post
এনআরবি বিশ্ব

পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চাঙা হতে শুরু করেছে প্রবাসী আয়

প্রবাসী আয়ের প্রবাহে যে ছেদ পড়েছিল, তা কাটতে শুরু করেছে। মার্চে প্রবাসীরা দেশে প্রায় ১৮৬ কোটি মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন, যা স্থানীয় মুদ্রায় ১৬ হাজার ৩৩ কোটি টাকার মতো (প্রতি ডলার ৮৬.২০ টাকা ধরে)। এই আয় গত আট মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।প্রতিবছরই রমজান মাসে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স তথা প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। এবারে অবশ্য রমজান শুরু হওয়ার আগেই প্রবাসী আয় চাঙা হয়ে উঠেছে। পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চাঙা হতে শুরু করেছে প্রবাসী আয়। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছে, চলতি এপ্রিল মাসে প্রবাসী আয় মার্চের তুলনায় আরও বাড়বে।চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে প্রবাসীরা দেশে ১৭০ কোটি ৪৪ লাখ ডলার বা সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা পাঠান। ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার বা ১২ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকার প্রবাসী আয়, যা এর আগের ২১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে মার্চে তা বেড়ে ১৮৫ কোটি ৯৯ লাখ ডলারে ওঠে। অবশ্য এই মার্চের তুলনায় গত বছরের একই মাসে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ আরও বেশি ছিল, যা পরিমাণে ১৯১ কোটি ডলার।ব্যাংকাররা বলছেন, দেশে এখন ডলারের সংকট রয়েছে। এ জন্য ব্যাংকগুলো বেশি টাকা দিয়ে হলেও প্রবাসী আয় আনছে। এ ছাড়া ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ পাঠালে আগের চেয়ে বেশি প্রণোদনা মিলছে। সে জন্য অবৈধ পথে প্রবাসী আয় আসা কমছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে প্রতি ডলারের মূল্য ৮৬ টাকা ২০ পয়সা। তবে ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয় আনতে ৯০ টাকা দরেও ডলার কিনছে। এর চেয়ে বেশি দামে তারা সেই ডলার ভোগ্যপণ্য আমদানিকারকদের কাছে বিক্রি করছে। ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠানো প্রবাসী আয়ে সরকার আগে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দিত। গত ১ জানুয়ারি থেকে প্রণোদনার হার বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়। নগদ প্রণোদনা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রবাসীরা জানুয়ারিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে প্রবাসী আয় পাঠিয়েছিলেন। যদিও ফেব্রুয়ারিতে তা আবার কমে। এদিকে করোনাভাইরাসের প্রকোপের শুরুতে প্রবাসী আয় কিছুটা ধাক্কা খেলেও ২০২০ ও ২০২১ সালে প্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড হয়। এর কারণ হিসেবে বিশ্লেষকেরা বলেন, সেই সময় বিদেশে যাতায়াত প্রায় বন্ধ ছিল। এ জন্য প্রবাসী আয় আসার অবৈধ পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রবাসীরা বৈধ পথেই আয় পাঠান। এদিকে দেশে আমদানি যে হারে বাড়ছে, সেই হারে প্রবাসী আয় ও রপ্তানি বাড়ছে না। এ কারণে আমদানি দায় মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংকে গচ্ছিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে রিজার্ভের পরিমাণ কমছে। তবে ডলার কেনা ও বেচার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক এখন মার্কিন মুদ্রাটির দাম নিয়ন্ত্রণ করছে।

post
বাংলাদেশ

৫০ বছরের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, মোমেন-ব্লিংকেন বৈঠক সোমবার

