বিশেষ প্রতিবেদন

বিপুল উদ্দীপনা ও আনন্দ আয়োজনে সম্পন্ন ডব্লিউইউএসটি'র কনভোকেশন ২০২২

post-img

অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি- ডব্লিউইউএসটি'র কনভোকেশন ২০২২। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াস্থ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীকে তুলে দেওয়া হলো তাদের গ্রাজুয়েশন সনদ ও সম্মাননা। শনিবার (১৮ জুন) ভার্জিনিয়ার জর্জ সি. মার্শাল হাইস্কুল মিলনায়তনে সম্পন্ন হয় এই গ্রাজুয়েশন সেরিমনি। কালো গাউন মাথায় গ্রাজুয়েশন হ্যাট পরে সেরিমনির মূল আকর্ষণ হয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের সনদ নিলেন, আনন্দ-উচ্ছ্বাসে ভরিয়ে তুললেন দিনটিকে। এতে প্রধান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টির বোর্ড অব সুপারভাইজর এর চেয়ারম্যান জেফরি সি. ম্যাককে। 


কর্মসূচিটিকে স্রেফ সনদ বিতরণে সীমিত না রেখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আয়োজন করে একটি বিশেষ সেমিনারের। তাতে কি-নোট স্পিকার হিসেবে শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন ড. রায়ান সাদী, যুক্তরাষ্ট্রে সমহিমায় প্রতিষ্ঠিত একজন অনন্য বাংলাদেশি আমেরিকান চিকিৎসা-গবেষক। ক্যান্সারের সফল চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করে তিনি কুড়িয়েছেন বিরল সম্মান। শিক্ষার্থীদের তিনি নিজের জীবনের সাফল্যের গল্পটি শোনান এবং তাদের উদ্ধুদ্ধ করেন ভবিষ্যতের পথ চলার নানা দিকনির্দেশনায়। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ, প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ বিতরণের পাশাপাশি তাদের বক্তৃতায় তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যত কর্মপন্থার কথা। 


অনুষ্ঠানে অভ্যাগত অতিথি হয়ে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে স্বীয় ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত অন্য আরও অনেক বাংলাদেশি-আমেরিকান। যারা এই গ্রাজুয়েশন-কনভোকেশনে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। এদের মধ্যে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার রাজনীতিতে সফল বাংলাদেশি-আমেরিকান ডেমোক্র্যাট সিনেটর শেখ রহমান, যুক্তরাষ্ট্রে কূটনীতিতে সফল ব্যক্তিত্ব প্রথম মুসলিম বাংলাদেশি-আমেরিকান রাষ্ট্রদূত এম. ওসমান সিদ্দিক,  শিক্ষা ও গবেষণায় সফল ব্যক্তিত্ব আইট্রিপলই'র প্রেসিডেন্ট ড. সাইফুর রহমান ও মনমাউথ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং গ্লোবাল সোশ্যাল ওয়ার্ক এডুকেশন কমিশনের কো-চেয়ার ও কমিশনার ড. গোলাম এম. মাতবর, তথ্যপ্রযুক্তির সফল প্রবক্তা ও উদ্যোক্তা, ইউটিসি অ্যাসোসিয়েটস, কোডার্সট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও সিইও আজিজ আহমদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সিদ্দিক শেখ ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা ফারহানা হানিপ। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. জাফর পিরিম ও ড. শ্যান চো ছাড়াও শিক্ষকদের অনেকেই অংশ নেন এই কনভোকেশনে। দর্শক সারিতে অন্যান্য বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের নাতি ডেভিড রিগবি। যিনি নিজেও একজন বিজ্ঞানী। 


মাস্টার অব দ্য সেরিমনি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বিজনেস'র পরিচালক ড. মার্ক এল রবিনসন। সঞ্চালনায় ছিলেন ডব্লিউপিএলজি এবিসি- টেন'র সিনিয়র প্রডিউসার ও করেসপন্ডেন্ট ড. আনিভা জামান। 

