইসি টাইম রেস্টুরেন্টে’ আয়োজন করা হয় ফ্যামিলি নাইটের। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী এতে সপরিবারে উপস্থিত হন। নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতিচারণের পাশাপাশি সমিতির ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়ে শিক্ষার্থীরা মতবিনিময় করেন। নতুন এ সংগঠনের পক্ষ থেকে বছরজুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের পাশাপাশি নতুন অভিবাসী ও শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সাহায্য প্রধানের ব্যাপারে আলোচকরা গুরুত্ব আরোপ করেন।

post
অভিবাসন

ভিসা আবেদন নিয়ে বাংলাদেশিদের সুখবর দিল কানাডা

বাংলাদেশের ভিসা আবেদন কেন্দ্রে অ্যাপয়েন্টমেণ্টের ব্যাপক চাহিদার কারণে পাসপোর্ট জমা দেয়ার চিঠির মেয়াদ সাময়িকভাবে আরও ৩০ দিন বাড়িয়েছে।ভিএফএস গ্লোবালের এক মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানান। তিনি জানান, আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে এর অর্থ হলো- তাদের আইআরসিসি বিআইএল বা পাসপোর্ট অনুরোধপত্রটি চিঠিতে উল্লিখিত মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখের পরে আরও ৩০ দিনের জন্য বৈধ থাকবে। এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেসব আবেদনকারী এই বর্ধিত মেয়াদের পরেও অ্যাপয়েন্টমেণ্টের সময়সূচি নির্ধারণ করতে বা তাদের পাসপোর্ট জমা দিতে পারবে না, তাদের নতুন বিআইএল বা পাসপোর্ট জমা দেয়ার চিঠির অনুরোধ করার জন্য আইআরসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। যে কোনো নতুন ইস্যু কেবলমাত্র ৩০ দিনের জন্য বৈধ হবে। আরো বলা হয়, শেষ মুহূর্তের ভিড় এড়ানোর জন্য তাদের কানাডা ভিসা বা পারমিটের জন্য আগাম আবেদন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

post
খেলা

টরোন্টোয় এসসিসি চ্যাম্পিয়নশিপ কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা

বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার ভেতর দিয়ে টরোন্টোয় অনুষ্ঠিত হয়েছে এসসিসি চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল কাপ-২০২২। স্থানীয় অক্রিজ মাঠে টরোন্টোর বাঙালি কমিউনিটির শীর্ষ আটটি ফুটবল দল নিয়ে মূল প্রতিযোগিতা শুরু হয়।স্বাধীন কমিউনিটি কানাডা ইন্ক আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলগুলো হচ্ছে- বাংলা পাড়া ক্লাব, ডেন্টোনিয়া এফ সি, সিলেট ঈগলস, ওয়াটারলু, স্বাধীন এফ সি, সোলজারস, স্নাইপার,স্বাধীন কমিউনিটি কানাডা ইনক এবং মন্ট্রিয়েল। চারটি করে দল ২ গ্রুপে মোট ১২টি খেলায় অংশগ্রহন করে ৪ দল সেমিফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। প্রতিটা খেলা ছিলো উপভোগ্য এবং মানসম্মত। দর্শকবৃন্দের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল লক্ষ্য করার মতো। স্থানীয়রা নিজ নিজ ব্যাকইয়ার্ড অথবা ঘাসের উপর বসে পুরো প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন ।সেমিফাইনাল খেলে যে চারটি দল তারা হলো- স্বাধীন এফসি, সোলজার্স, মন্ট্রিয়েল এবং ওয়াটারলু। মন্ট্রিয়েল ২-১ গোলে স্বাধীনকে এবং সোলজার্স উত্তেজনাপূর্ণ টাইব্রেকারে ওয়াটারলুকে পরাজিত করে ফাইনালে উন্নীত হয় । ফাইনালের শুরুতেই সোলজার্স আক্রমণাত্মক খেলে এক গোলে এগিয়ে যায় । পরবর্ততে মন্ট্রিয়েল মরিয়া হয়ে চেষ্টা করেও গোল পরিশোধ করতে পারেনি । সোলজারস 'এসসিসি চ্যাম্পিয়নশিপ কাপ-২০২২' জিতে নেয়। খেলা পরিচালনায় আয়োজক সংস্থার সমন্বয়কবৃন্দ ডিরেক্টর দেলওয়ার হোসাইন মিন্টু এবং ডিরেক্টর জুয়েল আহমেদকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন সংগঠনের ডিরেক্টর ইত্তেজা আহমেদসহ অতিথি আহমেদ নাসিরউদ্দিন, সাদ চৌধুরী, ফয়সল আহমেদ, রাব্বি, দিল আহমেদ, জবরুল ইসলাম, ফয়সল কবির, সৈয়দ সোয়েব,, রিয়াদ, নিসার চৌধুরী, মোঃ আজিজ এবং রায়ান। এই প্রতিযোগিতায় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছেন ব্যারিস্টার জনাব ওমর হাসান আল-জাহিদ, রিয়েল্টর ইনভেস্টর সাব্বির চৌধুরী, ডেভেলপার দেলওয়ার হোসাইন মিন্টু, রিয়েল্টর মাহবুব ওসমানী, রিয়েল্টর শামসুল আলম রিয়াজ, ডেভেলপার নাজমুল জায়গিরদার রানা, সিইও সিএম ডিজাইন এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ফয়সাল আহমেদ এবং সিইও বাংলা মোটরস্ আনোয়ার আহমেদ।