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম বার্ষিকীর দিনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার (৪ এপ্রিল) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে. ব্লিংকেনের সাথে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন। বৈঠকে যোগ দিতে এরই মধ্যে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন পররাষ্ট্রেমন্ত্রী ড. মোমেন। ঢাকা ত্যাগের আগে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বৈঠকে আমরা আগামী ৫০ বছরে আমাদের (বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কিভাবে আরো জোরদার হবে সে ব্যাপারে আলোচনা করব।’   একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে অদ্ভুদ্যয়ের পর, ওয়াশিংটনের সাথে অর্ধশত বছরে একটি ভিন্ন ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রেক্ষপটে বাংলাদেশের সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ পুনর্বিন্যাস হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর দু’দেশের মধ্যে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ হয়েছে। গত ১০ ডিসেম্বর র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও এলিট ফোর্সটির কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর, এই প্রথমবারের মতো ড. মোমেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করতে যাচ্ছেন। ব্যাপক দ্বিপাক্ষিক ইস্যুর পাশাপাশি তিনি এই নিষেধাজ্ঞাটি পুনঃবিবেচনা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অনুরোধ জানাবেন। ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা এই (নিষেধাজ্ঞা ) ইস্যু উত্থাপন করব।’ যেহেতু র‌্যাব একটি দক্ষ, কার্যকর এবং দুর্নীতিমুক্ত বাহিনী, তাই তিনি আশা করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া আসবে।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিরাজ করছে এবং গত এক দশকের বেশি সময় ধরে দেশ ব্যাপক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করেছে। কিন্তু কখনো কখনো আমাদের সফল ঘটনাগুলো বহির্বিশ্বে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। আমরা আমাদের সাফল্যের কথা বৈঠকে তুলে ধরব।’ ড. মোমেন বলেন, তিনি আইনের শাসন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের মামলায় দ-াদেশপ্রাপ্ত আসামী রাশেদ চৌধুরীকে হস্তান্তরের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করবেন। রাশেদ চৌধুরী এখন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি শান্তিপ্রিয় দেশ এবং এজন্য ঢাকা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনতে কম আগ্রহী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা গত অংশীদারিত্ব আলোচনাকালে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেয়া জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন এগ্রিমেন্ট (জিএসওএমআইএ)’র খসড়াটি পরীক্ষা করে দেখছে।ওয়াশিংটন চায় ঢাকা যেন দুটি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এ দুটি হলো- জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন এগ্রিমেন্ট (জিএসওএমআইএ) এবং অ্যাকুইজিশন ক্রস সার্ভিসিং এগ্রিমেন্ট (এসিএসএ), যেগুলো দু’দেশের মধ্যে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আরো বেশি কিছু করার প্রবেশদ্বার। ঢাকা ওয়াশিংটনের সাথে বহুমুখী বাণিজ্য বিস্তৃত করতে চায়, উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, খাদ্য নিরাপত্তা, নীল অর্থনীতি, নবায়নযোগ্য জ্বালানী ও প্রযুক্তি হস্তান্তরে সম্পৃক্ত থাকতে চায়- যা জনকল্যাণের সাথে সম্পর্কিত। বাংলাদেশ তার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রেকে আমন্ত্রণ জানাবে।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি এ বৈঠককালে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের ব্যাপারেও আলোচনা করবেন।এদিকে, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দুই মন্ত্রীর বৈঠক ছাড়াও একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও নৈশভোজ রাখা হয়েছে। ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় দূতাবাসের চ্যান্সেরি ভবনে এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে।  

post
বিনোদন

খ্যাতিমান আবৃত্তিকার হাসান আরিফ আর নেই

খ্যাতিমান আবৃত্তিকার ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার বেলা ২টার দিকে রাজধানীর শ্যামলীর স্পেশালাইজড হাসপাতালে তিনি মারা যান।দীর্ঘদিন ধরে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। হাসান আরিফ দীর্ঘদিন ফুসফুসের রোগে ভুগছিলেন। করোনায় আক্রান্ত হলে গত বেশ কয়েক মাস ধরে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। শনিবার সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত হাসান আরিফের মরদেহ শহীদ মিনারে রাখা হবে। বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে তার জানাজা হবে।

