post
যুক্তরাষ্ট্র

বৃহত্তর ওয়াশিংটন ডিসিতে তৃতীয় বইমেলা আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু

আগামী ২৯-৩০শে অক্টোবর বৃহত্তর ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠেয় তৃতীয় বইমেলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার আয়োজক কমিটির সদস্যসহ শুভাকাঙ্খীদের প্রথম প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বইমেলা আয়োজনের বিস্তারিত বিষয়ে উঠে আসে।সভায় বইমেলা সফলভাবে আয়োজনের কর্মকৌশল নির্ধারণ ও বিভিন্ন কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা করা হয়। এবারের বইমেলায় বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালকসহ লেখক, সাহিত্যিক, কবি, শিশু সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিত্বগণ উপস্থিত থাকবেন বলে সভায় জানানো হয়। সভায় জানানো হয়, এবারের বইমেলার অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে - বইমেলায় আগতরা প্রখ্যাত কবি, সাহিত্যিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে আলাপচারিতার সুযোগ। এছাড়া, পাঠ উন্মোচন, কিশোর-কিশোরীদের চিত্রাংকন, বিশেষ নৃত্য, গানের ছোঁয়ায় কবিতা, শর্ট ফিল্ম ইত্যাদি থাকছে এবারের বই মেলায়। আয়োজকরা জানান, পারিবারিক ছুটিতে বইমেলা উপভোগের পাশাপশি রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি’র আশেপাশের ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শণের সুযোগ গ্রহণ করতে ডিসকাউন্ট মূল্যে ভার্জিনিয়ার স্প্রিংফিল্ডের হলিডে ইন এক্সপ্রেস হোটেলে অবস্থানের সুবিধা পাওয়া যাবে।  সভায় আয়োজক কমিটির আহবায়ক দস্তগীর জাহাঙ্গীরের উপস্থাপনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বইমেলার প্রধান উপদেষ্টা ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা বিভাগের প্রাক্তন প্রধান রোকেয়া হায়দার। মেলার প্রধান পৃষ্টপোষক মাজহারুল হক, উপদেষ্টা ড. নজরুল ইসলাম ও ড. আরিফুল ইসলাম, প্রধান সমন্ময়ক আতিয়া মাহজাবীন নীতু, গত বইমেলার প্রধান সমন্ময়ক সামিনা আমিন, শিল্পী মনি দিনা ও মেরিনা রহমান, ম্যাগাজিন কমিটির প্রধান রায়হান আহমেদ, চিত্রকর ইফতেখার সিদ্দিক, সমন্ময়ক মনি রিয়াদ, রিয়াদ, রাশেদ, হাসনাত সানী, আসিফ ও তারেক মেহেদী উপস্থিত ছিলেন।

