post
শিক্ষা

খুলে গেলো সম্ভাবনার দুয়ার, আইজিইউ'র স্প্রিং কোয়ার্টারের ওরিয়েন্টেশন সম্পন্ন

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াস্থ আইগ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্প্রিং কোয়ার্টারে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন হয়ে গেলো ৩০ মার্চ (বুধবার)। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে অংশ নেন কয়েক শ' শিক্ষার্থী। বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশের ছয় শতাধিক ছাত্রছাত্রী এখন পড়াশোনা করছেন আইগ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাদের মধ্যে নতুন সিমেস্টারে যোগ দিয়েছেন দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। আগামী ৪ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ২০২২ এর স্প্রিং কোয়ার্টার। অনলাইন প্লাটফর্মে হলেও এবারের ওরিয়েন্টেশনে শিক্ষার্থীদের জন্য ছিলো নানা আয়োজন। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় র্কতৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের সামনে তুলে ধরেন আইগ্লোবালের সার্বিক চিত্র। শিক্ষার্থীদের ধারনা দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান থেকে শুরু করে নানা সুযোগ সুবিধা ও নিয়ম নীতির বিষয়ে। আইজিইউর চ্যান্সেলর বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ শিক্ষার্থীদের প্রতি লেখাপড়ায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সফলভাবে পড়াশোনা শেষ করে শিক্ষার্থীরা যখন তাদের কর্মজগতে যোগ দেবে তখন তাদের সামনে খুলে যাবে অনেক বড় সম্ভাবনার দুয়ার। লক্ষ্যে পৌছাতে প্রত্যেককে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগুনোর পরামর্শ দিয়ে আবুবকর হানিপ বলেন, লেখাপড়ায় ভালো গ্রেডই তৈরি করতে পারে ভালো সম্ভাবনা। লেখাপড়ার বিষয়টিকে গুরুত্বহীন করে তুলে কেউ যদি আয় উপার্জনে ঝুঁকে পড়ে কিংবা বিকল্প কোন পথে হাঁটে তাহলে ভিসা ‌স্ট্যাটাস হারিয়ে সমূহ বিপদের মুখে পড়তে হবে, শিক্ষার্থীদের সতর্ক করে দেন চ্যান্সেলর। কয়েকটি উদাহরণ সামনে এনে আবুবকর হানিপ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে অনেকে পড়াশোনাকে সঠিকভাবে গুরুত্ব না দেয়ায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একাধিক ডিগ্রি নেবার পরও কোন চাকুরি জুটছে না। আর যুক্তরাষ্ট্রের আইন ও বিধি-বিধান অনুযায়ী ওপিটি বা একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাজ না পেলে হয় অন্য কোথাও পড়াশোনা করেত করতে হবে নয়তো দেশে ফিরে যেতে হবে। সুতরাং এখনই উপার্জনকে গুরুত্ব না দিয়ে লেখাপড়ায় মন দিলে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে সফলতা এমনিতেই আসবে, বলেন তিনি। আইজিইউর কারিকুলাম একাডেমিয়া ও ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে একটি ইকোসিস্টেম সৃষ্টি করে দক্ষ কর্মশক্তি তৈরিতেও সচেষ্ট এমনটা উল্লেখ করে চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ বলেন, ছাত্রছাত্রীদের সুন্দর ও সফল ভবিষ্যত কথা ভেবে একটি ইউনিক শিক্ষাপদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে আইগ্লোবালে। যা সুসম্পন্ন করলে শুধু আমেরিকায় নয় বিশ্বের যে কোন প্রান্তে স্বপ্নের চাকরি পাওয়া সম্ভব হবে। আইগ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক বলেন, অন্য বিশ্ববিদ্যালয় সাথে আইগ্লোবালের পার্থক্য বেশ কয়েকটি বিষয়ে। তার মধ্যে অন্যতম হলো এটি স্কিল-বেজড একাডেমিক বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে পড়াশোনার খরচ যেমন কম তার পাশাপাশি রয়েছে কয়েক ধরনের স্কলারশিপ। এছাড়া অনলাইন, অফলাইন দুইভাবে এখানে পড়াশোনা করার সুযেগা রয়েছে। কেউ চাইলে বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে অনলাইনের মাধ্যেম আইগ্লোবাল থেকে পরিপূর্ণ ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন। নতুন কোয়ার্টারে অনেক শিক্ষার্থী পরিবার পরিজন ছেড়ে বিদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো পড়তে এসেছে। নতুন জায়গা নতুন পরিবেশ অনেকের মানিয়ে নিতে কষ্ট হবে, কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে যেতে পারে, পরিবারকে মিস করবে, একেবারে নতুন সাবজেক্ট হওয়ায় বুঝতে কঠিন হবে, বিষয়গুলো আমাদের ভাবনায় রয়েছে, বলেন ড. হাসান কারাবার্ক। এমন কোন পরিস্থিতিতে পড়লে ছাত্রছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি। এবং বলেন, শিক্ষার্থীদের যে কোনো সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় পাশে থাকবে । আইজিইউ প্রেসিডেন্ট আরও জানান, কারিকুলামে বেশ কিছু স্কিল ডেভোলপিং প্রোগ্রাম রয়েছে। যার জন্য নতুন আইটি ল্যাব তৈরি করা হয়েছে। যেখানে শিক্ষার্থী হাতে কলমে দক্ষতাগুলো শিখে নিতে পারবে। এখানে সম্ভাবনা অপরিসীম তবে তার জন্য প্রচণ্ড পরিশ্রম করতে হবে এবং অধ্যাবসায়ী হতে হবে, বলেন আইজিইউ প্রেসিডেন্ট। আইগ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা ফারহানা হানিপ ছাত্রছাত্রীদের যে কোন সমস্যার কথা বিশ্ববিদ্যালয়কে জানানোর পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, এখানে পড়তে আসার পর অনেকে অনেকরকম পরামর্শ দিবে। তার মধ্যে ভালো মন্দ অনেক কিছুই থাকবে। এসব শুনে নতুন শিক্ষার্থীরা মিসগাইডেড হয়। ভুল সিদ্ধান্ত নেয়। তাই তারা যেনো যে কোনো পরামর্শের জন্য সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শরণাপন্ন হন, বলেন সিএফও। ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক রীতিপদ্ধতির উপর আলোচনা হয়। শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব এজেন্ডাগুলো সামনে নিয়ে আসেন আইজিইউর স্কুল অব বিজনেস এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মার্ক এল রবিনসন। আইগ্লোবাল কোন লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টে ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে পাশে থাকবে সেসব বিষয়ে আলোকপাত করেন তিনি। এ পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কলারশিপের সুযোগের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন অধ্যাপক মার্ক। স্কুল অব আইটি'র পরিচালক ড. অ্যাপোসটোলস এলিয়োপলস শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের সফলতার দ্বারে পৌছে দেয়াই আমাদের লক্ষ্য। তার জন্য আমরা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি। শিক্ষার্থীদের সামনে তাদের পড়াশোনার নানা ধরন পরীক্ষার মান বন্টনের বিষয়গুলো বিস্তারিত তুলে ধরেন ড. অ্যাপোসটোলস। অনলাইন ও অফলাইন ক্লাসগুলো কখন কিভাবে অংশ নিতে হবে সে ব্যাপারে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি। ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. জাফর পিরিম আইগ্লেবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেয়ার নিয়ম, প্লাজারিজম এর ব্যাপারে কঠোরতার দিকগুলো উপস্থাপন করেন। এডমিশন ম্যানেজার সারাহ হেদায়েত স্টুডেন্ট ভিসায় আসার পর একজন শিক্ষার্থীকে যে সব নিয়ম মানতে হয় সে বিষয়ে সম্যক ধারনা দেন। ভর্তি পদ্ধতি, বিষয় পরিবর্তন, লাইব্রেরি ও আইটি ল্যাবের ব্যবহার সম্পর্কে কথা বলেন তিনি। এ সময় শিক্ষার্থীদের কাজের ক্ষেত্রে বিধি অনুযায়ী যে ওপিটি ও সিপিটি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে সে বিষয়েও বিস্তারিত তুলে ধরেন সারাহ হেদায়াত। এই আয়োজনে আরও বক্তব্য রাখেন আইগ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট গভর্নমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সেলিন ইয়েগিত। বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই কোয়ার্টার কমপ্লিট করা ছাত্রী অমুওনমি সেকিরাত নিজের অভিজ্ঞতা অরিয়েন্টেশনে শেয়ার করে নানা পরামর্শ রাখেন। অরিয়েন্টেশনের শেষ পর্বে ছিলো প্রশ্নোত্তর পর্ব। সেখানে নবাগত ছাত্রছাত্রী বিভিন্ন প্রশ্ন রাখেন। তাদের প্রশ্নের উত্তর দেন বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক ও কর্মকর্তারা। করোনার কারণে আইগ্লোবালের ক্লাসগুলো হাইব্রিড পদ্ধতিতে চলবে। ক্লাসসমূহের কিছু কিছু অফলাইনে এবং অধিকাংশই অনলাইনে সম্পন্ন হবে। কোয়ার্টারের ৬ষ্ঠ এবং নবম সপ্তাহের ক্লাসগুলোতে শিক্ষার্থীরা সশরিরে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে অংশ নিতে পারবে বলে অরিয়েন্টেশনে জানানো হয়।

