post
যুক্তরাষ্ট্র

টাইমস স্কয়ারে র‌্যালি থেকে একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি

১৯৭১ সালে পাক বাহিনীরা নির্বিচারে ৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যা, চার লাখের অধিক নারীর সম্ভ্রমহানী ঘটিয়েছেন। ওরা কোটি বাঙালির বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে। পুড়িয়ে হত্যা করেছে অসংখ্য শিশু-নারী এবং প্রবীণ বাঙালিকে। পাকিস্তানী হায়েনার দল সাড়ে ৭ কোটি মানুষের একটি জাতি-গোষ্ঠিকে নিশ্চিহ্ন করার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছিল। ওরা বাঙালির মায়ের ভাষা মুছে ফেলতে চেয়েছিল। বাঙালি সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার নির্লজ্জ প্রয়াসন চালিয়েছে। এসব কী ‘গণহত্যা’ নয়। তাহলে গত ৫১ বছরেও কেন এই গণহত্যার স্বীকৃতি দেয়নি জাতিসংঘ। এই দাবি আদায়ের জন্যে আর কতকাল অপেক্ষা করতে হবে? এমন ক্ষুব্ধ-প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ১২ বছর বয়েসী ডেনিস জুলিয়াস ঐশো বিশ্বখ্যাত নিউইয়র্ক সিটির টাইমস স্কয়ারের র‌্যালিতে। প্রায় অভিন্ন আকুতি ব্যক্ত হয় ছোট্টমনি আব্রাহাম আরজু, জুবাইদা বাতেন এবং সারাহ’র কণ্ঠেও। একইস্থানে খ্যাতনামা আর্টিস্ট এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইমাম আঁকছিলেন একাত্তরের গণহত্যার প্রতিকী চিত্র।এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তাজুল বলেন, আমি গণহত্যার জন্যে যে ফায়ারিং স্কোয়াড ছিল, সেই দেয়ালের ছবি আঁকছি। পেছনে ধ্বংসযজ্ঞ-বাড়ি ঘরে আগুন লাগানোর দৃশ্য, সামনে লাশ পড়ে আছে। সেটাই হচ্ছে এই ছবির থিম অর্থাৎ জেনোসাইডের ব্যাপারে বিশ্বসম্প্রদায়ের সামনে অবিকল একটি চিত্র উপস্থাপনের প্রয়াস এটি। এরকম আরো ৫টি ক্যানভাসে ছবি আঁকেন শিল্পী মাহমুদুল হাসান রোকন, কাইসার কামাল, জেবুন্নেসা কামাল, আলমা লিয়া এবং মিথুন আহমেদ। আর এভাবেই জাতিসংঘের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রবাসী বাঙালিরা ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার অপরাহ্নে জয় বাংলা স্লোগানে। ‘হাই টাইম টু রিকগনাইজ জেনোসাইড ইন বাংলাদেশ ১৯৭১-এ্যানিহিলেশন অব ৩ মিলিয়ন ইন অনলি ৯ মান্থ’ লেখা ব্যানারের পেছনে একাত্তরের চেতনায় উজ্জীবিত প্রবাসীদের এ র‌্যালি চলে ঘণ্টা দুয়েকের মত। সকলের কণ্ঠে ছিল ‘জাতিসংঘ-৩০ লাখ মানুষ নিধনের বাংলাদেশ, জেনোসাইড ১৯৭১ কে স্বীকৃতি দিতে হবে।’একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের চিহ্নিত এবং আন্তর্জাতিক সংস্থায় এর স্বীকৃতির প্রশ্নে প্রবাসী বাঙালিরা আগে থেকেই সোচ্চার থাকলেও তা এখন প্রবল হয়ে উঠেছে তা জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের এজেন্ডায় পরিণত হওয়ায়। ৩ অক্টোর এই পরিষদের ৫১তম অধিবেশনে ৩ নম্বর এজেন্ডায় রয়েছে বাংলাদেশের জেনোসাইড। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসরদের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে এটি এক মাইলফলক পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। এই সমাবেশের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুব জামান। চিত্রাংকন পর্বের উদ্বোধন করেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদউল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের মিথুন আহমেদ।ঘোষণাপত্র পাঠ করেন আশরাফুল হাসান বুলবুল, লুৎফুন্নাহার লতা, সুব্রত বিশ্বাস, মুজাহিদ আনসারী, মিনজাহ আহমেদ সাম্মু, সেমন্তি ওয়াহেদ প্রমূখ। টাইমস স্কয়ারের এই কর্মসূচির সমন্বয় করে আর্টস ফোরাম, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠি, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, প্রগ্রেসিভ ফোরাম, গণজাগরণ মঞ্চ, একুশের চেতনা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, জেনোসাইড একাত্তর, প্রজন্ম একাত্তর, মানবী, আমরা একাত্তর। এসব সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারি, বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইমদাদুল হক নাসিমুন্নাহার নিনি, ওবায়দুল্লাহ মামুন, আল আমিন বাবু, ফাহিম রেজা নূর, লুৎফুন্নাহার লতা, রোকেয়া রফিক বেবী, জাকির হোসেন বাচ্চু, সঞ্জিবন সরকার, জাকির আহমেদ রনি, মাহফুজা হাসান, সাগর লোহানি, ক্লারা রোজারিয়ো, শরাফ সরকার, কানু দত্ত, শাহ ফারুক, মাসুদ মোল্লাহ, এম এ বাতিন, সুলেখা পাল, হিরো চৌধুর, আলীমউদ্দিন প্রমুখ

post
যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রে শেখ হাসিনার হোটেলের সামনে বিএনপির বিক্ষোভ, আ.লীগের শান্তি সমাবেশ

