post
খেলা

আনুষ্ঠানকিভাবে নেইমার এখন আল হিলালের; ব্রাজিলিয়ান তারকা মনে করেন, তার ক্লাব এশিয়ার সেরা

অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালের সঙ্গে চুক্তি সেরে ফেললেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবল স্টার নেইমার। তার যোগদানের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্ট দিয়ে নিশ্চিত করেছে তার ক্লাব। ক্লাবের টুইটারে পোস্ট করা ভিডিওতে নেইমার বলেন, ‘আমি সৌদি আরবে আছি। আমি আল হিলালি।’ নেইমার জানান, তার লক্ষ্য হলো ফুটবলের নতুন এক ইতিহাস লেখা। সাবেক এই পিএসজি তারকা মনে করেন সৌদি প্রো লিগে এখন দুর্দান্ত উদ্যম এবং বিশ্বের তারকা অনেক ফুটবলার এখানে আছেন , সামনে আসবেন। নেইমার আরও বলেন, ‘আল হিলাল অনেক বড় ক্লাব, তাদের দুর্দান্ত সমর্থক রয়েছে এবং এশিয়ার মধ্যে এটা সেরা ক্লাব। আমার মনে হচ্ছে আমি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সঠিক ক্লাবকেই বেছে নিয়েছি। আমি জিততে এবং গোল করতে ভালোবাসি। সৌদি আরবে আল হিলালের হয়েও সেটা অব্যাহত রাখতে চাই। নেইমার চলে আসায় মন খারাপের এক বিবৃতি দিয়েছেন পিএসজির সভাপতি নাসের আল খেলাইফি। সেখানে তিনি বলেছেন, 'নেইমারের মতো বিশ্বনন্দিত একজন ফুটবলারকে হারানো এবং বিদায় বলা খুব কঠিন কাজ। সে বিশ্বসেরাদের একজন। আমাদের দারুণ কিছু মুহূর্ত আছে এবং নেইমার সবসময় আমাদের ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে।’ ২০১৭ সালে রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরোতে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেন নেইমার। বারবার চোটে পড়েন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। তবে অর্জনের হিসেব বেশ ভালো। ১৭৩ ম্যাচে করেছেন ১১৮ গোল। জিতেছেন পাঁচটি লিগ ওয়ান এবং তিন ফ্রেঞ্চ কাপের শিরোপা। ২০২০ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পিএসজি না হারলে ক্লাবের হয়ে ইতিহাসও গড়া হয়ে যেতো নেইমারের।

post
খেলা

মেসি ম্যাজিকে প্রথমবারের মতো লিগস কাপের ফাইনালে ইন্টার মিয়ামি

আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি যুক্তরাষ্ট্রের সকার লিগ এলএমএসের দল ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেবার পর থেকে দারুণ ফর্মে আছে দলটি। জিততে ভুলে যাওয়া দলটি ম্যাচের পর ম্যাচ জিতেই চলছে। নিজের ফুটবল জাদুতে গোটা যুক্তরাষ্ট্রকে আবিষ্ট করে রেখেছেন লিওনেল মেসি। ১৩ আগষ্ট মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তিনি যে দেখালন তা ফুটবল বিশ্ব মনে রাখবে অনেক অনেক দিন। এদিন পেনসিলভ্যানিয়ার সুবারু পার্কে লিগস কাপের সেমি-ফাইনালের ম্যাচে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নকে ৪-১ গোলের হারিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে মেসির মিয়ামি। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলবে তারা। মেসি ছয় ম্যাচে নয় গোল করে রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি দলকে নিয়ে গেছেন লিগ কাপের ফাইনালে। মিয়ামিতে মেসি যোগ দেওয়ার পর দলটি ছয়টি ম্যাচে ২১টি গোল করেছে। ম্যাচের প্রথম গোলটি অবশ্য এসেছিল হোসেফ মার্টিনেজের পা থেকে। মেসি ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ২০ মিনিটে। মিয়ামির জার্সিতে নবম গোলটি মেসি করেছেন ৩০ মিটার দূর থেকে মাটি কামড়ানো এক শটে। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে মিয়ামির হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন জর্ডি আলবা। প্রথমার্ধেই ৩ গোলে পিছিয়ে পড়া ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নের পক্ষে ঘুরে দাড়ানো সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে ১টি গোল করে ব্যবধান কমায় তারা। ৮৪ মিনিটে মিয়ামির হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন দাভিদ রুইজ।  ১৯ আগষ্ট শনিবার প্রথম শিরোপা জয়ের স্বপ্ন নিয়ে ন্যাশভিলের বিপক্ষে খেলতে নামবে অপ্রতিরোধ্য মেসির দল। ফুটবল বিশ্ব দেখার অপেক্ষায় আছে ইন্টার মিয়ামীর প্রথম শিরোপা মেসির হাতে উঠে কিনা। 

post
প্রযুক্তি

এক মাসের ব্যবধানে ব্যবহারকারী হারাতে শুরু করেছে থ্রেডস!

