post
আন্তর্জাতিক

মানবজাতির কল্যাণে সকল যুদ্ধ ও সংঘাতের পথ পরিহারের আহ্বান শেখ হাসিনার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা ৪২ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পৌঁছান। ১৬ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সাধারণ অধিবেশন শুরু হলেও মূল অধিবেশন শুরু হয় ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে। ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জাতিসংঘের সদর দপ্তরের জেনারেল অ্যাসেম্বলি হলে সপ্তদশ বারের মতো ইউএনজিএ অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং অন্যান্য বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিষয় তুলে ধরেন।এর আগে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও সাইড ইভেন্টে অংশ নেন। ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশ, কানাডা, গাম্বিয়া, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ‘তারা কি আমাদের ভুলে গেছে?’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের এক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের কাছে চারটি প্রস্তাব তুলে ধরেন। রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব বাস্তবায়নের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান তিনি। একই দিনে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া বৈঠক করেন। বৈঠকে বাংলাদেশে আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ, মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে কথা বলেন। এ ছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠককালে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে নানা অগ্রগতির তথ্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সামগ্রিক উন্নয়ন এবং ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যবিষয়ক জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য জাতিসংঘের কাছে পাঁচটি প্রস্তাব করেন তিনি। জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সততার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।সেইসঙ্গে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রতিনিধি ডাইনিং রুমে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ইউএনজিএ প্ল্যাটফর্ম অব উইমেন লিডারদের বার্ষিক সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি জাতিসংঘে নারী মহাসচিব নিয়োগের মাধ্যমে লিঙ্গ সমতা আনার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা দুঃখজনক যে, জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে এখন পর্যন্ত কোনো নারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। সময় এসেছে, আমরা শিগগিরই একজনকে পাব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধ ও সংঘাতের পথ পরিহার করে মানবজাতির কল্যাণ ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য সকলকে একযোগে কাজ করার জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। ২০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।প্রথম সাত দিন হয়েছে উচ্চপর্যায়ের বক্তৃতা, বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৯৩টি দেশের নেতারা এতে অংশগ্রহণ করেন। মূল অধিবেশনে ভাষণের বাইরে আরও অনেক বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধানদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে। যদিও এই সম্মেলনে জাতিসংঘের ৫টি প্রভাবশালী রাষ্ট্রের মধ্যে ৩টি দেশই অনুপস্থিত ছিল। সবার আগ্রহ ছিলো দেড় বছরের বেশি সময় ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবসান নিয়ে এবারে ৭৮ তম জাতিসংঘ অধিবেশনে কী আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়। যুদ্ধের এমন পরিস্থিতিতে এবার সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে উপস্থিত হয়ে জেলেনস্কি আবারও বিশ্বকে পাশে চাইলেন। বেশ কিছূ গুরুত্বপূর্ন বৈঠক ও কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে দশ দিনব্যাপী জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে চলে আসেন ২৩ সেপ্টেম্বর। তার আগে নিউইয়র্কে এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির ভাষণে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী ২৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করবেন এবং ৩ অক্টোবর পর্যন্ত লন্ডনে অবস্থান করবেন। ৪ অক্টোবর ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

post
আন্তর্জাতিক

কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবায় বৈশ্বিক সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

কমিউনিটিভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অর্জনের চাবিকাঠি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা বহুপাক্ষিক অর্থায়ন সংস্থাসহ উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি উন্নয়নশীল বিশ্বে কমিউনিটি-ক্লিনিক স্বাস্থ্য সেবায় তাদের সহায়তার হাত প্রসারিত করার আহ্বান জানাচ্ছি। ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে ইউএনজিএ’র ৭৮তম অধিবেশনের সাইডলাইনে ‘শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ অব কমিউনিটি ক্লিনিক: ইনোভেটিভ অ্যাপ্রোচ অ্যাচিভিং ইউনিভার্সেল হেলথ কভারেজ ইনক্লুসিভ অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড ডিজঅ্যাবিলিটি’ শীর্ষক উচ্চ-স্তরের সাইড-ইভেন্টের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন ও সর্বজনীন স্বাস্থ্যের বিষয়ে আমাদের সম্মিলিত কাজকে ত্বরান্বিত করার জন্য এই বছর শপথ নেওয়ার সময় আপনাদের উপস্থিতিতে উৎসাহিত বোধ করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘গ্লোবাল সাউথের উদীয়মান কণ্ঠস্বর হিসেবে হিসেবে বাংলাদেশ অর্থপূর্ণ আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের সম্ভাব্য উপায় হিসেবে ইস্যুটি চ্যাম্পিয়ন হবে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আগ্রহীদের সঙ্গে উপলব্ধি ও দক্ষতা বিনিময়ে প্রস্তুত আছে। সকল সুখের মূলে রয়েছে স্বাস্থ্য। আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চারদিকে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে চাই।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন ‘আমরা আশা করি যে, এই সাইড-ইভেন্ট স্বাস্থ্য ও আমাদের জনগণ ও কমিউনিটির কল্যাণে অভিন্ন অঙ্গীকারের আরেকটি নিদর্শন হয়ে থাকবে।’ শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘২০১৮ সালে পার্লামেন্ট কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ সাপোর্ট ট্রাস্ট অ্যাক্ট পাস হয়েছে। যাতে এর কার্যক্রম ও ফান্ডিং পদ্ধতি আরও সহজ করা যায়।’ স্বাস্থ্যসেবা তৃণমূলে পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য প্রধানমন্ত্রী পাঁচটি অগ্রাধিকারের কথা ভাবেন। অবশিষ্ট দুটি হলো- মানসিক স্বাস্থ্য ও স্নায়ুবিক ব্যাধির জন্য স্ক্রিনিং ও চিকিৎসা সেবা উন্নত করা, যাতে আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারকে সেবা দেওয়া যায়। এ ছাড়া একটি শক্তিশালী ডাটা-চালিত স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কার্যক্রমের জন্য প্রাথমিক বিল্ডিং ব্লক হিসেবে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো ব্যবহার করা যায়। এ সময় ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বিষয়ভিত্তিক রাষ্ট্রদূত সায়মা ওয়াজেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. এ কে আবদুল মোমেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সিনিয়র পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।