post
যুক্তরাষ্ট্র

এনওয়াইপিডিতে বাংলাদেশি-আমেরিকান পুলিশ অফিসার: গর্ব ও সাফল্যের নতুন অধ্যায়

নূর এলাহী মিনা, নিউইয়র্কযতদুর জানা যায় সংস্থা হিসেবে প্রথম পুলিশি ব্যবস্থার সুত্রপাত হয় খ্রীস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দে, মিশরীয় সভ্যতায়। ঠিক সমসাময়িক সময়ে ইউরোপীয় সভ্যতাসমূহেও কোনো না কোনো ধারায় পুলিশি ব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল। নরম্যানদের ইংল্যান্ড বিজয়ের আগে ১০৬৬ সাল থেকে ইংল্যান্ডে সূচনা হয়েছিল অপেক্ষাকৃত পরিশীলিত এক পুলিশি ব্যবস্থা। এটি ছিল সম্প্রদায়ভিত্তিক। স্যাক্সন ফ্র্যাঙ্কপ্লেজ (অ্যাংলো-স্যাক্সন সিস্টেম) এর আওতায় পরিচালিত এই ব্যবস্থায় সকল প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ একে অপরের সদাচরণের জন্য দায়ী থাকতেন এবং তাদের আরও দায় ছিল একত্রিতভাবে সম্প্রদায়কে সুরক্ষিত রাখার। আরও পরে ১৮২৯ সালে ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ রবার্ট পিল, আধুনিক পুলিশিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে যার কথা বলা হয়ে থাকে, ‘গণতান্ত্রিক পুলিশিংয়ের নীতি’ চালু করেন। পুলিশ শব্দটি এসেছে প্রাচীন গ্রিক শব্দ polis থেকে, যার অর্থ "শহর"।এসব তথ্যে ধারণা করা যায়, সভ্যতার সূচনালগ্নে যে সকল প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল, পুলিশ তার মধ্যে অন্যতম। যুগে যুগে কালে কালে সকল তর্ক-বিতর্কের বাইরে এসে একটিই প্রতিষ্ঠিত সত্য পুলিশ বাহিনীর জন্য প্রযোজ্য, তা হলো ‘পুলিশ জনগণের বন্ধু’। ‘পরিক্ষীত বন্ধু’।২০১৭ সালের কথা। তখন কোনো এক কারণে আমার থার্ড গ্রেডার কন্যাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, রাস্তায় বিপদে পড়লে প্রথমে কার কাছে সাহায্য চাইবে? তার সহজ উত্তর ছিল ‘পুলিশ’। কারন ক্লাস টিচার এটি তাকে শিখিয়ে দিয়েছেন। সকালে বাচ্চাদেরকে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার সময় দেখি প্রতিটি ক্রসিংয়ে দায়িত্ব পালন করেন স্কুল পুলিশ সদস্যরা। পরম যত্নে ও নিরাপত্তার সাথে বাচ্চাদের স্কুল অব্দি পৌঁছে দেন তাঁরা। স্কুল চলাকালে ফ্রন্ট ডেস্কেও দায়িত্ব পালন করেন পুলিশ সদস্যরা। ‘৯১১’ নিউইয়র্কের বিশ্বস্ত তিনটি ডিজিট। যার ওপর ভরসা করে বাঁচেন এই নগরবাসী। কল হলে মূহুর্তের মধ্যে পৌঁছে যাবে পুলিশ আপনার ঠিকানায়, পরের সকল দায়িত্ব তাঁদের। এমন হাজারো মানবীয় উদাহরণ রয়েছে পুলিশকে ঘিরে, সারা পৃথিবীতেই।আমার এই আলোচনা অবশ্য সকল পুলিশ কিংবা পুলিশ বাহিনী নিয়ে নয়। বরং সুনির্দিষ্ট করে ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান ‘নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এনওয়াইপিডি)’-তে বাংলাদেশি-আমেরিকান পুলিশ অফিসারদের গৌরবগাঁথা নিয়ে। এটি আমেরিকার মতো দেশে বাংলাদেশিদের একটি বড় অর্জন বলেই আমি বোধ করি। ডেটলাইন ৩১ মে ২০২২, সন্ধ্যা। লোয়ার ম্যানহাটানের ওয়ান পুলিশ প্লাজা। এটি এনওয়াইপিডি’র সদরদপ্তর। এর সুপরিসর অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল “এশিয়ান হেরিটেজ সেলিব্রেশন ২০২২”। অনুষ্ঠানটিতে আমার উপস্থিত থাকার সুযোগ হয়েছিল। এনওয়াইপিডি’র ভ্রাতৃবৎ (Fraternal) সংস্থাসমূহের এশিয়ান অংশ সেদিন প্রদর্শণ করেছিল তাদের সম্মৃদ্ধ ঐতিহ্যের নানা দিক। সাথে ছিল আবহমান সংস্কৃতির অন্যতম অনুসঙ্গ ‘খাবার’। একে একে মঞ্চে এলো এশিয়ান জাদে (Jade), কোরিয়ান আমেরিকান অফিসার্স এসোসিয়েশন, দেশি সোসাইটি, বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন, ইন্ডিয়ান অফিসার্স সোসাইটি, পাকিস্তানি অ্যামেরিকান ল' এনফোর্সমেন্ট সোসাইটি, ও শিখ (Sikh) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। নিউইয়র্কের খ্যাতনামা সাংস্কৃতিক সংগঠন “বাপা” গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করল বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে। হল জুড়ে ভেসে এলো রবীন্দ্র সঙ্গীতের মূর্ছনা... “চেনা শোনার কোন বাইরে..”; আর হাল সময়ের দুর্দান্ত জনপ্রিয় “চলো বাংলাদেশ, চলো বিজয়ের টানে চলো বাংলাদেশ, চলো বিশ্ব উঠানে চলো বাংলাদেশ..”। গানের সাথে মনকাড়া নৃত্য।একটি টেবিলে বসে আছি। আশেপাশে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন কমিউনিটির মানুষ। খাবারের প্লেটে বিরিয়ানি, বাংলাদেশি মিষ্টি, মুরগির কোর্মা, ও বিভিন্ন দেশি ফিঙ্গার ফুড। এছাড়া রয়েছে ভারতীয়, কোরীয়সহ অন্যান্য আমেরিকান-এশিয়ান সংমিশ্রণের খাবার। পাশের সাংবাদিক বন্ধুটি বলে উঠলেন, “ভাবা যায়, এনওয়াইপিডি হেডকোয়ার্টারে বসে বাঙালি খাবার খাচ্ছি!”। মৃদ্যু হেসে বললাম, যা ভাবা যেতনা, তা এখন বাস্তবতা। সুদীর্ঘ পথচলায় এনওয়াইপিডির বাঙালি অফিসার ভাইয়েরা এটি অর্জন করেছেন, আমরা আজ তার স্বাক্ষী। দৃঢ়তার সাথে বললাম, হয়তো সেদিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন বাংলাদেশি অফিসারদের মধ্য থেকে কেউ চিফ অফ দ্য ডিপার্টমেন্ট হবেন, পুলিশ কমিশনার হবেন।বর্তমানে ১৬০০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি অফিসার এনওয়াইপিডির বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্ব পালন করছেন, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন ৫৩২ জন ইউনিফর্মড অফিসার এবং ১১০০ সিভিলিয়ান। রয়েছেন ৪ জন ক্যাপ্টেন, ১ জন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার, ১০ জন লেফটেন্যান্ট, ৪০ সার্জেন্ট ও ১২ জন ডিটেক্টিভ। সিভিলিয়ান (আন-আর্মড) পুলিশ সদস্যরা স্কুল সেফটি এজেন্ট, ট্রাফিক এজেন্ট, স্কুল ক্রসসিং গার্ড হিসাবে কর্মরত।এখানে পুলিশ বাহিনীর পদক্রমের প্রাথমিক ধাপে যোগ দিতে হয় ক্যাডেট প্রবেশনারি পুলিশ অফিসার হিসেবে। প্রশিক্ষণ ও প্রবেশনারি পেরিয়ড শেষে পুলিশ অফিসার হিসবে পদায়িত হন। এরপর সার্জেন্ট থেকে লেফটেন্যান্ট, লেফটেন্যান্ট থেকে ক্যাপ্টেন, ক্যাপ্টেন থেকে ডেপুটি ইন্সপেক্টর, ডেপুটি ইন্সপেক্টর থেকে ডেপুটি চিফ এবং ডেপুটি চিফ থেকে অ্যাসিসট্যান্ট চিফ, সেপদ থেকে চিফ হয়ে হন চিফ অব দ্য ডিপার্টমেন্ট এবং সবশেষে সর্বোচ্চ পদ পুলিশ কমিশনার। এছাড়া ডিটেকটিভদের জন্য রয়েছে সার্জেন্ট থেকে ক্যাপ্টন পর্যন্ত আলাদা পদবিন্যাস। অফিসার থেকে ক্যাপ্টেন পর্যন্ত সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হয়। ক্যাপ্টেন থেকে শীর্ষপদ পর্যন্ত আর কোনো পরীক্ষা নেই। দক্ষতা ও যোগ্যতার আলোকে সিটি মেয়রের সুপারিশে এসকল কর্মকর্তা চিফ অফ দ্য ডিপার্টমেন্ট এমনকি পুলিশ কমিশনার পর্যন্ত হতে পারেন। তবে বলে রাখা ভালো চিফ অব দ্য ডিপার্টমেন্ট হচ্ছেন ইউনিফর্মধারী পুলিশের সর্বশেষ ও সর্বোচ্চ পদ, এটি চার তারকা মর্যাদার। পুলিশ বাহিনীর অভিভাবক হিসেবে সিটি মেয়র পুলিশ কমিশনার নিয়োগ দেন। তিনি যে কোনো ব্যক্তি হতে পারেন, তবে অব্যশই আইন-শৃঙ্খলা বা পুলিশিং সংক্রান্ত পড়াশোনা বা জ্ঞানধারীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এটি পাঁচ তারকা মর্যাদার। এছাড়া ডেপুটি কমিশনার বা ফার্স্ট ডেপুটি কমিশনার পদে যে কোনো কাউকে (প্রযোজ্য যোগ্যতাসম্পন্ন) নিয়োগ দিতে পারেন মেয়র। ফার্স্ট ডেপুটি কমিশনার পদটি সিভিলিয়ান পদ হলেও তা চার-তারকা মর্যাদার। বর্তমানে একজন সাংবাদিক জন মিলার এনওয়াইপিডি’র ডেপুটি কমিশনার এর দায়িত্ব পালন করছেন।যাহোক আবার ফিরে আসি বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ কর্মকর্তাদের সফল্যগাঁথা নিয়ে। এনওয়াইপিডির ৬৯ প্রিসিঙ্কট'র কমান্ডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ক্যাপ্টেন খন্দকার আব্দুল্লাহ। প্রথম বাংলাদেশি ও দক্ষিণ এশিয়ান হিসেবে এনওয়াইপিডির গোয়েন্দা স্কোয়াডে লেফট্যানেন্ট কমান্ডার পদে দায়িত্ব পালন করছেন শামসুল হক। এছাড়া ক্যাপ্টেন কারাম চৌধুরী, ক্যাপ্টেন মিলাদ খান, ক্যাপ্টেন পারুল আহমেদ নগরীর বিভিন্ন ডিভিশনে নির্বাহী অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন। ট্রাফিক ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন মোহাম্মদ রহমান ও আনোয়ারুল কাদির। সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস এর এক্সিকিউটিভ ডিটেইলে রয়েছেন সার্জেন্ট এরশাদ সিদ্দিকী ও সার্জেন্ট হুমায়ুন কবীর।১৮৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এনওয়াইপিডি যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ ও প্রাচীনতম পুলিশি প্রতিষ্ঠান, যার রয়েছে ৩৬ হাজার অফিসার এবং ১৯ হাজার সিভিলিয়ান সদস্য। প্রত্যাশা, হাডসন ও ইস্ট নদীর প্রবাহের মতো অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাবেন এনওয়াইপিডিতে কর্মরত বাংলাদেশি অফিসাররা। কোন একদিন হয়তো নির্ঘুম এই নিউইয়র্ক নগরীর জল-স্থল-অন্তরীক্ষের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বিধানের সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন করবেন কোনো এক বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অফিসার; যাঁর অবয়বে থাকবে বজ্রকঠিন দৃঢ়তা, অসম সাহস- কারণ তার পূর্বপুরুষগণ যুদ্ধ করে একটি স্বাধীন সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যেটি অদম্য এক জাতিরাষ্ট্র, যেটি অদম্য এক দেশ -বাংলাদেশ; যার জনকের নাম শেখ মুজিবুর রহমান।আবার এমনই উষ্ণ বা শীত শীত কোন সন্ধ্যায় আলোঝলমল নিউইয়র্কের মঞ্চ কাঁপিয়ে সমস্বরে গেয়ে উঠবে বাংলাদেশি কোনো দল .. “চলো বাংলাদেশ, চলো বিজয়ের টানে চলো বাংলাদেশ, চলো বিশ্ব উঠানে চলো বাংলাদেশ..”। কৃতজ্ঞতা জামিল সারোয়ারের প্রতি। খ্যাতনামা ডিটেকটিভ, এনওয়াইপিডি। তিনি লেখাটিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন।