লোগো পরিবর্তন হলেও মাইক্রোব্লগিং বাজার দখল করে রেখেছে টুইটার। টুইটারকে টক্কর দেওয়ার জন্য মেটা প্রধান মার্ক জুকারবার্গ জুলাইয়ের শুরুতে থ্রেডস অ্যাপ চালু করেন। প্রথমদিকে বিশ্ব জুড়ে দৈনিক নতুন ব্যবহারকারীর হিসেবে টুইটারকে ভালোই টক্কর দিয়েছিল এই নতুন অ্যাপ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, যাত্রা শুরুর একমাসের মধ্যেই থ্রেডসের ব্যবহারকারীর সংখ্যায় ব্যাপক ধস নেমেছে। প্রথম ৩০ দিনেই প্রায় ৭৯ শতাংশ ব্যবহারকারী হারিয়েছে থ্রেডস।সিমিলারওয়েবের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ জুলাই এই থ্রেডস অ্যাপের দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ ৪৯.৩ মিলিয়ন। সেখানে ঠিক একমাসের ব্যবধানে ৭ আগস্টে ওই অ্যাপে সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১০.৩ মিলিয়নে। আবার ৭ জুলাইয়ের হিসাবে বিশ্ব জুড়ে থ্রেডস অ্যাপের সক্রিয় ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন গড়ে ১৪ মিনিট সময় ওই অ্যাপে ব্যয় করতো। শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই থ্রেডস ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন গড়ে ২১ মিনিট সময় ওই অ্যাপে ব্যয় করত। সাম্প্রতিক রিপোর্টে সেই সময়টা কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩ মিনিটে।প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, টুইটারের দৈনিক ব্যবহারকারীর সংখ্যার কাছে থ্রেডসের ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় কিছুই নয়। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে টুইটারের দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০০ মিলিয়নেরও বেশি। যারা টুইটারে প্রতিদিন গড়ে ২৫ মিনিট সময় কাটান। আনুষ্ঠানিক যাত্রার সময় প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা এই অ্যাপকে ‘টুইটার কিলার’ হিসেবে অভিহিত করছিল। উন্মুক্ত হওয়ার ৪ ঘণ্টার মধ্যে ৫০ লাখ ব্যবহারকারী এতে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। মার্ক জুকারবার্গ বলেছিলেন, ‘এটি বড় হতে সময় নেবে। কিন্তু আমি মনে করি ১০০ কোটি ব্যবহারকারী সমৃদ্ধ একটি কথোপকথন অ্যাপস থাকা উচিত। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও টুইটার এটি করতে পারেনি। তবে আশা করি আমরা পারব।’

post
এনআরবি বিশ্ব

সাড়ে সাত হাজার মাইল দূরে , তবু হৃদয় জুড়ে বাংলাদেশ!

