post
যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেলকে সংবর্ধনা

নিউইয়র্কে বাংলাদেশের বিদায়ী কনসাল জেনারেলকে সংবর্ধনা দিয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন যুক্তরাষ্ট্র শাখা।শনিবার জ্যাকসন হাইটসে একটি রেস্টুরেন্টের মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কমিউনিকেশন্স ডাইরেক্টর বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসারের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ।শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ, পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সব শহীদ ও ৩ নভেম্বরের জেলহত্যা শহীদ স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ছিলেন আবুল বাশার চুন্নু, মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, খুরশেদ আনোয়ার বাবলু, এনামুল হক, আব্দুর রহমান, শহীদ হাসান, গুলজার হোসেন, বিল্লাল হোসেন, নাজিমউদ্দিন, নূরল ইসলাম, এমদাদুল হক, আবুল বাশার ভূইয়া, মকবুল হোসেন তালুকদার, মিজানুর রহমান চৌধুরী, রুহুল আমিন ভূইয়া, আশরাফ আলী, এম এ আওয়াল ও জাকির হোসেন হিরু।সমাবেশ থেকে কমিউনিটি সার্ভিসে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া নিউ ইয়র্কের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসাকে আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্মাননা পদক দেওয়া হয়।বক্তব্য দেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব, যুক্তরাষ্ট্র শাখার সেক্রেটারি বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারি, বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার ভেটারন্স ইউএস-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের অন্যতম সহ-সভাপতি রানা ফেরদৌস চৌধুরী।

post
যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কের কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরিতে ‘বাংলা কর্নার’ স্থাপন

মুজিব বর্ষ’ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরিতে ‘বাংলা কর্নার’ স্থাপন করা হয়েছে। নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের উদ্যোগে ও কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরির সহযোগিতায় এই কর্নার স্থাপন করা হয়। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন কর্নারের উদ্বোধন করেন। তিনি এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কমিউনিটির সর্ববৃহৎ আবাসস্থল নিউইয়র্কের কুইন্স বরো। সেখানে ইংরেজি, স্প্যানিশ ও চাইনিজ ভাষার পরে বাংলা চতুর্থ বৃহৎ ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ কারণে কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরিতে ‘বাংলা কর্নার’ স্থাপন বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। বাংলা কর্নারটিতে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে ৩০৯টি বই প্রদান করা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, ‘২০২১ সাল বিভিন্ন দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এ বছর আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও আজ (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্ম দিন। সে কারণে এ বছরের এদিনে বাংলা কর্নারের শুভ উদ্বোধন বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।’ পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বাংলা কর্নারটি বাংলাদেশি-আমেরিকান কমিউনিটির জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি আশা প্রকাশ করেন, কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরিসহ অন্যান্য মূলধারার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কনস্যুলেটের যোগাযোগ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।

post
যুক্তরাষ্ট্র

২৫ সেপ্টেম্বর জ্যাকসন হাইটসে পালিত হবে 'বাংলাদেশী ইমিগ্রান্ট ডে'

