post
যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কে বসেই ই-পাসপোর্ট পাবেন প্রবাসীরা

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইমিগ্রেশন-ব্যবস্থার সাথে তাল রেখে বাংলাদেশও ই-পাসপোর্ট চালু করেছে। এতে প্রবাসীদের অনেকেরই প্রশ্ন, তারা কি বিদেশ থেকেই ই-পাসপোর্ট নিতে পারবেন, নাকি দেশে গিয়ে নিতে হবে। কারণ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বিভিন্ন দেশ থেকে আগেই মিলছিল। বাংলাদেশে যখন ই-পাসপোর্ট চালু হয়, তখন এটি যুক্তরাষ্ট্রে দেওয়া সম্ভব হয়নি। গত বছর থেকে এই সেবা যুক্তরাষ্ট্রে চালু হয়েছে। তাই নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশিরা বর্তমানে নিউইয়র্কে বসেই ই-পাসপোর্ট পেতে পারেন। চাইলে এই পাসপোর্ট ১০ বছর মেয়াদের জন্য নেওয়া যেতে পারে। অনলাইনে ই-পাসপোর্টের ফরম পূরণ করে ফি জমা দিতে হবে। অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে কনস্যুলেটে যেতে হবে। সেখানে বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এরপর পাসপোর্ট নিতে হবে। কনস্যুলেট সূত্রে জানা গেছে, ই-পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে আবেদনের সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

post
যুক্তরাষ্ট্র

তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশের পথপ্রদর্শক সাইফুদ্দাহার শহীদের প্রয়াণ, পিপলএনটেক সিইও'র শোক

নব্বই দশকের গোড়ার দিকে যুক্তরাষ্ট্র এসেছিলেন তিনি। এরপর কেটে গেছে তিন দশক। যুক্তরাষ্ট্র তখন আসেন ততদিনে তিনি প্রথিতযশা। কারন তিনিই ছিলেন প্রথম বাংলা বাণিজ্যিক সফটওয়্যার শহীদলিপির নির্মাতা। নাম সাইফুদ্দাহার শহীদ (সাইফ শহীদ)। থাকতেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের আলবুকার্কে। সেখানেই স্থানীয় সময় রোববার ৯ জানুয়ারি তার মৃত্যু হয়। বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।পরিবারের বরাতে খবরে প্রকাশ, আলঝেইমারে ভুগছিলেন সাইফুদ্দাহার শহীদ। ছিলো তিনি শারীরিক অন্যান্য জটিলতাও। সাইফুদ্দাহার শহীদ স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তার জানাজা কাল মঙ্গলবার বেলা একটায় আলবুকার্কের ইসলামিক সেন্টার অব নিউ মেক্সিকোতে (১১০০ ইয়েল বুলেভার্ড, এসই আলবুকার্ক) অনুষ্ঠিত হয়। তথ্যপ্রযুক্তির তখন উন্মেষকাল। তেমনি একটি সময়ে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসে সাইফুদ্দাহার শহীদ নিজে প্রোগ্রামিং করে কম্পিউটারে বাংলা লেখার সফটওয়্যার ‘শহীদলিপি’ তৈরি করেন। ১৯৮৫ সালে বাজারে আসে সে ফন্ট। অ্যাপল'র ম্যাকিন্টশ কম্পিউটারে বাংলা লেখার সে সফটওয়্যার তৈরি করেন সাইফ শহীদ। শহীদলিপির পাশাপাশি সাইফুদ্দাহার শহীদ সেই সময়ের ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমের ইউজার ইন্টারফেসও বাংলায় অনুবাদ করেন। এর ফলে ম্যাকের মনিটরে বাংলায় নির্দেশনা দেখা যেতো। সাইফুদ্দাহার শহীদক কম্পিউটারে বাংলা ভাষার প্রচলনের পথিকৃৎ। যতদিন প্রযুক্তিতে বাংলা ব্যবহৃত হবে, তত দিন সাইফুদ্দাহার শহীদ তথ্য প্রযুক্তির জগতে জাগরূক থাকবেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যন্ত্রকৌশলে স্নাতক ছিলেন সাইফুদ্দাহার শহীদ। বেক্সিমকো কম্পিউটারসে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। ন্যাশনাল কম্পিউটারস নামে ঢাকায় নিজের প্রতিষ্ঠানও চালু করেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসা খাতের প্রথম সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির প্রতিষ্ঠাকালীন সহসভাপতি ছিলেন সাইফুদ্দাহার শহীদ। ১৯৭৯ সালের ২০ মে তাঁর উদ্যোগ গঠিত হয় বাংলাদেশ অ্যামেচার রেডিও লিগ (বিএআরএল)। সাইফুদ্দাহার শহীদ ছিলেন বাংলাদেশ অ্যামেচার রেডিও প্রচলনেরও প্রধান পথপ্রদর্শক। তার ই উদ্যোগে ১৯৮২ সালে বিএআরএল আন্তর্জাতিক অ্যামেচার রেডিও ইউনিয়নের সদস্যপদ পায়। এরপর ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশে উন্মুক্ত হয় অ্যামেচার রেডিও। পিপলএনটেক সিইও'র শোক সাইফুদ্দাহার শহীদের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন পিপলএনটেকের সিইও, প্রযুক্তিবিদ আবুবকর হানিপ। এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, সাইফুদ্দাহার ছিলেন দেশের প্রযুক্তি জগতে পা ফেলা প্রতিটি মানুষের প্রেরণা। মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।

