post
যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের বাফেলোতে আতঙ্কিত বাংলাদেশিরা

যুক্তরাষ্ট্রের বাফেলোতে দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় শঙ্কিত রয়েছেন স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানোর দাবি জানালেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে আতঙ্কিত অবস্থায় দিন পার করছেন হাজার হাজার বাংলাদেশি। গেল ১০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে প্রায় অর্ধ লাখের বেশি বাংলাদেশি বাফেলোতে গিয়ে বসবাস শুরু করেছেন। শহরটিতে কোন বাংলাদেশি হত্যার ঘটনাও এর আগে ঘটেনি। তবে সম্প্রতি আবু সালেহ মোহাম্মদ ইউসুফ ও বাবুল মিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কমিউনিটিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় রোববার ডেল ও’ কামিংস নামের ৩১ বছর বয়সী ওই হত্যাকারীকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে, বাফেলো সিটি মেয়র বাইরেন ডাব্লিউ ব্রাউন আইনশৃঙ্খলা সুরক্ষায় বদ্ধপরিকর থাকার কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে পুলিশ কমিশনার জোসেফ গ্রেমাগলিয়া বলেন, আগের চেয়ে সেখানকারা নিরাপত্তা টহল বাড়ানো হয়েছে।

post
যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েল বিরোধী সহিংসতা

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভ আরও সহিংস রূপ নিয়েছে। ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের পাশাপাশি ইসরায়েলপন্থীরা হামলা চালাচ্ছে। এমন এক হামলার পর দুই পক্ষের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে মঙ্গলবার রাতে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেস ক্যাম্পাস। লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৩২ হাজার স্নাতকের শিক্ষার্থী রয়েছেন। বেশ কয়েক দিন ধরে তাঁদের অনেকে ক্যাম্পাসে তাঁবু খাটিয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ করছেন।

post
যুক্তরাষ্ট্র

যুদ্ধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা বন্ধের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা। যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তাঁবু তৈরি করে অবস্থান কর্মসূচিও চালিয়ে যাবেন তাঁরা। যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোয় কয়েক সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনপন্থীদের টানা বিক্ষোভ চলছে। আটক করা হয়েছে কয়েক'শ বিক্ষোভকারীকে। এতেও তাঁদের দমানো যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে গত রোববার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ক্যাম্পাসগুলোয় চলমান বিক্ষোভ অবশ্যই শান্তিপূর্ণ হতে হবে। ১৯৬০-এর দশকে ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও নাগরিক অধিকার আন্দোলনের পর যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইসরায়েলবিরোধী এই আন্দোলন। ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের সেই বিক্ষোভে ব্যাপক ধরপাকড় করা হয়েছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি সহিংসতায় রূপ নিয়েছিল।

post
যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশি হত্যায় অভিযুক্ত ব্যক্তি গ্রেপ্তার

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের বাফেলো শহরে দুর্বৃত্তের বন্দুকের গুলিতে দুই বাংলাদেশি হত্যায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে বাফেলো পুলিশ। সোমবার বিকেলে বাফেলো সিটি কোর্টে তাকে হাজির করা হয়। স্থায়ী ঠিকানাহীন ৩১ বছর বয়সী ডেল কামিংসের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত করা হয়েছে। শুনানির পর শুক্রবার পর্যন্ত জামিন ছাড়াই তাকে আটক রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। এর আগে, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাফেলোর ইস্ট ফেরি ও জেনার স্ট্রিটের ১০০ ব্লকে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আবু সালেহ ইউসুফ জনি ও কুমিল্লার লাঙ্গলকোর্টের বাবুল মিয়া নামের দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে ডেল কামিংস। এ ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে বাফেলো শহর। বাফেলোর মেয়র বায়রন ব্রাউন বলেন, গুলিতে নিহতদের একজনের স্ত্রী সন্তানসম্ভাবা। তিনি শিশুসহ দুই সন্তানের পিতা। অন্যজন সাত সন্তানের বাবা।

post
যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রে ঈদুল ফিতর পালিত

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন রাজ্যে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমেরিকার বিভিন্ন শহর ও মসজিদ্গুলোতে সকাল থেকে বিভিন্ন ইসলামিক সেন্টারগুলোতে স্থানীয়দের সাথে প্রবাসী মুসল্লিরা ঈদের জামাতে অংশ নেন। কুইন্সের সানিসাইড মুসলিম সেন্টারে ঈদের নামাজ পড়ান শায়েখ ইউসুফ রেজা চৌধুরী। এসময় মসজিদ কমিটির সভাপতি পারভেজুর রহমান ও আলতাফ হোসেনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