post
এনআরবি বিশ্ব

কানাডার নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানিজ মৌলীর নির্বাচনী প্রচারণা

কানাডার অন্টারিওর প্রভিন্সিয়াল নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী কানিজ মৌলীর নির্বাচনী প্রচারণা শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। বার্লিংটনের ৪০৪ পালাডিয়াম ওয়েতে বিপুল সংখ্যক সমর্থক স্বেচ্ছাসেবক এবং শুভানুধ্যায়ীদের অংশগ্রহণে কানিজ মৌলী তার নির্বাচনী প্রচারণার ঘোষণা দেন।সরকারে ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির মনোনয়ন নিয়ে কানিজ মৌলী ওকভিল নর্থ-বার্লিংটন এলাকা থেকে প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ২ জুন এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।কানিজ মৌলী তাকে এবং লিবারেল পার্টিকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অভিবাসী পরিবারের সন্তান হিসেবে অভিবাসীদের সংকট তিনি ভালোভাবেই বুঝতে পারেন। সেই সব সংকট দূর করার ক্ষেত্রে তিনি অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন বলে ঘোষণা দেন।

post
এনআরবি বিশ্ব

কানাডার অন্টারিও নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৩ প্রার্থী

আগামী ২ জুন কানাডার অন্টারিও প্রভিন্সিয়াল নির্বাচনকে সামনে রেখে পুরো প্রদেশে এখন ভোটের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। বিভিন্ন কারণে প্রদেশের বাসিন্দাদের জন্য এবারের নির্বাচনটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে এর আলাদা একটি গুরুত্ব তৈরি হয়েছে। কারণ এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ডলি বেগম। এর আগেও তিনি ২০১৮ সালে এনডিপির মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য একটি গৌরবোজ্জ্বল রেকর্ড প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। স্কারবোরো সাউথওয়েস্ট রাইডিং-এ এবারও তিনি প্রার্থী। ডলি বেগমের বাইরে আরও দুজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী এবার প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন। এর মধ্যে ইটোবিকো-লেকশোর থেকে প্রার্থী হয়েছেন এনডিপি প্রার্থী ফারহিন আলিম এবংর ওকভিল নর্থ বারলিংটন থেকে লিবারেল পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কানিজ মৌলি। বিজয়ী হওয়ার প্রত্যয় নিয়ে এনডিপি প্রার্থী ডলি বেগম বলেন, গত চার বছর তিনি অন্টারিয়ানদের বিভিন্ন ইস্যুতে সংসদে সোচ্চার থেকেছেন। অভিবাসীদের সমস্যা নিয়ে সরব থেকেছেন। তার চার বছরের কাজের মূল্যায়নে ভোটাররা এবারো তাকে বিজয়ী করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। ডলি বেগম বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার ভোটাররা মূলত অভিবাসী। নিজে একজন অভিবাসী পরিবারের সদস্য হিসেবে তার সমস্যা, তাদের চাওয়া আমি সবচেয়ে ভালো বুঝতে পারি। ওকভিল নর্থ বারলিংটন থেকে লিবারেল পার্টির প্রার্থী কানিজ মৌলি বলেন, অন্টারিওর মধ্যবিত্ত সমাজের জন্য সবচেয়ে প্রগতিশীল এবং অগ্রসর ভাবনার কর্মসূচি নিয়ে অন্টারিও লিবারেল পার্টি এবার নির্বাচন করছে। তিনি আশা করছেন, তাদের কর্মসূচির কারণেই জনগণ তাদের এবার ভোট দেবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সক্রিয় রাজনীতি করা কানিজ মৌলি বলেন, রাজনীতি এবং প্রশাসনিক পর্যায়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জন করার পর তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। ইটোবিকো-লেকশোর থেকে এনডিপি প্রার্থী ফারহিন আলিম বলেন, আমি একজন হাই স্কুল শিক্ষক, পেশাদার রাজনীতিক নই। কিন্তু কোভিড মহামারিতে আমার ছাত্রছাত্রীদের যে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে, তা দেখে আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। নিজের বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ফারহিন আলিম বলেন, অভিবাসী, মধ্যবিত্ত নাগরিকদের সমস্যা নিয়ে আমি কাজ করতে চাই। অন্টারিওর প্রভিন্সিয়াল নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের প্রার্থিতা নিয়ে কানাডার নতুন দেশ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ও সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর বলেন, প্রভিন্সিয়াল নির্বাচনে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো থেকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিনজনের মনোনয়ন পাওয়ায় প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক এবং সম্মানের বিষয়। তিনি কানাডার মূলধারার রাজনীতিতে বাংলাদেশিদের আরও বেশি অংশগ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, শুধু প্রার্থী নয়, ভবিষ্যতে আমরা আরও বেশি বিজয়ী প্রবাসীদের কানাডার মূলধারার রাজনীতিতে দেখতে চাই, যাতে বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে একটি সুদৃঢ় সেতুবন্ধন তৈরি হয়।

post
অনুষ্ঠান

কানাডায় বর্ণিল আয়োজনে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব উদযাপন

