post
ক্যাম্পাস লাইফ

ক্যালিফোর্নিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা

বাংলাদেশি ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্যালিফোর্নিয়ার বনভোজনের মাধ্যমে অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৩ জানুয়ারি দেশটির লস এঞ্জেলসের রোজমিট পার্কে ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা মিলিত হন। এদিন ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে এক মনোমুগ্ধকর মিলনমেলায় পরিণত হয়। শিক্ষার্থীদের এ আয়োজনের ছিল ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন খেলাধুলা, ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার পরিবেশন, র‌্যাফেল ড্রসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। হাসি-গান, আনন্দ আর খেলাধুলায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপভোগ করেন ক্যালিফোর্নিয়ার ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট পদে রাসেল মাহমুদ জুয়েল এবং সাধারণ সম্পাদক পদে লিংকন আহমেদকে নির্বাচিত করা হয়। ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সম্পর্কের ভিত্তিকে আরও মজবুত করার লক্ষ্যে এ আয়োজন বলে জানান আয়োজকরা।

post
ক্যাম্পাস লাইফ

বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য কঠোর যুক্তরাজ্য

অভিবাসন বা উচ্চ শিক্ষার জন্যে বরাবরই পছন্দের শীর্ষে থাকে যুক্তরাজ্য। উন্নত জীবনের স্বপ্নে ইউরোপের এ দেশটিতে প্রতি বছর পাড়ি জমাচ্ছেন হাজারও বাংলাদেশী। তবে দেশটিতে সম্প্রতি শিক্ষা অর্জনসহ নানান ক্ষেত্রে এসেছে কঠোর পরিবর্তন। তাই সঠিক নির্দেশনা মেনে দেশটিতে যাওয়ার পরামর্শ স্থানীয় বাংলাদেশীদের।সংশ্লিষ্টরা জানান,অভিবাসন বা উচ্চ শিক্ষার জন্যে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন বহু বাংলাদেশী। উন্নত বিশ্বের এই দেশটিতে জীবন গড়ার স্বপ্ন থাকে প্রায় প্রতিটি অভিবাসন প্রত্যাশীর। তবে দেশটিতে শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে সম্প্রতি আনা হয়েছে বড় পরিবর্তন। তাই দেশটিতে যাওয়ার পূর্বে অর্থনৈতিক নিরাপত্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানার পরামর্শ দেন দেশটির আইনজীবি ব্যারিষ্টার এম কামরুল হাসান। প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যারিষ্টার এম কামরুল হাসান বলেন, দেশটিতে শ্রমশক্তি রপ্তানীর ক্ষেত্রেও এসেছে আইনের পরিবর্তন। যেখানে কপাল খুলছে দক্ষ কর্মীদের। তিনি আরও জানান, অদক্ষতা নিয়ে বৃটেনে যাওয়ায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন অনেক বাংলাদেশী। তাই দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় আইন মেনে দেশটিতে যাওয়ার পরামর্শ তার।

post
ক্যাম্পাস লাইফ

মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা, বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম

গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে মাধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে ইরাকে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার কার্যালয়ে ইরানের হামলার পর সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। থেমে নেই লোহিত সাগরের বাণিজ্যিক জাহাজে হামলাও।এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৭৭ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়ে ৭৮ দশমিক ৯২ ডলারে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ৪৬ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৬৩ শতাংশ বেড়ে ৭৩ দশমিক ১৪ ডলার হয়েছে। এর আগে ইরাকে ইসরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের ‘সদরদপ্তরে’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। এতে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। একই সময় সিরিয়ায় বেশ কয়েকটি ‘সন্ত্রাসী’ লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হেনেছে ইরান। আইআরজিসি’র বিবৃতি উল্লেখ করে ইরানি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, ইরাকের কুর্দিস্তানের রাজধানী ইরবিলে হামলা চালিয়ে ‘একটি গুপ্তচর সদরদপ্তর’ এবং ‘ইরানবিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ঘাঁটি’ ধ্বংস করা হয়েছে। তাছাড়া ইয়েমেনের দক্ষিণ উপকূলে যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন একটি কার্গো জাহাজে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা। তবে গিলব্রালটার ঈগল নামের ওই জাহাজটিতে হামলার ঘটনায় বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

post
ক্যাম্পাস লাইফ

নতুন ক্যাম্পাসে গেট টুগেদার করলো ডব্লিউইউএসটির নবগঠিত 'ব্রাজিলিয়ান স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন'