post
যুক্তরাষ্ট্র

শেষ হলো ৩৫তম আসর, 'ফোবানা শিক্ষা অ্যাওয়ার্ড' পেলেন চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ

বাংলাদেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসীদের ঐতিহ্যবাহী ফেডারেশন অব বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশনস ইন নর্থ আমেরিকা (ফোবানা)’র ৩৫তম সম্মেলনের পর্দা নেমেছে রোববার (২৮ নভেম্বর) মধ্যরাতে। এবার ফোবানায় বিশেষ চমক ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা প্রদান। এ ছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকেও সন্মাননা প্রদান করা হয়। ৩৫ তম ফোবানায় বিজনেস নেটওয়ার্ক লাঞ্জ, একাডেমিক সেমিনার, মহান মুক্তিযুদ্ধের উপর আলোচনা বিষয়ক সেমিনার, কালচারাল ইভেন্ট, দেশীয় পণ্যের উপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টল, ট্র্যাভেল এজেন্সি, আইগ্লোবাল ইউনিভার্সিটির স্টল ছিল উল্লেখযোগ্য। এবার ফোবানার টাইটেল স্পন্সর ছিল আই গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি ও এনাকন লিজিওন গ্রুপ। এছাড়াও আরও বেশ কিছু ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান স্পন্সর করেন। সম্মেলনের আহ্বায়ক জিআই রাসেল ও সদস্য সচিব ছিলেন শিব্বির আহমেদ।  ফোবানার মঞ্চে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা স্মারক প্রদানের পর উত্তরীয় পরিয়ে দেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ছিলেন লাবলু আনসার, রাশেদ আহমেদ, হারুন অর রশীদ এবং ড. নুরুন্নবী। মন্ত্রী নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় তাকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান নুরুন্নবী। বিশ্বে প্রথম বাংলাদেশি মুসলিম নারী হিসেবে ১৫০ টি দেশে সফল ভ্রমনকারী নাজমুন নাহারকে বিশ্ব বিজয়ী হিসেবে বিশেষ সন্মাননা অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এএবিইএ ফোবানা যৌথ ভাবে একাডেমীক সেমিনার আয়োজন করেন। যেখানে আইগ্লোবাল ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর এবং পিপলএনটেকের সিইও ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ মুল বক্তা ও গেস্ট অফ ওনার হিসেবে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আবুবকর হানিফ তার বক্তব্যে ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমীর সমন্বয়ের মাধ্যমে তার এই উদ্ভাবিত শিক্ষা পদ্ধতি দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন।তিনি তাঁর এই আইগ্লোবাল ইউনিভার্সিটিতে ২০২২ সালের শিক্ষাবর্ষে ১ মিলিয়ন ডলারের স্কলারশিপ ঘোষণা করেছেন। যেখানে ব্যাচেলর এবং মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের ৫০% থেকে ১০০% স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে এবং শিক্ষার্থীরা আইগ্লোবাল ইউনিভার্সিটির ওয়েব সাইটে https://www.igu.edu/ গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। এ ছাড়া প্রথম বাংলাদেশি আমেরিকান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের মুলধারার ইউনিভার্সিটি আইজিইউ’র সত্ত্বাধিকারী ও চ্যান্সেলর হওয়ায় এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখায় ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপকে ‘ফোবানা শিক্ষা অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। সম্মেলনের আহ্বায়ক জিআই রাসেল ও সদস্য সচিব ছিলেন শিব্বির আহমেদ। এছাড়া এক্সপার্ট প্যানেলে অংশ নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য রাখেন যারা তারা হচ্ছেন, ডঃ ফয়সাল কাদের, সভাপতি- এএবিইএ, কাজী জামান, সিইও, ক্রিকেট পয়েন্ট ডট নেট, সাহেদ ইসলাম, সিইও এসজে ইনোভেশন, শাহ আহমেদ, টেকনাফ আইএনসি, ডঃ আনিস রহমান এবং ফারহানা হানিপ, সিএফও, আইগ্লোবাল ইউনিভার্সিটি। এদিকে সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনেও বেশ কটি সেমিনার হয়েছে। সবগুলোতে সমৃদ্ধির পথে ধাবিত বাংলাদেশ নিয়ে পর্যালোচনামূলক আলোচনা হয়েছে। ‘বিজনেস নেটওয়ার্ক’ এ বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকারি মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেন মজেনা নিজের অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে জোর দিয়ে বলেছেন, ‘এশিয়ায় উদিয়মান টাইগার’ হচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বের কাতারে উঠার সংকল্পও অপূর্ণ থাকবে না যদি বর্তমানের নেতৃত্ব অব্যাহত থাকে এবং রাজনৈতিক স্থিতি অটুট রাখা সম্ভব হয়। এই নেটওয়ার্কে জর্জিয়া স্টেটের সিনেটর (ডেমক্র্যাট) শেখ রহমানও বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং রাজনীতিকদের আরো নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান। বাংলাদেশি আমেরিকানদের আমেরিকার মূলধারার রাজনীতিতে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।  এ আলোচনায় অংশ নিয়ে আই-গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর আবুবকর হানিফ বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনের সাথে সঙ্গতি রেখে বাংলাদেশকে আরো উদারতা প্রদর্শন করতে হবে। প্রবাসের দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্নদেরকেও জাতীয় উন্নয়নে সম্পৃক্ত হবার প্রত্যাশা পূরণে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। উন্নয়ন-অভিযাত্রায় রাষ্ট্রীয় নীতি-নির্ধারনীতে সাবব্জেক্ট-ম্যাটার এক্সপার্টদেরকে প্রাধান্য দিয়ে সমগ্র জনগোষ্ঠিকে উন্নয়নের ধারায় একিভুত করা সম্ভব হলে আর কোন শক্তিই বাংলাদেশকে পিছিয়ে নিতে সক্ষম হবে না। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম বলেছেন, বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে নিজস্ব অর্থ দিয়ে। এটি সম্ভব হচ্ছে প্রবাসীদের রেটিটেন্স এবং দেশমাতৃকার সার্বিক কল্যাণে আন্তরিক সহযোগিতায়। ফোবানার এই সম্মেলনেও একই চেতনা আমাকে অভিভূত করেছে। ফোবানা ৩৫তম সম্মেলনের শেষদিনে সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ইন্টারফেইথ কনফারেন্স। ইন্টারফেইথ সেন্টার অব ইউএসএ কর্তৃক আয়োজিত এই সেশন অনুষ্ঠিত হয় গত ২৮ নভেম্বর । কনফারেন্সটি পরিচালনা করেন সুখেন জোসেফ গোমেজ এবং সভাপতিত্ব করেন মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। এছাড়া ফোবানা সম্মেলনের তিন দিন ব্যাপী উৎসবের শেষ দিনেও ছিল বাংলাদেশি ও প্রবাসীদের দৃষ্টিনন্দন পরিবেশনা। সাদিয়া ইসলাম মৌ’র নৃত্য পরিবেশনায় মন কেড়েছে দর্শকদের। তিনদিনের উৎসবে সাবিনা ইয়াসমীন, রিজিয়া পারভীন, রবি চৌধুরী ও তাহসানের গানে মেতেছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সংগঠনগুলোর সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও ছিল দৃষ্টিনন্দন। গান গেয়েছেন শশী, শাহ মাহবুব, বকুল, শামীম সিদ্দিকী, রোকসানা মির্জাসহ অনেকেই। শেষ দিনে ফোবানার এক্সিকিউটিভ কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় রেহান রেজা চেয়ারম্যান এবং মেম্বার সেক্রেটারি পদে নির্বাচনে বিজয়ী হন মাসুদ রব চৌধুরী। নির্বাহী কমিটির সভায় আগামী ফোবানা সম্মেলন ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগো শহরে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়। উল্লেখ্য, ফোবানা একেক বছর অনুষ্ঠিত হয় একেক অঙ্গরাজ্যে। এ বছর লাল-সবুজের আয়োজনটি বসেছিলো যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী লাগোয়া অঙ্গরাজ্য মেরিল্যান্ডের গেইলর্ড হোটেলে। ম্যারিল্যান্ডের গেলর্ড ন্যাশনাল রিসোর্ট অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টার ম্যারিয়ট হোটেলের ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৮৮৯ স্কয়ার ফুটের মিলনায়তনে আসন সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। গত তিনদিনে বাংলাদেশিদের নিয়ে উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে আসা লাল ও সবুজের মিশেলে পাঞ্জাবি ও শাড়ি দৃষ্টি কেড়েছে স্থানীয়দেরও। গেইলর্ডে আসা অন্যদেশের লোকেরাও মিশে গিয়েছিলেন বাংলার সংস্কৃতিতে।