লেখক: ফারহানা হানিপআর আট দশটা সাধারন মেয়ের মত বেড়ে ওঠা আমার। অস্তিত্ত্বের মাঝে একাত্তর একটা আলাদা জায়গা নিয়ে ছিল আমার চিরদিন। আমাকে ছোটবেলায় সবাই ফারহা নামে ডাকতো। ফারহা থেকে ফারহানা হানিপ, এতগুলো বছরের পথচলা আমাকে একদিনের জন্যও দেশ কিংবা দেশের মাটি থেকে আলাদা করতে পারেনি। বরং প্রতিটি মুহূর্তে আমি অনুভব করেছি মাটি, মা আর একাত্তরকে। আমার কাছে বাঙালীয়ানা শব্দটার পূর্নতা বঙ্গবন্ধুর বজ্রকন্ঠের ৭ই মার্চের ভাষনে আর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটা একটুকরো বাংলাদেশ। আমি সবসময় চাইতাম আমার সন্তান যেন ঠিক আমার মত করেই দেশ, মাটি, একাত্তর, বঙ্গবন্ধুকে আপন করে নেয় হৃদয়ের অন্ত:স্তলে।লেখালেখি আমি তেমন একটা করিনা। সারাদিন কাজের ব্যস্ততায় আর সংসার সামলে ঠিক হয়েও ওঠেনা। কিন্তু মার্চ মাস এলেই কেমন জানি লাগতে থাকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা হয়েছিল এই মার্চ মাসেই। দেশাত্মবোধক গানগুলো শুনে আজও আমার রোমকূপ দাঁড়িয়ে যায়। ‘৭১ এ আমার জন্ম হয় নি, কিন্তু বাবা-মার কাছে অনেক শুনেছি সেই উত্তাল দিনগুলোর কথা। অনেকের মতই জীবন সংগ্রামে আজ বসতি গড়েছি বিদেশের মাটিতে, কিন্তু শিকড়টা ঠিকই পড়ে আছে আমার মাতৃভূমি, বাংলাদেশে।তাই দেশকে নিয়ে কিছু লেখার সুযোগ পেয়ে লোভ সামলাতে পারলাম না। আমার তিন মেয়ে। নাফিসা, প্রিয়েতা আর ইলাফ। ছোট মেয়েটা তখন খুবই ছোট। গত বছর গ্রীষ্মের ছুটিতে মেয়েদের নিয়ে গিয়েছিলাম বাংলাদেশে বেড়াতে। উদ্দেশ্য ছিল পরিবারের সাথে ঈদ করা আর বিদেশে যে জিনিসটা খুব মিস করি; মেয়েদের সাথে বাংলাদেশের ইতিহাস আর সংস্কৃতির সংযোগ তৈরি করে দেয়া। মাত্র কয়েক সপ্তাহর ছুটি। কিন্তু শত ব্যস্ততার মধ্যেও এবার চেয়েছিলাম মেয়েদেরকে কিছু হলেও ঢাকা শহর ঘুরিয়ে দেখাব। লিস্ট করলাম কোথায় কোথায় যাওয়া যায়; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্মৃতি জাদুঘর, লালবাগের কেল্লা, আহসান মঞ্জিল ইত্যাদি ইত্যাদি।ঢাকায়পৌঁছানোর পরই নানা কাজের ব্যাস্ততায় দেখতে দেখতে সময়টা শেষ হয়ে এলো! কিন্তু এবার না হলেই নয়... দিনটি ছিল আগস্ট মাসের ১৫ তারিখ। জাতীয় শোক দিবস আবার সরকারি ছুটির দিনও। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডে সপরিবারে প্রাণ হারান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান। ভাবছিলাম আজকের দিনটায় কি করা যায়। দেখতে দেখতে চলে যাবার সময় হয়ে গেলো, আর কিছুদিন পরেই আমেরিকায় ফিরতে হবে। ভাবলাম সময় নষ্ট না করে আজকের এই বিশেষ দিনটিকে স্মরণ করে রাখার জন্য সবচেয়ে ভাল হবে যদি ওদেরকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্মৃতি জাদুঘরটা ঘুরে আসা যায়। ওরাও জানলো মাতৃভূমি জন্মের ইতিহাস। কয়েকজন বন্ধুদেরকে ফোন দিলাম কিন্তু কাওকেই পেলাম না, সবাই পরিবার নিয়ে কোথাও না কোথাও ছুটি কাটাতে গিয়েছে। অতঃপর আমাদের যাত্রা ধানমণ্ডি৩২ নং এর ঐতিহাসিক বাড়ি। ড্রাইভার বেশ অবাক হয়ে বলল, আপা আজ তো সব বন্ধ- শপিং মল, দোকানপাট সব বন্ধ। আমি বললাম ধানমণ্ডি ৩২এ চল। গাড়িতে আমি, দুই মেয়ে আর আমার ভাগ্নে লিংকন। ঘুরতে বের হয়ে প্রথমে বাচ্চাদের আগ্রহ যমুনা ফিউচার পার্ক বা হাতিরঝিল ফ্লাইওভারে থাকলেও পরের ঘটনা ছিল একেবারে ভিন্নরকম!কথা বলতে বলতে কখন যে গাড়ি পৌঁছে গেলো টেরই পাইনি। যদিও ধানমণ্ডি এলাকায় বেশ ট্রাফিক এ পড়তে হয়েছিল। কয়েক বছরে আশেপাশের পরিবেশ অনেক বদলে গেছে। ধানমন্ডির লেক সার্কাসে৩২ নম্বর রোডেই সেই স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটি। এখানেই স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি তাঁর জীবনের শেষদিন পর্যন্ত সপরিবারে ছিলেন। এই বাড়ি থেকেই পাকিস্তানী সৈন্যরা তাকে অসংখ্যবার গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তিনি এখান থেকেই দেশ পরিচালনার কাজ করতেন। বাড়ির প্রতিটি জায়গায় বঙ্গবন্ধুর সেই সময়ের সব চিহ্নগুলোকে সেভাবেই রেখে দেয়া হয়েছে।