post
প্রবাস রাজনীতি

পদ্মাসেতুর উদ্বোধনী দিনে নিউইয়র্কে বিজয় উৎসব করবে আওয়ামী লীগ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফেরা বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি অব্যাহত রাখার স্বার্থে সামনের বছরের নির্বাচনেও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করার জন্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজের সংকল্প ব্যক্ত করলেন নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। ৫২তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৮ মার্চ সোমবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে একটি পার্টি হলের এ সমাবেশের বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত প্রতিটি প্রবাসীর ঐক্য কামনা করেন এবং নিউইয়র্কে একাত্তরের পরাজিত শক্তির অনুসারীদের ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার মধ্য দিয়েই স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার কথা ব্যক্ত করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নিউইয়র্ক হতে প্রকাশিত ও প্রচারিত কয়েকটি গণমাধ্যমে শেখ হাসিনা ও তার সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার অপপ্রচারণার জবাব দিতে নিজেরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন বলে উল্লেখ করেন নেতারা। মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি আব্দুল কাদের মিয়ার সভাপতিত্বে এ সমাবেশ পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি সুব্রত তালুকদার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক ছাত্রনেতা কামাল হোসেন মিঠু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত এক দশকে বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবিবরণী দিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুর নীতি-আদর্শে উজ্জীবিত সকলের মধ্যেকার অনৈক্য দূর করতে হবে। তাহলেই সমৃদ্ধির প্রত্যাশা পূরণ হবে। সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে আব্দুল কাদের মিয়া বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান রেখেছেন নীতি ও আদর্শে অবিচল এবং এলাকার মানুষের সত্যিকার কল্যাণে বদ্ধপরিকর নেতা-সংগঠকদের সামনের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার জন্যে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীর সাথে সম্পর্ক নেই এবং ক্ষমতার কাছাকাছি থেকে যারা দলের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকারও প্রয়োজন রয়েছে। ২৩ জুন বাংলাদেশের আপামর জনগোষ্ঠির স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিন নিউইয়র্কেও ব্যাপক বিজয়-উল্লাস করার কর্মসূচিও ঘোষণা করেছেন আব্দুল কাদের মিয়া। স্বাধীনতা দিবসের এ সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বিশ্ববাংলা টোয়েন্টিফোর টিভির সিইও মুক্তিযোদ্ধা-সন্তান আলিম খান আকাশ, চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি আহসান হাবিব, মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুল মতিন পারভেজ, আশরাব আলী খান লিটন, সাহাবউদ্দিন চৌধুরী লিটন, সমিরুল ইসলাম বাবলু, রিপন মোল্লাহ, নবী হোসেন, নাজিমউদ্দিন, জাফরউল্লাহ, মোহাম্মদ সিরাজ প্রমুখ। 

post
যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কে 'আমরা সবাই প্রবাসী' গানের অনলাইন রিলিজ, মনোজ্ঞ সঙ্গীত সন্ধ্যা

