গত ২ ও ৩ মে (সোম- মঙ্গলবার) দুইদিন যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে সিডনিতে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে সিয়াম সাধনার পর সিডনির মুসলিম সম্প্রদায় ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন।
মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর মুসলমানরা পালন করেন ঈদ-উল ফিতর। শুধু মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোতেই নয়, এই ঈদ উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয় বিশ্বের নানা দেশে, নানা রূপে। ধর্মীয় অনুভূতির সঙ্গে সঙ্গে কোনও দেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে যায় এই উৎসব।
আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নামাজের জন্য সমবেত হন স্থানীয় মসজিদ, ইসলামিক সেন্টার, কনভেনশন হল কিংবা পার্কে। আবার কোথাও অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় একাধিক সময়ে নামাজের আয়োজন করা হয়। ঈদ উপলক্ষে কোনও কোনও মসজিদে বা কমিউনিটি হলগুলোতে বিশাল আকারের খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়।
সিডনিতে দুইদিনই সাধারণ কর্মদিবস থাকায় খুব সকাল থেকেই ঈদের জামাত শুরু হয়। ঈদের নামাজে বিশ্বের মুসলমানদের জন্য বিশেষ প্রার্থনা ও বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহর শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
করোনার বিধিনিষেধ না থাকায় সারাদিন সিডনি প্রবাসী বাংলাদেশিরা বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের বাসায় বাসায় বেড়িয়ে আড্ডায় মেতেছেন দীর্ঘ সময় নিয়ে। পাশাপাশি দেশে বাবা-মা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে অনেকেই দিনভর ফোনালাপে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার মুসলমানদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন, বিরোধী দলীয় নেতা ও প্রথম সারির নেতৃবৃন্দ।