post
বাংলাদেশ

৭ মার্চের ভাষণ যুগ যুগ ধরে মানুষকে প্রেরণা দিয়ে যাবে: প্রধানমন্ত্রী

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতিকে যুগে যুগে প্রেরণা দিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সোমবার (৭ মার্চ) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন তিনি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনের জন্য এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে ভাষণ বাঙালি জাতিকে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল। একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে একটি জাতি উদ্বুদ্ধ হয়েছিল সশস্ত্র গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার এবং স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার। এই ভাষণের মধ্য দিয়ে একদিকে আমরা পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটি হওয়ার পর দীর্ঘ ২৩টি বছর যে শোষণ বঞ্চনার শিকার হয়েছিল বাঙালি জাতি যে অত্যাচার নিপীড়ন সহ্য করেছিল, নিজের অধিকারে কথা বলতে গিয়ে গুলি খেয়ে জীবন দিয়েছিল, সেই কথাগুলি তিনি ব্যক্ত করেছেন। একইসঙ্গে ঠিক ওই মুহূর্তে কী কী করণীয়, সেই নির্দেশনাও জাতিকে তিনি দিয়েছিলেন। অর্থ্যাৎ অসহযোগের যে আন্দোলনের ডাক দেন বাংলাদেশের মানুষ তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিল।’১৫ আগস্টের পর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২১ বছর এই বাঙালি জাতি স্বাধীনতার বিকৃত ইতিহাস শুনেছে। আর ২১ বছর ধরে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লাখো শহিদের রক্ত দান, আমাদের সংগ্রাম সবকিছু ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আজকে এটা প্রমাণিত সত্য যে সত্যকে কেউ কখনো মুছে ফেলতে পারে না। আর ৭ মার্চের ভাষণেই তো জাতির পিতা বলে গেছেন, কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। তাই বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারে নাই।’সব বাধা পেরিয়ে ৭ মার্চের ভাষণ এখন বিশ্ব প্রামাণ্য দলিলে স্থান করে নিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে স্বাধীনতার জন্য যত ভাষণ দেওয়া হয়েছে, তার কোনোটাই কিন্তু পুনরাবৃত্তি হয়নি কখনো। যেদিনের ভাষণ সেদিনেই এটা শেষ হয়েছে। কিন্তু এই ভাষণটা আজকের আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছর। এই ৫০ বছর পর্যন্ত কিন্তু এই ভাষণটা বারবার আমাদের প্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে। কেউ হিসাব করে বের করতে পারবে না, কত ঘণ্টা কত মিনিট কত দিন এই ভাষণটা বাজানো হয়েছে। এটার হিসাব করাটাই হবে একটা কঠিন ব্যাপার। যুগ যুগ ধরে এটাকে আমরা শুনছি এবং বাজানো হচ্ছে।’সরকারপ্রধান বলেন, ‘যতই বাধা দেয়া হয়েছে, ততই যেন এই ভাষণটা আরও উদ্ভাসিত হয়েছে। এখনো এই ভাষণ আমাদেরকে অনুপ্রেরণা দেয়। যে ভাষণের প্রতিটি লাইনই হচ্ছে এক একটা যেন কবিতার অংশ। যা মানুষের ভিতরে, অন্তরে একটা অন্য অনুভূতি নিয়ে এসে দেয়, প্রেরণা দেয়।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা যখন যুদ্ধ করেছে, এই ভাষণটাই ছিল তাদের প্রেরণা এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে এটা নিয়মিত এই লাইন বাজানো হতো। জাতির পিতা তার ভাষণ শেষ করেছেন জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে। বাঙালির জয়, বাংলাদেশের জয়, বাংলার মানুষের জয়।’ এই জয় বাংলা স্লোগানটা প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধা যখনই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, শত্রুকে আঘাত করতে গেছে, এই জয় বাংলা স্লোগান দিয়েই তারা ঝাঁপিয়ে পড়েছে বলেও অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখনই ভাষণ দিতে যাবেন তখন অনেক রাজনৈতিক দল, অনেক ছাত্রনেতা পরামর্শ দিতে থাকে যে, কী করা উচিত। কয়েকটা ছাত্রনেতা তো বলেছিলেন যে আজ সরাসরি তো স্বাধীনতার ঘোষণা দিতেই হবে। না হলে তো মানুষ হতাশ হয়ে যাবে এমনটাও বলেছিল। আমাদের কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী অনেকে অনেক পয়েন্ট লিখে দিয়ে গেছেন। অনেকেই পরামর্শ দিয়ে গেছেন। আমাদের বাসাটা তখন উন্মুক্ত ছিল। সকলের জন্য খোলা ছিল।’তিনি বলেন, ‘আমার আব্বাকে আমার মা একটা কথাই বলেছিলেন, সারাটা জীবন তুমি সংগ্রাম করেছে এদেশের মানুষের জন্য। তুমি জানো এদেশের মানুষের জন্য কোনটা ভালো। তোমার মনে যেটা আসবে তুমি ঠিক সেটাই বলবা। তোমার কারো কথা শোনার প্রয়োজন নাই। আজ আপনারা যে ভাষণটা দেখেন তার (বঙ্গবন্ধুর) কাছে কিন্তু কোন কাগজ নাই, কিছু নাই। তিনি একাধারে বঞ্চনার ইতিহাস পড়ে যাচ্ছেন।’সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর।