নিউইয়র্কে গভীর ভালোবাসা ও আনন্দ-উচ্ছ্বাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে লেখক শাহ বদরুজ্জামান রুহেলের কথা এবং বাউল শিল্পী কালা মিয়ার কন্ঠ ও সুরে "আমরা সবাই প্রবাসী" গানের অনলাইন রিলিজ উৎসব।গত ১৪ মার্চ রাতে ব্রঙ্কসের বাংলাবাজার এভিনিউর এশিয়ান ড্রাইভিং স্কুল হলে একইসাথে পরিবেশিত হয় প্রবাসের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী শাহ মাহবুব পরিবেশিত মনোজ্ঞ সঙ্গীত সন্ধ্যা। যুক্তরাষ্ট্রে বাঙালীদের অন্যতম সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশি-আমেরিকান কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন ও হৃদয়ে বাংলাদেশ যৌথভাবে এ উৎসবের আয়োজন করে। খবর ইউএসএনিউজঅনলাইন'র। বাংলাদেশি-আমেরিকান কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহবাব চৌধুরী খোকনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সারওয়ার চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল হাসিম হাসনু। অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন ও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল চৌধুরী, মূলধারার রাজনীতিক মোহাম্মদ এন মজুমদার, বাংলাবাজার বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও হৃদয়ে বাংলাদেশের সভাপতি সাইদুর রহমান লিংকন, ইউএসএনিউজঅনলাইন.কম'র সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সেলিম, জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী শাহ মাহবুব, বাংলাদেশি-আমেরিকান কালচারাল এসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ কামাল আহমদ, প্রচার ও গণসংযোগ সম্পাদক সোহেল আহমদ, স্কুল শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সালমা সুমি, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী মুমিত তানিম, হৃদয়ে বাংলাদেশের উপদেষ্টা মামুন রহমান, সাধারণ সম্পাদক পল্লব সরকার, যুগ্ম সম্পাদক মাকসুদা আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান জামান রানা, দপ্তর সম্পদক মার্গারেট মল্লিক, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার সহ সভাপতি মনজুর চৌধুরী জগলুল, বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কসের সভাপতি সামাদ মিয়া জাকের, রংধনু সোসাইটির সভাপতি মোহাম্মদ মোনতাসিম বিল্লাহ তুষার, লেখক-বিজ্ঞানী ড. দলিলুর রহমান, কবি জুলি রহমান, মাসুম আহমেদ, অধ্যাপক মো. আবু সুফিয়ান, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট এনজে আহমেদ জাবেদ, গোলাম মোদাব্বির চৌধুরী, আলমগীর কবির শামীম, রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ। উৎসবে তোফায়েল চৌধুরী, মোহাম্মদ এন মজুমদার, আব্দুল হাসিম হাসনু, আহবাব চৌধুরী খোকন, সারওয়ার চৌধুরী, সাইদুর রহমান লিংকনসহ অন্যান্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে সুইচ টিপে "আমরা সবাই প্রবাসী" গানের অনলাইন রিলিজ করেন। এই সময় বিপুল সংখ্যক প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে "আমরা সবাই প্রবাসী" গানের লেখক ও বাংলাদেশি-আমেরিকান কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ শাহ বদরুজ্জামান রুহেল "আমরা সবাই প্রবাসী" গানের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অনলাইনে "আমরা সবাই প্রবাসী" গানটি রিলিজ হয়ে গেলো। আপনারা গানটি উপভোগ করুন। প্রবাসীদের প্রতি উৎসর্গকৃত গানটি যদি সকলের ভালো লাগে তবেই এই প্রয়াস সফল হবে। অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশি-আমেরিকান লেখক শাহ বদরুজ্জামান রুহেলের কথা এবং বাংলাদেশের প্রখ্যাত বাউল শিল্পী কালা মিয়ার কন্ঠ ও সুরে "আমরা সবাই প্রবাসী" গানের ভুয়সী প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে "আমরা সবাই প্রবাসী" গান সহ বেশ ক’টি জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে সবাইকে মাতিয়ে রাখেন জনপ্রিয় শিল্পী শাহ মাহবুব। কবিতা আবৃত্তি করেন পল্লব সরকার। গভীর রাত পর্যন্ত দর্শক-শ্রোতারা অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশি-আমেরিকান কালচারাল এসোসিয়েশনের সভাপতি আহবাব চৌধুরী খোকন, সাধারণ সম্পাদক সারওয়ার চৌধুরী এবং "আমরা সবাই প্রবাসী" গানের লেখক শাহ বদরুজ্জামান রুহেল।

post
যুক্তরাষ্ট্র

আবার বরফাচ্ছন্ন ভার্জিনিয়া, মেরিল্যান্ড, ডিসি

গত চারদিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি, ভার্জিনিয়া এবং মেরিল্যান্ডের আবহাওয়া ছিলো রোদ্রজ্জল। শুক্রবারের আকাশ ছিলো চোখে পড়ার মতো নীল আর ঝকঝকে। কিন্তু কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে প্রকৃতির চেহারা একেবারে পাল্টে গেলো। শনিবার বরফে ঢেকে গেছে ওয়াশিংটন ও উত্তর ভার্জিনিয়া ও মেরিল্যান্ড। যানবাহন আটকে আছে রাস্তায়। ঝড়ো বাতাসসহ সাথে তুষার ঝড়ের আবহাওয়ার পূর্ভাবাস ছিলো আগে থেকেই। সে পূর্বাভাস পুরোপুরি মিলে গেছে। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে তুষার পাত আর সাথে দমকা বাতাসে। স্থানীয় সময় শনিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া তুষার ঝড় চলে দুপুর পর্যন্ত। প্রবল তুষারপাত সাথে প্রচন্ড বাতাস। চার ইঞ্চি পরিমান বরফে ঢেকে গেছে সব কিছু। চলাচল ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠায় রাস্তায় কমে আসে গাড়ির সংখ্যা। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হননি লোকজন। দুর্ঘটনা এড়াতে রাস্তায় বের হতে নিষেধ করে আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ নানা বার্তা দেয় টেলিভিশন, রেডিও, মোবাইল ম্যাসেজে। পরিস্কার রাখতে বলা হয়েছে রাস্তাঘাট। এ পরিস্তিতির ফলে সাপ্তাহিক ছুটির দিনটা ঘরে বসেই কাটাতে হয়েছে সবাইকে। এরই মধ্যে ডিসি, উত্তর ভার্জিনিয়া ও মেরিল্যান্ডের বেশ কিছু এলাকার প্রায় তিন হাজার ঘর বাড়ীতে বিদুৎ সংযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। সমস্যা সমাধানে জরুরী সেবায় এরই মধ্যে কাজে নেমে পড়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা। ঘরির কাটায় বেলা তিনটায় সময় র্সূযের দেখা মিললেও তাপমাত্রা মাইনাস থ্রি। অনুভূতিতে যা মাইনাস নাইন। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে তুষাপাত থেমে গেলেও বাতাস চলতে থাকবে রাত ১টা পর্যন্ত। যে কারণে তাপমাত্রা নেমে আসবে আরো নীচে। এ সপ্তাহে তাপমাত্রায় খূব একটা পরিবর্তন হবে না বলছে আবহাওয়া বার্তা। তবে আসছে সপ্তাহ থেকে আকাশ আবার রোদ ছড়াবে বলা হচ্ছে। তুষার পাতের এই প্রভাব থাকবে সপ্তাহব্যাপী। জমাট স্নো ক্রমে রুপ নিবে বরফে। তা কাটতে কাটতে এ সপ্তাহ লেগেে যাবে। জন সাধারণকে, ততোদিন সাবধানে চলাচল করার পরামর্শ দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

