post
শিক্ষা

প্রাথমিক-মাধ্যমিকে অনলাইন ক্লাস চালুর চিন্তা

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় ৭ দিন বন্ধের পর ২৮ এপ্রিল পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা। তবে তাপপ্রবাহ না কমায় এ ছুটি বাড়ছে নাকি ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। অভিভাবকদের একটি অংশ এবং অভিভাবক ঐক্য ফোরাম নামে একটি সংগঠন অনলাইনে ক্লাস চালু রাখার দাবি তুলেছে। অনেকে আবার আরও কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পক্ষে মত দিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে কী ভাবছে শিক্ষা প্রশাসন? এমন প্রশ্নের অবশ্য সরাসরি জবাব মেলেনি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া এবং বিকল্প উপায় নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালানোর কথা জানিয়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তদারককারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা। শিক্ষা প্রশাসন বলছে, তীব্র গরমে ছুটি বাড়ানো কিংবা অনলাইনে ক্লাস নেওয়া নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই এখনো হয়নি। শিক্ষামন্ত্রী বিদেশ সফরে থাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এ নিয়ে আলোচনা করেনি। আলোচনা চললেও প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরও। তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে শিশু শিক্ষার্থীরা। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা বা খোলা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শাহ রেজওয়ান হায়াত।

post
শিক্ষা

দেশের সব স্কুল-কলেজ ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে, দেশের সব স্কুল-কলেজ ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। শনিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি জানান, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৮ এপ্রিল খুলবে স্কুল-কলেজ। পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতরসহ বেশ কয়েকটি ছুটির সমন্বয়ে টানা ২৬ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো। আগামীকাল রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ ছিলো। কিন্তু দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে, গতকাল তিন দিনের জন্য দেশজুড়ে হিট অ্যালার্টও জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর দাবি উঠেছিলো। যার প্রেক্ষিততে স্কুল-কলেজ আরও এক সপ্তাহ বন্ধের নির্দেশনা দিলো সরকার।

post
শিক্ষা

বিনামূল্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের সুযোগ দিচ্ছে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়

বিনামূল্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের সুযোগ দিচ্ছে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ‘অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটি ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট এক্সিলেন্স স্কলারশিপ’-এর আওতায় নির্বাচিত ৫০ শিক্ষার্থীকে দেয়া হবে এই স্কলারশিপ। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্যে আবেদন করতে পারবেন। শিক্ষা,সংস্কৃতি আর আধুনিক সভ্যতার নাম ওশেনিয়ার নিউজিল্যান্ড। উন্নত বিশ্বের দেশটিতে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন দেখেন প্রায় প্রতিটি বাংলাদেশী। শিক্ষার্থীদের সেই স্বপ্নকে সত্যি করতে এবার সুযোগ দিয়েছে অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটি। বিশ্বের শীর্ষ ১শ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়। দেশটির অকল্যান্ডে অবস্থিত পাবলিক গবেষণামূলক এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৮৩ সালে। অকল্যান্ড নিউজিল্যান্ডের বৃহত্তম ও সর্বোচ্চ র‌্যাঙ্কিংয়ের একটি বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের জন্যে ধারাবাহিক সুযোগ-সুবিধাও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর অধ্যয়নের জন্য দেয়া হবে ১০ হাজার ডলার বা প্রায় ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। তবে অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার জন্যে হতে হবে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী। সেই সাথে ইংরেজি ভাষা দক্ষতার পাশাপাশি একাডেমিক ফলাফলও থাকতে হবে বেশ ভালো। অকল্যান্ড স্কলারশিপের আবেদনের শেষ তারিখের ছয় সপ্তাহ আগে আবেদনের লিংক উন্মুক্ত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আবেদনের শেষ সময় এপ্রিলের ১৮ তারিখ। স্কলারশিপটির সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন www.cdn.auckland.ac.nz. অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে কলা,শিল্প,সমাজকর্ম,প্রকৌশল,স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান অনুষদ। এছাড়াও রয়েছে অকল্যান্ড ল স্কুল,গ্রাফটনে মেডিকেল স্কুল ও ব্যবসা স্কুল। তাই বৃত্তিটির জন্যে আগ্রহী হতে পারেন বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা।

post
শিক্ষা

ভারতের নিমস ইউনিভার্সিটির সঙ্গে অ্যাকাডেমিক এক্সিলেন্স বিনিময়ে চুক্তি স্বাক্ষর ডব্লিউইউএসটির