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির নতুন ক্যাম্পাসে গেট টুগেদার ও মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠান করলো বিশ্ববিদ্যালয়ের নব গঠিত ব্রাজিলিয়ান স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। ডব্লিউইউএসটির অ্যালেকজান্দ্রিয়ার নতুন ক্যাম্পাসের ক্যাফেটেরিয়ায় হওয়া এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ ও প্রেডিসেন্ট ড. হাসান কারাবার্কসহ বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির প্রফেসরগণ। নতুন এই ক্যাম্পাসে ব্রাজিলিয়ান শিক্ষার্থীদের নতুন এই সংগঠনকে স্বাগতম জানান প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক ও সিএফও ফারহানা হানিপ।এছাড়া শিক্ষা ও ক্যারিয়ার বিষয়ক নানা পরামর্শ রেখে শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান, স্কুল অব বিজনেসের পরিচালক ড. মার্ক এল রবিনসন, স্কুল অব আইটির ডিরেক্টর অ্যাপোসটোলস ইলিওপোলাস পল, অ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর অব জেনারেল অ্যাডুকেশন ড. হোয়ান লি, মার্কেটিং ডিরেক্টর হোসে উর্তেগা এবং স্টুডেন্ট সাকসেস ও ক্যারিয়ার সার্ভিস ম্যানেজার রিচেল রোজ। করোনা মহামারির পরিবর্তী সতর্কতা  অনুযায়ী বিগত দু'বছর ডব্লিউইউএসটির ক্লাস হয়েছে অনলাাইন ও ইনপার্সন মিলিয়ে হাইব্রিড উপায়ে।  ফলে এই গেট টুগেদার উপলক্ষ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনেকেরই সরাসরি দেখা হয়েছে প্রথমবার।  তাও আবার সুবিশাল অত্যাধুনিক নতুন ক্যাম্পাসে। এমন পরিবেশে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে স্বদেশী সবাইকে এক সাথে পেয়ে ব্রাজিলিয়ান শিক্ষার্থীদের উচ্ছাস ছিলো চোখে পড়ার মত। এরপর শুরু গল্প আর মধ্যান্হ ভোজ পর্ব। আর এর মাঝে চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপের উপস্থিতিতে আয়োজন পায় বাড়তি মাত্রা। শিক্ষার্থীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন চ্যান্সেলরের সাথে কুশল বিনিময় আর ছবি তোলাতে। আয়োাজনে ছিলো সারপ্রাইজ বার্থডে উইশ। কেক কেটে ডব্লিউইউএসটির ব্রাজিলিয়ান শিক্ষার্থী জুবানার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান সকলে মিলে। আমন্ত্রিত শিক্ষার্থীরা ডব্লিউইউএসটির চ্যন্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ ও প্রেডিসেন্ট ড. হাসান কারাবার্ককে উচ্ছাসের সাথে ধন্যবাদ জানান এমন সুন্দর নতুন ক্যাম্পাসে তাদের শিক্ষাসহ নতুন কার্যক্রমের জন্য। আসছে বছরের প্রথম দিন থেকে ভার্জিনিয়ার আলেকজেন্দ্রিয়ার নতুন ক্যাম্পাসে শুরু হতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সকল কার্যক্রম। নতুন ক্যাম্পাসে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরুর আগে জন্য চলছে শেষ মুহূর্তের নানা রকম প্রস্তুতি।

post
ক্যাম্পাস লাইফ

ভারতের নিমস ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের আমেরিকান ডিগ্রীর স্বপ্ন পূরণ করবে ডব্লিউইউএসটি

