post
এনআরবি লাইফ

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির নেতৃত্ব পেল ‘রব-রুহুল প্যানেল’

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় পেলো ‘রব-রুহুল প্যানেল’। ১৮ সেপ্টেম্বর রোববার ৫ কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ২৮ হাজার ভোটারের মধ্যে ব্যালট যুদ্ধে অংশ নেয় মাত্র সাড়ে ৫ হাজার ভোটার। বিজয়ীদের প্রায় সকলেই বহুবছর যাবত এই সোসাইটির বিভিন্ন পদে কর্মরত রয়েছেন। কেবলমাত্র সভাপতি রব মিয়া এবারই প্রথম নির্বাচিত হলেন। তিনি পেয়েছেন ৩১৪৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী নয়ন পেয়েছেন ২৫৪০ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে পুনরায় নির্বাচিত রুহুল আমিন সিদ্দিকী পেয়েছেন ৩১৫৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিদায়ী কমিটির কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী পেয়েছেন ২৪৭৫ ভোট। অন্য সকল পদেই প্যানেলভিত্তিক ভোট পড়ে বলে নির্বাচন কমিশনের ফলাফলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর এই নির্বাচন হবার কথা ছিল । মামলার কারণে তা ঝুলে যায়। এরপর করোনা মহামারির জন্যে ঝুলে থাকা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা তারিখ নির্দ্ধারণ করা হয় গত বছরের ১৪ নভেম্বর। সেটিও থমকে গিয়েছিল মামলার কারণেই। এবারও মামলার অবতারণা হয়। কিন্তু সোসাইটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান এম আজিজ আদালত প্রাঙ্গনে টানা দুদিন এটর্নীসহ অবস্থান নেয়ায় নিরা নিরু এবং ওসমান চৌধুরীদের দায়ের করা মোট ৫টি মামলা (যেগুলোতে স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছিল) রুখে দেয়া সম্ভব হয়েছে বলে ১৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সোসাইটির কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন।প্রধান নির্বাচন কমিশনার এডভোকেট জামাল আহমেদ জনি রোববার রাত ৯টা পর্যন্ত মেশিনে ভোট গ্রহণ শেষে গভীর রাতে নির্বাচন কমিশনের সদস্যগণকে পাশে নিয়ে ফলাফল ঘোষণা করেন। সে সময় প্রার্থী এবং সমর্থকগণের অনেকেই ছিলেন গুলশান টেরেস মিলনায়তনে। দু’বছর মেয়াদি এ বিজয়ী কমিটির অপর কর্মকর্তারা হলেন : সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মহিউদ্দিন দেওয়ান (৩২১৪), ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারুক চৌধুরী (৩০৫২), সহ-সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম চৌধুরী (২৮৭৫), কোষাধ্যক্ষ নওশাদ হোসেন (২৯৮২), সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম ভ’ইয়া (২৯৩৭), সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাহনাজ লিপি (২৯৯০), প্রচার সম্পাদক রিৎু মোহাম্মদ (৩২৯১), সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোহাম্মদ টিপু খান (২৯৪৩), সাহিত্য সম্পাদক ফয়সল আহমেদ (৩০২০), ক্রীড়া সম্পাদক মাইনুল উদ্দিন মাহবুব (২৯৭৫), শিক্ষা সম্পাদক প্রদীপ কান্তি (২৭৫৯)। নির্বাহী কমিটির সদস্যরা হলেন ফারহানা চৌধুরী (৩২১০), আকতার বাবুল (৩১৬২), বাশার ভ’ইয়া (২৯৯৩), শাহ মিজান (২৯৬২), সুশান্ত দত্ত (২৯৪৯) এবং সাদী মিন্টু (২৯১৩)। বহুল আলোচিত-সমালোচিত এ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্নে কমিশনের অপর সদস্য মোহাম্মদ এ হাকিম মিয়া, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, কাওসারুজ্জামান কয়েস, মোহাম্মদ রুহুল সরকার এবং খোকন মোশারফ আন্তরিকভাবে সচেষ্ট ছিলেন বলে ভোটাররা জানান। কেন্দ্রসমূহ ছিল উডসাইডে গুলশান টেরেস, ব্রুকলীনে পিএস ৭৯, ওজোনপার্কে দেশী সেন্টার, ব্রঙ্কসে গোল্ডেন প্যালেস এবং জ্যামাইকায় ইকরা পার্টি সেন্টারে।

