মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেছেন, দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিন থেকে এই প্রশাসনের সুস্পষ্ট লক্ষ্য: জননিরাপত্তা রক্ষা, অর্থনীতি পুনর্গঠন এবং শহরকে নিউইয়র্কবাসীর জন্য আরও বাসযোগ্য করে তোলা। প্রতিদিন আমরা সেই দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করছি। আমরা নির্ধারিত সময়সূচির এক বছর আগে, মহামারিকালে হারানো সব বেসরকারি-খাতের চাকরি পুনরুদ্ধার করেছি। গত বছরের মতো এ বছরও শহরজুড়ে সামগ্রিক অপরাধ কমেছে। আমরা ৮.৩ মিলিয়ন নিউইয়র্কবাসী যারা এই শহরটিকে বাড়ি বলে থাকেন তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করছি ।
কিন্তু আমাদের শহর যখন মহামারি থেকে পুনরুদ্ধার হয়েছে, আমাদের পুনরুদ্ধার প্রতিটি নিউইয়র্কবাসীকে যথাযথ ও ন্যায়সঙ্গতভাবে উপকৃত করেনি। আমাদের শহরে কৃষ্ণাঙ্গদের বেকারত্ব এখনো অনেক বেশি রয়ে গেছে এবং আমরা এই প্রবণতা চলতে দিতে পারি না। এই কারণেই নিউইয়র্ক শহর যাতে শ্রমজীবী-শ্রেণির মানুষের শহর হিসেবে থাকে তা নিশ্চিত করতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।
বিভিন্ন কমিউনিটির চাকরি এবং কর্মজীবন প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টির জন্য সরকারি পদ্ধতি ‘জবস এনওয়াইসি’ গত সপ্তাহে চালুর মাধ্যমে আমরা একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছি। দীর্ঘদিন ধরে এই দিকটি উপেক্ষিত ছিল। জবস এনওয়াইসির অংশ হিসেবে আমরা কর্মসংস্থান বৈষম্যের সম্মুখীন বেশ কিছু মহল্লায় নিয়োগ কেন্দ্র চালু করেছি। এই কেন্দ্রগুলো পাঁচটি বরোজুড়ে নিউইয়র্কবাসীর জন্য ভালো বেতনের সরকারি ও বেসরকারি-খাতের চাকরির সুযোগ নিয়ে আসে।
অ্যাডামস বলেন, আমরা একটি নতুন চাকরির পোর্টাল ‘জবস ডট এনওয়াইসি ডট গভ’ চালু করেছি। চাকরিপ্রার্থীরা এখন এই ব্র্যান্ড-নতুন ওয়েবসাইট দেখার জন্য তাদের ফোন ব্যবহার করতে বা নতুন চাকরির সুযোগ খুঁজে পেতে ব্যক্তিগতভাবে নিয়োগ কেন্দ্রে যেতে পারেন। এটি আমাদের সমৃদ্ধ অর্থনীতিতে সব নিউইয়র্কবাসীর অংশগ্রহণ আগের চেয়ে সহজ এবং আরও বোধগম্য করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা।
মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেছেন, আসুন একসাথে মিলে নিউইয়র্ক সিটিকে বাসযোগ্য ও কাজ করার জন্য বিশ্বসেরা শহর হিসেবে রাখি।