উচ্চমান সম্পন্ন শিক্ষা, গবেষণা উন্নয়ন, সহযোগীতা ও অন্যান্য শিক্ষাবিনিময় কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ও ভারতের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি নিমস ইউনিভার্সিটির মাঝে একটি দীর্ঘ মেয়াদী সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। ৪ ডিসেম্বর সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াস্থ ডব্লিউইউএসটির লিসবার্গ পাইক ক্যাম্পাসের হল রুমে অনুষ্ঠিত হয় এই কার্যক্রম। এই সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর করেন ডব্লিউইউএসটির চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ এবং নিমস ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. বলবীর এস. তুমার। ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উচ্চ শিক্ষা এবং শিক্ষাগত গবেষণার উন্নয়নের স্বার্থে পারস্পরিক সহযোগীতায় এই দুই বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘস্থায়ীভাবে এক সাথে কাজ করার লক্ষ্যে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। ভারতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিমস ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস রাজস্থানের জয়পুরে। বেসরকারী মেডিকেল নির্ভর ইউনিভার্সিটির মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে এটি সারা ভারতের মধ্যে অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয়। ডব্লিউইউএসটিতে পরিচালিত চলমান প্রোগ্ররামগুলোর সিলেবাস অনুসরণ করে পড়ানো হবে নিমস ইউনিভার্সিটিতে। আর সেই প্রোগ্রামের ছাত্রছাত্রীরা তাদের ডিগ্রীর অর্ধেক বা একাংশ সম্পূর্ণ করবেন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াস্থ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে এসে। এটি ছিলো এই এমওইউর অন্যতম বিষয়। এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার উদ্দেশ্যে ডব্লিউইএসটির ক্যাম্পাসে আসেন নিমস ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. বলবীর এস তুমার ও প্রফেসর ড. নিপাক নাথিয়া। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ডব্লিউইউএসটির শিক্ষক ও কর্মকর্তাগণ। শুরুতে নিমস ইউনিভার্সিটির সার্বিক চিত্র প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন প্রফেসর ড. নিপাক নাথিয়া। আর ডব্লিউইউএসটির পক্ষ থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মিশন, ভিশন ও বৈশিষ্ট্যসূমহ পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে অতিথীদের সামনে উপস্থাপন করেন স্টুডেন্ট সাকসেস এন্ড ক্যারিয়ার সার্ভিস ম্যানেজার রিচেল রোজ। দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপস্থাপন পর্ব শেষে চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ তার বক্তৃতায় বলেন, " নিমস ইউনিভার্সিটি সার্বিক বিবেচনায় সফলতার এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে এটি অন্য যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনুসরণীয়। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে ডব্লিউইউএসটির মাধ্যমে শিক্ষা সেবা পৌঁছে দিতে পারাটা হবে আনন্দের ও গর্বের।" তিনি আমন্ত্রিত অতিথীদের সামনে ডব্লিউইউএসটির কথা বলতে গিয়ে বলেন, "দু বছর আগে মাত্র ২৮২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হয়েছিলো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন করে পথচলা। অল্প সময়ের ব্যবধানে বর্তমানে বিশ্বের একশোর বেশি দেশের ১৭'শো ছাত্রছাত্রী এখানে পড়শোনা করছে।" তিনি আরও জানান," আসছে নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে নিজস্ব নতুন ক্যাম্পাসে ক্লাস ও সকল কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে ডব্লিউইউএসটির। চলছে নার্সিং ও ডাটা সাইন্সের মত নতুন প্রোগ্রাম শুরু করার প্রক্রিয়া। সুতরাং নিমসের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আইটির স্টুডেন্টরাও এখানে এসে তাদের আমেরিকান উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে।" আবুবকর হানিপ যোগ করেন, "ডব্লিউইউএসটির শিক্ষার্থীরা বিনা খরচে পিপলএনটেকের মত ইন্টারন্যাশনাল লেভেলের সফট স্কিল প্রতিষ্ঠান থেকে পাঁচ হাজার ডলারের যে কোন একটি কোর্স বিনামূল্যে করতে পারছে। বিগত দেড় যুগে পিপলএনটেক থেকে সার্টিফিকেশন কোর্স করে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন আইটি কোম্পানীতে দশ হাজার মানুষ সফল আইটি ক্যারিয়ার গড়েছে, দেড় থেকে দুই লাখ ইউএস ডলারে সেলারি পাচ্ছে তাদের অনেকে। সুতরাং নিমসের শিক্ষার্থীরাও এই পিপলএনটেক থেকে যে কোন একটি আইটি কোর্স বিনা খরচ করতে পারবে বলে জানান, আবুবকর হানিপ।" নিমস ইউনিভার্সিটির চ্যন্সেলর ড. বলবীর এস তুমার বক্তব্য দিতে এসে বলেন, "ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ যেমন একজন অসাধারণ মানুষ তেমনি একজন ক্যারিশম্যাটিক লিডার, তার নেতৃত্বে ডব্লিউইউএসটি দারুণ গতিতে এগিয়ে চলছে। যে স্বপ্ন আর পরিকল্পনা নিয়ে তিনি এগিয়ে চলছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে ডব্লিউইউএসটি আমেরিকার মেইন স্ট্রিমের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় জায়গা করে নিবে। ড. বলবীর আরও বলেন, "ডব্লিউইউএসটির শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও অদূর ভবিষ্যতে ২০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।" ডব্লিউইউএসটির প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক নিমস বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহৎ আকারের শিক্ষা কার্যক্রম ও সফলতার প্রশংসা করেন এবং তাদের এই কার্যক্রমের সাথে তার বিশ্ববিদ্যালয়কে যুক্ত করার জন্য ধন্যবাদ জানান। প্রেসিডেন্ট ড. কারাবার্ক তার বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ত্রিপল এ' মিশন অর্থাৎ অ্যক্রিডিয়েটেড, অ্যাফোরডেবল ও অ্যাক্সেসেবল বৈশিষ্ট্যের কথা তুলে ধরেন। নিমস ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর ও তার প্রতিনিধি দলকে ডব্লিউইউএসটিতে স্বাগতম জানিয়ে ডব্লিউইউএসটির প্রধান অর্থকর্মকর্তা ফারহানা হানিপ বলেন, "নিমসের মতো ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে এক হয়ে কাজ করা হবে সত্যিই গর্বের।" তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন দুই চ্যান্সেলর। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির পক্ষ থেকে সুভিনির তুলে দেয়া হয় অতিথীদের হাতে। গ্রুপ ফটোসেশনে অংশ নেন সকলে। অনুষ্ঠানে যোগ দেবার আগে লিসবার্গ পাইকের ক্যম্পাস ঘুরে ফিরে দেখেন চ্যান্সেলর ড. বলবীর এস. তুমার। সেখানে থেকে চলে যান ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির আলেকজেন্দ্রিয়ার নতুন ক্যম্পাসে। ক্যাম্পাসের বিস্তৃতি এবং ক্যাম্পাস জুড়ে শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বাধুনিক ক্লাসরুম, ল্যাব, লাইব্রেরী, ক্যাফেটেরিয়া, গেমিং জোন, অডিটোরিয়ামসহ সব কিছু ঘুরে ফিরে দেখে ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রফেসর ড. বলবীর। তিনি বলেন তার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার জন্য একেবারে সঠিক ঠিকানা খুঁজে পেয়েছে। একাডেমিক কারিকুলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি, মিশন ও ভিশন আর সর্বপরি চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ এবং প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্কে মতো নেতৃত্বের হাতে পরিচালিত কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে শিক্ষার্থীরা সেরাটাই পাবে বলে মন্তব্য করেন নিমস বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ড. বলবীর। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০২১ সাল থেকে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকান উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপের ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকানের হাতে পরিচালিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে তথ্য-প্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি ও ব্যবসায়িক প্রশাসনের উপর ব্যাচেলর ও মাস্টার্স কোর্সে বর্তমানে বিশ্বের ১২১ দেশের সতেরশো শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। অন্যদিকে ভারতে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বেসরকারী নিমস ইউনিভার্সিটিতে মেডিকেলের প্রোগামের পাশাপাশি রয়েছে প্রায় সবরকম নন-মেডিকেল সাবজেক্ট। ২০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে সাড়ে পাঁচ হাজার ‌ফ্যাকাল্টি মেম্বার। চারশো একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একশোর বেশি প্রোগ্রামের অধীনে সাড়ে চারশো কোর্স চালু রয়েছে। মেডিকেল সায়েন্সের সকল সাবজেক্টের পাশাপাশি আইন, ব্যবসায়িক প্রশাসন, লিবারেল আর্টস থেকে শুরু করে প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট সকল সাবজেক্টের সাথে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয় আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্সের মতো বিষয়। আর এখন ডব্লিউইউএসটির সাথে এই সমঝোতার স্মারকের ফলে খুলে গেলো হাজারো শিক্ষার্থীর আমেরিকান ডিগ্রীর স্বপ্নের দোঁয়ার।

