post
এনআরবি বিশ্ব

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল ১৮ অক্টোবর বুধবার যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এর ৬০তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস উদযাপন করে। দিবসটি উপলক্ষে সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। মেয়র অফিসের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিশনার এডয়ার্ড মার্মেলস্টেইন, কলাম্বিয়া ইউনিভারসিটির অধ্যাপক মাইকেল স্টেকলারসহ বিদেশী অতিথিবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক ও সাস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া ব্যক্তিবর্গ এ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন। কনসাল জেনারেল মোঃ নাজমুল হুদা উপস্থিত সকল কে নিয়ে শহিদ শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন। এ দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। অনুষ্ঠানে শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে নির্মিত একটি থিম সং ও একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। শহিদ শেখ রাসেল, জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্যসহ সকল শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। কনসাল জেনারেল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শহিদ শেখ রাসেল এর জীবন সম্বন্ধে আলোচনাকালে কনসাল জেনারেল উল্লেখ করেন যে, বঙ্গবন্ধু দীর্ঘ সময় কারাগারে বন্দী থাকায় শিশু রাসেল পিতার আদর যত্ন ও সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। শিশু বয়সে তার মধ্যে বিভিন্ন মানবিক গুণাবলীর উন্মেষ ঘটে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালোরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তারঁ পরিবারের অনেক সদস্যসহ শহিদ হন। ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলও সেদিন রেহাই পায়নি। শিশু-কিশোরদেরকে পৃথিবীর আশা ও ভবিষ্যৎ হিসাবে আখ্যায়িত করে তিনি নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে আরো গভীরভাবে জানতে উৎসাহিত করেন। শেখ রাসেলের জন্মদিনে কনসাল জেনারেল মোঃ নাজমুল হুদা শোককে শক্তিতে পরিনত করে বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বের শিশুর জন্য সুস্থ্য, সুন্দর পৃথিবী গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। সেমিনারে আলোচনাকালে উপস্থিত সুধীবৃন্দ শেখ রাসেলের ছোট্ট অথচ তাৎপর্যপূর্ণ এবং ঘটনাবহুল জীবনের নানাদিকের উপর আলোকপাত করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগষ্টের কালোরাতে কিভাবে মানবতা, মানবাধিকার এবং সভ্যতার অপমৃত্যু ঘটেছিল তা উল্লেখ করেন। জাতির স্মৃতিতে শেখ রাসেল চিরজীবন একজন নিষ্পাপ শিশু এবং সদ্য প্রস্ফুটিত ফুলের প্রতিচ্ছবি হিসেবে অমর হয়ে থাকবেন বলে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক ও সাস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ শহিদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত নিরাপত্তা, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে। 

post
বাংলাদেশ

কার্যাদেশের বিপরীতে জামানতবিহীন ঋণ নিতে পারবেন এসএমই উদ্যোক্তারা: এ বিষয়ে উদ্যোক্তাদের সচেতন করতে কাজ করবে এসএমই ফাউন্ডেশন