post
এনআরবি লাইফ

ডিএমভির প্রবাসী বাঙ্গালীদের সুরের তালে মাতিয়ে গেলেন ইমরান-কনা ও মিতালী মুখার্জী

ডিএমভির প্রবাসী বাংলাদেশীদের আরও একটি চমৎকার লাইভ কনসার্ট উপহার দিলো একাত্তর ফাউন্ডেশন। সূরের ঝলকে যেখানে দর্শকদের বিমোহিত করেছেন বাংলাদেশ জনপ্রিয় সঙ্গীত শিলাপী ইমরান ও কনা আর দুই বাংলা জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী মিতালী মুখাজী। সেই সাথে মঞ্চ মাতিয়েছেন স্থানীয় শিল্পিরাও। ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্স হাই স্কুলের থিয়েটার বসেছিলো এই লাইভ কনসার্ট অনুষ্ঠান। বুষ্টির কারণে কিছুটা দেড়ি করে শুরু হলেও ভার্জিনিয়ায় প্রথমবারের মতো ইমরান-কনার পারফরম্যান্স দেখতে অডিটোরিযাম প্রায় পূর্ণ ছিলো দর্শকে। দর্শক সাড়িতে এদিন উপস্থিত ছিলেন পিপলএনটেকের প্রেসিডেন্ট ও ডব্লিউইউএসটির সিএফএ ফারহানা হানিপ। আয়োজক একাত্তর ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শুরুতে দর্শকদের স্বাগত জানান পারভীন পাটোযারী ও কবির পাটোয়ারী। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠে অনুষ্ঠানের। এরপরই শুরু হয় লাইভ কনর্সার্ট। পারফর্ম করেন ওয়াশিংটন-ডিসি-মেরিল্যান্ড-ভার্জিনিয়ার প্রবাসী বাংলাদেশী শিল্পীরা। চমৎকার পারফরম্যান্স করেন শোয়েব রহমান, রকস্টার জনি, মাহিন সুজন ও রিয়েলিটি শো আরটিভির ইয়ংস্টার অর্ণব। এরপর মঞ্চে এসে, সূরের মূর্ছনা ছড়িয় দেন 'এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই' খ্যাত শিল্পী মিতালী মুখার্জী। দুই বাংলার জনপ্রিয় এই শিল্পী একে একে গেয়ে শোনান তার কালজয়ী গান 'কেন আশা বেধে রাখি, জীবন নামের রেলগাড়িটা, আমার চন্দনা মরে গেছে কবে। এরপর পারফর্ম করতে আসেন এ প্রজন্মের জনপ্রিয় শিল্পী কনা। তিনি একে একে গেয়েছেন ধিম তানা বাজে ধিম তানা, ডানা কাটা পরি, রেশমী চুরীসহ আরও কিছু জনপ্রিয় গান। এরপরই মঞ্চে প্রবেশ করেন বাংলাদেশের বর্তমান সময়ে হার্টথ্রুব প্লে-ব্যাক সিঙ্গার ও কম্পোজার ইমরান মাহমুদুল। মুহুর্তের মধ্যেই মাতিয়ে তুলেন দর্শকদের। 'তুই কি আমার হবি রে' শুরু করতেই চেয়ার ছেড়ে দর্শকরা মঞ্চের সামনে জড়ো হতে থাকেন। ইমরানের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান 'বলতে গিয়ে মনে হয়' দর্শকেরা তার সঙ্গে গেয়েছেন গলা ছেড়ে চিৎকার করে। সেই থেকে শুরু অনুষ্ঠানের বাকিটা সময় দর্শকরা গেয়েছেন তার সাথে সাথে। অসাধারণ গায়কির সাথে মঞ্চ মাতাতে জুড়ি নেই ইমরানের। তার এই বিশেষণের সাক্ষী হলেন এদিন ভার্জিনিয়ার দর্শকেরা। ইমরানকে দারুন এক সারপ্রাইজ দিয়েছেন আয়োজক পারভীন পাটোয়ারী। প্রথম বারের মতো ভাইয়ের সাথে পারফর্ম করতে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানান, ইমরানের বড় বোন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী রোখসানা পারভীনকে। দুই ভাইবোন মিলে গেয়েছেন 'ও আমার বন্ধু গো, চির সাথী পথ চলার' গানটি। ইমনার-কনার ডুয়েটের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দর্শক মাতানো এই লাইভ কনসার্ট। রিয়েলটর লিটু চৌথুরীর সৌজন্যে একাত্তর ফাইন্ডেশনের পক্ষ থেকে মিতালী মুখার্জী ইমরান ও কনা এই তিন শিল্পীর হাতে তুলে দেয়া হয় বিশেষ সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড। থিয়েটার হলের বাইরেও বসেছিলো বেশ কিছু খাবারের ও কাপড়ের দোকান। কেনাকাটা আর নানা পদের মজাদার খাবার খেয়ে পুরো অনুষ্ঠান দারুন উপভোগ করেছেন দর্শকরা। অনুষ্ঠান শেষে দর্শকদের হাসিমুখ দেখে খুশি পারফরমার থেকে আয়োজক সকলে। জনপ্রিয় শিল্পীদের লাইভ কনসার্ট, দেশীয় এতিহ্যবাহী খাবার, কেনাকাটা, আড্ডা সব মিলিয়ে দারুন একটি ছুটির দিন কাটালো ভার্জিনা, মেরিল্যান্ড ও ডিসিবাসী।