post
ক্যাম্পাস লাইফ

ডব্লিউইউএসটিতে পড়তে আগ্রহী ওয়াশিংটন ও ডিসি মেট্রোপলিটনের হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ও ডিসি মেট্রোপলিটন এলাকার হাইস্কুল গামী শিক্ষার্থীদেরকে কলেজের বিষয়ে আগ্রহ তৈরি করত এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ১৮ অক্টোবর জর্জ মেসন বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে গেলো, 'আলক্যানজা কলেজ মেলা'র ২৩তম বার্ষিকী। হিস্পানিক হেরিটেজ মাসের অংশ হিসেবে ল্যাটিনক্স শিক্ষার্থীদের, মাধ্যমিক-পরবর্তী পরিকল্পনা সম্পর্কে, অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে এই মেলা আয়োজন করা হয়। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলের ১৫০ টিরও বেশি কলেজ এই মেলায় অংশ নিয়েছে আর এতে উপস্থিত হয়েছিলো উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঁচ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। মেলায় ডিউক, জেএমইউ, মেসন, উইলিয়াম এবং মেরি, হার্ভার্ড, প্রিন্সটনের মত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি গন উপস্থিত হয়েছিলেন। অন্যসব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের সাথে এই আয়োজনে অংশ নিয়েছে ভার্জিনিয়াস্থ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ডব্লিউইউএসটি)। শিক্ষার্থীদের মাঝে ডব্লিউইউএসটির সম্পর্কে সার্বিক তথ্য শেয়ার করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং ডিরেক্টর হোসে ওর্তেগা ও প্রতিনিধি অ্যাশলে। স্কলারশিপসহ সকল রকম সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে জানার পর শিক্ষার্থীদের মাঝে ডব্লিউইউএসটির সম্পর্কে বেশ আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় বলে জানান, হোসে ওর্তেগা। তিনি উল্ল্যেখ করেন, মেলায় নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার হিসেবে স্ট্রাইভ স্ক্যান অ্যাপের ব্যবহার তার কাছে ইউনিক মনে হয়েছে। কিউআর কোড স্ক্যান করার মাধ্যমে মেলায় আসা আগ্রহী শিক্ষার্থীদের সকল তথ্য পাওয়া সম্ভব খুব সহজে। অদূর ভবিষ্যতে ডব্লিউইউএসটি এই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে বলে জানান তিনি। মেলা চলাকালীন বিভিন্ন হাইস্কুলের কাউন্সেলরগণদের সাথে কথা হয়েছে ডব্লিউইউএসটির প্রতিনিধি দলের সাথে। কাউন্সিলরগণ তাদের শিক্ষার্থীদের জন্য ডব্লিউইউএসটির ক্যাম্পাস পরিদর্শন করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। ডিসেম্বর ও জানুয়ারীতে তারা যেন ক্যাম্পাস পরিদর্শন করতে পারেন সেই বিষয়ে প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন হোসে ওর্তেগা। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০২১ সাল থেকে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপের ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি আমেরিকানের হাতে পরিচালিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে তথ্য-প্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি ও এমবিএ-বিবিএ কোর্সে বর্তমানে বিশ্বের ১২১ দেশের ১৫ শ'র বেশি শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে।

post
ক্যাম্পাস লাইফ

চার মাসের ব্যবধানে বছরের দ্বিতীয় পিকনিক উৎসব করলো ডব্লিউইউএসটির শিক্ষার্থীরা

বছরের সবচেয়ে আনন্দমুখর একটি দিন যেন কাটালো ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা। চার মাসের ব্যবধানে ১লা অক্টোবরের রবিবার বছরের দ্বিতীয় পিকনিকের আয়োজন করে ডব্লিউইউএসটির সু্ডেন্ট গর্ভামেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (এসজিএ)। চমৎকার আবহাওয়ায় ভার্জিনিয়ার রেস্টনের লেক ফেয়ারফ্যাক্সের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের মাঝে এদিন সবাই হেসে খেলে, গান গেয়ে আর মজাদার খাবার উপভোগের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে দিনটি কাটিয়েছেন সকলে।যেখানে জড় হয়েছে ডব্লিউইউএসটিতে পড়া বিশ্বের ২৯ টি দেশের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের কলরবে মুখরিত হয়ে উঠেছিল পিকনিক স্পট। যাদের মধে অনেকেই ছিলেন একবারে নতুন। যারা কিনা সবেমাত্র ফল কোয়ার্টারে ভর্তি হয়েছেন। পরিবার পরিজন রেখে বিদেশের মাটিতে পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীরা এমন উৎসব মুখর পরিবেশ পেয়ে আপ্লুত। তাদের চোখে মুখে ছিলো যেন এক রকম প্রশান্তি। অন্যদিকে পুরনো ছাত্রছাত্রীদের জন্যও দিনটি ছিলো আনন্দের। কারণ পরের দিন থেকে শুরু নতুন কোয়ার্টার।শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, তাদের সাথে আসা পরিবারের মানুষজনও বেশ উপভোগ করেছেন দিনটি। বাচ্চারা ছুটে বেড়িয়েছে সারাক্ষণ। একদিকে চলছিল খাবার পরিবেশনের প্রস্তুতি, অন্যদিকে সবুজ ঘাসের প্রান্তরে সঙ্গে আনা বিছানা চাদর পেতে, চেয়ার সাজিয়ে অনেকে বসে গল্পে মেতে উঠেন। ছবি তোলা, ভিডিও করা, ফেসবুকে লাইভ করা নিয়ে অন্য দল মেতে রইলেন। লেকের ধারে ঘুরে বেড়িয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। কেউ কেউ মাছ ধরায় ব্যস্ত হয়ে পরেন। এসবের মাঝে ছিলো মজাদার খাবারের বিশাল আয়াজন। তৃপ্তি ভরে খেয়েছেন সকলে। পিকনিক প্রাণবন্ত হয়ে উঠার আরেকটি উপললক্ষ্য ছিলো মজার খেলাধুলা পর্ব। কাপে বল ফেলা আর কোমড়ে রিং ঘুরানোসহ বেশ কয়েকটি গেইমের আয়োজন ছিলো। স্বত:স্ফূর্তভাবে এতে অংশ নেন সকলে। মজার ছলে হলওে কঠিন প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন সকলে। ডব্লিউইউএসটির প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক ও সিএফও ফারহানা হানিপ বিজয়ীদের হাতে প্রাইজমানি তুলে দেন । পিকনিকের সার্বিক আয়োজন নিয়ে সকলে এক বাক্যে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। পড়াশোনার ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে সবাইকে আনন্দ উপলক্ষ্য এনে দিতে পেরে খুশি ডব্লিউইউএসটির প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারার্বাক ও সিএফও ফারহানা হানিপ। আর সবাইকে সুন্দর একটি দিন উপরহার দেয়ার জন্য যারা গত দুই সপ্তাহ কঠিন পরিশ্রম করেছেন তাদের মুখে লেগে ছিলো হাসি। তারা বলেন, প্রথমবারের তুলনায় এই আয়োজন ছিলো সব দিকে ছিলো অনেক গোছানো।ফেরার সময় শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার সুডেন্ট গর্ভামেন্ট অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, যে সুন্দর দিন কাটালাম স্মৃতিতে অমলিন হয় থাকবে।

post
ক্যাম্পাস লাইফ

ডব্লিউইউএসটির ক্যাম্পাস ঘুরে গেলেন দুই বাংলায় জনপ্রিয় তরুণ রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী স্বপ্নীল সজীব

