বাংলাদেশ

'আমার সব স্বপ্ন সাগরে ডাইবা গেল'

post-img

নিখোঁজ আল আমিন মাতুব্বর পরিবারের বড় সন্তান। দুই ভাই–বোনের মধ্যে আল আমিন বড়। আল আমিনের মা চামেলী বেগম বলেন, ‘ছেলেকে বিদেশে পাঠাতে ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন দালালকে। সব টাকাই ধার–কর্জ করে সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে জমি বন্ধক দিয়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার, সমিতি থেকে কিস্তিতে ১ লাখ ২০ হাজার, এ ছাড়া দুই আত্মীয়ের কাছ থেকে আরও ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা আনা হয়। অভাবের সংসারে একটু সচ্ছলতা দেখতে পাব, এই আশায় ধার–কর্জ করে ওকে দালালের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার সব স্বপ্ন সাগরে ডাইবা গেল।’

চামেলী বেগম বলেন, কত স্বপ্ন দেখেছিলাম। চার–পাঁচ বছর পর ছেলে ফিরে এলে ওর বিয়ে দেব। টুকটুকে বউ আনব। কিন্তু কিছুই আর থাকল না।

নিখোঁজ অন্য দুই তরুণ হলেন এসকেন মোল্লার ছেলে নাজমুল মোল্লা (২৩) ও সেকেন ব্যাপারীর ছেলে আকরামুল ব্যাপারি (২৭)।

প্রসঙ্গত, ডুবে যাওয়া ওই ট্রলারে মোট ৪৭ যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে ১৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের মধ্যে নগরকান্দার ডাঙ্গী ইউনিয়নের বিল গোবিন্দপুর গ্রামের নান্নু সররদারের ছেলে হৃদয় সরদার (২৫) ও আহমেদ ফরাজীর ছেলে রাসেল ফরাজি (২০) রয়েছেন।

গত ৫ জানুয়ারি ওই সব তরুণ ইতালি যাওয়ার জন্য ঢাকায় যান। ঢাকা থেকে ৮ জানুয়ারি দুবাইয়ে যান। দুবাইয়ে চার দিন থাকার পর মিসর হয়ে ১২ জানুয়ারি তাঁরা লিবিয়ায় পৌঁছান। এরপর সোমবার ভোর চারটার দিকে মুরাদ সবাইকে ট্রলারডুবিতে ওই চারজনের নিখোঁজের বিষয়টি জানান।

নগরকান্দা থানার ওসি মিরাজ হোসেন বলেন, এ নিখোঁজের বিষয়ে গতকাল বুধবার পর্যন্ত কেউ আমাদের কিছু জানাননি।

সম্পর্কিত খবর

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.