post
টেক মেন্টর

পাঁচ শতাধিক পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট ওরিয়েন্টেশন

কারিগরি ও কর্ম উপযোগী শিক্ষায় দেশের শিল্প উন্নয়নের জন্য কারিগরি জ্ঞানে শিক্ষিত ও অভিজ্ঞ কর্মী তৈরিতে বাংলাদেশের স্বনামধন্য আইটি প্রতিষ্ঠান পিপলএনটেক চালু করেছে পলিটেকনিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট।শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল পাঁচ টায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অডিটোরিয়ামে সারাদেশ থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীদের ইন্ডাস্ট্রি স্কিল ফর গ্লোবাল ক্যারিয়ার এন্ড ওরিয়েন্টেশন অফ পলিটেকনিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্টের এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে পিপলএনটেক ইনস্টিটিউট অফ আইটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশনের সদস্য ড. প্রফেসর সাজ্জাদ হোসাইন।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড.সাজ্জাদ হোসেন বলেন, 'একটি দেশকে সমৃদ্ধ করতে হলে পলিটেকনিক শিক্ষার বিকল্প নেই। পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো 'হ্যান্ডস অন ট্রেইন' অর্থাৎ হাতে কলমে শিক্ষা। পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা কখনো বেকার থাকেনা। তিনি বলেন, 'পিপলএনটেক একটি পরিবার, পরিবারের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে, কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। চাকরীর পিছনে ঘুরতে হবে না, বরং চাকরিই তোমাদের পেছনে ঘুরবে। শুধু প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম। আমাদের দেশে কমিউনিকেশন স্কিল খুব কম, তোমাদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে, ভাষায় দক্ষ ব্যক্তির চাকরির অভাব হয়না, নিজেও চাকরি দিতে পারবে তবে তাকে নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে।'তিনি বলেন, 'আমরা জাতি হিসাবে গর্বিত, আমরা একটি পরিবার, আমরা কোন দেশের ক্ষতি করিনা,আমরা উন্নত জাতি, আমরা গবেষক জাতি,আমরা শিক্ষায় ও উন্নত, আমাদের শিক্ষা মানবিকতার শিক্ষা দেয়, আমাদের শিক্ষা মানুষ তৈরি করার সাথে সাথে মেশিন তৈরি করেনা, মেশিনের সাথে সাথে আমরা মানবিকতার শিক্ষা দেই।'পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, 'নিজেকে গড়ে তুলতে কোন বৈষম্য নেই। যেটি প্রয়োজন সেটি হলো দক্ষতা। নিজের দক্ষতা দিয়ে নিজেকে তৈরি করতে হবে, এই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন আগমী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করতে হবে। সেই স্মার্ট বাংলাদেশ আমাদেরই তৈরি করতে হবে।'এসময় তিনি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পেছনে পিপলএনটেক প্রতিষ্ঠাতা আবু বকর হানিপের সাথে কাটানো শৈশবের স্মৃতিচারণ করেন।অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পিপলএনটেক প্রতিষ্ঠাতা ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপ বলেন, সাধারণত ইউনিভার্সিটি গুলোতে একাডেমিক বিষয়ে পড়াশোনা করানো হয়, কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে গেলে ইন্ডাস্ট্রি জ্ঞান দরকার হয়, দক্ষতার দরকার হয়, অভিজ্ঞতার দরকার হয়, সেটা যেহেতু ইউভার্সিটিগুলোতে শেখানো হয় না সেজন্য পরবর্তীতে আমাদের চাকরী পেতে সমস্যা হয়।তিনি বলেন, 'আমাদের আইটি প্রতিষ্ঠান পিপলএনটেকে প্রায় ৬৭ টি কোর্স রয়েছে, প্রতিটি কোর্সেই ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হবে কিন্তু পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের জন্য এসব কোর্সগুলোতে খরচ হবে সাত থেকে আট হাজার টাকা কারণ এটা আমরা শুধুমাত্র পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের জন্য ছাড় দিয়েছি যাতে করে তারা দক্ষ হয়ে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে পারে এবং পরবর্তীতে দেশের সেবা করতে পারে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ বলেন, আগামী তিন মাস তোমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ যদি তোমরা আগামী তিন মাস কঠোর পরিশ্রম করো এবং পিপলএনটেক থেকে এই কোর্সগুলো সম্পূর্ণ করতে পারো তাহলে তোমরা অবশ্যই সফল হতে পারবে। তিনি বলেন, আমরা একইভাবে প্রায় দশ হাজার বাংলাদেশিকে আমেরিকার মেইনস্ট্রিমে চাকরি দিতে পেরেছি। যারা সাধারণত প্রতিবছর ৫০ হাজার ডলার আয় করতে পারত, তারা এখন পিপলএনটেক থেকে ট্রেনিং করে আমেরিকার মেইন স্ট্রিমে চাকরি করছে এবং তারা এখন প্রতিবছর ১৫০ হাজার ডলার আয় করছে । এ সময় চ্যান্সেলর হানিপ যুক্তরাষ্ট্রে তার বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কেও পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের জানান।তিনি জানান ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজি প্রতিটি ফ্যাকাল্টি মেম্বারের প্রায় চার থেকে ত্রিশ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে।তিনি বলেন, মূলত ইন্ডাস্ট্রিতে যা দরকার সেটা আমরা ক্লাসরুমে নিয়ে এসেছি যার ফলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হচ্ছে এবং আমেরিকার বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি থেকে আমাদের ইউনিভার্সিটিতে এসে ভর্তি হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সফলতা এবং আমাদের ভার্সিটি থেকে বের হয়ে তারা আমেরিকার মেইনস্ট্রিমে জব করছে।আগত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, "চেষ্টা করলে তুমি যেখানে যেতে চাও সেখানেই যেতে পারবে। তিনি বলেন এই বিশ্বায়নের যুগে পৃথিবীর যে কোন জায়গা থেকে তুমি যেকোনো দেশে কাজ করতে পারবে সেজন্য তোমাকে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।'অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর সদস্য ও টেকনোগ্রামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম আহমেদুল ইসলাম বাবু, পিপলএনটেক পরিচালক সাথী বেগম ও পিপলএনটেকের এডভাইজার আবুল হোসেন মিয়া, পিপলএনটেকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাশরুল হোসাইন খান লিওন, চীফ অপারেটিং অফিসার আব্দুল হামিদসহ প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