post
যুক্তরাষ্ট্র

ওয়াশিংটন ডিসিতে ৩৫তম ফোবানা সম্মেলন শুরু

'অদম্য বাংলাদেশ-অবাক বিশ্ব' স্লোগানে শুরু হয়েছে ৩৫তম ফোবানা সম্মেলন। শুক্রবার তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বাংলাদেশের ইতিহাস, শিল্প, সংস্কৃতির ঐতিহ্য তুলে ধরতে এবং আমেরিকান মূলধারার রাজনীতির সঙ্গে বাংলাদেশের সেতুবন্ধন জোরদার করার লক্ষ্যে এ সম্মেলন শুরু হয়। ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন আমেরিকান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি মেরিল্যন্ডের গেলর্ড ন্যাশনাল রিসোর্ট এন্ড কনভেনশন সেন্টারে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় মন্ত্রী বলেন, 'প্রবাসে বসবাসরত বাঙালিরা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তারা প্রত্যেকেই একজন রাষ্ট্রদূত। তাদের শ্রমের টাকাতেই বাংলাদেশের শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে উঠেছে। দেশ আজ নিজ টাকায় পদ্মা সেতু ও টানেল নির্মাণ করছে। গ্রামীণ অর্থনীতি জেগে উঠেছে। দেশের গ্রামগুলোতে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। রাস্তাঘাট পাকা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশ আজ রোল মডেল। আমাদের বাস্কেট আজ আর খালি নয়। প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থে আজ আমাদের বাষ্কেট ভর্তি হয়ে গেছে। দেশ আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।' জর্জিয়ার স্টেট সিনেটর শেখ রহমান তার শুভেচ্ছা বক্তৃতায় সবাইকে ভোটার রেজিষ্ট্রেশন করে ভোট প্রদানে উৎসাহ প্রদান করেন। তিনি বলেন, আমাদের সবকিছু আছে। এবার শুধু দরকার নিজেদের ক্ষমতায় নিয়ে যাওয়া। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, বিগত এক দশকে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে। এসময় তিনি বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চা ও প্রসারে ফোবানার প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানান। আয়োজক কমিটির আহবায়ক জিআই রাসেলের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব শিব্বির আহমেদের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফেবানা কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যন জাকারিয়া চৌধুরী, বাংলাদেশের জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ফরিদা ইয়াসমিন, ফোবানার টাইটেল স্পন্সর নাহিনুর রহমান, ফোবানার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ড. নুরুন্নবী, পিপল এনটেক এর নির্বাহী পরিচালক আবুবকর হানিপ, ইভেন্ট ম্যনেজমেন্ট এর স্বপন চৌধুরী, ফোবানার চিফ ইলেকশন কমিশনার মো. মাহবুবুর রহমান, সদ্য প্রেসিডেন্সিয়াল লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড -২০২১ এর একজন হিসেবে মনোনীত শাহ হালিম ও ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা বিভাগের প্রাক্তন প্রধান রোকেয়া হায়দার। ফোবানা নেতৃবৃন্দ জানান, সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে প্রতিযোগিতা, সেমিনার, মুভি ম্যারাথন, ফ্যাশন শো, সায়েন্স অ্যান্ড টেক ফেয়ার, জব ফেয়ার, বিশ্ববিদ্যালয় মিলনমেলা, মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা, বইমেলা, পুঁথি ও ছড়া পাঠের আসর, সবুজ জমিনে লাল বৃত্ত, সাহিত্য আড্ডা, ফোবানা ম্যাগাজিন, ফোবানা নিউজ বুলেটিন, ফোবানা ম্যারাথন, ফোবানা প্যারেডসহ থাকবে নানামুখী আয়োজন। তারা এই সম্মেলন সফল করতে ওয়াশিংটন মেট্রো ডিসি এলাকার সকল প্রবাসী বাংলাদেশিদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৭০টি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবারের সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছে। 