post
যুক্তরাষ্ট্র

‘মুজিব আমার পিতা’র প্রিমিয়ার শো নিউইয়র্কে

বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র ‘মুজিব আমার পিতা’র বিশেষ প্রদর্শনীতে থাকা প্রবাসীরা বিশেষ এক মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পিনপতন নিরবতায় তা দেখলেন। পিতার সাথে সন্তানের মায়ার বন্ধনকে ছাড়িয়ে যায় টুঙ্গিপাড়ার দূরন্ত ছেলে খোকার বঙ্গবন্ধু থেকে বাঙালি জাতিরজনক হয়ে উঠার ধারাবিবরণীতে। বিশ্বের অবহেলিত-বঞ্চিত মানুষদের কন্ঠস্বর হিসেবে খ্যাতি অর্জনকারি শেখ মুজিবের সুদীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের খুবই ছোট্ট একটি অধ্যায়ের মধ্যদিয়ে ‘মুজিব আমার পিতা’ ছবিটি তৈরী হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার লেখা ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ গ্রন্থের অবলম্বনে। ১৯৪৯ থেকে ১৯৫২ সালের মধ্যেকার ভাষা আন্দোলনকে মূলতঃ প্রেক্ষাপট করা হয়েছে এই চলচ্চিত্রে।বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে নির্মিত ছবিটি প্রদশিত হয় ৮ মে রোববার নিউইয়র্ক সিটির ফ্লাশিংয়ে বম্বে থিয়েটারে। ফ্রি প্রবেশাধিকারের এই প্রদর্শনীতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রবাসীদের সাথে বীর মুক্তিযোদ্ধারাও ছিলেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমাসহ শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে প্রদর্শনীর শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম। শেষে ছবির ওপর নিজের মতামত ব্যক্ত করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক। ছবিটি নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা আলোকপাত করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।বিদগ্ধ দর্শকেরা অভিমত দিয়েছেন যে, এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে আরো আকর্শনীয়ভাবে উঠে এসেছে। চলচ্চিত্রের দৃশ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের সামনে প্রতীয়মান হয়েছেন এক ভিন্ন আঙ্গিকে। একজন কন্যার চোখ দিয়ে আমরা পিতাকে দেখতে পেলাম এই মুভিতে, বলেন তারা। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তাঁর দৃষ্টিতে পিতা শেখ মুজিবকে কীভাবে দেখেছেন, কীভাবে বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেছেন তা এতে বিবৃত হয়েছে বস্তুনিষ্ঠভাবে। সেই অবিসংবাদিত নেতার শৈশব, কৈশোরসহ তাঁর কর্মময় জীবনের নানাদিক বিভিন্ন আঙ্গিকে উঠে এসেছে ছবিতে। মূলত: বঙ্গবন্ধুর জন্ম থেকে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন পর্যন্ত সময়কে এই অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বাইগার নদীর তীরে টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেয়া ছোট্ট খোকা কীভাবে একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন, কীভাবে স্বাধীনতার সেইপথে তিনি ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়েছিলেন এবং কীভাবে তিনি বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হয়ে উঠলেন, সেই পথচলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই চলচ্চিত্রে উপস্থাপিত হয়েছে।এটি পরিচালনা করেছেন সোহেল মোহাম্মদ রানা। এর মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রেরর এক নতুন দ্বার উম্মোচিত হয়েছে বলেও অনেকে উল্লেখ করেছেন। অতিথি-দর্শকের মধ্যে আরো ছিলেন অপরাজিত হক এমপি. নুরুল আমিন এমপি এবং নাহিদ ইজাহার খান। ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রের অন্য স্টেটেও প্রদর্শিত হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী পলক।