post
এনআরবি লাইফ

গ্রাজুয়েট ক্লাব ইউএসএ’র উদ্যোগে ঢাবির শতবর্ষ পূর্তি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট ক্লাব ইউএসএ-এর উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপিত হয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর সাড়ম্বরভাবে নিউইয়র্কের উডসাইডের গুলশান টেরেসে এই আয়োজন সম্পন্ন হয়। দুই পর্বে সম্পন্ন হয় অনুষ্ঠানটি। প্রথম পর্বে ছিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও র‌্যালি। দ্বিতীয় পর্বে কেক কাটা, আলোচনা ও বিভিন্ন প্রকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা এদিন দুপুরের পর থেকেই জড়ো হতে থাকেন নিউইয়র্কের প্রাণকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটসে। টি-শার্ট বিতরণের পর শুরু হয় র‌্যালি। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ৩৭-৭৩ এভিনিউতে অবস্থিত বাংলাদেশ প্লাজার সামনে থেকে র‌্যালি শুরু হয়। এটি পরিচালনা করেন মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা বাঁশি, ঢোল-তবলা বাজিয়ে, গান গেয়ে র‌্যালিকে আরও আনন্দঘন করে তোলেন।বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ও যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল এনথেম গাওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। শুরুতে কোরআনুল কারিম থেকে তেলাওয়াত করেন মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। এরপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। তার আগে মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর পরিচালনায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় গ্রাজুয়েট ক্লাব ইউএসএ-এর আহ্বায়ক মো. মাসুদুল ইসলাম। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কেক কাটার মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়পর্ব। মহুয়া মৌরি ও মুহাম্মদ শফীর উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কনভেনর মো. মাসুদুল ইসলাম, নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মুনিরুল ইসলাম, ডেপুটি কনসাল জেনারেল এস এম নাজমুল ইসলাম, জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিবের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ম্যানেজিং অফিসার এমডি লোকমান হোসাইন। গ্রাজুয়েট ক্লাবের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মো. রোকানুজ্জামান ও মহসিন উদ্দীন মোল্যা।এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন। তারা কেউ ক্যাম্পাস জীবনের স্মৃতিচারণ করেছেন। এছাড়া কবিতা আবৃত্তি, সংগীত পরিবেশনাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে মেতে উঠেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় গ্রাজুয়েট ক্লাব ইউএসএ-এর সদস্যরা।ড. মনিরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট ক্লাবের এই অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছি কনসাল জেনারেল হিসেবে নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে। যখন থেকে এই অনুষ্ঠানের খবর পেয়েছি, তখন থেকেই এই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় ছিলাম। আমার মনের আঙিনায় এখন ভাসছে সেই টিএসসি, কলাভবন, নীলক্ষেত, মলচত্বর, কার্জন হল, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি আর রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের প্রতিটি স্মৃতি।গ্রাজুয়েট ক্লাবের আহ্বায়ক মাসুদুল ইসলাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের বুকের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছে সত্য সুন্দর ও উজ্জ্বল আগামীর স্বপ্ন। জীবনের অনিবার্য ডাকে আমরা হয়তো ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে এসেছি, তবে আমরা জানি, বিশ্ববিদ্যালয় কখনো প্রাক্তন হয় না। এই গ্রাজুয়েট ক্লাবের মাধ্যমে আমরা আবার সবাইকে এক সুঁতোয় গাঁথবো।সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ রোকানুজ্জামান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আমরা যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা বসবাস করছি, আমাদের মাঝে কীভাবে একটি সুন্দর ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা যায়, সেই ভাবনা থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট ক্লাবের যাত্রা শুরু।মোহাম্মদ মহসিন উদ্দীন মোল্যা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েটদের মাঝে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে সমর্থ হবো। এর মধ্য দিয়ে স্বার্থকতা খুঁজে পাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট ক্লাবের পথচলা।অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ে ছিল- র‌্যাফেল ড্র টিকিট বিতরণ, তথ্যচিত্র প্রদর্শন, বক্তৃতা, স্মৃতিচারণ, দলীয় ও একক সংগীত পরিবেশন, কবিতা আবৃত্তি, ফ্যাশন শো, নৃত্য পরিবেশনা, ক্যাম্পাসভিত্তিক নাটিকা, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। রাতের খাবারের পর র‌্যাফেল ড্র এর পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। সবশেষে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয় রাত ১১টায়।গ্রাজুয়েট ক্লাব কর্তৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে একটি ম্যাগাজিন বের করা হয়। ‘অপরাজেয় মিলনমেলা ম্যাগাজিন-২০২২’ নামের এই স্মরণিকায় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্মৃতিচারণমূলক নিবন্ধ, কবিতা, গল্প প্রকাশিত হয়েছে। ম্যাগাজিনটি সম্পাদনা করেছেন মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, সিলভিয়া সাবেরীন ও মামুন রশীদ।শতবর্ষ পূর্তি উদযাপনের এই অনুষ্ঠানে স্পন্সর হিসেবে ছিলেন- আকরাম হোসেন, মনিরুজ্জামান মনির, ফারুক হোসেন, মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, রেদোয়ান চৌধুরী এবং মো. মাসুদুল ইসলাম। প্রতিষ্ঠান হিসেবে এগিয়ে এসেছে- ফ্রেন্ডস অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ট্যাক্স সার্ভিসেস এবং এটর্নি রাজু মহাজন অ্যান্ড এসোসিয়েটস।প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট ক্লাব ইউএসএ-এর আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন- মোহাম্মদ মাসুদুল ইসলাম। এছাড়া যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন- মোহাম্মদ রোকানুজ্জামান, মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, মশিউর রহমান, মোহাম্মদ মহসিন উদ্দীন মোল্যা, মামুন রশীদ, মহুয়া পারভীন, সিলভিয়া সাবেরীন এবং কোহিনূর বেগম। মামুন বলেন, গতবছর ৩১ জুলাই ,২০২১ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্র‍্যাজুয়েট ক্লাব, ইউএসএ’র শুরু হয়েছিলো একটি আবেগ মিশ্রিত ভাবনা নিয়ে।যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র‍্যাজুয়েটদের মাঝে কিভাবে একটি সুন্দর ও সমমনা বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্ক স্থাপন করা যায়- এ ভাবনা থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্র‍্যাজুয়েট ক্লাবের পথচলা শুরু। পরিশেষে তিনি আরও বলেন ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের কাছে একটি ভালোবাসার নাম, একটি চেতনার নাম। বিশ্বে এমন কোনো বিশ্ববিদ্যালয় পাওয়া যাবে না, যেটি জাতির আশা-আকাংক্ষাকে এককভাবে ধারণ করে। এসব চেতনাকে ধারণ করেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট ক্লাব, ইউএসএ’র পথচলা শুরু।মিলনমেলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এর পরিচালনা করেন মামুন রাশিদ এবং সিলভিয়া সাবেরীন। রম্য বিতর্ক এবং ভিন্নধর্মী ফ্যাশন শো অনুষ্ঠানে আরও মনোরম করে তুলে। ফ্যাশন শো তে ঢাবি'র বিশেষ গুলো এবং ইতিহাসকে তুলে ধরা হয়। মামুন রাশিদ আর আরিফিন টুলুর কন্ঠে ক্যাম্পাসের প্রিয় গুলো দিয়ে মুখরিত হয়ে উঠে গুলশান টেরেস। র‍্যালীতে লালবাসের প্রতিকৃতি তুলে ধরা হয়। আরও ছিলো ঢাবিকে নিয়ে লেখা ভালবাসায় সিক্ত প্ল্যাকার্ড।