ভারতের অন্যতম শীর্ষ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিমস ইউনিভার্সিটির সঙ্গে অ্যাকাডেমিক এক্সিলেন্স বিনিময়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি। এই চুক্তির ফলে নিমস বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুসরণ করা হবে ডব্লিউইউএসটির কোর্স কারিকুলাম এবং ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা ডব্লিউইউএসটিতে ক্রেডিট ট্রান্সফার করে তাদের উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন। উভয় বিশ্ববিালয়ের শিক্ষকরা পড়াতে পারবেন একে অপরের ক্যাম্পাসে। গত ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভার্জিনিয়ার আলেকজান্দ্রিয়ায় ডব্লিউইউএসটি ক্যাম্পাসে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। স্বাক্ষর করেন ডব্লিউইইএসটির চেয়ারম্যান ও চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ ও নিমস ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর প্রফেসর ড: বলভীর এস. তোমর। চুক্তির আওতায় উচ্চমানসম্পন্ন শিক্ষা. গবেষণা উন্নয়ন, সহযোগিতা ও অন্যান্য শিক্ষাবিনিময় কার্যক্রম পরিচালিত হবে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে। এছাড়া দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের অভিজ্ঞতা ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা একে অপরের সাথে বিনিময় করবেন। এর আগে গেলো বছরের ৪ ডিসেম্বর একটি দীর্ঘ মেয়াদী সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে। তারই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্র সফরে এসে ডব্লিউইউএসটির নতুন ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন নিমস ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর প্রফেসর ড: বলভীর এস. তোমর। ভার্জিনিয়ার আলেকজান্দ্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নতুন ক্যাম্পাস আর সার্বিক উন্নয়ন দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন ভারতের অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এই প্রতিষ্ঠাতা। এসময় ডব্লিউইউএসটি চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপের নেতৃত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন ড. বলবীর এস. তোমর। সেই সাথে প্রশংসা করেন প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্কের পরিচালনার প্রশাসনিক গুনাবলীর। ড: বলভীর বলেন, "আমার দৃঢ় বিশ্বাস অদূর ভবিষ্যতে এই ডব্লিইউএসটি যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের রেঙ্কিংয়ে শক্ত অবস্থান তৈরি করে নেবে।" তিনি আরও বলেন, এখন মাত্র সময়ের অপেক্ষা নিমস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ডব্লিউইউএসটিতে পড়াশোনা করে যুক্তরাষ্ট্রের মাটি থেকে তাদের উচ্চ শিক্ষার স্বপ পূরণ করতে পারবে।  সাম্প্রতিক সময়ে নিমস ইউনিভার্সিটির নামের পাশে অর্জনের আর বেশ কিছূ পালক যুক্ত হয়েছে উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর, ড. বলভীরের সফরসঙ্গী ড. নিপাক নাথিয়া একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন ডব্লিউইউএসটির প্রফেসরস ও কর্মকর্তাদের সামনে। উপস্থাপনা শেষে তিনি বলেন, তিন বছরের ব্যবধানে ডব্লিউইউএসটির শিক্ষার্থীর সংখ্যা যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এমন রেকর্ড খুব কম দেখা যায়। আমি খুব আশাবাদী নিমস এবং ডব্লিউইউএসটি একসাথে কাজ করলে আরও অনেক অর্জন সামনে যুক্ত হবে। ডব্লিউইউএসটির চেয়ারম্যান ও চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ অতিথিদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, "একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রধান দিক এর অ্যাক্রেডিটেশনস। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসমূহ সম্প্রতি আগামী চার বছরের জন্য অ্যাক্রেডিটেশন অনুমোদন দেয় ডব্লিউইউএসটিকে। যা আমাদের নতুন নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার পথ সুগম করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা নার্সিং পোগ্রাম পরিচালনা জন্য আবেদন করেছি। খুব শীঘ্রই সেই অনুমোদন পেয়ে যাবো আশা করি। তাছাড়া ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পাশের আরেকটি ভবন অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে আমরা নতুন ক্যাম্পাস খোলার কথা ভাবছি।" মতবিনিময় সভায় প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক তুলে ধরেন এতো অল্প সময়ের মধ্যে ডব্লিউইউএসটির কিভাবে এতোটা উন্নতি সাধন করেছে তার নানা দিক। তিনি বলেন, "আমাদের ট্রিপল 'এ' মিশন অন্য সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাতিক্রম- অ্যাক্রেডিটেড, অ্যাফোর্ড্যাবল ও অ্যাকসেস্যাবল। আর তার চেয়েও বেশি যেটি কার্যকরী তা হচ্ছে, আমরা শিক্ষার্থীদের শুধু ডিগ্রি নয় তার সাথে স্কিলড করে তুলছি ও কর্মসংস্থানের জন্যও তৈরি করছি। আর এ এজন্যই ডব্লিউইউএসটিকে সবাই উচ্চ শিক্ষার সঠিক প্লাটফর্ম হিসাবে বেছে নিচ্ছে।” সভায় উপস্থিত ছিলেন সিএফও ফারহানা হানিপ। তিনি বলেন, "সকলের প্রচেষ্টায় এগিয়ে চলছে ডব্লিউইউএসটি। আর নিমসের মতো ভারতের শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে কাজ করতে পারাটা হবে বেশ সম্মানের এবং গর্বের। আমরা মুখিয়ে আছি একসাথে এগিয়ে যাবার জন্য।" ডব্লিউইউএসটির ভাইস প্রেসিডেন্ট অব এডুকেশন ড. জেফের পিরিম, ভাইস প্রেসিডেন্ট অব অপারেশন ও রেজিস্ট্রার ড. শ্যান চো, স্কুল অব বিজনেসের পরিচালক অধ্যাপক মার্ক এল রবিনসন ও বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা কার্যক্রম সম্পর্কে অতিথিদের অবহিত করেন । মতবিনিময় সভা শেষে নিমস ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. বলবভীর এস. তোমর ও প্রফেসর ড. নিপাক নাথিয়া নতুন ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন। ক্যাম্পাসের বিস্তৃতি এবং ক্যাম্পাস জুড়ে শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বাধুনিক ক্লাসরুম, ল্যাব, লাইব্রেরি, ক্যাফেটেরিয়া, গেমিং জোন, অডিটোরিয়ামসহ সব কিছু ঘুরে দেখে ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রফেসর ড: বলভীর। ডব্লিউইউএসটির পক্ষ থেকে দুই অতিথির হাতে শ্যুভেনির তুলে দেন ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক। ভারতের রাজস্থানের জয়পুরে অবস্থিত নিমস বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের অর্থায়নে পরিচালিত উত্তর ভারতের বৃহত্তম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, প্যারামেডিকস, ফিজিও থেরাপি, ফ্যাশন ডিজাইন, আইন, ব্যবস্থাপনা এবং আরও অনেক বিষয়ের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে এটি ভারতের অন্যতম শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত। মেডিকেলের ক্যাটাগরিতে ২০১৬ সালে ফিফথ বেস্ট ইমার্জিং বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছিলো নিমস। এর ২০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে ১৫শ'র বেশি ‌ফ্যাকাল্টি মেম্বার। চারশো একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একশোর বেশি প্রোগ্রামের অধীনে সাড়ে চারশো কোর্স চালু রয়েছে। আইন, ব্যবসায়িক প্রশাসন, লিবারেল আর্টস থেকে শুরু করে প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট সকল সাবজেক্টের সাথে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয় আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্সের মতো বিষয়। অন্যদিকে ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকান উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপের ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকানের হাতে পরিচালিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে তথ্য-প্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি ও ব্যবসায়িক প্রশাসনের উপর ব্যাচেলর ও মাস্টার্স কোর্সে বর্তমানে বিশ্বের ১২১ দেশের প্রায় ২০০০ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি সাম্প্রতিক সময়ে ভার্জিনিয়ার ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে যেমন পরিচিতি পেয়েছে তেমনি স্বীকৃতি পেয়েছে স্টেট সিনেট ও লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির। এমবিএ প্রোগ্রামের জন্য ভার্জিনিয়ার সেরা র্যাংকিংয়ে উঠে এসেছে ডব্লিউইউএসটির নাম।