post
যুক্তরাষ্ট্র

গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় ১৯ শতকের গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতে যাচ্ছে৷ ১৮৬৪ সালের এক আইনে গর্ভপাতে সহায়তা করা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুয়োগ রয়েছে৷ অ্যারিজোনা রাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে জানিয়েছে, রাজ্যটি গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার জন্য ১৮৬৪ সালের এই আইন পুনরায় কার্যকর করতে পারে৷ আইনটি কার্যকর হলে গর্ভপাতে সহায়তাকারী চিকিৎসকদের বিচারের মুখোমুখি করার আশঙ্কা বেড়ে যাবে৷ অ্যারিজোনা রাজ্যের বিদ্যমান আইন অনুসারে ধর্ষণ অথবা অনিচ্ছাকৃত ঘটনায়ও গর্ভপাত নিষেধ৷ শুধু মায়ের জীবনের আশঙ্কা থাকলে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হবে৷ আইনটিতে গর্ভপাতের ক্ষেত্রে সহায়তা করার জন্য, দুই থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে৷

post
যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তার উদ্যোগে ডব্লিউইউএসটি ফাউন্ডেশন

পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে এবং ঈদ উল ফিতর সামনে রেখে নিউইয়র্কের কুইন্সে নিম্নআয়ের তিন শতাধিক পরিবারের জন্য খাদ্য সহায়তার উদ্যোগ নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে ডব্লিউএসটি ফাউন্ডেশনসহ কয়েকটি সংগঠন-প্রতিষ্ঠান।পরিবারগুলোর মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের একটি মহতী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে গত রবিবার ৭ এপ্রিল। জীবনযুদ্ধে অব্যহত লড়াই চালিয়ে যাওয়া মানুষগুলোর দিকে সামান্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে এবং ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতেই এই উদ্যোগ।ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’র উদ্যোগে গড়ে তোলা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ডব্লিউএসটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কমিউনিটির সুবিধাবনচিত মানুষের পাশে থাকছে। নিউইয়র্কে সেইভ দ্য পিপল ও মুনা সোশ্যাল সার্ভিসেস নামের দুটি সংগঠনের সাথে যৌথভাবে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করলো ডব্লিউইউএসটি।এইদিন সকাল থেকেই কুইন্সের জামাইকায় নিম্নআয়ের মানুষগুলো জড়ো হতে থাকেন। আগেই তাদের এই খাদ্য সহায়তার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিলো মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে। পরে তা সংগ্রহ করতে তিন শতাধিক মানুষ জড়ো হয়। তাদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে একের পর এক তুলে দেওয়া হয় নানা ধরনের খাদ্যপণ্য। আয়োজকরা জানান, বিশ ধরনের খাদ্যপণ্য দিয়ে একেকটি থলে তৈরি করে তা বিতরণ করা হয়। আর সহায়তা যারা পেলেন তাদের একজন জানালেন, পর্যাপ্ত পরিমান খাদ্য সহায়তা তারা পেয়েছেন। যা দিয়ে একটি ছোট পরিবারের এক মাসের খোড়াক হয়ে যাবে। আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে সহায়তাপ্রাপ্ত একাধিকজন বলেছেন, তারা খুশি। খুশি ছিলো সহায়তা নিতে আসা ছোট শিশুরাও। কারণ খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে তাদের প্রিয় আইটেমও রয়েছে। নানা বয়সের নারীপুরুষ এসেছিলো খাদ্য সহায়তা নিতে। তারা সকলেই সহায়তা