post
যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রে ঈদুল ফিতর উদযাপন, মসজিদে মসজিদে বিশ্ব মানবতার সুখ-সমৃদ্ধি কামনা

যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের সর্ববৃহৎ আনন্দ উদযাপন ঈদ-উল ফিতরে মসজিদে মসজিদে হলো ঈদের জামায়াত। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে মুসলমানরা আদায় করেন ঈদের নামাজ। একই সঙ্গে তারা সম্মৃদ্ধ হলেন পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধে। ওয়াশিংটন ডিসিতে ইসলামিক সেন্টারে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয় ঈদের জামাত। ভার্জিনিয়ায় অ্যাডামস সেন্টার, মেনাসাস উইনড্যাম গার্ডেনে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। এসব জামায়াতে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশ নেন। যাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিরাও ছিলেন।  দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করেই বিপুলসংখ্যক মুসল্লির অংশগ্রহণে নিউইয়র্ক অঞ্চলের মসজিদসমূহে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২ মে সোমবার প্রতিটি মসজিদের ভেতরে দুয়ের অধিক জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতে বিশ্ব মানবতার কল্যাণে পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ কামনা করা হয়। ওয়াশিংটন মেট্র, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, মিশিগান, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া, টেক্সাস, লসএঞ্জেলেস, ফিনিক্স, বস্টন, কানেকটিকাট, ওহাইয়ো, শিকাগো থেকে যথাযথ মর্যাদায় ঈদ উদযাপনের সংবাদ পাওয়া গেছে। নিউইয়র্কে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার, এলমহার্স্টে মসজিদ আল তৌফিক, বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টার, আল আমান মসজিদ, মসজিদ মারজান, আল আমিন মসজিদ, বেলাল মসজিদ, ব্রুকলীন ইসলামিক সেন্টার, পার্কচেস্টার জামে মসজিদে বড় আকারের একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, বৃষ্টি থাকায় এবার জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের উদ্যোগে সর্ববৃৎ ঈদ জামাত এলাকার খোলা মাঠে করা সম্ভব না হলেও জামাতের প্রস্তুতি লগ্নে বৃষ্টির তাণ্ডব কমলে মসজিদের বাইরের রাস্তাতেও মুসল্লিরা দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেন। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষ্যে মুসলমানদের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আর উল্লেখ করেছেন, তার প্রশাসন ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। মুসলিম আমেরিকানসহ সারাবিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়কে ‘ঈদ মুবারক’ জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনী ব্লিঙ্কেন ২ এপ্রিল সোমবার প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেছেন, এ মাসের শেষার্ধে স্টেট ডিপার্টমেন্টে ঈদ-উৎসবের আয়োজন করা হবে। সেখানে মুসলিম দেশসমূহের সকল কূটনীতিক ছাড়াও মুসলিম আমেরিকানদের প্রতিনিধিত্বকারি বিশিষ্টজনরাও থাকবেন। উল্লেখ্য, ঈদের দিনই হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় ঈদ-উৎসব। যুক্তরাষ্ট্রে ঈদের প্রতিটি জামাতেই করোনা থেকে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পরম করুণাময়ের দয়া প্রার্থনার পাশাপাশি বিশ্বকে যুদ্ধ-বিগ্রহ থেকে মুক্ত থাকার জন্যেও সৃষ্টিকর্তার করুণা কামনা করা হয়। জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ঈদ জামাতে মূলধারার নেতৃবৃন্দ, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল ড. মুনিরুল ইসলামসহ কম্যুনিটির বিশিষ্টজনের আধিক্য ছিল বলে জানান সাংবাদিক শাহ ফারুক। নতুন প্রজন্মের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলীনে বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টারে ৫ হাজারের অধিক মুসল্লী একত্রে ঈদ জামাতে অংশ নেন।