post
যুক্তরাষ্ট্র

নিউ ইয়র্কে ঐক্য-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠিত

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সংগীত অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান ‘ঐক্য-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস’। এ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান। ১৬তম চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন ইজাজ খান স্বপন। নিউ ইয়র্ক শহরে জমকালো এই আয়োজন মুখরিত ছিল প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপস্থিতিতে। এতে উপস্থিত ছিলেন আইগ্লোবাল ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপ, পিপলএনটেকের প্রেসিডেন্ট ফারহানা হানিপসহ অনেকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরকে স্মরণীয় করে রাখতেই নিউইয়র্কে ‘ঐক্য-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড এ ব্যাপক আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শাকিব খান ছাড়াও অংশ নিয়েছেন, আফজাল হোসেন, রফিকুল আলম, ফাহমিদা নবী, নকীব খান, কুমার বিশ্বজিৎ, মানাম আহমেদ, সামিনা চৌধুরী, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, ফেরদৌস আরা, এস আই টুটুল, কোনাল, সাংবাদিক মনজুর কাদের জিয়াসহ প্রমুখ। এই আসরে বাংলাদেশের সংগীতে বিভিন্নভাবে অবদান রেখেছেন এমন ৫০ জন গুণী শিল্পী, সুরকার ও গীতিকারকে দেওয়া হয় বিশেষ সম্মাননা। ৫০ জন শিল্পীর পাশাপাশি একজনকে আজীবন সম্মাননা দেয়া হয়।

post
যুক্তরাষ্ট্র

আইজিইউ’র ক্যাম্পাসে দীপাবলি উৎসব উদযাপন

আলোর উৎসব দীপাবলি। শুক্রবার দীপাবলি উপলক্ষ্যে সারা বিশ্বের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মেতে ছিল তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ উৎসবে। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় অবস্থিত আইগ্লোবাল ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে উৎযাপন করা হয় দীপাবলি উৎসব। শুক্রবার প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ক্যাম্পাসে এ দীপাবলি উৎসবের আয়োজন করা হয়। ক্যাম্পাসে দীপাবলি পালন করতে পেরে আনন্দিত প্রতিষ্ঠানটির হিন্দু শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আই গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপ, সিএফও ফারহানা হানিপ ও সভাপতি ড. হাসান কে বার্ক। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর আবু বকর হানিপ বলেন, আমাদের সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের দীপাবলি উৎসবের শুভেচ্ছা। দীপাবলির আলোতে সবার জীবন উজ্জীবিত হোক এটাই আমাদের কাম্য।