post
এনআরবি লাইফ

শিকাগোতে শেষ হলো ৩ দিনের ফোবানা সম্মেলন, বিশেষ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত আবুবকর হানিপ

যুক্তরাষ্ট্রের এলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগোতে শেষ হলো উত্তর আমেরিকার প্রবাসী বাঙালিদের মিলনমেলাখ্যাত ফেডারেশন অব বাংলাদেশি অ্যাসোশিয়েশন্স ইন নর্থ আমেরিকা (ফোবানা) সম্মেলন। শিকাগো শহরের প্রাণকেন্দ্রে স্বাগতিক সংগঠন ‘বাংলাদেশ অ্যাসোশিয়েশন অব শিকাগোল্যান্ড’-এর আয়োজনে তিন দিনব্যাপী ৩৬তম ফোবানা সম্মেলন ২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার শুরু হয়ে শেষ হলো ৪ সেপ্টেম্বর রোববার। উত্তর আমেরিকার ৬০টিরও বেশি বাংলাদেশি-আমেরিকান সংগঠন এই সম্মেলনে অংশ নেয়। এছাড়া সম্মেলনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নানা প্রান্ত থেকে শত শত প্রবাসী বাংলাদেশি যান শিকাগোতে। এদের মধ্যে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে অন্যতম বাংলাদেশি আমেরিকান শিক্ষা উদ্যোক্তা ওয়াশিংট ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ। যুক্তরাষ্ট্রে আইটি শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ফোবানা সেন্টার কমিটির পক্ষ থেকে সম্মামনা দেয়া হয় ওয়াশিংটন ইউনিভাসির্টি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেল ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপকে। কমিউনিটি সেবায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ভূষিত করা হয় বিশেষ পুরস্কারে। আবুবকর হানিপের দুই প্রতিষ্ঠান ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ও পিপলএনটেক এই আয়োজনের গোল্ড স্পন্সর।স্কোকি শহরের ডাবল ট্রি হিলটন হোটেলের বল রুমে শুক্রবার সন্ধ্যায় ‘এক্সিকিউটিভ ডিনারে’ অন্য অতিথিদের সঙ্গে অংশ নেন আবুবকর হানিপ। তিনি এতে বক্তব্য রাখেন। এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের এদেশে উচ্চতর শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, একমাত্র শিক্ষা ও প্রযুক্তিজ্ঞানই পারবে বাংলাদেশিদের এদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে।এ জন্য তিনি বাংলাদেশিদের তার পরিচালনায় এগিযে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসার আহ্বান জানান। এবং সন্তানদেরও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাতে বলেন। পরে সন্ধ্যায় নর্থ শোর সেন্টার ফর পারফর্মিং আর্টস-এ শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। সেখানে ফোবানা নির্বাহী কমিটি ও হোস্ট কমিটির সকলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।এ সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঠানো বাণী পাঠ করেন এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি মাসুদ রব চৌধুরী এবং প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদের বাণী পাঠ করেন সম্মেলনের আহ্বায়ক মকবুল এম আলী।সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ফোবানার চেয়ারপার্সন রেহান রেজা, মাসুদ রব চৌধুরী, মকবুল এম আলী, সাঈদ আহমেদ কোকো। আলোচনা সভায় ফোবানার চেয়ারপার্সন রেহান রেজা বলেন, একটি মহল ফোবানার সুনামকে বিনষ্ট করতে ফোবানার নাম ব্যবহার করে লস আঞ্জেলসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।তিনি আরও বলেন, ফোবানা সম্মেলন শুধুমাত্র নাচগানের বিনোদন নয়, আর্তমানবতার জন্যও কাজ করে ফোবানা। মহামারি করোনাকালে অসহায় মানুষের পাশে গিয়ে পৃথক পৃথকভাবে সাহায্য করেছেন ফোবানার নেতৃবৃন্দ। দেশে বন্যার্ত মানুষের সাহায্য ছাড়াও প্রবাসে বেড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থাও করেছেন ফোবানা।শিকাগোতে ফোবানার দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ছিলো আয়োজকদের কমিটির মিটিং গ্লোবাল বিজনেস নেটওয়ার্ক সহ বেশ কিছু আনুষ্ঠানিকতা। এগুলোতে অংশ নেন শিকাগোসহ বিভিন্ন স্টেটথেকে আসা ফোবানার নেতৃবিন্দু। এসময় এবাররে ফোবানার বিভিন্ন পৃষ্ঠপোষকদের সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। সম্মেলনের মুল মঞ্চ নর্থ শো সেন্টার ফর পারফরমিং আটর্সের সুপরিসর জায়গা জুড়ে ছিলো মেলার আয়োজন। যেখানে স্থানীয় সহ বিভিন্ন শহর থেকে আসা ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন। ছুদির দিন থাকায় মেলায় দর্শক সমাগমও ছিলো অনেক। সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পাশাপাশি মেলা উপভোগ করেছেন স্থানীয়সহ বিভিন্ন স্টেট থেকে আসা দর্শকরা। সন্ধ্যায় মুল মঞ্চে ছিলো কিছু আনুষ্ঠানিকতা যেখানে এ বছর সেরা প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার দেয়া হয় প্রিয় বাংলাকে। সন্ধ্যায় হয় সাংস্কৃতিক পর্ব। যেখানে পারফর্ম করেন দুই জনপ্রিয় শিল্পী রিজিয়া পারভীন ও বেবী নাজনীন। তৃতীয় ও শেষ দিনে হয় জমজমাট সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে স্থানীয়দের পারফরম্যান্সের পর গান পররিবেশন করেন জনপ্রিয় দুই শিল্পী ফাহমিদা নবী ও শুব্র দেব। এরপরই পর্দা নামে ৩৬দম ফোবানার তিন দিন ব্যাপীর আয়োজনের। আগামী বছর ফোবানার ৩৭তম আসর বসবে টেক্সাসের ডালাসে। এবং ২০২৪ সালের ফোবানা হবে ওয়াশিংটন ডিসিতে।ফোবানার নতুন কমিটিএবারের ফোবানা থেকে ২০২২-২৩ সালের জন্য ফোবানার নতুন কমিটি নির্বাচিত হয়। এতে চেয়ারপারসন হয়েছেন ড. আহসান চৌধুরী হিরো। ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন মাসুদ রব চৌধুরী। নির্বাহী সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন নাহিদুল খান। যুগ্ন নির্বাহী সম্পাদক আবির আলমগীর ও কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন মাহমুদ আলী। আউটস্ট্যান্ডিং সদস্য পদে এসেছেন রেহান রেজা, মকবুল এম আলী, সাইয়েদ আহসান, রবিউল করিম, জসিম উদ্দিন মো. এম রহমান, বাবুল হাই ও নূরুল আমিন। নির্বাহী সদস্য সংগঠন ও যারা সেগুলোর প্রতিনিধিত্ব করবেন তা হচ্ছে- বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ টেক্সাস, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি, বাংলাধারা'র মাহবুবুর ভূঁইয়া, বাংলাদেশ কমিউনিটি অব গ্রেটার শিকাগোর খালেদ রউফ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন হস্টন-এর খালেদ জুলফিকার খান, বাইটপোর সামসুদ্দিন মাহমুদ, বাঙালি বয়েস কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের মহিন উদ্দিন, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা (বাই)-এর সালেহ আহমেদ, বাংলাদেশ আমেরিকান সোসাইটি অব গ্রেটার হিউস্টন এর ইমতিয়াজ আহমেদ, বাংলাদেশ আমেরিকান সোসাইটি অব গ্রেটার কানসাস সিটির আসিফ আই ইকবাল, ভার্জিনিয়ার ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ফ্যামিলির আবু রুমি, ইউএস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন অব ফ্লোরিডার মোহাম্মদ মুজিব উদ্দিন, বাংলাদেশ থিয়েটার হস্টন এর নাহিদা নাসের বাংলাদেশ কালচারাল সোসাইটি অব জর্জিয়ার মোহাম্মদ আরেফিন, বাংলাদেশ আমেরিকান উইমেন অ্যাসোসিয়েশন অব টেক্সাস, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি। 