post
শিক্ষা

ভিকারুননিসায় জাল সনদে ৩৬ ছাত্রী ভর্তি

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ফের অবৈধভাবে শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগ ওঠেছে। মিথ্যা তথ্য ও জাল সনদে প্রথম শ্রেণিতে ৩৬ ছাত্রীকে ভর্তির ঘটনা ঘটে। খোদ প্রতিষ্ঠানটির ভর্তি কমিটির একজন সদস্য গভর্নিং বডির সভাপতি ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারকে এ অভিযোগ করেন। ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতাও পেয়েছে।জানা গেছে, অবৈধভাবে ৩৬ ছাত্রী ভর্তির ঘটনা তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির ভর্তি সংশ্লিষ্টদের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। ২৫ মার্চ চিঠি দিয়ে জবাব চাওয়া হয়। চিঠি হাতে পাওয়ার পর চার কর্মদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের জবাব দিতে হবে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভিকারুননিসার প্রথম শ্রেণিতে ১৬৯ জন ছাত্রীকে অবৈধভাবে ভর্তির অভিযোগ ওঠে। পরে তাদের ভর্তি বাতিল করা হয়। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর মূল ক্যাম্পাসের দিবা শাখা (বাংলা ভার্সন) প্রধান মো. শাহ আলম খানকে বরখাস্ত করা হয়। তাকে ঘটনা ফাঁসের জন্য দায়ী করা হয়।নিজে বরখাস্ত হওয়ার পর শাহ আলম খান ভর্তি কমিটির অনিয়মের বিষয়টি লিখিতভাবে গভর্নিং বডির সভাপতি ও ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারকে জানান। ১৮ ফেব্রুয়ারির লিখিত অভিযোগে শাহ আলম জানান, মূল প্রভাতি বাংলা ভার্সনে ৯ জন, মূল দিবা বাংলা ভার্সনে ২ জন, মূল প্রভাতি ইংরেজি ভার্সনে ২ জন, মূল দিবা ইংরেজি ভার্সনে ৪ জন, ধানমন্ডি দিবা শাখায় ৩ জন, বসুন্ধরা প্রভাতি শাখায় ২ জন, বসুন্ধরা দিবা শাখায় ৩ জনসহ মোট ৩৬ জনকে ভর্তি করা হয়।