পেয়েছেন। অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে এই খাদ্য সহায়তা বিচরণ করা হয়। আর সে কাজে নিয়োজিত ছিলেন এক ডজনেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবকের একটি দল। করেমসূচির প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন সেভ দ্য পিপল এর কর্ণধার মাওলানা মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এমন অনেক মানুষ আছেন যাদের আয় কম। ফলে এই মানুষগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার পান না। এমন অনেকে আছেন যাদের আয়-ব্যয়ের হিসাবেই আটকে থাকে জীবন। ভালো কিছু খাবার খেতে পারেন না। কমিউনিটির এসব অসহায় মানুষ ও নতুন যারা আমেরিকায় আসেন, প্রবাসী বাঙালি সবার কথা চিন্তা করেই এই সহযোগিতার উদ্যোগ।  এই উদ্যোগের পাশে থেকে সহযোগিতা করার জন্য ডব্লিউইউএসটি ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই সহায়তার কারণে অনেক পরিবারের মুখে ফুটেছে হাসি। জীবন হয়েছে সহজ। রমজানের পরেও প্রতি মাসে এই কর্মসূচি চলবে বলে জানান আয়োজকরা। একই সঙ্গে সামাজিক এই মহৎ উদ্যোগে অবদান রাখায় ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (ডব্লিউইউএসটি) চ্যান্সেলর ও ডব্লিউইউএসটি ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী আবুবকর হানিপসহ অন্যান্য দাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এর মধ্য দিয়ে নিউইয়র্কের নিম্ন আয়ের মানুষ, নব্য অধিবাসীরা কিছুটা হলেও খাদ্যচিন্তামুক্ত থাকবে। ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন গ্রোসারি আইটেমের ২০টির বেশি খাদ্যপন্ন বিতরণ করা হলে। আর যারা এই সহায়তা পাওয়ার যোগ্য সেই অসহায় মানুষগুলোকেই তালিকাভূক্ত করে এই সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। শুধু কুইন্স নয়, ব্রুকলিন, ম্যানহাটনসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে তিন শতাধিক পরিবার এখানে খাবার নিতে আসে। খাদ্যপণ্যের মধ্যে ছিলো দুধ, তেল, আলু-পেঁয়াজসন অন্যান্য গ্রোসারি আইটেম। ছিলো ফলসহ নানা ধরনের উপাদেয় খাবার। খাবার নিতে আসা মানুষের প্রবাসী বাঙালি পরিবারও ছিলো। আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তারা বলেন, এমন সাহায্য পেয়ে তারা খুবই আনন্দিত। বিতরণ করা খাবারের মান ও পরিমাণেও তারা খুশি। খাদ্য বিতরণের এই কর্মসূচিতে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করেন শর্শিনার হুজুর শাহ মুহম্মদ শফিউল্লাহ সিদ্দিকী, সেভ দ্য পিপল এর উপদেষ্টা আনিসুল কবির জাসির, পিস সেন্টার অব ইউএসএ’র ভেরোনিকা হোসেইন, কুইনস পাওয়ার এর উম্মা সিদ্দিকা, দারুস সালাম মসজিদের ইমাম আবদুল মুকিত, নিউইয়র্ক সিটির ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টেশনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক কেনি আর প্লেসিনসিও, নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের উপদেষ্টা ফরহাদ সোলায়নান, সেফেস্ট এর প্রেসিডেন্ট মাজেদা উদ্দিন, ফার্মাসিস্ট কায়সার সজীব, ইউএনও-ইউএসএ’র প্রতিনিধি শারমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জুবায়ের আবদুল্লাহ এবং এনওয়াইসি ডিপার্টমেন্ট অব বিল্ডিং এর ফয়সল আহমেদ।

post
যুক্তরাষ্ট্র

সম্পর্কের নতুন অধ্যায় নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে মার্কিন প্রতিনিধি দলের বিস্তারিত আলোচনা

বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কে নতুন অধ্যায় শুরু নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধি দলের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।আজ বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী হাছানের সঙ্গে এক ঘন্টাব্যাপী বৈঠকে বাংলাদেশ সফররত এ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র ডিরেক্টর আইলিন লবাখার। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পত্রের উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর লেখা পত্রের একটি কপি মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী  লবাখারকে হস্তান্তর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের একটি বড় উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্র। দু'দেশের সম্পর্কে নতুন অধ্যায় শুরু নিয়ে, এই সম্পর্ককে কিভাবে আরও গভীর করা যায়, সে সব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে একমাত্র সমাধান হিসেবে বিবেচনা করেছে। তারাও চায় রোহিঙ্গারা সসম্মানে নিজ দেশে ফিরে যাক। সেই সাথে তাদেরকে সাময়িক আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে উদারতা দেখিয়েছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেছে মার্কিন প্রতিনিধিরা। হাছান বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধসহ যে কোনো যুদ্ধের বিরুদ্ধে ও শান্তির পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেছি। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক রাশেদ চৌধুরীকে দেশে আনার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তাদের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট এটি দেখছে।  র‌্যাপিড একশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব)  ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র পাঁচটি পর্যবেক্ষণ (অবজারভেশন) দিচ্ছে, যে সব বিষয়ে বাংলাদেশ তার গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরবে। পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, নিরাপত্তা সহযোগিতা, শ্রম পরিবেশ উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ইউএসএইডের সহযোগিতা আলোচনায় স্থান পায়, উল্লেখ করেন মন্ত্রী।সফররত ইউএসএইডের এশিয়া ব্যুরোর এসিস্ট্যান্ট এডমিনিস্ট্রেটর মাইকেল শিফার এবং ডিপার্টমেন্ট অভ স্টেটের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার ডেপুটি এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার বৈঠকে অংশ নেন। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম এবং অন্যান্য কর্মকর্তাগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।এর আগে প্রতিনিধিদলের একাংশ পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের সাথে এক বৈঠকে মিলিত হয়।এ দিন দুপুরে মন্ত্রণালয়ে আসিয়ান দেশগুলোর ঢাকায় নিযুক্ত হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। মন্ত্রী জানান,  আসিয়ানের পর্যবেক্ষক হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি ও এই জোটভুক্ত দেশগুলোর সাথে বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা বৈঠকে অংশ নেন।

post
যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন অভ্যন্তরীণ বিষয় : যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করতে চায় না, কারণ তারা এই নির্বাচনকে 'অভ্যন্তরীণ, ঘরোয়া নির্বাচন' হিসেবে উল্লেখ করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, 'অভ্যন্তরীণ, ঘরোয়া নির্বাচন হওয়ায় এর বাইরে আমার আর কিছু বলার নেই।'বাংলাদেশে অন্য একটি দল জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং পরে এটিকে 'অন্যায্য ও অন্যায় নির্বাচন' বলে দাবি করতে পারে এমন পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে মোকাবিলা করবে তা জানতে চাইলে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্যাটেল বলেন, যেহেতু এটি নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই যুক্তরাষ্ট্র চায় যে তা অবাধ ও সুষ্ঠু হোক এবং বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হোক। সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'তবে আমি বিস্তৃতভাবে বলব যে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ গত বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করেছে এবং আমরা এই সম্পর্ককে আরও গভীর করার অপেক্ষায় রয়েছি।' প্যাটেল বলেন, ঢাকা ও ওয়াশিংটনের বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে তাদের ব্যাপক সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততার সম্ভাবনা রয়েছে - তা জলবায়ু পরিবর্তন হোক, অর্থনীতি হোক, মানবিক সংকট মোকাবিলা এবং অন্যান্য বিষয়ও হোক।

post
যুক্তরাষ্ট্র

ভ্রমণকারীদের জন্য করোনার টিকার বিধি তুলে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

আকাশপথে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে ইচ্ছুক বিদেশিদের জন্য করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার বিধি উঠে যাচ্ছে। গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়, আকাশপথে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য করোনার টিকার বিধিটি ১১ মে শেষ হবে। মার্কিন কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী ও ঠিকাদারদের জন্য টিকা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার বিধিও একই দিন শেষ হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।এ ছাড়া একই দিন (১১ মে) যুক্তরাষ্ট্রে করোনা-সংক্রান্ত জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থাও শেষ হবে। যুক্তরাষ্ট্রে ১০ লাখের বেশি মানুষ করোনায় মারা গেছেন। হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা মহামারি প্রায় শেষ। করোনা মহামারির জেরে যুক্তরাষ্ট্র সরকার নানা ধরনের বিধিনিষেধ জারি করে। করোনা নিয়ন্ত্রণে আসার পরিপ্রেক্ষিতে তারা ধীরে ধীরে বিধিনিষেধগুলো তুলে নিতে থাকে। হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে করোনায় মৃত্যু ৯৫ শতাংশ কমেছে। হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা কমেছে প্রায় ৯১ শতাংশ। অন্যদিকে, বিশ্বে করোনায় মৃত্যু এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। হোয়াইট হাউস বলেছে, বাধ্যবাধকতার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রে করোনার টিকাদানকে জোরদার করেছে। ব্যাপকভিত্তিক টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.