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রথমবারের মত সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাংলায় ভাষণ দেয়ার দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রবাসী বাংলাদেশীরা এই প্রস্তাব দিয়েছিল। দিনটি উপলক্ষে নিউইয়র্কের মূলধারায় বাংলাদেশী সমাজ বিনির্মাণে যাদের অবদান রয়েছে তাঁদের উপস্থিতিতে ২৫ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেল ৫ টায় জ্যাকসন হাইটেসের জুইশ সেন্টারে দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে মুক্তধারা।এতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ থেকে আগত সংসদ সদস্য ও সাবেক এফবিসিআই সভাপতি এমডি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন, বর্তমান এফবিসিসিআই সভাপতি এমডি জসিম উদ্দীন, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সোবহান গোলাপ, মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ. জিয়াউদ্দীন আহমেদ, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. নজরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইমাম, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়, সাংবাদিক লেখক সুভাষ সিংহ রায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। উপস্থিত থাকবেন নিউ ইয়র্ক স্টেট সেনেটর, কাউন্সিলম্যান, আমেরিকার মূলধারায় নব-নির্বাচিত বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত শাহানা হানিফ, সোমা সাঈদ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেদিন জাতিসংঘে ভাষণ দিয়েছিলেন সেই ২৫ সেপ্টেম্বরকে ২০২১ সালের জন্য ধারাবাহিকভাবে তৃতীয় বছরের মত ‘বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ ঘোষণা করা হয়েছে। আমেরিকার মূলধারায় জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের মুক্তধারার বিভিন্ন কর্মকান্ডের মধ্যে আরেকটি যোগ হলো তৃতীয়বারের মত নিউইয়র্ক স্টেট সিনেট এই বিলটি পাশ করা। গত ২১ জানুয়ারী মুক্তধারার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও বিশ্বজিত সাহা সিনেটর স্টেভেস্কি দিয়ে বিলটি নিউ ইয়র্ক স্টেটের আইন পরিষদে উত্থাপন করেন। ২৬ জানুয়ারী সর্বসন্মতভাবে বিলটি পাশ হয়। সিনেট রেজ্যুলেশন নম্বর জে ০০১৯৭। 

post
যুক্তরাষ্ট্র

বঙ্গবন্ধুর খুনী রাশেদকে যুক্তরাষ্ট্র ফেরত দিবে বলে আশাবাদী বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ঢাকা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট হত্যাযজ্ঞের ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দিবে বলে প্রত্যাশা করছে। কারণ এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়াগুলো শেষ করার কাজ চলছে। লোটে রয়্যাল হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মঙ্গলবারের সার্বিক কর্মসূচির ওপর মিডিয়া ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, ‘ আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনবো বলে আশা করছি।’ বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত এই খুনীকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার ফলাফল সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, এর আগে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়ে সাজাপ্রাপ্ত ১২ আসামীর একজনকে ফিরিয়ে দেয়ায় ঢাকা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাশেদ চৌধুরীকেও ফিরে পাওয়ার আশা করছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বিএনপি ও তার ঘনিস্ট মিত্র জামায়াত বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশে জনসমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়ে অসৎ উদ্দেশে তারা বিদেশে অপপ্রচারের পথ বেছে নিয়েছে। শাহরিয়ার বলেন, কিন্তু তাদের এ প্রচেষ্টা অতীতে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানেও ব্যর্থ হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও ব্যর্থ হবে...তাদের দাবি মোকাবেলা করার জন্যে আমাদের কাছে অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকার প্রধানত গণতন্ত্রকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার পাশপাশি সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে জাতিসংঘের আইন ও নীতিমালার অনুমোদন করছে। হোটেল লোটে নিউইয়র্ক প্যালেসের এই ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস

post
যুক্তরাষ্ট্র

ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় শোক দিবস পালিত

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস রোববার যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী স্মরণে জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের এ দিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যরা নির্মমভাবে নিহত হন। দূতাবাসের কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের নিহত সদস্যদের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। প্রধান অতিথি হিসেবে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, এমপি এবং বিশ্ব ব্যাংকে বাংলাদেশের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শফিউল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম সহিদুল ইসলাম কর্তৃক জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। অতঃপর রাষ্ট্রদূত সহিদুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি, মোহাম্মদ শফিউল আলম এবং দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিয়ে জাতির পিতার আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন। এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। রাষ্ট্রদূতের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত এম সহিদুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সমুন্নত রাখার এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়াতে নিরলসভাবে কাজ করার মাধ্যমে শোককে শক্তিতে রূপান্তরের আহ্বান জানান। তিনি বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে সম্মানিত সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃষ্টিভঙ্গির কথা তুলে ধরেন এবং জাতির অগ্রগতি বিপন্নকারী স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি কর্তৃক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার এ জঘন্য কাজের নিন্দা জানান। ১৯৬৬ সালে ছয় দফা আন্দোলনের সময় ছাত্রনেতা হিসেবে নিজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে উল্লেখ করে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি, তার বক্তব্যে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান লক্ষ্যনীয়ভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে কাজ করতে পেরে তিনি গর্বিত এবং শেষ দিন পর্যন্ত জাতির প্রতি তার দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অনুষ্ঠানে বিশ্ব ব্যাংকে বাংলাদেশের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শফিউল আলম বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে তার অনুভূতি ও দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। বাংলাদেশের মতো একটি নব্য স্বাধীন দেশকে পরিচালিত করতে এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর দৃঢ় নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বেশিরভাগ আইন, বিধি এবং প্রতিষ্ঠান নির্মাণের কাজটি বঙ্গবন্ধু তার রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনার চার বছরেরও কম সময়ের মধ্যে হয় সম্পন্ন করেছিলেন নতুবা সূচনা করেছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। ১৫ আগস্টের সকল শহীদ এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীরদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে একটি বিশেষ প্রার্থনাও অনুষ্ঠিত হয়।