post
শিক্ষা

স্প্রিং কোয়ার্টারের নবীনদের পদচারণে মুখরিত ডব্লিউইউএসটির ক্যাম্পাস

'এসো হে নবীন, বাজিয়ে সুর-লহরী উল্লসিত নব বীণ। আজ সুর মিলিয়ে গাইব জয়যাত্রার গান, আনন্দে আহ্লাদিত নবীন প্রাণ।’ নতুন কোয়ার্টারের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করতে এভাবেই যেন স্বাগতম জানিয়েছেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তাগণ।২৭ মার্চ বুধবার ছিল ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির স্প্রিং কোয়ার্টারের ওরিয়েন্টেশন। এদিন সকাল থেকে ভার্জিনিয়ার আলেকজান্দ্রিয়ার নতুন ক্যাম্পাসে ছিল নবীন শিক্ষার্থীদের আনাগোনা। নতুনদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছিলো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। যার মধ্যে বেশিরভাগই ছিল ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট। বাবা-মা, প্রিয়জনদের ছেড়ে বিদেশের মাটিতে স্বপ্ন পূরণের এক নতুন যাত্রা। সবার চোখে ছিল খুশির আমেজ। যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ থেকে তাদের উচ্চ শিক্ষা স্বপ্নের পূর্ণতা যেন খুশির আমেজকে বাড়িয়ে তুলে শতগুণ।এই আয়োজনে প্রায় শ'খানেক শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়েছিলেন সশরীরে। আরও দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী যুক্ত হয়েছিলেন অনলাইনে। নতুনদের স্বাগতম জানান, ডব্লিউইউএসটির সকল বিভাগীয় প্রধান, প্রফেসরস ও কর্মকর্তাগণ। সূচনা বক্তব্যে চেয়ারম্যান ও চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ নবাগতদের আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান সকল সুবিধার সবোর্চ্চটা গ্রহণ করতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনে প্রস্তুত করে তোলার অঙ্গীকারকে উচ্চে তুলে ধরে ডব্লিউইউএসটি তার মিশন ও ভিশন নির্ধারণ করেছে। জীবনের সকল বাধা পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্পণ মানেই অন্যরকম এক অনুভূতি এবং নতুনত্বের হাতছানি। আর সেটি যদি হয় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির মতো কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাহলে স্বভাবতই নবীন শিক্ষার্থীদের কাছে ক্যাম্পাসের প্রথম দিনটি একটু উচ্ছ্বাসের, রোমাঞ্চের। তাদের চোখের ভাষা বুঝতে পেরেই যেন বেশ কিছু পরামর্শ রাখেন প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক। বলেন, "অ্যাকাডেমিক কার্যকলাপের পাশাপাশি নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করতে হবে, যা বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার পরিবর্তে জীবনে প্রতিটি ধাপে সহযোগিতা করবে।" ১২০টি দেশের শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে ডব্লিউইউএসটিতে। এ তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছে আরও নতুন কিছু দেশের নাম। সাউথ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়া, বলিভিয়া, আফ্রিকার দেশ আলজেরিয়া, তানজানিয়া, তিউনেশিয়া এবং নেপাল থেকে এসেছেন বেশ কিছু শিক্ষার্থী। ইন্টারন্যাশনাল এসব শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাস এবং আউট অব দা ক্যাম্পাসে মানতে হবে বেশ কিছু নিয়ম কানুন। ওরিয়েন্টেশনে সে সকল বিষয়গুলো বিস্তারিত প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন ডিএসও কির্ম্বালি সিম্পসন। এমনিতেই ডব্লিউইউএসটি এফোর্ডেবল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছে। এর বাইরেও প্রতি কোয়ার্টারে ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে রয়েছে মেধাভিত্তিক স্কলারশিপ। তা পেতে কি কি করতে হবে সে সব তুলে ধরেন স্কুল অব বিজনেস এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মার্ক এল রবিনসন। তিন ঘণ্টা ব্যাপী এই ওরিয়েন্টশনটি সাজানো হয় বেশ কয়েকটি পর্বে। নিয়মিত ক্লাসে অংশ গ্রহণ, সময়ের মধ্যে সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্ট ও ডিসকাশন করা, পরীক্ষা ও নাম্বার বন্টন পদ্ধতি,  প্ল্যাগারিজমের জন্য কঠিন নিয়ম, লাইব্রেরি ব্যবহার, আইটি সাপোর্ট, ক্যারিয়ার সার্ভিস, এই সব বিষয়ের উপর চমৎকার প্রেজেন্টেশন তুলে ধরেন বিভাগীয় প্রধানগণ।ওরিয়েন্টেশনের এক অংশে নতুনদের জন্য ছিল একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন। যা পরিচালনা করেন মার্কেটিং ডিরেক্টর হুসে উর্তেগা। পাশাপাশি ডব্লিউইউএসটির সক্রিয় কয়েকটি স্পোর্টস ক্লাবের কথা উল্লেখ করে সে সব ক্লাবে যোগ দেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।ছাত্রদের যে কোন প্রয়োজন সর্বদা পাশে থাকে ডব্লিউইউএসটির স্টুডেন্ট গভার্মেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ক্লাব। এসজিএর প্রেসিডেন্ট সেলিন ইয়েগিত সকলকে স্বাগতম জানিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের যে কোন ধরনের সহযোগিতায় পাশে আছে এসজিএ ক্লাব। এছাড়া তুলে ধরেন এই ক্লাবের অধীনে থাকা শিক্ষামূলক ক্লাবগুলোর কার্যক্রম। জানিয়ে দেন, সারা বছর এসজিএ স্টুডেন্টদের জন্য আয়োজন করে থাকে বিনোদন মূলক নানা আয়োজন।পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন স্টুডেন্ট সাকসেস এন্ড ক্যারিয়ার সার্ভিস ম্যানেজার রিচেল রোজ। জব ফেয়ার, অন ক্যাম্পাস জব এবং সিপিটি- ওপিটিতে পেতে স্টুডেন্টদের তার টিম কীভাবে সহযোগিতা করে, রোজ তুলে ধরেন ওরিয়েন্টশেনর শেষ অংশে।এরপর শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল ক্যাম্পাস পরিদর্শন পর্ব। ক্লাসরুম, ল্যাব, লাইব্রেরি, লাউঞ্জ রুম ঘুরে দেখেন তারা। কুশল বিনিময় করেন চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট ড. কারাবার্কের সাথে। ক্যাফেটেরিয়ায় মধ্যাহ্ন ভোজের পর্বের পর গ্রুপ ফটোসেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় স্প্রিং-২০২৪ কোয়ার্টারের ওরিয়েন্টেশন। নবীনদের স্বপ্নময়ী চোখে নতুন স্বপ্নে আর উদ্যমে এগিয়ে চলার প্রত্যয় নিয়েই শুরু হলো তাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবন। ২ এপ্রিল থেকে শুরু হবে তাদের ক্লাসসহ সকল শিক্ষা কার্যক্রম। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকান উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপের ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকানের হাতে পরিচালিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে তথ্যপ্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি ও ব্যবসায়িক প্রশাসনের উপর ব্যাচেলর ও মাস্টার্স কোর্সে বর্তমানে বিশ্বের ১২০ দেশের সতেরোশ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে।

