অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে যথাযোগ্য মর্যাদায় ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।
স্থানীয় সময় সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রথম প্রহরে দূতাবাস প্রাঙ্গণে বসানো শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলামসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
সেখানে তারা এক মিনিট নিরবে দাঁড়িয়ে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর তারা দূতাবাস ভবনে বঙ্গবন্ধু কর্নারে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ মূর্তির সামনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এর আগে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে একটি আলোচনা সভায় অংশ নেন তারা।
এসময় অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওযা বাণি পড়ে শোনানো হয়। এছাড়াও পাঠ করা হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের পাঠানো বাণি।
ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রূহের মাগফিরাত ও বাংলাদেশের অব্যহত উন্নয়ন কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয় এ সময়।
রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম তার বক্তৃতায় ১৯৫২ সালের ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। এসময় তিনি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করেন ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা। ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে সেই আন্দোলনকে যেভাবে বেগবান করে ধীরে ধীরে জাতিকে স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতার পথে এগিয়ে নিয়ে যান বঙ্গবন্ধু, তা উঠে আসে এম শহীদুল ইসলামের বক্তৃতায়।
বিশ্ব মানবতায় শিক্ষা, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে বিশ্বের সকল মানুষের মাতৃভাষার সুরক্ষায় জোর দেন রাষ্ট্রদূত।
"প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের সকলকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত, শান্তিময় ও সম্মৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে," বলেন এম শহীদুল ইসলাম।
পরে একুশে ফেব্রুয়ারি সকালে রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে দূতাবাস ভবনের সামনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখেন।