post
যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারের বিলবোর্ডে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের গল্প

জাতীয় শোক দিবসে নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারের আইকনিক বলড্রপ বিলবোর্ডে হবে বাঙালির মহানায়ক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের প্রদর্শনী। বিভিন্ন দেশের লাখো মানুষ এই টাইমস স্কয়ারে জড়ো হয় প্রতিদিন। এবার ১৫ আগস্টে বিলবোর্ডজুড়ে তারা দেখবেন বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের গল্প। নিউইয়র্কে ফাহিম ফিরোজ নামের এক প্রবাসীর উদ্যোগে এই প্রদর্শনী হবে। ফাহিম নিউইয়র্কভিত্তিক বিজ্ঞাপনী সংস্থা এনওয়াই ড্রিমস প্রোডাকশনের সিইও। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রবাসের বীর মুক্তিযোদ্ধারা। ফাহিম জানান, ১৫ আগস্ট প্রথম প্রহর থেকে এই প্রদর্শনী শুরু হবে। সেজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও শেষ হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় প্রতি ২ মিনিটে ১৫ সেকেন্ড করে পুরো বিলবোর্ডজুড়ে এই প্রদর্শনী চলবে। সব মিলিয়ে ৭২০ বারে এই প্রদর্শনী মোট তিন ঘণ্টা চলবে। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস গণমাধ্যমকে বলেন, এই প্রদর্শনীতে থাকবে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের অংশবিশেষসহ স্মরণীয় কিছু মুহূর্ত। এ ছাড়া জাতির পিতার আন্দোলন-সংগ্রামের নানা দিক নিয়ে ছবি আর ক্যাপশন থাকবে। তার ত্যাগ আর বীরত্বগাঁথা তুলে ধরা হবে।