post
যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কে সাংবাদিক সমাবেশে বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্প শোনালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউইয়র্কে গণমাধ্যম কর্মীদের এক সমাবেশে বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্প শোনালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বিচক্ষণতাপূর্ণ নেতৃত্বে গোটা বাঙালি জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ বলেই উন্নয়ন-অগ্রগতির ইচ্ছাও অপূর্ণ থাকছে না। ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়-যদি সে ইচ্ছাটি নিষ্ঠা আর আন্তরিকতায় প্রস্ফুটিত থাকে। তা এখন দৃশ্যমান হচ্ছে গোটা দেশে। ‘জিরো থেকে হিরো’-তে পরিণত হয়েছে এক সময়ের ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হিসেবে খ্যাত বাংলাদেশ। এমন একটি দেশে জন্মগ্রহণ করার মধ্যেই সৌভাগ্য রয়েছে।অদম্য গতিতে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের প্রসঙ্গ উপস্থাপনকালে সিলেটের সন্তান ড. এ কে এ মোমেন বলেন, আমার নানার বাড়ি হচ্ছে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার সৈয়দপুর গ্রামে। সিলেট শহরের চাঁদনী ঘাট থেকে শীতকালে ঘোড়া অথবা গাধা কিংবা হাতির পিঠে চড়ে এবং অন্য সময়ে নৌকায় নানা বাড়ি যেতে ২৮ ঘণ্টা লাগতো। এজন্যে যখন শেয়ান (তরুণ) হয়েছি তখন আর নানা বাড়ি যেতে চাইতাম না। সর্বশেষ সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে অর্থাৎ ১৯৭৪ সালে প্রেসিডেন্ট (আমার সম্পর্কে নানীর স্বামী) সিলেট থেকে হেলিকপ্টারে যান নানা বাড়িতে। তার সঙ্গী হয়েছিলাম। এরপর নানাবিধ কারণে দেশ ত্যাগে বাধ্য হই এবং দীর্ঘ ৩৩ বছরের মত প্রবাসে অতিবাহিত করেছি। ২০১৫ সালে স্থায়ীভাবে দেশে ফেরার পর নভেম্বরে নানা বাড়িতে রওয়ানা দেই সিলেট শহরের নিজ বাড়ি থেকে। গাড়িতে উঠে মাত্র ৪৫ মিনিটে নানা বাড়ির গেইটে পৌঁছেছি। অর্থাৎ ২৮ ঘণ্টার পথ অতিক্রম করি ৪৫ মিনিটে। এটাই বাংলাদেশ। এভাবেই সর্বক্ষেত্রে অবিশ্বাস্য রকমের উন্নতি ঘটেছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের বিস্ময়। করোনাকালেও প্রবৃদ্ধির হার সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এসব কল্প-কাহিনী নয়-বাস্তব। তাই প্রবাসের সাংবাদিকগণের কাছে অনুরোধ বর্তমান বাংলাদেশকেও যথাযথভাবে উপস্থাপন করুন। প্রবাস প্রজন্মকে বাংলা ভাষা আর সংস্কৃতি তথা প্রাকৃত্রিক সৌন্দর্যে ভরপুর বাংলাদেশ মুখী করুন। তবে টিভিতে এমন কোন ফুটেজ প্রচার করা উচিত নয়-যা কোমলমতি সন্তানদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার ঘটায়। যুক্তরাষ্ট্রে পেশাজীবী সাংবাদিকদের সংগঠন ‘আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব’ (এবিপিসি)’র ২০২২-২০২৪ মেয়াদের নয়া কার্যকরী কমিটির অভিষেক উপলক্ষে ২৭ ফেব্রুয়ারি রবিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির উডসাইডে গুলশান টেরেস মিলনায়তনে বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ড. মোমেন। এবিপিসির বিদায়ী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কণ্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায়, পেনসিলভেনিয়া স্টেটের মিলবোর্ন সিটির মেয়র (প্রথম বাংলাদেশী আমেরিকান) মাহবুবুল আলম তৈয়ব, কাউন্সিলম্যান মোশারফ হোসেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মনোয়ার হোসেন, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের প্রেস মিনিস্টার এ জেড এম সাজ্জাদ হোসেন, চ্যানেল আই’র পরিচালক জহিরুদ্দিন মাহমুদ মামুন, ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার এ্যাট লার্জ এটর্নী মঈন চৌধুরী, কবি ও কলামিস্ট ফকির ইলিয়াস, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, কুইন্স বরো প্রেসিডেন্টের ডেলিগেট ফাহাদ সোলায়মান, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি আব্দুল কাদের মিয়া, জেবিবিএর প্রেসিডেন্ট মাহাবুবুর রহমান টুকু, এবিপিসির নির্বাচন কমিশনার পপি চৌধুরী, এবিপিসির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম এবং নয়া প্রেসিডেন্ট রাশেদ আহমেদ। বক্তারা এবিপিসির অভিষিক্ত কর্মকর্তাগণকে শুভেচ্ছা জানান এবং দেশ ও প্রবাসের ইতিবাচক ইমেজ উপস্থাপনে সাংবাদিকতা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান। অনুষ্ঠানের শেষে সঙ্গীত পরিবেশন করেন কণ্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায় এবং শহীদ হাসান, ড. তনিমা হাদী, শাহ মাহবুব, সবিতা দাস। শুরুতে দেশের গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করেন অনুপ দাস ড্যান্স একাডেমির শিল্পীরা। অতিথিগণকে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা জানায় ছোট্টমনি আলভি খান, স্নেহা খান, আলিশা খান প্রমুখ। সাদিয়া খন্দকারের সাবলিল উপস্থাপনায় ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়ে বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানে অভিষিক্তরা হলেন সভাপতি-রাশেদ আহমেদ, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট-তপন চৌধরী, সাধারণ সম্পাদক-মো. আবুল কাশেম, যুগ্ম সম্পাদক-শাহ ফারুক, কোষাধ্যক্ষ-জামান তপন, সাংগঠনিক সম্পাদক-আজিমউদ্দিন অভি, প্রচার সম্পাদক-শহিদুল্লাহ কায়সার এবং নির্বাহী সদস্যরা হলেন কানু দত্ত, আলিম খান আকাশ, রাজুব ভৌমিক, প্রতাপচন্দ্র শীল এবং লাবলু আনসার। 