কার্যাদেশের বিপরীতে জামানতবিহীন ঋণ নিতে পারবেন এসএমই উদ্যোক্তারা। এ বিষয়ে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের সচেতন করতে কাজ করবে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং থিংকবিজ সলিউশন ট্রেডেক্স)। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ এসএমই ফাউন্ডেশনের সম্মেলন কক্ষে এসএমই ফাউন্ডেশন ও থিংকবিগ সলিউশনস (ট্রেডেক্স) এর উদ্যোগে আয়োজিত ফ্যাক্টরিং ফাইন্যান্স বিষয়ে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান, ফাইন্যান্সার ও সাপ্লায়ার ম্যাচমেকিং ও মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়। এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন জিন্নাত রেহানা, প্রশাসক (যুগ্মসচিব), বাংলাদেশ অ্যাগ্রো-প্রসেসর্স এসোসিয়েশন (বাপা) এবং ড. এম মাসরুর রিয়াজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, থিংকবিগ সলিউশনস (ট্রেডএক্স অনলাইন)। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক নাজিম হাসান সাত্তার। এছাড়াও বক্তব্য প্রদান করেন ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহ উদ্দিন মাহমদু এবং মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, দারিদ্র্য দূরীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ (এমএসএমই) একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। দেশের ব্যাংক ব্যবস্থায় এসএমই খাত উন্নয়নে বিভিন্ন ধরণের ঋণ সহায়তা (প্রচলিত ব্যাংক ঋণ) কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাগণের প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাংক ঋণ গ্রহণের প্রক্রিয়াটি সহজ নয়। ঋণ প্রাপ্তির পর পণ্য তৈরি করে ক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে সরবরাহের মাধ্যমে প্রাপ্ত ‘ট্রেড রিসিভেবল’ সমূহের বিপরীতে তাৎক্ষণিকভাবে অর্থপ্রাপ্তির প্রক্রিয়াটি সহজ ও স্বয়ংক্রিয় নয়। তাছাড়া ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল নিয়েও উদ্যোক্তাবৃন্দ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদী এবং জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা হিসেবে 'ফ্যাক্টরিং ফাইন্যান্স' শিল্প খাতে বিশেষত এসএমই খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।উল্লেখ্য, কোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান তার বকেয়া বিল ডিসকাউন্ট/কমিশনে দেনাদার ব্যতীত তৃতীয় কোনো পক্ষের কাছে বিক্রি করাকে ফ্যাক্টরিং বলে। মূলত: কোন পণ্য উৎপাদনকারী বা সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কোন অর্ডারের বিপরীতে পণ্য বা সেবা প্রস্তুতের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় চলতি মূলধন ঘাটতি মেটানোর জন্য অর্ডারটি তৃতীয় কোন প্রতিষ্ঠানের নিকট কমিশনে বিক্রি করে তহবিল সংগ্রহ করার পদ্ধতিই হলো ফ্যাক্টরিং। চলতি মূলধন সংকট লাগবের লক্ষ্যে অর্ডার দাতা এবং পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ব্যতীত তৃতীয় কোন পক্ষের নিকট হতে তহবিল সংগ্রহের জন্য ফ্যাক্টরিং উন্নত দেশে একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি। ফ্যাক্টরিং ফাইন্যান্স একটি জামানতবিহীন অর্থায়ণ প্রক্রিয়া, যা বিলম্বিত পরিশোধের শর্ত এবং চেকের মাধ্যমে পরিশোধ ব্যবস্থা থাকলে যে কোনো পন্য বা সেবা উৎপাদনকারী গ্রহণ করতে পারে। বৈধ কাগজপত্র যেমন ট্রেড লাইসেন্স, এনআইডি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, বিক্রয় ডাটাসহ দেনাদারের তথ্য দিয়েই যে কোনো প্রতিষ্ঠান সহজে এ সেবা নিতে পারে। ‘ফ্যাক্টরিং’ এর সাথে এলসি এর মূল পার্থক্য হলো ‘এলসি’ একটি পেমেন্ট পদ্ধতি আর ‘ফ্যাক্টরিং’ এর মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষ হতে মূলধন জোগান করা হয়। স্বল্প মেয়াদী এবং জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা হিসেবে 'ফ্যাক্টরিং ফাইন্যান্স' শিল্প খাতে বিশেষত এসএমই খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের প্রায় ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয় এলসির মাধ্যমে। কিন্তু এলসি পদ্ধতিতে বাণিজ্য করা সময়সাপেক্ষ ও জটিলতানির্ভর। তাছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) ব্যবসায়ীদের জন্য এলসি পাওয়া আরো কঠিন। এক্ষেত্রে ফ্যাক্টরিং ফাইন্যান্স একটি বিশেষ বিকল্প হতে পারে। আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের এক প্রতিবেদনে করোনার প্রভাব মোকাবেলায় রফতানি খাতে অর্থের প্রবাহ বাড়াতে ফ্যাক্টরিং প্রক্রিয়াকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।এসএমই ফাউন্ডেশন এবং থিংকবিগ সলিউশনস এর যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে ফ্যাক্টরিং ফাইন্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাইলট আকারে থিংকবিগ সলিউশনস (ট্রেডেক্স) -কে ১৮ জানুয়ারি ২০২২ লোকাল ফ্যাক্টরিং প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করার অনুমোদন প্রদান করা হয়। ফ্যাক্টরিং ফাইন্যান্স কার্যক্রমের প্রচার ও প্রসারে যৌথ কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২১ ডিসেম্বর ২০২২ এসএমই ফাউন্ডেশনের সাথে থিংকবিগ সলিউশনস (ট্রেডেক্স)-এর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়। যৌথ কর্মসূচি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে কর্পোরেট, ফাইন্যান্সার ও সাপ্লায়ার ম্যাচমেকিং এবং ফাইন্যান্সিং কর্মসূচিতে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ, এসএমই চেম্বার/অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিবৃন্দ, এসএমই উদ্যোক্তাবৃন্দ এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.