১৯৯৪ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁদের ধানমণ্ডি ৩২ এর এই বাড়িটি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে ট্রাস্ট তাঁর স্মৃতি ধরে রাখার জন্য সেটাকে জাদুঘরে রূপান্তর করে আর সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয় ১৯৯৭ সালে। গেটে ঢুকতেই সিকিউরিটি চেকিং। ব্যাগ, মোবাইল, ক্যামেরা সব রেখে ঢুকতে হয়। মেয়েরা ছোট, তাই ক্যামেরা সাথে নেয়ার জন্য খুব বায়না ধরল, কিন্তু ওদেরকে না বললাম। বাসার নিচতলায় বঙ্গবন্ধুর অফিস রুম। গুলির আঘাতে সব ঝাঁঝরা হয়ে গেছে। সব ঠিক সেভাবে সংরক্ষণ করা আছে। এছাড়া তার বিভিন্ন সময়ের স্মৃতিবিজড়িত ছবি দিয়ে জাদুঘরটি সাজানো হয়েছে। জাদুঘরটিতে গাইডের ব্যাবস্থাও আছে যিনি জাদুঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে এর ইতিহাসও বর্ণনা করলেন আমাদের কাছে। আমি বুঝতে পারলাম মেয়েরা তখন আগ্রহ পাচ্ছে। ওদের জন্য বাংলা, আর ইংরেজিতে বুঝিয়ে দিতে হচ্ছিল। কিন্তু ওদেরকে আমাদের দেশের ইতিহাস পড়ে শোনাতে আমার খুব ভাল লাগছিল। দোতলায় বঙ্গবন্ধুর বেডরুম। এতো বড় মাপের একজন মানুষ, কিন্তু তাঁর কী সাধারণ আটপৌরে জীবন। কোন বিলাসিতা নেই! বাড়ির ভেতরটা ছিল খুবই শান্ত, বিশেষ দিন হওয়াতে লোকজনের বেশ ভিড় ছিল। তবু আমি ওদেরকে পুরো বাড়ির সবগুলো ঘর ঘুরে দেখালাম। হায়নাদের গুলির আঘাতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল চারপাশের সব দেয়ালগুলো। সেই গুলিতে একতলার সিঁড়িতে লুটিয়ে পড়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। পাশেই পড়ে থাকা তাঁর ভাঙা চশমা ও পছন্দের তামাকের পাইপটি আজও একিভাবে রাখা আছে। রিসেপশান, বেডরুমের সামনে, সিঁড়িতে, বাথরুমে সব জায়গায় নারকীয় পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে সপরিবারে হত্যা করে খুনিরা। বাচ্চারা প্রতিটি জিনিস খুব মনোযোগ দিয়ে দেখছিল, শুনছিল আর কাগজে নোট করছিল। একটা সময়ে হঠাত খেয়াল করলাম, বড় মেয়েটা খুব ইমোশনাল হয়ে পড়েছে। আমি বুঝতে পারলাম, কিন্তু কিছু বললাম না। সবশেষে গেলাম শেখ রাসেলের রুম এ। তার সেই ব্যবহৃত খেলনা বাই সাইকেল সব ওভাবেই পড়ে আছে। তখন নাফিসা আর চোখের পানি আটকে রাখতে পারল না। আমাকে জরিয়ে ধরে হাঁটছে, ছবি আর জিনিসের কাপশান পড়ছে আর তার চোখ দিয়ে পানি পড়েই যাচ্ছে। ঘুরতে ঘুরতে আমরা চলে গেলাম বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলের রুমের পাশের ছাঁদে। কেন জানি না, এমন এক মুহূর্তে বাইরে ঝির ঝির করে বৃষ্টি পড়ছিল। মনের অবস্থা আর পুরো পরিবেশের সাথে একদম মানিয়ে গিয়েছিল বৃষ্টিটা। অচেনা বাতাস আর একটা দীর্ঘশ্বাস। লিওন তখন আমাকে বলল, ফুপ্পি, আমার স্কুল এখানেই। আমরা এখানে আসে পাশে অনেক আসি। কিন্তু এই জাদুঘরে আগে আসা হয়নি। সত্যি, এখানে এসে আমাদের দেশ নিয়ে অনেক কিছু জানলাম। থ্যাঙ্ক ইউ।বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি। আমার সন্তানদের জানাতে চাই ওদের মাতৃভূমি সম্পর্কে, কিভাবে জন্ম হল, কিভাবে স্বাধীন হল, কাদের অবদানের জন্য আমরা আজ বাংলায় কথা বলতে পাড়ি, আমার দেশের ইতিহাস অবশ্যই জানা উচিত। মার্চ মাস আমাদের স্বাধীনতার মাস। ৯ মাস সংগ্রাম, আন্দোলন এবং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পরিচালিত সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগে আমরা যে স্বাধীন দেশ পেয়েছি, মাতৃভূমি এবং মাতৃভাষার জন্য এই আত্মত্যাগের উদাহরণ ইতিহাসে বিরল। আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনকরে বলতে চাই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন আমদের দেশ নিয়ে ভাবে, দেশের ইতিহাস জানে, দেশের জন্য কাজ করে। তাহলেই তারা খুশি হবেন। গ্রীষ্মের ঐ ছুটিতে মেয়েদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে যাওয়া ছিল আমাদের জন্য সত্যিই সেরা সিদ্ধান্ত ও অভিজ্ঞতা। - ফারহানা হানিপ, ওয়াশিংটন প্রবাসী।