post
যুক্তরাষ্ট্র

বঙ্গমাতার জীবনাদর্শ হোক সকল নারীর অনুকরণীয় আদর্শ: রাবাব ফাতিমা

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। আলোচনা পর্বের শুরুতে মহীয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদযাপনকে জীবন ও কর্ম এবং দেশ ও জাতিগঠনে তার অসমান্য অবদানের নানা দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। দিবসটির প্রতিপাদ্য- ‘বঙ্গমাতা- সংকটে সংগ্রামে নির্ভিক সহযাত্রী’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটেছে এই প্রতিপাদ্যে। জাতির পিতার দীর্ঘ গৌরবময় সংগ্রামে, সকল সঙ্কটে অকুতোভয়, নির্ভিক সহযাত্রী ছিলেন বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব। সঙ্কটময় রাজনৈতিক জীবন ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজেও তিনি সব সময় বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে শক্তি যুগিয়েছেন। তাই বঙ্গমাতার জীবনাদর্শ ও মুল্যবোধ হোক সকল নারীর অনুকরণীয় আদর্শ। স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, আমরা যখন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ভাবি কিংবা তার সম্পর্কে কথা বলি তখন স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে বঙ্গমাতার কথা। জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য থেকে নানা উদ্বৃতি তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে -কীভাবে বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বঙ্গমাতা দলীয় কর্মকাণ্ড সচল রাখতে ভূমিকা রেখেছেন, কীভাবে অবলীলায় দলীয় কর্মী এবং দলের প্রয়োজনে তার সঞ্চিত অর্থ ব্যয় করেছেন; ৬ দফা, ৭ মার্চের কালজয়ী ভাষণসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে বঙ্গবন্ধুকে অটল থাকতে কীভাবে বঙ্গমাতা সাহস যুগিয়েছেন, অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করেও হাসিমুখে কীভাবে সংসার আগলে রেখেছেন, ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করে কিভাবে নির্লোভ ও সাধাসিধে জীবন যাপন করেছেন তার নানা দিক। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্ব, উদার-মানবিক হৃদয় এবং সাদামাঠা জীবন যাপনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘এমন মানবিক উদারতা ও দূরদর্শীতা বঙ্গমাতার আদর্শ থেকেই উৎসারিত হয়েছে। প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের শিশু কিশোররা যাতে বঙ্গমাতা সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে পারে সে বিষয়ে আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রয়াস গ্রহণ করতে হবে। বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৫ জন বিশিষ্ট নারীকে ‘বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক’ প্রদান করাকে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। আলোচনা পর্ব শেষে বঙ্গমাতাকে নিয়ে কবিতা পাঠ করেন মিশনের কর্মকর্তারা।

post
যুক্তরাষ্ট্র

ওয়াশিংটন ডিসিতে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী পালিত

ওয়াশিংটন ডিসিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। দিবসটি উপলক্ষে পরিবার, দেশ এবং জাতির জন্য বঙ্গমাতার আত্মত্যাগ স্মরণ করে গত ৮ আগস্ট দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ।অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান যথাক্রমে দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার মেহেদী হাসান এবং প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ম‌ঈনুল হাসান। রাষ্ট্রদূত এম সহিদুল ইসলাম তার বক্তব্যে নিজ পরিবারের প্রতি বঙ্গমাতার অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধুর জীবনে তাঁর প্রভাব এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের গতিপথ নির্ধারণে পর্দার অন্তরালে থেকেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত সহিদুল ইসলাম বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা বঙ্গবন্ধুর কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণে বঙ্গমাতা যেভাবে ভূমিকা রেখেছিলেন তা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিবের জীবন ও কর্মের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নারকীয় হামলায় শহীদ হওয়া সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে একটি বিশেষ প্রার্থনা পরিচালিত হয়।