post
শিক্ষা

শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর সুপারিশ

শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের বেতন ভাতা বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে বেসরকারি সংস্থা গণস্বাক্ষরতা অভিযান। একই সঙ্গে শিক্ষকরা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন কি না তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণের জন্য মনিটরিং ব্যবস্থাকে জোরদার করার লক্ষ্যে বাজেটে বরাদ্দ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘শিক্ষার ন্যায্যতাভিত্তিক বাজেট: আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ সুপারিশ করা হয়। গণস্বাক্ষরতা অভিযানের সুপারিশে বলা হয়েছে, উপবৃত্তি হিসেবে দেওয়া অর্থের পরিমাণ বাড়ানো, প্রান্তিক অঞ্চল ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শতভাগ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান করতে হবে। কারিগরি শিক্ষার শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপবৃত্তির আওতায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শিক্ষাখাতে বরাদ্দকৃত বাজেটের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতের জন্য মনিটরিং ও সমন্বয় জোরদার করা এবং বাজেট বিভাজনের ক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহের মধ্যে সমন্বয়হীনতা পরিহার করা প্রয়োজন। শিক্ষা বাজেট নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে বিশেষ করে স্কুল পর্যায়ে আলোচনা করতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে সরকারি বরাদ্দকৃত বাজেট জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। জেলা পর্যায়ে বাজেটের অব্যয়িত অর্থ সংশ্লিষ্ট জেলার চর, হাওর, উপকূলীয় ও ভৌগোলিকভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় শিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে ব্যয় করার নির্দেশনা বাজেটে থাকা দরকার।