আহসান রাজীব বুলবুল, কানাডা থেকে: উৎসবমুখর, বর্ণিল আয়োজনের মধ্যে দিয়ে কানাডার ক্যালগেরির মন্টগোমরিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলা বর্ষবরণ উৎসব ১৪২৯। তুষার আবৃত্ত কানাডার কর্মময় একঘেয়েমি জীবন থেকে এদিন বের হয়ে এসে প্রবাসী বাঙালিরা সারাদিন ব্যাপী আনন্দ উৎসবে মেতেছিল অন্যরকম এক মিলন মেলায়। বাংলার সবুজ মাঠ পেরিয়ে বিশ্ব প্রান্তরে সূর্যের হাসি তেমন দেখা না মিললেও প্রবাসীদের বৈশাখের রঙ, ভালবাসার রঙ, আড্ডার রঙ, লোকজ ভাবনা, বাংলার ঐতিহ্য ও আনুষ্ঠানিকতায় একে অপরের সান্নিধ্যে শ্রদ্ধা, ভালবাসা বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়-মন ভরে উঠেছিল প্রবাসী জীবনের আনন্দ জয়গানে। শিশু-কিশোর আর নারী পুরুষের পদভারে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল মন্টগোমেরি কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তন। নবপ্রজন্মের কাছে আবহমান বাংলার কৃষ্টি ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জাতীয় স্বত্ত্বাকে তুলে ধরাই ছিল বাংলা বর্ষবরণ উৎসবের মূল লক্ষ্য। মেলায় ছিল রঙ বেরঙের এর বাহারী শাড়ি, বাংলার ঐতিহ্যময় পিঠাপুলি খাবারসহ আকর্ষণীয় বিভিন্ন ধরণের স্টল। মূল আকর্ষণ ছিল ছোট ছোট শিশু কিশোরদের হাতে মুখ ও মুখোশ নিয়ে বৈশাখী শোভা যাত্রা। সারাদিনব্যাপী অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীদের পাশাপাশি সঙ্গীত পরিবেশন করেন- কলকাতার জি বাংলা সারেগামাখ্যাত শিল্পী ঐন্দ্রিলা দাস। তার অনবদ্য সঙ্গীত পরিবেশনায় ফুটে উঠে বাংলার রূপ, প্রকৃতি, ভালোবাসা ও নির্মল আনন্দ।পদ্মা-যমুনা মিলনের মতই প্রবাসী বাঙালিদের পাশাপাশি বিদেশিরাও এ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তা উপভোগ করেন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। আনন্দের আবহে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বাঙালির চিরাচরিত আড্ডা আর লোকে লোকারণ্যে মুখরিত গানের সুরে, কবিতার ছন্দে, নাচের মুদ্রায় আর উপস্থাপনায় কোথাও যেন ঘটেনি ছন্দপতন। আয়োজক 'আমরা সবাই' সংগঠনের সভাপতি রুপক দত্ত বলেন, আমাদের রয়েছে সুন্দর একটি সংস্কৃতি, যে বলয়ে আমরা বেড়ে উঠেছি, আমাদের সেই ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নবপ্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে চাই। সারা বিশ্ব আনন্দময় হয়ে উঠুক বছরের প্রথম দিনে এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।