পর্তুগালের অভিবাসনে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসছে মন্টিনেগ্রো সরকার। সেনজেন ভ্রমন ভিসা বা অবৈধভাবে গিয়ে আর বৈধ হওয়ার সুযোগ থাকছেনা দেশটিতে। ৩ জুন অভিবাসন আইনের পরিবর্তন করে অধ্যাদেশ জারি করেছে নতুন সরকার প্রধান। হঠাৎ এই পরিবর্তনে বৈধ অভিবাসনের আশায় পাড়ি জমানো হাজারো বাংলাদেশীসহ অনিয়মিত অভিবাসীদের মধ্যে ব্যাপক হতাশা বিরাজ করছে। তবে, পতুর্গিজ নাগরিকরা বলছেন,পতুর্গালের অভিবাসনের উদার নীতির কারণে ভবিষ্যতে নতুন কোনো সুযোগ তৈরি হতেও পারে।
জানা যায়, ইতিহাস ঐতিহ্যের আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে্যর কারণে ইউরোপ আমেরিকার উন্নত দেশের ভ্রমন পিপাসুদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে আছে আটলান্টিক তীরের দেশ পতুর্গাল। বৈধ বা অবৈধভাবে পতুর্গালে প্রবেশ করে একটি চাকরি জোগাড় করতে পারলেই,অথবা এমন বেশকিছু সহজ শর্তে এ দেশে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি মিলেছে। মিলেছে নাগরিকত্ব।
ইউরোপের সেনজেন দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহজে বৈধ হওয়ার সুযোগ থাকায় ৫০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশী বসতি গড়েছেন এখানে। কাজের পাশাপাশি পর্যটন, রেস্টুরেন্ট, কৃষিখাত, গণপরিবহন ব্যবসায় ও সফলতার সাক্ষর রাখছেন বাংলাদেশী প্রবাসীরা। রাজধানী লিসবনেই উরোপের সবচেয়ে বড় বাংলাদেশী অধ্যুষিত ব্যবসায়ীক এলাকাও গড়ে উঠেছে।
তবে সরকারের নতুন অভিবাসন নীতিমালার কারণে এই সম্ভাবনার আকাশে দেখা দিয়েছে হতাশার কালো মেঘ। দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপের অন্য দেশে বৈধ হতে না পারা বাংলাদেশী প্রবাসীদের শেষ ভরসা ছিলো পর্তুগাল। নতুন নীতিমালায় অন্য দেশের ভিসা নিয়ে বা ভিসা ছাড়া এসে বৈধ হওয়ার সুযোগ আর থাকছেনা। তাই গোটা ইউরোপের অবৈধ অভিবাসীদের জন্যও দুঃসংবাদ হয়ে এসেছে এই ঘোষনা।
নীতিমালা অনুমোদনের পর প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনেগ্রো বলেছেন,পতুর্গালের দরজা একবারে বন্ধ হচ্ছেনা। তবে যে রকম অরক্ষিত ছিলো এখন আর সেরকম থাববেনা। নির্দেশনা মেনে ওয়ার্ক পারমিট বা জব ভিসায় পতুর্গালে আসা যাবে বলে জানান সরকার প্রধান।