post
যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কে সাংবাদিক সমাবেশে বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্প শোনালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউইয়র্কে গণমাধ্যম কর্মীদের এক সমাবেশে বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্প শোনালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বিচক্ষণতাপূর্ণ নেতৃত্বে গোটা বাঙালি জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ বলেই উন্নয়ন-অগ্রগতির ইচ্ছাও অপূর্ণ থাকছে না। ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়-যদি সে ইচ্ছাটি নিষ্ঠা আর আন্তরিকতায় প্রস্ফুটিত থাকে। তা এখন দৃশ্যমান হচ্ছে গোটা দেশে। ‘জিরো থেকে হিরো’-তে পরিণত হয়েছে এক সময়ের ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হিসেবে খ্যাত বাংলাদেশ। এমন একটি দেশে জন্মগ্রহণ করার মধ্যেই সৌভাগ্য রয়েছে।অদম্য গতিতে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের প্রসঙ্গ উপস্থাপনকালে সিলেটের সন্তান ড. এ কে এ মোমেন বলেন, আমার নানার বাড়ি হচ্ছে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার সৈয়দপুর গ্রামে। সিলেট শহরের চাঁদনী ঘাট থেকে শীতকালে ঘোড়া অথবা গাধা কিংবা হাতির পিঠে চড়ে এবং অন্য সময়ে নৌকায় নানা বাড়ি যেতে ২৮ ঘণ্টা লাগতো। এজন্যে যখন শেয়ান (তরুণ) হয়েছি তখন আর নানা বাড়ি যেতে চাইতাম না। সর্বশেষ সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে অর্থাৎ ১৯৭৪ সালে প্রেসিডেন্ট (আমার সম্পর্কে নানীর স্বামী) সিলেট থেকে হেলিকপ্টারে যান নানা বাড়িতে। তার সঙ্গী হয়েছিলাম। এরপর নানাবিধ কারণে দেশ ত্যাগে বাধ্য হই এবং দীর্ঘ ৩৩ বছরের মত প্রবাসে অতিবাহিত করেছি। ২০১৫ সালে স্থায়ীভাবে দেশে ফেরার পর নভেম্বরে নানা বাড়িতে রওয়ানা দেই সিলেট শহরের নিজ বাড়ি থেকে। গাড়িতে উঠে মাত্র ৪৫ মিনিটে নানা বাড়ির গেইটে পৌঁছেছি। অর্থাৎ ২৮ ঘণ্টার পথ অতিক্রম করি ৪৫ মিনিটে। এটাই বাংলাদেশ। এভাবেই সর্বক্ষেত্রে অবিশ্বাস্য রকমের উন্নতি ঘটেছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের বিস্ময়। করোনাকালেও প্রবৃদ্ধির হার সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এসব কল্প-কাহিনী নয়-বাস্তব। তাই প্রবাসের সাংবাদিকগণের কাছে অনুরোধ বর্তমান বাংলাদেশকেও যথাযথভাবে উপস্থাপন করুন। প্রবাস প্রজন্মকে বাংলা ভাষা আর সংস্কৃতি তথা প্রাকৃত্রিক সৌন্দর্যে ভরপুর বাংলাদেশ মুখী করুন। তবে টিভিতে এমন কোন ফুটেজ প্রচার করা উচিত নয়-যা কোমলমতি সন্তানদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার ঘটায়। যুক্তরাষ্ট্রে পেশাজীবী সাংবাদিকদের সংগঠন ‘আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব’ (এবিপিসি)’র ২০২২-২০২৪ মেয়াদের নয়া কার্যকরী কমিটির অভিষেক উপলক্ষে ২৭ ফেব্রুয়ারি রবিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির উডসাইডে গুলশান টেরেস মিলনায়তনে বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ড. মোমেন। এবিপিসির বিদায়ী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কণ্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায়, পেনসিলভেনিয়া স্টেটের মিলবোর্ন সিটির মেয়র (প্রথম বাংলাদেশী আমেরিকান) মাহবুবুল আলম তৈয়ব, কাউন্সিলম্যান মোশারফ হোসেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মনোয়ার হোসেন, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের প্রেস মিনিস্টার এ জেড এম সাজ্জাদ হোসেন, চ্যানেল আই’র পরিচালক জহিরুদ্দিন মাহমুদ মামুন, ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার এ্যাট লার্জ এটর্নী মঈন চৌধুরী, কবি ও কলামিস্ট ফকির ইলিয়াস, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, কুইন্স বরো প্রেসিডেন্টের ডেলিগেট ফাহাদ সোলায়মান, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি আব্দুল কাদের মিয়া, জেবিবিএর প্রেসিডেন্ট মাহাবুবুর রহমান টুকু, এবিপিসির নির্বাচন কমিশনার পপি চৌধুরী, এবিপিসির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম এবং নয়া প্রেসিডেন্ট রাশেদ আহমেদ। বক্তারা এবিপিসির অভিষিক্ত কর্মকর্তাগণকে শুভেচ্ছা জানান এবং দেশ ও প্রবাসের ইতিবাচক ইমেজ উপস্থাপনে সাংবাদিকতা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান। অনুষ্ঠানের শেষে সঙ্গীত পরিবেশন করেন কণ্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায় এবং শহীদ হাসান, ড. তনিমা হাদী, শাহ মাহবুব, সবিতা দাস। শুরুতে দেশের গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করেন অনুপ দাস ড্যান্স একাডেমির শিল্পীরা। অতিথিগণকে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা জানায় ছোট্টমনি আলভি খান, স্নেহা খান, আলিশা খান প্রমুখ। সাদিয়া খন্দকারের সাবলিল উপস্থাপনায় ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়ে বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানে অভিষিক্তরা হলেন সভাপতি-রাশেদ আহমেদ, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট-তপন চৌধরী, সাধারণ সম্পাদক-মো. আবুল কাশেম, যুগ্ম সম্পাদক-শাহ ফারুক, কোষাধ্যক্ষ-জামান তপন, সাংগঠনিক সম্পাদক-আজিমউদ্দিন অভি, প্রচার সম্পাদক-শহিদুল্লাহ কায়সার এবং নির্বাহী সদস্যরা হলেন কানু দত্ত, আলিম খান আকাশ, রাজুব ভৌমিক, প্রতাপচন্দ্র শীল এবং লাবলু আনসার। 