post
আন্তর্জাতিক

আত্মবিশ্বাস থাকলে বিবৃতি ভিক্ষা করে বেড়াতেন না: ড. ইউনূসকে প্রধানমন্ত্রী

মঙ্গলবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, "অপরাধ করেননি, আত্মবিশ্বাস থাকলে ড. ইউনূস আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিবৃতি ভিক্ষা করে বেড়াতেন না।" সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন। প্রধামন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয় শতাধিক নোবেল বিজয়ীসহ বিশ্বের ১৬০ জন বিশিষ্ট নেতা খোলা চিঠিতে যে ড. ইউনূসের বিচার স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছেন সে বিষয়টিকে তিনি কোন গুরুত্ব দিচ্ছেন কিনা। তার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের বিচারব্যবস্থা স্বাধীন এবং চলমান মামলার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোন ক্ষমতা তার নেই। তিনি আরও বলেন, ড. ইউনূসের পক্ষে বিবৃতি না দিয়ে বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ  পাঠানো হোক, তারা সব খতিয়ে দেখুক।ড. ইউনূসের মামলা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, মামলা তো তার দল বা সরকার করেনি। কর ফাঁকির জন্য মামলা করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), যদি কেউ কর ফাঁকি দেয় তাকে তো কর দিতে হবে। আর তিনি তো ফাঁকি দেওয়া কর দিচ্ছেনও। বিশ্বনেতাদের পাঠানো চিঠিতে আরেকটি বিষয় ছিলো বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়। সেই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারে সেটাই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। বিগত কয়েকটি নির্বাচনে জনগণ ভালো পরিবেশে ভোট দিয়েছে, আগামীতেও ভালোভাবে ভোট দিতে পারবে। জনগণ যাকে ভোট দেবে তারাই ক্ষমতায় আসবে, এটাই বিশ্বাস করি।"পাঁচ দেশের জোট ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। শুরুতে প্রধানমন্ত্রী লিখিত বক্তব্য পড়েন। এরপর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব।

post
ক্যাম্পাস লাইফ

ডব্লিউইউএসটির ক্যাম্পাস ঘুরে গেলেন দুই বাংলায় জনপ্রিয় তরুণ রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী স্বপ্নীল সজীব