post
যুক্তরাষ্ট্র

প্রবাসীদের দেশে আরো বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ করার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্কটল্যান্ডে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি ভার্চুয়ালি যোগদান করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা প্রতিবন্ধকতাগুলো (আরো যদি থাকে) খুঁজে বের করব এবং আপনাদের আশ্বাস দিচ্ছি, সেগুলোর সমাধান করার মাধ্যমে বিনিয়োগের পরিবেশকে আরো সুবিধাজনক করব।’ কিভাবে বিনিয়োগ করতে হবে সেসব নির্দেশনা অনলাইনে পাওয়া যাবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিভাবে বিনিয়োগ করতে হবে বা করলে আপনাদের অসুবিধা হবে না ইতোমধ্যে বিডাতে (বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) সব ধরনের নির্দেশনা দেওয়া আছে। আপনারা বিডাতে অনলাইনে গেলে সব পেয়ে যাবেন।’ দেশে প্রচুর বিদেশি বিনিয়োগ আসছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ ব্যাপকভাবে আসছে। আমি এইটুকু বলবো যে বাংলাদেশকে আমরা সার্বিকভাবে উন্নতি করে দিচ্ছি।’ দেশে রেমিট্যান্স পাঠালে তার ওপর প্রণোদনা দেওয়া প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২ শতাংশ প্রণোদনার দাবি কেউ উঠাননি। এটা কোনোদিন কারো মাথায়ও আসেনি। স্বেচ্ছায় আমি নিজে থেকে দিয়েছিলাম।’

post
যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে ইতিবাচক ভাবে তুলে ধরার আহ্বান

বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে ইতিবাচক ভাবে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান আজাদুল হক বলেন, বাংলাদেশের গল্প গল্পগুলো আমরা সঠিক ভাবে তুলে ধরতে পারি না। সুতরাং বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে ব্রান্ড করতে আমাদের গল্পগুলো সঠিক ভাবে তুলে ধরতে হবে। তাহলে বিশ্ববাসী জানতে পারবে বাংলাদেশ সম্পর্কে।অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, অনেক ইনটিলিজেন্স ডিভাইস বাংলাদেশেই তৈরি করা সম্ভব। গত ৩০ অক্টোবর শনিবার এক নৈশ ভোজের আয়োজনের মধ্যে ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান আজাদুল হককে সংবর্ধনা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসীরা। ব্রিজ টু বাংলাদেশ এবং ম্যাক্স গ্রুপের সিইও আজাদুল হককে এ সংবর্ধনা দেয় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী প্রকৌশলীরা। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন আইগ্লোবাল ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপ।