post
যুক্তরাষ্ট্র

গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও উন্নয়নে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে, নিউইয়র্কে এলজিআরডিমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্র সফরে এসে একটি সংবর্ধনা সভায় যোগ দিয়ে বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রতিদ্বন্ধীতাপূর্ণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার গঠিত হলেই তা হবে গণতন্ত্রের সঠিক চর্চা। বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন সকলের কাছেই চোখে পড়ার মতো, এবং দেশের প্রতিটি মানুষের মানবাধিকার সুরক্ষাকে সরকার সবচেয়ে গুরুত্বের সাথে দেখছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী। গত সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্কের গুলশান টেরাসে এখানকার বৃহত্তর লাকসাম ফাউন্ডেশন ইউএসএ-র পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশি আমেরিকান আইটি উদ্যোক্তা আইগ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর প্রকৌশলী আবুবকর হানিপ। মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, "শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশন আর সরকার মিলে সুষ্ঠ একটি র্নিবাচন দেয়া সম্ভব নয়। তার জন্য নির্বাচনে বিএনপিসহ সব দলের অংশগ্রহণ প্রয়োজন।" একটি প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠিত হলে সেটি হবে গণতন্ত্রের সঠিক চর্চা, এমনটাই মত দেন মন্ত্রী। সকলের কাছে গঠণমূলক সমালোচনার আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকারের যে কোন ভুল নেই তা নয়, তার জন্য গঠনমূলক সমালোচনা অবশ্যই প্রয়োজন আছে। তবে নির্বাচনে অংশ না নিয়ে সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে শুধূ বিতর্ক করলে তাতে দেশ এগুতে পারবে না বরং পিছিয়ে যাবে। তিনি বলেন, বিতর্ক করলে দেশেরই ক্ষতি হবে। আমরা জাতিকে দ্বিধাবিভক্ত করতেই পারবো। তার বেশি কিছু নয়। শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকলে সরকারের ভুলত্রুটি ধরা যাবে না, এমন মত দিয়ে মন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরলে দেখা যাবে অসংখ্য অর্জন সরকারের রয়েছে। কিন্ত তাই বলে কি ব্যর্থতা নেই? সমালোচকরাই সে ভুল আমাদের ধরিয়ে দিতে পারবেন। মানবাধিকারের কথা বলা হয়। আমাদের কিছু সমস্যা রয়েছে সে কথা স্বীকার করে নিয়েই বলছি, এ সমস্যাগুলো সমাধানের কাজ চলছে এবং একটি সময়ের ব্যবধানে তা কেটে যাবে এবং বাংলাদেশ মানবাধিকারের প্রেক্ষাপটে উত্তরোত্তর উন্নতি করবে। গণতন্ত্র বিশ্বের দেশে দেশে ভিন্নভাবে চর্চিত হয়, এমন মত দিয়ে মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে আড়াই শ' বছরের, ব্রিটেনের পাঁচশ' বছরের পুরোনো ইতিহাস রয়েছে, তার তুলনায় ৫০ বছরের বাংলাদেশ, যার একুশ বছরই কেটেছে সামরিক শাসনের অধীনে আর সে কারণে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক চর্চাকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের গণতন্ত্রের সঙ্গে তুলনা করা যাবে না। তিনি বলেন, এই যুক্তরাষ্ট্রে কৃতদাস প্রথার বিলুপ্তির সিদ্ধান্তে যুদ্ধ হয়, হাজার হাজার মানুষ প্রাণ দেয়, আর তারই ধারাবাহিকতায় প্রাণ দিতে হয় প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনকেও। সেই তুলনায় বাংলাদেশ তার মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার পথে খুব বেশি পিছিয়ে নেই বলেও মত দেন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, সময়ের ব্যবধানেই সকল কিছু প্রতিষ্ঠিত হবে। পৃথিবীর বুকে একটি সম্মানিত জাতি হিসেবেই টিকে থাকবে বাংলাদেশ। প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। বাংলাদেশ তার সঠিক পথেই এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশে পরিণত হয়েছে। দেশের মানুষের আর্থিক সক্ষমতা অনেক বেড়েছে বলেও তার বক্তৃতায় উল্লেখ করেন এলজিআরডি মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ভার্জিনিয়াস্থ আইগ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও পিপল এন টেকের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ বলেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাতরত প্রতিষ্ঠিত যে সব বাংলাদেশি রয়েছেন তারা অনেকেই এখন এদেশের মূলধারায় সংযুক্ত হয়ে এদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারছেন। তিনি বলেন, আমরা যদি নিজেদের জায়গা থেকে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেই, তাহলে দেশের নাম উজ্জ্বল করার মত অনেক সুযোগ তৈরি হবে। আইগ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশিদের বৃত্তি নিয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে এমনটা্ উল্লেখ করে আবুবকর হানিপ বলেন, এর মধ্য দিয়ে দেশের শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও এগিয়ে যেতে পারবে। তারা দক্ষতা-ভিত্তিক শিক্ষা নিয়ে এখানকার মূলধারায় যুক্ত হয়ে কাজ করার সুযোগ পাবে। বিশ্বের বড় বড় আইটি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ে একসময়ে বাংলাদেশিদের দেখা যাবে, এমন প্রত্যাশার কথাই জানান আবুবকর হানিপ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বৃহত্তর লাকসাম ফাউন্ডেশন ইউএসএর’র সভাপতি মশিউর রহমান মজুমদার। ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ইউছূফ মজুমদার। লাকসামকে জেলা হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ নিতে মন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান মশিউর রহমান।

