নিউইয়র্ক প্রতিনিধি: ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে জাতিসংঘ এলাকা প্রকম্পিত করে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করলেন প্রবাসীরা। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনের পার্কে ‘মুক্তধারা ফাউন্ডেশন ও বাঙালির চেতনা মঞ্চ’ নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে রোববার বেলা ১টা ০১ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ০১ মিনিট অর্থাৎ একুশের প্রথম প্রহরে) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’র এ কর্মসূচির শুভ সূচনা ঘটায় তিথি দেব।
গত ৩১ বছর ধরেই এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে প্রবাসীদের সর্বজনীন উদ্যোগ হিসেবে। এ সময় একুশ ফেব্রুয়ারির তাৎপর্য এবং দিবসটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পরিণত হবার প্রেক্ষাপট সংক্ষেপে উপস্থাপন করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস) নূরএলাহি মিনা এবং নিউইয়র্কে বাংলাদেশের ডেপুটি কন্সাল জেনারেল এস এম নাজমুল হাসান। কর্মসূচির পরিচালনায় ছিলেন শহীদ সন্তান ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নিউইয়র্ক চ্যাপ্টারের সভাপতি ফাহিম রেজা নূর এবং বাঙালির চেতনামঞ্চের সংগঠক আব্দুর রহিম বাদশা।
হাড় কাঁপানো শীত উপেক্ষা করে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারি সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের যুক্তরাষ্ট্র শাখার প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার চুন্নু, মহিলা সম্পাদক সবিতা দাস, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক রুবাইয়া শবনম প্রিয়া, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি ও নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল কাদের মিয়া, ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জাফরউল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার ভ’ইয়া, যুগ্ম সম্পাদক আশরাব আলী খান লিটন, চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি আহসান হাবিব, বোর্ড অব ট্রাস্টির কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম চৌধুরী, ভাইস প্রেসিডেন্ট সাহাবউদ্দিন চৌধুরী লিটন, মানবাধিকার সংগঠক এ টি এম রানা, আরশাদ ওয়ারিশ, মো. আলাউদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহমেদ, নাজিমউদ্দিন, জেবিবিএর প্রধান নির্বাচন কমিশনার আব্দুন নূর বারভ’ইয়া, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের সাবেক সভাপতি মিসবাহ আহমেদ, সাবেক সেক্রেটারি ফরিদ আলম, যুবলীগ নেতা ইফজাল চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গমাতা পরিষদের সভাপতি ড. এনামুল হক এবং সেক্রেটারি সিরাজউদ্দিন সোহাগ, উপদেষ্টা অধ্যাপিকা হোসনেআরা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি এডভোকেট মোর্শেদা জামান, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা মতুজির রহমান, ভাইস প্রেসিডেন্ট আতিকুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি শাহীন আজমল, যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট দরুদ মিয়া রনেল, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি মইনুল হক চৌধুরী হেলাল, বিয়ানিবাজার সমিতির উপদেষ্টা বোরহানউদ্দিন কফিল,আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি রাশেদ আহমেদ, সেক্রেটারি আবুল কাশেম, নির্বাহী সদস্য কানু দত্ত, এমসি কলেজ এলামনাইয়ের নেতা শফিক চৌধুরী, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সুশীল সাহা, কৃষিবিদ আশরাফুজ্জামান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা, ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টার, ব্রুকলীনের চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড এলাকাতে নিউইয়র্ক সময় রাত ১২টা এক মিনিটে আরো কয়েকটি অস্থায়ী শহীদ মিনারে প্রবাসীরা শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন। বেশ কটি স্থানে নতুন প্রজন্মের উপস্থিতি ছিল আশাব্যঞ্জক। তবে, নিউইয়র্ক সিটিতে তিন লাখের অধিক বাংলাদেশী বাস করলেও এখন পর্যন্ত স্থায়ী একটি শহীদ মিনার স্থাপনের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। এ নিয়ে অঙ্গিকারের ফুলঝুরি রয়েছে প্রচুর, তা বাস্তবায়িত করার আন্তরিক প্রয়াসে সীমাহীন গাফিলতি দেখা যাচ্ছে অনেক আগে থেকেই।