ক্যালগেরির বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও এবিএম কলেজের প্রেসিডেন্ট ড. মো: বাতেন বলেন, খুবই ভালো লাগছে, আমাদের বাংলা বর্ষবরণ উৎসবে বিদেশিদের উপস্থিতি দেখে। নতুন বছর সবার জীবনে আনন্দ আর অনাবিল শান্তি বয়ে আনবে, পহেলা বৈশাখের এই আনন্দ সারা বছর বাঙ্গালিদের মাঝে বিরাজমান থাকবে এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।ক্যালগেরির সংগীতশিল্পী ঐশ্বর্য গুহ বলেন, আমরা বাংলাদেশের রমনার সেই বটমূলের বৈশাখকে খুব মিস করছি। তবুও দীর্ঘ দুই বছর পর পরিবার পরিজন নিয়ে এখানে বৈশাখের আনন্দে শামিল হতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা। মঙ্গলময় হয়ে উঠুক পুরো পৃথিবী।দূর প্রবাসে বাঙালি সংস্কৃতির এ উৎসব যেন এক মহামিলন। কর্মজীবনের পাশাপাশি সম্প্রীতির বন্ধনে এমনি করে বারবার এই মহামিলনে জেগে উঠবে নতুন প্রজন্ম, হৃদয়ে বাংলাদেশকে ধারণ করে লাল সবুজ আর মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ হয়ে উঠবে আরও সুন্দর- এমনটাই প্রত্যাশা ক্যালগেরিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের।

post
এনআরবি বিশ্ব

কানাডার বৈশাখী মেলা পরিণত হয় একখণ্ড বাংলাদেশ

কানাডার ক্যালগেরিতে বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিলভার স্প্রিংস কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এই মেলার আয়োজন করে ক্যালগেরি বঙ্গীয় পরিষদ। দিনব্যাপী এই মেলায় আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খাবারের আয়োজন করা হয়। কোমলমতি শিশু-কিশোর ও প্রবাসী বাঙালিরা নানা রঙে সেজে স্বাগত জানায় নতুন বছরকে। বিকেলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মেলার সমাপ্তি হয় দীর্ঘ দুই বছর করোনা পরিস্থিতিতে নববর্ষ পালন হয়নি। এবার এই বৈশাখী মেলা পরিণত হয় একখণ্ড বাংলাদেশে। বঙ্গীয় পরিষদের সভাপতি জয়দীপ স্যানাল বলেন, নববর্ষের আনন্দ সবার মাঝে উৎসারিত হোক। সবার মঙ্গল হোক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব কিরণ বণিক শংকর বলেন, বৈশাখ আমাদের সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। হাজার বছরের এই সংস্কৃতি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই আমাদের আয়োজন। 