post
যুক্তরাষ্ট্র

‘ঈদ মোবারক’ লাইটিংয়ে ঝলসে উঠল জ্যাকসন হাইটস

১৩ বছর পর আবারও ‘ঈদ মোবারক’ লাইটিংয়ে ঝলসে উঠলো উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশিদের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটস। অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানে ঈদ উপলক্ষে এই বিশেষ আলোক সজ্জার উদ্বোধন করেন ‘জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস এসোসিয়েশন, এনওয়াই’র (জেবিবিএ) কর্মকর্তাসহ প্রবাসীরা। ‘ওয়েল কাম জ্যাকসন হাইটস’ লেখার নিচেই ‘ঈদ মোবারক’ ঝলসে উঠছে আলোক-প্রক্ষেপণে। এরমধ্য দিয়ে করোনায় বিপর্যস্ত প্রবাসীরা ঈদ আমেজে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার অনুপ্রেরণা পেলেন বলে অনেক পথচারি মন্তব্য করেন।ফিতা কেটে আলোক-সজ্জা কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় ছিলেন জেবিবিএর প্রেসিডেন্ট হারুন ভূইয়া, সেক্রেটারি ফাহাদ সোলায়মান, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলম নমী, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য কামরুজ্জামান বাচ্চু, নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ পিয়ার, কাজী মন্টু, মহসিন ননী, সেলিম হারুন, ড. রফিক আহমেদ, মোহাম্মদ দুলাল, বারি হোমকেয়ারের কর্ণধার আসিফ বারি টুটুল, হাসিনা বারি, সাখাওয়াত বিশ্বাস প্রমুখ। ইফতারের পর সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে ‘ঈদ মোবারক’ আলোক রশ্মিতে ভিন্ন এক আমেজে আপ্লুত হচ্ছেন ক্রেতা-সাধারণ। জেবিবিএর উদ্যোগে এর আগেও ঈদ উপলক্ষে রমজানের শুরুতে আলোকসজ্জা করা হয়েছিল। কিন্তু ২০০৯ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। অতি সম্প্রতি জেবিবিএর নেতৃত্বে হারুন-ফাহাদ আসার পরই জ্যাকসন হাইটসে ক্রেতা-সাধারণের কাছে আরো বেশি আকৃষ্ট করতে নানামুখী পদক্ষেপের এটি অন্যতম একটি। জেবিবিএর সেক্রেটারি এবং কুইন্স বরো প্রেসিডেন্টের ডেলিগেট ফাহাদ সোলায়মান বলেন, অনেক স্বপ্ন রয়েছে জ্যাকসন হাইটসকে ঘিরে। পর্যায়ক্রমে তার বাস্তবায়ন ঘটাতে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা চাই। ফাহাদ বলেন, এটি শুধু ঈদে নয়, সারা বছরই চালু রাখার পরিকল্পনা রয়েছে ভিন্নভাবে। এটি যে বাংলাদেশি-আমেরিকানদের এলাকা, তা অন্য কম্যুনিটিকেও জানান দিতে চাই। সকলে যাতে সম্প্রীতির বন্ধনে আবব্ধ থেকে কেনাকাটা করতে পারেন-তারও একটি প্রয়াস।

post
যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কে 'দেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে সুশীল সমাজের দায়িত্ব' শীর্ষক আলোচনা

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিংয়ে প্রবাসীদের ভূমিকা এবং সরকারের করণীয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হলো নিউইয়র্ক সিটিতে সেন্টার ফর এনআরবি’র উদ্যোগে বৃহস্পতিবার 'দেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে সুশীল সমাজ প্রতিষ্ঠানগুলির দায়িত্ব' শীর্ষক এক এক সমাবেশে। বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিত্বকারি প্রবাসীরা দৃঢ় প্রত্যয়ে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে এই অগ্রগতিকে টেকসই করতে দরকার বিনিয়োগে আগ্রহী প্রবাসীদের সর্বাত্মক সহযোগিতার দিগন্ত প্রসারিত করা। এজন্য নিউইয়র্কে সোনালী ব্যাংকের পূর্ণাঙ্গ একটি শাখা খোলা দরকার। যাতে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয় কাজ এখান থেকেই সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। এবং এ দাবিটি অনেক পুরনো হওয়া সত্বেও এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ নির্বিকার বলে মন্তব্য করা হয়। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মৌলিক এই অবলম্বনকে বাস্তবায়িত করা হলে প্রবাসীদের বিনিয়োগের দৃশ্যমান অনেক কিছুই ঘটবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম। তিনি বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিংয়ে প্রবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছি। সরকারও প্রবাসীদের ব্যাপারে যথেষ্ঠ আন্তরিক। সহযোগিতার এই দিগন্তকে কাজে লাগিয়ে বহুজাতিক এ সমাজে বাংলাদেশের ইমেজকে সমুন্নত রাখতে প্রতিটি প্রবাসী একেকজন শুভেচ্ছা দূত বলে মনে করি। ড. মনিরুল বলেন, কনসাল জেনারেল অফিস, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস, লসএঞ্জেলেসে কন্স্যুলেট থেকে আমরা যাবতীয় সহযোগিতা দিতে বদ্ধ পরিকর। এনআরবি সেন্টারের এম এস সেকিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিত্বকারীরা অংশ নেন। বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করে সকলেই ব্র্যান্ডিং বিষয়ে নানা প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। আলোচনায় অংশগ্রহণকারিদের মধ্যে ছিলেন সাবেক এমপি এম এম শাহীন, ডা. মাসুদুল হাসান, শিক্ষাবিদ নাইমা খান, ইউএস আর্মি কর্মকর্তা জয় চৌধুরী, চেম্বার নেতা লিটন আহমদ, বাংলাদেশ সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুর রহিম হাওলাদার, নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা ও বাপার সাবেক সভাপতি সুমন সাইদ এবং মুহাম্মদ শামসুল হক, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এরশাদ সিদ্দিকী ও নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের নিরাপত্তা টিমের প্রধান কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর, ব্যাংকার ইমতিয়াজ চৌধুরী, জ্যামাইকা ফ্রেন্স সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ডা. শামিম আল রাসেল, সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, তরুণ উদ্যোক্তা মফিজুল আহাদ শফি, সাংবাদিক এস এম সোলায়মান, আহাদ আলী সিপিএ, অধ্যাপক হোসনে আরা, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সহকারী তাসকিরুল ইসলাম নিবিড়, মূলধারার রাজনীতিক হাসান আলী, নিউ আমেরিকান ভোটার এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ডক্টর দিলীপ নাথ, কমিউনিটি নেতা আব্দুর রহমান, মদিনা মসজিদের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন আহমদ, ব্যবসায়ী সানোয়ার চৌধুরী, জয়া হলের পরিচালক আব্দুল আহাদ, আইটি এক্সপার্ট শেখ গালিব রহমান, কমিউনিটি নেতা সৈয়দ আতিকুর রহমান। শেকিল চৌধুরী বলেন, গণতান্ত্রিক সমাজে একেকজনের একেক মতবাদ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে বাংলাদেশি হিসেবে সকলেরই হৃদয় জুড়ে রয়েছে লাল-সবুজের বাংলাদেশ। সবকিছুর উর্ধ্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন আর কল্যাণকে প্রাধান্য দিতে হবে-তাহলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা রচনার ক্ষেত্রে প্রবাসীরাও অনন্য ভূমিকায় অধিষ্ঠিত হবেন। সে লক্ষ্যেই সেন্টার ফর এনআরবি কাজ করছে। তিনি গণমাধ্যম কর্মীগণের প্রতি অনুরোধ জানান বাংলাদেশের ইতিবাচক বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে প্রবাস প্রজন্মকে সঠিক তথ্য অবহিত করার আহ্বানও জানান। আলোচনা শেষে জয়া হলের সৌজন্যে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ইফতার পরিবেশন করা হয়।