post
যুক্তরাষ্ট্র

আইজিইউ’র শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

সাদিয়া ইসলাম: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ‘আই গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি’র (আইজিইউ) মাস্টার অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) সহ বিএসআইটি, এমএস সিএস, এমএসআইটি কোর্সে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ২৩ অক্টোবর শনিবার নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে নবাগতদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ভার্জিনিয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবের উজ্জ্বল ইতিহাস শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন। তারা বলেন, বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অসংখ্য শিক্ষার্থীর মধ্যে এখানে যারা ভর্তির সুযোগ পেয়েছে তারা নিঃসন্দেহে মেধাবী। প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কে বার্ক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়টির চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ নবাগত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকবৃন্দ অনেক অভিজ্ঞ। আপনাদের যে কোন সমস্যা তাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। তাদের অভিজ্ঞতা আপনাদের অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। শিক্ষার্থীদেরকে স্কিল ডেভেলপমেন্টের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ বলেন, সরকার প্রতি বছর ৮৫ হাজার দক্ষ কর্মী বিদেশ থেকে নিয়ে আসে ইউএসএতে। অথচ ইউএসএতে পড়ালেখা শেষ করে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদেরকে শুধুমাত্র একাডেমিকাল নলেজ নিয়ে ফিরে যেতে হয় নিজ দেশে। এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে প্রযুক্তিগত শিক্ষা সংমিশ্রণের অভাবকে। এখানে আসা স্টুডেন্টদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে প্রযুক্তিগত শিক্ষার সংমিশ্রণের মাধ্যমে ইউএসএ'র জব মার্কেটের জন্য যোগ্য করে গড়ে তোলাই আই গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি মূল লক্ষ্য বলে জানান তিনি। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য ইউনিভার্সিটি প্রযুক্তিগত শিক্ষায় দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ করেছেন এবং আশা করছেন তাদের এই চেষ্টার ব্যাপক সফলতা তারা পাবেন। তিনি আরো বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় সকল শিক্ষার্থীকে প্রাতিষ্ঠানিক ও কারিগরি শিক্ষা দিয়ে আসছে। যা যুক্তরাষ্ট্রে আর কোন বিশ্ববিদ্যালয় এখনো চালু করেনি। এটাই আমাদের বিশেষত্ব এবং ইতিমধ্যেই সে স্বীকৃতি আমরা পেয়েছি নিরপেক্ষ একটি সংস্থা পরিচালিত জরিপে। আইগ্লোবাল ইউনিভার্সিটির MBA প্রোগ্রামটির পরপর দ্বিতীয় বছরের জন্য Intelligent.com দ্বারা দেশব্যাপি প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য ১ নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে। Intelligent.com উচ্চ শিক্ষা পরিকল্পনাকারী একটি সংস্থা, শীর্ষ বিবিএ এবং এমবিএ প্রোগ্রামগুলো নির্ধারণের জন্য দেশের ১৭৭ টি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় মূল্যায়ন করেছে। প্রতিটি প্রোগ্রাম পাঠ্যক্রমের গুণগতমান, স্নাতকের হার, খ্যাতি এবং স্নাতকোত্তর কর্মসংস্থানের উপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করা হয়েছিল। সেরা ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায়ও এক নম্বর। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়টির সিএফও ফারহানা হানিপ নতুন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আই গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা এ দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে অনেক কম খরচে ও সুন্দর মনোরম পরিবেশে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে।ফারহানা হানিপ আরও বলেন, পিপলএনটেক আই গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। সেখানে আমি ১৬ বছর কাজ করেছি। সেহেতু স্কিল ডেভেলপমেন্টের অভিজ্ঞতাকেও আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারবো। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট (অপারেশন এ্যান্ড রেজিস্টার) ড. শান চো, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ডিস্ট্যান্ট এডুকেশন) ড. জেফরী জি পিরিম, আইটি স্কুলের পরিচালক এ্যাপোস্টোলস ইলিওপোলাস, পরিচালক (স্কুল অব বিজনেস) ড. মার্ক এল রবিনসন, ফাইবার এ্যাট হোম লিমিটিডে, বাংলাদেশের সিইও এবং ভার্জিনিয়াস্থ ক্রিকেট পয়েন্টের সিইও কাজী জামান, ওয়েস্টার্ন ইলিনয় ইউনিভার্সিটির এলামনাই এবং বিজনেস এনালিস্ট মো. আবুবকর সিদ্দিক, মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. সালমান এলবেদুরসহ বিভিন্ন কোর্সের শিক্ষকবৃন্দ। উল্লেখ্য, ১২ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই ইউনিভার্সিটির পুরো মালিকানা ক্রয় করেছেন আবুবকর হানিপ। এবং মার্কিন মুল্লুকে বাংলাদেশি আমেরিকানের মালিকানাধীন এটিই হচ্ছে এখন পর্যন্ত একমাত্র পূর্ণাঙ্গ একটি ইউনিভার্সিটি।