post
যুক্তরাষ্ট্র

ওয়াশিংটনে ফোবানার ৩৫তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত

‘অদম্য বাংলাদেশ-অবাক পৃথিবী’ স্লোগানে ‘সবুজ জমিতে লাল বৃত্ত’ পরিবেশনার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং মুজিববর্ষকে প্রবাসেও মহিমান্বিত করার সংকল্পে ফোবানা’র সর্বস্তরে ইস্পাতদৃঢ় ঐক্যের ঘোষণা দেয়া হলো ৩১ আগস্ট শনিবার ‘মীট দ্য প্রেস’ থেকে।৩৫তম ফোবানা সম্মেলনের হোস্ট ‘আমেরিকান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি’ (এবিএফএস)র এ অনুষ্ঠানে জড়ো হয়েছিল ফোবানার বর্তমান কমিটির শীর্ষ কর্মকর্তা ছাড়াও সাবেক বেশ কয়েকজন চেয়ারম্যান। ছিলেন হোস্ট কমিটির সর্বস্তরের কর্মকর্তারাও। তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে থাকবে মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা ও সমাবেশ, বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সেমিনার, বাঙালির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্মশত বার্ষিকী-সমাবেশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উৎসব, বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে তথ্য-প্রযুক্তির অবদান, প্রবাস প্রজন্মের সমন্বয়ে সেমিনার, নৃত্য-নাট্য এবং সঙ্গীতানুষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার বিভিন্ন সিটি থেকে শতাধিক সংগঠন এতে অংশ নেবে বলে আয়োজকরা আশা করছেন। তবে সবটাই নির্ভর করবে করোনার গতি-প্রকৃতির উপর। কারণ, করোনা মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে গতবছরের ৩৪তম ফোবানা সম্মেলন হয়েছে ভার্চুয়ালে।উল্লেখ্য, করোনা মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে ফোবানার আসন্ন বাংলাদেশ সম্মেলন লেবার ডে উইকেন্ড (সেপ্টেম্বরের ৩-৫) থেকে পিছিয়ে থ্যাঙ্কস গীভিং উইকেন্ডে (২৬-২৮ নভেম্বর) নেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ফোবানার নির্বাহী কমিটির মধ্যে কিছুটা অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। সেই মনোভাবের শান্তিপূর্ণ পরিসমাপ্তির ব্যাপারটি দৃশ্যমান হয়েছে এই ‘মীট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে। অভূতপূর্ব এক সম্প্রীতির মধ্যে এই অনুষ্ঠানে কাঁধে কাঁধ হাতে হাত মিলিয়ে বহুজাতিক এ সমাজে বাঙালিদের ঐক্য জাগ্রত সুসংহত করার কথা বললেন সকলে। একইসাথে হোস্ট কমিটির পক্ষ থেকেও এ যাবতকালের সবচেয়ে উত্তম একটি সম্মেলন উপহার দেয়ার অভিপ্রায়ে গৃহিত কর্মসূচিরও আলোকপাত করা হয়। জানানো হয়, দেশ ও প্রবাসের গুণীজনেরা আসবেন। বিশুদ্ধ বাঙালি সংস্কৃতি পরিবেশনের মধ্যদিয়ে নতুন প্রজন্মকে মা-বাবার সংস্কৃতির প্রতি আন্তরিক আগ্রহ তৈরীর বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলেও বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়।হোস্ট কমিটির সদস্য-সচিব লেখক-সাংবাদিক শিব্বির আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে ফোবানার নির্বাহী চেয়ারপার্সন জাকারিয়া চৌধুরী বলেন, ৩৪ বছর আগে যেখান থেকে শুরু, সেই সিটিতেই বাংলাদেশের ঐতিহাসিক একটি মুহূর্তে ৩৫তম সম্মেলন হচ্ছে। সম্মেলনের প্রতিটি পরতে ধ্বনিত হবে বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তী, মুজিববর্ষ। তাই এটিকে সর্বাত্মকভাবে সফল করতে হাতে হাত রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সকলেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে হোস্ট কমিটিকে সহায়তা করবেন এই কামনা করছি। যারা সম্মেলনের স্পন্সর হতে চেয়েছেন, আইকন