post
যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন, বিদেশিরা বাংলাদেশের সরকার পাল্টাতে পারবে না

মার্কিন প্রশাসনসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নানা অপপ্রচার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন বলেছেন, ‘আমাদের দেশের কিছু লোক আছে যারা অপপ্রচার করেন এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবরোধের জন্যে অনুরোধ করেন। তারা মনে করেন যে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করলেই বাংলাদেশের সরকার বদল হয়ে যাবে। অথচ তারা জানেন না যে, সরকার বদল বিদেশিরা করতে পারেন না। সরকার বদল করবে বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের জনগণ খুব সুখে আছে। তাই ওসব অপপ্রচারে কোন ফায়দা আসবে না।’নিউইয়র্ক সফরে এসে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তাগণের সাথে বৈঠক এবং চলমান পরিস্থিতির আলোকে বাংলাদেশের মতামত জাতিসংঘে উপস্থাপনের অভিপ্রায়ে এক সপ্তাহের সফরে ২৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে নিউইয়র্কে পৌঁছান ড. একে আবদুল মোমেন। প্যারিস থেকে নিউইয়র্কে এসে জেএফকে বিমানবন্দরে অবতরনের পরই সাংবাদিকগণের মুখোমুখী হন তিনি। এ সময় র‌্যাবের ৭ কর্মকর্তাকে নিষিদ্ধ এবং আরো কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার জন্যে মহলবিশেষের দেন-দরবার প্রসঙ্গে বাংলাদেশের অবস্থানজানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন আরো বলেন, ‘আমরা সকলেই তো জানি যে, আমেরিকা হচ্ছে স্যাঙ্কশনের দেশ। প্রত্যেক দেশেই কিছু না কিছু স্যাঙ্কশন দিয়ে আসছে। ইন্ডিয়াকেও দিয়েছিল। মোদিকেও (ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করেছিল। সবকিছুই সাময়িক। আমি আশা করছি, বাংলাদেশের র‌্যাব সম্পর্কে যখন তারা সত্য কথা জানবে, ঐ ৭ জনের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাও তারা সরিয়ে নেবে। নিজেরাই নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করবে।’ ড. মোমেন প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা যারা আমেরিকার নাগরিক, তাদের বড় একটি দায়িত্ব রয়েছে মার্কিন প্রশাসনকে বাংলাদেশের ব্যাপারে প্রকৃত তথ্য অবহিত করার। এক্ষেত্রে সরকারের প্রতি তাকিয়ে থাকার প্রয়োজন নেই। আপনারা সেই নেতৃত্ব নিতে পারেন। তাহলেই তারা বিভ্রান্তিতে থাকবেন না। এছাড়া আপনারা সকলেইতো জানেন যে, আমাদের কিছুই লুকানোর নেই। সবকিছু ওপেন। তাই সরকারের দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রত্যেক প্রবাসী কাজ করবেন বলে আশা করছি।’ বিমানবন্দরে ড. মোমেন এবং তার স্ত্রী সেলিনা মোমেনকে স্বাগত জানান জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা, ওয়াশিংটন থেকে আসা রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সেক্রেটারি আব্দুল কাদের মিয়া, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি মোর্শেদা জামান, আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা ডা. মাসুদুল হাসান, শরাফ সরকার, কৃষিবিদ আশরাফুজ্জামান, আবুল হাসিব মামুন, সাইকুল ইসলাম যুবলীগ নেতা ইফজাল চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা দরুদ মিয়া রনেল প্রমুখ। ড. মোমেন আরো জানান, দুটি ইভেন্ট ছিল ইউরোপে। একটি জার্মানির মিউনিখে। সেখানে আমি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছি। জলবায়ু পরিবর্তন এবং জননিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এবারের সবকিছুতেই রাশিয়া এবং ইউক্রেন পরিস্থিতি প্রাধান্য পেয়েছে। সকলেই ভীতির মধ্যে কথা বলেছেন। মনে হচ্ছে যুদ্ধে জড়িয়ে যাচ্ছে গোটাবিশ্ব। এমনি অবস্থায় আমি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করেছি জলবায়ুর ভয়ংকর ছোবলে প্রতি বছর বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। তাদের বসবাসের কোন অবলম্বন নেই। নিরাপত্তাহীনতা গ্রাস করছে। উদ্বাস্তু হয়ে পড়ার ঘটনাবলি রয়েছে। ৬৫ লাখ মানুষ ইতিমধ্যেই ভিটে-মাটি হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন। তাদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছি। কিন্তু বাংলাদেশের সেই সক্ষমতা নেই। প্রযুক্তিগত সামর্থ্যও নেই। অথচ যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেজন্যে বাংলাদেশ দায়ী নয়। অর্থাৎ বাংলাদেশের মানুষ পরিস্থিতির অসহায় শিকার। তাই জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ইতিপূর্বেকার অঙ্গিকার অনুযায়ী তহবিল সরবরাহের ব্যাপারটি কি ইউক্রেন-তান্ডবে লন্ডভন্ড হতে বসেছে কিনা-সে আশংকাও জানিয়েছি। জবাবে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী দৃঢ়তার সাথে বলেছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তন রোধকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। কারণ, এটি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত করার উদ্যোগ না নিলে বিরাটসংখ্যক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়বে। বহুদেশ অস্থিরতায় নিপতিত হবে, জানান ড. মোমেন।তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ এবং প্রদানের ব্যাপারে জোরালো কোন কথা শুনিনি, যোগ করেন তিনি।করোনার টিকা প্রদানে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার প্রশংসা করেন ড. মোমেন। এবং বলেন, এভাবেই বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের দিগন্ত ক্রমান্বয়ে প্রসারিত হচ্ছে।সমুদ্র মহীসোপান সংক্রান্ত একটি বিশেষ কর্মসূচিতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। একটি দায়িত্বশীল সূত্র এনআরবিসি.টিভিকে এ তথ্য জানিয়েছে। আগামী ২ এপ্রিল তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