post
বিনোদন

বিয়ে করলেন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ

বিয়ে করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। ১৪ আগষ্ট সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী। স্বামীর শেখ রেজওয়ান থাকেন দেশের বাইরে। তবে তিনি কি করেন, সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি এখনো। ফেইসবুকে দেয়া স্বামীর সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখেছেন, 'সাড়ে আট বছরের সম্পর্কের পর ১১ আগস্ট আমরা অফিসিয়ালি একত্রে হবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।' অভিনেত্রী নিজের স্বামীর উদ্দেশ্যে লিখেছেন, “আমরা কলেজে পড়ার সময় প্রেমে পড়েছিলাম। প্রথম ক্যামেরার সামনে আসার আগে তুমি ছিলে আমার জন্য ছায়ার মতো'। আমার কাজের সাথে সম্পৃক্ত না হওয়া সত্ত্বেও সর্বদা আমাকে অনুপ্রাণিত করে এবং আমাকে সমর্থন জুগিয়েছো। আমাদের কিশোর প্রেম অবশেষে প্রাপ্য সমাপ্তি পেয়েছে। এটা এখনও অবাস্তব মনে হয় যে আমি এমন স্বামী পেয়েছি। আমার মনে হয় আমি বেঁচে থাকা সবচেয়ে ভাগ্যবান মেয়ে। আমাকে বিয়ে করার জন্য ধন্যবাদ। আমি তোমাকে ভালবাসি এবং আমি তোমাকে আমার বাকি জীবন লালন করব।” অভিনেত্রী আরো জানিয়েছেন, ঘনিষ্ঠ পরিবার পরিবেষ্টিত একটি অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে তাদের আকদ হয়েছে।তার স্বামী বর্তমানে বিদেশে কর্মরত রয়েছেন। তিনি আবার দেশে ফিরে এলে ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সহকর্মীদের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে উদযাপন করবেন এই জুটি।

post
খেলা

নেইমার এখন আল হিলালের

জল্পনাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হতে চললো। ইউরোপ ছেড়ে যাচ্ছেন আরেক বিশ্বসেরা তারকা নেইমার। পিএসজি ছেড়ে এই ব্রাজিলিয়ান তারকা নাম লেখাতে যাচ্ছেন সৌদি ক্লাব আল হিলালে। ক্লাবটির সঙ্গে এরই মধ্যে নেইমার দুই বছরের চুক্তি সই করে ফেলেছেন বলে জানিয়েছে ফ্রান্সের বিখ্যাত দৈনিক এল ইকুইপে। ফ্রান্সের পত্রিকাটি জানিয়েছে, বছরপ্রতি নেইমারের পারিশ্রমিক হবে ১৬০ মিলিয়ন ইউরো। টাকার হিসেবে যা দাড়ায় প্রায় ১ হাজার ৯২৭ কোটি টাকা। দুই বছরে অঙ্কটা দাঁড়াবে ৩১০ মিলিয়ন ইউরো। জানা গেছে, নেইমারকে বিক্রির ব্যাপারে এরই মধ্যে আল হিলালের প্রস্তাব গ্রহণ করে নিয়েছে পিএসজি। সৌদি ক্লাবে যাওয়ার ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেতও দিয়েছেন নেইমার। দলবদল নিয়ে নির্ভরযোগ্য ইতালিয়ান সংবাদকর্মী ফ্যাব্রিজিও রোমানো টুইটে জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত আল হিলালে চুক্তি করবেন নেইমার। সৌদিতে যাবেন ব্রাজিল তারকা এবং আজই স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার কথা। আল হিলালে ১০ নম্বর জার্সি পরবেন নেইমার। এই সপ্তাহের শেষে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে আল হিলালের খেলোয়াড় হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হতে পারে। সুতরাং, খুব শিগগির সৌদি প্রো লিগে নেইমারকে খেলতে দেখলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। আল হিলাল ক্লাবও শেষ পর্যন্ত বড় কোনো ফুটবলারকে দলে নিতে সক্ষম হচ্ছে। প্রথমে তারা চেষ্টা করেছিল লিওনেল মেসির ব্যাপারে। বছরপ্রতি ৩০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছিল তাকে। দুই বছরের চুক্তির বিষয়ে আল হিলালের সঙ্গে প্রায় একমতও হয়ে গিয়েছিলেন মেসি। তবে শেষ মুহূর্তে মত পরিবর্তন করে তিনি যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতে। এরপর আল হিলাল চেষ্টা করে কিলিয়ান এমবাপেকে দলে নিতে। পিএসজি রাজিও ছিল তাকে বিক্রি করার ব্যাপারে। কিন্তু এমবাপে যেতে রাজি হননি। তিনি আল হিলাল কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখাই করেননি। শেষ পর্যন্ত নেইমারের দিকে হাত বাড়িয়ে সফল হলো আল হিলাল। ব্রাজিলিয়ান এই তারকাকে দলে নিয়ে এবার নিজেদের লিগে শক্তিশালী একটা অবস্থানে পৌঁছাতে পেরেছে আল হিলাল। ২০১৭ সালে বার্সেলোনা থেকে ২২২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে পিএসজিতে যোগ দেন নেইমার। সে থেকে ট্রান্সফার মার্কেটে এখনও পর্যন্ত নেইমারই সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়। সে থেকে গত ৬টি মৌসুম পিএসজিতে কাটিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। ক্লাবের হয়ে গত মার্চ থেকেই মাঠের বাইরে রয়েছেন তিনি। যে কারণে পিএসজিও চাচ্ছে তাকে ছেড়ে দিতে। নেইমারও চান পিএসজি ছেড়ে যেতে। আল হিলালে গিয়ে কালিদু কৌলিবালি, রুবেন নেভেস এবং সাবেক বার্সা উইঙ্গার ম্যালকমের সঙ্গে একত্রিত হবেন ৩১ বছর বয়সী নেইমার।