post
বিশেষ প্রতিবেদন

এনআরবিসিকে দেয়া ভাষাসৈনিক শামসুল হুদার বিশেষ সাক্ষাতকার

ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে গৌরবময় অবদান রাখেন ভাষাসৈনিক লায়ন শামসুল হুদা। বর্তমানে তিনি বসবাস করছেন নিউইয়র্ক স্টেট এর বাফেলো সিটিতে। ভাষাসৈনিক শামসুল হুদা ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫২ সালের চরম মূহূর্ত এবং তৎপরবর্তী পর্যায়ে ১৯৫৬ সালে বাংলা অন্যতম রাষ্ট্র ভাষার মর্যাদা লাভ ও আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক বিজয় অর্জন পর্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের চরম মূহুর্তে ১৪৪ ধারা অমান্য করে সালাম বরকত জব্বারদের সাথে মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। চোখের সামনে ভাষার জন্য শহীদ হতে দেখেছেন রফিককে। সেদিন প্রাণে বেচে গেলেও মিছিল থেকে গ্রেফতার হয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে দীর্ঘদিন কারাবরণ করেন ভাষা সৈনিক শামসুল হুদা। ছাত্র রাজনীতি ও ভাষা আন্দোলনে অসামান্য অবদান রাখায় একুশে পদকসহ এ যাবত ১০০ টিরও অধিক সম্মাননা পদক, স্মৃতি পদক ও পুরষ্কার লাভ করেছেন তিনি। লেখক হিসেবেও শামসুল হুদার রয়েছে এক উজ্জল পরিচিতি। বাংলা ও ইংরেজী লেখায় সমান দক্ষ শামসুল হুদার এই উভয় ভাষাতেই রয়েছে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। ১৯৩২ সালের ১লা ডিসেম্বর ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার অন্তর্গত চর চান্দিয়া গ্রামে এক সম্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এ ভাষাসৈনিক। 