post
এনআরবি লাইফ

এস্টোরিয়ার পথমেলায় জাগলো বাংলাদেশের প্রাণ

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় ঘেরা মঞ্চের পাশাপাশি বর্ণাঢ্য আয়োজনে দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর এস্টোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হলো ‘এস্টোরিয়া পথমেলা’। নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ড সিটির প্রবাসী বাংলাদেশিসহ আশপাশের বিপুলসংখ্যক প্রবাসী দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রাণভরে মেলাটি উপভোগ করেন।এস্টোরিয়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ইনক ২৪ জুলাই রবিবার এই মেলার আয়োজন করে। বেলা তিনটার দিকে একগুচ্ছ বেলুন উড়িয়ে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ইউএস কংগ্রেসওম্যান নিদিয়া ভেলাসকুয়েজ ও সিটি কাউন্সিলওম্যান জুলি উন। সাথে ছিলেন আসন্ন নির্বাচনে ষ্টেট সিনেট প্রার্থী নিয়ো মিকি এবং মেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ। সিটি কাউন্সিলওম্যান জুলি উন-এর পক্ষ থেকে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে সাইটেশন প্রদান করা হয়। এরা হলেন আব্দুল হাসিম হাসনু, সাব্বির আহমেদ, কাজী কায়নাত মরিয়ম, মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, তানিম চৌধুরী, নিউজ প্রেজেন্টার ও উপস্থাপিকা দিমানেফার তিথি এবং এস্টোরিয়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি সোহেল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ উদ্দিন। হোস্ট সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে মেলায় কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার সহ সভাপতি মিজানুর রহমান জগলু ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিসবা মজিদ, এস্টোরিয়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উপদেষ্টা দেওয়ান শাহেদ চৌধুরী ও হাজী আব্দুর রহমান, মৌলভীবাজার ডিষ্ট্রিক্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ফজলুর রহমান, মৌলভীবাজার ডিষ্ট্রিক্ট সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ রুহুল, বিশ্বনাথ সমিতি ইউএসএ’র সাবেক সভাপতি মনির আহমেদ, কুলাউড়া এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি জালাল আহমেদ সহ বসির খান, সালেহ চৌধুরী, জুনেদ চৌধুরী, তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী, আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, আহবাব চৌধুরী খোকন, আবুল বাসার মিলন, আজহারুল হক খোকা, আবুল কালাম, ফেরদৌস ভূইয়া, এহসানুল হক, এরশাদুল আমীন, মীর জাকির, কয়েস আহমেদ, এমদাদ রহমান তরফদার, আবু সোলায়মান, সাব্বির আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, হারুনুর রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী কালা মিয়া ও মরিয়ম মারিয়াসহ প্রবাসী শিল্পী কামরুজ্জামান বকুল, মনিকা দাস, বাউল ফখরুল, আমানত হোসেন আমান, গাজী এস এ জুয়েল, শাহেদ আহমেদ, বাবলী হক, মোহর খান ও শাহাদৎ সিয়াম। এছাড়াও নৃত্য পরিবেশন করেন নিতুন নেহার হেরা। সবশেষে ছিলো র‌্যাফেল ড্র। এতে স্বর্ণের চেন, টিভি, ট্যাব সহ আকর্ষনীয় পুরষ্কার ছিলো। কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট আবু হামিদ আহমেদসহ মেলা আয়োজন ও সফলতায় বিশেষ সহযোগিতা করছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন জাবেদ উদ্দিন। উল্লেখ্য, এস্টোরিয়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটির ব্যবস্থাপনায় শুক্রবার (২৯ জুলাই) বাদ জুমা ২০০০ পরিবারে মাঝে ফুড সামগ্রী বিতরণ করা হবে বলে জাবেদ উদ্দিন জানিয়েছেন।

post
এনআরবি লাইফ

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি স্থপতি-প্রকৌশলীদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ৭-৯ অক্টোবর

যুক্তরাষ্ট্রে প্রকৌশল বিদ্যা, স্থাপত্যবিদ্যা ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মরত বাংলাদেশিদের সংগঠন - আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার্স এন্ড আর্কিটেক্টস (এএবিইএ)'র দ্বিবার্ষিক সম্মেলন আগামী ৭-৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে অভিজ্ঞতা ও অর্জিত জ্ঞান বিনিময় এবং শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষে প্রতি দুই বছরে মিলিত হন গোটা আমেরিকার বিভিন্ন স্টেটে কর্ম ও অবস্থানরত বাংলাদেশি স্থপতি-প্রকৌশলীরা। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের সম্মেলন আয়োজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। ওয়াশিংটন ডিসি মেট্রো এলাকার ৭ তারকা হোটেল গেলর্ড ন্যাশনাল রিসোর্ট এ আয়োজন করা হচ্ছে এই দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন। এবারের সম্মেলনে বিজ্ঞান মেলা, গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক সেমিনার, চাকরি মেলা ও তার মাধ্যমে চাকরি দেওয়া, নেটওয়ার্কিং সেশন থাকবে। শিশুদের জন্য গণিত প্রতিযোগিতা এবং তুচ্ছ বস্তু নিয়ে খেলার বিশেষ ধরনের প্রতিযোগিতা ট্রিভিয়া কম্পিটিশন থাকবে। আর থাকবে ক্যাটার্ড ডিনারসহ রোমাঞ্চকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়াও থাকবে , পোটোম্যাক নদীতে ক্রুজ মধ্যাহ্ণভোজ, সঙ্গীত পরিবেশনাসহ মনোমুগ্ধকর সব পারিবারিক আনন্দ আয়োজন। হোটেল গেলর্ডে আবাসিক এই সম্মেলনে বার্ষিক সাধারণ সভা সম্পন্ন করবে এএবিইএ। আয়োজকরা জানান, এবারের সম্মেলনে ইন্ডিয়ান আইডলের রক কুইন ও সারে গা মা পা-খ্যাত শিল্পী মনীশা কর্মকার, প্রখ্যাত অভিনেতা ও শিল্পী তাহসান খান, সারে গা মা পা'র প্রথম রানার-আপ এবং প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী শুভশ্রী দেবনাথ, আধুনিক বাংলা গানের প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী অনিলা চৌধুরী এবং প্রখ্যাত কবিতা আবৃত্তিকার প্রজ্ঞা লাবনীসহ আন্তর্জাতিক শিল্পীরা পারফর্ম করবেন।যুক্তরাষ্ট্রে সংগঠনের প্রতিটি শাখার সদস্য এবং প্রকৌশলী নন এমন আগ্রহীদের চলতি জুলাই মাসের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, জুলাই মাসের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করলে হোটেল কক্ষের ভাড়ায় ১০০ ডলার ছাড় পাওয়া যাবে। এ ছাড়া জুলাই মাসের মধ্যে সম্মেলনের পুরো তিন দিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করলে ছাড়কৃত মূল্য ১৫০.০০ ডলারে করার সুযোগ পাবেন!রেজিস্ট্রেশনের জন্য ফয়সাল কাদের (৩০১) ৫২৬ ৭৮৮৮; মিজান রহমান (২১৬) ৩৫৬ ৫৫২১; শাহ আহমেদ (২০২) ২৯৭ ৮৪৪২; কাজী জামান (৭০৩) ৯৮৯ ০৬৩৩; মনি হাসান (৩০১) ৩৪৬ ৮৮৩৭; আলী খান (৫০২) ৭১৪ ১২২৫ নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।আরো তথ্যের জন্য সংগঠনের ওয়েবসাইট https://aabea.org এ ভিজিট করা যেতে পারে।