এনআরবিসিকে দেয়া ভাষাসৈনিক শামসুল হুদার বিশেষ সাক্ষাতকার

ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে গৌরবময় অবদান রাখেন ভাষাসৈনিক লায়ন শামসুল হুদা। বর্তমানে তিনি বসবাস করছেন নিউইয়র্ক স্টেট এর বাফেলো সিটিতে। ভাষাসৈনিক শামসুল হুদা ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫২ সালের চরম মূহূর্ত এবং তৎপরবর্তী পর্যায়ে ১৯৫৬ সালে বাংলা অন্যতম রাষ্ট্র ভাষার মর্যাদা লাভ ও আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক বিজয় অর্জন পর্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের চরম মূহুর্তে ১৪৪ ধারা অমান্য করে সালাম বরকত জব্বারদের সাথে মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। চোখের সামনে ভাষার জন্য শহীদ হতে দেখেছেন রফিককে। সেদিন প্রাণে বেচে গেলেও মিছিল থেকে গ্রেফতার হয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে দীর্ঘদিন কারাবরণ করেন ভাষা সৈনিক শামসুল হুদা। ছাত্র রাজনীতি ও ভাষা আন্দোলনে অসামান্য অবদান রাখায় একুশে পদকসহ এ যাবত ১০০ টিরও অধিক সম্মাননা পদক, স্মৃতি পদক ও পুরষ্কার লাভ করেছেন তিনি। লেখক হিসেবেও শামসুল হুদার রয়েছে এক উজ্জল পরিচিতি। বাংলা ও ইংরেজী লেখায় সমান দক্ষ শামসুল হুদার এই উভয় ভাষাতেই রয়েছে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। ১৯৩২ সালের ১লা ডিসেম্বর ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার অন্তর্গত চর চান্দিয়া গ্রামে এক সম্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এ ভাষাসৈনিক। 

post
যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কে সড়কের নতুন নাম 'লিটল বাংলাদেশ'

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে নিউইয়র্কে প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের একটি প্রত্যাশার পূরণ হলো। নগরের জ্যামাইকায় একটি সড়কের নামকরণ করা হলো ‘লিটল বাংলাদেশ এভিনিউ’। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শত শত প্রবাসী বাংলাদেশির জয়-বাংলা স্লোগান আর বিপুল করতালির মধ্যে এই আনুষ্ঠানিক নামকরণ হয়। হিলসাইড এভিনিউ এবং হোমলোন স্ট্রিটের কর্ণারে ‘লিটল বাংলাদেশ এভিনিউ’র এই নামফলক উন্মোচন করেন সিটি কাউন্সিলম্যান জেমস এফ জিনারো।হোমলোন কর্নার থেকে হিলসাইড এভিনিউ ধরে অন্তত দুই ব্লক পর্যন্ত এই নামে পরিচিত হবে।  নিউইয়র্ক সিটিতে তিন লাখের বেশি বাংলাদেশির বসবাস। যার বড় অংশ থাকেন জ্যামাইকার হিলসাইডে। সম্প্রতি সিটি কাউন্সিলে সর্বসম্মতভাবে এই বিলটি পাশ হয়। যার বাস্তবায়ন ঘটলো একুশে ফেব্রুয়ারিতে। এর মধ্য দিয়ে সুদুর আমেরিকায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হলো, বলছিলেন জ্যামাইকাবাসী। ব্যস্ততম হিলসাইড এভিনিউর এই অংশটুকুর পুনর্নামকরণের ফলক উম্মোচনের দিনটিকে ২১ ফেব্রুয়ারিতে বেছে নেয়া প্রসঙ্গে কাউন্সিলম্যান জেমস জিনারো বলেন, বায়ান্নর ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার জন্য বাঙালি তরুণেরা জীবন দিয়েছেন। সেই আন্দোলনের পথ বেয়ে একাত্তরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে বাঙালিরা স্বাধীনতা অর্জন করেছেন। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’-এ পরিণত করেছে জাতিসংঘ। এমন একটি ঐতিহাসিক-স্মরণীয় দিনে ‘লিটল বাংলাদেশ এভিনিউ’র উদ্বোধন হওয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা আরো উৎফুল্ল হলেন। কাউন্সিলম্যানকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়ে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বহুজাতিক এই সমাজে বাঙালিদের মেধা আর শ্রমের মূল্যায়ন নানাভাবে ঘটছে। রাস্তার নামকরণে তা আরো ভিন্নভাবে দৃশ্যমান হলো। আমি আশা করছি, প্রিয় মাতৃভূমির চলমান উন্নয়ন আর সমৃদ্ধির স্বার্থে প্রবাসীরাও ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।' এ অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজনের নামোল্লেখ করে কাউন্সিলম্যান জিনারো ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, সীমাবদ্ধতার কারণে হয়তো সকলের নাম উল্লেখ করা সম্ভব হয়নি তবে শিগগিরই তাদের একটি সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করা হবে। যাতে উল্লেখ থাকবে যারা এই রাস্তার নামকরণে নানাভাবে সহায়তা করেছেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন স্টেট এ্যাসেম্বলিওম্যান জেনিফার রাজকুমার, ডেভিড ওয়েপ্রিন, কুইন্স কাউন্টি ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার এ্যাট লার্জ এটর্নি মঈন চৌধুরী, ডেমক্র্যাট মোহাম্মদ আমিনুল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার সাদেক প্রমুখ। এক পর্যায়ে জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির পক্ষ থেকে ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, মোহাম্মদ আলিমসহ কয়েকজন কাউন্সিলম্যানকে কমিউনিটির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতাসূচক ক্রেস্ট দেওয়া হয়। শেষে শ্রী চিন্ময় সেন্টারের শিল্পীরা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীতের পর মহান একুশের অবিস্মরণীয় সেই ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি-আমি কী ভুলিতে পারি’ গানটি পরিবেশ করেন। উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক সিটিতে এই প্রথম ‘লিটল বাংলাদেশ এভিনিউ’ নামক নিজস্ব একটি জায়গা তৈরি হলো। উদ্বোধনী সমাবেশের সূচনালগ্নে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছু সময় নিরবতা পালন করা হয়।