post
যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কের এ সপ্তাহে ঈদমেলা, ইফতার মাহফিল ও অন্যান্য কর্মসূচি

ব্রঙ্কস বাংলাদেশি কমিউনিটির উদ্যোগে চাঁদ রাত মেলা শেষ পর্যায়ে উপনীত হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। অন্যদিকে দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এ উপলক্ষে চাঁদরাত মেলার আয়োজন করেছে ব্রঙ্কস বাংলাদেশি কমিউনিটি। ঈদের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩০ এপ্রিল অথবা ১ মে এটি অনুষ্ঠিত হবে। ব্রঙ্কসের স্টারলিং বাংলাবাজার ইউনিয়নপোর্ট রোডে অনুষ্ঠিতব্য এই আয়োজনে সবাইকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন খলিল বিরিয়ানি হাউসের সত্ত্বাধিকারী মো. খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, চাঁদ রাতের এই অনুষ্ঠানে পারফর্ম করবেন রোকসানা মির্জা, শাহ মাহবুব এবং নিলিমা শশী। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় থাকবেন সোনিয়া। চাঁদ রাত মেলায় ফ্রি থাকবে বিভিন্ন স্টল। থাকবে মেহেদি উৎসব এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।দারুল আহনাফের উদ্যোগে মজলিসে ইস্তেগফার ও সাহরি মাহফিলনিউইয়র্কের স্বনামধন্য দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দারুল আহনাফের উদ্যোগে মজলিসে ইস্তেগফার ও সাহরি মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যতিক্রমী এই আয়োজন সম্পন্ন হয় গতকাল ১৯ এপ্রিল দিবাগত রাতে। ব্রঙ্কসের খলিল হালাল চায়নিজে অনুষ্ঠানটি শুরু হয় রাত ২টায়। শুরুতেই ছিল থাকবে সালাতুত তাহাজ্জুদ, এটি পরিচালনা করেন মুফতি নোমান কাশেমী। রাত আড়াইটা থেকে ইসলাহি বয়ান করেন শায়খ হাম্মাদ গাজিনগরী। এরপর দোয়া ইস্তেগফার ও মোনাজাত পরিচালনা করেন শায়খুত তাহকিক আল্লামা মুহিব্বুর রহমান। সবশেষে রাত ৪টায় সাহরি পরিবেশন করা হয়। পুরো আয়োজনে নিউইয়র্কের ইমাম, উলামা এবং কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শাপলা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিলনিউইয়র্কে বাংলাদেশি ট্যাক্সি চালক ও মালিকদের সর্ববৃহৎ সংগঠন শাপলা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৮ এপ্রিল উডসাইডের গুলশান ট্যারেসে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ওয়াসিম উদ্দীন ভূইয়া। সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় ইফতারপূর্ব আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার আবদুর রহিম হাওলাদার, সেক্রেটারি রুহুল আমিন সিদ্দিকী। এছাড়া জেবিবিএ-এর সভাপতি গিয়াস আহমেদ, নিউইয়র্ক গভর্নর প্রার্থী আগা মোহাম্মদ সালেহ, কুমিল্লা সোসাইটির সভাপতি মনিরুল চৌধুরী, শাপলা ওয়েলফেয়ারের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মোস্তফা রিপন, সহ-সভাপতি মাহবুব হোসেন বিপ্লব, সহ-সাধারণ সম্পাদক এম এস আলী বক্তব্য রেখেছেন অনুষ্ঠানে। বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ এসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিলবাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ এসোসিয়েশন তথা বাপার উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৬ এপ্রিল নিউইয়র্কের জয়া হলে এই আয়োজন সম্পন্ন হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নিউইয়র্ক সিটি করপোরেশনের ডেপুটি মেয়র অ্যানে উইলিয়াম ইসম। উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কমর্কতাবৃন্দ, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ, লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, মুলধারার রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।ইফতার মাহফিলের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন বাপার সভাপতি কারাম চৌধুরী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রিন্স আলম। অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক অ্যাটর্নী মঈন চৌধুরী বলেন, বাপার এই আয়োজনের সঙ্গে আমি ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব। তিনি উপস্থিত সবাইকে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানান।