ওয়াশিংটন ইউনির্ভাসিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ক্যাম্পাস ঘুরে গেলেন দুই বাংলায় জনপ্রিয় তরুণ রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী স্বপ্নীল সজীব। সোমবার দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াস্থ ডব্লিউইউএসটির ক্যাম্পাসে আসেন তিনি। দেখা করেন চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ এবং সিএফও ফারহানা হানিপের সাথে। তাদের সাথে কুশল বিনিময়সহ নানাবিধ বিষয়ে আলাপচারিতায় অংশ নেন। পরে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ক্লাসরুম, আইটি ল্যাব, লাইব্রেরিসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন। এসময় তার সাথে ছিলেন চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। শিল্পীর হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্যুভিনিয়র তুলে দেন ডব্লিউইউএসটির চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ, প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক ও প্রধান অর্থকর্মকতা ফারহানা হানিপ। আলাপচারিতায় স্বপ্নীল সজীব জানান, একজন প্রথম বাংলাদেশি-আমেরিকান হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ যুক্তরাষ্ট্রে মাটিতে যেভাবে একটি পূর্নাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছেন তার জন্য প্রতিটি বাঙ্গালীর মতো তিনিও গর্বিত। তিনি আরও বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবাধে অনেক বাংলাদেশী মেধাবী ছাত্রছাত্রীর ভাগ্য বদলে যাবে, হাজার মানুষের স্বপ্ন পূরণ হবে। সেই ছাত্রছাত্রীরা একসময় তাদের জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেবেন প্রিয় বাংলাদেশে। এসময় ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ বলেন, সম্প্রতি ভার্জিনিয়ায় হয়ে যাওয়া স্বপ্নীল সজীবের একক সংগীত সন্ধ্যা তিনি দারুন উপভোগ করেছেন। মুগ্ধ হয়েছেন তার গানে ও গায়কীতে। গানের মাধ্যমে মানুষকে নির্মল বিনোদন দেয়াটাও এক ধরণের মানবসেবা, বলেন আবুবকর হানিপ। স্বপ্নীল যেন এভাবে আনন্দ বিলিয়ে যেতে পারেন তার জন্য শুভ কামান জানান। সিএফও ফারহানা হানিপ জানান, স্বপ্নীল সজীব তার প্রিয় রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী। তাদের আলাপচারিতায় বাংলা সংগীতের নানা দিক নিয়ে উঠে আসে। বাংলাদেশের জনপ্রিয় রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী স্বপ্নীল সজীব। রবীন্দ্র সংগীতের প্রচারণায় ঘুরে বেড়ান দেশ বিদেশ। তরুণ কণ্ঠশিল্পী বর্তমানে রবীন্দ্রসংগীতের পাশাপাশি সব ধরনের গান গেয়ে শ্রোতা দর্শককে মুগ্ধ করে চলেছেন। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও স্বপ্নীল সজীব গান গেয়ে বাংলাদেশি শ্রোতা দর্শককে মুগ্ধ করছেন প্রতিনিয়ত।  বেশ কিছু অনুষ্ঠানে গাইতে গত দুই মাসের মতো সময় ধরে ছুটে বেড়াচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে। কিছুদিন পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের লসএঞ্জেলেস শহর কর্তৃক বছরের সেরা রবীন্দ্র শিল্পী মর্যাদাপূর্ণ সার্টিফিকেট অব এক্সিলেন্স -এ ভূষিত হয়েছেন সজীব। সার্টিফিকেট তুলে দেন সিটি কাউন্সিলের সভাপতি পল কুকরিন। গত দেড় মাসে পারফর্ম করেছেন বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে। আরও বেশ কিছু প্রোগরামে তার গাইবার কথা রয়েছে। যেমন ১ লা সেপ্টেম্বর ডালাস ফোবানার তিন দিন ব্যাপী সম্মেলনে পারফর্ম করবেন তিনি। তারপর উড়ে যাবেন আটলান্টায়। সেখানেও রয়েছে পরপর দুটি অনুষ্ঠান। তারপর ভার্জিনিয়ায় আবারও ফিরে আসবে ৯ সেপ্টেম্বর একাত্তর ফাউন্ডেশনের আয়োজনে একটি অনুষ্ঠানে গাইতে। বাংলাদেশের ফরিদপুরের ছেলে স্বপ্নীল সজীব গানের শুরুটা মাত্র ৫ বছর বয়সে, মঞ্চে। হাতেখড়ি হয়েছিলো খালা উচ্চাঙ্গ সংগীতশিল্পী লুত্ফর নাহার লতার কাছে। এরপর ছায়ানটে করেছেন রবীন্দ্রসংগীতে কোর্স। তালিম নিয়েছেন বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কাছে। স্বপ্নীল সজীব লোকসংগীত গেয়ে ১৯৯৮ ও ২০০০ সালে পেয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কার। ২০১১ ও ২০১৩ সালে রবীন্দ্র সম্মেলনে অর্জন করেন প্রথম স্থান। ২০১২ সালে ‘চ্যানেল আই নব গান নব প্রাণ’ প্রতিযোগিতায় হয়েছিলেন টপ ফাইনালিস্ট। ঐ বছরই প্রকাশ পায় তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘টেগোর ট্রেজারি’, আর কলকাতা থেকে রিলিজ হয় তার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘ভাঙা-গড়ায় রবীন্দ্রনাথ। সম্প্রতি প্রভাষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সেমিনারে। সেমিনার শেষে কলকাতায় যোগ দিয়েছিলেন ভারতের ২০তম প্রগতি বাঙলা উৎসবে। সেখানে দেওয়া হয় তাকে সম্মাননা। প্রগতি বাঙলা সেরা বাঙালি ও বঙ্গরত্ন সম্মাননা। রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে কাজ করায় তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।  ভারত ও বাংলাদেশের বাংলা ভাষীদের কাছে জনপ্রিয় রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী স্বপ্নীল। ইতিমধ্যেই পেয়েছেন অনেক সম্মাননা। মুক্তির অপেক্ষায় আছে তার প্লেব্যাক করা কয়েকটি চলচ্চিত্রের গান যেগুলো শীগ্রই মুক্তি পাবে ভারত এবং বাংলাদেশে।