post
যুক্তরাষ্ট্র

জাতিসংঘে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন, যৌথ আয়োজনে ৬ দেশ

জাতিসংঘ সদরদপ্তরে টানা ৬ষ্ঠ বারের মতো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হলো। ২০১৭ সাল থেকে জাতিসংঘে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের এ আয়োজনে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে বাংলাদেশ। এবারেও ২১ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের সাথে যৌথ অংশীদারিত্বে ইভেন্টটির আয়োজন করে এলসালভাদর, নাইজেরিয়া, পর্তুগাল ও শ্লোভাকিয়া মিশন। এতে সহ-অংশীদারিত্ব করে জাতিসংঘ সচিবালয় ও ইউনেস্কো। জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বিশেষ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি। এছাড়া অনুষ্ঠানটি উপলক্ষে শুভেচ্ছাবাণী প্রদান করেন ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ও নিউইয়র্ক সিটির মেয়র।অনুষ্ঠানের বক্তারা যাতে নিজ নিজ মাতৃভাষায় বক্তব্য রাখতে পারেন সেজন্য এই প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের ছয়টি অফিশিয়াল ভাষায় গোটা অনুষ্ঠানটি অনুবাদের ব্যবস্থা রাখা হয়। বাংলাদেশের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব উইমেন এর শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের থিম সঙ্গীত-‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি..’ একাধিক ভাষায় উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানটিতে মরক্কো, এলসালভেদর, শ্লোভাকিয়া ও পর্তুগালের সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও ছিল মনোমুগ্ধকর। এছাড়া জাতিসংঘ সচিবালয় এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সভাপতির কার্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তাগণের স্ব স্ব ভাষায় রেকর্ডকৃত বহুভাষিক ভিডিও বার্তা পরিবেশন করা হয় অনুষ্ঠানটিতে। জাতিসংঘ ওয়েব টিভিতে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।উদ্বোধনী বক্তব্যে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা শহীদগণ এবং ভাষা আন্দোলনের পথিকৃৎ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই জাতির পিতার নেতৃত্বে শুরু হয় বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রাম যার চুড়ান্ত পরিণতি পায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়ের মাধ্যমে। মহান ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মার্তভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভের জন্য প্রবাসী কয়েকজন বাংলাদেশীদের উদ্যোগকে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে ইউনেস্কোর মাধ্যমে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ এর পূর্ণ স্বীকৃতি আদায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কথা স্মরণ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। এছাড়া রাজধানী ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ও অবদানের কথাও স্মরণ করেন তিনি।শিক্ষাক্ষেত্রে কোভিডের ভয়াবহ প্রভাবের কথা উল্লেখ করে এবছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রতিপাদ্য -‘প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বহুভাষায় জ্ঞানার্জন: সঙ্কট এবং সম্ভাবনা’ বেছে নেওয়ার জন্য ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। তিনি বলেন, “প্রযুক্তি বহুভাষিক শিক্ষার অগ্রগতিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। সকল ভাষার প্রাণশক্তি ফিরে পেতে আমাদের সকল অংশীজনকে একসাথে কাজ করতে হবে; কম খরচে ব্যবহার-বান্ধব প্রযুক্তির বিকাশে বিনিয়োগ করতে হবে যা বহুভাষিক শিক্ষাকে সর্বত্র এগিয়ে নিতে পারে”।স্প্যানিশ ভাষাভাষী ফ্রেন্ডস্ গ্রুপের সভাপতি হিসেবে জাতিসংঘে নিযুক্ত কোস্টারিকার স্থায়ী প্রতিনিধি এবং ভাষা বিষয়ক এনজিও কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। সাধারণ পরিষদের সভাপতিসহ অন্যান্য বক্তাগণ জাতিসংঘে বহুভাষাবাদ ও মাতৃভাষার প্রচারে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষার অগ্রগতিতে প্রযুক্তির সম্ভাবনাময় ভূমিকা এবং প্রযুক্তিগত বিভাজন দূর করার কথা তুলে ধরেন তারা। নিজ নিজ মাতৃভাষায় কথা বলতে গিয়ে বক্তাগণ বিলুপ্তির পথে থাকা ভাষার সংরক্ষণের গুরুত্বও তুলে ধরেন।জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের আগে, সকালে, যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের আয়োজন করা হয়। নিউইয়র্ক সফররত স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী জনাব মো: তাজুল ইসলাম এমপি এবং একই মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব হেলালুদ্দীন আহমদ এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। মন্ত্রীর নেতৃত্বে সিনিয়র সচিব ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং উপস্থিত মিশনের কর্মকর্তা ও মন্ত্রীর সফরসঙ্গীগণ মিশনে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। প্রদত্ত বক্তব্যে অনুষ্ঠানটি আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ মিশনকে ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী। তিনি ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, মাতৃভাষার গুরুত্ব, মাতৃভাষার মাধ্যমে জ্ঞানার্জনসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অন্তর্ভূক্তিমূলক আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি ও অদম্য অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরেন। মিশনে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত রাখতে আরও নিবেদিত হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানটিতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং মহান একুশের ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