‘যেখানে বিএনপি-জামাত সেখানেই প্রতিরোধ’ এবং ‘যেখানে হাসিনা-সেখানেই প্রতিবাদ’ অর্থাৎ পরস্পর-বিরোধী কর্মসূচিতে উত্তপ্ত ছিল গোটা এলাকা। বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের পরস্পর বিরোধী কর্মসূচির মাঝে অবস্থান নেয় পুলিশ। ফলে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি।২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার অপরাহ্নে ওয়াশিংটন ডিসি সংলগ্ন ভার্জিনিয়ায় শেখ হাসিনার হোটেলের (রিটজ কার্লটন) সামনের এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্টেট থেকে শতশত নেতা-কর্মী জড়ো হন। উল্লেখ্য, জাতিসংঘে যোগদানের জন্যে যুক্তরাষ্ট্রে আগত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে এই হোটেলে অবস্থান করছেন। ১ অক্টোবর তিনি বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে লন্ডন হয়ে ডিসি ত্যাগের কথা।হোটেলের সামনে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জানার পরই যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও সেখানে জড়ো হন। তারা সেখানে ‘শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘শান্তি সমাবেশ’ করেন। পেনসিলভেনিয়া, নিউজার্সি, কানেকটিকাট, ম্যাসেচুসেটস, ম্যারিল্যান্ড, মিশিগান, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া এবং নিউইয়র্ক থেকে সাংগঠনিক ব্যানারসহ নেতৃবৃন্দ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান উন্নয়ন-অগ্রগতির সমর্থনে গগনবিদারি স্লোগান দেয়। নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন ড. সিদ্দিকুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ফজলুর রহমান, নিজাম চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, আবুল কাশেম, লুৎফুল করিম, ড. প্রদীপ কর, মাসুদুল হাসান, আব্দুস সামাদ আজাদ, সোলায়মান আলী, দুলাল মিয়া এনাম, আইরিন পারভিন, আবুল হাসিব মামুন, মহিউদ্দিন দেওয়ান, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, মোর্শেদা জামান, আশরাফুজ্জামান, শাহানারা রহমান, মিসবাহ আহমেদ, ফরিদ আলম, হিন্দাল কাদির বাপ্পা, জহিরুল ইসলাম, শিব্বির আহমেদ, শেখ আতিকুল ইসলাম, নুরুল আফসার সেন্টু, জেয়াদুল হক জেয়াদ, , হুমায়ূন আহমেদ চৌধুরী, এমদাদ চৌধুরী, মাহমুদুন্নবী বাকি, মো. আজম, যুবলীগ নেতা তারেকুল হায়দার চৌধুরী, সেবুল মিয়া, মিজান চৌধুরী, ওলিউর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।ভার্জিনিয়া : শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং কেয়ারটেকার সরকার দাবিতে বিএনপির র‌্যালি।অপরদিকে, বিএনপির সমাবেশে ছিলেন ভার্জিনিয়া বিএনপি, ম্যারিল্যান্ড বিএনপি, ওয়াশিংটন ডিসি বিএনপি, নিউইয়র্ক স্টেট, নিউইয়র্ক মহানগরের উত্তর-দক্ষিন, মিশিগান, নিউজার্সি, কানেকটিকাট, পেনসিলভেনিয়া স্টেট বিএনপির নেতা-কর্মীরা শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং অবিলম্বে কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে স্লোগান দেয়। তারা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতেও স্লোগান ধরেন। কাছাকাছি দূরত্বে পরস্পর বিরোধী স্লোগানে পথচারিরা বিব্রতবোধ করেন। নিরাপত্তা রক্ষীরা ছিলেন সতর্ক। বিএনপির কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন গোলাম ফারুক শাহীন, হাফিজ খান সোহায়েল, মাওলানা অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, ভিপি জসীম, রুহুল আমিন নাসির, আনিসুর রহমান, শহিদুল ইসলাম শিকদার, হুমায়ূন কবির, নাসিম আহমেদ, দেওয়ান কাওসার, গোলাম হোসেন, আমানত হোসেন, মনিরুল ইসলাম, রতন মিয়া প্রমুখ।ওয়াশিংটন মেট্র এলাকার বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন হাফিজ খান সোহায়েল, কাজী এম রহমান, মজনু মিয়া, জাহিদ খান, মোশাররফ হোসেন, মোখলেসুর রহমান, জাকির হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম তুহিন, সৈয়দ সালেহ মনসুর পরশ, সাঈদ হায়দার, দেওয়ান মঈনউদ্দিন বিপ্লব-সাংগঠনিক সম্পাদক, আবদুল মুক্তাদির, জহিরুল ইসলাম, আরিফ উল ইসলাম, রেজওয়ান আনসারী পল্লব, নূর হোসেন বাহাদুর, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ মহসিন মিয়া, মোহাম্মদ শাহজাহান সিরাজ, মীর নির্ঝর রহমান নিক্সন, বেলাল হোসেন সুমন, আহাম্মেদ তারিকুর রহমান জনি, ফারহানা মইনুদ্দিন, নাফিস খান, সাঈদ খান, মোহাম্মদ শফিক মোল্লা, রেজাউল করিম, আলী হায়দার, এমডি কবিরুল ইসলাম খান, মোঃ আক্তার হোসেন, জহির খান, নেসার আহমেদ, তোফায়েল আহাম্মদ, মোহিউদদীন জাহাঙ্গির, মোহাম্মদ কাইয়ুম, নিজাম আহমেদ, জাকির আলম জসিম, ফাতেমা জহুরা, রাশেদ খান, মোহাম্মদ রবিন, ইমতিয়াজ উদ্দিন, জাহিদ চৌধুরি, মোহাম্মদ সাইদ, মোহাম্মদ ইউনুছ, মোহাম্মদ জামান, মাফুজ মোল্লা, বাসেত মোল্লা, মাহাবুব আলম, মোহাম্মদ মোস্তফা, এ টি এম আলম, মোহাম্মদ নাইয়ুম, সরিপুল ইসলাম পাটোয়ারি মানিক, রাসেল বিশ্বাস, শাহেদ খান চৌধুরী, সেলিম হোসেন, আলবাব হোসেন সোহাগ, মোঃ কাজল, মোঃ মিজানুর রহমান, ইমাম এইচ খান, কবিরুল ইসলাম, মামুনুর রশিদ মোহন, মোহাম্মদ মাহমুদ রাইয়ান, মোহাম্মদ উল্লাহ, তানভির হাসান, জাহাঙ্গীর কবির বাবলু, মাইনুল ইসলাম, ওমর ফারুক প্রমুখ।সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

post
যুক্তরাষ্ট্র

প্রবাস প্রজন্মে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জাগ্রত রাখার সংকল্প

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা রচনায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমের সমর্থনে আন্তর্জাতিক জনমত সংহত করার সংকল্প ব্যক্ত করা হলো ‘সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১’র যুক্তরাষ্ট্র শাখার সমাবেশে।২০২২-২০২৫ মেয়াদের নয়া কমিটির পরিচিতি উপলক্ষে ১১ সেপ্টেম্বর রোববার নিউইয়র্ক সিটির উডসাইডের ‘গুলশান টেরেস’র মিলনায়তনে এ সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও ছিলেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রবাসীরা। ছিলেন নতুন প্রজন্মের সদস্যরাও। এসময় ১৫ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ এবং ৩১ সদস্যের কার্যকরী কমিটির সদস্যরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। ফলে বহুজাতিক এ দেশে বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের এ সমাবেশ পরিণত হয় লাল-সবুজের একখন্ড বাংলাদেশে। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ভয়াল সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং হামলাকারিদের প্রতি ধিক্কার ও ঘৃণা প্রদর্শনের মধ্যদিয়ে শুরু এ সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গিত পরিবেশন করেন বহ্নিশিখা সঙ্গীত নিকেতনের সদস্যরা। নেতৃত্বে ছিলেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সাংস্কৃতিক সম্পাদক উইলি নন্দি এবং মহিলা সম্পাদিকা সবিতা দাস। মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল দিনগুলোতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের তিন কন্ঠযোদ্ধা এ সময় দেশের গান, মুক্তিযুদ্ধের গানে সকলকে আপ্লুত করেন। প্রবীন প্রবাসী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধার সকলেই ৫২ বছর আগের স্মৃতির অতলে হারিয়ে যান রথীন্দ্রনাথ রায়, কাদেরি কিবরিয়া আর শহীদ হাসানের গানে। প্রথিতযশা এই ৩ শিল্পীর গানে মাতোয়ারা মিলনায়তনকে আরেক দফা নাচিয়ে নেয় নতুন প্রজন্মের জনপ্রিয় শিল্পী শাহ মাহবুবের দরাজকন্ঠের গান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি’র চ্যান্সেলর এবং মার্কিন আইটি সেক্টরে বাংলাদেশিদের কাজ পাইয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালনরত পিপলএনটেকের সিইও ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবুল মোহিতের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস) নূরএলাহি মিনা।অনুষ্ঠানে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে, বিশ্বের রাজধানী খ্যাত এই নিউইয়র্কে বাঙালি সংস্কৃতি জাগ্রত রাখতে চলমান কার্যক্রমকে আরো জোরালো করার আহবান জানান প্রধান অতিথি ড. মনিরুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতাপূর্ণ নেতৃত্বে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ইমেজ সমুন্নত রাখতে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সচেতন প্রবাসীগণের কর্মতৎপরতার প্রশংসা করেন তিনি। আবুবকর হানিপ নয়া কমিটির কর্মকর্তাগণকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির কোর্স গ্রহণে ইচ্ছুক মুক্তিযোদ্ধার স্বজনদেরকে স্কলারশিপ প্রদান করা হবে। তার ভার্সিটিতে পড়তে উচ্ছুকদেরকেও বিশেষ ছাড় দেয়ার ঘোষণা দেন বিপুল করতালির মধ্যে। এ সময় তিনি আরো উল্লেখ করেন, গত দেড় দশকে ৭ হাজারের অধিক প্রবাসীকে বিশেষ কোর্স প্রদানের মধ্যদিয়ে লাখ ডলারের অধিক বেতনের চাকরি সংগ্রহ করে দিয়েছে পিপল এ্যান্ড টেক। গত দু’বছরে বাংলাদেশ থেকে তার ভার্সিটিতে উচ্চ শিক্ষার জন্যে স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন চার শতাধিক শিক্ষার্থী। নূরএলাহি মিনা সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কার্যক্রমকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা রচনায় অনন্য এক সহযোগি হিসেবে অভিহিত করেন। ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের নেতা হিসেবে। তার এই সফরের সময় যে কোন মহলের অপতৎপরতা রুখে দিতে সচেতন প্রবাসীদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। আয়োজনে নতুন কমিটির পরিচিতি পর্বে সকলকে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা জানিয়ে মঞ্চে আহবান করা হয়। ছোট্টমণি আলিশা খান, নিহাল হাসান, আরিয়া হাসান, শবনম রুবাইয়া প্রিয়া, উর্নিষা হাওলাদারের কাছ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছাকালে পুরো অডিটরিয়াম প্রাণবন্ত হয়ে উঠে। কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যরা হলেন ক্যাপ্টেন (অব:) ডা. সিতারা রহমান বীর প্রতিক, মেজর (অব:) মঞ্জুর আহমদ বীর প্রতীক, একুশে পদকপ্রাপ্ত কন্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায়, কন্ঠযোদ্ধা শহীদ হাসান, একুশে পদকপ্রাপ্ত কন্ঠযোদ্ধা কাদেরি কিবরিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবিদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের ভ’ইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা এমদাদুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ পাটোয়ারি, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মলিনচন্দ্র সাহা এবং হারুন ভূইয়া। নয়া কমিটির কর্মকর্তারা হলেন : সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার চুৃন্নু, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম চৌধুরী, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলী হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারি, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাদের মিয়া এবং আলিম খান আকাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ হাজী জাফরউল্লাহ, প্রচার সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক, আইন বিষয়ক সম্পাদক ড. রফিক খান, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক তানভির হাবিব শুভ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক উইলি নন্দি, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার ভ’ইয়া, নারী বিষয়ক সম্পাদক সবিতা দাস, যুব সম্পাদক আশরাব আলী খান লিটন। নির্বাহী সদস্যরা হলেন : বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেসবাহউদ্দিন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিমউদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, বীর মুক্তিযোদ্ধা গুলজার হোসেন, মোহাম্মদ আইয়ুব আলী, আবুল হাসান মিলন, মোহাম্মদ শামীম শরিফ, নুরুন্নাহার নিশা খান, কাজী মনসুর খৈয়াম, শবনম রুবাইয়া প্রিয়া, নাহিদ রেজা জন এবং আবু সাঈদ সিদ্দিক জামি। অনুষ্ঠানে প্রথম পর্বে বিদায়ী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ গত ৫ বছর দায়িত্ব পালনে সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্যে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান। এ সময় নয়া কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার দায়িত্ব গ্রহণ পর্বে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়। শুরু হয় আলোচনা অনুষ্ঠান। আলোচনায় অংশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম এবং ফোবানার আউটস্ট্যান্ডিং মেম্বার ও সাবেক চেয়ারপার্সন জাকারিয়া চৌধুরি এই ফোরামের নয়া কমিটির সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, প্রবাস প্রজন্মে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তথা সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধুর অবিস্মরণীয় নেতৃত্ব সম্পর্কে ধারনা দিতে ইতিমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা পালন করেছে, সামনের দিনগুলোতে তা আরো প্রস্ফুটিত হবে। বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের মিয়া বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন ভাষা-ভাষীর মানুষের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের বাঙালির মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশের অনন্য এক অবলম্বনে পরিণত হয়েছে এই ফোরাম। মুক্তচিন্তার কলামিস্ট ও কবি ফকির ইলিয়াস বলেন, একাত্তরের পরাজিত শত্রুরা এই প্রবাসে বহুমুখী ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করেছে। ওদেরকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে। আলোচনা সমাবেশে সমাপনী বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার বলেন, জয় বাংলা হচ্ছে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান। বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন বাংলাদেশের সমার্থক। তাই প্রবাসে জন্মগ্রহণকারিদেরকে জয় বাংলা ও জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে একাকার করতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। যারা বাংলাদেশের সংবিধান মানে না, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে চলা বাংলাদেশকে থামিয়ে দিতে বহুমুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত-তাদের ব্যাপারে চোখ-কান খোলা রাখতে প্রবাসীদের পাশে থাকবে এই ফোরাম। অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনদের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার ভেটারন্স’র ভাইস প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন তালুকদার, যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খুরশেদ আনোয়ার বাবলু, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের উপদেষ্টা মেজর (অব:) মঞ্জুর আহমেদ বীর প্রতিক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের ভ’ইয়া এবং অন্যতম ভাইস প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী হোসেন। অনুষ্ঠানে আরো ছিলেন বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার ভেটারন্স’র সেক্রেটারি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হোসাইন, সহ-সভাপতি শওকত আকবর রীচি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার জাহিদ, ইউএসবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট লিটন আহমেদ, এটর্নী জান্নাতুল রুমা, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী সমিরুল ইসলাম বাবলু, সুলতানা রহমান, কম্যুনিটি এ্যাক্টিভিস্ট নাজিমউদ্দিন, আবুধাবির আল আইন সেন্ট্রাল বঙ্গবন্ধু পরিষদের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার উত্তম কুমার হাওলাদার, মার্কিন রাজনীতিতে প্রবাসীদের পথিকৃত মোর্শেদ আলম, নিউ আমেরিকান ডেমক্র্যাট আহনাফ আলম, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাজী এনাম দুলাল মিয়া, নির্বাহী সদস্য শাহানারা রহমান, শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি মনিকা রায় চৌধুরী, কবি ফারহানা ইলিয়াস তুলি, বাংলাদেশ সোসাইটির আসন্ন নির্বাচনে সদস্যপ্রার্থী সিরাজদৌলাহ হক বাশার, কম্যুনিটি বোর্ড মেম্বার ওসমান চৌধুরী, কম্যুনিটি লিডার শাহিন খান, নাসরীন শিল্পী, এটিএম মাসুদ প্রমুখ। 

post
যুক্তরাষ্ট্র

ইউএসবিসিসিআই বিজনেস এক্সপো ২৩-২৫ সেপ্টেম্বর, মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠিত

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশন সামনে রেখে ইউএস-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজন করতে যাচ্ছে, ইউএসবিসিসিআই বিজনেস এক্সপো-২০২২। আগামী ২৩, ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর তিন দিনব্যাপী এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে নিউইয়র্কের লাগোর্ডিয়া ম্যারিয়ট হোটেলে। আর সে কর্মসূচি সামনে রেখে ইউএস-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজন করে মিট দ্য প্রেস। তাতে কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়। মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য দেন চেম্বারের পরিচালক শেখ ফরহাদ (পরিচালক, ইউএসবিসিসিআই), অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মো. লিটন আহমেদ (সভাপতি, ইউএসবিসিসিআই)। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (WUST)'র চেয়ারম্যান ও সিইও আবুবকর হানিপ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন-বিবিএফ এবং বিবিএফ গ্লোবাল (অফিসিয়াল পার্টনার বিডা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) এর চেয়ারম্যান মাসুদ-এ-খান , ইউএসবিসিসিআই ভাইস প্রেসিডেন্ট বখত রুম্মান বিরতীজ, ইউএসবিসিসিআই এর পরিচালক প্রফেসর হেনা সিদ্দিক, রাজিব খান ও আব্দুল কাদের শিশির এবং ফিনান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি, ইউএসবিসিসিআই এর চেয়ারম্যান কাজী হেলাল আহমেদ।এসময় আবুবকর হানিপ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা বিনিয়োগে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছেন এমনটা উল্লেখ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসায়ীরা এখন শিক্ষা-চিকিৎসা খাতে বড় বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে। শিক্ষাখাতে তার প্রতিষ্ঠিত ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্যও বড় সুযোগ।এবারের ইউএসবিসিসিআই বিজনেস এক্সপো'র প্রতিপাদ্য-‘এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট অপর্চুনিটি ফর ইউএস-বাংলাদেশ সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট’। এই এক্সপো একটি B2B ট্রেড শো, কনফারেন্স এবং নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট।উদ্যোক্তারা জানান, তাদের লক্ষ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের ব্যবসায়িকদের রপ্তানি-প্রস্তুত পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে প্রসারিত করতে সহায়তা করা।লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, আমাদের বিজনেস এক্সপোর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায় নতুন ক্রেতা, সরবরাহকারী এবং বিনিয়োগ সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে। অতীতেও আমরা নানান ইভেন্ট আয়োজন করেছি, যার মাধ্যমে ব্যবসায় দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক এবং কৌশলগত অংশীদারত্ব তৈরি হয়েছে ইউএসবিসিসিআই বিজনেস এক্সপো ২০২২-এ অংশগ্রহণের মাধ্যমে পেশাদার এবং শিল্প বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ থাকছে। এছাড়া এক্সপোতে বিভিন্ন কর্মশালা থাকবে, যার মাধ্যমে ব্যবসা প্রসারিত করার নানান কৌশল সম্পর্কে জানা যাবে। এই এক্সপোর অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ব্যবসার সবচেয়ে আধুনিক বিষয়গুলো সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের আপডেট রাখা।বাংলাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ শতাধিক প্রতিনিধি এবং স্টেকহোল্ডার ইউএসবিসিআই বিজনেস এক্সপোতে অংশ নেবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা নিজেদের ব্যবসাকে একে অন্যের দেশে প্রসারিত করার পাশাপাশি কীভাবে বিশ্ববাজারেও নিজেদের পণ্য পৌঁছে দিতে পারেন, ব্যবসার সুযোগ তৈরি করতে পারেন এসব বিষয়ে এক্সপোতে আলোচনা করা হবে। এখানে সফল ব্যবসায়ীরা নিজেদের সফলতার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন। তাছাড়া এই এক্সপোর মাধ্যমে ব্যবসায়িরা নিজেদের ব্যবসার ব্র‍্যান্ডকে কীভাবে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া যায়, সেসব বিষয়ে জানতে পারবেন। সর্বোপরি এই এক্সপো হলো ব্যবসা উন্নয়নের একটা প্লাটফর্ম।এক্সপোতে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রন জানানো হয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের মেজরিটি লিডার চাক শ্যুমার, নিউইয়র্ক স্টেট গভর্ণর ক্যাথি হকুল, নিউইয়র্কের মেয়র এরিক এডামস্, নিউইয়র্ক স্টেট কংগ্রেস উইম্যান গ্রেস ম্যাং, সিনেটর জন লু, কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট ডোনোভান রিচার্ডস্, কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নী মেলিন্দা কাটজ্, এসেম্বলিম্যান ক্যাটেলিনা ক্রুজ, জেনিফার রাজকুমার, এডওয়ার্ড সি ব্রাউনস্টেইন এবং ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহিদুল ইসলামকে। এছাড়াও নিউইয়র্কের প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দও এক্সপোতে উপস্থিত থাকবেন।ইউএসবিসিসিআই চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে বিজনেস এক্সপো-২০২২ এর কো-পার্টনার হয়েছে- শিল্প মন্ত্রণালয় (গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার) এবং এনওয়াইসি ডিপার্টমেন্ট অফ স্মল বিজনেস সার্ভিসেস। স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার-বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন-বিবিএফ এবং বিবিএফ গ্লোবাল (অফিসিয়াল পার্টনার বিডা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়)। আর সহযোগিতায় রয়েছে- ইউএস চেম্বার অব কমার্স, ব্রুকলিন চেম্বার অব কমার্স এবং কুইন্স চেম্বার অব কমার্স।অনুষ্ঠানের সভাপতি এবং ইউএসবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট লিটন আহমেদ আগামি ২৩, ২৪, ২৫ সেপ্টেম্বর আসন্ন ইউএসবিসিসিআই বিজনেস এক্সপো-২০২২ এ সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা এবং সকল পেশাজীবীদের আমন্ত্রন জানিয়েছেন।

post
যুক্তরাষ্ট্র

করোনায় আমেরিকানদের গড় আয়ু কমেছে ৩ বছর, ১০০ বছরের রেকর্ড

করোনাভাইরাস মহামারি এবং অন্যান্য কারণে ২০২০ এবং ২০২১ সালে আমেরিকানদের যে হারে গড় আয়ু কমেছে, তা গত ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর হেলথ স্ট্যাটিসটিক্স’ সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর গড় আয়ু কমেছে ৩ বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে ছিল ৭৯ বছর, গত বছর হয়েছে ৭৬ বছর। নেটিভ আমেরিকান এবং আলাস্কার আদিবাসীদের গড় আয়ু কমার হার আরও বেশি। ২০২০ সালে তাদের গড় আয়ু চার বছর কমেছে। জাতীয় স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, করোনা মহামারীর সংক্রমণ অব্যাহত থাকায় এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। স্বাস্থ্য গবেষকরা বুধবার আরও জানান, করোনায় বহু আমেরিকানের প্রাণহানির ফলে গড় আয়ু উদ্বেগজনকভাবে কমেছে। ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটির ‘সেন্টার অন সোসাইটি এ্যান্ড হেলথ’র পরিচালক ড. স্টিভেন উফ বলেছেন, গড় আয়ু কমার এ ঘটনা অবশ্যই ‘ঐতিহাসিক’ একটি বিপর্যয়। অবশ্য বিশ্বের অন্য ধনী দেশসমূহেও ২০২০ সালে একই পরিস্থিতির উদ্ভব হয় করোনা মহামারির জন্যে। তবে আমেরিকার মতো এত বেশি গড় আয়ু অন্য দেশে কমেনি। চিকিৎসা-বিজ্ঞানীরা বলেছেন, করোনাকালে হৃদরোগ, পক্ষাঘাতে আক্রান্ত এবং মানসিক হতাশার পরিপ্রেক্ষিতে আত্মহত্যার ঘটনাও উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে।

post
যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কে লেকের পানিতে ডুবে ২ প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু

নিউইয়র্কে লেকের পানিতে ডুবে একই পরিবারের ২ প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের আরও একজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে আছেন। গত রোববার নিউইয়র্কের টাউন অব বেথেলের হোয়াইট লেকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন—প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি সংগঠক বরুড়া উপজেলা অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা রুহুল আমীনের বড় মেয়ের জামাই আফরিদ হায়দার (৩৪) ও ছেলে বাছির আমীন (১৮)।রুহুল আমিনের ছোট মেয়ে নাসরিন আমীনকে (২১) লেক থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় গারনেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নাসরিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বরুড়া উপজেলা অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বদরুল হক আজাদ গণমাধ্যমকে জানান, গত শনিবার রুহুল আমিন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে টাউন অব বেথেলে বেড়াতে যান। তাদের সবাই লেকের ধারে মেয়ের জামাই আফরিদের বাসায় উঠেন। পরদিন দুপুরে আফরিদ লেকে গোসল করতে নামেন। সে সময় হঠাৎ তিনি পানিতে ডুবে যেতে থাকেন। ভগ্নীপতিকে বাঁচাতে শ্যালক বাছির পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাদেরকে বাঁচাতে এগিয়ে যান রুহুল আমিনের ছোট মেয়ে নাসরিন। এরপর তারা ৩ জনই ডুবে যান। দমকল বাহিনীর ডুবুরিরা ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে আফরিদ ও বাছিরকে বাঁচানো যায়নি। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবার ও প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

post
যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে বাংলাদেশি প্রবাসীদের মিলনমেলা

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে ডেট্রয়েটের বাংলাদেশি মেলায় হাজারো বাংলাদেশি প্রবাসীর মহামিলন ঘটেছে। বাংলা টাউনের জেইন ফিল্ড পরিণত হয়েছিল এক খণ্ড বাংলাদেশে। প্রবাসীরা দেশে ফেলে আসা ঐতিহ্যর স্বাদ পেয়েছেন মেলায় এসে। নতুন প্রজন্ম মেলায় এসে বাংলাদেশি কৃষ্টি ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পেরেছে। তারাও নেচে গেয়ে আনন্দ উল্লাস করেছে। ডেট্রয়েট সিটির বাংলা টাউনের জেইন ফিল্ডে শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত ৩ দিনব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নর্থ আমেরিকান বাংলাদেশি ফেস্টিভ্যাল এ মেলার আয়োজন করেছিল।রোববার শেষের দিনে হাজারো বাংলাদেশির মহামিলন ঘটেছে মেলায়। মিশিগানের বিভিন্ন সিটিতে বসবাসরত শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী বাংলাদেশিরা পরিবার নিয়ে মেলায় হাজির হন। আয়োজকরা বলেছেন, বাংলাদেশি ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই ২১ বছর ধরে এ মেলা হয়ে আসছে। দীর্ঘ একটি বছর মিশিগানের বাংলাদেশিরা অপেক্ষায় থাকেন এ মেলার জন্য।বাংলার ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ খ্যাত কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন নাচে গানে মাতিয়ে রাখেন মেলায় আগত দর্শকদের। ছোট ছোট শিশুরাও নেচে গেয়ে প্রাণভরে আনন্দ উপভোগ করেছে। মেলার মঞ্চ দাপিয়ে গান গেয়েছেন জনপ্রিয় প্রবাসী শিল্পী নীলিমা শশী ও শাহ মাহবুব। মেলায় ছিল রকমারি স্টলসহ ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি পণ্যের সমাহার। পোশাক, ‍জুয়েলারি, হস্তশিল্প, মৃৎশিল্প ও দেশীয় স্বাদের খাবারের দোকান। স্টল মালিকরা জানিয়েছেন, তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রি হয়েছে। পোশাক ও দেশি খাবার বেশি বিক্রি হয়েছে। অন্য দেশের মানুষেরাও মেলায় এসে কেনাকাটা করছেন। মেলায় অনেক দর্শক রিকশায় চড়ে দারুণ আনন্দ পেয়েছেন। মাটির তৈরি জিনিসপত্রের স্টল ও বাংলাদেশি হুক্কা দর্শকদের নজর কেড়েছে। র‌্যাফেল ড্রয়ের পুরস্কার ছিল অন্যতম আকর্ষণ। নতুন গাড়ি ও বিমানের টিকিটসহ নানা পুরস্কার দেওয়া হয়।

post
যুক্তরাষ্ট্র

নিম্নআয়ের ক্ষেত্রে ২০০০০ ডলার শিক্ষাঋণ মওকুফ করলেন বাইডেন, উচ্চ আয়ের ক্ষেত্রে মওকুফ ১০০০০ ডলার

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেছেন এদেশের শিক্ষা ঋণের বোঝা যারা বইছে, তা কিছুটা লাঘব করা হবে। এখন যাদের আয় বছরে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলারের কম তাদের প্রত্যেকের ঋণের বোঝা থেকে ১০ হাজার ডলার করে মওকুফ করা হবে। আর যারা নিম্ন আয়ের কারণে পেল-গ্র্যান্টস পাচ্ছেন তারা মওকুফ পাবেন ২০ হাজার ডলার করে।ডেমোক্র্যাটরা দীর্ঘ সময় ধরে এই ঋণ মওকুফের ব্যাপারে চাপ দিয়ে আসছিলেন। তাদের প্রত্যাশার কিংবা দাবির চেয়ে মওকুফের অংক কম হলেও মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে আসা এই ঘোষণাকে অনেকেই ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। এর মধ্য দিয়ে মানুষগুলো ঋণের পাহাড় থেকে কিছুটা হলেও সস্তির জায়গায় পৌঁছাবে, বলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক মন্তব্যে তিনি বলেন, এই মানুষগুলো এখন হয়তো একটি বাড়ি কেনার কথা, কিংবা পারিবারিক জীবন শুরুর কথা কিংবা একটি ব্যবসা শুরুর কথা ভাবতে পারবেন। বাইডেন এসময় কোভিড-১৯ অতিমারির সময়ে শিক্ষাঋণের কিস্তি স্থগিত রাখার কথা উল্লেখ করেন, যা ২০২০ সালের মার্চ থেকে কার্যকর করা হয় এবং সে বছরের শেষ মাস অবধি চলে। সেন্ট লুইসের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শিক্ষার্থীদের ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ দশমিক ৭৫ ট্রিলিয়ন (১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি) ডলার; ২০০৬ সালে যা ছিল ৪৮১ বিলিয়ন (৪৮ হাজার ১০০ কোটি) ডলার। মার্কিন শিক্ষার্থীদের এ ঋণের পরিমাণ বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। ‘দ্য এডুকেশন ডেটা ইনিশিয়েটিভ’ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চার বছর মেয়াদি কোর্স করার টিউশন ফি ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। গবেষণা গ্রুপ ‘দ্য এডুকেশন ডেটা ইনিশিয়েটিভ’ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চার বছর মেয়াদি কোর্স করার টিউশন ফি ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। যদিও অনেক দেশ যেমন: জার্মানি, আইসল্যান্ড ও সুইডেনে টিউশন ফি হয় নির্ধারিত, না হয় সম্পূর্ণ ফ্রি। যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চার বছরের কোর্স করতে বছরে একজন শিক্ষার্থীর খরচ হয় গড়ে ৩৫ হাজার ৫৫১ ডলার। খরচের খাতের মধ্যে আছে টিউশন, বিবিধ ফি, আবাসিক হল ফি, বই, অন্যান্য খরচ—বলছে ন্যাশনাল সেন্টার ফর এডুকেশন স্ট্যাটিসটিকস। যুক্তরাষ্ট্রে একজন শিক্ষার্থী যে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আবেদন করে, সে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার কতটুকু উপযুক্ত, সেটি নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ তাঁর পড়াশোনার ব্যয় বহনের ব্যক্তিগত সক্ষমতা, পরিবারের সামর্থ্য ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে থাকে। পরে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী ফেডারেল অনুদান, ভর্তুকিতে ঋণ, কাজের সুযোগ পাওয়ার যোগ্য হতে পারেন। এরপরই পড়াশোনার অবশিষ্ট খরচ মেটাতে ঋণের আবেদন করতে পারেন শিক্ষার্থী। নিউইয়র্কভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘মুডিস’–এর অর্থনীতিবিদ ক্রিশ্চিয়ান ডেরিটিসের ভাষায়, ‘আমার মনে হয় তরুণ–তরুণীরা আসলেই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে আছেন। তাঁদের অনেকেরই ঋণের বোঝা আসলে কেমন ও স্নাতক শেষে কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে ছয় অঙ্কের বেতনের স্বপ্ন কতটা বাস্তবসম্মত, সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নেই।’ সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়জীবন শেষে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা মনে করেন, প্রথম চাকরিতে তাঁরা বছরে মোটামুটি ১ লাখ ৩ হাজার ৮৮০ ডলার বেতন পাবেন। তবে প্রকৃত চিত্র ভিন্ন। দেখা গেছে, স্নাতক শেষে চাকরিতে ঢোকার পর বছরে একজন গড়ে ৫৫ হাজার ২৬০ ডলার বেতন পেয়ে থাকেন। নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের হিসাব বলছে, পকেটে টান পড়লে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দাদের নির্ভরশীলতা দিন দিন বাড়ছে। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসে দেশটিতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের লেনদেন হয়েছে। দেশটিতে মূল্যস্ফীতিও বেড়েছে। মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস বলছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে করোনার সময় জমানো অর্থে হাত দিয়েছে মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে খুব শিগগির ঋণখেলাপি বাড়বে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ক্রিশ্চিয়ান ডেরিটিস। তাঁর ভাষ্যমতে, সরকার যখন শিক্ষাঋণ পরিশোধ স্থগিত করল, তখনই অনেক ঋণগ্রহীতা সমস্যার মধ্যে ছিলেন। ভবিষ্যতে তাঁদের ঋণখেলাপি হওয়ার আশঙ্কা আছে।

post
যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কে বাংলাদেশি পুলিশ সার্জেন্ট ফারুককে লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তের গুলি, তবে একটিও তার গায়ে লাগেনি

সশস্ত্র দুর্বৃত্তের তাক করা তিন রাউন্ড গুলির একটিও বিদ্ধ হয়নি বাংলাদেশি ট্রাফিক এজেন্ট মোহাম্মদ ফারুক হোসেনের (৩৫) শরীরে। প্রথম গুলির শব্দ শুনেই তিনি নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটানের ব্যস্ততম স্ট্রিটে শুয়ে পড়েন। দ্বিতীয় গুলি তার পায়ের কাছ দিয়ে চলে যায়। তৃতীয় গুলি কাছে আসার আগেই দৌড়ে নিউইয়র্ক পুলিশের গাড়ির কাছে যান। সেই গুলি বিদ্ধ হয় রাস্তার পার্শ্ববর্তী গাছে।১৭ আগস্ট স্থানীয় বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে নিউইয়র্কের লেক্সিংটন এভিনিউ এবং ১১২ স্ট্রিটে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকে লক্ষ্য করে উপর্যুপরি গুলিবর্ষণের ঘটনায় পথচারীরাও হতবাক। কেউ ভেবেছেন হয়তো সিনেমার শুটিং চলছে। কারণ, এই এজেন্ট সে সময় কোনও গাড়িতে জরিমানার টিকিট দেননি। তাছাড়া ইন্টারসেকশনে রাস্তার জ্যাম কমানোর অহর্নিশ প্রয়াসে ছিলেন তিনি। গুলি বর্ষণের সংবাদ পেয়েই আশপাশের টহল পুলিশ সেখানে জড়ো হয় এবং ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই বন্দুকধারী দৃর্বৃত্তকে পাকড়াও করতে সক্ষম হয় বলে এ সংবাদদাতাকে জানালেন ভীত-সন্ত্রস্ত্র ট্রাফিক এজেন্ট ফারুক হোসেন। ঝিনাইদহের সন্তান ফারুক মাত্র চার মাস আগে ঢুকেছেন এই চাকরিতে। বেআইনিভাবে পার্ক করার জন্য অনেকের গাড়িতে জরিমানার টিকিট দিয়েছেন কিন্তু কখনও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হননি। কোনও টিকিট ইস্যু না করেও এমনভাবে আক্রান্ত কেন হলেন তা ভেবে পাচ্ছেন না। পরপর তিন রাউন্ড গুলি তাকে লক্ষ্য করে ছোঁড়ায় প্রতিয়মান হয় যে, তাকে টার্গেট করেই আক্রমণ করা হয়েছিল। পুলিশ গ্রেফতারকৃত দুর্বৃত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে মোটিভ উদঘাটনের। জানা গেছে, ফারুকের স্ত্রী এবং একপুত্র ও এক কন্যা বাংলাদেশে বাস করেন। তিনি পরম করুণাময়ের শোকরিয়া আদায় করছেন গুলি থেকে বেঁচে যাওয়ায়। এই পরিস্থিতিতে ট্রাফিক ইউনিয়ন-সিডব্লিউ লোকাল-১১৮২’র পক্ষ থেকে একটি পোস্টিং দেওয়া হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কর্তব্যরত সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ এবং মোহাম্মদ ফারুক হোসেনের জন্যে সকলের দোয়া চেয়েছেন। উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক পুলিশে তিন হাজারের মত ট্রাফিক এনফোর্সমেন্ট এজেন্টের প্রায় এক হাজার জনই হলেন বাংলাদেশি। প্রতিনিয়ত তারা নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।

post
যুক্তরাষ্ট্র

বিএসপি'র নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট লং আয়ল্যান্ডে, পিপলএনটেকের অংশগ্রহণ

বাংলাদেশ আমেরিকা সোসাইটি অব প্রফেশনালস (বিএসপি)'র উদ্যোগে সামার নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট হয়ে গেলো নিউ ইয়র্কের লং আয়ল্যান্ডে। গত ২৪ জুলাই বেলমন্ট পার্কে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রকৌশলী, শিক্ষক, গবেষক, ব্যাংকার, সফটওয়্যার ডেভেলপা, অ্যাকাউন্ট্যান্ট, রিয়েলটর ও মার্কেটিং পেশায় সম্পৃক্ত এমন অনেকেই।এখানে নানা পেশার মানুষ কিভাবে একে অন্যের উপকারে আসতে পারেন, প্রয়োজনে পাশে দাঁড়াতে পারেন সে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন বিএসপি সভাপতি ও সিটকো গ্রুপের ম্যানেজার মাহদী ভূঁইয়া, ভ্যালি ব্যাংকের প্রফেশনাল প্র্যাকটিসেস স্পেশালিস্ট ইমতিয়াজ চৌধুরী, এসজে ইনোভেশন'র সিইও সাহেদ ইসলাম, পিপলএনটেক'র পরিচালক শফি চৌধুরী, গ্রিন রিয়েলটর প্রোগ্রামের পরিচালক দেলোয়ার খান, সিপিএ মিজানুর রহমান, ক্রেডিট এগ্রিকোল'র ভিপি অনিতা খবির, আইনজীবী লুৎফর রহমান লিমন প্রমুখ। এতে পিপলএনটেক ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির পক্ষ থেকে কথা বলেন নিউইয়র্কে পিপলএনটেক'র পরিচালক শফি চৌধুরী। তিনি এসময় বলেন, পিপলএনটেক তার কর্মসূচির মাধ্যমে ৭০০০ বাংলাদেশিকে আইটি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ দেশে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি আধুনিক আইটি শিক্ষার মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রি ও অ্যাকাডেমিয়ার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে। এসময় অনেকেই পিপলএনটেক থেকে তাদের প্রশিক্ষণ নেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ দেখান। কমিউনিটির সুবিধার্ধে কাজ করতে কিভাবে একে অন্যের সহায়ক শক্তি হয়ে উঠতে পারেন সে ব্যাপারে জোর দেন আলোচকরা। 

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.