post
শিক্ষা

আয়ারল্যান্ডের সেরা ১০ স্কলারশিপ

আয়ারল্যান্ডের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ দেওয়ায় আগ্রহ বাড়ছে শিক্ষার্থীদের। আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট, গ্র‍্যাজুয়েট ও পিএইচডির বিভিন্ন প্রোগ্রামে পড়ালেখা করার সুযোগ দিচ্ছে দেশটির সরকার। আইরিশ বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য সংস্থার সমন্বয়ে টিউশন ফি, জীবনযাত্রার খরচ এবং অন্যান্য খরচ সুবিধা দেওয়া হয় বিধায় শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ও পেশাদার জীবনের লক্ষ্য পূরণ করতে পারেন।জেনে নিই আয়ারল্যান্ডের সেরা ১০টি স্কলারশিপ সম্পর্কে। আয়ারল্যান্ড সরকারের ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ আইরিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে নন ইউরোপিয়ান দেশগুলো থেকে আসা ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কৃতিত্ব অর্জনে উৎসাহিত করার জন্য ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু করেছে আয়ারল্যান্ড সরকার। স্কলারশিপটি আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট, গ্র‍্যাজুয়েট ও পিএইচডির বিভিন্ন প্রোগ্রামে ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ দেবে। ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপটি টিউশন ফি ও এক বছরের নিবন্ধন ফি মওকুফ করার পাশাপাশি ১০ হাজার ইউরো উপবৃত্তি দেবে। আয়ারল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একাডেমিক ও পেশাদার জীবনে দক্ষতা বৃদ্ধির চমৎকার সুযোগ পেতে আবেদন করতে পারেন। ইউনিভার্সিটি কলেজ ডাবলিন গ্লোবাল এক্সিলেন্স স্কলারশিপ ইউনিভার্সিটি কলেজ ডাবলিন আয়ারল্যান্ডের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের কাছেও বেশ পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়টি। শিক্ষায় বৈচিত্র্য ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রচারের জন্য প্রতিষ্ঠানটিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয় গ্লোবাল এক্সিলেন্স স্কলারশিপ। এটি সম্পূর্ণ বা আংশিক টিউশন ফি মওকুফ করায় শিক্ষার্থীরা আর্থিক সুবিধা পায়। বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদানের জন্য সম্মানিত খ্যাতি ও প্রতিশ্রুতির এই স্কলারশিপটি একাডেমিক স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করবে। এনইউআই গ্যালওয়ে ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট স্কলারশিপ ইউনিভার্সিটি অব গ্যালওয়ে সারাবিশ্বের মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ দিচ্ছে। কৌশলগত আন্তর্জাতিক লক্ষ্য অনুসারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের বেশ কয়েকটি দেশের শিক্ষার্থীদের মেধাভিত্তিক বৃত্তি প্রদান করে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এ ছাড়াও, ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা অর্জন সহজ করতে বেশ কয়েকটি স্কলারশিপ অফার করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। মায়নুথ ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ আয়ারল্যান্ডের মায়নুথ ইউনিভার্সিটি দেশটির নেতৃস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা স্থানীয় ও ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদান করে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের একাডেমিক লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করার জন্য অসংখ্য স্কলারশিপের সুযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তাসহ নানা সুবিধা দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়টিকে রাখতে পারেন তালিকায়। হার্ডিম্যান পিএইচডি স্কলারশিপ হার্ডিম্যান পিএইচডি স্কলারশিপ আয়ারল্যান্ডের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের পোস্টগ্র‍্যাজুয়েট বা পিএইচডি করার জন্য দেওয়া হয়। নীতিমালা প্রণয়ন ও সমাজ উন্নয়ন, সৃজনশীলতা ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধি করে এমন পাঁচটি ক্ষেত্রে গবেষণা করতে চাইলে এটি পাওয়া যাবে। বিশ্বমানের সুযোগ এবং নেতৃস্থানীয় শিক্ষাবিদদের সঙ্গে থেকে দক্ষতা