post
খেলা

এশিয়া ও বিশ্বকাপে সাকিবই অধিনায়ক

জল্পনা-কল্পনা শেষ। আসন্ন এশিয়া কাপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য সাকিব আল হাসানকেই অধিনায়কের দায়িত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এটি নিশ্চিত করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এর আগে গত বছর টি-টোয়েন্টি ও টেস্টেও অধিনায়কত্ব পান সাকিব। সবমিলিয়ে তিন ফরম্যাটেই টাইগারদের অধিনায়ক এখন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। গত ৩রা আগস্ট ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন তামিম ইকবাল। এরপর থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ছিল, এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবে কে? অবশেষে ৮ দিন পর উত্তর মিললো। এর মধ্যে একই প্রশ্নে কখনও সাকিব, কখনও বর্তমান সহ অধিনায়ক ও ৫টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়া লিটন কুমার দাস বা মেহেদী হাসান মিরাজের নামও শোনা গেছে। যদিও অভিজ্ঞতা, পারফর্মেন্স, গ্রহণযোগ্যতা, সবমিলিয়ে বাকিদের তুলনায় সাকিবই এগিয়ে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের হাতেই অধিনায়কত্বের গুরুদায়িত্ব দিলো দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যদিও তামিম অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর পরবর্তী অধিনায়ক হিসেবে সাকিবকেই ‘অবধারিত’ পছন্দ বলেছিলেন বিসিবি সভাপতি পাপন। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে সাকিবকে নেতৃত্বে পাওয়া যাবে কিনা সেটা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত সাকিবকেই বেছে নেয়া হলো। এ নিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব করবেন সাকিব। এর আগে ঘরের মাঠে ২০১১’র বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ২০১৫ সালে দুটি ও ২০১৭ সালে একটি ওয়ানডে ম্যাচে তিনি নেতৃত্ব দিলেও সেটা ছিল নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার অনুপস্থিতিতে। ২০০৯ সালে প্রথম ওয়ানডে অধিনায়কত্ব করেন সাকিব আল হাসান। মাশরাফি বিন মুর্তজার চোটে এই সিরিজে অধিনায়কত্ব পান তিনি। এখন পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত, খণ্ডকালীন সবমিলিয়ে ৫০ ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। যেখানে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ২৩ ম্যাচে আর হেরেছে ২৬ ম্যাচে। বাকি ১ ম্যাচ পরিত্যক্ত। অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের সাফল্যের হার ৪৬%। ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, এরপর ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব ছিল তার। সর্বশেষ ২০১৭ সালে এ সংস্করণে অধিনায়কত্ব করেছিলেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। অধিনায়ক হিসেবে ৫০ ম্যাচে সাকিবের পারফর্মেন্সও উজ্জ্বল। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারার দক্ষতা তাকে আলাদা করেছে বাকিদের থেকে। অধিনায়ক সাকিবের ৪৮ ইনিংসে ব্যাট হাতে রান ৩৫.৯৭ গড়ে ১৫৪৭, স্ট্রাইক রেট ৮৭.৩০। এ সময় এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সেঞ্চুরি করেছেন ৩টি আর ফিফটি ৯টি। বল হাতে ৪৯ ইনিংসে সাকিবের শিকার ৬৮ উইকেট। ইকোনোমি ৪.৩৩ আর ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছেন ৩ বার। সেরা বোলিং ফিগার ৩৩ রানে ৪ উইকেট।

post
আন্তর্জাতিক

ইসলামকে ‘মহান ধর্মের’ স্বীকৃতি দিতে মার্কিন কংগ্রেসে প্রস্তাব!