post
অনুষ্ঠান

কানাডার ক্যালগেরিতে বাংলাদেশিদের চৈত্রসংক্রান্তি ও বৈশাখী মেলা উদযাপিত

বাংলা বছরের শেষ দিনকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করে নিতে কানাডার ক্যালগেরিতে বাংলাদেশ পূজা পরিষদ অব ক্যালগেরির আয়োজনে গ্রামবাংলার চৈত্রসংক্রান্তি ও বৈশাখী মেলা উদযাপিত হয়েছে।দিনব্যপী অনুষ্ঠানে ছিল হেনা আর্ট, ফেইস পেন্টিং, বাংলা সংস্কৃতির হরেক রকমের খাবার ও বিভিন্ন ধরনের স্টলে ছিল বাহারি রকমের শাড়ি।মেলায় কোমলমতি শিশু-কিশোরদের জন্য ছিল বিশেষ আয়োজন। প্রবাসী বাঙালিরা নানা রঙে সেজে শোভাযাত্রার মাধ্যমে স্বাগত জানায় নতুন বছরকে। প্রবাসীদের আয়োজন যেন গ্রাাম-গঞ্জের ঘাটে, মাঠে, বয়সী বটের তলায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের সেই দিনগুলোর কথাই যেন মনে করিয়ে দেয়। বিকেলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে চৈত্রসংক্রান্তির অনুষ্ঠান সমাপ্তি হয়। দীর্ঘ দুই বছর করোনা বিরতির পর প্রবাসীরা যেন নতুন করে জেগে উঠেছিল। গ্রাম বাংলার মতোই তারা নতুন পোশাকে সজ্জিত হয়ে আনন্দে মিলিত হয়েছে একে অপরের সান্নিধ্যে। বিনিময় করছেন কুশলাদি। পরিবার-পরিজনের শিশু-কিশোরদের পদচারণায় পরিণত হয়েছিল এক মিলন মেলার। মুহূর্তেই বাংলাদেশ সেন্ট্রার পরিণত হয়েছিল একখণ্ড বাংলাদেশে। চৈত্র সংক্রান্তি অনুষ্ঠানের আয়োজক লীনা বৈরাগী জানান, অনেক দিন পর সবার সঙ্গে মিলিত হয়ে এক অন্য রকম আনন্দ উপভোগ করছি। তাছাড়া ক্যালগেরিতে আমরা প্রথমবারের মতো চৈত্রসংক্রান্তির অনুষ্ঠান করছি। আবহমান বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নতুন প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরাই আমাদের এই অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য। আমরা চাই, যেন আমরা আমাদের সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়ে যাই। মা মাটি ও দেশ যেন থাকে আমাদের হৃদয়ে। অন্যতম আয়োজক প্রনব দাস জানান, শৈশবের চৈত্র সংক্রান্তির মেলা কে খুব মিস করি। হয়তো আর কোনোদিন সেই মেলা ফিরে আসবে না, কিন্তু আমরা চাই আমাদের প্রজন্মের মাঝে আমাদের সংস্কৃতি যেন জীবিত থাকে। ছোটবেলার সেই যাত্রা, সার্কাস, বায়োস্কোপ, পুতুলনাচ, ঘুড়ি ওড়ানো চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা এখানে না থাকলেও দেশ যেন থাকে হৃদয়ে। হিন্দু পঞ্জিকা মতে, দিনটিকে গণ্য করা হয় মহবিষুব সংক্রান্তি নামে। হিন্দুরা পিতৃপুরুষের তর্পণ করে থাকে, নদীতে বা দিঘীতে পূণ্যস্নান করে থাকে। শাস্ত্র ও লোকাচার অনুসারে চৈত্রসংক্রান্তির দিনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস প্রভৃতি ক্রিয়াকর্মকে পূণ্যজনক বলে মনে করা হয়। ক্যালগেরির প্রবাসী বাঙালিরা অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে চলেছেন তাদের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.