উন্নয়ন, অত্যাধুনিক গবেষণায় নিযুক্ত হওয়া, অগ্রগতিতে অবদান রাখা যাবে এর মাধ্যমে। সেই সঙ্গে একাডেমিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রেও ভবিষ্যতে সুবিধা পাওয়া যাবে। এই স্কলারশিপটি অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক হয়। গ্র্যাটান স্কলারশিপ আইরিশ রাষ্ট্রনায়ক হেনরি গ্র্যাটানের নামানুসারে স্কলারশিপটি ২০১২ সাল থেকে ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কৃতিত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য দিয়ে আসছে। মর্যাদাপূর্ণ আয়ারল্যান্ড স্কলারশিপটি আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট, গ্র‍্যাজুয়েট ও পিএইচডি প্রোগ্রামের গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল সিস্টেম; ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট; মার্কেটস, জাস্টিস অ্যান্ড ভ্যালুস; মাইগ্রেশন অ্যান্ড ক্লাস্টারিং; আরবান অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইকোনমিকক্সসহ বিভিন্ন বিষয়ে দেওয়া হয়। এটি বিশ্বমানের গবেষণা সুবিধা, বিভিন্ন একাডেমিক সুবিধা এবং অত্যাধুনিক গবেষণা প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ দেয়। জেনারেশন স্টাডি অ্যাব্রোড স্কলারশিপ ট্রিনিটি কলেজ ডাবলিনের সহযোগিতায় স্কলারশিপটি দেওয়া হয়। এটি আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট, গ্র‍্যাজুয়েট ও পিএইচডি প্রোগ্রামে আবেদনকারী ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনন্য সুযোগ হতে পারে। প্রোগ্রামটি ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন ইনস্টিটিউট নামক একটি আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা দ্বারা পরিচালিত হয়, যা বিদেশে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর দুটি স্কলারশিপ প্রদান করে। একাডেমিক লক্ষ্য অর্জন ও অভিজ্ঞতা পেতে সহায়তা করার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে স্কলারশিপগুলো। জেনারেশন স্টাডি অ্যাব্রোড স্কলারশিপ আন্তর্জাতিক শিক্ষা ও বিস্তৃত সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা সঞ্চারের দ্বার উন্মোচন করে। ডাবলিন সিটি ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ ডাবলিন সিটি ইউনিভার্সিটি আয়ারল্যান্ডে একাডেমিক লক্ষ্য অর্জনে ইচ্ছুক ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের নানা সুযোগ দেয়। এখানকার স্কলারশিপগুলো যোগ্য শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। স্কলারশিপ প্রোগ্রামের মধ্যে রয়েছে আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট ও পোস্টগ্রাজুয়েট স্কলারশিপ, রিসার্চ স্কলারশিপ, স্পোর্টস স্কলারশিপ এবং স্কলারশিপ ফর স্টুডেন্টস উইথ ডিজেবিলিটিস। বিশ্বমানের সুযোগ, একাডেমিক দক্ষতা অর্জনের পথ উন্মুক্ত করবে ডাবলিন সিটি ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ। ইউনিভার্সিটি অব লিমেরিক স্কলারশিপ আয়ারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব লিমেরিক আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট, পোস্টগ্রাজুয়েট ও রিসার্চ ডিগ্রি প্রোগ্রামে নানা সুবিধা দেয়। একাডেমিক যোগ্যতা এবং আর্থিক প্রয়োজনের ভিত্তিতে টিউশন ফি, বাসস্থান এবং জীবনযাত্রার খরচ সুবিধা পাওয়া যায়। সারাবিশ্বের শিক্ষার্থীদের সমান সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব, বৈচিত্র্য এবং অন্তর্ভুক্তি প্রচার করাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য। চমৎকার পরিবেশে গবেষণা করা যাবে এখানে। আরসিএসআই ইন্টারন্যাশনাল ফার্মেসি স্কলারশিপ আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট, পোস্টগ্রাজুয়েট ও পিএইচডি করতে আগ্রহী ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ দেয় আরসিএসআই। শিক্ষার্থীদের আর্থিক সাহায্য প্রদান ছাড়াও বিশ্বমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একাডেমিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে সুবিধা দেয় এটি। এটি বিশ্বমানের গবেষণা সুবিধা, বিভিন্ন একাডেমিক সুবিধা এবং অত্যাধুনিক গবেষণা প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ দেবে। 