post
ক্যাম্পাস লাইফ

মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এখন ঢাকায়

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের লা কাদরি হোটেলে হয়ে গেল ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ক্যাম্পাসের 'সফট লঞ্চ' অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষামন্ত্রী দাতো সেরি মোহাম্মদ খালেদ। গতকাল শুক্রবার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।কুয়ালালামপুরের এ বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্যাম্পাস চালু করতে যাচ্ছে। আগামী মে মাসে ঢাকার বনানীতে এর শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উচ্চশিক্ষামন্ত্রী দাতো সেরি মোহাম্মাদ খালেদ বলেন, ‘ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি দিন দিন নিজেদের মান উন্নয়ন করছে। মালয়েশিয়ার সরকার চায় শিক্ষা-সংস্কৃতি আদান-প্রদানের মাধ্যমে সবার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে। এ ছাড়া গবেষণার ক্ষেত্রে সরকার বিশেষ জোর দিচ্ছে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে গ্লোবাল হাবে পরিণত করতে চাই। ইউসিএসআইর এই সফট লঞ্চ তারই ধারাবাহিকতা।’ ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর দাতুক ড. সিতি হামিসাহ তাপসির বলেন, ‘নতুন এই ক্যাম্পাস শিক্ষার সংযোগ তৈরি করবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নতুন পথের দিশা পাবেন। তারা মেধা-দক্ষতা দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবেন। আমাদের নতুন ক্যাম্পাসে গবেষণাকে বেশি গুরুত্ব দেব।’ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন—নতুন ক্যাম্পাসে বিজনেস, কম্পিউটার সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং, সোশ্যাল সায়েন্সসহ ২৪ বিষয়ে ডিগ্রি দেওয়া হবে। নতুন ক্যাম্পাসে ৫ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশুনা করতে পারবেন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় এর অবস্থান ২৮৪তম। এজে/

post
ক্যাম্পাস লাইফ

লাইলাতুল কদর ও এ রাতের করণীয়?