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেফরি সি. ম্যাককে বলেন, বহুজাতির সম্মিলনই যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শক্তি। তাদের অন্তর্ভূক্তিমূলক, সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার যে নীতিতে  যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত তারই একটি উদাহরণ এই ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি। এর শিক্ষার্থীরা বিশ্বের নানা দেশ থেকে এদেশে এসে তাদের উচ্চতর শিক্ষা নিচ্ছে, বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তির শিক্ষা গ্রহণ করছে, যা এই সময়ের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বলে বক্তৃতায় উল্লেখ করেন তিনি। জেফরি বলেন, ভার্জিনিয়ায় ৯০০০ টেকনোলজি কোম্পানি রয়েছে, এই শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনা শেষ করে এসব কোম্পানিতে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে যোগ দিতে পারবে, এটি সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। 

"আহা আমি নিজেও যদি পারতাম এমন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন বিষয়ে শিক্ষা নিতে," আক্ষেপের সুরে বলেন জেফরি সি. ম্যাককে। 

কি-নোট স্পিকার ড. রায়ান সাদী তার ব্যক্তি জীবনের গল্প দিয়ে শুরু করেন এবং একটি স্বপ্ন লালন করলে তা যে পূরণ হবেই সে কথাই শোনান শিক্ষার্থীদের। জীবনের প্রতিটি ক্ষণকে সর্বোচ্চ গুরুত্বে ব্যবহার করার কথা বলেন আর শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে অসীম সম্ভাবনা রয়েছে তা উল্লেখ করে প্রত্যেককে মানবতার শক্তিতে বলিয়ান হওয়ার আহ্বান জানান। আত্মপ্রত্যয়ী হতে বলেন আর পরিশুদ্ধ মনের অধিকারী হতে বলেন প্রতিটি শিক্ষার্থীকে। সবচেয়ে বেশি যেটি প্রয়োজন তা হচ্ছে নিজেকে জানা, প্রত্যেকে তাকে নিজেকে জানতে পারলে, নিজের সক্ষমতা, দক্ষতা ও যোগ্যতা জানলে এরপর আত্ন নিয়োজনেই যে কোনো অর্জন সম্ভব, বলেন ড. রায়ান সাদী। 

চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ তার বক্তৃতায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখন যারা গ্রাজুয়েটেড হলেন তারা সকলেই গত বছরগুলোতে একটি কঠিন ও অনিশ্চিত সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছেন। কিন্তু আমি দেখেছি শিক্ষার্থীদের অসীম শক্তি ও আত্মপ্রত্যয়। আর সে কারণেই তারা সফল হতে পেরেছেন। আর তারই পথ ধরে আজ তাদের সেই সাফল্যই আজ উদযাপিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য সাফল্যের একটি দৃঢ় ভিত রচনা করে দিয়েছে। এখন প্রত্যেকের মধ্যেই তৈরি হয়েছে অর্জনের সকল সম্ভাবনা। যা ভবিষ্যতের যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কাজ করবে, বলেন আবুবকর হানিপ।   


এই গ্রাজুয়েটরা প্রত্যেকেই এখন ওয়াশিংটন সায়েন্স অ্যান্ট টেকনোলজি-ডব্লিউইউএসটি'র এলামনি এবং গোটা বিশ্বের কাছে এই বিশ্ববিদ্যালয়র প্রতিনিধি। তাদের প্রত্যেকের সাফল্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বাড়াবে। আর ভবিষ্যতে এই শিক্ষার্থীরা তাদের যে কোনো প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়কে পাশে পাবে, বলেন চ্যান্সেলর হানিপ। 

ড. হাসান কারাবার্ক বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার পাশাপাশি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করে সেটিই সবচেয়ে বড় কথা। অভিজ্ঞতার কোনো বিকল্প কিছু নেই। শিক্ষার্থীেদর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন সেটি অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। যা তাদের একই ধরণের উদ্যোগ নিতে উদ্যমী করে তুলবে।