ইসলাম ধর্মকে মহান ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাষ্ট্রের আইন পরিষদের নিম্নকক্ষ কংগ্রেসে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। টেক্সাসের প্রতিনিধি আল গ্রিন এই প্রস্তাবটি দিয়েছেন। এতে সম্মতি জানিয়েছেন ইলহান ওমর, রাশিদা তাইয়িব এবং আন্দ্রে কারসন। দ্য ডন। কংগ্রেসে এমন সময় এ প্রস্তাব উত্থাপন করা হলো- যখন ইসলামকে বিশ্বব্যাপী নতুন করে আবারো উগ্র ধর্ম হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই প্রস্তাব গত কয়েক দিন ধরে পশ্চিমা বিশ্বে কুরআন অবমাননাসহ যেসব ইসলামবিরোধী কার্যক্রম হচ্ছে- সেগুলো বন্ধ হতে সহায়ক হবে। টেক্সাসের আইনপ্রণেতা গ্রিন কংগ্রেসে পাকিস্তান রাজনৈতিক সমিতিরও একজন সদস্য। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম দেশগুলোর শরণার্থীদের প্রবেশে নিষেধজ্ঞা দিতে চেয়েছিলেন। ট্রাম্পের এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন গ্রিন। এ ছাড়া ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামকে একটি উগ্র ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। এটির বিরোধিতাও করেছিলেন তিনি। গ্রিনের এই প্রস্তাবটি গত ২৮ জুলাই গ্রহণ করে কংগ্রেস। প্রস্তাবটির লক্ষ্য হলো আমেরিকান সমাজে ইসলামের মাহাত্ম্য তুলে ধরা। প্রস্তাবটি পরবর্তীতে হাউজ কমিটির ফরেন অ্যাফেয়ার্সে পাঠানো হয়। প্রস্তাবে ইসলাম ও মুসলিমদের সাধারণ রীতিনীতি, আচার-আচরণ তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া বলা হয়েছে ইসলামের অর্থ হলো ‘সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজেকে সমর্পণ করা’ এবং ‘শান্তি।’ এ ছাড়া প্রস্তাবে কুরআনকে ইসলামের প্রধান ধর্মগ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে মুসলিমরা এটিকে ঐশ্বরিক নির্দেশিকা হিসেবে বিবেচনা করেন। এ ছাড়া এ প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ইসলাম বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ এবং দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম। বিশ্বের ২০০ কোটি মানুষ ইসলাম ধর্ম পালন করেন এবং শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে তিন কোটি ৫০ লাখ মুসলিম বসবাস করেন।

post
বাংলাদেশ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের জায়গায় আসছে সাইবার নিরাপত্তা আইন!

অবশেষে বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আইনটির বেশকিছু ধারা সংশোধন করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ নামে নতুন একটি আইন করা হবে।৭ আগস্ট সোমবার সকালে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হচ্ছে না, পরিবর্তন করা হচ্ছে। এর অনেকগুলো ধারা সংশোধন করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ নামে নতুন একটি আইন করা হবে- মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ ও দমনে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মোট ৫টি ধারা বিলুপ্ত করে ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ পাস হয়। এর পর থেকেই এই আইন বাতিল ও সংশোধন চেয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে বিভিন্ন মহল। একই বছরের ৮ অক্টোবর থেকে আইনটি কার্যকর হয়। শুরু থেকেই আইনটির অপব্যবহারের জন্য ব্যাপকভাবে সমালোচনা হয়। গত ২৫ জুলাই সচিবালয়ে ইইউর বিশেষ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, জিডিটাল নিরাপত্তা আইনে সংশোধনী আসছে। বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অনেকগুলো ধারায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।লেখক, কবি, সাংবদিক, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন মহল দীর্ঘদিন ধরেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছেন। তাদের মতে আইনটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মুক্তচিন্তা প্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করে। সরকারের পক্ষ থেকে এর আগে বহুবার আইনটি সংশোধনের আশ্বাস দিলেও তা করা হয়নি। তবে গত ২৫ জুলাই আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরে এ সংশোধনী জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হবে।

post
আন্তর্জাতিক

খুলে গেলো সম্ভাবনার নতুন দুয়ার, ডব্লিউইউএসটির সামার কোয়ার্টারের ওরিয়েন্টেশন সম্পন্ন