post
এনআরবি লাইফ

সবাই গরম ভাতে ইলিশ ভাজা খেলেন স্বজনবর্গে

গরম ভাতে ধোয়া উড়ছে, ডুবো তেলে ভাজা হচ্ছে ইলিশ, পাশে গরুর রেজালা তার লাল কড়া লোভনীয় রঙ ছড়াচ্ছে আর সাথে আলু ভর্তা ও শুটকির পদ। ভাবছেন বাংলাদেশের গ্রামে বাবুর্চির রান্নার বিবরণ দিচ্ছি। না এই দৃশ্য দেখা গেলো যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় ফোর্ট হান্ট পার্কে। সেখানে ছিলো ইলিশ উৎসব। বাংলাদেশের চাঁদপুরের দম্পতি কবীর ও পারভীন পাটোয়ারির আমন্ত্রণে একাত্তর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই পার্কে অতিথি ছিলো চার হাজারের বেশি মানুষ। মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, ডিসিই কেবল নয়, অতিথিরা এসেছিলেন নিউজার্সি, নিউইয়র্ক থেকেও।উৎসব শুরু হয় সকাল ১১টায়। তখন থেকেই মানুষের আনাগোণা। একধারে রান্না চলছে, খাওয়া চলছে অন্নধারে।  ক্যাম্পেইন চলছিলো কয়েকমাস ধরে। তাতে সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলা হয়েছিলো "আপনাদের সামনেই ভেজে দেওয়া হবে, আপনাদের পছন্দের ইলিশ"। আর হয়েছেও তাই। বেলা দেড়টা বাজতেই সেই খাবার নেওয়ার জন্য অপেক্ষারত মানুষের সারি পার্কের শেষমাথা ছাড়িয়ে সড়কে নেমে পড়েছে। এই দিকে বড় বড় হাঁড়িতে চড়ছে ভাত, উঠছে ভাত। আর জুব জুব শব্দে রেডি হচ্ছে তেলেভাজা ইলিশ। খাবার তুলে নিয়ে যে যার মতো ছড়িয়ে পড়ে বিপুল পার্কের এখানে ওখানে। অনেকেই এসেছেন সপরিবারে। স্ত্রী সন্তান পরিজন নিয়ে। তারা গোটা দিনটিকে সত্যিকার অর্থেই একটি পিকনিকের আমেজে কাটিয়ে দিলেন।  আয়োজন করতে পেরে ভীষণ খুশি কবীর পাটোয়ারি। ভার্জিনিয়ার এই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জানালেন, ১৫ দিন ধরে চলেছে তার এই আয়োজন। আর এটা করতে পেরে তিনি আনন্দিত। বললেন, অনেকের সহযোগিতায় আয়োজনটি যথাযথভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। এমন একটি আয়োজনে প্রচারটাই বড় বিষয়। কয়েকমাস ধরে আমরা জনে জনে বলেছি, দাওয়াত দিয়েছি। আমরা চেয়েছিলাম সকলেই যেনো আসেন। আজ এসেছেন, তাই ভালো লাগছে। তবে সবকিছুর জন্য তিনি ধন্যবাদ জানাচ্ছিলেন স্ত্রী পারভীন পাটোয়ারীকে। বললেন তার উদ্যমেই এত কিছু সম্ভব হলো। কথা হচ্ছিলে পারভীন পাটোয়ারীর সঙ্গেও। তিনি বললেন, আজ আমি খুব খুশি সুদুর আমেরিকায় বসে মানুষ ইলিশের স্বাদ উপভোগ করে পেটপুরে খেলো। এদিকে যখন খাবার বিতরণ চলছে ওদিকে মঞ্চে ততক্ষণে শুরু হয়ে গেছে গান-নাচের আয়োজন। সেখানে গাওয়া হচ্ছিলে নানা ধরনের দেশি গান। মাটি ও মানুষের গান। সেই গান শুনতে মঞ্চের সামনেও তখন অনেক মানুষ। পরিবেশিতও হলো নানা ধরনের গান ও নাচ। এই ভাবে দুপুর গড়িয়ে বিকেল। বাইরে তখনও চলছে খাবার রান্না আর গরম গরম খাবার বিতরণ। বিকেল ৫টা নাগাদ লাইন ক্রমশ ছোটো হলে এলো কিন্তু জনতার ভীড় যেনো কমছেই না। কারণ তারা তখনও অপেক্ষায় দিনের প্রধান আকর্ষণ তাহসানের। বাংলাদেশের এই জনপ্রিয় সঙ্গীত তারকা এসেছিলেন পিকনিকে অংশগ্রহণকারীদের গান শোনাতে। তাহসান শোনালেন তার জনপ্রিয় কয়েকটি গান। তাতে সুর মিলিয়ে আর নেচে নিজেরাও গাইলেন দর্শকরা। তাতেই পূর্ণতা পেলো আয়োজন। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ শেষ হয় এই আনন্দ আয়োজন। সবাই একটি অনিন্দ্যসুন্দর দিন কাটানোর উচ্ছ্বাস নিয়ে ঘরে ফেরেন। শেষ হয় ভার্জিনিয়ার ইলিশ উৎসব।

post
এনআরবি লাইফ

যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারায় বাংলাদেশিদের অবদান বাড়ছে: চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ

"যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কমিউনিটি এখন বিভিন্ন শ্রেণি পেশায় অগ্রসরতার পথে হাঁটছে। এখানে শিক্ষা, চিকিৎসা, আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশি-আমেরিকানরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। আর ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা হিসেবেও তারা নাম কুড়াচ্ছেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত হলেও এই মানুষগুলো এখন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং একেকজন আমেরিকান। এই দেশের মূলধারায় নিজেদের সম্পূর্ণ নিয়োজিত করেই কাজ করে যাচ্ছেন তারা।"এসব কথা বলছিলেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি- ডব্লিউইউএসটি'র চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ।ভার্জিনিয়ার মন্টেগমারিতে শনিবার (২৫ জুন) কংগ্রেসম্যান ডেভিড ট্রোনের সমর্থনে এক সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন এই প্রকৌশল, শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তিবিদ। কমিউনিটির অন্য নেতারাও এতে অংশ নেন। যাদের মধ্যে ছিলেন অ্যালায়েন্স অব সাউথ এশিয়ান অ্যামেরিকান লেবার-অ্যাসাল'র প্রেসিডেন্ট এমএএফ মেজবাহ উদ্দীন।সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দেওয়া বক্তৃতায় কংগ্রেসম্যান ডেভিড ট্রোন বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রশংসা করেন এবং মূলধারায় তাদের আরও বেশি অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থায় আইটি খাতে বিশেষ গুরুত্ব রেখে ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপের নেতৃত্বে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ভার্জিনিয়ায় পরিচালিত হচ্ছে, বিষয়টি তাকে আনন্দিত করেছে, উল্লেখ করেন ডেভিড ট্রোন।তিনি বলেন, কমিউনিটিগুলো শক্তি ও সম্ভাবনাকে অন্তর্ভূক্ত করেই যুক্তরাষ্ট্র তার সকল বিভাগ পরিচালনা করে। শিক্ষা যার অন্যতম খাত। তিনি এই খাতে বাংলাদেশিরা আরও বেশি অবদান রাখতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন।চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ এসময় আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা আইন-কানুন মেনে চলে এবং এখানে মূলধারায় বাংলাদেশিরা আরও বেশি অন্তর্ভূক্ত হতে চায়। এবং দিনে দিনে সে সংখ্যা বেড়েই চলেছে।এদেশে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা নিজেদের পূর্ণাঙ্গ আমেরিকান নাগরিক হিসেবে শিক্ষা, চিকিৎসা, গবেষণাখাতে উচ্চ থেকে উচ্চতর স্থানে নিয়ে যেতে সচেষ্ট, উল্লেখ করে এই সফল আইটি উদ্যোক্তা বলেন, কমিউনিটির দ্বিতীয়-তৃতীয় প্রজন্মের সন্তানরা এখন বিভিন্ন খাতেই এই উচ্চ অবস্থানে পৌঁছে গেছে এবং ভবিষ্যতে আরও যাবে।অনুষ্ঠানে এমএএফ মেজবাহ উদ্দিন শ্রমিক আন্দোলনের মূলধারায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের অংশগ্রহণ দিন দিন বাড়ছে উল্লেখ করে বলেন, এখন এর নেতৃত্বেও অনেককে পাওয়া যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই অংশগ্রহণ আরও বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।বাংলাদেশি কমিউনিটির পক্ষ থেকে কংগ্রেসম্যান ডেভিড ট্রোনকে তার সমর্থনে পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন বক্তারা।

post
এনআরবি লাইফ

বাগডিসির বনভোজনে ছিলো আনন্দ অপার

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি বা বাগডিসি আয়োজিত বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গত ৫ জুন রবিবার।আলেকজান্দ্রিয়া ফ্রন্ট হান্ট পার্কে সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত চলে এই আনন্দ আয়োজন। সুশৃংখল এ আয়োজনে বাড়তি আনন্দ যোগ করে সাংস্কৃতিক পর্ব। ছোট-বড় ছেলেমেয়েদের জন্য ছিলো নানান ধরনের খেলা বা প্রতিযোগিতা। সঙ্গে উপহারতো ছিলোই। আর ছিলো রাফেল ড্র। তাতে টেলিভিশনসহ নানান লোভনীয় পুরস্কার। বাগডিসির এ বনভোজন সকলের জন্য ছিলো ফ্রি। তাদের জন্য ছিলো প্রচুর খাবারের আয়োজন। গরুর মাংস, মুরগির মাংস, ডাল-ভাত ছাড়াও ছিল প্রায় ১৫ পদের বাঙালি ভর্তা ভাজি । মিষ্টি ,চানাচুর, চা সাথে গরমের সময়ে উপযোগী তরমুজ। এইদিন ফ্রন্ট হান্ড পার্ক পুরোদস্তুর বাঙালি সাজে সেজেছিলো। তবে সবচেয়ে চোখে পড়ে আয়োজকদের গোছানো ব্যবস্থাপনা আর সকলের সুশৃংখল অংশগ্রহণ। বাংলাদেশ থেকে আসা সবার প্রিয় শিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী সংগীতের মূর্ছনা আর স্বনামধন্য নৃত্যশিল্পী লায়লা হাসানের উপস্থিতি ও বাগডিসি পরিবারের জন্য তার নৃত্য পরিবেশনা বনভোজনে অনন্য মাত্রা যোগ করে। ওগো মা ,দূরে কেন বলো না, মাগো মা॥ এই গানের মধ্যে দিয়ে বনভোজন শেষ হলেও শিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী তার শাশুড়ি মাকে মাত্র একদিন আগে হারাবার যে কষ্ট বুকে চেপে শিল্পীর দেয়া কমিটমেন্ট রক্ষা করেন তা ছিলো সকলের মুখে মুখে। কিন্তু মাকে উৎসর্গ করে গাওয়া গানটির শেষ করতে পারেননি দিনাত জাহান মুন্নি... এক পর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তার এই হারানোর বেদনায় সমব্যাথি ছিলো বাগডিসি পরিবারও। তবে ভালোবাসা ,শান্তি-সম্প্রীতি শৃঙ্খলা ,আনন্দ উৎসব এবং কমিটমেন্ট সবকিছু মিলে মিশে একাকার হয়েছিল বাগডিসি পরিবারের এই বনভোজনে। পুরো ওয়াশিংটন ডিসি মেট্রো এলাকায় বসবাসরত প্রবাসী বাঙালিরা মন খুলে উপভোগ করছেন বনভোজনের এই দিনটি।

