রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বুয়েটের ড. এম এ রশীদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রেস ব্রিফিং থেকে এই চিঠি পাঠ করেন শিক্ষার্থীরা।
চিঠিতে শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, ‘আমরা করোনার সেই বিপদের সময়ে বানিয়েছি লো কস্ট ভ্যান্টিলেটর, ক্লিন সিটির আশায় পরিত্যক্ত মাস্ক থেকে বানিয়েছি কংক্রিট, খুঁজছি বিদ্যুত উৎপাদনের সহজ উপায়, বানাচ্ছি আর্টিফিসিয়াল আর্মস, মাট্রিক্যাল টুলস। পদ্মা সেতু নির্মাণে আমাদের বুয়েট শিক্ষক এবং সাবেক শিক্ষার্থীদের অবদান অনবদ্য।
প্রধানমন্ত্রীকে অভিভাবক সম্বোধন করে তারা বলেন, ‘আমরা নিজেদের মেধা ও শ্রমের সবটুকু দিয়ে বিজ্ঞানের অবাক করা দুনিয়ার একটা অংশের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে দেখতে চাই। আমরা ত্রাসের রাজনীতির মারপ্যাঁচ বুঝি না, আমরা শুধু দেশকে, দেশের মানুষকে ভালোবাসতে জানি। নিজেদের কাজ দিয়ে তা আমরা প্রমাণ করতে বদ্ধপরিকর। আপনি আমাদের সবার অভিভাবক, আপনি দেশের অভিভাবক।
বুয়েট শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে আমরা বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির নামে ক্ষমতার নেতিবাচক দিকগুলোই প্রত্যক্ষ করেছি। ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে সূচনা ঘটছে আধিপত্য, দাপট, র্যাগিং, শিক্ষকদের অপমান, চাঁদাবাজি, শিক্ষার্থী নিপীড়ন, খুনোখুনিতে মেতে ওঠার মত ঘটনা। এ ব্যাধি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে এর চরম মূল্য হিসেবে আমরা আমাদের কেমিকৌশল ৯৯ এর সাবেকুন্নাহার মনি, যন্ত্রকৌশল ০৯ এর আরিফ রায়হান দ্বীপ এবং সর্বশেষ তড়িৎকৌশল ১৭ এর আবরার ফাহাদকে হারিয়েছি।