পবিত্র কোরআনুল কারীমে ইরশাদ হয়েছে, নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে। আর কদরের রাত সম্পর্কে তুমি কী জান? কদরের রাত সহস্র মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতাগণ ও রুহ অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তি বিরাজ করে ঊষার আবির্ভাব পর্যন্ত।  স্বাভাবিকভাবেই এ জায়গাটিতে এসে পৃথিবীর যেকোনো বিবেকবান, সজাগ ও সচেতন মানুষ স্তম্ভিত হয়ে দাঁড়াবে। একটি রাতÑ যে রাতের মূল্য আল্লাহ জাল্লা জালালুহুর কাছে হাজার মাসের চাইতে উত্তম। অর্থাৎ তিরাশি বছরেরও বেশি সময় থেকে উত্তম। এ রাতটি যদি কোনো ব্যক্তি ইবাদত বন্দেগি ও সৎ কল্যাণ সাধনার ভেতর দিয়ে পালন করতে পারে তাহলে সে ব্যক্তি যেন তিরাশি বছরেরও বেশি সময় সৎ ও কল্যাণ সাধনার ভেতর দিয়ে পার করল। এটা খুব সহজ কথা নয়। আমরা যারা এ মাটির পৃথিবীতে বাস করি আমরা খুব ভালো করে জানি একজন ব্যক্তি একটি মাসও নিশ্চিদ্রভাবে কল্যাণ কর্মের ভেতর দিয়ে পার করতে পারে না। তাকে নানা রকমরে বাঁধা ও প্রতিকূলতার ভেতর দিয়ে পার করতে হয়। নানা রকমের অন্যায়ের ভেতরে পড়তে হয় ইচ্ছায় কী অনিচ্ছায়। কিন্তু একটি রাতে যদি কোনো মানুষ স্বপথে বলিয়ান হয় এবং সে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়—রাতটি সে ভালোর ভেতর দিয়ে কাটাবে তাহলে এটা কোনো অস্বাভাকি বিষয় নয়। অথচ আল্লাহ জাল্লা জালালুহু সুযোগ করে দিয়েছেন যদি কেউ এ রাতটি কল্যাণ কামনার ভেতর দিয়ে কাটাতে পারে সে এ কল্যাণের অধিকারী হতে পারে। এক মহা সুযোগ মানুষের জন্য এ রজনীটি।অপরদিকে এ রাতে অজ¯্র ধারায় আল্লাহর খাস রহমত বর্ষিত হয়। এ রাতে এত অধিকসংখ্যক রহমতের ফেরেশতা পৃথিবীতে অবতরণ করেন যে, সকাল না হওয়া পর্যন্ত এক অনন্য শান্তি বিরাজ করতে থাকে। হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, শবে কদরে হযরত জিবরাঈল (আ.) ফেরেশতাদের বিরাট এক দল নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন এবং যত নারী-পুরুষ নামাযরত অথবা জিকিরে মশগুল থাকে, তাদের জন্য রহমতের দোয়া করেন।  হাদীসে এসেছে, যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে ও সওয়াব হাসিলের উদ্দেশ্যে কদরের রাতে দ-ায়মান হয়, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।  একজন সচেতন, একজন পরকাল বিশ^াসী এবং নিজের জীবনের সফলতার স্বপথে বলিয়ান মানুষের জন্য এ যে কত বড় কল্যাণের বার্তা ও নিমন্ত্রণ তা আমরা স্বাভাবিকভাবে চিন্তা করে কুলিয়ে উঠতে পারব না। কবে এ রজনী?যে রাতটি লাইলাতুল কদর হবে, সেটি বোঝার কিছু আলামত হাদীসে বর্ণিত আছে। সেগুলো হলো—  ১. এ রাতটি রমযান মাসে নিহিত।  ২. এ রাতটি রমযানের শেষ দশকে রয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অর্থ : রমযানের শেষ দশদিনে তোমরা কদরের রাত তালাশ করো। ৩. এটি রমযানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অর্থ : তোমরা রমযানের শেষ দশদিনের বেজোড় রাতগুলোতে কদরের রাত খোঁজ করো।  ৪. এ রাত রমযানের শেষ সাত দিনে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ৫. রমযানের ২৭ রজনী লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। উবাই ইবনে কাব রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, আল্লাহর শপথ করে বলছি, আমি যতদূর জানি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের যে রজনীকে ‘কদরের রাত’ হিসেবে কিয়ামুল্লাইল করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা হলো রমযানের ২৭ তম রাত।  ৬. কদরের রাত হওয়ার ব্যাপারে সম্ভাবনার দিক থেকে পরবর্তী দ্বিতীয় সম্ভাবনা ২৫ তারিখ, তৃতীয় ২৯, চতুর্থ ২১ এবং পঞ্চম হলো ২৩ তারিখের রজনী।  ৭. সর্বশেষ আরেকটি মত হলো, মহিমান্বিত এ রজনীটি স্থানান্তরশীল। অর্থাৎ প্রতিবছর একই তারিখে বা একই রজনীতে তা হয় না এবং শুধু ২৭ তারিখেই এ রাতটি আসবে তা নির্ধারিত নয়। আল্লাহর হেকমত ও তাঁর ইচ্ছায় কোনো বছর তা ২৫ তারিখে, কোনো বছর ২৩ তারিখে, কোনো বছর ২১ তারিখে, আবার কোনো বছর ২৯ তারিখেও হয়ে থাকে।  ৮. রাতটি গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না এবং নাতিশীতোষ্ণ হবে। অর্থাৎ গরম বা শীতের তীব্রতা থাকবে না।  ৯. মৃদুমন্দ বাতাস প্রবাহিত হতে থাকবে এবং সে রাতে ইবাদত করে মানুষ অপেক্ষাকৃত অধিক তৃপ্তিবোধ করবে। ১০. কোনো ঈমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহ স্বপ্নে হয়তো তা জানিয়েও দিতে পারেন। ১১. ওই রাতে বৃষ্টি হতে পারে। ১২. সকালে হালকা আলোকরশ্মিসহ সূর্যোদয় হবে, যা হবে পূর্ণিমার চাঁদের মতো। এই রাতকে লাইলাতুল কদর বলা হয় কেন?শব ফারসি শব্দ, এর অর্থ রাত। আর কদর অর্থ নিবারণ করা বা মর্যাদা। পবিত্র কোরআনে রাতটিকে নাম দেওয়া হয়েছে লাইলাতুল কদর। আরবী লাইলাতুন অর্থ রাত। তাহলে শবে কদর বা লাইলাতুল কদরের অর্থ দাঁড়ায় নিবারণের রাত বা মর্যাদার রাত। এ রাতে মহান আল্লাহ সৃষ্টিকুলের আগামী এক বছরের ভাগ্যলিপি ফেরেশতাদের হাতে অর্পণ করেন, সে জন্য অথবা যেসব ব্যক্তি নিজেদের গুনাহর কারণে মূল্যহীন ছিল, তারা এ রাতের ইবাদত-বন্দেগি আর তাওবা-ইস্তেগফারের মাধ্যমে মহান আল্লাহর দরবারে উঁচু মার্যাদার অধিকারী হন বলেই এ রাতের নামকরণ করা হয়েছে ‘শবে কদর’ বা ‘লাইলাতুল কদর’। এ রাতের ফজিলতআল্লাহ তাআলা বলেন, অর্থ : রমযান মাস হলো সেই মাস, যাতে নাজিল করা হয়েছে আল-কোরআন, যা মানব জাতির জন্য হেদায়াত ও সুস্পষ্ট পথনির্দেশ এবং ভালো-মন্দ ও ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্যকারী।  