post
এনআরবি লাইফ

নিউইয়র্কে বাংলাদেশি সাংবাদিক নাহার সিদ্দিকিকে গভর্নরের সংবর্ধনা

যুক্তরাষ্ট্রে মে মাসজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে এশিয়ান আমেরিকান অ্যান্ড প্যাসিফিক আইল্যান্ডার হেরিটেজ মান্থ। সেই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ মে নিউইয়র্কের রাজধানী আলবানিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে এশিয়ান আমেরিকান অ্যান্ড প্যাসিফিক আইল্যান্ডার হেরিটেজের বিশেষ আলোচনা সভা এবং মিলন মেলা। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী নানা শ্রেণি-পেশার এশিয়ান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এই প্রথম নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোকুল তার সরকারি বাসভবনে অতিথিদের আমন্ত্রণ জানান। সেসময় অতিথিদের সঙ্গে পরিচিত হন ক্যাথি হোকুল। পরে তিনি বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রে এশিয়ানদের আগমন এবং তাদের অবদানের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করে ক্যাথি হোকুল বলেন, 'এশিয়ানরা যুক্তরাষ্ট্রের উন্নতির জন্য বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন।' স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। সেসময় অতিথিদের বিভিন্ন খাবার এবং পানীয়ের মাধ্যমে আপ্যায়ন করা হয়। বক্তব্য শেষে অতিথি ও এশিয়ান আমেরিকান অ্যান্ড প্যাসিফিক আইল্যান্ডার হেরিটেজের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন নিউইয়র্কের গভর্নর। অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বিশিষ্ট রাজনীতিক এবং জ্যাকসন হাইটস বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশি আমেরিকান ফাহাদ সোলায়মান এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি নিহার সিদ্দিকী। সেসময় ফাহাদ সোলায়মান বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং তিনি মনে করেন, এই আলোচনা অনেক সুফল বয়ে আনবে এবং বাংলাদেশি আমেরিকানদের উন্নতি ত্বরান্বিত করবে। ক্যাথি হোকুল পরে সাংবাদিক নিহার সিদ্দিকীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য তাকে সম্মাননা প্রদান করেন। নিউইয়র্কের গভর্নরের কাছ থেকে সম্মাননা পাওয়ার পর নিহার সিদ্দিকী জানান, এই সম্মাননা তার কাজের ক্ষেত্রে আরও সহায়ক হবে। তিনি বলেন, 'এই সম্মাননা শুধু আমার বা বাংলাভিশনের নয়, এটি বাংলাদেশি সব সাংবাদিকের।'

post
এনআরবি লাইফ

চলে গেলেন মাস্টার মেরিনার ক্যাপ্টেন আজিজুল হক

মাস্টার মেরিনার ক্যাপ্টেন আজিজুল হক চুন্নু আর নেই। জাপানের কোবে শহরে সোমবার (২৩ মে) ইন্তেকাল করেন এক সময়ের এই স্বনামধন্য মেরিনার (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৫ বছর।তিনি ছিলেন ফরিদপুরের ভাঙ্গার সুপরিচিত নূরুল হক উকিলের ছেলে। ক্যাপ্টেন আজিজুল ছিলেন প্রথম বাংলাদেশি মেরিনার যিনি ১৯৭১ সালে একটি পাকিস্তানি জাহািজ নিয়ে সিঙ্গাপুর চলে গিয়েছিলেন। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সঙ্গে ছিলো তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। বঙ্গবন্ধুর ফুপাতোভাই মোমিনুল হকের একটি লেখায় উল্লেখ রয়েছে এই ক্যাপ্টেন আজিজুল হকের কথা। ক্যাপ্টেন আজিজুল তখন প্রবেশিকা পরীক্ষার্থী। সেই তারুণ্যেই তিনি বঙ্গবন্ধুর চেতনা ধারণ করতেন ও তার সংগ্রামের সারথী ছিলেন, যা উল্লেখ রয়েছে মোমিনুল হকের ওই লেখায়। মার্চেন্ট নেভির ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর আজিজুল হক চুন্নুর দীর্ঘ অবসর জীবন কাটছিলো যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল ও জাপানের কোবেতে। মৃত্যুর আগে শেষ দিনগুলো তার কোবেতেই কাটছিলো বলে জানান মরহুমের পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একজন।

About Us

NRBC is an open news and tele video entertainment platform for non-residential Bengali network across the globe with no-business vision just to deliver news to the Bengali community.