ওয়াশিংটন ইউনির্ভাসিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ক্যাম্পাস ঘুরে গেলেন দুই বাংলায় জনপ্রিয় তরুণ রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী স্বপ্নীল সজীব। সোমবার দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াস্থ ডব্লিউইউএসটির ক্যাম্পাসে আসেন তিনি। দেখা করেন চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ এবং সিএফও ফারহানা হানিপের সাথে। তাদের সাথে কুশল বিনিময়সহ নানাবিধ বিষয়ে আলাপচারিতায় অংশ নেন। পরে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ক্লাসরুম, আইটি ল্যাব, লাইব্রেরিসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন। এসময় তার সাথে ছিলেন চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। শিল্পীর হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্যুভিনিয়র তুলে দেন ডব্লিউইউএসটির চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ, প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক ও প্রধান অর্থকর্মকতা ফারহানা হানিপ। আলাপচারিতায় স্বপ্নীল সজীব জানান, একজন প্রথম বাংলাদেশি-আমেরিকান হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ যুক্তরাষ্ট্রে মাটিতে যেভাবে একটি পূর্নাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছেন তার জন্য প্রতিটি বাঙ্গালীর মতো তিনিও গর্বিত। তিনি আরও বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবাধে অনেক বাংলাদেশী মেধাবী ছাত্রছাত্রীর ভাগ্য বদলে যাবে, হাজার মানুষের স্বপ্ন পূরণ হবে। সেই ছাত্রছাত্রীরা একসময় তাদের জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেবেন প্রিয় বাংলাদেশে। এসময় ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ বলেন, সম্প্রতি ভার্জিনিয়ায় হয়ে যাওয়া স্বপ্নীল সজীবের একক সংগীত সন্ধ্যা তিনি দারুন উপভোগ করেছেন। মুগ্ধ হয়েছেন তার গানে ও গায়কীতে। গানের মাধ্যমে মানুষকে নির্মল বিনোদন দেয়াটাও এক ধরণের মানবসেবা, বলেন আবুবকর হানিপ। স্বপ্নীল যেন এভাবে আনন্দ বিলিয়ে যেতে পারেন তার জন্য শুভ কামান জানান। সিএফও ফারহানা হানিপ জানান, স্বপ্নীল সজীব তার প্রিয় রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী। তাদের আলাপচারিতায় বাংলা সংগীতের নানা দিক নিয়ে উঠে আসে। বাংলাদেশের জনপ্রিয় রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী স্বপ্নীল সজীব। রবীন্দ্র সংগীতের প্রচারণায় ঘুরে বেড়ান দেশ বিদেশ। তরুণ কণ্ঠশিল্পী বর্তমানে রবীন্দ্রসংগীতের পাশাপাশি সব ধরনের গান গেয়ে শ্রোতা দর্শককে মুগ্ধ করে চলেছেন। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও স্বপ্নীল সজীব গান গেয়ে বাংলাদেশি শ্রোতা দর্শককে মুগ্ধ করছেন প্রতিনিয়ত।  বেশ কিছু অনুষ্ঠানে গাইতে গত দুই মাসের মতো সময় ধরে ছুটে বেড়াচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে। কিছুদিন পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের লসএঞ্জেলেস শহর কর্তৃক বছরের সেরা রবীন্দ্র শিল্পী মর্যাদাপূর্ণ সার্টিফিকেট অব এক্সিলেন্স -এ ভূষিত হয়েছেন সজীব। সার্টিফিকেট তুলে দেন সিটি কাউন্সিলের সভাপতি পল কুকরিন। গত দেড় মাসে পারফর্ম করেছেন বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে। আরও বেশ কিছু প্রোগরামে তার গাইবার কথা রয়েছে। যেমন ১ লা সেপ্টেম্বর ডালাস ফোবানার তিন দিন ব্যাপী সম্মেলনে পারফর্ম করবেন তিনি। তারপর উড়ে যাবেন আটলান্টায়। সেখানেও রয়েছে পরপর দুটি অনুষ্ঠান। তারপর ভার্জিনিয়ায় আবারও ফিরে আসবে ৯ সেপ্টেম্বর একাত্তর ফাউন্ডেশনের আয়োজনে একটি অনুষ্ঠানে গাইতে। বাংলাদেশের ফরিদপুরের ছেলে স্বপ্নীল সজীব গানের শুরুটা মাত্র ৫ বছর বয়সে, মঞ্চে। হাতেখড়ি হয়েছিলো খালা উচ্চাঙ্গ সংগীতশিল্পী লুত্ফর নাহার লতার কাছে। এরপর ছায়ানটে করেছেন রবীন্দ্রসংগীতে কোর্স। তালিম নিয়েছেন বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কাছে। স্বপ্নীল সজীব লোকসংগীত গেয়ে ১৯৯৮ ও ২০০০ সালে পেয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কার। ২০১১ ও ২০১৩ সালে রবীন্দ্র সম্মেলনে অর্জন করেন প্রথম স্থান। ২০১২ সালে ‘চ্যানেল আই নব গান নব প্রাণ’ প্রতিযোগিতায় হয়েছিলেন টপ ফাইনালিস্ট। ঐ বছরই প্রকাশ পায় তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘টেগোর ট্রেজারি’, আর কলকাতা থেকে রিলিজ হয় তার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘ভাঙা-গড়ায় রবীন্দ্রনাথ। সম্প্রতি প্রভাষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সেমিনারে। সেমিনার শেষে কলকাতায় যোগ দিয়েছিলেন ভারতের ২০তম প্রগতি বাঙলা উৎসবে। সেখানে দেওয়া হয় তাকে সম্মাননা। প্রগতি বাঙলা সেরা বাঙালি ও বঙ্গরত্ন সম্মাননা। রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে কাজ করায় তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।  ভারত ও বাংলাদেশের বাংলা ভাষীদের কাছে জনপ্রিয় রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী স্বপ্নীল। ইতিমধ্যেই পেয়েছেন অনেক সম্মাননা। মুক্তির অপেক্ষায় আছে তার প্লেব্যাক করা কয়েকটি চলচ্চিত্রের গান যেগুলো শীগ্রই মুক্তি পাবে ভারত এবং বাংলাদেশে।

post
আন্তর্জাতিক

ড. ইউনূসের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে শতাধিক নোবেল জয়ীসহ ১৬০ বিশ্বনেতার খোলা চিঠি