মহাগ্রন্থ আল-কোরআন নাজিল হওয়ার কারণে অন্যসব মাস ও দিনের চেয়ে রমযান মাস বেশি ফজিলতময় হয়েছে। আর রমযানের রাতগুলোর মধ্যে কোরআন নাজিলের রাত—লাইলাতুল কদর সবচেয়ে তাৎপর্যম-িত একটি রাত। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, অর্থ : আমি একে নাজিল করেছি কদরের রাতে। তুমি কি জান কদরের রাত কী? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।  এ আয়াতের ব্যাখায় মুফাসসিরকুল শিরোমণি আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযি.) বলেন, ‘এ রাতের ইবাদত অন্য হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম’। তাবেঈ মুজাহিদ (রাযি.) বলেন, এর ভাবার্থ হলো, ‘এ রাতের ইবাদত, তেলাওয়াত, কিয়াম ও অন্যান্য আমল লাইলাতুল কদর ছাড়া হাজার মাস ইবাদতের চেয়েও উত্তম।’ মুফাসসিররা এমনই ব্যাখ্যা করেছেন। আর এটিই সঠিক ব্যাখ্যা। সূরা কদরের শানে নুজুল সম্পর্কে ইবনে কাসির (রাযি.) বলেন, আলী ইবনে উরওয়া (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনি ইসরাঈলের চারজন আবেদ সম্পর্কে বলেছিলেন, তারা আশি বছর ধরে অনবরত আল্লাহর ইবাদত করছিল। এর মধ্যে মুহূর্ত সময়ের জন্যও ইবাদত থেকে তারা বিচ্ছিন্ন হননি। বিখ্যাত এ চারজন আবেদ হলো আল্লাহর নবী জাকারিয়া (আ.), আইউব (আ.), হাজকিল ইবনে আ’জূজ (আ.) এবং ইউশা ইবনে নূহ (আ.)। এমনটি শুনে সাহাবীরা (রাযি.) রীতিমতো অবাক হলেন। এ সময় জিবরাঈল (আ.) এসে বললেন, ‘হে মুহাম্মদ! আপনার উম্মতরা এ কথা শুনে অবাক হচ্ছে? তাদের জন্য আল্লাহ তাআলা এর চেয়ে উত্তম কিছু রেখেছেন। এরপর সূরা কদর পাঠ করা হয়। কদরের রাতের খোঁজে...একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনি ইসরাঈলের একজন মুজাহিদ সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, তিনি এক হাজার বছর দীর্ঘ হায়াত পেয়েছিলেন। দীর্ঘ এ আয়ুষ্কাল তিনি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে রত ছিলেন। একবারের জন্যও অস্ত্র সংবরণ করেননি। সাহাবায়ে কেরাম (রাযি.) ঘটনা শুনে বিস্মিত হলেন এবং আফসোস করতে লাগলেন যে, বনি ইসরাঈল সুদীর্ঘ হায়াত পাওয়ার কারণে অনেক বেশি ইবাদত-বন্দেগি করতে পেরেছে। অনেক সওয়াব অর্জন করতে পেরেছে। আমাদেরও যদি তাদের মতো দীর্ঘ হায়াত দেওয়া হত, তাহলে আমরা তাদের মতো অনেক ইবাদত করতে পারতাম, অনেক বেশি পুণ্য লাভ করতে পারতাম। এ সময় মহান আল্লাহ সূরা কদর নাজিল করেন এবং বুঝিয়ে দেন যে, যদিও উম্মতে মুহাম্মদিকে হায়াত কম দেওয়া হয়েছে, তথাপি তাদের সওয়াব হাসিলের ও মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের এত বেশি সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যা পূর্ববর্তী কোনো উম্মতকে দেওয়া হয়নি। উম্মতে মুহাম্মদি যদি শুধু একটি রাত (লাইলাতুল কদর) ইবাদত করে, অর্থ : তাহলে তারা এক হাজার মাস ইবাদত করার চেয়েও বেশি সওয়াবপ্রাপ্ত হবে। হযরত আয়েশা (রাযি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,অর্থ : তোমরা রমযান মাসের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করো।’  তবে রমযান মাসের ২৭তম রাতটি শবে কদর হিসেবে বিশেষভাবে সমগ্র মুসলিম সমাজে পালিত হয়। আর ব্যাপক প্রসিদ্ধ এ মতটিও হাদীস দ্বারা সমর্থিত। কদরের রাত ইবাদতের রাত। তবে নির্দিষ্ট কোনো ইবাদতের জন্য রাতটি নির্ধারিত নয়। যে কোনো ইবাদতই এ রাতে করা যেতে পারে। নফল নামায, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, ইস্তেগফারসহ যেকোনো ইবাদতই করা যেতে পারে। সালাতুত তাসবিহ শবে কদরের জন্য বিশেষভাবে নির্দিষ্ট না হলেও যেহেতু এ নামায আদায়ে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হয়, আর লাইলাতুল কদরে সারা রাতই অধিকাংশ মুসলমান জেগে থাকেন, তাই কদরের রাতে সালাতুত্ তাসবিহ আদায় করা যেতে পারে।  এ রাতটি কীভাবে কাটাতে হবে? এ মহা সৌভাগ্যের রাতটি কীভাবে কাটাতে হবে, কীভাবে পাব, কীভাবে সেটাকে আমরা অধিকার করব তার পথ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে এঁকে দেখিয়েছেন। তিনি রমযানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর পাওয়ার জন্য ইতেকাফ করেছেন। ইতেকাফ করে তিনি উম্মতকে শিখিয়েছেন কীভাবে সহজে নিশ্চিন্তে লাইলাতুল কদর অর্জন করতে হয়। তুমি যদি লাইলাতুল কদরকে দখল করতে চাও, অধিকার করতে চাও, তার সমূহ কল্যাণ তোমার জীবনে তুলে আনতে চাও তাহলে সহজ পথ হচ্ছে লাইলাতুল কদর পাওয়ার জন্যে তুমি মসজিদে এসে ইতেকাফ করো। এর ভেতর দিয়ে তিরাশি বছর একাধারে ইবাদত করলে যে পুণ্য অর্জিত হবে এক রাতের ভেতর দিয়েই তা অর্জিত হবে।যদি বিষয়টি সহজভাবে দেখি, একজন মানুষ তার জীবনের ষাট বা সত্তর বছর কাটিয়েছে। কিন্তু সে এ ষাট বা সত্তর বছরে সতর্ক সাধনার ভেতর দিয়ে পেয়েছে মাত্র দু’টো কদর। যদি আমরা সহজ অঙ্কেও চিন্তা করি তাহলে সে এ দু’টো ইতেকাফের মাঝ দিয়ে একশ সত্তর বছরের কাছাকাছি সময় একাধারে নিñিদ্র ইবাদতের ভেতর দিয়ে কাটিয়ে দিলো। এটা কোনো সহজ কিংবা স্বাভাবিক কোনো কথা নয়। আল্লাহ তাআলা বিষয়টি গভীরভাবে উপলব্ধি করার তাওফিক দিন। আরও পড়ুন: যাকাত না দেওয়ার পরিণাম ও শাস্তি

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.