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াস্থ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামার কোয়ার্টারে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন হয়ে গেলো ৬জুলাই বৃহস্পতিবার। যেখানে অংশ নেন দুইশোর মতো শিক্ষার্থী। বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশের ছাত্রছাত্রী এখন পড়াশোনা করছেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে। তাদের মধ্যে নতুন সিমেস্টারে যোগ দিয়েছেন দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। ১০জুলাই থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ২০২৩ এর সামার কোয়ার্টারের ক্লাস। ইনপার্সন ও অনলাইন মিলিয়ে হওয়া এবারের ওরিয়েন্টেশনে শিক্ষার্থীদের জন্য ছিলো নানা আয়োজন। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় র্কতৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের সামনে তুলে ধরেন ডব্লিউইউএসটির সার্বিক চিত্র। শিক্ষার্থীদের ধারনা দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান থেকে শুরু করে নানা সুযোগ সুবিধা ও নিয়ম নীতির বিষয়ে। ডব্লিউইউএসটির চ্যান্সেলর বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ শিক্ষার্থীদের প্রতি লেখাপড়ায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সফলভাবে পড়াশোনা শেষ করে শিক্ষার্থীরা যখন তাদের কর্মজগতে যোগ দেবে তখন তাদের সামনে খুলে যাবে অনেক বড় সম্ভাবনার দুয়ার। লক্ষ্যে পৌছাতে প্রত্যেককে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগুনোর পরামর্শ দিয়ে আবুবকর হানিপ বলেন, লেখাপড়ায় ভালো গ্রেডই তৈরি করতে পারে ভালো সম্ভাবনা।ডব্লিউইউএসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক বলেন, নতুন কোয়ার্টারে অনেক শিক্ষার্থী পরিবার পরিজন ছেড়ে বিদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো পড়তে এসেছে। নতুন জায়গা নতুন পরিবেশ অনেকের মানিয়ে নিতে কষ্ট হবে, কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে যেতে পারে, পরিবারকে মিস করবে, একেবারে নতুন সাবজেক্ট হওয়ায় বুঝতে কঠিন হবে, বিষয়গুলো ভাবনায় রয়েছে, বলেন ড. হাসান কারাবার্ক। তিনি আরও বলেন এখানে সম্ভাবনা অপরিসীম তবে তার জন্য প্রচণ্ড পরিশ্রম করতে হবে এবং অধ্যাবসায়ী হতে হবে। যোগাযোগ বাড়াতে হবে। ভবিষ্যতে যা খুব কাজে দিবে বলে প্রেসিডেন্ট পরামর্শ রাখেন। ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক রীতিপদ্ধতির উপর আলোচনা হয়। ডব্লিউইউএসটি কোন লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টে ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে পাশে থাকবে সে সব বিষয়ে আলোকপাত করে শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব এজেন্ডাগুলো সামনে নিয়ে আসেন ডব্লিউইউএসটির স্কুল অব বিজনেস এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মার্ক এল রবিনসন। শিক্ষার্থীদের সামনে তাদের পড়াশোনার নানা ধরন পরীক্ষার মান বন্টনের বিষয়গুলো বিস্তারিত তুলে ধরেন ড. অ্যাপোসটোলস।ডব্লিউইউএসটির এডমিশন ম্যানেজার কিমবারলি সিম্পসন, স্টুডেন্ট ভিসায় আসার পর একজন শিক্ষার্থীকে যে সব নিয়ম মানতে হয় সে বিষয়ে সম্যক ধারনা দেন। ভর্তি পদ্ধতি, বিষয় পরিবর্তন, লাইব্রেরি ও আইটি ল্যাবের ব্যবহার সম্পর্কে কথা বলেন তিনি। এই আয়োজনে আরও বক্তব্য রাখেন ডব্লিউইউএসটির মার্কেটিং ডিরেক্টর হোসে ওর্তেগা, স্টুডেন্ট সাকসেস এন্ড ক্যারিয়ার সার্ভিস ম্যানেজার রিচেল রোজ, আইটি ম্যানেজার কাজী বারী, স্টুডেন্ট গভর্নমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সেলিন ইয়েগিত। ওরিয়েন্টেশন শেষে ডব্লিউইউএসটির ক্যাম্পাস বিল্ডিংয়ের সামনে নতুন স্টুডেন্টদের সাথে গ্রুপ ফটোসেশন অংশ নেন চ্যান্সেলর, প্রেসিডেন্টসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্মকর্তা। আর মধ্যান্হ ভোজের মধ্য দিয়ে শেষ হয় সামার ওরিয়েন্টেশন। খাবার গ্রহনের সময় নতুন সহপাঠীরা একে অপরের সাথে পরিচয় পর্ব সেড়ে গল্পে মেতে উঠেন একেকজন। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০২১ সাল থেকে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপের ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি আমেরিকানের হাতে পরিচালিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে তথ্য-প্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি ও এমবিএ-বিবিএ কোর্সে বর্তমানে বিশ্বের ১২১ দেশের ১৫ শ'র বেশি শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.