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নোবেলজয়ীসহ ১৬০ জন বৈশ্বিক নেতা খোলা চিঠি দিয়ে ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করার এবং আসন্ন সংসদ নির্বাচন নিয়ে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার আহ্বান জানিয়েছেন।২৮ আগষ্ট সোমবার এই চিঠি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোভিত্তিক জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান সিজিয়ন পিআর নিউজওয়্যার। চিঠিদাতাদের মধ্যে বারাক ওবামা, শিরিন এবাদি, আল গোর, তাওয়াক্কুল কারমান, নাদিয়া মুরাদ, মারিয়া রেসা, হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোসসহ ১৪ জন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী রয়েছেন। ওরহান পামুক, জে এম কোয়েটজিসহ ৪ জন সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী রয়েছেন। জোসেফ স্টিগলিৎজসহ অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী আছেন ৭ জন। এ ছাড়া রসায়নে ২৮ জন নোবেল বিজয়ী, চিকিৎসাশাস্ত্রে ২৯ জন নোবেল বিজয়ী এবং পদার্থবিজ্ঞানে ২২ জন নোবেল বিজয়ী রয়েছেন।  এ ছাড়া জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, যুক্তরাজ্যের ভার্জিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ধনকুবের স্যার রিচার্ড ব্রানসনসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি রয়েছেন চিঠিদাতাদের তালিকায়। তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন দেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী, সামরিক কমান্ডারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা রয়েছেন। “ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে সম্প্রতি চলমান বিচারিক কার্যক্রম আমাদের উদ্বিগ্ন করেছে, এবং আমরা মনে করি এটি তাকে বিচারকভাবে হেনস্তা করার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া,” চিঠিতে বলা হয়েছে। এর আগে, চলতি বছরের মার্চে ৪০ জন বিশ্বনেতা একই ধরনের চিঠি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠিয়েছিলেন এবং ওয়াশিংটন পোস্টে সেই চিঠি ছাপা হয়েছিলো। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ড. মুহম্মদ ইউনূসের সমর্থন জানিয়ে একটি চিঠি প্রকাশ করেন। তার একদিন পর এই ১৬০ জন বিশ্বনেতার চিঠি প্রকাশ হয়ে আবারও আলোচনায় আসলো ড. মুহম্মদ ইউনূস ও আসন্ন সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গ।

post
আন্তর্জাতিক

কারাগার থেকে ট্রাম্পের মুখমণ্ডলের ছবি প্রকাশ

২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টার মামলায় আত্মসমর্পণ করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে জর্জিয়ার ফুলটন কারাগারে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। অবশ্য এর ২০ মিনিটের মাথায় জামিনে মুক্ত হন তিনি। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা। এর আগেই নিজেই ঘোষণা দিয়েছিলেন আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছেন রিপাবলিকান এই নেতা। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিউ জার্সির বেডমিনস্টারে তার বাসা থেকে ব্যক্তিগত বিমানে চড়ে জর্জিয়ায় পৌঁছান। এরপর তার বিশাল মোটর শোভাযাত্রায় ফুলটন কাউন্টি আদালতে হাজিরা দেন। আত্মসমর্পণের পরে অবশ্য জামিনে মুক্তি পান। তার জামিনে মুচলেকার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ডলার। কারাগারে সাবেক প্রেসিডেন্টের আঙুলের ছাপ এবং মুখমণ্ডলের ছবি (মাগশট) নেওয়া হয়েছে যা কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে প্রথম ঘটনা। এ বিষয়ে চরম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন তিনি। একজন সাবেক প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে এমন আচরণে অপমানজনক হিসেবে দেখছেন তিনি। আদালতে আবেদন করতে পরবর্তী তারিখে তিনি আবার আসবেন। ট্রাম্পের আত্মসমর্পণকে কেন্দ্র করে বাইরে তার সমর্থক এবং আদালতে প্রচণ্ড ভিড় লেগে যায়। আটলান্টা বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার সময় স্বল্প সময়ের জন্য সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন এই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ট্রাম্প বলেন, ‘একটি নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো সক্ষম হওয়া উচিত আপনার। আমি বিশ্বাস করি, এটি একটি কারচুপির নির্বাচন ছিল। আমি ভুল কিছু করিনি তা সবাই জানে।’