post
বাংলাদেশ

বাংলাদেশে ৫০ মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

দেশের ৫০ উপজেলায় দৃষ্টিনন্দন ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে একযোগে আধুনিক ও সুসজ্জিত এই মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পের আওতায় সারাদেশের ৫৬০ মসজিদ নির্মাণ করার প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথম দফার ৬০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রংপুর, সিলেট ও খুলনায় ভার্চুয়ালী সংযুক্ত ছিলেন এই প্রকল্পের অন্যতম পরিকল্পক সরকার প্রধান শেখ হাসিনা। এই মসজিদগুলোতে ১৩টি বিশেষ সুবিধার মধ্যে মসজিদে হজ্জ যাত্রীদের প্রশিক্ষণসহ পবিত্র হজ্ব পালনের জন্য ডিজিটাল নিবন্ধনের ব্যবস্থা বিশেষ উল্লেখযোগ্য। প্রকল্প পরিচালক নজিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, সারাদেশের ৩০টি জেলার ৫০টি উপজেলা সদরে আমরা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করেছি। চলতি অর্থবছরে আরও ১০০টি মসজিদ নির্মাণ শেষ হবে। তিনি বলেন, এ ক্যাটাগরিতে জেলা ও মহানগর পর্যায়ে ৬৯টি, বি ক্যাটাগরিতে উপজেলা সদরে ৪৭৫টি ও সি ক্যাটাগরিতে উপকূলীয় এলাকায় ১৬টিসহ মোট ৫৬০ মডেল মসজিদ প্রকল্প চলমান। নজিবুর রহমান জানান, এর মাধ্যমে বিশ্বের ইতিহাসে নজির স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একযোগে বিশ্বমানের এতগুলো অবকাঠামো স্থাপনের নজির আছে বলে আমার জানা নেই। এসব মডেল মসজিদে নারী ও পুরুষদের পৃথক ওজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, প্রতিবন্ধি মুসল্লীদের টয়লেটসহ নামাজের পৃথক ব্যবস্থা, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, ইমাম ট্রেনিং সেন্টার, ইসলামিক গবেষণা ও দ্বীনি দাওয়া কার্যক্রম, পবিত্র কুরআন হেফজখানা, শিশু ও গণশিক্ষায় ব্যবস্থা, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আবাসন ও অতিথিশালা, মরদেহ গোসল ও কফিন বহনের ব্যবস্থা, ইমামের প্রশিক্ষণ, ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা কর্মচারীদের অফিসের ব্যবস্থা রয়েছে। এসব মসজিদ থেকে আরও যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে- ইসলামি নানা বিষয়সহ প্রতি বছর ১ লাখ ৬৮ হাজার শিশুর প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা। ২ হাজার ২৪০ জন দেশি-বিদেশি অতিথির আবাসন ব্যবস্থাও গড়ে তোলা হবে প্রকল্পের আওতায়। উপকূলীয় এলাকায় মসজিদগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে নীচতলা ফাঁকা থাকবে। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত দৃষ্টিনন্দন এ সকল মসজিদগুলো নির্মাণে জেলা সদর ও সিটি করপোরেশন এলাকায় নির্মানাধীন প্রতিটি মসজিদে একসাথে ১২০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবে। উপজেলা ও উপকূলীয় এলাকার মডেল মসজিদে একত্রে ৯০০ মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে। এসব মসজিদে সারাদেশে মসজিদে প্রতিদিন ৪ লাখ ৯৪ হাজার ২০০ জন পুরুষ ও ৩১ হাজার ৪০০ জন নারী একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবে। লাইব্রেরি সুবিধার আওতায় প্রতিদিন ৩৪ হাজার পাঠক একসঙ্গে কোরআন ও ইসলামিক বই পড়তে পারবেন। ইসলামিক বিষয়ে গবেষণার সুযোগ থাকবে ৬ হাজার ৮শ জনের। ৫৬ হাজার মুসল্লি সবসময় দোয়া মোনাজাতসহ তাসবিহ পড়তে পারবেন। যে ৫০টি উপজেলায় মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হবে সেগুলো হলো— ঢাকার সাভার, ফরিদপুরে মধুখালী, সালথায়, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া ও কুলিয়ারচর, মানিকগঞ্জের শিবালয়, রাজবাড়ী সদর, শরীয়তপুর সদর ও গোসাইরহাট, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, শেরপুর ও কাহালু, নওগাঁর সাপাহার ও পোরশা, সিরাজগঞ্জ জেলা সদর ও উপজেলা সদর, পাবনার চাটমোহর, রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও পবা, দিনাজপুরের খানসামা ও বিরল, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ ও উপজেলা সদর, রংপুর জেলা সদর, মিঠাপুকুর, উপজেলা সদর, পীরগঞ্জ, বদরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর, নোয়াখালীর সুবর্ণচর, ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও তারাকান্দা, চট্টগ্রাম জেলা সদর, লোহাগড়া, মিরসরাই ও সন্দ্বীপ, জামালপুরের ইসলামপুর ও উপজেলা সদর উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর ও বিজয়নগরে, ভোলা সদর, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, কুমিল্লার দাউদকান্দি, খাগড়াছড়ির পানছড়ি, কুষ্টিয়া সদর, খুলনার জেলা সদর, চাঁদপুরের কচুয়া, ঝালকাঠির রাজাপুর এবং চুয়াডাঙ্গা সদর।

post
বাংলাদেশ

বেঁচে থাকলে উৎসব পরেও করা যাবেঃ প্রধানমন্ত্রী

করোনা মহামারীর এই সময়ে ঝুঁকি নিয়ে ঈদ উদযাপন করতে বাড়ি না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জীবনকে সুরক্ষিত রেখে পরে উৎসব করতে এ সময় সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।সেই সাথে ঈদ উপলক্ষে ছোটাছুটি না করে, যে যেখানে আছেন, সেখানেই তাদের ঈদ উদযাপন করতে বলেন সরকার প্রধান। গণভবণ থেকে ভার্চুয়ালি চারটি মেরিন অ্যাকাডেমি, পায়রা বন্দরে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০০ পরিবারকে নতুন বাড়ি প্রদান এবং ড্রেজারসহ শতাধিক নৌযান উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে সুরক্ষিত থাকার আহ্বান জানান তিনি। এ সময় নৌপথকে আরও কার্যকর করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী কবলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে ১০ হাজার কিলোমিটার নদী ড্রেজিং করা হবে। নদী খনন, পানি সংরক্ষণ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও বাঁধ নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিশেষ পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে সরকার প্রধান আরো বলেন, পর ছোট বড় সব নদী, খাল, ডোবা, জলাধারে পানি সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং এ ব্যাপারে আরো কাজ চলছে।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.