post
শিক্ষা

অস্ট্রেলিয়ার স্টুডেন্ট ভিসায় আসছে কঠোর নিয়ম

অস্ট্রেলিয়া এই সপ্তাহে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসার ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম কার্যকর করা শুরু করবে। অস্ট্রেলিয়া সরকার উদ্বিগ্ন যে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অনেকেই পড়াশোনার পরিবর্তে কাজের উদ্দেশ্যে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে।দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও'নিল জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট ভিসা অনুমোদন আগের বছরের তুলনায় ৩৫ শতাংশ কম হয়েছে। ফেডারেল সরকার অভিবাসন ব্যবস্থার সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদানকারী সন্দেহজনক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো একটি নতুন ক্র্যাকডাউনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকসের (এবিএস) প্রকাশিত ডেটা দেখায় যে, দেশটির জনসংখ্যা ২ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে মূলত অভিবাসী শ্রমিক এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কারণে। চলতি সপ্তাহ থেকে বেশ কয়েকটি সরকারি সংস্থাকে নতুন ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা সন্দেহজনক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করার ক্ষমতা তার মধ্যে অন্যতম। 'ভিসা কারখানা' হিসেবে পরিচিত ওইসব তথাকথিত প্রতিষ্ঠানকে সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হবে এবং তাদের শুধরে নেওয়ার সময় দেওয়া হবে ছয় মাস। সম্ভাব্য শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন পরীক্ষাও চালু করা হবে। শিক্ষার্থীদের তাদের অধ্যয়নের উদ্দেশ্য এবং তাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। তাদের একটি ঘোষণা দিতে হবে যে, তারা প্রকৃত শিক্ষার্থী হওয়ার অর্থ কী তা বোঝে। গত জুলাই মাসে ফেডারেল সরকার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা কত ঘণ্টা কাজ করতে পারবে তার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন শ্রম ঘাটতির কারণে ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাজের সময়সীমা স্থগিত করা হয়েছিল। এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় অধ্যয়নরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৫০৫ জন।

post
শিক্ষা

জার্মানিতে আইইএলটিএস ছাড়াই ভর্তির সুযোগ

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের পরেই শিক্ষার দিক দিয়ে সেরা দেশ হিসেবে ধরা হয় জার্মানিকে। সবচেয়ে কম খরচে উচ্চ শিক্ষার জন্য অনেকেরই অন্যতম পছন্দের দেশ এটি। বর্তমানে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএস ছাড়াই ভর্তির সুযোগ রয়েছে। তবে, রয়েছে দেশটির ভাষা দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে পরীক্ষা। ২০২৪ সালের ভর্তির জন্য এ সুযোগ পাবেন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা।বিশ্বের ধনী দেশগুলোর অন্যতম জার্মানি। তথ্যপ্রযুক্তিতে অগ্রসর এই দেশ শিক্ষাসহ নানা দিক দিয়ে ইউরোপের শীর্ষস্থানীয়। বিশেষ করে দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা অত্যন্ত আধুনিক ও যুগোপযোগী। জার্মানির বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০ লাখের মধ্যে ১২ শতাংশের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা করেন। জার্মানির কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএস ছাড়াই ভর্তির সুযোগ রয়েছে। তবে সেসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আইইএলটিএসের বিকল্প একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। ভাষা দক্ষতার প্রমাণ হিসেবেই এ পরীক্ষা। এমন কয়েকটি জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় হলো-ইউনিভার্সিটি অব কাইসারস্লটার্ন, ইউনিভার্সিটি অব সিয়েজেন, ফ্রি ইউনিভার্সিটি অব বার্লিন, ইউনিভার্সিটি অব গিজেন, ইউনিভার্সিটি অব কোবলেঞ্জ অ্যান্ড ল্যান্ডউ ও এসলিনজেন ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সসহ অনেক। শিক্ষার্থী স্নাতকে সব কোর্স সম্পূর্ণভাবে ইংরেজি মাধ্যমে পড়লে আইইএলটিএস লাগবে না। শিক্ষার্থী যদি পিটিই, টোয়েফল, ডুয়োলিঙ্গো বা সিএই পরীক্ষার সনদ থাকে, তবে আইইএলটিএস পরীক্ষা দিতে হবে না। স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ব মানের শিক্ষাব্যবস্থা, সময়োপযোগী বিষয়, ইতিহাস ও ঐতিহ্য মিলিয়ে কেবল বাংলাদেশ নয় বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী শিক্ষার্থীদের কাছেই ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে পছন্দের বিবেচনায় সম্ভবত সবচেয়ে এগিয়ে জার্মানি।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.