post
যুক্তরাষ্ট্র

টাইমস স্কয়ারে ইফতারি, তারাবিহ পড়লেন মুসলিম নিউইয়র্কাররা

নিউইর্য়কের টাইমস স্কয়ারে মাহে রমজানের ইফতারি ও তারাবির নামাজ আদায় করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম এমন একটি উদ্যোগের বাস্তবায়ন হলো।নিয়ন আলোর ঝলকানিময় আর সারাক্ষণ লোকে লোকারণ্য হয়ে থাকা চত্ত্বরটি এসময় ছিল একান্তই মুসলিম আমেরিকানদের।শনিবার প্রথম রমজানে এখানে ইফতারি করেছেন ১৫০০ মানুষ এবং রাত আটটায় এক হাজার মানুষ জামাতের মাধ্যমে তারাবির নামাজ পড়েন। সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে টাইমস স্কয়ারে প্রথমবারের মতো নামাজ আদায় করার একটি আহবান জানানো হয়। টাইমস স্কোয়ারে প্রথম তারাবিহ নামাজ নামে একটি প্রচারনা চালানো হলে সেই আহবানে সাড়া দেন ১২শ জন। সে অনুসারে শনিবার বিকেল থেকে সেখানে বিভিন্ন স্থানের রোজাদাররা জমায়েত হতে শুরু করেন। ইফতারির সময় সবাই এক সাথে ইফতারি করেন। তারপর রাত আটটায় তারাবির নামাজের আগে ও পরে করা হয় কুরআন তেলাওয়াত। নামাজ শেষে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সামনে এই আয়োজনের উদ্দ্যেশ্য তুলে ধরেন আয়োজকরা। তারা বলেন, যারা ইসলাম ধর্ম সর্ম্পকে জানেন না তাদের কাছে ব্যাখ্যা করতে এসেছি, ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম। আরও বলেন,"মাহে রমজান মুসলমানদের কাছে এটি শুধুমাত্র উপবাসের জন্য নয়, এটি সে জন্য আমরা যাতে বুঝতে পারি যে যারা খাদ্য নিরাপত্তাহীন তারা কেমন অনুভব করে। আমরা আসলে এটি করছি যাতে আমরা আমাদের সৃষ্টিকর্তা, আমাদের প্রভু, আল্লাহর নিকটবর্তী হতে পারি। আয়োজকদের একজন আলী কামারা বলেন "ইসলাম সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে, সমস্ত সংস্কৃতি, সমস্ত ধর্ম জুড়েই কিছু মানুষ থাকেন যাদের কারণে সেই ধর্ম ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে, কিন্তু মনে রাখতে হবে সেই মানুষের দলগুলো খুবই ছোট, তারা সংখ্যাগরিষ্ঠের প্রতিনিধিত্ব করে না। আমরা প্রার্থনা করতে, উপবাস করতে, ভাল কাজ করতে, দান করতে মানুষকে উত্সাহিত করছি।"শুধু নিউইয়র্ক নয় এর বাইরে থেকেও অনেকে এসেছেন টাইমস স্কয়ারে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই তারাবিহ পড়তে।  তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং বাইরেরও কেউ কেউ এই আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।কুইন্সে বসবাসরত সাবরিনা জামাল নামে একজন মন্তব্য করেছেন টাইমস স্কয়ার হলো ব্যাস্ততম একটি স্থান যেখানে সারাক্ষণ উচ্চ আওয়াজে মিউজিক বাজে, চারপাশের বিলবোর্ডে ছবি থাকে সেখানে নামাজ আদায়টা কতোটা যৌক্তিক। যে আওয়াজের মাঝে কুরআনের পবিত্র আয়াত পাঠ করা হবে। এর মাধ্যমে অমুসলিমদের কাছে আমরা কি বার্তা পৌছে দেবো, প্রশ্ন তার। ব্রুকলিনের ফারাহ জায়দি বলেছেন ওয়ান ইলাভেনের পর থেকে মুসলিমরা নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। এর আগে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মুসলিম জমায়েতের উপর নানা রকম আক্রমন হয়েছে, এরকম আয়োজনে কেউ যদি কোন আক্রমনের পরিকল্পনা করে সেটিও ভাবনায় রাখা উচিত। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের একজন সামী রিজওয়ান বলছেন ইফতারির টাকা দিয়ে এখানকার হোমলেসদের মধ্যে খাবার বিতরন করা যেতে পারে। সেটি শুধু প্রথম দিন রমজানের যে কোন দিনই হতে পারে। আর সেটি হলে অনেকেই এতে অর্থ দিয়ে পাশে থাকতে চাইবে। টাইমস স্কয়ারের এই আয়োজনে দেখা যায়নি এখানকার মেয়র বা সংলিষ্ট কারো সম্পর্ক রয়েছে। আর পরবর্তীতে এরকম আয়োজন আরও হবে কিনা তা নিয়ে আয়োজকদের কাছ থেকে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।তবে এই আয়োজনকে অনেকেই সাধুবাদ জানান। নামাজ আদায়ের পর বেশ উৎফুল্ল প্রতিক্রিয়া জানান তারা।

post
যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কে 'আমরা সবাই প্রবাসী' গানের অনলাইন রিলিজ, মনোজ্ঞ সঙ্গীত সন্ধ্যা