হয়েছেন এবং নানাভাবে সহযোগিতার অঙ্গিকার করেছেন-তারাও যেন তা অবিলম্বে পূরণ করে হোস্ট কমিটির কাজের গতি ত্বরান্বিত করেন। জাকারিয়া আরো বলেন, ফোবানা সম্মেলনকে প্রবাসীদের মহামিলনমেলা হিসেবে অভিহিত করা হয়। সে কারণে আমরা কাউকে মাইনাসে বিশ্বাসী নই। সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পর্যায়ে সংলাপ অব্যাহত রয়েছে। অনানুষ্ঠানিক বৈঠকও করেছি। সুতরাং থ্যাঙ্কসগীভিং উইকেন্ডের ফোবানার সাথে সকলেই সপরিবারে একিভূত হবেন এবং ফোবানার মূলচেতনা এগিয়ে নিতে আন্তরিক অর্থে সকলে সোচ্চার হবেন এ আশা করছি। ফোবানার নির্বাহী সচিব মাসুদ রব চৌধুরী বলেন, করোনা ভীতির মধ্যে অনেকেই স্বাচ্ছন্দে চলাফেরায় মনোনিবেশ করিনি। এতদসত্বেও ক্যালিফোর্নিয়া থেকে বিভিন্ন পথ ঘুরে উড়ে এসেছি এই অনুষ্ঠানে। কারণ হচ্ছে আমরা ফোবানাকে ভালবাসী, সবাই এক পরিবারের সদস্য ভাবি। আসন্ন সম্মেলনকেও এযাবতকালের সেরা সম্মেলন করতে আসুন সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি। সাবেক চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা, একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক নূরন্নবী বলেন, করোনার ভীতি সত্বেও স্বল্প সময়ের নোটিশে এই অনুষ্ঠানে এসেছি শুধুমাত্র সকলকে দেখানোর জন্যে যে, আমরা ঐক্যবদ্ধ এবং আসন্ন ফোবানা সম্মেলনকে সার্থক করতে বদ্ধ পরিকর। দেড় দশকেরও অধিক সময় যাবত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব চালিয়ে আসা ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুব রেজা রহিম বলেন, যে প্রত্যাশায় ফোবানার যাত্রা শুরু হয়েছে, তারই পরিপূরক বিভিন্ন কর্মসূচি দেখছি এই সম্মেলনে। ‘অদম্য বাংলাদেশ-অবাক পৃথিবী’ এবং ‘সবুজ জমিতে লাল নৃত্য’ দেখে নতুন প্রজন্ম আমাদের সংস্কৃতি ধারণ ও লালনে উৎসাহিত হবে-এটা বলা যায় নির্দ্বিধায়। সাবেক চেয়ারম্যান বেদারুল ইসলাম বাবলা বলেন, আমাদের সংস্কৃতি কিন্তু অনেক সমৃদ্ধ। তাই দীর্ঘ ৩৪ বছর থেকেই চেষ্টা করছি আমাদের বাঙালি সাহিত্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি নতুন প্রজন্মেরর চিন্তা-চেতনা-ভাবনা-মননে প্রবাহিত এবং প্রতিস্থাপিত করতে। সে আলোকেই আসন্ন সম্মেলনে নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এগুলোকে সাফল্যমন্ডিত করতে আমাদের মধ্যেকার টিমওয়ার্ক আরো জোরদার করতে হবে। সে অঙ্গিকারই করে গেলাম। ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ঐক্যবদ্ধ সম্মেলনের স্বার্থে সকলকেই কিছু না কিছু ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। সে মনোভাব থাকলেই ৩৫তম সম্মেলন সুন্দরভাবে অনুষ্ঠান করা সম্ভব। এক্ষেত্রে মিডিয়াসমূহকেও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা অব্যাহত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন মোহাম্মদ আলমগীর। ফোবানার নির্বাহী সদস্য গোলাম ফারুক ভূইয়া বলেন, এ আয়োজনে হোস্ট কমিটির আতিথেয়তায় আমরা গর্বিত, অভিভূত এবং অত্যন্ত আনন্দিত। এ থেকেই আমরা অনুমান করতে পারছি যে, ৩৫ তম সম্মেলনকে প্রবাসীদের মহামিলনমেলায় পরিণত করতে কতটা আন্তরিক ওয়াশিংটন মেট্রো এলাকার প্রবাসীরা। সাবেক চেয়ারম্যান নাহিদ চৌধুরী মামুন, ডা. মোহাম্মদ আলী, ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. আহসান চৌধুরী হীরু, কোষাধ্যক্ষ নাহিদুল এইচ খান, আউস্ট্যান্ডিং মেম্বার সাদেক খানও দৃঢ় অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন সর্বাত্মকভাবে সহায়তার। হোস্ট কমিটির প্রেসিডেন্ট ইনারা ইসলাম বলেন, ২০১৯ সালে নিউইয়র্ক