post
যুক্তরাষ্ট্র

জাতিসংঘের সামনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

বাংলাদেশের একুশের প্রথম প্রহরের সঙ্গে মিল রেখে স্থানীয় সময় রোববার নিউইয়র্ক সময় দুপুর ১টা ১ মিনিটে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। মহান একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন ও বাঙ্গালীর চেতনা মঞ্চের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপিত হয়।জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশন, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কনস্যুলেট, বিভিন্ন রাজনীতিক, পেশাজীবী, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, সাংষ্কৃতিক এবং আঞ্চলিক সংগঠনের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কর্মসূচী উদযাপিত হয়। এর মধ্য দিয়ে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন ও বাঙ্গালীর চেতনা মঞ্চের আয়োজনে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর ৩১ বছর পূর্তি হল। নিউইয়র্ক থেকে খবর ইউএসএনিউজঅনলাইন জানায় স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার মধ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে আগত প্রবাসী বাংলাদেশিরা জাতিসংঘের সামনে জড়ো হতে থাকেন। বাঙালির চেতনা মঞ্চের চেয়ারম্যান আবদুর রহিম বাদশার পরিচালনায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয় সম্মিলিত কন্ঠে ভাষার গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। সকলে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে 'একুশের গান' (আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি) পরিবেশন করলে অমর একুশের শোকাবহ আবহের সৃষ্টি হয়। এরপর এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দুপুর ১.০১ টায় উপস্থিত সর্বকনিষ্ঠ শিশু তিথির পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পাঘ্য অর্পণ কর্মসূচি শুরু হয়। অনুষ্ঠানে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের পক্ষে দূতালয় প্রধান রফিকুল ইসলাম ও প্রথম সচিব (প্রেস) মো. নুর এলাহি মিনা, নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল এর পক্ষে ডেপুটি কনসাল জেনারেল এস. এম নাজমুল হাসান। পরে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে একে একে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য করেন এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরাছত আলী, মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল চৌধুরী, শিতাংশ গুহ, ফাহিম রেজা নূর, সাাখাওয়াত আলী, ময়নুল হক চৌধুরী হেলাল, সীকৃতি বড়ুয়া, মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাসার ভূইয়া, সিরাজ উদ্দিন আহমেদ ভূইয়া, আব্দুন নূর বড় ভূইয়া, আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, ডা. শাহানারা বেগম, ডা. মিতা চৌধুরী, মনোয়ারা বেগম মনি, জাহানারা বেগম লক্ষী, অধ্যাপক হুসনে আরা, ডা. এনামুল হক, চন্দন দত্ত, শেখ আতিকুল ইসলাম, আশফাক মাশুক, শাহীন আজমল, দুরুদ মিয়া রনেল, আলপনা গুহ, গোপাল সান্যাল, মোশাররফ হোসেন, কবি রওশন হাসান, সবিতা দাস, সাহাদাত হোসেন, নূরে আলম জিকু, কাজী রবি-উজ-জামান, দেওয়ান শাহেদ চৌধুরী, শাহাবুদ্দিন চৌধুরী লিটন, আশরাফ আলী খান লিটন, ময়জুর লস্কর জুয়েল, আব্দুল কাদির লিপু, মাহবুবুর রহমান অনিক, সারোয়ার প্রমুখ। শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ কারী সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগ, মহানগর আওয়ামী লীগ, বাঙালির চেতনা মঞ্চ, মুক্তধারা ফাউন্ডেশন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ইউএসএ, একুশের চেতনা মঞ্চ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যুক্তরাষ্ট্র কমান্ড, যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা ফোরাম যুক্তরাষ্ট্র শাখা, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনক, চট্রগ্রাম সমিতি, পেষাজীবী সমন্বয় পরিষদ ইউএসএ, বঙ্গবন্ধু প্রচারকেন্দ্র সমাজকল্যাণ পরিষদ, সিলেট গণদাবী পরিষদ, বাংলাদেশ ল সোসইটি ইউএসএ, অনুপ দাশ ডান্স একাডেমী, সুচিত্রা সেন মেমোরিয়াল ইউএসএ, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান ঐক্য পরিষদ, শেখ রাসেল স্মৃতি পরিষদ, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গমাতা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম ফোরাম ইউএসএ, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টি, যুক্তরাষ্ট্র জাসদ, বাংলাদেশ স্পোর্টস ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্টান ঐক্য পরিষদ, শেখ কামাল স্মৃতি পরিষদ, যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বাংলাদেশ ক্রীড়া চক্র, বাংলাদেশ স্পোর্টস ফাউন্ডেশন অব নর্থ আমেরিকা, আবহানী ক্রীড়া চক্র, ব্রঙ্কস বাংলাদেশ সোসাইটি, ব্রঙ্কস বাংলাদেশ এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কস, সিলেট বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এলামনাই এসোসিয়েশন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী স্বেচ্ছা সেবক লীগ, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় শ্রমিক লীগ, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, ভাষা সৈনিক আবদুস সামাদ পরিবার, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত স্মৃতি পরিষদ যুক্তরাষ্ট্র শাখা, জগন্নাথ হল এলামনাই এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সাবেক নেতৃবৃন্দ, নিউইয়র্ক গোলাপগঞ্জ সোসাইটি, রাজনগর উন্নয়ন সমিতি, প্রবাসী মতলব সমিতি, নতুন বাংলা যুব সংহতি, মীরসরাই সমিতি ইউএসএ। এছাড়াও নিউইয়র্কে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কবি লেখক শিল্পী সাহিত্যিক-সাংবাদিক, ইউনাইটেড নেশন্সের কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। বক্তারা বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারির ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের’ স্বীকৃতি আদায়ে প্রবাসীদের ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। শহীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে প্রবাসে বাঙালি সংস্কৃতিকে চিরজাগ্রত রাখার স্বপ্ন বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করে যেতে হবে সকলকে। অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তারা গত ৩১ বছর ধরে জাতিসংঘের সামনে শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য নিউইয়র্ক সহ আমেরিকার বাংলা সংবাদ মাধ্যম, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক-আঞ্চলিক সংগঠন, কবি-লেখক-সাহিত্যিকসহ প্রবাসীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। উল্লেখ্য, বাঙালির রক্তস্নাত ভাষা আন্দোলনের স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর ২১শে ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে। এরপর থেকেই যথাযোগ্য মর্যাদায় সারা বিশ্বে একযোগে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.