post
যুক্তরাষ্ট্র

বাফেলোতে পিপলএনটেকের ক্যাম্পাস খোলার আহ্বান মেয়রের

নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের বাফেলো শহরে স্বনামধন্য আইটি প্রতিষ্ঠান পিপলএনটেকের একটি নতুন শাখা উদ্বোধনের আহ্বান জানিয়েছেন শহরটির মেয়র বাইরন ব্রাউন। গতকাল শুক্রবার আইটি প্রতিষ্ঠান পিপলএনটেকের সিইও এবং আই গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর আবু বকর হানিপ বাফেলো শহরে অবস্থিত বিআইসিসি মসজিদ পরিদর্শন করেন। মসজিদ পরিদর্শন শেষে চ্যান্সেলর হানিপ মেয়র বাইরন ব্রাউনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাফেলো বাংলা পত্রিকার সম্পাদক নিয়াজ মাকদুম। এ সময় মেয়র ব্রাউন বলেন, দেড় দশকের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে আইটি প্রতিষ্ঠান পিপলএনটেক প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য কাজ করছে এবং তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রের মেইন স্ট্রিমে চাকুরী প্রদান করেছে। যদি বাফেলো শহরে পিপলএনটেকের একটি শাখা করা হয় তাহলে এখানকার অনেক বাংলাদেশীরা উপকৃত হবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ২০০৫ সাল থেকে বাফেলো শহরের নির্বাচিত মেয়র মি. ব্রাউন তাকে আগামী নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত করার জন্য সেখানকার জনগনের প্রতি আহ্বান জানান। মি. ব্রাউন বলেন গত ষোল বছরে তিনি বাফেলো শহরের উন্নয়নের জন্য অনেক কাজ করেছেন। ‘আমি আজ আপনাদের সামনে এসেছি—আগামী নির্বাচনে আপনারা ভোট দিয়ে আমাকে পুনরায় নির্বাচিত করবেন এই আহ্বান জানাতে। সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষ যাতে এখানে নিরাপদ এবং আস্থার সাথে ব্যাবসা-বাণিজ্য করতে পারে সে জন্য আমি কাজ করে যাব,’ তিনি যোগ করেন। এ সময় ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপ মেয়রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ইতোমধ্যে ভার্জিনিয়া থেকে নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া পর্যন্ত আমাদের পিপলএনটেকের ক্যাম্পাসের বিস্তার ঘটেছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাফেলো শহরে একটি ক্যাম্পাস তৈরি করার পরিকল্পনা করছি। ‘আমি আশা করি পিপলএনটেকের মাধ্যমে এখানকার বাঙ্গালী কমিনিটি উপকৃত হবেন। যদি তারা পিপলএনটেক থেকে সঠিকভাবে আইটি প্রশিক্ষণ নেয়, তবে তাদের আর অড জব করতে হবে না। তারা অনেক ভালো বেতনে এই দেশের মেইন স্ট্রিমে চাকুরী করতে পারবেন,’ যোগ করেন তিনি। এদিকে বাফেলো বাংলা পত্রিকার সম্পাদক নিয়াজ মাকদুম বলেন এই শহরে প্রায় পঞ্চাশ হাজারের মত বাংলাদেশী বাস করেন যাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ খুবই কম। সুতারাং যদি পিপলএনটেকের মত একটি স্বনামধন্য আইটি প্রতিষ্ঠান এখানে শাখা উদ্বোধন করে তাহলে এখানকার বাংলাদেশীরাসহ অন্যান্যরাও উপকৃত হবেন বলে তিনি মনে করেন। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে যাত্রা শুরু করে পিপলএনটেক’র ক্যাম্পাস বাংলাদেশসহ ভার্জিনিয়া থেকে নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়ায় বিস্তৃত হয়েছে। অনলাইনেও ক্লাস নিচ্ছে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ভারতসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশের ছাত্র-ছাত্রীরা। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে মোমেন ২০১৯ সালে নিউইয়র্কে ক্যাম্পাস পরিদর্শনকালে প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রায় সাত হাজার বাংলাদেশীদের উচ্চ বেতনে চাকুরী প্রদানে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য পিপলএনটেকের প্রচেষ্টাকে ‘বৈপ্লবিক উদ্যোগ’ বলে উল্লেখ করেন। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা আবুবকর হানিপকে একজন ‘ম্যাজিকম্যান’ উপাধি দিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেন।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.