post
আন্তর্জাতিক

পবিত্র কুরআন পোড়ানো যাবে না: ডেনমার্ক

সাম্প্রতিক সময়ে নরডিক দেশগুলোতে কুরআর পোড়ানোর ঘটনা বাড়ায় মুসলিম বিশ্বের উদ্বেগের প্রেক্ষিতে জনসম্মুখে পবিত্র কুরআন পোড়ানোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে যাচ্ছে ডেনমার্ক সরকার। ২৫ আগস্ট শুক্রবার দেশটি এ সংক্রান্ত এক আইন প্রস্তাব করেছে। ডেনমার্কের বিচার মন্ত্রী পিটার হামেলগার্ড এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সরকার একটি আইন করতে যাচ্ছে, যেখানে ধর্মীয় তাৎপর্য বজায় রাখার জন্য বলা হবে এবং ধর্মীয় বিষয় নিয়ে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানো যাবে না। এই প্রস্তাব কুরআন পোড়ানো কারীদের জন্য একটি শিক্ষা। সাম্প্রতিক সময়ে ডেনমার্ক ও সুইডেনে একের পর এক কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় মুসলিম বিশ্ব নিন্দা জানায় এবং দেশগুলোর সরকার প্রধানকে এ ঘটনা বন্ধে আহ্বান জানায়। কুরআন পোড়ানোয় ঘটনায় ডেনমার্ক তাদের সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করে। কারণ সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে এমন ধারণা থেকে দেশটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। নরডিক দেশগুলো বিরোধী দলের দ্বারা সমালোচনার শিকার হলেও সরকার কুরআন পোড়ানোর ক্ষেত্রে আইন করতে যাচ্ছে। সূত্র: আরব নিউজ

post
এনআরবি বিশ্ব

মিলান কনস্যুলেটে ই-পাসপোর্ট সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, মিলান-এ ২৪ আগস্ট ২০২৩, উত্তর ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিদের বহুল প্রত্যাশিত ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়েছে।অনুষ্ঠানের শুরুতে কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাবেদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি বলেন যে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন প্রবাসীবান্ধব সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মিলান কনস্যুলেট প্রবাসী বাংলাদেশিদের দোরগোড়ায় সব নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে বদ্ধ পরিকর। এক্ষেত্রে উত্তর ইতালিতে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম চালু একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে তিনি উল্লেখ করেন। এসময় মিলান কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম এবং ই-পাসপোর্টের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাদাত হোসেনসহ মিলান কনস্যুলেটে ই-পাসপোর্ট প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলকে ধন্যবাদ জানানো হয়। মিলান কনস্যুলেটে বিপুল সংখ্যক প্রবাসীদের উপস্থিতিতে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান ই-পাসপোর্টের শুভ উদ্বোধন করেন। মান্যবর রাষ্ট্রদূত এ সময় উপস্থিত প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন এবং তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশ সরকার ইতালিতে এনআইডি কার্যক্রম চালু করার প্রক্রিয়া চালু করবে। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে মান্যবর রাষ্ট্রদূত চার জন প্রবাসীর হাতে প্রথমবারের মতো নতুন ই-পাসপোর্ট তুলে দেন। এছাড়া, পরে আরো ছয় আবেদনকারীকে পাসপোর্ট জমা দেওয়ার রিসিট দেওয়া হয়। গত ২৫ জুলাই ইতালি সফরকালে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালিতে ই-পাসপোর্টের যাত্রা শুরু করার ঘোষণা দেন। এর ধারবাহিকতায় মিলানে ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ায় প্রবাসীরা সন্তোষ প্রকাশ করেন। বহির্গমন এবং বাংলাদেশের প্রবেশের ক্ষেত্রে সময় সাশ্রয় সহ অনেক ধরণের সুবিধা হবে বলে প্রবাসীরা জানান। মিলানের মতো বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্রে ই-পাসপোর্ট চালুর মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে বল মনে করেন তারা।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.