ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ বলেছেন, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি স্রেফ একটি বিশ্ববিদ্যালয় নয়, এটি একটি প্ল্যাটফর্ম। যুক্তরাষ্ট্রের বুকের বাংলাদেশিদের মূলধারায় এগিয়ে যাওয়ার জন্যই প্ল্যাটফর্ম কাজ করবে। গোটা কমিউনিটিকে সাথে নিয়ে এবং কমিউনিটির পাশে থেকেই ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠবে ডব্লিউইউএসটি।
যুক্তরাষ্ট্র তথা গোটা উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশিদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশিজ অ্যাসোসিয়েশনস ইন নর্থ আমেরিকা-ফোবানার সঙ্গে ডব্লিউইউএসটির একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ফোবানার ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর টাইটেল স্পন্সর হিসেবে ডব্লিউইউএসটির নাম ঘোষণা করে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ এবং ফোবানার পক্ষে এর নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান, যুক্তরাষ্ট্রে স্বনামধন্য আইনজীবি অ্যাটর্নি মোহাম্মদ আলমগীর এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অ্যাটর্নি আলমগীর এসময় তার বক্তৃতায় বলেন, তিনি মনে করেন, সংগঠনের ৩৮তম বার্ষিক সম্মেলনে ডব্লিউইউএসটিকে পাশে পেয়ে তারা সম্মানিত হয়েছেন। তারা আরও এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা পেয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপের জনহিতৈষণা ও কমিউনিটির প্রতি তার অঙ্গীকারের প্রতিফলনই এই স্পন্সরশিপ, উল্লেখ করেন ফোবানার নেতৃবৃন্দ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্কসহ বিভিন্ন বিভাগের উর্ধতনরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ড. হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে এক অনন্য উচ্চতায় তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছি। ডাইভার্সিটিই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম বৈশিষ্ট। আর সকল কমিউনিটির সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক রেখেই বিশ্ববিদ্যালয় তার লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে।
ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ তার বক্তৃতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিপল মিশনের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের এমনভাবে তৈরি করছি যাতে তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দক্ষ হয়ে বের হয়। এবং কাজ পায়। কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও এই শিক্ষার্থীরা একসময় তাদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখবে।
ইন্ডাস্ট্রির দক্ষ স্কলাররাই আমাদের শিক্ষক, তাদের হাত ধরেই তৈরি হচ্ছে ডব্লিউইউএসটির শিক্ষার্থীরা, যোগ করেন ড. হাসান কারাবার্ক।
গত দুই বছরে আট শতাধিক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছে এমন পরিসংখ্যাণে সন্তোষ প্রকাশ করে ফোবানার নেতারা বলেন, এটি বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য একটি বড় খবর। এই শিক্ষার্থীদেরই শুধু নয়, তাদের পরিবারগুলোর জন্য এই সুযোগ জীবন বদলে দেওয়ার মতো বিষয়, বলেন তারা।
ফোবানার নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরও ছিলেন ফোবানার ৩৮তম আয়োজনের হোস্ট কমিটির আহ্বায়ক রোকসানা পারভীন, সদস্য সচিব আবু রুমি, সভাপতি নূরুল আমিন, প্রধান সমন্বয়ক অ্যান্থনি পিয়ুস গোমেজ ও উপদেষ্টা গোলাম মোস্তফা।
চুক্তি স্বাক্ষর শেষে অতিথিরা ফটোসেশনে অংশ নেন। এবং পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন।