post
যুক্তরাষ্ট্র

ডুলেস এয়ারপোর্টের কাছে গাড়ি দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন-ডুলেস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কাছে ২৫ বছরের এক যুবক নিজের গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। লাউডেন কাউন্টির স্টার্লিং এলাকায় গত রাত পৌনে তিনটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।জ্যাসন রেসিনোস-ফিউনেস নামের ওই যুবক তার ডজ চার্জার গাড়িটি নিয়ে দুটি পার্ক করা গাড়িতে আঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

post
যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কে কেনার পরপরই ১২৫টি আইফোন ছিনতাই

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি অ্যাপল স্টোর থেকে ৩০০টি আইফোন কেনার পর স্টোরের বাইরে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন এক ক্রেতা। ছিনতাইকারীরা তার থেকে ১২৫টি আইফোন ছিনিয়ে পালিয়ে যায়।ম্যানহাটনের একটি ওই অ্যাপল স্টোর থেকে আইফোনগুলো কিনে নিজের গাড়ির দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন তিনি। তখনই ঘটে বিপদ। ওই সময়ই ছিনতাই হয়ে যায় প্রায় ৯৫,০০০ ডলার মূল্যের ১২৫টি স্মার্টফোন। অ্যাপেলের এই স্টোরটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে এবং ওই সময় ব্ল্যাক ফ্রাইডের সেল চলছিল বলে জানা গেছে। যা ছিনতাইকারীরা হয়তো আগে থেকেই জানতো। নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগ একটি বিবৃতিতে জানায়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ফিফথ অ্যাভিনিউতে অবস্থিত অ্যাপলের দোকান থেকে নিয়মিত ফোন কিনতেন। কারণ তিনি ফোন কেনা বেচার একটি ছোট ব্যবসা করতেন। দোকান থেকে কিনে আবার বিক্রি করতেন। কিন্তু কেন রাত পৌনে দুই টায় তিনি ফোন কিনতে গিয়েছিলেন সেটি একটি রহস্য রয়ে গেছে। পুলিশ আরো বলেছে, ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি তিনটি ব্যাগে আইফোন ভরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এই সময় দুই অপরিচিত ব্যক্তি তার হাতে থাকা ব্যাগ টেনে নিয়ে যায়। ব্যাগ টেনে নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের মধ্যে টানাহ্যাঁচড়া হয়। শেষে ভুক্তভোগী ব্যক্তির মুখে ঘুষি মেরে একটি ব্যাগ নিয়ে যেতে সক্ষম হয় ছিনতাইকারীরা। পুলিশ ধারনা করছে তাকে বেশ কিছু দিন ধরেই পর্যবেক্ষণ করে আসছিল। কারণ তিনি এই স্টোর থেকেই নিয়মিত ফোন কিনতেন। থানায় মামলা হয়েছে এবং মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। কর্তৃপক্ষ সবাইকে অনুরোধ করছেন, এই বিষয়ে কোরো কোন তথ্য জানা থাকলে এগিয়ে আসতে।

post
যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রে ‘সাহিত্য একাডেমির’ যুগপূর্তি উদযাপন

যুক্তরাষ্ট্রে দুই দিনব্যাপী যুগপূর্তি অনুষ্ঠান করেছে প্রবাসী সংগঠন ‘সাহিত্য একাডেমি, নিউ ইয়র্ক’। শুক্র ও শনিবার নিউ ইয়র্কের গুলশান ট্যারেস ও জুইশ সেন্টারে এ উপলক্ষে নানা আয়োজন করেন তারা।প্রথম দিনের অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মুমু আনসারী ও আনোয়ারুল হক লাভলু। রাণু ফেরদৌসের পরিচালনায় যুগপূর্তির কেক কাটেন সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ ও সাফওয়ান নাহিন। এদিন বক্তব্য দেন লেখক ফেরদৌস সাজেদীন। কবিতা আবৃত্তি করেন মুন জাবিন হাই। গান শোনান শাহ মাহবুব, ম্যারিস্টলা আহমেদ শ্যামলী, রুপাই, আলভান চৌধুরী ও সবিতা দাস। দ্বিতীয় দিনের আয়োজনের উদ্বোধন করেন মুক্তিযোদ্ধা নুরুন্নবী। মিশুক সেলিম ও রওশন হাসানের সঞ্চালনায় প্রবাসীদের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এ.বি.এম সালেহ উদ্দিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অংশ নেন হাসান ফেরদৌস, মোহাম্মদ ফজলুর রহমান ও পলি শাহীনা। বেনজির শিকদারের সঞ্চালনায় স্বরচিত কবিতা পাঠ প্রথম পর্বের সূচনা বক্তব্য দেন তমিজ উদ্দীন লোদী। মিশুক সেলিমের সঞ্চালনায় ‘কেন লিখি’ মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন খালেদ সরফুদ্দীন, রিমি রুম্মান, ফারহানা ইলিয়াস তুলি, স্মৃতি ভদ্র ও মনিজা রহমান। পারভীন সুলতানার সঞ্চালনায় কবিতা আবৃত্তির সূচনা বক্তব্য দেন আবৃত্তিকার মিথুন আহমেদ। নজরুল কবীরের উপস্থাপনায় স্বরচিত কবিতা পাঠ দ্বিতীয় পর্বের সূচনা বক্তব্য দেন ফকির ইলিয়াস। গান শোনান তাহমিনা শহীদ। এছাড়া বক্তব্য দেন মনজুর আহমেদ ও নিনি ওয়াহেদ।

post
যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী: গৌরব আর ঐতিহ্য পুনরুজ্জীবিত করার সংকল্প

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব আর ঐতিহ্য পুনরুজ্জীবিত করতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ১৪ হাজার এলামনাই এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনারত ২৪০ শিক্ষকের সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস গ্রহণের উদাত্ত আহবান জানিয়ে নিউইয়র্কে লাগোায়ার্ডিয়া প্লাজা হোটেলের বলরুমে ২৫-২৬ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনী অনুষ্ঠান হলো।দু’ শতাধিক রেজিস্টার্ড এলামনাইয়ের মনোমুগ্ধকর এ অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণকে অবিকল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃশ্যপট উপস্থাপন করা হয়। সাবেক শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করার সময়েই আন্তরিক অভ্যর্থনা জ্ঞাপণে ব্যস্ত ছিলেন হোস্ট সংগঠন ‘ঢাকা বিশ্ববিদালয় এলামনাই এসোসিয়েশন’র যুক্তরাষ্ট্র শাখার নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আকতারুজ্জামান। তিনি তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেমন বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ আলোকিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তেমনি এই প্রাণপ্রিয় শিক্ষালয় থেকে বেরিয়ে হাজারো আলোকিত মানুষগুলো এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গৌরব আরো উজ্জ্বলতর করেছেন দেশে এবং প্রবাসের মাটিতে স্বীয় মহিমায়। তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্জন ও প্রাপ্তির গৌরবকে এগিয়ে নিয়ে যাবে ভবিষ্যতের পথে, বিশ্বায়নের স্রোতধারায় যোগ করবে আরো বলিষ্ঠ মাইলফলক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবান্বিত ইতিহাসকে নিয়ে যাবে নতুন উচ্চতায়। আর তা সম্ভব হবে শুধুমাত্র প্রাক্তনদের প্রাণের স্পর্শে, আন্তরিক সহযোগিতায়। অতিথি হিসেবে ছিলেন এলামনাইয়ের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আনোয়ারুল আলম পারভেজ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোল্লা কাওসার, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত এম এ মোহিত, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল ড. মো. মনিরুল ইসলাম। স্মৃতিচারণের পাশাপাশি সমসাময়িক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত কারিক্যুলাম চালুর পরামর্শ এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যেকার সম্প্রীতির বন্ধন পুন:প্রতিষ্ঠার তাগিদ উচ্চারিত হয় এই চমৎকার সমাবেশের মূল বক্তব্যে এবং তা উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অর্লিন্স ইউনিভার্সিটির এমেরিটাস অধ্যাপক এবং সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ড. মোস্তফা সারওয়ার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবগাথা উপস্থাপনকালে ড. মোস্তফা সারওয়ার বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কালীন ছাত্র ও শিক্ষক হিসেবে গর্বিত। পৃথিবীতে এমন কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই যেখানের আত্মত্যাগী ছাত্রদের অবদানে একটি ভাষা বিশ্ব ভাষার মর্যাদা পেয়েছে, একটি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রগামী সৈনিকের ভূমিকা রেখেছে, এবং স্বৈরতন্ত্রের পতনে রেখেছে নিদারুণ অবদান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই হল একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেটি এই সব মহান অর্জনে মহিমান্বিত হয়েছে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের আকাশচুম্বী খরচ বহন করার মত সৌভাগ্য নিয়ে জন্মায়নি এমনি হাজার হাজার ছাত্রদের শিক্ষাদানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেখেছে মহান ভূমিকা। আমি গর্বিত। ড. সারওয়ার উল্লেখ করেন, আজকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিতদের শতকরা কতজন সুহৃদয় চরিত্রবান মানুষ হিসেবে পরিচিত? কতজন ঘুষ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, তোষামোদি, চামচাগিরির মত ঘৃণিত জীবনকে বেছে নিয়েছে? সভ্য দেশগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় বাধ্যতামূলকভাবে এথিকস পড়ানো হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তা হচ্ছে না কেন? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে দেখা প্রয়োজন। ড. সারওয়ার আরো বলেন, এককালে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর পৃথিবীতে র‌্যাংকিং কেন নয় শত সাতাত্তর? এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং কেন দু শ তেষট্টি? এই র‌্যাংকিং আপনারা দেখতে পাবেন ইউএস নিউজ এন্ড ওয়ার্ড রিপোর্ট ওয়েব সাইটে। নানাবিধ পরিস্থিতির অসহায় ভিকটিম হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে মেধাবি শিক্ষার্থীর অন্যতম ড. সারওয়ার ক্ষোভের সাথে আরো উল্লেখ করেন, নিয়োগ ও প্রমোশনে দলবাজি, স্বজনপ্রীতি, তোষামোদি, চামচাগিরির প্রভাব কতটা? সুষ্ঠু নিয়োগ ও প্রমোশন হচ্ছে না বলেই কি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড এর আজ এই করুন পরিণতি? অতিথি হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপনকালে যুক্তরাষ্ট্রে সুপ্রিম কোর্টে প্রথম বাংলাদেশী-আমেরিকান এটর্নী ও ডেমক্র্যাটিক পার্টির লিডার মঈন চৌধুরী বলেন, পারিবারিক কোটায় ইমিগ্র্যান্ট হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসবো বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার সুযোগ হয়নি। তবে জেনেছি স্বজনের কাছে তার গৌরবোজ্জল ইতিহাস-ঐতিহ্য। আমার নামে যুক্তরাষ্ট্রে ট্যুরো কলেজে একটি স্কলারশিপ চালু হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্র্তপক্ষের আপত্তি না থাকলে সেখানেই একটি স্কলারশিপ চালু করতে চাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ইমিগ্রেশন বিষয়ক অভিজ্ঞ এটর্নী অশোক কর্মকার বলেন, শতবর্ষের জন্যে অপেক্ষা নয়, প্রতি বছরই এমন আয়োজন করা হলে নিজেদের দায়বদ্ধতা লাঘবের ক্ষেত্র আরো প্রসারিত হবে। কারণ, এখন সময় হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কিছুটা ফেরৎ দেয়ার। সাবেক শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে এ এন্ড এম ইউনিভার্সিটির বায়ো মেডিকেল সায়েন্টিস্ট ড. নাসের বলেন, করোনাকালে সর্বপ্রথম যে কীট আবিস্কৃত হয়, তা বাংলাদেশে পাঠিয়েছি। এরপর ভ্যাকসিনের ব্যাপারেও সম্মিলিত একটি প্রয়াস চালাই। যে দেশটি আমাকে মানুষের মত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে অনেক ত্যাক স্বীকার করেছে, তার জন্যে কিছু করার তাগিদ সব সময় অনুভব করি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, একসময় দক্ষিণ এশিয়ার সেরা শিক্ষক ও গবেষকবৃন্দ এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদান ও গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন। আজ এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ও গবেষণার মান নিয়ে যখন নেতিবাচক কথাবার্তা শুনি, এর চত্বরে বিসম্বাদ ও হানাহানির ঘটনা ঘটে, তখন কষ্ট পাই আমরা। পারভেজ বলেন, আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার অহংকারের জায়গা নতুনভাবে বর্তমান প্রজন্মের কাছে নিয়ে আসতে পারবে এটাই আমাদের বিশ্বাস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি এডভোকেট মোল্লা কাওসার বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রগণের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪০ জন শিক্ষকতা করছেন এবং বসতি গড়েছেন আরো ১৪ হাজারের মত। সকলকে এলামনাইয়ের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে পারলে অনেক প্রত্যাশারই বাস্তবায়ন ঘটানো সম্ভব হবে। আয়োজনের প্রধান সমন্বয়কারি মোল্লা মনিরুজ্জামান বলেন, বাঙালি জাতির বৃদ্ধিবৃত্তিক মনন গড়নের ইতিহাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়র যে শক্তি ও চেতনার জন্মদিয়েছে, শতবর্ষব্যাপী সেই চেতনার আলো আমাদের ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনকে সমৃদ্ধ করে রেখেছে। ৩৬ বছরের পুরনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার বর্তমান সভাপতি সাঈদা আকতার লিলি বক্তব্যে বলেন, জন্ম থেকেই আমাদের অনেক ঋণ-যা সুধিবার নয়। রয়েছে অনেক দায়িত্ব। পরবর্তী প্রজন্ম এবং পরবর্তী এলামনাইদের জন্য রেখে যেতে হবে সুন্দর মসৃণ পথ। যোগসূত্র তৈরী করতে হবে নবাগতদের সাথে পুরনোদের। আরো আধুনিক চিন্তা-ভাবনার মধ্যদিয়ে সেতুবন্ধ তৈরী করতে হবে শেকড়ের সাথে। আজকের এ সমাবেশ সে তাগিদই দিচ্ছে। উদ্বোধনী ডিনার পার্টির মত সমাপনী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও বাঙালির দিপ্ত প্রত্যয়ে এগিয়ে চলার জয়ধ্বনি উচ্চারিত হয়। প্রাণের সাথে প্রাণ মিশিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি দায়বদ্ধতা মেটানোর সংকল্প ব্যক্ত করার মধ্যদিয়ে দুদিনের অনুষ্ঠানমালা শেষ হয়। হোস্ট কমিটির সদস্য-সচিব গাজী সামসউদ্দিন, কো-কনভেনর মো. তাজুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, এম এস আলম, বিশ্বজিৎ চৌধুরী প্রমুখ-কে অতিথি আপ্যায়ন থেকে উপস্থাপনায় ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করতে দেখা যায়।

post
যুক্তরাষ্ট্র

ছেলের হত্যায় মা গ্রেপ্তার জর্জিয়ায়

২০ মাস বয়সী শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছিলো না গত অক্টোবর থেকে। জর্জিয়ার সাভানাতে নিজ বাড়ি থেকেই শিশুটি হারিয়ে যায়। আর তা পুলিশে রিপোর্ট করে তার মা। এর মাসাধিক কাল পর পুলিশ শিশু ছেলেটির দেহাবশেষ খুঁজে পায় জর্জিয়ার একটি ভরাটকৃত জমিতে। এখন পুলিশ এই ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করেছে তার মাকেই।পুলিশ বলেছে, শিশুটির মা লিলানি সিমনকেগত সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। একই সঙ্গে মরদেহ গুম ও পুলিশে মিথ্যা রিপোর্ট করার মতো অপরাধের অভিযোগও আনা হয়েছে লিলানির বিরুদ্ধে। চাথাম কাউন্টি পুলিশের প্রধান জেফরি হ্যাডলি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ২২ বছর বয়সী এই মা তার ছেলে কুইনটন সিমন হারিয়ে যাওয়ার খবর জানিয়ে পুলিশে রিপোর্ট করেন গত ৫ অক্টোবর। তখনই পুলিশ বিষয়টি নিয়ে একটি টুইট করে। মি. জেফরি বলেন, "ছোট্ট কুইনটনের হারিয়ে যাওয়ার এই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ঝড় তোলে। লাখ লাখ মানুষ বিষয়টিতে তাদের উদ্বেগ জানায়। এবং এর একটি সুরাহার অপেক্ষায় ছিলো।" ছেলেটির মাকে চাথাম কাউন্টি কারাগারে রাখা হয়েছে। আর এই ঘটনায় অন্য কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। পুলিশ জানায়, ছেলেটির হারিয়ে যাওয়ার রিপোর্টের পরপরই এফবিআই'র এজেন্টরা ঘটনাস্থলে যান। এছাড়াও বিভিন্ন তদন্ত সংস্থা ছেলেটিকে খুঁজে বের করার কাজে লেগে পড়ে। পরে ১২ অক্টোবরেই পুলিশ ঘোষণা করে, তারা ধারণা করছে কুইনটনকে হত্যা করা হয়েছে। এবং তার মাকেই রাখা হয়েছে সন্দেহভাজনদের তালিকার শীর্ষে। এরপর গত শুক্রবার পুলিশ জানায়, চাথাম কাউন্টির একটি আবর্জনা ভরাট করা জমিতে শিশুটির লাশ থাকতে পারে এমনটা তারা অনেকাংশেই নিশ্চিত হয়। এরপর সেখানে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। এফবিআই'র এজেন্টরা ও জর্জিয়া ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাচারাল রিসোর্সেস এর কর্মকর্তারা গত ত্রিশ দিন ধরে ফেলা রাখা ১.২ মিলিয়ন পাউন্ড আবর্জনা সরিয়ে কিছু দেহাবশেষ খুঁজে পায়। এরপর সেই দেহাবশেষ ভার্জিনিয়ার কোয়াটিকো ল্যাবে পাঠানো হয়। এছাড়াও দেহাবশেষগুলোর ডিএনএ পরীক্ষা করার উদ্যোগ নেয় এফবিআই। তবে সেই রিপোর্ট আসার আগেই, পুলিশ অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গ্রেপ্তার করে ছেলেটির মা লিলানি সিমনকে। 

post
যুক্তরাষ্ট্র

আগুনে পুড়িয়ে শিশুপুত্রকে হত্যা, ত্রিশ বছর পর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

ফেয়ারচাইল্ড তার নাম। ত্রিশ বছর আগে তার হাতে খুন হয়েছিলো নিজের তিন বছরের শিশুপুত্র। তাও স্রেফ বিছানা ভিজিয়ে ফেলার জন্য। শিশুটিকে সে ধরে রেখেছিলো জ্বলন্ত অগ্নিচুল্লিতে। এরপর ছুঁড়ে মারে এটি টেবিলের ওপর। তাতে মাথায় আঘাত পায় শিশুটি। এরপর আর জ্ঞান ফেরেনি। চির বিদায় নেয় এই পৃথিবীর নিষ্ঠুরতার সাক্ষী হয়ে। হত্যাকারী রিচার্ড ফেয়ারচাইল্ডের বয়স হয়েছিলো ৬৩। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমায় ম্যাকঅ্যালেস্টার পেনিটেনশিয়ারিতে তার মৃত্যূদণ্ড কার্যকর করা হয়। নির্মম সেই ঘটনার ৩০ বছর পর। ১৯৯৩ সালে রিচার্ড হত্যা করে তার শিশুপুত্র অ্যাডাম ব্রুমহলকে। মৃত্যূদণ্ড কার্যকর করার আগে ২৫ ডলারের শেষ খাবার খেতে দেওয়া হয় তাকে। যুক্তরাষ্ট্র মেরিনের সাবেক এই সদস্যকে তার পছন্দ মতো চিজ বার্জার, বড় একপ্যাকেট চিপস, পামকিন পাই, একপিন্ট চকোলেট আইসক্রিম ও একটা বড় কোক খেতে দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে নিজের কর্মকাণ্ডের জন্য অনুতাপ প্রকাশ করেন রিচার্ড। আর বলেন, আজ তার একটুও খারাপ লাগছে না। "আমি ইশ্বরের শান্তিতে আছি। আমার কোনো দুঃখ নেই। কারণ আজ আমি আমার স্বর্গীয় বাবার কাছে যেতে পারবো," এমনটাই বলছিলেন রিচার্ড ফেয়ারচাইল্ড। মামলা চলাকালে প্রসিকিউটররা জানান, ফেয়ারচাইল্ড শিশুটিকে দাউদাউ জ্বলতে থাকা ফারনেসের মধ্যে ধরে রাখেন এরপর শিশুটিকে টেবিলের ওপর ছুঁড়ে মারেন। তিন বছরের শিশুটি সেই যে জ্ঞান হারায় আর কোনোদিন তা ফিরে পায়নি। পরের দিন তার মৃত্যূ হয়। ওকলাহোমার এটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে বলা হয়, অ্যাডামকে হত্যার ঘটনাটিকে নির্মম নিপীড়ণ ছাড়া আর কিছুই বলা চলে না। এদিকে অ্যাডাম ব্রুমহলের চাচা এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, তিনি অবাক হয়েছেন এই জেনে যে ফেয়ারচাইল্ড তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়েছেন। তিনি আরো বলেন, এই নির্মমতার বিচার প্রত্যাশার দীর্ঘযাত্রা ত্রিশ বছরে শেষ হলোা। তবে পরিতাপের বিষয় এই ত্রিশ বছরে কোনোদিনই ফেয়ারচাইল্ড বলেননি তিনি অনুতপ্ত।

post
যুক্তরাষ্ট্র

ম্যানহাটানে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় আহত বাংলাদেশি

বিশ্বের রাজধানী খ্যাত নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটানে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় গুরুত্বর আহত হয়েছেন গোলাম মহিউদ্দিন নামে এক বাংলাদেশি। শত মাইল বেগে গাড়ি চালিয়ে ম্যানহাটানের ব্যস্ততম সড়কের ট্রাফিক লাইট অমান্য করে ইয়েলো ট্যাক্সিকে আঘাত করায় এই ঘটনা ঘটে। এতে প্রাণে বাঁচলেও তার পাঁজরের ৮টি হাড় এবং বামের ঘাড়ের হাড়ও ভেঙ্গে গেছে।কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রামপুরা গ্রামের সন্তান গোলাম মহিউদ্দিন বেলভ্যু হাসপাতালে ১ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতেও প্রায় অচেতন অবস্থায় ছিলেন। জানা গেছে ম্যানহাটানে রবিবার সকাল সাড়ে ৪টার দিকে হামজা সালমান (২৭) নামক ড্রাইভারের বেপরোয়া গতির গাড়িটিও ট্যাক্সিও মতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, গোলাম মহিউদ্দিনের গাড়িতে ধাক্কা দিয়ে প্রায় এক ব্লকের মত সামনে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ফিফথ এভিনিউ এবং ৪৪ স্ট্রিট অতিক্রম করার সময় গোলাম মহিউদ্দিনের ট্যাক্সির পেছনে হামজার গাড়ি (নীল রংয়ের বিএমডব্লিউ-এম৫) ধাক্কা দিয়ে ৪৩ স্ট্রিট পর্যন্ত ছেচড়ে নেয়। এরপর ট্যাক্সিটির বাম পাশ (ড্রাইভার সীটের দিক) দুমড়ে-মুচড়ে গেলে আর সম্মুখে নেয়া সম্ভব হয়নি। সংবাদ পেয়েই এ্যাম্বুলেন্সসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয় এবং মুমূর্ষাবস্থায় গোলাম মহিউদ্দিনকে নিকটস্থ বেলভ্যু হাসপাতালে ভর্তি করেছে। হামজা দ্রুত কেটে পড়েছিলেন। তবে বেশী দূর যেতে পারেনি। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় কিছুক্ষণের মধ্যেই। মঙ্গলবার তাকে ম্যানহাটান ক্রিমিনাল কোর্টে হাজির করা হলে দোষ স্বীকার করে বলেছে যে, আমি রেড লাইটে থাকাবস্থায় ঐ ট্যাক্সিকে ধাক্কা দেই। তবে আমি ট্রাফিক লাইট অতিক্রমের সময় তা রেড ছিল না। ঠিক মধ্যখানে থাকাবস্থায় হলুদ ছিল। এবং ট্যাক্সিটি ছিল মাঝের লেনে। মঙ্গলবার আদালত হামজাকে জামিনে মুক্তি দেয়ায় গোলাম মহিউদ্দিনের স্ত্রী মাসুমা আকতার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, ‘এটা কী করে সম্ভব, বেপরোয়া চালককে তারা মুক্তি দিয়েছেন। আমার স্বামী হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। সে আমার স্বামীর ট্যাক্সি ভেঙ্গেছে, স্বামীকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। তিনি যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। আদৌ পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরতে পারবেন কিনা-তার নিশ্চয়তা নেই। অথচ লোকটিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে মাত্র একদিন হাজতে রাখার পর।’ মাসুমা আকতার উল্লেখ করেন, আমাদের ৭টি সন্তান রয়েছেন। সর্বকনিষ্ঠ সন্তানের বয়স মাত্র ৭ মাস। জ্যেষ্ঠ সন্তান ২১ বছরের। স্বামীর উপার্জনেই সংসার চলে। এখন কীভাবে সামলাবো পরিবারের বোঝা? মাসুমা বলেন, টানা ২৭ বছর যাবত ট্যাক্সি চালিয়ে পরিবার চালাচ্ছেন। কখনো এমন পরিস্থিতির শিকার হইনি। ট্যাক্সি মেডেলিয়ন নিজের হওয়ায় মোটামুটি ভালই চলছিল সবকিছু। এদিকে, কুমিল্লা সোসাইটির সভাপতি কাজী আসাদউল্লাহ এবং সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান মিঠু মঙ্গলবার রাতে জানান, গোলাম মহিউদ্দিন খুব শান্ত মানুষ। রাতের শিফটে ট্যাক্সি চালান অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায়। শিফট শেষ করে ভোরে বাসায় ফেরার সময় এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন তিনি। এটি খুবই দুঃখজনক। তারা উভয়ে গোলাম মহিউদ্দিনের দ্রুত আরোগ্যে সকলের দোয়া চেয়েছেন। উল্লেখ্য, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গোলাম মহিউদ্দিন বাস করেন কুইন্সের ওজোনপার্কে। 

post
যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক সিটির উন্নয়নে বাংলাদেশিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে : মেয়র এডামস

নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক এডামস বলেছেন, আমেরিকা হচ্ছে এমন একটি দেশ যেখানে বসতি গড়তে হলে মাতৃভূমির মায়া-মমতা ত্যাগের প্রয়োজন হয় না। অর্থাৎ এ দেশটিকে নিজের মনে করতে পারলে প্রিয় মাতৃভূমিকে এখানেই নিয়ে আসা যায়। আমেরিকার মহাত্ম এভাবেই মহিমান্বিত হচ্ছে বহুজাতিক সমাজে নিজ নিজ সংস্কৃতির ধারা প্রবাহিত রাখার মধ্য দিয়ে। নিউইয়র্ক সিটির উন্নয়নে বাংলাদেশিরা গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে।নিউইয়র্ক পুলিশে কর্মরত বাংলাদেশী-আমেরিকানদের সংগঠন ‘বাপা’র ষষ্ঠ বার্ষিক অ্যাওয়ার্ড ডিনার’ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা তিনি এসব কথা বলেন। ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটস সংলগ্ন বিলাসবহুল একটি পার্টি হলে এই অনুষ্ঠান হয়।পুুলিশ বাহিনীতে কর্মরত বাংলাদেশী অফিসারদের প্রশংসাকালে মেয়র বলেন, আপনারা নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন বলেই এই সিটির জনজীবনকে নিরাপদ রাখা সম্ভব হচ্ছে। একইসাথে নিজ কম্যুনিটির সকলের প্রতি যাদে ভিন্ন কম্যুনিটির লোকজনের শ্রদ্ধাবোধ বাড়ে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।আর এভাবেই সামাজিক সম্প্রীতির বন্ধন সুসংহত হলে বিশ্বের রাজধানী খ্যাত এই সিটির ইমেজ আরো উজ্জ্বল হবে। সিটি মেয়র বলেন, নিজের ভাষা, সংস্কৃতিকে কখনো ছোট ভাববেন না। তাহলে অনেক সমস্যার সহজ সমাধান হয়ে যায়। বিশেষ করে এদেশে বেড়ে উঠা অথবা জন্মগ্রহণকারি প্রজন্মও গৌরববোধ করবে তার মা-বাবার সমাজ নিয়ে।নিউইয়র্ক সিটিতে বহু ভাষা, বহুবর্ণ আর বহু জাতির মানুষ বাস করছে। সবকিছু মাড়িয়ে আমি খুব সহজেই বাংলাদেশী-আমেরিকানদের দেখতে পাই তাঁদের কর্মনিষ্ঠা আর আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হিসেবে।  বিশেষ সম্মানীত অতিথির বক্তব্যে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম বলেন, গৌরবে আমার বুকটা ভরে যায়, যখন এই সিটির নানা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে থেকে বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ এসোসিয়েশনের সদস্যগণের ব্যাপারে ইতিবাচক মন্তব্য শুনি। সকলেই প্রশংসা করেন প্রতিটি পুলিশ অফিসারের কর্মনিষ্ঠা-দায়িত্ববোধের বিষয়ে। বাংলাদেশের একজন নাগরিক এবং কন্সাল জেনারেল হিসেবে এরচেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে।এজন্যে আমি বাপার প্রতিটি সদস্য-কর্মকর্তাকে অভিবাদন জানাচ্ছি।  কম্যুনিটির জনপ্রিয় দুই কণ্ঠশিল্পী রাজিব ও তৃণিয়া হাসানের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের পর বাপার (বাংলাদেশী আমেরিকান পুলিশ এসোসিয়েশন) এই বর্ণাঢ্য ডিনারের সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও অ্যাওয়ার্ড বিতরণ পর্ব শুরু হয় সংগঠনের সভাপতি ক্যাপ্টেন করম চৌধুরীর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। বাপার বোর্ড অব ট্রাস্টির সকলকে মঞ্চে ডেকে পরিচিতি পর্বের পর সমাপনী ভাষণ দেন বাপার ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এরশাদুর সিদ্দিক।  অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনদের মধ্যে ছিলেন কুইন্স ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার এ্যাট লার্জ এটর্নী মঈন চৌধুরী, সিটি মেয়রের (এশিয়ান বিষয়ক) উপদেষ্টা ফাহাদ সোলায়মান, কম্যুনিটি লিডার গিয়াস আহমেদ, রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর নুরুল আজিম, কম্যুনিটি লিডার মাহাবুবুর রহমান টুকু এবং ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, পিজি গ্রুপের সিইও পার্থগুপ্ত, ইউনাইটেড টেকনোলজি কোম্পানী ‘প্র্যাট এ্যান্ড হুইটনি’র সহযোগী পরিচালক মোহাম্মদ ইসলাম, এটর্নী মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, কাজী আজম, মাকসুদ চৌধুরী, ফিরোজ আলম প্রমুখ।  আগত অতিথিগণকে স্বাগত জানাতে ব্যস্ত ছিলেন বাপার মিডিয়া লিঁয়াজো জামিল সরোয়ার, কম্যুনিটি লিঁয়াজো মাহবুবুর জুয়েলসহ কর্মকর্তারা।

post
যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রবাসী নারীর মৃত্যু

নিউইয়র্কে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হুরুন্নাহার বেগম (৬২) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশী মারা গেছেন।১৮ অক্টোবর নিউইয়র্কের ম্যানহাটানে মাউন্টশিনাই হাসপাতালে মারা যান তিনি।১৯ অক্টোবর বুধবার জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার তার জানাযার সময় পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, ক্যান্সারে আক্রান্ত থাকা অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন হুরুন্নাহার।এরপর তাকে ম্যানহাটানে মাউন্টশিনাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কয়েকদিন আগে। সেখানেই তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত হুরুন্নাহারের বাড়ি বাংলাদেশের মানিকগঞ্জ জেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের বাড়ৈ গ্রামে। হুরুন্নাহার নিউইয়র্কে বসবাসরত আফাজউদ্দিন আহমদের স্ত্রী। বছর খানেকের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আর কোন প্রবাসীর মৃত্যু হয়নি । হুরুন্নাহারের মৃত্যুতে কমিউনিটিতে করোনা নিয়ে পুনরায় আতংক দেখা দিয়েছে। তাকে লং আইল্যান্ড ওয়াশিংটন মেমরিয়্যাল পার্কে দাফন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৯, ২০২০ এবং ২০২১ সালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্ক সিটিসহ সারা আমেরিকায় ১২ শতাধিক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে।

post
যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কে চিকেন বিরিয়ানির পরিবর্তে অন্য খাবার সরবরাহ করায় বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টে আগুন

এক গ্রাহক অর্ডার দিয়েছিলেন চিকেন বিরিয়ানি, কিন্তু তাকে অন্য খাবার সরবরাহ করা হয় বলে অভিযোগ। এতে বচসা হয় উভয়পক্ষের মধ্যে। এ ঘটনার পর বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্ট, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিরর ইউকেসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনায় চোফেল নরবু (৪৯) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি জ্যাকসন হাইটসে অবস্থিত ইত্তাদি গার্ডেন অ্যান্ড গ্রিল নামের রেস্টুরেন্টে আগুন দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগ ও অপরাধমূলক অপকর্মের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি নিউ ইয়র্ক পোস্টকে বলেন, “আমি মাতাল ছিলাম। আমি চিকেন বিরিয়ানি অর্ডার দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাকে তা দেয়নি। পরে আমি তা ফেল দিই।” চোফেল নরবু বলেন, “আমি একটি গ্যাস ক্যান আনি এবং ওই রেস্টুরেন্টে ছুড়ে মারি। পরে আগুন ধরিয়ে দিই। এর পরে সেখানে বিস্ফোরণ হয়। কিছুটা আমার গায়েও লাগে।” এই পুরো ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এবং নিউ ইয়র্কের দমকল বিভাগও এর একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ফুটেজে আগুন লাগানোর আগে নরবুকে রেস্টুরেন্টের বাইরে দাহ্য তরল ছুড়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। রাতে রেস্তোরাঁটি বন্ধ থাকায়, নরবু সেটির সাটারে তরলটি ছুড়ে মারেন। বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টটি যুক্তরাষ্ট্রের কুইনসের জ্যাকসন হাইটসে অবস্থিত। এটি নিউইয়র্কের বাংলাদেশি অধুষ্যিত একটি এলাকা। সূত্র: নিউ ইয়র্ক পোস্ট, মিরর ইউকে, এনডিটিভি

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.