নিউইয়র্কে গভীর ভালোবাসা ও আনন্দ-উচ্ছ্বাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে লেখক শাহ বদরুজ্জামান রুহেলের কথা এবং বাউল শিল্পী কালা মিয়ার কন্ঠ ও সুরে "আমরা সবাই প্রবাসী" গানের অনলাইন রিলিজ উৎসব।গত ১৪ মার্চ রাতে ব্রঙ্কসের বাংলাবাজার এভিনিউর এশিয়ান ড্রাইভিং স্কুল হলে একইসাথে পরিবেশিত হয় প্রবাসের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী শাহ মাহবুব পরিবেশিত মনোজ্ঞ সঙ্গীত সন্ধ্যা। যুক্তরাষ্ট্রে বাঙালীদের অন্যতম সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশি-আমেরিকান কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন ও হৃদয়ে বাংলাদেশ যৌথভাবে এ উৎসবের আয়োজন করে। খবর ইউএসএনিউজঅনলাইন'র। বাংলাদেশি-আমেরিকান কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহবাব চৌধুরী খোকনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সারওয়ার চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল হাসিম হাসনু। অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন ও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল চৌধুরী, মূলধারার রাজনীতিক মোহাম্মদ এন মজুমদার, বাংলাবাজার বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও হৃদয়ে বাংলাদেশের সভাপতি সাইদুর রহমান লিংকন, ইউএসএনিউজঅনলাইন.কম'র সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সেলিম, জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী শাহ মাহবুব, বাংলাদেশি-আমেরিকান কালচারাল এসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ কামাল আহমদ, প্রচার ও গণসংযোগ সম্পাদক সোহেল আহমদ, স্কুল শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সালমা সুমি, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী মুমিত তানিম, হৃদয়ে বাংলাদেশের উপদেষ্টা মামুন রহমান, সাধারণ সম্পাদক পল্লব সরকার, যুগ্ম সম্পাদক মাকসুদা আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান জামান রানা, দপ্তর সম্পদক মার্গারেট মল্লিক, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার সহ সভাপতি মনজুর চৌধুরী জগলুল, বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কসের সভাপতি সামাদ মিয়া জাকের, রংধনু সোসাইটির সভাপতি মোহাম্মদ মোনতাসিম বিল্লাহ তুষার, লেখক-বিজ্ঞানী ড. দলিলুর রহমান, কবি জুলি রহমান, মাসুম আহমেদ, অধ্যাপক মো. আবু সুফিয়ান, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট এনজে আহমেদ জাবেদ, গোলাম মোদাব্বির চৌধুরী, আলমগীর কবির শামীম, রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ। উৎসবে তোফায়েল চৌধুরী, মোহাম্মদ এন মজুমদার, আব্দুল হাসিম হাসনু, আহবাব চৌধুরী খোকন, সারওয়ার চৌধুরী, সাইদুর রহমান লিংকনসহ অন্যান্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে সুইচ টিপে "আমরা সবাই প্রবাসী" গানের অনলাইন রিলিজ করেন। এই সময় বিপুল সংখ্যক প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে "আমরা সবাই প্রবাসী" গানের লেখক ও বাংলাদেশি-আমেরিকান কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ শাহ বদরুজ্জামান রুহেল "আমরা সবাই প্রবাসী" গানের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অনলাইনে "আমরা সবাই প্রবাসী" গানটি রিলিজ হয়ে গেলো। আপনারা গানটি উপভোগ করুন। প্রবাসীদের প্রতি উৎসর্গকৃত গানটি যদি সকলের ভালো লাগে তবেই এই প্রয়াস সফল হবে। অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশি-আমেরিকান লেখক শাহ বদরুজ্জামান রুহেলের কথা এবং বাংলাদেশের প্রখ্যাত বাউল শিল্পী কালা মিয়ার কন্ঠ ও সুরে "আমরা সবাই প্রবাসী" গানের ভুয়সী প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে "আমরা সবাই প্রবাসী" গান সহ বেশ ক’টি জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে সবাইকে মাতিয়ে রাখেন জনপ্রিয় শিল্পী শাহ মাহবুব। কবিতা আবৃত্তি করেন পল্লব সরকার। গভীর রাত পর্যন্ত দর্শক-শ্রোতারা অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশি-আমেরিকান কালচারাল এসোসিয়েশনের সভাপতি আহবাব চৌধুরী খোকন, সাধারণ সম্পাদক সারওয়ার চৌধুরী এবং "আমরা সবাই প্রবাসী" গানের লেখক শাহ বদরুজ্জামান রুহেল।

post
যুক্তরাষ্ট্র

আবার বরফাচ্ছন্ন ভার্জিনিয়া, মেরিল্যান্ড, ডিসি

গত চারদিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি, ভার্জিনিয়া এবং মেরিল্যান্ডের আবহাওয়া ছিলো রোদ্রজ্জল। শুক্রবারের আকাশ ছিলো চোখে পড়ার মতো নীল আর ঝকঝকে। কিন্তু কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে প্রকৃতির চেহারা একেবারে পাল্টে গেলো। শনিবার বরফে ঢেকে গেছে ওয়াশিংটন ও উত্তর ভার্জিনিয়া ও মেরিল্যান্ড। যানবাহন আটকে আছে রাস্তায়। ঝড়ো বাতাসসহ সাথে তুষার ঝড়ের আবহাওয়ার পূর্ভাবাস ছিলো আগে থেকেই। সে পূর্বাভাস পুরোপুরি মিলে গেছে। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে তুষার পাত আর সাথে দমকা বাতাসে। স্থানীয় সময় শনিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া তুষার ঝড় চলে দুপুর পর্যন্ত। প্রবল তুষারপাত সাথে প্রচন্ড বাতাস। চার ইঞ্চি পরিমান বরফে ঢেকে গেছে সব কিছু। চলাচল ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠায় রাস্তায় কমে আসে গাড়ির সংখ্যা। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হননি লোকজন। দুর্ঘটনা এড়াতে রাস্তায় বের হতে নিষেধ করে আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ নানা বার্তা দেয় টেলিভিশন, রেডিও, মোবাইল ম্যাসেজে। পরিস্কার রাখতে বলা হয়েছে রাস্তাঘাট। এ পরিস্তিতির ফলে সাপ্তাহিক ছুটির দিনটা ঘরে বসেই কাটাতে হয়েছে সবাইকে। এরই মধ্যে ডিসি, উত্তর ভার্জিনিয়া ও মেরিল্যান্ডের বেশ কিছু এলাকার প্রায় তিন হাজার ঘর বাড়ীতে বিদুৎ সংযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। সমস্যা সমাধানে জরুরী সেবায় এরই মধ্যে কাজে নেমে পড়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা। ঘরির কাটায় বেলা তিনটায় সময় র্সূযের দেখা মিললেও তাপমাত্রা মাইনাস থ্রি। অনুভূতিতে যা মাইনাস নাইন। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে তুষাপাত থেমে গেলেও বাতাস চলতে থাকবে রাত ১টা পর্যন্ত। যে কারণে তাপমাত্রা নেমে আসবে আরো নীচে। এ সপ্তাহে তাপমাত্রায় খূব একটা পরিবর্তন হবে না বলছে আবহাওয়া বার্তা। তবে আসছে সপ্তাহ থেকে আকাশ আবার রোদ ছড়াবে বলা হচ্ছে। তুষার পাতের এই প্রভাব থাকবে সপ্তাহব্যাপী। জমাট স্নো ক্রমে রুপ নিবে বরফে। তা কাটতে কাটতে এ সপ্তাহ লেগেে যাবে। জন সাধারণকে, ততোদিন সাবধানে চলাচল করার পরামর্শ দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.