এসময় শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রিপ্রাপ্ত হিসেবে ঘোষণা করেন ড. হাসান কারাবার্ক। 

সশরীরে উপস্থিত থাকতে না পারায় ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজির গ্রাজুয়েটদের এবং কর্তৃপক্ষকে শুভেচ্ছা জানান সেনেটর শেখ রহমান। 

এম. ওসমান সিদ্দিক শিক্ষার্থীদের দৃঢ়প্রত্যয়ী ও সাহসী হওয়ার উদ্দীপনা যোগান। এবং বলেন, জীবনের পথ চলায় সেটাই করবেন, যা আপনার হৃদয়ে লালিত। 

ড. সাইফুর রহমান বলেন, দেশ আপনার জন্য কি করতে পারবে সেটি যেমন জরুরি তেমনি আপনি দেশের জন্য কি করতে পারছেন সেটিও জরুরি। কারো কাছে সহায়তা প্রত্যাশার আগে তাকে কি সহায়তা করতে পারেন সেটি নিশ্চিত করতে হবে। 

একবিংশ শতাব্দীর জন্য উপযোগী উৎপাদনমুখী কর্মশক্তি তৈরিতে কাজ করছে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, এখানকার শিক্ষার্থীরা তাদের যাত্রা শুরুই করতে পারছে এই ভবিষ্যত কর্মশক্তিতে তাদের স্থান করে নিয়ে, এটা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার, বলেন অধ্যাপক ড. গোলাম এম মাতবর। তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি সক্ষমতার পাশাপাশি নৈতিকতা ও মূল্যবোধের ওপর জোর দেন। এবং বলেন, এসব কিছুর সমন্বয়েই কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব। 

সিদ্দিক শেখ এই বিশ্ববিদ্যালয় আপনাদের জন্য একটি সফল ভবিষ্যত অর্জনের পথ খুলে দিয়েছে। ভবিষ্যতের একটি সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আপনার বর্তমান শিক্ষার্থী হিসেবে গ্রাজুয়েটেড হলেন এটাই হতে পারে আপনাদের গর্বের বিষয়। শিক্ষার্থীদের প্রতি তিনি মনযোগী, সৎ ও বিনয়ী হওয়ার আহ্বান জানান। 

তথ্যপ্রযুক্তির দক্ষতাভিত্তিক একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করা প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীকে ভাগ্যবান বলে উল্লখ করেন আজিজ আহমদ। এই শিক্ষার মধ্য দিয়ে যে দক্ষতা অর্জিত হয়েছে সেটাই প্রতিটি শিক্ষার্থীকে বিশ্বের কর্মজগতের উপযোগী করে তুলবে। আর সময়ের প্রয়োজনগুলো সঙ্গে শিক্ষার্থীরা তাদের এই জ্ঞানকে যতটা সম্পৃক্ত করতে পারবে তাদের সাফল্যই তত বেশি আসবে, বলেন তিনি।  

ফারহানা হানিপ তার বক্তৃতায় নতুন গ্রাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আজ আপনাদেরই দিন। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলোজি'র গ্রাজুয়েটরা এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই আয়না। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীরা একে অন্যের প্রতিবিম্ব হয়ে কাজ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা দেশের নানা জাতির শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে, তাদের উপস্থিতিতে প্রতিটি ক্লাসরুম যেনো জাতিসংঘের সম্মেলন কক্ষ হয়ে ওঠে। আর এই ডাইভার্সিটিই প্রকৃত সুযোগ ও সম্ভাবনা তৈরি করে, বলেন ফারহানা হানিপ। 


শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাইবার সিকিউরিটিতে মাস্টার্স সম্পন্ন করে সনদপ্রাপ্ত জোসেফাইন মিলি চুং। তিনি বলেন, একটি পূর্ণসময়ের চাকরি করে, শিশু সন্তান লালন পালন করেও আমি এই ডিগ্রি সম্পন্ন করতে পেরেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাদান পদ্ধতি এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি তাদের সর্বোচ্চ যত্ন ও গুরুত্ব আরোপের কারণে। অনলাইনে সাইবার সিকিউরিটি কোর্স সম্পন্ন করে এই ডিগ্রি নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এখন কাজ করছেন মিলি চুং। 

পরে একে একে শিক্ষার্থীদের মাঝে তাদের গ্রাজুয়েশন ডিগ্রির সনদ তুলে দেওয়া হয়। আর সবশেষে শিক্ষার্থীরা মেতে ওঠে ফটো সেশনে এবং তারই সঙ্গে আনন্দ বিনোদনে। শিক্ষার্থীদের অনেকেই এসেছিলেন তাদের পরিবার-পরিজন সাথে নিয়ে।


দিনের পরের ভাগে সন্ধ্যায় অভ্যাগত অতিথিরা যোগ দেন কনভোকেশন ডিনারে। স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত এই ডিনারে অতিথিরা একজন বাংলাদেশি আমেরিকান হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম কোনো পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য আবুবকর হানিপকে অভিনন্দিত করেন। 

বক্তাদের মধ্যে ছিলেন ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের সাবেক প্রধান রোকেয়া হায়দার, ভয়েস অব আমেরিকার অপর বর্ষিয়ান সাংবাদিক সরকার কবিরউদ্দিন, এএবিজিএম'র সিইও আবদুল আলিম, ই-লার্নিংয়ে বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বদরুল খান, সাংবাদিক উপস্থাপক কবিতা দেলাওয়ার, ভারতীয় সাংবাদিক রঘুবীর গোয়েল প্রমুখ। 

বক্তারা আবুবকর হানিপের  এই উদ্যোগকে পাহাড় সড়ানোর মতো একটি কাজ বলে উল্লেখ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সম্ভাবনার দিক তুলে ধরে এই যাত্রা অব্যহত রাখতে ইঞ্জি. আবুবকর হানিপকে উৎসাহ যোগান এবং তার ভিশন ও মিশনের প্রশংসা করেন তারা। 


এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাপ্লায়েড রিসার্চ অ্যান্ড ফোটোনিক্স'র প্রেসিডেন্ট ড. আনিস রহমান, এএবিইএ সেন্ট্রাল এর চেয়ারম্যা ড. ফয়সল কাদের, বাংলাদেশের প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ হোসেন, কপিন স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন, ক্রিকপয়েন্ট'র সিইও কাজী জামান, বাই'র সভাপতি সালেহ আহমেদ, ভারতীয় সাংবাদিক রঘুবীর গোয়েল, টার্কিস কমিউনিটি নেতা ও উদ্যোক্তা ড. ইউসুফ চেতিনকায়া,  ড. তার্গে পোলাদসহ কয়েকজন। 

সঙ্গীত ও উপাদেয় খাবারে এই সান্ধ্যভোজ হয়ে ওঠে আনন্দময়। গান গেয়ে শোনায় যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত নতুন প্রজন্মের শিল্পী নাফিসা নওশিন, আনিকা হোসাইন ও আনিসা হোসাইন।


সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম আইগ্লোবাল ইউনিভার্সিটি থেকে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি করা হয়েছে। গ্রাজুয়েটেডরা সকলেই ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে তাদের সনদপত্র পাবেন।

২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে সফল বাংলাদেশি উদ্যোক্তা ইঞ্জি. আবুবকর হানিপের ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে কোনো বাংলাদেশি আমেরিকানের হাতে পরিচালিত প্রথম কোনো পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে তথ্য-প্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি ও এমবিএ- বিবিএ কোর্সে বর্তমানে ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। বিশ্বের ১২১ দেশের শিক্ষার্থীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে হয় সনদপ্রাপ্ত হয়েছেন নয়তো বর্তমানে অধ্যয়নরত রয়েছেন।

সম্পর্কিত খবর

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.