সম্মেলনে ভোটের মাধ্যমে আমরা হোস্ট নির্বাচিত হয়েছি। এরপর বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের সময়েই করোনা মহামারির কবলে পড়েছি। পুরো একটি বছর ভীতির মধ্যে নিপতিত থাকায় কোন কাজই করা সম্ভব হয়নি। আর্থিকভাবে গোটা কমিউনিটি ক্ষত-বিক্ষত হওয়ায় সম্মেলনের বিশাল বাজেটের ধারে কাছেও যেতে পারিনি। করোনা থেকে জেগে উঠার প্রত্যয়েই আমরা সকলে এখন মাঠে নেমেছি। ইনারা ইসলাম বলেন, মহামারি থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি সকলের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, ওয়াশিংটন মেট্রো এলাকার প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচিত সকল সংগঠনই তাদের এই সম্মেলনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। তাই অনৈক্যের কোন প্রশ্নই উঠে না। হোস্ট কমিটির কনভেনর জি আই রাসেল বলেন, এর আগে আরো দুটি সম্মেলন করেছি। সে অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করেই এবারের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি। কারণ, ‘গ্যালর্ড রিসোর্ট এ্যান্ড ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারের ভাড়া বাবদ অনেক অর্থ লাগবে। কমিউনিটির সকলের আন্তরিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে আগের মত এই সম্মেলনকেও সাফল্যমন্ডিত করতে সক্ষম হবো। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরের খ্যাতনামা দুই শতাধিক ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অনেকেই ভিসা পেয়েছেন। পরিবর্তিত তারিখের মধ্যে অন্যেরাও ভিসা পেয়ে যাবেন বলে আশা করছি। অনুষ্ঠানের মধ্যেই বেশ কটি চেক গ্রহণ করে হোস্ট কমিটির কোষাধ্যক্ষ ড. ফাইজুল ইসলাম বলেন, সকলের চিত্ত উদার থাকলে কোন ভালো উদ্যোগই থমকে যায় না। এই ফোবানাও থামবে না। তিনি সকলের আন্তরিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকার কামনায় বিশেষ মোনাজাতে মিলিত হন। সম্মেলনের আইকন কবীর পাটোয়ারি এবং পারভিন পাটোয়ারি দম্পতি ছিলেন বেশ তৎপর। তারা নানাভাবে সকলকে উজ্জীবিত রাখেন গৃহিত কর্মসূচিকে চমৎকারভাবে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে। সমবেত সকলের জন্যে তারা বাসা থেকে নানা ধরনের খাবারও এনেছিলেন। মীট দ্য প্রেসে জড়ো হওয়া ফোবানার নেতৃবৃন্দ এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান হোস্ট সংগঠনের কর্মকর্তারা। আর এভাবেই ভার্জিনিয়ার ম্যানাসাসে উইনধ্যাম গার্ডেনের বলরুম বাঙালিদের উচ্ছ্বল পদচারনায় মুখরিত হয়েছিল। আয়োজকরা জানান, সম্মেলনে আগতদেরকেও প্রাণের সাথে প্রাণ মিলিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হবে। এ সময় সম্মেলনের প্রস্তুতি আলোকে আরো বক্তব্য রাখেন জসীমউদ্দিন, আকতার হোসেন, রেদওয়ান চৌধুরী, রোকেয়া হাসী, নাজিয়া জাহান, তুহিন ইসলাম, আবু সরকার, হাসান আলী, দেওয়ান জমীর পলাশ, শিরিন আকতার, সেলিম ইব্রাহিম, আইকন জেবা রাসেল, মাইনুদ্দিন দুলাল প্রমুখ। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর পর্বের আগে আসন্ন ফোবানার থিম সং-‘দ্য ব্রীজ’র অবমুক্ত করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরন্নবীসহ কর্মকর্তারা। এটি লিখেছেন সদস্য-সচিব শিব্বির আহমেদ এবং সুর দেন ইমতিয়াজ মজুমদার বিবেক। উল্লেখ্য, আসন্ন ফোবানার মিডিয়া পার্টনার হচ্ছে চ্যানেল আই, বাংলাদেশ প্রতিদিন, নিউজ টোয়েন্টিফোর, এনআরবি কানেক্ট, বিশ্ববাংলা টোয়েন্টিফোর, খবর ডটকম, সময় ইত্যাদি। 

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.